Ad-1

Showing posts with label জমি-জমার হিসাব নিকাশ. Show all posts
Showing posts with label জমি-জমার হিসাব নিকাশ. Show all posts

Sunday, December 22, 2024

৯ (নয়) ধরণের জমি কিনতে যাবেন না



বর্তমানে জমির দাম অনেক বেশি এবং দিন দিন তা হু হু করে বাড়ছে। অনেকেই স্বপ্ন লালন করেন নিজের একটি জমি হবে। কিন্তু আবাসযোগ্য ভালো জমির পরিমাণ অনেক কম এবং পাওয়াও কঠিন।

এজন্য বিভিন্ন প্রতারক চক্র ” ভালো জমি” বিক্রির লোভ দেখান। সহজ সরল মানুষ একটি ভালো জমির মালিক হবার জন্য দ্রুত টাকা পরিশোধ করে রেজিস্ট্রি করে নেন। কিন্তু দখল করতে গিয়ে দেখেন জমিটি ঝামেলাপূর্ণ। এজন্য জমি কেনার আগে জানা উচিত কোন জমিগুলো একদমই কেনা উচিত নয়।

একটা ভালো জমি যেমন আপনার সারা জীবনের একটা সম্বল হতে পারে। ঠিক তেমনি, ভুল জমি ক্রয় আপনার সারা জীবনের কান্নার কারণ হতে পারে।

আসুন জেনে নেই, কোন্ জমিগুলো ভুলেও কেনা উচিত নয়-


১. খাস জমিঃ

জমি কেনার সময় খোজ নিয়ে দেখবে যেন সেটি খাস জমি না হয়। যে জমিগুলো সরাসরি সরকারের মালিকানাধীন থাকে সেগুলোকে খাস জমি বলা হয়। অনেক সময় অনেক প্রতারক জাল দলিল তৈরি করে “খাস জমি” বিক্রি করা হয়।

আইনে বলা আছে, কোনো জমি যদি সরকারের হাতে ন্যস্ত থাকে ও সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন থাকে সেইগুলোই খাস জমি। সরকার এ জমিগুলো বন্দোবস্ত দিতে পারেন। সাধারণত ভূমিহীন ব্যক্তিরা সরকারীভাবে খাস জমি পায়। এজন্য জমি কিনার পূর্বে ভুমি অফিসে খোঁজ নিয়ে দেখুন যে জমিটি খাস জমি কিনা?


২. অর্পিত সম্পত্তিঃ

অনেক হিন্দু নাগরিক তাদের জমি-জমা পরিত্যাগ করে ভারতে চলে গেছেন এবং সেখানে নাগরিকত্ব লাভ করে বসবাস করেছেন। তাদের অনেকের ভূমি অর্পিত ও অনাবাসী সম্পত্তি (Vested and Non-Resident Property) হিসেবে সরকারের তালিকাভুক্ত হয়েছে এবং এগুলো সরকারের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।

এসকল জমি সরকার ছাড়া অন্য কেও ক্রয় বিক্রয় করতে পারে না। এজন্য, যেকোন জমি ক্রয়ের আগে খোঁজ নিন এগুলো সরকারের তালিকাভুক্ত অর্পিত জমি কিনা?


৩. অধিগ্রহণকৃত জমি বা এরূপ সম্ভাবনার জমিঃ

রাষ্ট্র বা সরকার দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড যেমন শিল্প কারখানা, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, রেলপথ, সড়ক বা সেতুর প্রবেশ পথ বা এ জাতীয় অন্য কিছুর জন্য জনগণের কোন ভূমি যদি দখল করে নেয় তাকে বলে “অধিগ্রহণ”। সরকার দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে যে কারো জমি অধিগ্রহণ করতে পারে।

অনেকেই সরকারের অধিগ্রহণকৃত জমি প্রতারণা করে বিক্রি করে। এজন্য, জমি ক্রয়ের পূর্বে ভূমি অফিসে খোঁজ নিয়ে জেনে নিন জমিটি সরকারের অধিগ্রহণকৃত জমি কিনা বা ভবিষ্যতে অধিগ্রহণ করার সম্ভবনা আছে কিনা?


