Ad-1

Showing posts with label একাদশ-দ্বাদশ বাংলা ১ম. Show all posts
Showing posts with label একাদশ-দ্বাদশ বাংলা ১ম. Show all posts

Tuesday, May 7, 2024

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯

১. ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯কবিতায় সালামের হাতে কেন অবিনাশী বর্ণমালা ঝরে?

ক. সংগ্রামী চেতনার কারণে    খ. দুঃখিনী মাতার অশ্রুজল দেখে

গ. বরকতের গাঢ় উচ্চারণ শুনে      ঘ. জাদুবলে

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ২ ও ৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো

একুশে ফেব্রুয়ারি

আমি কি ভুলিতে পারি

ছেলেহারা শত মায়ের অশ্রু গড়াএ ফেব্রুয়ারি

আমি কি ভুলিতে পারি।

২. উদ্দীপকের ভাববস্তু তোমার পঠিত কোন কবিতাকে নির্দেশ করে?

ক. সাম্যবাদী    খ. লোক-লোকান্তর    গ. ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯    ঘ. তাহারেই পড়ে মনে

৩. উদ্দীপকে উক্ত কবিতার যে ভাব প্রকাশ পেয়েছে

i. আত্মত্যাগের কথা   ii. আত্মাহুতির প্রেরণা    iii. গণ-আন্দোলনের কথা

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ii খ. i iii    গ. ii iii ঘ. i, ii iii

৪. ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯কবিতায় অন্য রং কেন মনে সন্ত্রাস আনে?

ক. কৃষ্ণচূড়া ফুলের জন্য   খ. জীবনের রঙে

গ. লাল রং দেখে     ঘ. পাকিস্তানি শাসকের অত্যাচারে

৫. ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯কবিতায় সংগ্রামী

ক. কৃষক খ. ছাত্র     গ. সর্বস্তরের মানুষ ঘ. মাঝি

৬. রংপুরে নূরলদীন একদিন ডাক দিয়েছিল ১১৮৯ সনেফেব্রুয়ারি ১৯৬৯কবিতায় জীবনের ডাক কোন সালের?

ক. ১৯৫৯ খ. ১৯৬৯    গ. ১৯৭৯ ঘ. ১৯৮৯

৭. ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯কবিতাটির পটভূমি

i. দেশবিভাগ   ii. ১৯৭০ সালের নির্বাচন     iii. ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থান

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. ii খ. Iii     গ. ii iii ঘ. i, ii iii

৮. এ দেশ কী ভুলে গেছে সেই দুঃস্বপ্নের রাত, সেই রক্তাক্ত সময়? উদ্দীপকের সঙ্গে ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯কবিতার কোন বিষয়টির মেলবন্ধন রয়েছে?

ক. নির্যাতন খ. বিজয়   গ. সংগ্রাম ঘ. মিছিল

৯. কারার এই লৌহ কবাট ভেঙে ফেল কররে লোপাট’—আলোচ্য গানটির সঙ্গে ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯কবিতার ভাবগত মিল আছে কোনটির?

ক. বিজয় খ. সংগ্রামী চেতনা    গ. ভাঙচুর ঘ. স্বাধীন জীবন

১০. যারা সংগ্রামী তাদের কোনো লালসা, মোহ থাকে না।উদ্দীপকের সঙ্গে ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯কবিতার সংগ্রামীদের কোন দিকটির সাদৃশ্য রয়েছে?

ক. স্বার্থপরতা খ. প্রতিবাদহীনতা    গ. লোভী ঘ. লোভহীনতা

১১. ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯কবিতায় কবির কোন ভাব প্রকাশ পেয়েছে?

ক. পরার্থবাদ খ. মঙ্গল কামনা    গ. স্মৃতিকাতরতা ঘ. দেশপ্রেম

১২. মুক্তিকামী মানুষের বৈশিষ্ট্য কোনটি?

ক. সংগ্রামশীলতা খ. প্রতিবাদ    গ. উচ্ছৃঙ্খলতা ঘ. মূঢ়তা

১৩. কমলবনকিসের প্রতীক?

ক. অন্যায়ের    খ. অকল্যাণের   গ. ন্যায়ের ও কল্যাণের    ঘ. জীবনের

১৪. একুশ মানে মায়ের ভাষা, একুশ মানে রক্ত লাল’— ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯কবিতাটিতে একুশকে নির্দেশ করা হয়েছে

i. চেতনার রং    ii. কৃষ্ণচূড়ার থরে থরে ফুটে থাকা     iii. ঘাতকের আস্তানা

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ii খ. i iii    গ. ii iii ঘ. i, ii iii

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১৫ ও ১৬ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।

তপুর হাতে ছিল একটি মস্ত প্ল্যাকার্ড। তার ওপর লাল কালিতে লেখা ছিল, রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই। মিছিলটা হাইকোর্টের মোড়ে পৌঁছাতেই অকস্মাৎ আমাদের সামনের লোকগুলো চিৎকার করে পালাতে লাগল চারপাশে।

১৫. উদ্দীপকটি তোমার পঠিত কোন কবিতাকে সমর্থন করে?

ক. সাম্যবাদী    খ. আঠারো বছর বয়স     গ. ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯    ঘ. তাহারেই পড়ে মনে

১৬. উদ্দীপক ও উক্ত কবিতার যে বিষয়টি মূর্ত হয়েছে

i. দেশপ্রেম    ii. গৌরব     iii. সংগ্রামী চেতনা

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ii খ. i iii    গ. ii iii ঘ. i, ii iii

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১৭ ও ১৮ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।

আসাদের রক্তধারায় মহৎ কবিতার, সব মহাকাব্যের, আদি অনাদি আবেগ বাংলাদেশ জাগ্রত।

১৭. উদ্দীপকের আসাদ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯কবিতার কার সঙ্গে তুল্য?

ক. নূর মোহাম্মদ খ. সালাম     গ. মতিউর রহমান ঘ. মোস্তফা কামাল

১৮. উদ্দীপকটি ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯কবিতার যে ভাবের প্রকাশক

i. দেশপ্রেমের      ii. আত্মত্যাগের     iii. আত্মগৌরবের

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ii খ. i iii   গ. ii iii ঘ. i, ii iii

১৯. ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯কবিতায় সালাম কোন খ্রিষ্টাব্দে আবার রাজপথে নামেন?

ক. ১৯৫২ খ. ১৯৫৪  গ. ১৯৬৯ ঘ. ১৯৭২

২০. মানবিক বাগানযার প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে

i. ন্যায়ের      ii. কল্যাণের    iii. অশুভ শক্তির

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ii খ. i iii   গ. ii iii ঘ. i, ii iii

২১. কবি শামসুর রাহমান অক্টোবর মাসের কত তারিখে জন্মগ্রহণ করেন?

ক. ১৩ খ. ১৮    গ. ২৩ ঘ. ২৬

২২. মানবিক বাগানশব্দের অর্থ কী?

ক. মনের জগৎ খ. মানবীয় জগৎ   গ. মানবীয় ধর্ম ঘ. মানব মহিমা

২৩. ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯কবিতায় কিসের গন্ধে ভরপুর?

ক. দুর্গন্ধে খ. স্মৃতিগন্ধে   গ. সুগন্ধে ঘ. বারুদের গন্ধে

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ২৪ ও ২৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।

দুতীর শ্যামল কবিতা আনে ফুল-ফসলেতে ভরা এই স্বাক্ষর তরুণ প্রাণের অরুণ রক্তক্ষরা।

২৪. উদ্দীপকের তরুণ প্রাণেরসঙ্গে ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯কবিতার কোন চেতনার মিল বিন্যাস পাওয়া যায়?

