Ad-1

Showing posts with label জেনে রাখা ভালো. Show all posts
Showing posts with label জেনে রাখা ভালো. Show all posts

Wednesday, November 20, 2024

জীবন বদলে দেওয়ার মতো শেখ সাদীর ১৫ টি বিখ্যাত উপদেশ।

’ ফার্সি গদ্যের জনক মহাকবি শেখ সাদি দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাভাষী পাঠকের কাছে অতি প্রিয় কবি। শুধু বাঙালিই নয় বিশ্বজুড়ে তিনি অত্যন্ত সমাদৃত। তার ১৫টি বিখ্যাত উপদেশ যা কিনা আপনার জীবনকে বদলে দিবে।

১. তিন জনের নিকট কখনো গোপন কথা বলিও না- (ক) স্ত্রী লোক. (খ) জ্ঞানহীন মূর্খ. (গ) শত্রু।

২. অকৃতজ্ঞ মানুষের চেয়ে কৃতজ্ঞ কুকুর শ্রেয়।

৩. আমি আল্লাহকে সবচেয়ে বেশী ভয় পাই, তার পরেই ভয় পাই সেই মানুষকে যে আল্লাহকে মোটেই ভয় পায় না।

৪. এমনভাবে জীবনযাপন করে যেন কখনো মরতে হবে না, আবার এমনভাবে মরে যায় যেন কখনো বেচেই ছিল না।

৫. হিংস্র বাঘের উপর দয়া করা নিরীহ হরিণের উপর জুলুম করার নামান্তর।

৬. যে সৎ, নিন্দা তার কোন অনিষ্ঠ করতে পারে না।

৭. প্রতাপশালী লোককে সবাই ভয় পায় কিন্তু শ্রদ্ধা করে না।

৮. দেয়ালের সম্মুখে দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় সতর্ক হয়ে কথা বলো, কারন তুমি জান না দেয়ালের পেছনে কে কান পেতে দাঁড়িয়ে আছে।

৯. মুখের কথা হচ্ছে থুথুর মত, যা একবার মুখ থেকে ফেলে দিলে আর ভিতরে নেওয়া সম্ভব নয়। তাই কথা বলার সময় খুব চিন্তা করে বলা উচিত।

১০. মন্দ লোকের সঙ্গে যার উঠা বসা, সে কখনো কল্যানের মুখ দেখবে না।

১১. দুই শত্রুর মধ্যে এমন ভাবে কথাবার্তা বল, তারা পরস্পরে মিলে গেলেও যেন তোমাকে লজ্জিত হতে না হয়।

১২. বাঘ না খেয়ে মরলেও কুকুরের মতো উচ্ছিষ্ট মুখে তুলে না।

১৩. ইহ- পরকালে যাহা আবশ্যক তাহা যৌবনে সংগ্রহ করিও|

১৪. কোন কাজেই প্রমাণ ছাড়া বিশ্বাস করিও না|

১৫. অজ্ঞের পক্ষে নীরবতাই হচ্ছে সবচেয়ে উত্তম পন্থা। এটা যদি সবাই জানত তাহলে কেউ অজ্ঞ হত না।

মেজর জলিলের মৃত্যু বার্ষিকী

"যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী হিসাবে সাজা খাটছিলেন মেজর জলিল। অসুস্থ ছিলেন বিধায় তৎকালীন জিয়া সরকার তাকে জেলে না রেখে পিজি হাসপাতালের প্রিজন সেলে রেখেছিলেন। একই সময়ে পিজি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার মির্জা গোলাম হাফিজ।


রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান মির্জা গোলাম হাফিজকে দেখে মেজর জলিলের প্রিজন সেলে যান। তখন সাঁঝ বেলা, সান্ধ্য বাতি না জ্বালিয়ে বিছানার উপর বসে ছিলেন মেজর জলিল। জিয়াউর রহমান ঘরে ঢুকেই জিজ্ঞেস করলেন, ঘর অন্ধকার কেন? জবাবে মেজর জলিল বলেন, সারাজীবন অন্ধকার ঘরে থাকার ব্যবস্থা করেছেন তাই ঘর অন্ধকার করেই আছি। জিয়াউর রহমান তখন হেসে বললেন, এখনও পরির্বতন হলে না। এতো কিছু হয়ে গেল এখনো আগের মতন তেজ রয়ে গেছে। জিয়াউর রহমান নিজে হাতে বাতি জ্বালিয়ে সেই সন্ধ্যায় ঘন্টাখানেক গল্প করেন মেজর জলিলের সাথে।