৪. যাতায়াতের রাস্তা নেই এরূপ জমিঃ

যে জমিটি ক্রয় করবেন সেটির মৌজা ম্যাপ যাচাই করে বা সশরীরে উপস্থিত হয়ে খোঁজ নিন যে জমিটিতে যাতায়াতের রাস্তা আছে কিনা। যে জমিতে যাতায়াতের ব্যবস্থা নেই এমন জমি ভুলেও কিনবেন না?


৪. ইতোমধ্যে অন্যত্র বিক্রয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ কিনাঃ

অনেক বিক্রেতা একই জমি কয়েকজনের কাছে বিক্রি করেন। ফলে, আসল বিক্রেতার কাছ থেকে ক্রয় করার পরও জমির প্রকৃত মালিক হওয়া যায় না।

এজন্য জমি ক্রয় এর পূর্বে খোঁজ নিন বিক্রেতা পূর্বে অন্য কারো কাছে জমিটি বিক্রি করেছে কিনা বা বিক্রির জন্য বায়না চুক্তি করেছে কিনা।

সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে খোঁজ নিন এর পূর্বে জমি হস্তান্তর জনিত কোন দলিল রেজিস্ট্রি হয়েছে কিনা?


৫. বন্ধকীকৃত জমিঃ

অনেক সময় জমি বিভিন্ন ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠানে বন্ধক বা মর্টগেজ থাকে। এমন জমি কখনই ক্রয় করবেন না। কারণ বন্ধককৃত জমি ক্রয় – বিক্রয় সম্পূর্ণ বে-আইনী।


৬. কোন আদালতে মামলায় আবদ্ধ জমিঃ

অনেক সময় একই জমির মালিকানা নিয়ে আদালতে মামলা চলে। মামলা চলছে বা মামলা এখন নিষ্পত্তি হয়নি, এমন জমি কেনা উচিত নয়।


৭. বিরোধপূর্ণ জমিঃ

অনেক সময় ওয়ারিশসূত্রে জমির মালিক হলে ঠিকমত ওয়ারিশ সনদ বা বন্টননামা করা হয় না। এসব জমি নিয়ে ওয়ারিশদের মধ্যে বিরোধ চলে।

এসকল বিরোধপূর্ণ জমি কেনা কোনভাবেই উচিৎ নয়।

কৃষি জমি ক্রয়ের ক্ষেত্রে রেকর্ডীয় মালিকানায় অংশীদারগণ অগ্রক্রয়াধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। সুতরাং অংশীদারদের সম্মতি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।


৮. দখলহীন জমিঃ

যেকোন জমির মালিকানার জন্য প্রয়োজন দলিল ও দখল। একটি ছাড়া অন্যটি অসম্পূর্ণ। এজন্য যিনি জমি বিক্রি করছেন জমিটি তার দখলে আছে কিনা জেনে নিন।

যদি দখলে না থাকে তবে এমন জমি ক্রয় করা থেকে বিরত থাকুন। দখলহীন মালিকদের জমি ক্রয় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এতে জমি দখলের জন্য ঝগড়া, দাঙ্গা ফ্যাসাদ এবং মামলা মোকদ্দমায় জড়িত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।


৯. নাবালকের নামে জমিঃ

জমি যদি নাবালকের নামে থাকে, তবে সে জমি আদালত কর্তৃক নিযুক্ত অভিভাবক ছাড়া বিক্রি করা যায় না। সাধারনত ১৮ বছরের নিচে ব্যক্তিকে নাবালক বলা হয়।

এজন্য, অনেকেই এমন জমি কিনে যা ওয়ারিশসূত্রে কোন নাবালকের অংশ আছে। কিন্তু, নাবালক বড় হয়ে মামলা করলে জমিটি হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। এজন্য, এ ধরনের জমি কেনার ক্ষেত্রে সতর্ক হোন।

Tuesday, February 20, 2024

মুচলেকা কি (what is bond) ?

