তারিখ-০১/০১/২০২৪ খ্রিঃ
বরাবর
অধ্যক্ষ
বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ।
বান্দরবান সেনানিবাস, বান্দরবান।
বিষয়ঃ বাংলা বিষয়ে প্রভাষক পদে নিয়োগের জন্য আবেদন।
জনাব
যথাবিহীত সম্মান পূর্বক নিবেদন এই যে, গত ১২ জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিঃ তারিখে “দৈনিক ইত্তেফাক” পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানতে পারলাম যে, আপনার স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাংলা বিষয়ে একজন প্রভাষক নিয়োগ করা হবে। আমি উক্ত পদের একজন প্রার্থী হিসেবে সদয় বিবেচনার জন্য আমার শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্ত ও আনুষাঙ্গিক তথ্যাদি সংযুক্ত করছি।
অতএব, মহোদয়ের নিকট বিনীত প্রার্থনা আমার জীবনবৃত্তান্তে উল্লেখিত বিষয়সমূহ বিবেচনা পূর্বক উক্ত পদে নিয়োগ প্রদান করলে আমি আমার শ্রম,মেধা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে শিক্ষকতার মহান দায়িত্ব পালনে সর্বদা সচেষ্ট থাকব।
বিনীত নিবেদক
নিজের নাম হবে
মোবাইল:
সংযুক্তিঃ
১। পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি ৩ কপি।
২। সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।
৩। অভিজ্ঞতার সত্যায়িত সনদপত্র।
৪। ৭০০ টাকার পে-অর্ডার।
Ad-1
Monday, February 5, 2024
প্রভাষক পদে নিয়োগের আবেদনপত্র
Wednesday, October 28, 2020
১. ব্যাকরণিক শব্দ শ্রেণি বলতে কী বােঝ? উদাহরণসহ প্রকারভেদ আলোচনা করাে।
১. বিশেষ্য : যে শব্দশ্রেণি দ্বারা কোনাে ব্যক্তি, জাতি, সমষ্টি, বস্তু,স্থান, কাল, ভাব, কর্ম বা গুণের নাম বােঝায় তাকে বিশেষ্য বলে।যেমন- থালা, বাটি, ঢাকা ইত্যাদি।
২. সর্বনাম : বিশেষ্যের পরিবর্তে যে শব্দ ব্যবহৃত হয় তাকে সর্বনাম বলে। সর্বনাম সাধারণত ইতােপূর্বে ব্যবহৃত বিশেষ্যের প্রতিনিধি স্থানীয় শব্দ হিসেবে কাজ করে। যেমন- অবনি অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। সে নিয়মিত স্কুলে যায়।
৩. বিশেষণ : যে শব্দশ্রেণি দ্বারা বিশেষ্য, সর্বনাম ও ক্রিয়ার দোষ,গুণ, অবস্থা, সংখ্যা, পরিমাণ ইত্যাদি প্রকাশ পায় তাকে বিশেষণ বলে। যেমন— নীল পরী ।
৪. ক্রিয়া : যে শব্দশ্রেণি দ্বারা কোনাে কিছু করা, থাকা, হওয়া, ঘটা ইত্যাদি বােঝায় তাকে ক্রিয়া বলে। যেমন- নিজাম কাঁদছে।
৫. ক্রিয়া বিশেষণ : যে শব্দ বাক্যের ক্রিয়াকে বিশেষিত করে তাকে ক্রিয়াবিশেষণ বলে। যেমন- বাসটি দ্রুত চলতে শুরু করল।
৬. যােজক : যে শব্দ একটি বাক্যাংশের সাথে অন্য একটি বাক্যাংশ অথবা বাক্যস্থিত একটি শব্দের সঙ্গে অন্য একটি শব্দের সংযােজন, বিয়ােজন বা সংকোচন ঘটায় তাকে যােক বলে। যেমন- তুমি খাবে আর আবির পড়বে।
৭. অনুসর্গ : যে শব্দ কখনাে স্বাধীনরূপে আবার কখনাে শব্দ বিভক্তির ন্যায় বাক্যে ব্যবহৃত হয়ে বাক্যের অর্থ প্রকাশে সাহায্য করে তাকে অনুসর্গ বলে। যেমন- ওকে দিয়ে এ কাজ হবে না।
৮. আবেগ শব্দ : যে শব্দ মনের বিশেষ ভাব বা আবেগ প্রকাশে সহায়তা করে তাকে আবেগ শব্দ বলে। যেমন- বাহ! সে তাে আজ ভালােই খেলছে।
Wednesday, October 21, 2020
৫. ক্রিয়াপদ কাকে বলে?উহা কত প্রকার ও কি কি? বিস্তারিত আলোচনা কর
ধাতুর সঙ্গে বিভক্তির যুক্ত হয়ে যে পদ গঠিত হয়,তাকে ক্রিয়াপদ বলে।
ক্রিয়াপদ প্রথমত দুই প্রকার। যথা:
১. সমাপিকা ক্রিয়া
২. অসমাপিকা ক্রিয়া।
*সমাপিকা ক্রিয়া:
যে ক্রিয়া সম্পূর্ণ মনের ভাব প্রকাশ করে, তাকে সমাপিকা ক্রিয়া বলে।সমাপিকা ক্রিয়াকে ইংরেজিতে Finite Verb বলে।যেমন: করিম স্কুলে যায়।
*অসমাপিকা ক্রিয়া:
যে ক্রিয়া সম্পূর্ণ মনের ভাব প্রকাশ করে না,তাকে অসমাপিকা ক্রিয়া বলে।অসমাপিকা ক্রিয়াকে ইংরেজিতে Non-Finite Verb বলে।যেমন: করিম স্কুলে গিয়ে.....এখানে গিয়ে হলো অসমাপিকা ক্রিয়া।
২. সমাপিকা ক্রিয়া কী? কত প্রকার ও কি কি? উদাহরণসহ লেখো।
উত্তর:
সমাপিকা ক্রিয়া:
যে ক্রিয়া সম্পূর্ণ মনের ভাব প্রকাশ করে, তাকে সমাপিকা ক্রিয়া বলে।সমাপিকা ক্রিয়াকে ইংরেজিতে Finite Verb বলে।যেমন: করিম স্কুলে যায়।
*সমাপিকা ক্রিয়ার প্রকারভেদ :
সমাপিকা ক্রিয়া পাঁচ প্রকার।যথা:
১. সকর্মক ক্রিয়া
২. অকর্মক ক্রিয়া
৩. দ্বিকর্মক ক্রিয়া
৪.প্রযোজক ক্রিয়া
৫. যৌগিক ক্রিয়।
১. সকর্মক ক্রিয়া :
যে ক্রিয়ার কর্ম থাকে, তাকে সকর্মক ক্রিয়া বলে।কর্ম আছে কি নাকি নেই? সেটা বুঝব ক্রিয়াকে 'কি' বা 'কাকে'- দিয়ে প্রশ্ন করে উত্তর পেলে বুঝব কর্ম আছে।যেমন: রহিম বই পড়ে।
২. অকর্মক ক্রিয়া:
যে ক্রিয়ার কর্ম নেই,তাকে অকর্মক ক্রিয়া বলে।যেমন: সে হাঁসে।
৩. দ্বিকর্মক ক্রিয়া :
যে ক্রিয়ার দুটি কর্ম থাকে, তাকে দ্বিকর্মক ক্রিয়া বলে।যেমন: সে আমাকে একটি গোলাপ দিল।
এখানে আমাকে ও গোলাপ দুটো কর্ম।
৪.প্রযোজক ক্রিয়া:
যে ক্রিয়া দ্বারা অন্যকে দিয়ে কাজ করানো বুঝায়, তাকে প্রযোজক ক্রিয়া বলে।যেমন:
মা শিশুকে চাঁদ দেখায়।
৫. যৌগিক ক্রিয়া:
কোন বাক্যে যদি সমাপিকা ও অসমাপিকা ক্রিয়া একসঙ্গে থাকে, তাকে যৌগিক ক্রিয়া বলে।যেমন: আমাকে ট্রেন ধরতে হবে।এখানে ধরতে অসমাপিকা ক্রিয়া ও হবে সমাপিকা ক্রিয়া।একসঙ্গে হয়ে হলো যৌগিক ক্রিয়া।
Thursday, August 13, 2020
অ-ধ্বনির বিবৃত উচ্চারণের নিয়ম লেখো পাঁচটি।
'অ'-ধ্বনির বিবৃত উচ্চারণের নিয়ম নিম্নরুপ:১. অ – এর নিজস্ব উচ্চারন স্বাভাবিক বা বিবৃত হয় ।যেমন: যেমন: জল, সরল, দখল,ইত্যাদি।
২. শব্দের দ্বিতীয় স্বর 'অ','আ','ও' হলে আদ্য 'অ'-এর উচ্চারণ স্বাভাবিক বা বিবৃত হয়।যেমন: বলা,বন্ধ,ধর্ম,অজ,কথা ইত্যাদি।
৩. 'স'অথবা 'সম' উপসর্গযুক্ত শব্দের আদি 'অ'-ধ্বনি স্বাভাবিক বা বিবৃত হয়।যেমন: সস্ত্রীক, সহাস্য,সজীব,সংস্কৃত,সবিনয় ইত্যাদি।
৪. 'না' অর্থে শব্দের আদিতে 'অ' বা 'অন' থাকলে আদ্য 'অ'-ধ্বনি স্বাভাবিক বা বিবৃত হয়।যেমন:অমূল্য,অমৃত,অস্থির,অসীম,অধর্ম ইত্যাদি।
৫. 'অ'-স্বরধ্বনি যুক্ত এক -'অক্ষর' শব্দের 'অ'-এর উচ্চারণ স্বাভাবিক বা বিবৃত হয়।যেমন: রব,যম,জপ,নদ ইত্যাদি।
Friday, December 13, 2019
খণ্ডবাক্য কাকে বলে? আশ্রিত খণ্ডবাক্য কত প্রকার ও কী কী? উদাহরণসহ আলােচনা করাে।
১.প্রধান খণ্ডবাক্য
২.আশ্রিত খণ্ড বাক্য।
যে খণ্ডবাক্য অর্থ প্রকাশের জন্য অন্য কোনাে খণ্ডবাক্যের উপর নির্ভরশীল নয়, তাকে প্রধান খণ্ডবাক্য বলে।
যে খণ্ডবাক্য অর্থ প্রকাশের জন্য প্রধান খণ্ডবাক্যের উপর নির্ভরশীল, তাকে আশ্রিত খণ্ডবাক্য বলে।
আশ্রিত খণ্ডবাক্য আবার তিন প্রকার। যথা-
ক. বিশেষ্য স্থানীয় আশ্রিত খণ্ডবাক্য : যে আশ্রিত খণ্ডবাক্য বিশেষ্য পদের কাজ করে, তাকে বিশেষ্য স্থানীয় আশ্রিত খণ্ডবাক্য বলে। যেমন—
আমি জানি।
প্রধান খণ্ডবাক্য।
সে কেমন লােক।
বিশেষ্য স্থানীয় আশ্রিত খণ্ডবাক্য
খ. বিশেষণ স্থানীয় আশ্রিত খণ্ডবাক্য : যে আশ্রিত খণ্ডবাক্য প্রধান খণ্ডবাক্যের অন্তর্গত কোনাে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের দোষ, গুণ এবং অবস্থা প্রকাশ করে তাকে বিশেষণ স্থানীয় আশ্রিত খণ্ডবাক্য বলে।
যেমন—
যে এ সভায় অনুপস্থিত,
বিশেষণ স্থানীয় আশ্রিত খণ্ডবাক
সে বড় দুর্ভাগা।
***যেখানে, যখন,যেভাবে,যেন দিয়ে থাকলে বিশেষণ স্থানীয় আশ্রিত খণ্ডবাক্য পাওয়া যায়।
গ.ক্রিয়া-বিশেষণ স্থানীয় আশ্রিত খণ্ডবাক্য : যে আশ্রিত খণ্ডবাক্য ক্রিয়াপদের স্থান, কাল ও কারণ নির্দেশক অর্থে ব্যবহূত হয়, তাকে ক্রিয়া-বিশেষণ স্থানীয় আশ্রিত খণ্ডবাক্য বলে।
যেমন—যেখানে আকাশ আর সমুদ্র একাকার হয়ে গেছে, সেখানেই দিকচক্রবাল।
***ক্রিয়াকে কখন, কোথায়, কিভাবে,কেন,কতটুকু দ্বারা প্রশ্ন করে ক্রিয়া-বিশেষণ স্থানীয় আশ্রিত খণ্ডবাক্য পাওয়া যায়।
Tuesday, March 27, 2018
সমাস কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি? উদাহরণসহ লেখো।
👉পরস্পর সম্পর্কযুক্ত দুই বা ততোধিক পদকে একপদে পরিণত করাকে সমাস বলে।
