- সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়---
Ad-1
Sunday, November 1, 2020
হঠাৎ নীরার জন্য
Wednesday, September 9, 2020
-একটা তুমির গল্প (পুর্নাঙ্গ)
তুমি বলেছিলে রাতে তোমার ঘুম হয় না,
আমি বুঝেছিলাম সময় চাইছো;
তুমি বলেছিলে "আকাশে কী মেঘ করেছে দেখো?",
আমি বুঝেছিলাম তোমার মন খারাপ।
তুমি বলেছিলে "চুলে জট বেধেছে";
আমি বুঝেছিলাম তুমি স্পর্শ চাইছো।
তুমি বলেছিলে আজ বিকেলে তুমি বারান্দায় থাকবে;
আমি বুঝেছিলাম সাক্ষাত চাও।
তুমি বলেছিলে,অন্ধকারে আমার বড্ড ভয়;
আমি বুঝেছিলাম তোমার আমাকে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করছে;
তুমি বলেছিলে সমুদ্রে যাবে;
আমি বুঝেছিলাম পাশাপাশি হাত ধরে হাঁটতে চাইছো।
তুমি বলেছিলে নীল প্রিয় রঙ,
আমি বুঝেছিলাম তোমার কষ্ট হচ্ছে;
তুমি বলেছিলে ঠোঁট ফেটেছে,
আমি বুঝেছিলাম চুমু খেতে চাইছো;
তুমি বলেছিলে অংক ভালো লাগে না,
আমি বুঝেছিলাম তুমি কবিতা ভালোবাসো;
তুমি বলেছিলে " আজ তাড়াতাড়ি ঘরে ফিরতে হবে",
তুমি বলেছিলে,এই হুটহাট দেখা করা,অসময়ে ফোন করা আর তোমার ভালো লাগছে না;
আমি বুঝে গিয়েছিলাম,বিচ্ছেদ চাইছো।
তারপর অলিখিত স্বাক্ষরে তুমি যখন ইনভিজিবল কোর্টে আমার বিরুদ্ধে বিচ্ছেদের মামলা ঠুকে দিলে;
আমি বুঝেছিলাম তুমি মুক্তি চাও।
এরপর সব বুঝে যখন আমি দার্শনিক,
সব মিটিয়ে তুমি যখন অন্য ঘরের শো-পিস,
একদিন আমাদের দেখা হলো তখন;
তুমি জিজ্ঞেস করেছিলে,"কেমন আছো?"
আমি বুঝে গিয়েছিলাম তুমি ভালো নেই।
©স্বপ্নীল চক্রবর্ত্তী
Wednesday, February 26, 2020
রমযানের ঐ রোযার শেষে এলো খুশির ঈদ
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ
তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে, শোন আসমানী তাগিদ।
তোর সোনা-দানা, বালাখানা সব রাহে লিল্লাহ
দে যাকাত, মুর্দা মুসলিমের আজ ভাঙাইতে নিঁদ
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।
আজ পড়বি ঈদের নামাজ রে মন সেই সে ঈদগাহে
যে ময়দানে সব গাজী মুসলিম হয়েছে শহীদ।
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।
আজ ভুলে যা তোর দোস্ত-দুশমণ, হাত মেলাও হাতে,
তোর প্রেম দিয়ে কর বিশ্ব নিখিল ইসলামে মুরিদ।
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।
যারা জীবন ভরে রাখছে রোজা, নিত্য উপবাসী
সেই গরিব ইয়াতীম মিসকিনে দে যা কিছু মুফিদ
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ
আপনাকে আজ বিলিয়ে দে শোন আসমানী তাগিদ।
ঢাল হৃদয়ের তশতরীতে শিরনি তৌহিদের,
তোর দাওয়াত কবুল করবেন হজরত হয় মনে উম্মীদ।
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।
তোরে মারল’ ছুঁড়ে জীবন জুড়ে ইট পাথর যারা
সেই পাথর দিয়ে তোলরে গড়ে প্রেমেরই মসজিদ।
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ
আপনাকে আজ বিলিয়ে দে শোন আসমানী তাগিদ।
Saturday, January 4, 2020
মসজিদেরই পাশে আম কবর দিও ভাই
মসজিদেরই পাশে আমার কবর দিও ভাই।
যেন গােরে থেকেও মােয়াজ্জিনের আজান শুনতে পাই।।
আমার গােরের পাশ দিয়ে ভাই নামাজীরা যাবে,
পবিত্র সেই পায়ের ধ্বনি এ বান্দা শুনতে পাবে।
গাের - আজাব থেকে এ গুনাহগার পাইবে রেহাই।।
কত পরহেজগার খােদার ভক্ত নবীজীর উম্মত
ঐ মসজিদে করে রে ভাই, কোরান তেলাওয়াত।
সেই কোরান শুনে যেন আমি পরান জুড়াই।।
কত দরবেশ ফকির রে ভাই, মসজিদের আঙ্গিনাতে
আল্লার নাম জিকির করে লুকিয়ে গভীর রাতে,
আমি তাদের সাথে কেঁদে কেঁদে
(আল্লার নাম জপতে চাই) ।।
Monday, September 2, 2019
আনন্দময়ীর আগমনে
আর কতকাল থাকবি বেটী মাটির ঢেলার মূর্তি আড়াল?