এরপর কিছুদিন পর মেজর জলিলের সাজা মাফ হয়ে যায়, ছাড়া পান তিনি।


মেজর জলিল _  স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাজবন্দী ও রাষ্ট্রীয় ‘খেতাবহীন’ সেক্টর কমান্ডার। কত মানুষ যুদ্ধ না করেও খেতাব পেয়েছেন। অথচ একজন সেক্টর কমান্ডার হয়েও মুক্তিযুদ্ধের খেতাব পাননি। তার অপরাধ ছিল তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর তখনকার লুটপাটের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। সেই অপরাধে তৎকালীন শেখ মুজিবুর রহমান সরকার তাকে খেতাব দান থেকে বিরত থাকে উপরন্তু বন্দী করেন।


আজ ২০ নভেম্বর মেজর জলিলের  মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৮৯ সালের এই দিনে মাত্র ৪৭ বছর বয়সে মারা যান। মৃত্যুবার্ষিকীতে বিনম্র শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি অমিত এই বিক্রমকে।"

Sunday, October 13, 2024

"শাকেই এত লাড়া, ডাল হলে ভাঙত হাঁড়ি, ভাসত পাড়া-পাড়া।" এই কথা দ্বারা কি বুঝানো হয়েছে?

এই প্রবাদটি বোঝাতে চায় যে ছোটোখাটো বিষয়ে যদি এত ঝামেলা বা উত্তেজনা হয়, তাহলে বড় কোনো বিষয়ে কী হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়। "শাকেই এত লাড়া" বলতে বোঝানো হয়েছে যে সামান্য শাক নিয়েই এত ঝগড়া বা গোলমাল হচ্ছে। এরপর বলা হয়েছে, "ডাল হলে ভাঙত হাঁড়ি, ভাসত পাড়া-পাড়া"—অর্থাৎ, যদি শাকের চেয়ে দামি বা গুরুত্বপূর্ণ কিছু (যেমন ডাল) নিয়ে সমস্যা হতো, তাহলে তো পরিস্থিতি আরও খারাপ হতো, এমনকি হাঁড়ি ভেঙে যাওয়ার মতো বড় ক্ষতি হতে পারত এবং তার প্রভাব আশেপাশের সবাইকে (পাড়া-পাড়া) প্রভাবিত করত।

সাধারণভাবে, প্রবাদটি ব্যবহার করা হয় যখন কেউ ছোটোখাটো বিষয়ে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখায় বা অতিরিক্ত উত্তেজনা সৃষ্টি করে। এটি অন্যদের সতর্ক করতে বলা হয় যে ছোট বিষয়ে এত বেশি উত্তেজিত হওয়া ঠিক নয়, কারণ বড় সমস্যায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

কারো মতে এ রকম ব্যাখ্যা হতে পারে ;

শাক রান্না করতে বেশি নাড়াচাড়া করতে হয়না বা কম উল্টেপাল্টে দিতে হয়।আর ডাল রান্না করতে ডাল ঘুটনি দিয়ে ডালঘুটে দেওয়া লাগে।(শাক রান্নাতেই এত নাড়া দেওয়া লাগছে,তাহলে তো ডাল রান্না করতে গেলে বেশি নাড়া দেওয়ার জন্য হাঁড়ি ভেঙে ডাল পাড়ায় পাড়ায় ভেসে যাবে)

অর্থাৎ অল্প কারণেই যদি এত জটিলতা তৈরি হয়,তাহলে জটিল বিষয়ে মহাকান্ড ঘটবে।

Friday, October 11, 2024

জীবনানন্দ দাশের কবিতায় "আকাশলীনা" শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: যে দূরের আকাশজুড়ে বিলীন বা লুপ্ত অবস্থায় থাকে; সে হচ্ছে আকাশলীনা। জীবনানন্দ দাশের কবিতায় 'আকাশলীনা' হচ্ছে ত্রিভুজ প্রেমের প্রেমিকা। কবি তাকে ভালোবাসলেও তার  অন্য প্রেমিক আছে।