ক. অশুভ চেতনা খ. পরিশ্রমী চেতনা    গ. সংগ্রামী চেতনা ঘ. মনুষ্য চেতনা

২৫. উদ্দীপক ও উক্ত কবিতায় যে বিষয়টি ফুটে উঠেছে

i. সংগ্রামী চেতনা    ii. গৌরব    iii. দেশপ্রেম

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ii খ. i iii   গ. ii iii ঘ. i, ii iii

২৬. ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯কবিতায় বরকত কার থাবার সম্মুখে বুক পাতেন?

ক. নরপিশাচের খ. দালালের   গ. ঘাতকের ঘ. শত্রুর

২৭. সালামের মুখে পূর্ব বাংলা কীরূপ?

ক. তরুণ খ. কিশোর   গ. যুবক ঘ. বৃদ্ধ

২৮. ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯কবিতায় বীরের রক্তে কার অশ্রু ঝরে?

ক. ভাইয়ের খ. বোনের    গ. মায়ের ঘ. পত্নীর

২৯. ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯কবিতায় বাস্তবের বিশাল চত্বরে ফোটে ফুল আমাদেরই

ক. জীবন খ. সম্পদ   গ. প্রাণ ঘ. কল্যাণের প্রতীক

৩০. ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯কবিতায় সালামের হাতে নক্ষত্রের মতো কীরূপ বর্ণমালা ঝরে?

ক. অফুরন্ত খ. অবিনাশী    গ. অশেষ ঘ. অনিঃশেষ

সঠিক উত্তর : ১.ক ২.গ ৩.গ ৪.ঘ ৫.গ ৬.খ ৭.খ ৮.ক ৯.খ ১০.ঘ ১১.ঘ ১২.ক ১৩.গ ১৪.ক ১৫.গ ১৬.খ ১৭.খ ১৮.ক ১৯.গ ২০.ক ২১.গ ২২.খ ২৩.খ ২৪.গ ২৫.খ ২৬.গ ২৭.ক ২৮.গ ২৯.গ ৩০.খ

Wednesday, June 8, 2022

সোনার তরী

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 

জন্মঃ১৮৬১(২৫ শে বৈশাখ ১২৬৮- ২২শে শ্রাবণ ১৩৪৮)
পিতাঃ মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
মাতাঃ সারদা দেবী
জন্মক্রমঃ- চতুর্দশ সন্তান এবং অষ্টম পুত্র।
ছদ্মনামঃ ভানুসিংহ ঠাকুর
১ম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থঃ কবিকাহিনী(১৮৭৮)
১ম লিখিত কবিতাঃ বনফুল ১৮৭৮ লেখা,প্রকাশ ১৮৮০.
১ম লেখা উপন্যাস হলোঃ- করুণা(১৮৭৭-৭৮),ভারতী পত্রিকায় প্রকাশ।
১ম প্রকাশিত উপন্যাসঃ- বৌঠাকুরাণীর হাট(১৮৮৩)
১ম মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাসঃ চোখের বালি।
১ম প্রকাশিত নাটকঃ- 'বাল্মিকী প্রতিভা'(১৮৮১)
রবীন্দ্রনাথ নিজের লেখা ১৩টি নাটকে অভিনয় করেন।
১ম ছোটগল্পঃ---১৬ বছর বয়সে লিখেছিলেন 'ভিখারিনী '।
কাহিনী কবিতাঃ- কথা ও কাহিনী। প্রথমে দুটি থাকলে পরে একটি হিসেবে সংকলিত হয়।
★ নজরুলকে উৎসর্গ করেন'বসন্ত' গীতি নাট্যটি।
★ রবীন্দ্রনাথ প্রথম গ্রামীন ক্ষুদ্রঋণ ও গ্রাম উন্নয়ন প্রকল্প প্রতিষ্ঠা করেন। (এ জন্য তিনি পুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে আমেরিকার আরবানায় ইলিয়ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠান কৃষি ও পশুপালন বিদ্যায় প্রশিক্ষণ ও উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে)
উপন্যাস -১২ টি
কাব্যগ্রন্থ - ৫৬টি
নাটক - ২৯টি
কাব্যনাট্য - ১৯টি
ভ্রমণকাহিনী - ০৯ টি
সঙ্গীত - ২২৩২ টি
চিত্রাঙ্কন - ২০০০ প্রায়।
ছোটগল্প - ১১৯ টি
আত্মজীবনী - জীবনস্মৃতি  লিখেছিলেন।


এটি একটি রুপক কবিতা।
আর রুপক কবিতা হলো - সাধারণ ভাবের আড়ালে প্রচ্ছন্ন রয়েছে গভীর জীবন দর্শন।
কৃষক ------ কবি/ শিল্পস্রষ্টা।
ছোটক্ষেত ------ পৃথিবী।
বাঁকাজল ------ প্রতিকুল সময়।
সোনার ধান ------ শ্রেষ্ঠকর্ম।
সোনার তরী ------  মহাকালের প্রতীক।





সোনার তরী কাব্যগ্রন্থ -১৮৯৪
সোনার তরী (১ম কবিতা)
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
উৎসর্গ করেন- কবি দেবেন্দ্রনাথ সেনকে।
----------------------------------------
গগনে গরজে মেঘ, ঘন বরষা।
কূলে একা বসে’ আছি, নাহি ভরসা।
রাশি রাশি ভারা ভারা(ধান রাখার পাত্র)
ধান কাটা হ’ল সারা,
ভরা নদী ক্ষুরধারা(ক্ষুরের  মতো  ধারালো যে প্রবাহ বা স্রোত)
খর-পরশা(ধারালো বরশা)।
কাটিতে কাটিতে ধান এল বরষা।

একখানি ছোট ক্ষেত আমি একেলা,
চারিদিকে বাঁকা জল(প্রতিকূল সময়) করিছে খেলা।
পরপারে দেখি আঁকা
তরুছায়ামসীমাখা
গ্রামখানি মেঘে ঢাকা
প্রভাত বেলা।
এ পারেতে ছোট ক্ষেত আমি একেলা।

গান গেয়ে তরী বেয়ে কে আসে পারে!
দেখে’ যেন মনে হয় চিনি উহারে।
ভরা-পালে চলে যায়,
কোন দিকে নাহি চায়,
ঢেউগুলি নিরুপায়
ভাঙ্গে দু’ধারে,
দেখে’ যেন মনে হয় চিনি উহারে!

ওগো তুমি কোথা যাও কোন্ বিদেশে!
বারেক ভিড়াও তরী কূলেতে এসে!
যেয়ো যেথা যেতে চাও,
যারে খুশি তারে দাও
শুধু তুমি নিয়ে যাও
ক্ষণিক হেসে
আমার সোনার ধান কূলেতে এসে!

যত চাও তত লও তরণী পরে।
আর আছে?—আর নাই, দিয়েছি ভরে’।
এতকাল নদীকূলে
যাহা লয়ে ছিনু ভুলে’
সকলি দিলাম তুলে
থরে বিথরে
এখন আমারে লহ করুণা করে’!

ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই! ছােট সে তরী
আমারি সােনার ধানে গিয়েছে ভরি’।
শ্রাবণ গগন ঘিরে
ঘন মেঘ ঘুরে ফিরে,
শূন্য নদীর তীরে
রহিনু পড়ি’,
যাহা ছিল নিয়ে গেল সােনার তরী।

ফাল্গুন, ১২৯৮।



রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সোনার তরী’ কাব্যগ্রন্থের প্রথম কবিতা ‘সোনার তরী’। 
এটি বহুল পঠিত ও আলোচিত কবিতার মধ্যে একটি। একটি গ্রামীণ দৃশ্যপটের নিটোল বর্ণনা এতে উপস্থাপিত হয়েছে। কবিতার দৃশ্যকল্প মানুষকে চিরচেনা প্রকৃতিকেই স্মরণ করিয়ে দেয়। তবে এখানেই শেষ নয়। এমন দৃশ্যপটের অন্তরালেও গভীর অর্থ নিহিত রয়েছে। তাই ‘সোনার তরী’ কবিতার ব্যাখ্যা একেকজন একেকভাবে উপস্থাপন করেছেন। এ পর্যন্ত অনেক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে, ‍কিন্তু কোনোটাকেই ফেলে দেওয়া যায় না। আবার এককভাবে কোনোটাকেই গ্রহণ করা যায় না।

কবিতার দৃশ্যকল্প এ রকম—আকাশে মেঘ গর্জন করছে। চারিদিকে বরষার পানি থৈথৈ করছে। সঙ্গে খরস্রোত বয়ে চলছে। জমির ধান কেটে একটি ছোট খেতে কৃষক একা বসে আছেন, পার হওয়ার কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না। ধান কাটতে কাটতে নদীর জল বেড়ে গেছে। খেতের চারিদিকে নদীর বাঁকা জল খেলা করছে।

ওদিকে ওপারের দিকে তাকিয়ে কৃষক দেখলেন এই সকালেই মেঘ ছেয়ে আছে। ওপারের গাছগুলো ঢাকা পড়েছে মেঘের আড়ালে। এমনকি তার গ্রাম পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে কেউ একজন গান গেয়ে নৌকা বেয়ে এপারের দিকে আসছে। দেখে তাকে পরিচিত মনে হচ্ছে। কিন্তু সে তো কোনো দিকে না তাকিয়ে ভরা নৌকা নিয়ে চলে যাচ্ছে। কৃষক তাকে গলা ছেড়ে ডাকে—‘ওগো, তুমি কোথা যাও কোন বিদেশে,/ বারেক ভিড়াও তরী কূলেতে এসে।’

কৃষকের ডাকে কেউ একজন নৌকা নিয়ে আসতে থাকে তীরের দিকে। জানতে চায়, কৃষক কোথায় যাবে? কৃষক বলেন, ‘যেয়ো যেথা যেতে চাও,/ যারে খুশি তারে দাও, /শুধু তুমি নিয়ে যাও/ ক্ষণিক হেসে/ আমার সোনার ধান কূলেতে এসে।’

মাঝি এসে নৌকায় সাধ্যমতো ধান তোলে। এতক্ষণ কৃষক যে ধান নিয়ে নদীর তীরে পারাপারের অপেক্ষা করছিলেন তা সব নৌকায় তুললেন। কিন্তু কৃষককে নেওয়ার মতো জায়গা হলো না। কৃষক রয়ে গেলেন ধানখেতে শূন্য নদীর তীরে। তার যা কিছু অর্জন ছিল তা নিয়ে গেল সোনার তরী।

সোনার তরী কবিতার দৃশ্যকল্প একটি গল্পের মতো। সহজ-সরল ও প্রাঞ্জল ভাষায় বর্ণিত। পড়ামাত্রই যেকোনো পাঠকের আর বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু কথা যতই সহজ-সরল হোক না কেন, কবিতার ভাবার্থ মোটেও সহজ ছিলে না। রবীন্দ্রনাথ তো নিজেই বলেছেন, ‘সহজ কথা যায় না বলা সহজে’।

‘সোনার তরী’ কবিতার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, ‘‘মহাকাল প্রবাহিত হইয়া চলিয়া যাইতেছে, মানুষ তাহার কাছে নিজের সমস্ত কৃত-কর্ম কীর্তি সমর্পণ করিতেছে এবং মহাকাল সেই সমস্তই গ্রহণ করিয়া এক কাল হইতে অন্য কালে, এক দেশ হইতে অন্য দেশে বহন করিয়া লইয়া যাইতেছে, সেগুলিকে রক্ষা করিতেছে। কিন্তু যখন মানুষ মহাকালকে অনুরোধ করিল-যে ‘এখন আমারে লহ করুণা করে’ তখন মানুষ নিজেই দেখিল যে—

ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই! ছোট সে তরী
আমারি সোনার ধানে গিয়াছে ভরি!’

মহাকাল মানুষের কর্মকীর্তি বহন করিয়া লইয়া যায়, রক্ষা করে; কিন্তু স্বয়ং কীর্তিমান্ মানুষকে সে রক্ষা করিতে চায় না। হোমার বাল্মীকি ব্যাস কালিদাস শেক্সপিয়ার নেপোলিয়ান আলেক্জাণ্ডার প্রতাপসিংহ প্রভৃতির কীর্তিকথা মহাকাল বহন করিয়া লইয়া চলিতেছে, কিন্তু সে সেই সব কীর্তিমান্দের রক্ষা করে নাই। যিনি প্রথম অগ্নি আবিষ্কার করিয়াছিলেন, বস্ত্রবয়নের তাঁত ইত্যাদি আবিষ্কার করিয়াছিলেন, তাঁহাদের নাম ইতিহাস রক্ষা করে নাই, কিন্তু তাঁহাদের কীর্তি মানব-সভ্যতার ইতিহাসে অমর হইয়া আছে।”

এখানে কবিতার উপমার সঙ্গে মানবজীবনের গভীর একটি মেলবন্ধন তৈরি করেছেন কবি। ধরা যাক, মানুষ সারা জীবন ধরে ফসল ফলাচ্ছে। তার জীবনের খেতটুকু একটা দ্বীপের মতো। চারিদিকেই অব্যক্তের দ্বারা সে বেষ্টিত। যখন কাল ঘনিয়ে আসছে, যখন চারিদিকের জল বেড়ে উঠছে, তখন আবার অব্যক্তের মধ্যে তার ওই চরটুকু তলিয়ে যাওয়ার সময় হলো—তার সমস্ত জীবনের কর্মের যা কিছু ফল, তা সে ওই সংসারের নৌকাতে বোঝাই করে দিতে পারে। সংসার-সমাজ-রাষ্ট্র-পৃথিবী সমস্তই নেয়। কিন্তু যখন মানুষ বলে, ‘এর সঙ্গে আমাকেও রাখো’; তখন সংসার বলে—‘তোমাকে নিয়ে আমার কী হবে? তোমার জীবনের ফসল যা-কিছু রাখার সমস্তই রাখব, কিন্তু তুমি তো রাখার যোগ্য নও!’