স্বর্গ যে আজ জয় করেছে অত্যাচারী শক্তি চাঁড়াল।
দেব–শিশুদের মারছে চাবুক, বীর যুবকদের দিচ্ছে ফাঁসি,
ভূ-ভারত আজ কসাইখানা, আসবি কখন সর্বনাশী?
মাদীগুলোর আদি দোষ ঐ অহিংসা বোল নাকি-নাকি
খাঁড়ায় কেটে কর মা বিনাশ নপুংসকের প্রেমের ফাঁকি।
ঢাল তরবার, আন মা সমর, অমর হবার মন্ত্র শেখা,
মাদীগুলোয় কর মা পুরুষ, রক্ত দে মা রক্ত দেখা।
তুই একা আয় পাগলী বেটী তাথৈ তাথৈ নৃত্য করে
রক্ত-তৃষার 'ময়-ভুখা-হু'র কাঁদন-কেতন কণ্বে ধরে।-
অনেক পাঁঠা-মোষ খেয়েছিস, রাক্ষসী তোর যায়নি ক্ষুধা,
আয় পাষাণী এবার নিবি আপন ছেলের রক্ত-সুধা।
দুর্বলেরে বলি দিয়ে ভীরুর এ হীন শক্তি-পূজা
দূর করে দে, বল মা, ছেলের রক্ত মাগে দশভুজা।..
'ময় ভুখা হুঁ মায়ি' বলে আয় এবার আনন্দময়ী
কৈলাশ হতে গিরি-রাণীর মা দুলালী কন্যা অয়ি!
সংকলিত (কাজী নজরুল ইসলাম)
শব্দার্থ
চাঁড়াল - চন্ডাল,নীচ জাতি।
মাদী - স্ত্রী জাতীয় জীবজন্তু।
কণ্ব - শকুন্তলার পালক পিতা।
কারার ঐ লৌহ-কপাট
১
কারার ঐ লৌহকপাট,
ভেঙ্গে ফেল, কর রে লোপাট,
রক্ত-জমাট
শিকল পূজার পাষাণ-বেদী।
ওরে ও তরুণ ঈশান!
বাজা তোর প্রলয় বিষাণ!
ধ্বংস নিশান
উড়ুক প্রাচীর প্রাচীর ভেদি।
২
গাজনের বাজনা বাজা!
কে মালিক? কে সে রাজা?
কে দেয় সাজা
মুক্ত স্বাধীন সত্যকে রে?
হা হা হা পায় যে হাসি,
ভগবান পরবে ফাঁসি!
সর্বনাশী
শিখায় এ হীন তথ্য কে রে!
৩
ওরে ও পাগলা ভোলা!
দে রে দে প্রলয় দোলা
গারদগুলা
জোরসে ধরে হেচ্কা টানে!
মার হাঁক হায়দারী হাঁক,
কাধে নে দুন্দুভি ঢাক
ডাক ওরে ডাক,
মৃত্যুকে ডাক জীবন পানে!
৪
নাচে ওই কালবোশাখী,
কাটাবী কাল বসে কি?
দে রে দেখি
ভীম কারার ঐ ভিত্তি নাড়ি!
লাথি মার, ভাঙ্গরে তালা!
যত সব বন্দী শালায়-
আগুন-জ্বালা,
-জ্বালা, ফেল উপাড়ি।।
ছেড়ে দে নৌকা মাঝি যাব মদিনা
দে দে পাল তুলে দে
মাঝি হেলা করিস না
ছেড়ে দে নৌকা
অামি যাবো মদিনা
দুনিয়ায় নবী এলো
মা অামিনার ঘরে
হাসিলে হাজার মানিক
কাঁদিলে মুক্তা ঝড়ে
ও দয়াল মুর্শিদ যার সখা
তার কিসের ভাবনা
অামার হৃদয় মাঝে কাবা
নয়নে মদিনা...