Sunday, October 6, 2024

কথাকে শিল্প করে তুলতে হলে

 শিক্ষা পরামর্শ

কথাকে শিল্প করে তুলতে হলে

এনাম-উজ-জামান

প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০২৪, 


মনের ভাব প্রকাশ করতে মানুষ কথা বলে। কোনো বিষয়ের পক্ষে-বিপক্ষে নিজের বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য মানুষ সাধারণত কথার ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু প্রায়ই বলার ভঙ্গি, উপস্থাপনের দুর্বলতা, কর্কশ স্বর ইত্যাদি কারণে আমাদের কথা অন্যের কাছে পৌঁছায় না, কাক্সিক্ষত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে না। সেই কথাই ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে, যা শিল্প হয়ে ওঠে। কথাকে শিল্প করে তুলতে হলে কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে।


কথা কম বলতে হবে। তাহলে সবাই তোমার কথার অপেক্ষায় থাকবে।


কেউ কোনো পরামর্শ না চাইলে গায়ে পড়ে তাকে কোনো পরামর্শ দিতে যাবে না।


সংক্ষেপে কথা বলার অভ্যাস করো। অর্থাৎ দীর্ঘ বাক্যের প্রয়োগ করবে না। কম শব্দের অর্থপূর্ণ কথা বলো।


কর্কশভাবে কোনো কথা বলবে না। মিষ্টভাষী লোকের কথা সবাই পছন্দ করে।


যে যতটা শুনতে চায় তাকে ততটাই শোনাবে। বাড়তি কোনো কথা বলতে যাবে না।


একই কথা বারবার বলবে না। এতে শ্রোতার মনোযোগ নষ্ট হয়। শ্রোতা বিরক্ত হয়।


কথার মাঝে কটু কথা বলা, গালাগালি দেওয়া বা খারাপ শব্দের প্রয়োগ পরিত্যাজ্য। এতে লোকের আপনার প্রতি খারাপ ধারণা তৈরি হতে পারে।


কথা অবশ্যই হতে হবে যুক্তিপূর্ণ। অযৌক্তিক কথা মানুষ শুনতে চায় না।


দ্রুত কথা বলবে না। ধীরে ধীরে গুছিয়ে কথা বলো যেন সবাই বুঝতে পারে।


কথা বলার সময় কঠিন শব্দের প্রয়োগ করবে না। তোমার কথা যেন সবার বোধগম্য হয় সেটা খেয়াল রাখবে।


যে বিষয় নিয়ে বিশেষ ধারণা নেই সেই বিষয় নিয়ে বলতে যাবে না।


কারও কথার মাঝে কথা বলতে যাবে না। এটা শিষ্টাচারবহির্ভূত খুবই খারাপ অভ্যাস। এতে শ্রোতা বিরক্ত হয়।


কথার মাঝে ভনিতাসূচক আলোচনা করবে না। বাহুল্যবর্জিত ও স্পষ্ট কথা সবার ভালো লাগে।


কিছু ভুল বলে থাকলে সঙ্গে সঙ্গে ‘দুঃখিত’ বলে ক্ষমা চেয়ে নাও। ভুল স্বীকারে লজ্জা নেই। ভুলকে সত্য বলে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলে লজ্জা পেতে হয়। কারণ সত্য প্রতিষ্ঠিত হবেই।


নিজের কথার মূল্য পেতে হলে তোমাকে অন্যের কথাও শোনার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।


কারোর কথা শেষ হওয়ার আগেই উত্তর দিতে যাবে না। আগে শোনো তারপর উত্তর দাও।


শব্দভা-ার সমৃদ্ধ না হলে বক্তব্যের উপযোগী শব্দ প্রয়োগ করা যায় না। ফলে বক্তব্যের অর্থ আলাদা হয়ে যেতে পারে। শব্দভা-ার সমৃদ্ধ করতে ভালো ভালো লেখাপড়ার অভ্যাস করো। শব্দভা-ার পরিপূর্ণ হলে কথার একটা আলাদা মাধুর্য থাকে।


কথায় কথায় রেগে যাওয়া ও তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার অভ্যাস ত্যাগ করো। এতে মানুষ দূরে সরে যায়। তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে চায় না। তার কথাও বিশেষ শুনতে চায় না।


কেউ আপনার কাছে কিছু জানতে চাইলে এবং সে বিষয়টি যদি পরিপূর্ণ রূপে না জানেন তাহলে তার থেকে সময় চেয়ে নিন। জেনে সঠিকটা বলুন। তাও ভুলভাল তথ্য দেবেন না।


অন্যকে নিয়ে সমালোচনা করা, নিন্দা করা এগুলো নেতিবাচক অভ্যাস। এগুলো পরিত্যাজ্য।

Wednesday, September 18, 2024

মহানবী (স) এর বিয়ে বিষয়ে এত বিতর্ক কেন?