কবিতায় কবি মহাকালকেই সোনার তরী বলেছেন। মানুষের যাবতীয় কর্ম মহাকাল গ্রহণ করে। কিন্তু ক্রমেই কর্মের স্রষ্টাকে ভুলে যায়। সোনার তরীও তা-ই করেছে। ধানগুলো থরে বিথরে সাজিয়ে নিয়েছে। কিন্তু ধানের কর্তাকে সে তুলে নিতে পারেনি। কারণ কৃষককে নেওয়ার মতো জায়গা সোনার তরীতে ছিল না।

এছাড়া এটা হতে পারে কবির ব্যক্তি জীবনেরও আক্ষেপ। কবি দীর্ঘকাল কাব্যসাধনা করেছেন। এবার মহাকালের সোনার তরীতে কবির কবিতা তুলে দেয়ার সময় এসেছে। কবি তাঁর সাধনার সোনার ফসল মহাকালের হাতে সপে দিয়ে শূন্য হাতে বললেন, ‘এখন আমারে লহ করুণা করে’। কালস্রোত কবির সোনার ধান-অর্ঘ্য-নৌকা বোঝাই করে নিয়ে গেল। কিন্তু কবির স্থান সে নৌকায় হল না। কারণ, কবির ভবিষ্যতের দিকে চেয়ে সোনার তরীর মাঝি (মহাকাল) কবির সৃষ্টিকে গ্রহণ করলেন মাত্র। তিনি যেন কবিকে বলে গেলেন, ‘তোমার জীবনে যা তুমি সঞ্চয় করেছো, তা-ই তোমার জন্য যথেষ্ট নয়। তোমার জীবনে আরও অনেক বর্ষা-বসন্ত আসবে, এখনো বহুকাল এই শূন্য নদীর তীরে বসে তোমাকে সোনার ফসল ফলাতে হবে।’

অন্যদিকে কবিতার মধ্যে ভরা বর্ষার ছবি ও গতি সুস্পষ্ট হয়ে আছে। কবিতাটির রচনাকাল ফাল্গুন ১২৯৮ বঙ্গাব্দ অর্থাৎ ইংরেজি ১৮৯২ সাল। ভরা বসন্তে কবি ভরা বর্ষার কথা লিখেছেন। তাই সোনার তরী প্রসঙ্গে বলা যায় যে, কবিতাটি সেই জাতের কবিতা ‘যা মুক্তদ্বার অন্তরের সামগ্রী, বাইরের সমস্ত কিছুকে আপনার সঙ্গে মিলিয়ে নেয়’।

রবীন্দ্রনাথের একটি চিঠির মাধ্যমে তার ‘সোনার তরী’র প্রসঙ্গে জানা যায়, সোনার তরী রচনাকালে তিনি ছিলেন পদ্মার মাঝে জমিদারি বোটে। অথৈ পানি-আকাশে কালো মেঘ, ওপারে গাছপালার ঘন ছায়ার মধ্যে গ্রামগুলো, বর্ষার পরিপূর্ণ পদ্মা খরস্রোতে বয়ে চলছে। মাঝে মাঝে পাক খেয়ে ছুটছে ফেনা। নদী অকালে কূল ছাপিয়ে চরের ধান দিনে দিনে ডুবিয়ে দিচ্ছে। কাঁচাধানে বোঝাই চাষীদের ডিঙি নৌকা হু-হু করে স্রোতের উপর দিয়ে ভেসে চলছে। ভরা-পদ্মার ঐ বাদল-দিনের ছবি ‘সোনার তরী’ কবিতার অন্তরে প্রচ্ছন্ন এবং তার ছন্দে প্রকাশিত।

তবে একথা নিশ্চিত করে বলা যায় যে, ‘সোনার তরী’ কাব্যটি যখন রচিত হয়, তখন কবির বয়স ৩০-৩২ বছর। তাঁর আগেকার কাব্যগুলো থেকে ‘সোনার তরী’ যে ‘একটি বিশিষ্ট অবস্থায় উপনীত হয়েছে’—অ্যাকাডেমিক রবীন্দ্র গবেষকদের অনেকেই তা লক্ষ করেছেন। জগৎ ও জীবনের প্রতি গভীর ভালোবাসাই ‘সোনার তরী’ কাব্যের মূল সুর—এ সত্যও তাঁদের পর্যবেক্ষণে ধরা পড়েছে।

সোনার তরী নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে ‘দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদী দৃষ্টিতে রবীন্দ্রনাথের সোনার তরী’ প্রবন্ধে যতীন সরকার উল্লেখ করেছেন, ‘কবি জগৎকে শুধু গভীরভাবে ভালোই বাসেননি, এর সঙ্গে তিনি আক্ষরিক অর্থেই একাত্ম হয়ে পড়েছেন।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘সোনার তরী রচনার সময় রবীন্দ্রনাথ জমিদারি তদারক করতে পদ্মাপারের জনপদে ঘুরেছেন, মানুষের সঙ্গে গভীরভাবে মিশেছেন, নিসর্গ প্রকৃতি ও মানব-প্রকৃতির সঙ্গে অন্তরঙ্গ পরিচয়ে যুক্ত হয়েছেন এবং এসবেরই ফলে জগৎ ও জীবনের প্রতি এ রকম গভীর ভালোবাসার কবিতাগুলো তার হাত দিয়ে বেরিয়ে এসেছে।’

আবার অনেকেই মনে করেন, কাব্যগ্রন্থের নাম-কবিতা ‘সোনার তরী’ নিয়ে বাগ্মিতার ঝড় উঠেছিল যখন; তখন ভক্ত-সমালোচকরা কবিতাটির অর্থ উদ্ধারের জন্য স্বয়ং কবির কাছেই ধরনা দিয়েছেন। কবির দেওয়া ব্যাখ্যাকেই তারা মোটামুটি মেনে নিয়ে কবিতার রূপকার্থ বিশ্লেষণ করেছেন। তারা বলেছেন: ‘সোনার তরী হচ্ছে বিশ্বের চিরন্তন অখণ্ড ও আদর্শ সৌন্দর্যে্যর প্রতীক, এর মাঝি হলো সৌন্দর্যে্যর অধিষ্ঠাত্রী দেবী, আর নদী- কাল প্রবাহ, কৃষক- মানুষ, খেত- জীবনের ভোগবহুল কর্মক্ষেত্র, ধান-খণ্ড সৌন্দর্যের সঞ্চয়।’

রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুর পাঁচ বছর পরে বাংলা ১৩৫৩ সনে বা ১৯৪৬ সালে  শারদীয় সংখ্যা ‘পরিচয়’ পত্রিকায় বিশিষ্ট মার্কসবাদী সাহিত্যতত্ত্ববিদ অধ্যাপক নীরেন্দ্রনাথ রায় লিখেছেন, ‘… রবীন্দ্রনাথের কবি-প্রতিভা তাঁহাকে তাঁহার সামাজিক কর্তব্য হইতে রেহাই দেয় নাই। বাংলাদেশের কৃষি জীবনের সমস্ত ব্যর্থতা তাঁহার অন্তরে পুঞ্জীতূত হইল। এ দৃশ্য তাঁহার অপরিচিত থাকার কথা নয়। রৌদ্রে-বৃষ্টিতে সারা বৎসর খাটিয়া চাষী ক্ষেতে সোনার ধান ফলায়, আর নির্দিষ্ট সময়ে ব্যবসায়ীর নৌকা আসিয়া তাহার সমস্ত ফসল উজাড় করিয়া লইয়া যায়। পড়িয়া থাকে কেবল শস্যহীন রিক্ত ক্ষেত্র, চাষীর মন হাহাকার করিয়া উঠে; এতদিন যাহা লইয়া সে ভুলিয়াছিল সবই যে থরে বিথরে তুলিয়া দেওয়া হইয়াছে, এখন কি লইয়া তাহার দিন কাটিবে? যে তরীতে তাহার সোনার ধান সাজানো হইয়াছে সেথায় তো তাহার ঠাঁই নাই। মহাজন শ্রমফলকে চায়, শ্রমিককে তাহার কি প্রয়োজন? সে কৃপা করিয়াও চাষীকে লইতে রাজি নয়, ঠাঁইয়ের এই অপব্যয় তাহার সইবে কেন? কাজেই সোনার তরী চাষীর যাহা কিছু ছিল লইয়া চলিয়া যায়। চাষী ‘শূন্য নদীর তীরে’ পড়িয়া থাকে, আর ‘শ্রাবণ গগন ঘিরে’ ঘন মেঘ তাহারই সমবেদনায় ঘুরিতে ফিরিতে থাকে।’