ও নূরের রৌশনীতে
দুনিয়া গেছে ভরে
সে নূরের বাতি জ্বলে
মদিনার ঘরে ঘরে
দয়াল মুর্শিদ যার সখা
তার কিসের ভাবনা
অামার হৃদয় মাঝে কাবা
নয়নে মদিনা.......
দে দে পাল তুলে দে
কারো কারো মতে; কর্পোরেট বাউলগণ ও তাদের পৃষ্ঠপোষকগণ কর্তৃক সত্যের অপলাপ করা হয়েছে।
এটা প্রথম লেখা হয় ১৯৯৮ সালে। এটি লিখেছেন চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ড উপজেলার মাওলানা নিজাম উদ্দিন। প্রথম সুর গীতিকার নিজেই দেন। ৯৮ সালে চট্টগ্রাম জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্রদের সংগঠন "মদীনা ইসলামী সাংস্কৃতিক ফোরাম" এর উদ্যোগে ক্যাসেটে এটি প্রকাশিত হয়। গেয়েছেন মাওলানা একরাম, যিনি এখন চট্টগ্রাম বন্দর মসজিদের ইমাম।
অবশ্য কর্পোরেট বাউলগণ কিছু কথা পরিবর্তন করে নিয়েছে।
Monday, February 5, 2018
চিরায়মনা,যেমন আছ তেমনি এসো, আর কোরো না সাজ
চিরায়মানা
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যেমন আছ তেমনি এসো, আর কোরো না সাজ। বেণী নাহয় এলিয়ে রবে, সিঁথি নাহয় বাঁকা হবে, নাই-বা হল পত্রলেখায় সকল কারুকাজ। কাঁচল যদি শিথিল থাকে নাইকো তাহে লাজ। যেমন আছ তেমনি এসো, আর করো না সাজ।। এসো দ্রুত চরণদুটি তৃণের 'পরে ফেলে। ভয় কোরো না - অলক্তরাগ মোছে যদি মুছিয়া যাক, নূপুর যদি খুলে পড়ে নাহয় রেখে এলে। খেদ কোরো না মালা হতে মুক্তা খসে গেলে। এসো দ্রুত চরণদুটি তৃণের 'পরে ফেলে। হেরো গো ওই আঁধার হল, আকাশ ঢাকে মেঘে। ও পার হতে দলে দলে বকের শ্রেণী উড়ে চলে, থেকে থেকে শূন্য মাঠে বাতাস ওঠে জেগে। ওই রে গ্রামের গোষ্ঠমুখে ধেনুরা ধায় বেগে। হেরো গো ওই আঁধার হল, আকাশ ঢাকে মেঘে।। প্রদীপখানি নিবে যাবে, মিথ্যা কেন জ্বালো? কে দেখতে পায় চোখের কাছে কাজল আছে কি না আছে, তরল তব সজল দিঠি মেঘের চেয়ে কালো। আঁখির পাতা যেমন আছে এমনি থাকা ভালো। কাজল দিতে প্রদীপখানি মিথ্যা কেন জ্বালো?। এসো হেসে সহজ বেশে, আর কোরো না সাজ। গাঁথা যদি না হয় মালা ক্ষতি তাহে নাই গো বালা, ভূষণ যদি না হয় সারা ভূষণে নাই কাজ। মেঘ মগন পূর্বগগন, বেলা নাই রে আজ। এসো হেসে সহজ বেশে, নাই-বা হল সাজ।।Tuesday, July 25, 2017
পোষা পাখি(বারমাসী ছড়া)
বৈশাখ মাসে পুষেছিলুম একটি শালিক ছানা,
জ্যৈষ্ঠ মাসে উঠল তাহার ছোট্ট দুটি ডানা।।
আষাঢ় মাসে বাড়ল ক্রমে গায়ের পালকগুলি,
শ্রাবণ মাসে শিখল পাখী দুই চারটি বুলি।।
ভাদ্র মাসে নাইয়ে দিলুম হলুদ দিয়ে গায়,
আশ্বিন মাসে ঘুঙ্গুর কিনে দিলুম তাহার পায়।।
কার্তিক মাসে শিখল পাখি দাঁড়ের পরে দোলা
অগ্রহায়ণ মাসে হোল সে একেবারে হরবোলা।।
