Ad-1

Tuesday, February 13, 2018

ভালোবাসি,তাই পাপিষ্ঠা জেনেও ভালোবেসে যাই...

সুখান্তরদাহ ভালোবাসার সংসার-০১
নিশাত খুবই সুন্দরী একটা মেয়ে।১০০ জনকে যদি তার সৌন্দর্য সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে ৯৯ জনই বলবে মেয়েটি আসলে সুন্দরী।নিশাতের বিয়ে হয়েছে এখন প্রায় পনের বছর।কিন্তু এখনও থ্রি পিচ পরলে মনে হয় মাত্র এক ছেলের মা কিংবা অবিবাহিত কোন নারী।অবশ্য নিশাত এখন দুই মেয়ে ও এক ছেলের মা।বড় মেয়েটা ক্লাস এইটে পড়ে।স্বামী থাকে বিদেশে।আজ তিন বছর চলছে স্বামী বিদেশে গেছে।বাড়িতে থাকে বড় ভাসুর।নাম তার নি:শব্দ।স্বামীর অনুপস্থিতিতে বাড়ির বাজারসহ সব কিছুর ব্যবস্থা করে দেন নি:শব্দ।নি:শব্দের নিজস্ব সংসার আছে।স্ত্রী,ছেলে - মেয়ে নিয়ে সাতজন ওরা।ওরা যৌথ পরিবার।নি:শব্দের স্ত্রী অনেকটা 'লালসালু'- উপন্যাসের রহিমার চেয়েও ঠাণ্ডা স্বভাবের।এ যেন এক জীবন্মৃত কোন নারী।নিশাত কিন্তু বিপরীত স্বভাবের।একটু চঞ্চল,বুদ্ধিমতী,লাস্যময়ী।আজকাল নিশাত প্রায় সময় বারবার যে গানটা শুনে,তা হলো......

"আর কত রাত একা থাকবো
আর কত রাত একা থাকবো
ফুলের গন্ধ ভরা বাতাস এসে
আমাকে পাগল করে বইবে
মুখ বুঝে মন কত সইবে...
এমন লগ্ন পেয়ে কি করে বলো
নিজেকে সরিয়ে আমি রাখবো...
চোখ মেলে দেখবো না তোমাকে
স্বপ্নের রঙে ছবি আঁকবো...
আর কত রাত একা থাকবো"

তার সে গানের কলিগুলো নি:শব্দও শুনে।কিন্তু কখনো গানের গভীরতা নিয়ে কোন চিন্তা করেনি সে।এদিকে নিশাত সে গান শুনে যতটা না স্বামী বিরহে কাতর তার চেয়ে বেশি শিহরিত হয়।এ দিকে সে গানের কথা নি:শব্দের কানে আসলেও তেমন একটা খেয়াল সে করে না।কিন্তু কয়েকবার শুনার পর আপনা-আপনি নি:শব্দের মুখ দিয়ে সে গানের কলিগুলো চলে আসে।
সে গান শুনতে গিয়ে একদিন নি:শব্দ নিজে নিজে চিন্তা করে যে,সত্যিই গানটির মধ্যে যেমন বিরহ আছে তেমনি আছে একা থাকার এক নীরব অস্ফুট যন্ত্রণা।সে বুঝতে পারে নিশাতের নাদুশ-নুদুশ নরম দেহ,উঁচু নিতম্ব,উর্বর বক্ষসহ প্রতিটি অঙ্গই যেন নীরবে কাঁদছে স্বামী বিরহের যন্ত্রণায়।

মুহূর্তে নি:শব্দের স্মৃতিতে ভেসে উঠে, নিশাতের সে দিনের পুকুর থেকে স্নান সেরে সিক্ত শরীরে কাপড় পাল্টানোর উদ্দেশ্যে বাড়ি সে ফেরার দৃশ্যটা।কী চমৎকার! কী মোহনীয়! কী লাজুকময় ছিল সে দিনের সেই দৃশ্যটা!
সে দিন হেঁটে হেঁটে বাড়ি ফেরার পথে সিক্ত পেটিকোটের উপর ভেসে ওঠা নরম নিতম্বের চঞ্চলতা,কিংবা উতাল - পাতালতা,ব্লাউজ আর ব্রা বিহীন শুধু সিক্ত ওড়নার উপর ভেসে উঠা পেঁপের মতো ঝুলানো,রসালো আমের বড়ো বড়ো স্তনযুগল ও তার বোটার দৃশ্য।কী আবেদনীই না ছিল সে দৃশ্যপট।