তার অনেক পরে ১৯৬৯ সালের এপ্রিলে ‘মানব মন’ পত্রিকায় পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট মনোবিজ্ঞানী ডা. ধীরেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তার সঙ্গে অধ্যাপক নীরেন্দ্রনাথ রায়ের বক্তব্যের সাযুজ্যই শুধু নেই, সমাজতাত্ত্বিক ও মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণে তা অধিকতর যুক্তিগ্রাহ্য এবং বিজ্ঞানসম্মত রূপ প্রাপ্ত।

এভাবে বৈজ্ঞানিক বস্তুবাদী রীতিতে বিশ্লেষণ করলেই রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যকর্মের প্রকৃত মর্ম উদঘাটিত হতে পারে। অথচ তার বদলে আমরা ভাববাদী বিচার-পদ্ধতির ঘোলা জলে হাবুডুবু খাচ্ছি। তবে একথা সত্য—‘রবীন্দ্রনাথ বাস্তববাদী হলেও বস্তুবাদী নন’। তাই অনেক সময়ই বাস্তবকে সঠিকভাবে অনুধাবন করেও বাস্তবাতিরিক্ত অতিলৌকিকতার ভাবনা দিয়ে তার কবিতাকে তিনি মুড়ে দেন।

Tuesday, August 10, 2021

মাসি-পিসি

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়(১৯০৮-১৯৫৬) 

মাসি-পিসি

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়

১।         মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাক নাম কী?

            ক. নয়ন খ. খোকা     গ. মানিক           ঘ. প্রফুল­

২।         জল নেমে গিয়ে কী বেরিয়ে পড়েছে?

            ক. ইটপাটকেল          খ. ভাঙা নৌকা  গ. গাছের গুঁড়ি    ঘ. ভেজা খড়

৩।        কয়টি সালতি পাশাপাশি জোড়া লাগানো ছিল?

            ক. দুইটি খ. তিনটি      গ. চারটি            ঘ. পাঁচটি

৪।         আহ্লাদী স্বামীর কাছে যেতে চায় না, কারণ-

            ক. স্বামীর অত্যাচার      খ. অর্থকষ্ট      গ. স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে    ঘ. স্বামীর পঙ্গু হওয়া

৫।        নিচের কোন পেশাটির সঙ্গে কানাই জড়িত?

            ক. মাছধরা        খ. ওষুধ বিক্রি           গ. চৌকিদারি      ঘ. কৃষিকাজ

৬।        সালতি সম্পর্কে নিচের কোন বাক্যটি প্রযোজ্য?

            ক. শালকাঠ নির্মিত সরু ডোঙ্গা            খ. কদমকাঠ নির্মিত সরু ডোঙ্গা

            গ. পরিধেয় বস্ত্রবিশেষ                    ঘ. ধানবিশেষ

৭।         আহ্লাদী স্বামীর ঘরে যেতে চায় না কেন?

            ক. খুন হওয়ার ভয়ে             খ. যৌতুকের কথা শুনে

            গ. মাসি-পিসির মায়ায়            ঘ. বাবার সম্পত্তি রক্ষায়

            নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ৮ ও ৯ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

        নিজের শেষ সম্বল বিক্রি করে হরিপদ মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি পাঠালেও স্বামীর অত্যাচারে শেষ পর্যন্ত সে বাবার                 সংসারেই ফিরে আসে। শ্বশুরবাড়ির কথা বললেই ভয়ে মেয়েটি আঁতকে ওঠে।

৮।        উদ্দীপকের মেয়েটি কার আংশিক প্রতিনিধিত্ব করে?

            ক. দিগম্বরী          খ. আহ্লাদী             গ. সিলভী       ঘ. হজের

৯।        উদ্দীপক ও মাসি-পিসিগল্পের মূল ভাব কোনটি?

            ক. জীবিকার ধরন       খ. মমত্ববোধ    গ. নির্যাতনের স্বরূপ      ঘ. দায়িত্ববোধ

১০।      কৈলাশ ব্যস্ত ছিল কেন?

            ক. ধানের আঁটি বাঁধায়            খ. নৌকাটি খুলে দিতে

            গ. বাহকের মাথায় খড় চাপাতে   ঘ. নিজে খড় বহন করতে

১১।       মাসি বিরক্ত হয় কেন?

            ক. কৈলাশের গড়িমসিতে         খ. পিসির আচরণে

            গ. বাহকের কথায়               ঘ. জগুর কথা শুনে

১২।       ফিকির বলতে বোঝায়-

            ক. কৌশল          খ. উদ্দেশ্য     গ. ফাঁকিবাজ       ঘ. ফকির

১৩।      বুড়ো রহমান কার মাথায় খড় চাপিয়ে যায়?

            ক. বাহকের        খ. কৈলাশের   গ. জগুর ঘ. যুবকটির

১৪।       মাসি-পিসি জলে কী ভিজিয়ে রাখে?

            ক. কাঁথা-কম্বল          খ. পুরনো বালিশ         গ. ছেঁড়া কাপড়          ঘ. কাঁথা-বালিশ

১৫।      মাসি-পিসি গল্পটিকে তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলেছে কোনটি?

            ক. মাসি-পিসির কর্মদক্ষতা                খ. তাদের বুদ্ধিদীপ্ত চেতনা

            গ. মাসি-পিসির সরলতা                   ঘ. মাতৃত্বের মহিমা

নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ১৬ ও ১৭ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

পিতৃ-মাতৃহীন মিতু স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে চলে আসে ফুফুর কাছে। গ্রামের উঠতি যুবকের দৃষ্টি পড়ে মিতুর ওপর। কিন্তু ফুফু সব প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে মিতুকে লালসা-উন্মুত্ত লোকদের হাত থেকে আগলে রাখে।

১৬।      উদ্দীপকের মিতু তোমার পঠিত কোন চরিত্রের প্রতিনিধিত্ব করে?

            ক. হাজেরা          খ. আহ্লাদী             গ. দিগম্বরী         ঘ. সিনথিয়া

১৭।       উদ্দীপকের ফুফুর মধ্যে মাসি-পিসি চরিত্রের যে দিকটি ইঙ্গিত করে-

            i. মমত্ববোধ             ii. দায়িত্ববোধ            iii. আত্মসচেতন

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক. i ii               খ. i iii       গ. ii iii              ঘ. i, ii iii

১৮।      আহ্লাদী কান পেতে রাখে কেন?