ফৌজদারি কার্যবিধি -১৮৯৮(১০৬-১০৯ ধারা)

👉কেউ অপরাধ করলে তাকে শাস্তি পেতে হবে, এটা আইনের বিধান। তবে কোন অপরাধ সংঘটনের পুর্বেই যদি কোন ব্যক্তিকে তা থেকে বিরত রাখা যায় তা অবশ্যই মঙ্গলজনক। সেজন্যই অপরাধ প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থাস্বরূপ আইনে মুচলেকার বিধান রাখা হয়েছে। মুচলেকা বা বন্ডের অর্থ হচ্ছে কোন ব্যক্তির কাছ থেকে এইমর্মে অঙ্গীকার আদায় করা, যেন সে ভবিষ্যতে আর ঐ ধরণের অন্যায় করবে না এবং নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে যদি প্রমাণিত হয় সে ঐ ধরণের অপরাধ করেছে, তাহলে সে আইনে নির্ধারিত দণ্ড ভোগ করবে।

ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা-১০৬,১০৭,১০৮ ও ১০৯ ধারাতে বন্ড প্রদানের কারণ ও বিধান সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।

Monday, February 19, 2024

জমি সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন



. বে-দখলী সম্পত্তি কী হেবা/দান করা যায়?
উত্তর :করা যায় তবে শর্ত হল তা দখল করে গ্রহীতাকে বুঝিয়ে দিতে হবে অন্যথায় হেবা/দান সিদ্ধ হবে না

২. স্বামী স্ত্রীর অনুকূলে হেবা করেছেন অতঃপর বিবাহ বিচ্ছেদ,এক্ষেত্রে স্বামী কী হেবা প্রত্যাহার করতে পারেন?
উত্তরঃ প্রত্যাহার করার সুযোগ নেই


৩. মৃত্যুশয্যা অবস্থায় হেবা/দান করলে এটার পরিণতি কী হবে?-
উত্তর:মৃত্যুশয্যায় হেবা/দান করলে এটি হেবা/দান হিসেবে গন্য না হয়ে উইল বা অছিয়তের ন্যায় কার্যকর হবে

৪. হেবা-বিল-এওয়াজ(বিনিময়)কখন প্রত্যাহারযোগ্য?
উত্তরঃযতক্ষণ পর্যন্ত বিনিময় আদায় না হবে ততক্ষণ, বিনিময়ের পর অপ্রত্যাহারযোগ্য।

৫. নাবালক হস্তান্তর দলিলে গ্রহীতা হতে পারলেও পাওয়ার অব এটর্নিতে কী নাবালক গার্ডিয়ানমাধ্যমে গ্রহীতা হতে পারে?
উত্তরঃ পারবে না

৬. জমিদার ও ডেভলপমেন্ট চুক্তির পর ডেভলপমেন্টের অংশ বন্ধক দিতে পারে এক্ষেত্রে ব্যাংকে অ.পাওয়ার দিতে হবে কিনা?
উত্তর : হবে না

৭. কোন তারিখ থেকে জমিদার ও প্রজার মধ্যকার সম্পর্ক কিংবা পাট্টা-কবুলিয়তের অবসান ঘটে?
উত্তর :১৪/৪/১৯৫৬
উক্ত তারিখের পর কোন  পাট্টা-কবুলিয়ত হলে তা অকার্যকর।

৮. খতিয়ানে আপোষ বেস্থিত লিখাটির মর্মার্থ কী?
উত্তরঃ আপোষ বেস্থিতঃ
যার পাশে আপোষ বেস্থিত লিখা থাকবে তিনি অন্যান্য শরীকদের সাথে এই খতিয়ানের তার স্বত্ব আপোষে বুঝ প্রবোদ নিয়ে ত্যাগ করে ভিন্ন দাগে ভিন্ন খতিয়ানে চলে গেছে অর্থাৎ এই খতিয়ানে তার স্বত্ব ত্যাগ করে অন্য খতিয়ানে চলে গেছে

৯. অনুমতি দখলকারের কী ঐ জমিতে বিরুদ্ধ দখল জনিত স্বত্ব সৃষ্টি হয়?
উত্তরঃ সৃষ্টি হয় না।

১০. অনুমতির মেয়াদ যতদিন হোক না কেন মুল মালিক চাওয়া মাত্রই কী দখল ফেরত দিতে বাধ্য কিনা?
উত্তরঃ বাধ্য।