পৌষ মাসে থাকল খোলা খাঁচার দুটি দ্বার,
মাঘ মাসে চরতে যেত ইচ্ছা যথা তার।।
ফাল্গুন মাসে দুষ্ট বুদ্ধি জাগল তাহার মনে,
চৈত্র মাসে ফুড়ুৎ করে উড়ে গেল বনে।।
বি:দ্র: বাংলা লোক-সাহিত্যে শিশুদের জন্য বারমাসী ছড়া পাওয়া যায়।তার একটি হলো উপরের ছড়াটি।
Wednesday, July 5, 2017
ব্লাউজের নিচে কিছু মসৃণ নগ্নতা
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
বহুক্ষণ মুখোমুখি চুপচাপ, একবার চোখ তুলে সেতু
আবার আলাদা দৃষ্টি, টেবিলে রয়েছে শুয়ে
পুরোনো পত্রিকা
প্যান্টের নিচে চটি, ওপাশে শাড়ির পাড়ে
দুটি পা-ই ঢাকা
এপাশে বোতাম খোলা বুক, একদিন না-কামানো দাড়ি
ওপাশে এলো খোঁপা, ব্লাউজের নীচে কিছু
মসৃণ নগ্নতা
বাইরে পায়ের শব্দ, দূরে কাছে কারা যায়
কারা ফিরে আসে
বাতাস আসেনি আজ, রোদ গেছে বিদেশ ভ্রমণে।
আপাতত প্রকৃতির অনুকারী ওরা দুই মানুষ-মানুষী
দু‘খানি চেয়ারে স্তব্ধ, একজন জ্বলে সিগারেট
অন্যজন ঠোঁটে থেকে হাসিটুকু মুছেও মোছে না
আঙুলে চিকচিকে আংটি, চুলের কিনারে একটু ঘুম
ফের চোখ তুলে কিছু স্তব্ধতার বিনিময়,
সময় ভিখারী হয়ে ঘোরে
অথচ সময়ই জানে, কথা আছে, ঢের কথা আছে।
Recent Post
সুভা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ১. সুভার বাবার নাম কি? ২. সুভা কোথায় বসে থাকত? ৩. সুভা জলকুমারী হলে কী করত? ৪. সুভার গ্রামের নাম কী? ৫...
Most Popular Post
-
বাংলা ছন্দ ছন্দ: কাব্যের রসঘন ও শ্রুতিমধুর বাক্যে সুশৃঙ্খল ধ্বনিবিন্যাসের ফলে যে সৌন্দর্য সৃষ্টি হয় তাকে ছন্দ বলে। (বাঙলা ছন্দ : জীবেন্দ...
-
অলঙ্কার এর সংজ্ঞাঃ অলঙ্কার কথাটি এসেছে সংস্কৃত 'অলম' শব্দ থেকে।অলম শব্দের অর্থ ভূষণ।ভূষণ অর্থ সজ্জা,গহনা ইত্যাদি। তাই আভিধানিক অর্থে...
-
উত্তর 'অ' ধ্বনির উচ্চারণ অ-এর মতো হলে তাকে অ-বিবৃত বা স্বাভাবিক উচ্চারণ বলে।অ-ধ্বনির বিবৃত উচ্চারণে ঠোঁট তেমন বাঁকা বা গোল হয় না।যে...
-
নৌকাডুবি (১৯০৬) চরিত্র ও তথ্য সমূহ ১. রমেশঃকলকাতা/Law/বাবার চিঠি/ ২. হেমনলিনীঃমাতৃহীন/ ৩. কমলাঃ ৪. ডাক্তার নলিনাক্ষঃ * গঙ্গার প্রবল ঘুর্ণিঝড়...
-
উত্তর: অ-ধ্বনির সংবৃত উচ্চারণের নিয়ম নিম্নরুপ।যথা: ১. 'অ'অথবা নিহিত 'অ'-ধ্বনির পর ই-কার বা উ-কার হলে, তবে অ-ধ্বনির উচ্চারণ...
-
অর্থালঙ্কার: অর্থালঙ্কারের প্রকারভেদ: অর্থালঙ্কার পাঁচ প্রকার।যথা: ১. সাদৃশ্যমূলক ২. বিরোধমূলক ৩. শৃঙ্খলামূলক ৪. ন্যায়মূলক ৫. গূঢ়ার্থ...
-
উত্তর: তৎসম শব্দে মূর্ধন্য-ণ এর ব্যবহারের নিয়মকে ণ-ত্ব বিধান বলে।নিম্নে এর পাঁচটি নিয়ম বর্ণনা দেওয়া হলো... ১. ঋ,র,ষ এরপর মূর্ধন্য-ণ হয়। ...