            ক. মাসির ইশারায়               খ. কৈলাশের কথা শুনতে

            গ. জগুর কথা মনে পড়ায়                ঘ. পিসির কথা শুনতে

১৯।      মাসি-পিসির মধ্যে গভীর ভাব গড়ে ওঠার কারণ-

            ক. অর্থ উপার্জন                 খ. দুজনই আশ্রিত

            গ. একসাথে ব্যবসা করে         ঘ.  আহ্লাদীর দায়িত্ব পড়ায়

২০।       কৈলাশের প্রতিবাদের অন্তরালে মূলত কী লুকিয়ে আছে?

            ক. ভণ্ডামি          খ. শঠতা       গ. মিথ্যাচার       ঘ. সরলতা

২১।       মাসি-পিসি আহ্লাদীকে শ্বশুরবাড়ি পাঠাতে চায় না। কারণ-

            i. সন্তানবাৎসল্যে         ii. নির্যাতনের ভয়ে       iii. আহ্লাদী যেতে চায় না বলে

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক. i                   খ. i ii              গ. i iii           ঘ. ii iii

২২।       কৈলাশ বাহকের মাথায় কী চাপাতে ব্যস্ত ছিল?

            ক. খড়         খ. ধান         গ. বাঁশ          ঘ. ঘাস

২৩।      আহ্লাদীর মাসির নাম কী?

            ক. বিপুলা           খ. পদী                গ. রাধিকা          ঘ. সবিতা

২৪।       কানাইয়ের সাথে গোকুলের কতজন পেয়াদা এসেছে?

            ক. দুজন       খ. তিনজন      গ. চারজন      ঘ. পাঁচজন

২৫।       বেমক্কা শব্দের অর্থ হিসেবে নিচের  যেটি গ্রহণীয়-

            i. স্থানবহিভর্র্ত         ii. অসংগত              iii. অসম্ভব

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক. i ii               খ. i iii       গ. ii iii      ঘ. i, ii iii

২৬।     মাসি-পিসিগল্পের একটি অন্যতম দিক কী?

            ক. সমাজ শোষণ                খ. নারী নির্যাতন         গ. নারীর ব্যক্তিত্ব চেতনা  ঘ. স্বাধীনচেতা মানুষ

২৭।       আহ্লাদী স্বামীর ঘরে যেতে না চাওয়ার যুক্তিযুক্ত কারণ-

            ক. স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে            খ. যৌতুকের চাপ

            গ. অমানবিক নির্যাতন            ঘ. শ্বশুর-শাশুড়ির যন্ত্রণা

২৮। মাসি-পিসিগল্পের বৈচিত্র্যময় দিক হলো-

            i. দুর্ভিক্ষের মর্মস্পর্শ স্মৃতি        ii. প্রকৃতির প্রতি নিবিড়তা                  iii. মানবিক জীবনসংগ্রাম

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক. i ii       খ. ii iii        গ. i iii         ঘ. i, ii iii

২৯।       কত বঙ্গাব্দের চৈত্র সংখ্যায় মাসি-পিসি গল্পটি প্রকাশিত হয়?

            ক. ১৩৪৬ বঙ্গাব্দে        খ. ১৩৫২ বঙ্গাব্দে        গ. ১৩৬৫ বঙ্গাব্দে ঘ. ১৩৯৫ বঙ্গাব্দে

৩০।      বাইরে থেকে কার হাঁক আসে?

            ক. গোকুলের    খ. কানাই চৌকিদারের   গ. সরকার বাবুর   ঘ. পেয়াদার

৩১।      স্বামী পরিত্যক্ত মোমেনা বেগম কঠোর পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করেন।

মোমেনা বেগম নিচের কোন চরিত্রকে স্মরণ করিয়ে দেন?

ক. আহ্লাদী                 খ. বুড়ি         গ. মাসি-পিসি             ঘ. দিগম্বরী

৩২।      জগু মামলা করবে কেন?

            ক. মাসি-পিসিকে ভয় দেখাতে             খ. বউকে নেওয়ার জন্য

            গ. জমি রক্ষা করতে                     ঘ. বউকে ভয় দেখাতে

নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ৩৩ ও ৩৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

শ্বশুরবাড়ির নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে শিপ্রা পালিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। কিন্তু সমাজে অপমানের কথা চিন্তা করে বাবা শিপ্রাকে আবার শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়ে দেন।

৩৩।     উদ্দীপকের শিপ্রার সঙ্গে কোন চরিত্রের বৈপরীত্য রয়েছে?

            ক. দিগম্বরী         খ. আহ্লাদী      গ. সিলভী           ঘ. সিনথিয়া

৩৪।      উদ্দীপকের শিপ্রার বাবার চরিত্রে কোন গুণটি থাকলে মাসি চরিত্রের ধারক হতে পারত?

            ক. সহনশীল        খ. প্রতিবাদী    গ. সততা           ঘ. হাতুল

৩৫।      স্বভাবগত কারণে নিচের কোন স্থানের সঙ্গে জগুর সম্পর্ক রয়েছে?

            ক. চায়ের দোকান       খ. মন্দির        গ. স্কুলমাঠ              ঘ. শুঁড়িখানা

৩৬। মাসি-পিসি আহ্লাদীকে পাঠাতে চায় না, কারণ-

            ক. জগু নির্যাতন করে    খ. জগু অর্থলোভী                গ. জগু দরিদ্র            ঘ. জগু অশিক্ষিত

নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ৩৭ ও ৩৮ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :


চার বছরের তপনকে নিয়ে সদ্য বিধবা হয়েছে রেবতী। কিন্তু বৈধব্য গ্রহণ করতে না করতেই গ্রামের প্রভাবশালী হরিপদ তাকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে। এ নিয়ে সমাজের কাছে বিচার চেয়েও বিচার পায়নি রেবতী। অবশেষে এক দিন বঁটি দিয়ে হরিপদের পা কেটে দেয় রেবতী।

৩৭।      উদ্দীপকের হরিপদ শ্রেণির লোকের সঙ্গে নিচের কোন চরিত্রের সাদৃশ্য রয়েছে?

            ক. কৈলাশ, কানাই      খ. কানাই, গোকুল       গ. জগু, কৈলাশ         ঘ. কৈলাশ, রহমান

৩৮। সাদৃশ্যগত দিকটি হলো-

            i. আর্থিক দীনতা         ii. চারিত্র্যিক স্খলন       iii. ক্ষমতার দৌরাÍ

            নিচের কোনটি সঠিক?

            ক. i ii       খ. i iii       গ. ii iii      ঘ. i, ii iii

৩৯।      সালতি অর্থ কী?

            ক. আমকাঠের সরু ডোঙ্গা                খ. তালকাঠের সরু ডোঙ্গা

            গ. বড় গাছের গুঁড়ি              ঘ. খাদ্যবিশেষ

৪০।      অস্ফুট আর্তনাদের মতো শব্দ করে কে?