১১. যথাযথ প্রক্রিয়ায় বন্ধক মুক্ত না করিলে ৬০ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর কী বন্ধকী কবলা ছাপ কবলায় পরিণত হয়?
উত্তর : পরিণত হয়

১২. বায়নানামায় নির্দিষ্ট কোন মেয়াদ না থাকলে রেজিস্ট্রেশনের তারিখ হতে বায়নানামার মেয়াদ কতদিন থাকবে?
উত্তরঃ ৬ মাস

১৩.  বিধবা যদি অন্যত্র বিবাহ করে এক্ষেত্রে পূর্বের স্বামীর উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন কিনা?
উত্তর :স্বামীর মৃত্যুর সাথে সাথে স্বামীর সম্পত্তিতে স্ত্রীর যে উত্তরাধিকার সৃষ্টি হয় তা কোন অযুহাতে না দেয়ার সুযোগ নেই,মৃত্যুর পর ইদ্দত পালন শেষে স্ত্রী অন্যত্র বিয়ে করার ক্ষেত্রে সে স্বাধীন
বিয়ের অযুহাতে কোনভাবেই উত্তরাধিকারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির সুযোগ নেই আর কেউ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে বিধবা আদালতে যেতে পারেন।

১৪. বায়নানামা মেয়াদ অতিক্রান্ত এবং গ্রহীতা রেজিঃ নিতে গড়িমসি প্রকাশ পেলে বায়নানামা দাতার করণীয় কী?
উত্তর :দাতা এক্ষেত্রে গ্রহীতাকে নোটিশ দিয়ে সতর্ক করবেন, এরপর বায়নানামা বাতিলের মামলা করতে হবে

১৫. দিয়ারা জরিপ কি?এই জরিপ কেন ও কোথায় হয়?
উত্তরঃদরিয়া বা সাগর থেকে দিয়ারা
উপকুলে নদী ভাংগনে সিকস্থি পরে পলি জমে পয়স্থি হয় ঐসব জমি সরকার জরিপ পরিচালনা করে খাস জমির রেকর্ড সৃষ্টি করে।

১৬.  নদী ভাংগনে সিকস্থি পয়স্থি ভূমির ব্যক্তিস্বত্ব ও উত্তরাধিকারবিহীন জমিদারের স্বত্ব কার উপর বর্তায়?
উত্তরঃসরকারের উপর বর্তায় অর্থাৎ সরকারের মালিকানায়।

১৭. মৌজা নকশা বা শীট এবং খতিয়ানের দাগের মধ্যে বিভ্রান্তি কিংবা অস্পষ্টতা দেখা দিলে কোনটা প্রাধান্য পাবে?
উত্তরঃ নকশা বা শীট

১৮.  অনেকে শীট নিলে বিভ্রান্তিতে পড়ে দাগ খুঁজে পায় না,নকশায় দাগ কোন কোণা দিয়ে শুরু,কোন কোণায় শেষ?
উত্তর :উত্তর - পশ্চিম কোণা দিয়ে শুরু
দক্ষিণ -পুর্ব কোণায় শেষ

১৯. সিএস খতিয়ানে দাগের চৌহদ্দি  স্পষ্ট কিন্তু আরএস খতিয়ানে ও কী দাগের চৌহদ্দি স্পষ্ট থাকে?
উত্তর :থাকে না,
শুধুমাত্র উত্তর সীমানার দখলকার উল্লেখ থাকে।

২০. খতিয়ানের স্বত্বের কলামে জরিপ চলাকালীন সাং-নিজ লিখার মর্মার্থ কী?
উত্তরঃজরিপের সময়ে জমির মালিকের বাড়ী ও জমির ঠিকানা একই মৌজার সীমানায় অবস্থিত।

২১. জমিদার বাড়ী ছেড়ে গিয়ে ৩ বছর এবং অকৃষক(ওয়ারিশী)৫ বছর জমি অনাবাদী ফেলে রাখলে ব্যক্তিস্বত্ব কি থাকে?
উত্তরঃথাকে না,সরকারের উপর বর্তায়।