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিয়ে করেছিলেন ১৪ বছর বয়সে তখন তাঁর স্ত্রীর বয়স ছিল ৮ বছর। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিয়ে করেছিলেন ২২ বছর বয়সে তখন তাঁর স্ত্রীর বয়স ছিল ১১ বছর। বঙ্কিমচন্দ্র বিয়ে করেছিলেন ১১ বছর বয়সে তখন তাঁর স্ত্রীর বয়স ছিল মাত্র ৫ বছর ৷

দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর বিয়ে করেছিলেন ১৪ বছর বয়সে তখন তাঁর স্ত্রী সারদা দেবীর বয়স ছিল মাত্র ৬ বছর। শিবনাথ শাস্ত্রী বিয়ে করেছিলেন ১৩ বছর বয়সে,তখন তাঁর স্ত্রীর বয়স ছিল ১০ বছর।

রাজনারায়ণ বসু বিয়ে করেছিলেন ১৭ বছর বয়সে তখন তাঁর স্ত্রীর বয়স ছিল ১১ বছর। জ্যোতিন্দ্রনাথ ঠাকুর বিয়ে করেছিলেন ১৯ বছর বয়সে,তখন তাঁর স্ত্রীর বয়স ছিল মাত্র ৮ বছর। সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর বিয়ে করেছিলেন ১৭ বছর বয়সে তখন তাঁর স্ত্রীর বয়স

ছিল মাত্র ৭ বছর।

লিনা মেদিনা ৫ বছর ৭ মাস ২১ দিন বয়সে সন্তানের জন্ম দেয়ায় বিশ্বরেকর্ড করা সর্বকনিষ্টা মা উল্লেখ করে তার বন্ধনা করা হয়। দ্বিতীয় কিং রিচার্ড ত্রিশ বছর বয়সে ফরাসি রাজকুমারী ৭ বছর বয়সী ইসাবেলাকে বিয়ে করেন।

পর্তুগালে রাজা ডেনিস বারো বছর বয়সী সেন্ট এলিজাবেথকে বিবাহ করেছিলেন। নরওয়ের ষষ্ঠ

রাজা হাকোন দশ বছরের রাণী মার্গারেটকে বিবাহ করেছিলেন।

এসেক্সের কাউন্ট আগ্নেসের বিয়ের পাকা কথা হয় মাত্র তিন বছর বয়সে। বারো বছর বয়সে তার বিবাহ হয় পঞ্চাশ বছর বয়সী সঙ্গির সাথে। রোমানোস ইতালির রাজকন্যা চার বছর বয়সী বার্থা ইউডোকিয়াকে বিবাহ করেন।

ইতিহাসের পাতায় এরকম অসংখ্য নজির আছে। এগুলো আমাদের ইতিহাসের অংশ। এসব আমাদের ভুলে যাওয়া সমীচিন নয়।

একসময় সতীদাহ প্রথা ছিল। জীবন্ত নারীকে সহমরণে তার মৃত স্বামীর সঙ্গে চিতায় আত্মহুতি দিতে হতো। কিন্তু সতীদাহ বা সহমরণই হিন্দু ধর্মের বৈশিষ্ট্য বলার অর্থ হিন্দুর প্রতি ঘৃণা ও বিদ্বেষ চর্চা করা। হিন্দু শাস্ত্রের ধূয়া তুলে হিন্দুর প্রতি ঘৃণা ও সহিংসতা একালে কেউ প্রদর্শন করে না।

কারণ,সমাজ,আইন,সংস্কৃতি ও ইতিহাস ইত্যাদি সম্পর্কে আমাদের চেতনা উপলব্ধি ও বিচার ক্ষমতা অনেক বিকশিত হয়েছে। আগের মতো নাই। ইতিহাস

ও সমাজ স্থির কিছু নয়,বদলায়। ইতিহাস নিয়ে আলোচনা হবে। কিন্তু দেশ ও কাল বিবেচনায় না নিয়ে রবীন্দ্রনাথকে দোষী করলে সেটা কাণ্ডজ্ঞানের অভাব হবে। তাই না ?