আবার মুহূর্তে ভেসে ওঠে অন্য দিনের আরেক আবেদনী দৃশ্য।গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরম।দুপুর বেলা বাড়ির সবাই একটা বিয়েতে যায়।বাসায় অবস্থান করছিল শুধু নিশাত।
সেদিন নি:শব্দের একটা কাজ সেরে বাসায় ফিরতে প্রায় আড়াইটা বেজে গেল।বাসায় কেউ নেই, তাই এরমধ্যে নিশাত খেয়েদেয়ে ঘুমিয়ে পড়লো।কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকায় প্রচন্ড গরমের দরুণ নিশাত গায়ের ব্লাউজ খুলে ফেলে ঘুমিয়ে পড়ে।কিন্তু ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ আসায় ফ্যানের বাতাসে তার বুকের উপর থেকে শাড়িটা সরিয়ে পড়ে।আর নিচের দিকে শাড়িটা হাটুর উপর উঠে এসেছে।নিশাত এমনি ফর্সা সুন্দর।তার উপর কাপড় বিহীন অনাবৃত বক্ষ,এ অবস্থায় তাকে ফাঁক হওয়া পর্দার আড়াল থেকে দেখে নি:শব্দ যেন নিজেকে সামলে রাখতে পারছিল না।তবুও সে সেদিন নিজেকে সামলে নিয়েছিল।কিন্তু আজ এ বিরহের গান শুনে নি:শব্দের সে দিনগুলোর দৃশ্যপট যেন বারবার স্মৃতিতে মনে পড়ছে।নিশাত যেন এ গানের মধ্য দিয়ে স্বামীকে নয় তাকেই খুঁজে।কিন্তু এ যেন এক ভয়ঙ্কর অস্ফুট,অব্যক্তভাবে নিজেকে নিবেদন করা।নি:শব্দ না পারছে সইতে না পারছে কিছু করতে।নি:শব্দ ভাবে,নিশাতের কি আমার মনের মতো অবস্থা??? পরক্ষণে ভাবে, ধ্যাৎ,এগুলো কিছুই না,আসলে এটা আমারই মনের ভুল।তারপর........
[(চলবে), তাই ভালো লাগলে সঙ্গে থাকুন,কিছুটা বাস্তবতা মিশ্রিত,একটু অশ্লীল মনে হতে পারে,কিন্তু লেখক শিশুর জন্য সাহিত্য লিখতে বসেনি,একথা মনে রাখবেন]

অ-তৎসম শব্দে বাংলা বানানের নিয়ম

 ২. বাংলা একাডেমি প্রণীত প্রমিত বাংলা বানান অনুসারে অ-তৎসম শব্দের ৬টি নিয়ম উদাহরণসহ লেখো।

                                                       উত্তর:
 বাংলা একাডেমি প্রণীত প্রমিত বাংলা বানান অনুসারে অ-তৎসম শব্দের ৬টি নিয়ম হলো...
১. সকল অ-তৎসম শব্দ অর্থাৎ তদ্ভব, দেশি, বিদেশি
  শব্দে কেবল ই এবং উ এবং কার চিহ্ন ি,ু ব্যবহৃত হবে। যেমন: বর্ণালি, রেশমি, দাদি, সরকারি ইত্যাদি।
২. বস্তুবাচক শব্দ ও অপ্রাণিবাচক অ- তৎসম শব্দের শেষে ই-কার হবে।যেমন;বাড়ি, গাড়ি, পাখি ইত্যাদি।
৩. দেশ, জাতি,ও ভাষার নাম লিখতে সর্বদাই ই-কার হবে।যেমন: জার্মানি, জাপানী, নেপালি ইত্যাদি।
৪. বিদেশি শব্দের বানান বাংলায় লেখার সময় 'ষ' ও 'ণ' না হয়ে 'স' ও 'ন' হবে
যেমন: স্টেশন, গভর্নর, স্টুডিও ইত্যাদি।
৫. স্ত্রীবাচক শব্দের শেষে সর্বদাই ঈ-কার হবে।যেমন: যুবতী, মানবী, তরুণী ইত্যাদি।
৬. যে বর্ণের উপর রেফ থাকবে, সে বর্ণ দ্বিত্ব হবে না।যেমন: ধর্ম্মসভা>ধর্মসভা, পর্ব্বত > পর্বত ইত্যাদি।