👉আরও
সংক্ষেপে বললে বলতে হয়,একপদিকরণকে সমাস বলে।।
এখানে ছয়টি পদকে একপদে পরিণত করে হলো 'গায়েহলুদ ',সুতারাং এ ধরনের সংক্ষিপ্ত করণকে সমাস বলে।
সমাস ছয় প্রকার।যথা:
১. দ্বন্দ্ব সমাস।যেমন: মা-বাবা,কাপড়-চোপড়,দা-কুমড়া ইত্যাদি।
২. বহুব্রীহি সমাস।যেমন: দশানন,দশভূজা,আশীবিষ ইত্যাদি।
৩. অব্যয়ীভাব সমাস।যেমন: আনত,আমরণ,আকণ্ঠ ইত্যাদি।
৪. দ্বিগু সমাস।যেমন: পঞ্চনদ,ত্রিভূজ,শতাব্দী ইত্যাদি।
৫. তৎপুরুষ সমাস।যেমন: গাছপাকা,ঘিমাখা,আপাদমস্তক ইত্যাদি।
৬. কর্মধারয় সমাস।যেমন: বিষাদসিন্ধু, কাজলকালো,রাজর্ষি ইত্যাদি।
👉পূর্বপদ ও পরপদের অর্থের প্রাধান্যের ভিত্তিতে সমাস চার প্রকার।যথা:
১. উভয় পদের অর্থ প্রধান।যেমন: দ্বন্দ্ব
সমাস।
২. উভয় পদের অর্থ প্রধান নয়,বরং তৃতীয় আরেকটি পদকে বুঝায়।যেমন: বহুব্রীহি সমাস।
৩. পূর্ব পদের অর্থ প্রধান।যেমন: অব্যয়ীভাব সমাস।
৪. পর পদের অর্থ প্রধান। যেমন: দ্বিগু, তৎপুরুষ, কর্মধারয় সমাস।
নিম্নে বিভিন্ন প্রকার সমাসের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি উপস্থাপন করা হলোঃ---
১. দ্বন্দ্ব সমাস
👉দ্বন্দ্ব শব্দের অর্থ জোড়া।সুতারাং দ্বন্দ্ব সমাস জোড়ায় জোড়ায় থাকে।
👉দ্বন্দ্ব সমাসের ব্যাসবাক্য ও,এবং,আর দিয়ে হয়।
👉যেমনঃ মা-বাবা,ভাই-বোন,স্বামী-স্ত্রী,দা-কুমড়া,কাপড়-চোপড় ইত্যাদি।
২.বহুব্রীহি সমাস
👉 বহুব্রীহি সমাসের ব্যাসবাক্য 'যার' দিয়ে হয়।
👉 যেমনঃ দশানন,দশভূজা,আশীবিষ,ঊর্ণ্নাভ ইত্যাদি।
৩.অব্যয়ীভাব সমাস
👉 অব্যয়ীভাব সমাসের সমস্ত পদের শুরূতে উপসর্গ থাকে,কিন্তু ব্যাসবাক্য করার সময় তা থাকে না।
👉 যেমন ঃ হাভাত,আমরণ,আনত,প্রতিদিন ইত্যাদি।
৪. দ্বিগু সমাস
👉 দ্বিগু সমাসের ব্যাসবাক্য 'সমাহার' শব্দ দিয়ে হয়।
👉যেমনঃ সপ্তাহ,পঞ্চনদ,ত্রিভূজ,চতূর্ভূজ,শতাব্দী ইত্যাদি।
নিত্য
সমাস
যে সমাসের ব্যাসবাক্য হয় না, কিংবা ব্যাসবাক্য করতে গেলে অন্য পদের সাহায্য নিতে হয়, তাকে নিত্য সমাস বলে। যেমন: অন্য দেশ = দেশান্তর; অন্য কাল = কালান্তর ইত্যাদি।
নিত্য সমাস' মনে রাখুন সহজ টেকনিক দিয়ে! সারাজীবনেও আর নিত্য সমাস ভুল হবে না।
আর ব্যাসবাক্য করার সময় "অন্তর" থাকলে হবে "অন্য"
যেমনঃ
ধর্মান্তর= অন্য ধর্ম (নিত্য সমাস)
গ্রামান্তর = অন্যগ্রাম
দ্বীপান্তর = অন্য দ্বীপ
কালান্তর = অন্য কাল
গৃহান্তর = অন্যগৃহ
স্থানান্তর = অন্য স্থান
জলমাত্র = কেবল জল
দর্শনমাত্র = কেবল দর্শন
তন্মাত্র = কেবল মাত্র
জলমাত্র= কেবল জল
প্রাদি সমাসঃ-
প্র,পরা প্রভৃতি ২০টি উপসর্গের
সাথে কৃৎ প্রত্যয়সাধিত বিশেষ্য পদের সমাস হলে, তাকে প্রাদি
সমাস বলে।
যেমন:
সম্ (সম্যক্) যে আদর = সমাদর,
প্র (প্রকৃষ্ট) যে বচন = প্রবচন,
পরি (চতুর্দিকে) যে ভ্রমণ = পরিভ্রমণ,
অনুতে (পশ্চাতে) যে তাপ = অনুতাপ,
প্র (প্রকৃষ্ট রূপে) ভাত (আলোকিত) = প্রভাত,
প্র (প্রকৃষ্ট রূপে) গতি = প্রগতি ইত্যাদি,
প্রদর্শন=প্রকৃত রুপে দর্শন,
প্রনাম=প্রত্যয় দ্বারা নাম।
Wednesday, February 14, 2018
তৎসম শব্দে বাংলা বানান
উত্তর
বাংলা একাডেমি প্রণীত বাংলা বানানরীতি অনুসারে তৎসম শব্দের ৬টি নিয়ম হলো-
১. যেসব তৎসম শব্দে ই ঈ বা উ ঊ উভয়ই শুদ্ধ কেবল সেসব শব্দে ই বা উ এবং তার কারচিহ্ন ি,ু
হবে।যেমন: কিংবদন্তি, চিৎকার,তরণি,শ্রেণি
২. রেফ - এর পরের ব্যঞ্জনবর্ণের দ্বিত্ব হবে না।
৩. শব্দের শেষে বিসর্গ থাকবে না।
৪. সন্ধির ক্ষেত্রে ক,খ,গ,ঘ পরে থাকলে পূর্বে পদের অন্তস্থিত ম্ স্থানে অনুস্বার (ং) হবে।
যেমন : অহম+ কার =অহংকার।
৫. শব্দটি সন্ধিবদ্ধ না হলে ঙ স্থানে ং হবে না।
৬. সংস্কৃত ইন - প্রত্যয়ান্ত শব্দে ঈ-কারান্ত রুপ সমাসবদ্ধ হলে সংস্কৃত ব্যাকরণের নিয়মানুযায়ী সেগুলোতে হ্রস্ব-ই কার হয়।যেমন: গুণী গুণিজন,প্রাণী- প্রাণিবিদ্যা, মন্ত্রী - মন্ত্রিপরিষদ ইত্যাদি।
Tuesday, February 13, 2018
অ-তৎসম শব্দে বাংলা বানানের নিয়ম...