২২. খতিয়ান ও খাজনা দাখিলা কী স্বত্বের প্রমাণ বহন করে নাকী দখলের প্রমাণ বহন করে?
উত্তরঃ দখলের।

২৩. কোন কারনে শুধুমাত্র খাজনা পরিশোধে ব্যর্থতায় কী প্রজার স্বত্ব নষ্ট হয়?
উত্তরঃ স্বত্ব নষ্ট হয় না।

২৪. খতিয়ানের স্বত্বের কলাম ও মন্তব্য কলামের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে কোনটি প্রাধান্য পাবে?
উত্তরঃ স্বত্বের কলাম।

২৫.  সি এস খতিয়ানে ২টি অংশ উপরিস্থ স্বত্ব ও অধিনস্থ স্বত্বের মর্মার্থ কী?
উত্তরঃ উত্তর :
উপরিস্থ স্বত্ব :
তখনকার সময়ে জমিদারী প্রথা ছিল জমিদারই খাজনা আদায় করত তারাই উপরিস্থ মালিক ছিল,কিন্তু জমিদার স্বয়ং কোন সম্পত্তি ভোগ করলে তখন উপরিস্থ স্বত্বের মালিক সরকার
অধিনস্থ স্বত্ব :
জমিদার উপরিস্থ মালিক হলে প্রজারা অধিনস্থ স্বত্বের মালিক
সরকার উপরিস্থ স্বত্বের মালিক হলে জমিদার হবে অধিনস্থ স্বত্বের মালিক

২৬. পাট্টা এবং কবুলিয়ত দলিল কী?
উত্তরঃ পাট্রা দলিল:
জমিদার কর্তৃক প্রজা বরাবর সম্পাদিত দলিল। জমিদার কোন কবুলিয়তের প্রেক্ষিতে অথবা অন্য কোন যথোপযুক্ত কারণে প্রজা বরাবর সম্পত্তি (জমি) বন্দোবস্ত দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করলে তা পাট্টা দলিলের মাধ্যমে সম্পাদন করতে পারতেন।
এরুপ দলিলের বৈশিষ্ট্য ছিল-
১. উভয়পক্ষ তথা জমিদার ও প্রজার সম্মতিতে পাট্টার সৃষ্টি হতো।
২. পাট্টায় খাজনার পরিমাণ নির্ধারিত থাকতো।
৩. জমির চৌহদ্দির/তফসিলের উল্লেখ থাকতো।
৪. কোন কোন পাট্টায় ভোগদখলের মেয়াদ উল্লেখ থাকতো।
৫. পাট্টা বাতিলের অধিকারও জমিদার কর্তৃক সংরক্ষিত হতো।
৬. পাট্টা রেজিস্টার্ড বা নন রেজিস্টার্ড উভয় প্রকার হতে পারত।

ফেরত পাট্রা দলিল:

ক্রেতা ক্রয়মূল্য প্রাপ্তি সাপেক্ষে জমি ফেরত দিবেন বা নির্ধারিত সময় ভোগদখলের পর জমি ফেরত দিবেন এরুপ অঙ্গীকার কোন দলিলে করা থাকলে ঐ দলিলকে একবারনামা বা ফেরত পাট্টা বলা হয়। ১৯৫০ সালের রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ আইনের ৯৫ (ক) ধারা প্রবর্তিত হবার পর এরুপ দলিলের প্রচলন এখন আর নেই। এরুপ অঙ্গীকার সম্পন্ন দলিল সৃষ্টি হলে তা খাই-খালাসি বন্ধক হিসাবে গণ্য হবে (৯৫ ‘ক’ ধারা মতে)।
উত্তর :
পাট্টা:
জমিদার খাজনার শর্তে পনের বিনিময়ে কোন প্রজার অনুকুলে জমি বন্দোবস্তি প্রদানের দলিল

কবুলিয়ত:
জমিদারকে স্বীকারপুর্বক বন্দোবস্তি গ্রহনের পর জমিদারের অনুকুলে প্রজা যে দলিল সম্পাদন করে