            ক. মাসি-পিসি     খ. বুড়ো রহমান         গ. আহ্লাদী           ঘ. কৈলাশ


সৃজনশীল প্রশ্ন ১ : বাপ-মা মরা অভাগী মেয়ে প্রতিমা দরিদ্র কাকা-কাকির কাছে বড় হয়েছে। দারিদ্র্যের সাথে সংগ্রাম করে অনেক কষ্টে ভাই-ঝিকে বিয়ে দেন কাকা। অভাগী প্রতিমা শ্বশুরবাড়িতেও সুখের নাগাল পায় না। কারণ, তার কাকার কাছ থেকে যৌতুকের টাকা আনার জন্য স্বামী- শাশুড়ি তার ওপর প্রতিনিয়ত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়। এমনকি অন্তঃসত্তা জেনেও তার স্বামী একদিন মারধর করে তাকে অজ্ঞান করে ফেলে। জ্ঞান ফিরে আসলে, প্রতিমা কোনোরকমে পালিয়ে কাকা- কাকীর কাছে চলে আসে। ভাইঝির এমন পরিস্থিতি বিবেচনা করে কাকা-কাকী সিদ্ধান্ত নেয়, অমন শ্বশুরবাড়িতে তাকে আর পাঠাবে না তারা।

ক. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কত বছর বেঁচেছিলেন?
খ. “যুদ্ধের আয়োজন করে তৈরি হয়ে থাকে মাসি-পিসি” ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের প্রতিমার সাথে “মাসি-পিসি” গল্পের আহ্লাদীর সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্য নিরূপণ করো।
ঘ. “অর্থলিপ্সা মানুষকে পরিপূর্ণ পশু করে তোলে -উদ্দীপকে ও “মাসি-পিসি” গল্পে এ সত্যটি সন্দেহাতীতভাবে প্রকাশিত হয়েছে” মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ২ : বকুল যখন স্বামীহারা হয়, তখন তার মেয়ে পারুলের বয়স দুই বছর। একদিকে অর্থকষ্ট, অপরদিকে বদলোকের কুদৃষ্টি। লোকের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে, খেয়ে না খেয়ে মেয়েটাকে বড় করে বকুল। একসময় মেয়ের বিয়েও দেয়। কিন্তু বছর না ঘুরতেই অত্যাচারী স্বামীর সাথে সম্পর্ক ছেদ করে মায়ের কাছে ফিরে আসে পারুল। সম্মানের সাথে বেঁচে থাকার জন্য মেয়ে পারুল হয় বকুলের অবলম্বন। মায়ের জীবন- সংগ্রাম দেখে বড় হওয়া পারুল মায়ের চেয়ে সাহসী এবং আত্মমর্যাদাশীল । বাড়ির পাশে শাক-সবজি চাষ করে, ঘরে হাস-মুরগী পালন করে, ধান ভেনে, কীথা সেলাই করে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করে মা ও মেয়ে। যেকোনো অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে জীবন বলি রাখার দৃঢ় প্রত্যয় বকুল ও পারুলের চাল চলনে।

ক. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিতৃপ্রদত্ত নাম কী?
খ. “নিজেকে তার ছ্যাচড়া, নোংরা, নর্দমার মতো লাগে’ – কার, কেন?
গ. উদ্দীপকের পারুলের সাথে ‘মাসি-পিসি’ গল্পের আহ্লাদীর চারিত্রিক বৈপরীত্য দেখাও।
ঘ. উদ্দীপকটি অধিকাংশ ক্ষেত্রে ‘মাসি-পিসি’ গল্পের মন্তব্য ধারণ করে- তোমার মতামত দাও।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ : স্বামী-স্ত্রী দুজনেই মরিশাসে চাকরি করেন। একমাত্র মেয়ে আঁখিকে পড়াশোনার জন্য ঢাকায় মামার বাড়িতে রেখেছিলেন। বাড়িতে ছিল মামা-মামি ও মামাত ভাই তরিকুল । গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বিমানবন্দর স্টেশনে ব্যাগের ভেতর আঁখির লাশ পাওয়া যায়। আঁখির নিখোঁজ হওয়ার পরে দাফন-কাফন সর্বত্র ছিল তরিকুলের পদচারণা । ইতোমধ্যে তরিকুল গ্রেফতার হয়েছে। স্বীকারোক্তিমূলক জনাববন্দিতে বলেছে যে, সেদিন বাসায় আঁখির মামা-মামি ছিল না। জীখিকে একা পেয়ে সে পাশবিক নির্যাতন করে গলা টিপে হত্যা করে।

ক. সালতি কী?
খ. বুড়ো রহমান খড়ের আঁটি তুলে দেয়ার ফাকে ফাকে আহ্লাদির দিকে তাকায় কেন?
গ. “মাসি-পিসি” গল্পের মাসি-পিসির দায়িত্ববোধের সাথে উদ্দীপকের মামা-মামির দায়িত্ববোধের তুলনা করো?
ঘ. “যুগের উন্নতি হলেও নারীর প্রতি লোলুপ দৃষ্টিভঙ্গির কোন পরিবর্তন হয়নি” – মন্তব্যটি “মাসি-পিসি” গল্প ও উদ্দীপকের আলোকে যাচাই করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৪ : যুবতী নবিতুন ‘সারেং বৌ’ উপন্যাসের নায়িকা। জীবিকার তাগিদে স্বামীকে দূর পথে বছরের অধিকাংশ সময় কাটাতে হয়। চারপাশের অশুভ ইঙ্গিত তাকে যখন তখন তাড়া করে বেড়ায়। আছে দারিদ্র্য ও দুর্যোগ । আত্মবিশ্বাস, সাহস, বুদ্ধিমতা আর দৃঢ়তা দিয়ে সবকিছু জয় করে সে। স্বামীর প্রতি ভালোবাসা আর সুন্দর জীবনের স্বপ্ন তাকে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা যোগায়।

ক. কে বাঘের মতো ছিল?
খ. “সোয়ামি নিতে চাইলে বৌকে আটকে রাখার আইন নেই’ – ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের নবিতুনের সঙ্গে “মাসি-পিসি” গল্পের সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি বর্ণনা করো।
ঘ. “উদ্দীপকের নবিতুন “মাসি-পিসি” গল্পের আহ্লাদির বিপরীত” – উক্তিটি বিশ্লেষণ করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৫ : স্বামী পরিত্যক্তা রানুকে স্নেহ-মমতা-সাহস দিয়ে আগলে রেখেছে তার খালা আনোয়ারা। আনোয়ারা বিধবা হলেও ছোটখাটো একটা ব্যবসার মাধ্যমে স্বাবলম্বী হতে পেরেছে। তার স্পর্ধা ও দৃঢ়তা দেখে এলাকার কেউ রানুর দিকে চোখ তুলে তাকানোরও সাহস পায় না।

ক. কে সিঁথির সিঁদুর পর্যন্ত ঘোমটা টেনে দেয়?
খ. কেমন একটা স্বস্তি বোধ করে মাসি-পিসি – কেনো?
গ. উদ্দীপকে “মাসি-পিসি” গল্পের কোন দিকটি উঠে এসেছে? আলোচনা করো।
ঘ. অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হলে সমাজে নারীর অবস্থান বদলে যায়’ – উদ্দীপক ও “মাসি-পিসি” গল্পের আলোকে বিশ্লেষণ করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৬ : নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলেই মানবসভ্যতা আজ এতদূর প্রসারিত। নারীকে উপেক্ষা করে কোনো সভ্যতা সৃষ্টি হতে পারে না। নারীকে তার আপন মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করতে দরকার পুরুষের সহযোগিতা । কিন্তু এই পুরুষের হীন মানসিকতার কারণেই কখনো কখনো নারীকে টিকে থাকার সংগ্রামে লিপ্ত হতে হয়। বেছে নিতে হয় কঠিন জীবন, হতে হয় সাহসী ও প্রতিবাদী।