২. বাংলা একাডেমি প্রণীত প্রমিত বাংলা বানান অনুসারে অ-তৎসম শব্দের
৬টি নিয়ম উদাহরণসহ লেখো।
উত্তর:
বাংলা একাডেমি প্রণীত
প্রমিত বাংলা বানান অনুসারে অ-তৎসম শব্দের ৬টি নিয়ম হলো...
১. সকল অ-তৎসম শব্দ অর্থাৎ তদ্ভব, দেশি, বিদেশি শব্দে কেবল ই এবং উ এবং কার চিহ্ন ি,ু ব্যবহৃত হবে। যেমন: বর্ণালি, রেশমি,
দাদি, সরকারি ইত্যাদি।
২. বস্তুবাচক শব্দ ও অপ্রাণিবাচক অ- তৎসম শব্দের শেষে ই-কার হবে।যেমন;বাড়ি, গাড়ি, পাখি
ইত্যাদি।
৩. দেশ, জাতি,ও ভাষার নাম লিখতে সর্বদাই ই-কার হবে।যেমন: জার্মানি, জাপানী, নেপালি
ইত্যাদি।
৪. বিদেশি শব্দের বানান বাংলায় লেখার সময় 'ষ' ও 'ণ' না হয়ে 'স' ও 'ন' হবে। যেমন:
স্টেশন, গভর্নর, স্টুডিও ইত্যাদি।
৫. স্ত্রীবাচক শব্দের শেষে সর্বদাই ঈ-কার হবে।যেমন: যুবতী, মানবী, তরুণী ইত্যাদি।
৬. যে বর্ণের উপর রেফ থাকবে, সে বর্ণ দ্বিত্ব হবে না।যেমন: ধর্ম্মসভা>ধর্মসভা, পর্ব্বত
> পর্বত ইত্যাদি।
Monday, February 12, 2018
ণ-ত্ব বিধান কাকে বলে? ণ-ত্ব বিধানের নিয়ম লেখো পাঁচটি।
তৎসম শব্দে মূর্ধন্য-ণ এর ব্যবহারের নিয়মকে ণ-ত্ব বিধান বলে।নিম্নে এর পাঁচটি নিয়ম বর্ণনা দেওয়া হলো...
১. ঋ,র,ষ এরপর মূর্ধন্য-ণ হয়।
যেমন: ঋণ,রণ,ভীষণ ইত্যাদি।
২. ঋ-কার, রেফ,র-ফলা,ক্ষ এরপর মূর্ধন্য-ণ হয়।
যেমন: তৃণ,বর্ণ,ভ্রুণ,ক্ষণ ইত্যাদি।
৩. ঋ,র,ষ এরপর যদি স্বরধ্বনি,ক-বর্গ,প বর্গ,য,য়,ব,হ,ং এর কোন ধ্বনি থাকে, তাহলে এরপর ধ্বনি দন্ত-ন এর পরিবর্তে মূর্ধন্য-ণ হয়।যেমন: কৃপণ,হরিণ,ব্রাহ্মণ,অর্পণ ইত্যাদি।
৪. যুক্তব্যঞ্জনে ট-বর্গের সঙ্গে মূর্ধন্য-ণ হয়।যেমন: ঘণ্টা,কণ্ঠ,ভণ্ড ইত্যাদি।
৫. রাম,নার,উত্তর,পর এরপর 'অয়ন'- শব্দ হলে 'অয়ন'-এর দন্ত- ন মূর্ধন্য-ণ হয়ে যাবে।যেমন:নারায়ণ,রামায়ণ,উত্তরায়ণ ইত্যাদি।
৬. কতগুলো শব্দে স্বভাবতই মূর্ধন্য-ণ হয়।যেমন:
চাণক্য মাণিক্য গণ বাণিজ্য লবণ মণ
বেণু বীণা কঙ্কণ কণিকা।
কল্যাণ শোণিত মণি স্থাণু গুণ পূণ্য বেণী,
ফণি অণু বিপণি গণিকা।
আপণ লাবণ্য বাণী নিপুণ ভণিতা পাণি
গৌণ কোণ বাণ পণ শাণ।
চিক্কণ নিক্কণ তূণ কফোণি বণিক গুণ
গণনা পিণাক পণ্য বাণ।
Thursday, January 18, 2018
প্রতিবেদন কি?কত প্রকার ও প্রতিবেদন লেখার নিয়ম
প্রতিবেদন হচ্ছে কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের তথ্যভিত্তিক বর্ণনা।প্রতিবেদনকে ইংরেজিতে Report বলে।একটি প্রতিবেদনের সাধারণত পাঁচটি অংশ থাকে। যথা:
১. প্রতিবেদনের শিরোনাম
২. সূচনা অনুচ্ছেদ যাকে সংবাদ পত্রের ভাষায় Lead বা Intro বলে।
৩. বিষয় বিবরণ।
৪. মতামত বা সুপারিশ।
৫. প্রতিবেদকের নাম।
প্রতিবেদন ৪টি নিয়ম বা স্টাইলে লেখা যায়।যথা:
১. প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক।
২. রিপোর্টার বা সাংবাদিক ভিত্তিক।
৩. নাগরিক ভিত্তিক।
৪. সংবাদ পত্রের প্রকাশ উপযোগী ভিত্তিক।
১. প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক:
কোন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত থেকে যে প্রতিবেদন লিখবেন সেটি প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক।যথা:
প্রশ্ন ১। শাহীন কলেজর বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রতিবেদন লেখো।
প্রতিবেদনের শিরোনাম : বিদ্যালয়ের বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রতিবেদন।
প্রতিবেদকের নাম : জহির উদ্দীন।
প্রতিবেদকের ঠিকানা : আধুনগর, লোহাগাড়া,চট্টগ্রাম।
প্রস্তুতের সময় ও তারিখ : সকাল ১০:১০ মিনিট ৩০/০১/১৭ খ্রি:
প্রস্তুতের স্থান :চট্টগ্রাম।
মাননীয়
অধ্যক্ষ মহোদয়
বি এ এফ শাহীন কলেজ চট্টগ্রাম
দ:পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম।
বিষয় : । শাহীন কলেজের বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রতিবেদন
জনাব,
সবিনয় নিবেদন এই যে,সূত্র...........গত ০২/০১/১৭ খ্রি: ১২০ নং নোটিশ অনুযায়ী বিদ্যালয়ে বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রতিবেদনটি নিম্নে পেশ করা হলো.