তাহলে ইসলামের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে নিয়ে এত বিতর্ক কেন হবে ?

বঙ্গবন্ধু ১৩ বছর বয়সে তিন বছর বয়সি রেণুর সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের ৯ বছর পর বঙ্গবন্ধুর ২২ বছর বয়সে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার ১২ বছর বয়সে ফুলশয্যা হয়।

আয়শা রাযিঃ ৯ বছর বয়সে মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর সাথে সংসার শুরু করায় মুহাম্মদ (সাঃ)-কে নিয়ে এতো বিতর্ক কেন ?

আসলে রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-কে নিয়ে অহেতুক সমালোচনার প্রধান কারণ হলো তার অতুলনীয় উত্তম চরিত্র মাধুরী। যে চরিত্রে মুগ্ধ হয়ে দেড় হাজার বছর ধরে মানুষ অনবরত ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিচ্ছে। রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে নিয়ে বিতর্কিত করে তারা বিশ্বব্যাপী ইসলাম গ্রহনের অগ্রযাত্রা রুখে দিতে চায়।

নূপুর শর্মারা যা-ই বলুক না কেন ?

স্বয়ং আল্লাহ তা'য়ালা তার হাবীবের চরিত্রের

শ্রেষ্ঠত্বের ঘোষণা দিয়েছেন।

اِنَّکَ لَعَلٰی خُلُقٍ عَظِیۡمٍ

কিয়ামত পর্যন্ত এই চরিত্র মাধুরী পৃথিবীর সকল মানুষের কাছে প্রধান আকর্ষণ হয়ে থাকবে। দলে দলে মানুষ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উম্মত হবেই,হবে,ইনশা-আল্লাহ।

তোমাকে ভালোবাসি হে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমার জন্য আমার বাবা-মা কোরবান।


লিখেছেনঃ-

মুহতারাম মুফতী ওযায়ের আমীন হাফিজাহুল্লাহ

Friday, September 13, 2024

দাসত্ব ও মানসিক দাসত্ব কী?

দাসের ইংরেজি শব্দার্থ Slave. Oxford Dictionary এর মতে, ঝষধাব হলো 

১) a person who is legally owned and is forced to work for them, 

২) a person who is completely dominated or influenced. 

বাংলা একাডেমি প্রণীত অভিধানে ঝষধাব বলতে (১) ক্রীতদাস, কেনা গোলাম, 

২) ‘যে ব্যক্তি অন্যোর জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে বাধ্য হয়’ শব্দার্থ করা হয়েছে।

লেলিন বলেছেন যে, দাসত্ব তিন প্রকার। 

প্রথমত: এক শ্রেণির লোক স্বেচ্ছায় দাসত্ব গ্রহণ করে বিনিময়ে তার ক্ষুধার জ্বালা নিবারনসহ জীবনধারণের প্রয়োজনীয়তা মিটাতে পারে, কিন্তু ব্যক্তি স্বাধীনতা থাকে না। 

দ্বিতীয়ত: এক শ্রেণির লোক রয়েছে, যারা নিজেরা বুঝতেই পারে না যে, তারা দাসত্ব করে যাচ্ছে বিনিময়ে আরাম-আয়াশে দিন কাটাচ্ছে, কিন্তু সত্য-মিথ্যার তারতম্য করতে পারে না। 

তৃতীয়ত: ব্যতিক্রমধর্মী এক শ্রেণির লোক রয়েছে, যারা দাসত্বকে না মেনে প্রতিবাদ করে আসছে। তারাই বিদ্রোহী হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে, বিনিময়ে পাচ্ছে জেল-জুলুম, লাঞ্ছনা-গঞ্জনা, এমনকি ফাঁসির দড়ি।