Monday, February 12, 2018

ণ-ত্ব বিধান কাকে বলে? ণ-ত্ব বিধানের নিয়ম লেখো পাঁচটি।

উত্তর:

তৎসম শব্দে মূর্ধন্য-ণ এর ব্যবহারের নিয়মকে ণ-ত্ব বিধান বলে।নিম্নে এর পাঁচটি নিয়ম বর্ণনা দেওয়া হলো...
১. ঋ,র,ষ এরপর মূর্ধন্য-ণ হয়।
    যেমন: ঋণ,রণ,ভীষণ ইত্যাদি।

২. ঋ-কার, রেফ,র-ফলা,ক্ষ এরপর মূর্ধন্য-ণ হয়।
    যেমন: তৃণ,বর্ণ,ভ্রুণ,ক্ষণ ইত্যাদি।

৩. ঋ,র,ষ এরপর যদি স্বরধ্বনি,ক-বর্গ,প বর্গ,য,য়,ব,হ,ং এর কোন ধ্বনি থাকে, তাহলে এরপর ধ্বনি দন্ত-ন এর পরিবর্তে মূর্ধন্য-ণ হয়।যেমন: কৃপণ,হরিণ,ব্রাহ্মণ,অর্পণ ইত্যাদি।

৪. যুক্তব্যঞ্জনে ট-বর্গের সঙ্গে মূর্ধন্য-ণ হয়।যেমন: ঘণ্টা,কণ্ঠ,ভণ্ড ইত্যাদি।

৫. রাম,নার,উত্তর,পর এরপর 'অয়ন'- শব্দ হলে 'অয়ন'-এর দন্ত- ন মূর্ধন্য-ণ হয়ে যাবে।যেমন:নারায়ণ,রামায়ণ,উত্তরায়ণ ইত্যাদি।

৬. কতগুলো শব্দে স্বভাবতই মূর্ধন্য-ণ হয়।যেমন:
        চাণক্য মাণিক্য গণ       বাণিজ্য লবণ মণ
                   বেণু বীণা কঙ্কণ কণিকা।
       কল্যাণ শোণিত মণি      স্থাণু গুণ পূণ্য বেণী,
                   ফণি অণু বিপণি গণিকা।
      আপণ লাবণ্য বাণী        নিপুণ ভণিতা পাণি
                  গৌণ কোণ বাণ পণ শাণ।
      চিক্কণ নিক্কণ তূণ            কফোণি বণিক গুণ
                     গণনা পিণাক পণ্য বাণ।

যারা কম করে,তারাই বেশি সমালোচনা করে।

একদিন একটি প্রতিষ্ঠানের একজন লোককে দেখলাম খুব গর্ব করে বলতে,"এখানে এমন অনেক লোক আছে যারা সবসময় নিজের ভাড়াটা দেয়,কখনো সঙ্গে যাওয়া বন্ধুর গাড়ি ভাড়াটা পর্যন্ত দেয় না,অথচ ওই বন্ধুটা একই গাড়িতে করে তার সঙ্গেই গেল।"

তারপরে লোকটা এও বলছে,"এখানে এমনও অনেক লোক আছে যারা নিজেরা নাস্তা করে,কিন্তু জীবনে কখনো অন্য কাউকে নাস্তা করায় নি।এমনকি এমনও লোক আছে,যারা অন্যকে নাস্তা করাতে হবে বলে নিজেরাও নাস্তা না করে বসে থাকে।"
অথচ যে লোকটা এ কথাগুলো বলছে,তাকে আমি খুব ভালো করেই চিনি।সে জীবনে কখনো কাউকে নাস্তা করিয়েছে কিংবা বন্ধুর গাড়ি ভাড়া দিতে পকেট থেকে আগে মানি ব্যাগ বের করেছে,কিংবা গাড়ি ভাড়া দিয়েছে এরকম কখনো দেখিনি ।