বিনীত
জহির উদ্দীন
গত ১৬ ই ডিসেম্বর ২০১৭ খ্রি: শাহীন কলেজ চট্টগ্রামে বিজয়.....................................................................................................................................................................................................................................................................
বিবরণ.................................................................................................................................................................................................................................................................................................................... মতামত.................................................................................................................................................................. .........................
প্রতিবেদক
জহির উদ্দীন
শ্রেণি ক্যাপ্টেন দশম শ্রেণি।
প্রতিবেদনটি ইমেইলে প্রেরণ করা হলো:
২. রিপোর্টার ভিত্তিক বা সাংবাদিক:
এটি মূলত একজন রিপোর্টার বা সাংবাদিক পত্রিকায় যেভাবে রিপোর্ট করেন বা যেভাবে তিনি পত্রিকায় সংবাদ উপস্থাপন করেন সেটি হল রিপোর্টার ভিত্তিক।যথা:
মনে করো,তুমি একটা পত্রিকার রিপোর্টার সড়ক দুর্ঘটনা সম্পর্কে ১টি প্রতিবেদন লেখো।
প্রতিবেদনের শিরোনাম : আধুনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত ১০ জন আহত।
প্রতিবেদকের নাম : জহির উদ্দীন।
ঠিকানা: প্রস্তুতের সময় ও তারিখ : আধুনগর, লোহাগাড়া,চট্টগ্রাম।
প্রস্তুতের সময় ও তারিখ : সকাল ১০:১০ মিনিট ৩০/০১/১৭ খ্রি:
প্রস্তুতের স্থান : চট্টগ্রাম।
নিজস্বপ্রতিবেদক,জহির,চট্টগ্রাম।.................................................................................................................................................................................................................................। বিবরণ................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................
মতামত..............................................................................................................................................................................................।
প্রতিবেদনটি ইমেইলে প্রেরণ করা হলো: azadi@yahoo.com
৩. নাগরিক ভিত্তিক:
এটি মূলত সাধারণ নাগরিক জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য তৈরি করে, এবং তা জনসমক্ষে তুলে ধরে। এটি পোষ্টার /লিফলেট আকারে প্রকাশিত হয় বলে এটি নাগরিক ভিত্তিক।যথা:
প্রশ্ন : খাদ্যে ভেজাল ও তা রোধ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন।
প্রতিবেদনের শিরোনাম : খাদ্যে ভেজাল ও তা রোধ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন।
প্রতিবেদকের নাম : জহির উদ্দীন।
ঠিকানা : আধুনগর, লোহাগাড়া,চট্টগ্রাম।
প্রস্তুতের সময় ও তারিখ : সকাল ১০:১০ মিনিট ৩০/০১/১৭ খ্রি:
প্রস্তুতের স্থান : চট্টগ্রাম।
.....................................................................................................................................................................................................