দাসত্ব গ্লানিকর ও অপমানজনক, অন্যদিকে বিদ্রোহী জীবন অনেক কষ্টের, তবে সম্মানজনক। যদিও আইন করে কৃতদাসপ্রথা বা দাসপ্রথা বিলুপ্ত বা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, কিন্তু আমাদের সমাজে কি দাসত্ব বন্ধ হয়েছে? দেখা যাচ্ছে, ‘মানসিক দাসত্বের’ পরিমান অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। খেয়ে পরে একটু স্বস্তিতে থাকার জন্য, কোথাও প্রমোশনের জন্য, কোথাও পদ-পদবী পাওয়ার জন্য অনেকেই নির্লজ্জের মতো দাসত্ব করে যাচ্ছে। এমন লোকের সংখ্যাও নিতান্ত কম নয়, যারা পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রকে নিজেদের দেশ মনে করে।

মানসিক দাসত্ব করতে শরীর খাটাতে হয় না, বরং মনমানসিকতা ও বিবেকে বিক্রি করে নিজ স্বত্তাকে জলাঞ্জলি দিতে হয়। নিয়োগকর্তার স্বার্থ রক্ষার্থে সত্যকে মিথ্যায় এবং মিথ্যাকে সত্যে পরিণত করে বিনিময়ে শাসক গোষ্ঠির সুদৃষ্টি অর্জন করে নিজ ও পরিবারের জন্য সুখ স্বাচ্ছন্দ্য আদায় করার নামও মানসিক দাসত্ব। এ ধরনের দাসের সংখ্যা কম হলেও আছে।

Saturday, September 7, 2024

রবীন্দ্রনাথের প্রতি অপবাদ দূর

রবীন্দ্রনাথ নিষ্ঠুর জমিদার ছিলেন। রবীন্দ্রনাথ প্রজাদের সারাজীবন শোষণ করেছেন। রবীন্দ্রনাথ কখনোই এদেশের কৃষকদের, সাধারণ মানুষের কখনো উন্নতি চাননি।  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরোধী ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। বলেছেন, 'মূর্খের দেশে আবার কিসের বিশ্ববিদ্যালয়'।  এমন কতো অপবাদ কি অবলীলায় চালানো হয় রবীন্দ্রনাথের নামে। কতো মিথ্যাচার শুনতে হয়।

অথচ শিলাইদহ, শাহজাদপুর বাদ দিলাম এক পতিসরেই রবীন্দ্রনাথ তাঁর জমিদারীতে যা করেছেন বাংলার ইতিহাসে কোন জমিদার তা করেনি। 

পারিবারিক সূত্রে পাওয়া জমিদারী দেখাশোনার জন্য ১৮৯১ সালে  প্রথম পতিসরে এসেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। জমিদারি ভাগ হওয়ায় নওগাঁর কালিগ্রাম পরগণার জমিদারি পেয়েছিলেন  রবীন্দ্রনাথ।

তৎকালীন সময়ে  কালিগ্রাম পরগণা ছিল নিচু এলাকা। এক ফসলি জমি। একটিমাত্র ধানের আবাদ হয়, তাও বন্যায় ষোলো আনা পাওয়া যায় না। অধিকাংশ প্রজাই দরিদ্র।

 একবেলা খেতেও পারত না। এসব বিষয়গুলো রবীন্দ্রনাথকে ভাবিয়ে তুলতো। মহাজনী সুদ থেকে প্রজাদের বাঁচাতে রবীন্দ্রনাথ স্বজনদের কাছ থকে টাকা ধার নিয়ে ১৯০৫ সাল থেকে প্রথম ‘কৃষি ব্যাংক’ চালু করেছিলেন।

মহাজনরা অখুশি হলেও গ্রামে-গ্রামে প্রজাদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল এই ব্যবস্থা। কৃষকদের বাঁচাতে আরো টাকা প্রয়োজন।

নিজের নোবেল পুরস্কারের ১ লাখ ৮ হাজার টাকা কৃষি ব্যাংকে দিয়েছিলেন  রবীন্দ্রনাথ। তিনি এতোটাই নিষ্ঠুর জমিদার ছিলেন ঋণ আদায় করতে না পারায় অর্থ সংকটে পড়ে ব্যাংকটি।  এমতাবস্থায় ১৯৩৭ সালে জুডিশিয়াল বোর্ড গঠন করলে ঋণ ব্যবস্থা বিলুপ্ত হয়।  তখন প্রজাদের কাছে থাকা ঋণের সব অর্থই আটকে যায়। 