দলিল রেজিস্টেশন এর সময় আমাদের যে যে সর্তকতা অবলম্বন করতে হবেঃ

১. দলিল করার কমপক্ষে ৩-৪ দিন আগে দলিলের ড্রাফট/খসড়া নিয়ে নিবেন।
২. দাতা- গ্রহিতার নাম, ঠিকানা, টিন নাম্বার, জাতীয় পরিচয় পত্র ঠিক আছে কিনা দেখে নিবেন।
৩. দাগ নাম্বার, খতিয়ান নাম্বার ঠিক আছে কিনা দেখে নিবেন।
৪. চৌহদ্দি ঠিক আছে কিনা
৫. সঠিক স্টেম্পে দলিল লেখা হয়েছে কিনা
৬. দলিলের কৈফিয়ত কলামে কিছু লেখা আছে কিনা
৭. এলটি নোটিশে জমির পরিমান ঠিক আছে কিনা দেখে নিবেন।
৮. ব্যাংক পে অর্ডারের ফটোকপি করে রাখুন
৯. দলিল লেখকের লাইসেন্স নাম্বার ঠিকমত লেখা হয়েছে কিনা
১০. দলিল লেখকের খরচের রশিদ বুঝে নিন
১১.দলিলের রেজিস্টেশন হলে ৫২ ধারার রশিদ বুঝে নিবেন।
১২. দলিলের সার্টিফাইড কপির জন্য আবেদন করে রাখবেন
১৩. মনে রাখবেন দলিল একবার রেজিস্টেশন হয়ে গেলে তা সংসোধন করা সময় ও ব্যয়সাধ্য তাই সব দেখে, শুনে ও পড়ে দলিলে টিপসই দিবেন।

Friday, October 26, 2018

দলিলের সংক্ষিপ্ত শব্দের পূর্ণরুপ

দলিলের সংক্ষিপ্ত শব্দের পূর্ণরুপঃ
পিং = পিতা
জং = স্বামী
গং = সকল
সাং = ঠিকানা
বিতং = বিস্তারিত
মং = মকাম
হেবা = দান
তোক = ভাগ
নোনাবাড়ি = বসতবাড়ি
রায়ত = দখলি প্রজা
জোতদার = জমির মালিক
এওয়াজা = বিনিময়
চৌঃ = চারিদিকে সীমানা
খারিজ = বাতিল

Wednesday, June 27, 2018

জমি-জমার সাধারণ হিসাব

জমি জমার মূল হিসাব

২০ তিল = ১ কন্ট
০৩ কন্ট = ১ কড়া
০৪ কড়া = ১ গন্ডা
২০ গন্ডা = ১ কানি
১৬ কানি = ১ দ্রোন।

শতকে প্রকাশ করি

৬৪০ শতক = ১ দ্রোন;
৪০ শতক বা ১৭২৮০ বর্গফুট = ১ কানি;
২ শতক বা ৮৬৪ বর্গফুট = ১ গন্ডা;
.৫০ শতক বা ৪৩২ বর্গফুট = ২ কড়া;
.১৭ শতক বা ৭২ বর্গফুট = ১ কন্ট;
.০০৮৫ শতক বা ৩.৬ বর্গফুট=১ তিল।

বা,
১৭২৮০ বর্গফুট = ১ কানি;
৮৬৪ বর্গফুট = ১ গন্ডা;
৪৩২ বর্গফুট = ২ কড়া;
৭২ বর্গফুট = ১ কন্ট;
৩.৬ বর্গফুট=১ তিল।

দ্রোনের হিসাব

★ (১৬*১) ১৬ কানি = ১ দ্রোন।
★ ( ১৬*২০) ৩২০ গণ্ডা = ১ দ্রোন।
★ (৩২০*৪) ১২৮০ কড়া = ১ দ্রোন।
★ (১২৮০*৩) ৩৮৪০ কন্ট = ১ দ্রোন।
★ ( ৩৮৪০*২০) ৭৬৮০০ তিল = ১ দ্রোন।



Recent Post

সুভা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর   জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ১. সুভার বাবার নাম কি? ২. সুভা কোথায় বসে থাকত? ৩. সুভা জলকুমারী হলে কী করত? ৪. সুভার গ্রামের নাম কী? ৫...

Most Popular Post