বিবরণ..........................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................। মতামত................................................................................................................................................................................................................।
প্রতিবেদক
জহির উদ্দীন।
Note : নাগরিকভিত্তিতে যেহেতু কোন প্রতিষ্ঠান বা পত্রিকায় প্রকাশের কথা বা রিপোর্টারের কথা উল্লেখ নেই।যেহেতু উল্লেখ নেই সেহেতু এটি নিজেই সাংবাদিক বা রিপোর্টার ভিত্তিকও করা যাবে।
৪. সংবাদ পত্রে প্রকাশ ভিত্তিক:
এটি মূলত একজন সাধারণ নাগরিক যেভাবে সংবাদ পত্রে প্রতিবেদনটি প্রকাশ উপযোগী ভিত্তিক।যথা:
প্রশ্ন: বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ পালন সম্পর্কে পত্রিকায় প্রকাশ উপযোগী ১টি প্রতিবেদন লেখো।
প্রতিবেদনের শিরোনাম : খাদ্যে ভেজাল ও তা রোধ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন।
প্রতিবেদকের নাম : জহির উদ্দীন।
ঠিকানা : আধুনগর, লোহাগাড়া,চট্টগ্রাম।
প্রস্তুতের সময় ও তারিখ : সকাল ১০:১০ মিনিট ৩০/০১/১৭ খ্রি:
প্রস্তুতের স্থান : চট্টগ্রাম।
মাননীয়
সম্পাদক
আজাদী,আন্দরকিল্লা,চট্টগ্রাম।
বিষয়: বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ পালন সমবপর্কে প্রতিবেদন।
জনাব,
সবিনয় নিবেদন এই যে,আপনার বহুল প্রচারিত সংবাদপত্রে "বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ পালন' সম্পর্কে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করলে আপনার নিকট চির কৃতজ্ঞ থাকব।
প্রতিবেদক
জহির উদ্দীন
প্রতিবেদক
জহির উদ্দীন
Monday, October 30, 2017
পঞ্চম শ্রেণির বিপরীত শব্দ প্রস্তুতি
রচনায় ও সংকলনে
জহির উদ্দীন
শিক্ষক,বি এ এফ শাহীন কলেজ চট্টগ্রাম।
Sunday, October 29, 2017
যুক্তব্যঞ্জনগুলো ভেঙ্গে লেখো ও বাক্য গঠন করো
২. হ্ম = হ্+ম ; ব্রহ্মপুত্র : ব্রহ্মপুত্র বাংলাদেশের একটি নদীর নাম।
৩. ত্র = ত্+র-ফলা ; রাত্রি : তুমি কাল রাত্রে এসো।
৪. ক্র = ক্ + র ফলা ; শুক্রবার ; শুক্রবার স্কুল বন্ধ থাকে।
৪. ত্ত = ত্+ত ; বৃত্তি : আমি এবারে বৃত্তি পাব ইন শা আল্লাক।
৫. ক্ত = ক্+ত ; রক্ত : করিলে রক্ত দান, বাঁচিবে একটি প্রাণ।
৬. হ্ন = হ্+ন ; মধ্যাহ্ন : আমি মধ্যাহ্নে বের হবো না।
৭. হ্ণ = হ্+ণ ; অপরাহ্ণ : সে অপরাহ্ণে আসবে।
৯. ষ্ণ = ষ্+ণ ; কৃষ্ণ : কৃষ্ণ ভালো ছেলে।
১০. ক্স = ক্+স ; কক্সবাজার : আমি কক্সবাজার যাব।
১১. ট্ট = ট্ + ট ; চট্টগ্রাম : আমার জন্ম চট্টগ্রামে।
১২. ট্র = ট্ + র-ফলা (্র); ট্রেন : ট্রেনে ভ্রমণ নিরাপদ ভ্রমণ।
১৩. জ্ঞ = জ্ + ঞ;জ্ঞান :জ্ঞান অর্জন ফরয।
১৪. ঞ্জ = ঞ্ + জ; পাঞ্জাবী: তোমার পাঞ্জাবীটা খুব সুন্দর।
১৫. ত্ন = ত্ + ন; যত্ন : যত্ন করলে রত্ন মিলে।
১৬. ত্ম = ত্ + ম; আত্মীয়: ওনি আমার আত্মীয়।
১৭. ঞ্চ = ঞ্ + চ;পঞ্চাশ: আমাকে পঞ্চাশটা টাকা দাও।
১৮. দ্ব = দ + ব; বিদ্বান: বিদ্বান ব্যক্তিকে সবাই সম্মান করে।
১৯. দ্ধ = দ + ধ;যুদ্ধ: যুদ্ধ কখনো শান্তি আনে না।
২০. ন্দ = ন + দ; আনন্দ: সে আজ খুব আনন্দিত।
Monday, October 16, 2017
এ'- ধ্বনির স্বাভাবিক বা সংবৃত উচ্চারণের নিয়ম লেখো।
১. শব্দের গোড়ায় এ বা এ-কার থাকলে এবং তারপর অ / অা ছাড়া অন্য স্বরধ্বনি থাকলে এ-ধ্বনির স্বাভাবিক বা সংবৃত উচ্চারণ হয়।
যেমন:এতিম,বেলি,দেবী,নেতৃত্ব,মেরুদণ্ড ইত্যাদি।
২. শব্দের দ্বিতীয় অক্ষর বা সিলেবলে ই-ধ্বনি(ই/ঈ), উ-ধ্বনি (উ/ঊ)কিংবা ঋ-ফলা থাকলে এ- ধ্বনির উচ্চারণ সংবৃত বা স্বাভাবিক হয়।
যেমন:
এক [এ্যাক] কিন্তু একটি [একটি],একটু [একটু]
এমন [অ্যামন] কিন্তু এমনি [এমনি]
বেটা [ব্যাটা ] কিন্তু বেটি
নেড়া [ন্যাড়া ] কিন্তু নেড়ি
৩. একাক্ষর সর্বনাম শব্দের গোড়ায় থাকলে এ বা এ-কারের স্বাভাবিক বা সংবৃত উচ্চারণ হয়।
যেমন: কে,যে,সে,কেউ ইত্যাদি।
৪. একাক্ষর বা এক সিলেবলের শব্দের গোড়ায় এ বা এ-কারের পর র,ল,শ ধ্বনির হলন্ত উচ্চারণ হলে এ-ধ্বনির স্বাভাবিক বা সংবৃত উচ্চারণ হয়।
যেমন: শেষ,দেশ,বেল,তেল,কেশ ইত্যাদি।
৫. আদ্য যুক্তব্যঞ্জনে এ-কার থাকলে এ-ধ্বনির স্বাভাবিক উচ্চারণ হয়।
যেমন; শ্রেণি,প্রেরণ,স্নেহ,শ্বেত ইত্যাদি।
Saturday, October 14, 2017
ব-ফলা এর উচ্চারণের নিয়ম লেখো পাঁচটি।
- Model: Tuddrom MO2
- Standard 3.5mm plug pin
- For Mobile Phone, For Internet Bar, for Video Game, For iPod
- Provide 2 pairs of backup earcaps to help you select the most comfortable way to listen to music.