যে কখনো কাউকে দাওয়াত দিয়ে দুটো ভাত খাওয়াইনি কিংবা খাওয়াতে পারেনি,সেই কিন্তু অন্যের দাওয়াত খেয়ে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা করে।গরুর মাংসে তেমন লবণ হয়নি,মাছের টুকরোগুলো এত ছোট হয় তা আমি এই জীবনে প্রথম দেখলাম,আজকের দাওয়াতে না? আইটেম একটু কম ছিল, মাত্র দশটা আইটেম,এরকম আরো কত না কমেন্ট করে!!!এমন ভাব যে,"ওরা যেন আইটেমে সন্তুষ্ট আপ্যায়নে নয়।"
যাঁরা খুঁত ধরে,তাদের স্বভাবই হচ্ছে খুঁত ধরা।ওদেরকে ভালোবেসে হার্টটা বের করে দিলেও ওরা বলবে," হার্ট তো দিলে, কিন্তু ওটা হাতে করে দিলে কেন?ধুয়ে মুছে সুন্দর প্লেটে করে দিতে পারনি?"
কিন্তু এটা কখনো চিন্তা করে না যে,যে লোকটা হার্ট বের করে দিয়েছে, তার যে সক্ষমতা আর নেই।সে যে এখন জীবন্মৃত।।

কোন অনুষ্ঠান হচ্ছে, আয়োজককে কত না কষ্ট করতে হলো।স্টেজ বা মঞ্চ সাজানো,প্রধান অতিথি বিশেষ অতিথিদের দাওয়াত দেওয়া,সব কিছুর সুন্দর ও সুশৃঙ্খল করতে তার দিন রাত কত না খাটুনি বা পরিশ্রম, কিন্তু সেদিকে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই,অথচ যে কিছুই করেনি,সে কিন্তু মঞ্চের এক পাশে বসে সমালোচনা করছে,স্টেজটা আর একটু সুন্দর হলে ভালো হতো,এখানে এ জায়গায় খুঁত ঐ জায়গায় খুঁত,আরও কত না সমালোচনা!!!

মনে হয় পৃথিবীটাই এরকমই যে,
"যারা কম করে,
তারাই যেন সবচেয়ে বেশি সমালোচনা করে।"

Sunday, February 11, 2018

ষ-ত্ব বিধান কাকে বলে?ষ-ত্ব বিধানের নিয়মগগুলো লেখো।

উত্তর;
তৎসম শব্দে মূর্ধন্য-ষ এর ব্যবহারের নিয়মকে ষ-ত্ব বিধান বলে।

ষ-ত্ব বিধানের নিয়মগুলো নিম্নরুপ:

১. ঋ, বা ঋ-কারের পর মূর্ধন্য-ষ হয়।যেমন: ঋষি,কৃষক,তৃষা ইত্যাদি।

২. অ,আ ছাড়া অন্য স্বরবর্ণের পর ও 'ক' এবং 'র' পরে মূর্ধন্য-ষ হয়।যেমন:ঔষধ,উষা,নিকষ,উৎকর্ষ,ভীষণ,ভূষা ইত্যাদি।

৩. যুক্তব্যঞ্জনে ট,ঠ এর সঙ্গে মূর্ধন্য-ষ হয়। যেমন: কষ্ট,নষ্ট,অনুষ্ঠান, প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি।

৪. যে সকল উপসর্গের শেষে ই-কার বা উ-কার আছে সে সকল উপসর্গের পর দন্ত-স থাকলে তা মুর্ধন্য-ষ হয়।যেমন: প্রতি+সেধক=প্রতিষেধক, অভি+সেক=অভিষেক, সু+সম=সুষম ইত্যাদি।

৫. কতগুলো শব্দে স্বভাবতই মূর্ধন্য-ষ হয়। যেমন: আষাঢ়,চাষা,অভিলাষ,পাষাণ,ভাষা,ভাষণ ইত্যাদি।

[সহজে মনে রাখি:আষাঢ়ে চাষার অভিলাষ ছিল পাষাণ ভাষায় ভাষণ দেবে।]

Recent Post

মিষ্টি আলুর উপকারিতা

মিষ্টি আলুঃ "বাচ্চার ওজন দ্রুত বাড়ানোর সেরা খাবার"  বাচ্চার স্বাস্থ্য এবং বিকাশের জন্য মিষ্টি আলু একটি বিশেষ খাবার। এটি শুধু বাচ্চ...

Most Popular Post