ক. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিতৃপ্রদত্ত নাম কী?
খ. ছেলের মুখ দেখে পাষাণ নরম হয় – উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের হীন মানসিকতার পুরুষের সঙ্গে “মাসি-পিসি” গল্পের কার বা কাদের সাদৃশ্য রয়েছে? নির্ণয় করো।
ঘ. উদ্দীপকের শেষ বাক্যটি “মাসি-পিসি” গল্পে কীভাবে প্রতিফলিত হয়েছে? আলোচনা করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৭ :
সে যুগ হয়েছে বাসি,
যে যুগে পুরুষ দাস ছিল নাকো, নারীরা আছিল দাসী ।
বেদনার যুগ, মানুষের যুগ, সাম্যের যুগ আজি,
কেহ রহিবে না বন্দি কাহারও, উঠিছে ডঙ্কা বাজি।

ক. ‘মাসি-পিসি’ গল্পে কী গাছের ছায়ায় তিন-চারজন ঘুপটি মেরে আছে?
খ. “নিজেকে তার ছ্যাচড়া, নোংরা, নর্দমার মতো লাগে” – ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘মাসি-পিসি’ গল্পের চেতনাগত সাদৃশ্য তুলে ধরো।
ঘ. “উদ্দীপক ও “মাসি-পিসি” গল্পে অধিকার-আদায়ে নারীর সাহসী ভূমিকার বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে” মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৮ : মালিহা আর স্বামীর ঘরে যেতে চায় না। অনেক স্বপ্ন নিয়ে তার বিয়ে হয়েছিল আমতলীর রাশেদের সাথে। বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই তার সকল স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। কারণ তার স্বামী ছিল অত্যন্ত বদমেজাজী, মদ ও জুয়ায় আসক্ত, যা সে জানতো না। কথায় কথায় সে তার গায়ে হাত তুলতো, ঠিকমতো খেতেও দিত না। অত্যাচারে, অনাহারে মালিহার শরীর ভেঙে যায়। সে আর থাকতে পারে না সেখানে । ফিরে আসে বাবার বাড়ি, স্বামী তাকে বেশ কয়েকবার নিয়ে যাওয়ার জন্য এলেও সে যায়নি। তার বাবাও সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেয়েকে আর শ্বশুরবাড়ি পাঠাবে না।

ক. মাসি-পিসি কীসের উপোস করছে?
খ. যুদ্ধের আয়োজন করে তৈরি হয়ে থাকে”মাসি-পিসি” – ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের রাশেদ “মাসি-পিসি” গল্পের কোন চরিত্রের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ -ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “মাসি-পিসি” গল্পের আহ্লাদি ও উদ্দীপকের মালিহা যেন একই পরিস্থিতির শিকার – বিশ্লেষণ করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৯ : আব্দুল মালেকের কিশোরী মেয়েটা এবার বাপের বাড়ি এসে কিছুতেই শ্বশুরবাড়ি যেতে চাচ্ছে না। যৌতুকের টাকা না দিতে পেরে মেয়েটি শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার কিছুতেই সহ্য করতে পারছে না। আবদুল মালেক এ ব্যাপারে মেয়ের ওপর জোর খাটানোর চেষ্টা করেন না। বরং প্রতিবাদী হয়ে উঠেন এবং নারী নির্যাতন আইনে মামলা করেন।

ক. ‘সোমত্ত’ শব্দের অর্থ কী?
খ. কানাইয়ের লোকজন খানিকটা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায় কেন?
গ. উদ্দীপকের আব্দুল মালেক “মাসি-পিসি” গল্পের কোন চরিত্রের প্রতিনিধিত্ব করে? বর্ণনা করো।
ঘ. উদ্দীপক ও “মাসি-পিসি” গল্পের চেতনা অভিন্ন – যাচাই করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ১০ : জেলেপাড়ার জীবন যেমন স্থবির ঠিক তেমনি স্থবির হাসুর মায়ের সংসার । মাছ ধরতে গিয়ে তার স্বামী আর ফিরে আসেনি; তাও পার হয়ে গেছে চার চারটি বছর। বড়ো মেয়ে হাসু আর ছোটো মেয়ে রাসুকে নিয়ে কোনমতে তার দিন কাটে । রাসুকে জমিদার বাড়িতে কাজে লাগিয়ে দিয়েছে ডুবন মাঝির মেয়ে ফুলি। হাসুকেও দিতে বলেছিল কিন্তু জমিদারের নায়েবের হাসুর প্রতি লোলুপ দৃষ্টি হাসুর মায়ের চোখ এড়ায়নি। হাসু ঘরে বসেই ডালের বড়ি, আচার, তাল পাতার পাখা বানিয়ে মায়ের হাতে দেয় বাজারে বিক্রির জন্য । প্রতিবেশীদের সহায়তায় দুই মেয়েকে নিয়ে এভাবেই কাটে হাসুর মায়ের জীবন।

ক. চায়ের দোকানে কৈলাশের সাথে কার দেখা হয়েছিল?
খ. নিজেকে তার ছ্যাচড়া, নোংরা, নর্দমার মতো লাগে – কারণ ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের সাথে “মাসি-পিসি” গল্পের সাদৃশ্য লেখো।
ঘ. দারিদ্র্যকে জয় করে নারীর অস্তিত্ব রক্ষার যে বাস্তব চিত্র উদ্দীপক ও “মাসি-পিসি” গল্পে উঠে এসেছে – তা মূল্যায়ন করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ১১ : স্বামীর মৃত্যুর পর রাহেলা বেগম নিজেই সংসারের ভার কাঁধে তুলে নেয়। অনেক কষ্ট করে বাজারে একটি মুদি দোকান দেয়। সেই দোকান থেকে অর্জিত টাকা দিয়ে সংসারের খরচ, মেয়ের পড়ালেখার খরচ মিটিয়ে কিছু টাকা সপ্চয়ও করেছে। কিন্তু ইদানীং রাহেলা বেগমের টাকা ও মেয়ের প্রতি নজর পড়েছে এলাকার ক্ষমতাবান ব্যক্তি সাজ্জাদের। সাজ্জাদ ও তার পোষা গুন্ডাদের হাত থেকে সম্পত্তি ও মেয়েকে রক্ষা করতে রাহেলা বেশ সচেতন ও সাহসী । ঝামেলা হতে পারে ভেবে তাই রাহেলা বেগম আগে থেকেই থানায় সাজ্জাদের বিরুদ্ধে ডায়েরি করে রাখে।

ক. আল্লাদির পরিবার কোন রোগে মারা যায়?
খ. বুড়ো রহমান ছলছল চোখে আহ্লদির দিকে তাকায় কেন?
গ. উদ্দীপকের সাজ্জাদ “মাসি-পিসি” গল্পের কোন চরিত্রের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ, তা আলোচনা করো।
ঘ. “সংগ্রাম ও সাহসিকতায় রাহেলা ও “মাসি-পিসি” গল্পের মাসি ও পিসি একসূত্রে গাথা”- তোমার মতামত ব্যক্ত করো।

Recent Post

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯

১. ‘ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ ’ কবিতায় সালামের হাতে কেন অবিনাশী বর্ণমালা ঝরে ? ক. সংগ্রামী চেতনার কারণে     খ. দুঃখিনী মাতার অশ্রুজল দেখে গ. বরকত...

Most Popular Post