Friday, October 13, 2017
ম--ফলা এর উচ্চারণের নিয়ম লেখো পাঁচটি
|
Wednesday, July 26, 2017
প্রকৃতি ও প্রত্যয় কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি? উদাহরণ সহ লেখো
যেমন: পড়া এর মূল অংশ হলো পড়্।সুতারাং পড়্ হলো প্রকৃতি।
প্রকৃতির প্রকারভেদ: প্রকৃতি দুই প্রকার। যথা:
১. ক্রিয়া প্রকৃতি।
২. নাম প্রকৃতি।
★ক্রিয়া প্রকৃতি : ক্রিয়ার মূল অংশকে ক্রিয়া প্রকৃতি বলে।ক্রিয়া প্রকৃতিকে ধাতুও বলা
হয়।যেমন: চলন্ত ক্রিয়ার মূল হলো চল্।
★ নাম প্রকৃতি : কোন শব্দের মূল অংশকে নাম প্রকৃতি বলে।নাম প্রকৃতি অন্য নাম শব্দ
প্রকৃতি।যেমন: ফুলেল শব্দের মূল অংশ হলো ফুল।সুতারাং ফুল হলো নাম প্রকৃতি।
২. প্রত্যয় কাকে বলে? উহা কত প্রকার ও কি কি? উদাহরণসহ লেখো।
যেমন: চলন্ত(চল+অন্ত) এখানে চল্ হলো প্রকৃতি, কিন্তু এর সাথে যুক্ত অন্ত হলো প্রত্যয়।
প্রত্যয় এর প্রকারভেদ :
প্রত্যয় দুই প্রকার।যথা:
১. কৃৎ প্রত্যয়।
২. তদ্ধিৎ প্রত্যয়।
★কৃৎ প্রত্যয়: ক্রিয়া প্রকৃতির সঙ্গে যে প্রত্যয় যুক্ত হয়,তাকে কৃৎ প্রত্যয়
বলে।যেমন: পড়্+আ=পড়া,এর আ হলো কৃৎ প্রত্যয়।
কৃৎ প্রত্যয় দুই প্রকার।
১. বাংলা কৃৎ প্রত্যয়।
২. সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়।
★তদ্ধিৎ প্রত্যয়: নাম প্রকৃতির সঙ্গে যে প্রত্যয় যুক্ত হয়,তাকে তদ্ধিৎ প্রত্যয়
বলে।যেমন:শিশু+অ = শৈশব।এখানে অ হলো তদ্ধিৎ প্রত্যয়।
তদ্ধিৎ প্রত্যয় তিন প্রকার।যথা:
১. বাংলা তদ্ধিৎ প্রত্যয়
২. সংস্কৃত তদ্ধিৎ প্রত্যয়
৩. বিদেশি তদ্ধিৎ প্রত্যয়
৩. কৃদন্ত ও তদ্ধিতান্ত পদ কাকে বলে?
উত্তর: কৃৎ প্রত্যয় সাধিত পদকে কৃদন্ত পদ বলে।
আর তদ্ধিৎ প্রত্যয় সাধিত পদকে তদ্ধিতান্ত পদ বলে।
Sunday, July 16, 2017
কারক কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি? উদাহরণসহ কারক নির্ণয় করো
কারক শব্দের প্রকৃতি ও প্রত্যয় নির্ণয় করলে পাই কৃ+ণক/অক।ক্রিয়ার সঙ্গে নামপদ বা অন্যান্য পদের যে সম্পর্ক,তাকে কারক বলে।
*কারকের প্রকারভেদ:
কারক ছয় প্রকার।যথা:
১. কর্তৃকারক :
যে বা যারা করে, তাই কর্তা বা কর্তৃকারক।
২. কর্মকারক :
যাকে কেন্দ্র করে করা হয়,তাই কর্মকারক।
৩. করণকারক:
করণ শব্দের অর্থ যন্ত্র সহায়ক,উপায় মাধ্যম।
যার দ্বারা কোন কাজ করা হয়,তাকে করণকারক বলে।
৪. সম্প্রদান কারক:
যাকে সম্পূর্ণ অধিকার ত্যাগ করে প্রদান করা হয়,তাকে সম্প্রদান কারক বলে।
৫. অপাদান কারক:
যা হতে বা থেকে ক্রিয়া প্রকাশিত হয়,তাকে অপাদান কারক বলে।
৬. অধিকরণ কারক:
অধিকরণ অর্থ আধার।ক্রিয়ার স্থান,সময় ও বিষয়কে অধিকরণ কারক বলে।
কারক নির্ণয় এর সহজ পদ্ধতি:
প্রশ্ন করো কে বা কারা
কর্তা তোমায় দিবে সাড়া।।
প্রশ্ন করো কি বা কাকে
পাবে তখন কর্মটাকে।।
প্রশ্ন করো দ্বারা , দিয়া
করণ তোমার হবে প্রিয়া।।
প্রশ্নকরো শুধু কাকে,
পাবে তখন সম্প্রদানটাকে।।
প্রশ্ন করো হতে,থেকে
আটকে ধরো অপাদানটাকে।।
প্রশ্ন করো কোথায়,কখন
তখন পাবে অধিকরণ।।
১. রিনা খায় খই।কে খায়? রিনা,রিনা কর্তৃকারক।
২. বিনা পড়ে বই।কি পড়ে? বই, বই হলো কর্মকারক।
৩. বল খেলে মুক্তি।কি দিয়ে খেলে? বল,বল হলো করণকারক।
৪. দেব তোমায় ভক্তি।কি দেয়? ভক্তি,ভক্তি হলো সম্প্রদান কারক।
৫. ঢাকা ছাড়ে গাড়ি।কোথা হতে ছাড়ে? ঢাকা, ঢাকা হলো অপাদান কারক।
৬. খুকু যাবে বাড়ি।কোথায় যাবে? বাড়ি।বাড়ি হলো অধিকরণ কারক।
রচনায় ও সম্পাদনায়
জহির উদ্দীন
বি.এ (অনার্স),এম.এ (বাংলা),চ.বি
শিক্ষক,বি এ এফ শাহীন কলেজ চট্টগ্রাম।
Wednesday, May 10, 2017
বাংলায় পর্তুগিজ শব্দসহ বিদেশি শব্দের শর্ট টেকনিক
আতা মিস্ত্রির স্ত্রী বেহেলা চাবি দিয়ে আলমারির তালা খুলে সে তার বোতামওয়ালা কামিজ আর
ফিতাওয়ালা ছায়া নিয়ে গোসল করতে যায়।আয়াকে বলে সাবান তোয়ালে বালতি গামলা গোসলখানায়
দিয়ে যেতে।ঐদিকে গির্জার কামরার জানালা দিয়ে পাদ্রি যিশু উঁকি দেয়।তখন স্বামী বারান্দায় কেদারায় বসে আনারস,পাউরুটি পেঁপে পেয়ারা ও পেয়ালা নিয়ে খাচ্ছে।
পাঞ্জাবী শব্দ: চাহিদা,শিখ ইত্যাদি।
গুজরাটি : হরতাল,খদ্দর ইত্যাদি।
জাপানি: রিক্সা, হারিকিরি, সাম্পান।
মায়ানমার (বর্মি): ফুঙ্গি,লুঙ্গি ইত্যাদি।
চীনা: চা,চিনি ইত্যাদি।( চীনারা চায়ে চিনি কম খায়)।
কৌশলে সহজে মুখস্থ রাখি :
শিকরা পাঞ্জাবির চাহিদা বাড়িয়েছে।
তাই গুজরাটিরা ঢাকার খদ্দর বাজারে হরতাল ডেকেছে।
অপরদিকে জাপানিরা হারিকেন নিয়ে রিক্সা খুঁজে না পেয়ে সাম্পানে উঠে পড়ে বর্মির লুঙ্গি পরা ফুঙ্গিদেরই
সঙ্গে।
Sunday, May 7, 2017
উপসর্গ কাকে বলে? কত প্রকার ও শর্ট টেকনিক
অর্থহীন অথচ অর্থ-দ্যোতক যে সকল অব্যয়সূচক শব্দাংশ কৃদন্ত বা নাম শব্দের পূর্বে বসে শব্দগুলোর অর্থের সংকোচন, প্রসারণ কিংবা অন্য কোন পরিবর্তন সাধন করে নতুন শব্দ গঠন করে, তাকে উপসর্গ বলে।যেমন: দেশ একটি শব্দ। এর পূর্বে উপসর্গ যোগ করলে হয় আদেশ,বিদেশ,প্রদেশ,উপদেশ,নির্দেশ ইত্যাদি।
উপসর্গের প্রকারভেদ:
উপসর্গ তিন প্রকার। যথা:
১. সংস্কৃত উপসর্গ।এর সংখ্যা ২০টি।
২. বাংলা উপসর্গ।এর সংখ্যা ২১ টি।
সংস্কৃত ও বাংলা উপসর্গের মিল আছে ৪ টি।তা হলো বি,নি,সু,আ।
৩. বিদেশি উপসর্গ
১.সংস্কৃত উপসর্গ ২০টি। যথা :
খাটি বাংলা উপসর্গ ২১ টি।তা'হলো
(পাতি, অজ, অঘা, রাম, সা, হা, অনা, স, কু, উন, আ, কদ, আড়, আন, আব, ভর, ইতি, আ, সু, নি, বি)
মনে রাখার কৌশল:
প্রিয় সুহাস, {সু} {হা} {স}
আদর {আ} নিবি {নি} {বি}। তুই আমাদের অজপাড়া {অজ} গাঁয়ের আশা ভরসা {ভর} {সা} । রাম ছাগলদের অনাচার {অনা}, কুকথা {কু}, আড়চোখে {আড়} তাকানোকে পাত্তা দিবিনা। তোর জন্য আবডালের {আব} ঊনপঞ্চশটি {ঊন} পাতিলেবু {পাতি} ও কদবেল {কদ্} পাঠালাম । অচেনা {অ} জায়গায় মন আনচান {আন} করলে খাবি ।
ইতি {ইতি}
অঘারাম {অঘা} {রাম}।
৩. বিদেশি উপসর্গ:
★ফারসি উপসর্গ ১০টি:
★ইংরেজি উপসর্গ:
সাব,হাফ,ফুল,হেড
[সাব ইন্সপেক্টর হাফ শার্ট আর ফুল পেন্ট পরে হেড অফিসে গেলেন]
আরবি উপসর্গ:
আরবি উপসর্গ হলো : আম,খাস,লা,গর,বাজে,খয়ের।
Recent Post
ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯
১. ‘ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ ’ কবিতায় সালামের হাতে কেন অবিনাশী বর্ণমালা ঝরে ? ক. সংগ্রামী চেতনার কারণে খ. দুঃখিনী মাতার অশ্রুজল দেখে গ. বরকত...
Most Popular Post
-
বাংলা ছন্দ ছন্দ: কাব্যের রসঘন ও শ্রুতিমধুর বাক্যে সুশৃঙ্খল ধ্বনিবিন্যাসের ফলে যে সৌন্দর্য সৃষ্টি হয় তাকে ছন্দ বলে। (বাঙলা ছন্দ : জীবেন্দ...
-
অর্থালঙ্কার: অর্থালঙ্কারের প্রকারভেদ: অর্থালঙ্কার পাঁচ প্রকার।যথা: ১. সাদৃশ্যমূলক ২. বিরোধমূলক ৩. শৃঙ্খলামূলক ৪. ন্যায়মূলক ৫. গূঢ়ার্থ...
-
বিষয়: ভাব ও রস Filling -অনুভূতি Emotion-আবেগ Mood-ভাব-রস (১)Filling -অনুভূতি : কোন ঘটনায় মনের মাঝে তাৎক্ষণিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া তাকে F...
-
নৌকাডুবি (১৯০৬) চরিত্র ও তথ্য সমূহ ১. রমেশঃকলকাতা/Law/বাবার চিঠি/ ২. হেমনলিনীঃমাতৃহীন/ ৩. কমলাঃ ৪. ডাক্তার নলিনাক্ষঃ * গঙ্গার প্রবল ঘুর্ণিঝড়...
-
অলঙ্কার এর সংজ্ঞাঃ অলঙ্কার কথাটি এসেছে সংস্কৃত 'অলম' শব্দ থেকে।অলম শব্দের অর্থ ভূষণ।ভূষণ অর্থ সজ্জা,গহনা ইত্যাদি। তাই আভিধানিক অর্থে...
-
উত্তর: তৎসম শব্দে মূর্ধন্য-ণ এর ব্যবহারের নিয়মকে ণ-ত্ব বিধান বলে।নিম্নে এর পাঁচটি নিয়ম বর্ণনা দেওয়া হলো... ১. ঋ,র,ষ এরপর মূর্ধন্য-ণ হয়। ...
-
প্রতিবেদন হচ্ছে কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের তথ্যভিত্তিক বর্ণনা।প্রতিবেদনকে ইংরেজিতে Report বলে।একটি প্রতিবেদনের সাধারণত পাঁচটি অংশ থাকে। যথা: ১....