১৯১০ সালে  পতিসরের কাছারি বাড়ির একটি কক্ষে হোমিও দাতব্য চিকিত্সালয় স্থাপন করেছিলেন রবীন্দ্রনার। কিন্তু হোমিও ওষুধ দিয়ে সব রোগের চিকিত্সা হতো না। তখন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই অঞ্চলে প্রথম আধুনিক চিকিত্সা সেবা শুরু করেন।

 পরে সার্টিফিকেটধারী চিকিত্সক নিয়োগ দিয়ে প্রজাদের চিকিত্সা সেবা দিতেন। তখন নার্সও নিয়োগ দেয়া হয়। তিন-চারটি বেড রাখা হয়েছিল। এই চিকিত্সাসেবা ১৯২০ সাল পর্যন্ত চালু ছিল।

এলাকার কৃষকদের বাঁচাতে ধর্মগোলা স্থাপন করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। ধর্মগোলা মানে শস্যভান্ডার। যে বছর আবাদ ভালো হতো সে বছর প্রজাদের কাছ থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ শস্য নিয়ে রেখে দেয়া হতো ধর্মগোলায়। 

যখন আবাদ হতো না তখন সেই গোলা থেকে কৃষকদের মধ্যে দেয়া হতো। আবার আবাদ হলে সে শস্য আবার ধর্ম গোলায় জমা করতেন কৃষকেরা। 

 সে সময় কোনো মহাজনদের কাছ থেকে এক মণ খাদ্য নিলে দেড় গুণ বা দুই গুণ খাদ্য দিতে হতো মহাজনকে। এজন্য দরিদ্র প্রজাদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল এই ধর্মগোলা।

 হতদরিদ্র প্রজাদের গাভী পালনে প্রশিক্ষণ ও ধানচাষের বাইরে অন্য পেশায় আয় বাড়াতে তাঁতব্যবস্থা, অন্য ফসলের দিকে যেন মানুষ  আকৃষ্ট হয় সে ব্যবস্থাও করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। 

এ জন্য কয়েকজনকে নিয়ে গিয়েছিলেন শান্তিনিকেতনে্য শ্রীনিকতনেও। সেখানে তাঁদের কৃষি প্রশিক্ষণ দিয়ে ফেরত পাঠিয়েছেন পতিসরে। এক ফসলি জমিতে অন্য ফসল চাষ করাতে জমির আইলে খেজুর গাছ, আমগাছ, পেঁপে চাষ শুরু করান তিনি। 

এ ছাড়াও বাস্তুভিটাতে ফলের গাছ লাগাতে উদ্বুদ্ধ করতেন। এসময়ে এলাকায় অপ্রচলিত ভুট্টা, আলুর চাষ শুরু করেন। 

প্রজাদের মহাজনদের সুদের বেড়াজাল থেকে বাঁচাতে ঋণ সালিশী সংস্থা কালিগ্রাম হিতৈষীসভা গঠন করেন রবীন্দ্রনাথ

সে সময় কালিগ্রাম কাছারিবাড়ি থেকে কালিগ্রাম পরগণায় জমিদারির কার্যক্রম পরিচালনা করা হত। কালিগ্রাম পরগণার আওতায় প্রায় ৬শ’ গ্রাম ছিল। 

এই ‘হিতৈষীসভা’ তিনটি ভাগে বিভক্ত করা হয়। এর মধ্যে কালিগ্রাম হিতৈষীসভা, ভান্ডারগ্রাম হিতৈষীসভা ও পতিসর হিতৈষীসভা। কাছারি বাড়ির আওতায় থাকা প্রতিটি গ্রাম থেকে একজন গ্রাম প্রধান ও কাছারি বাড়ির একজন ও জমিদারের প্রতিনিধি একজন করে পঞ্চায়েত গঠন করা হয়েছিলো। 

এই পঞ্চায়েতের কাজ ছিলো গ্রামের সাধারণ মানুষদের বিরোধ মিটিয়ে দেয়া, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, সেতু নির্মাণ করা, পাঠশালা নির্মাণ করা। ম্যালেরিয়া হওয়ায় গ্রামের জঙ্গল কেটে ফেলা ইত্যাদি। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, সেতু নির্মাণ, পাঠশালা নির্মাণ, গ্রামের জঙ্গল কেটে ফেলতে তো টাকা লাগবে। 

কিন্তু সে টাকা কোথা থেকে আসবে? তখন সিদ্ধান্ত হলো রবীন্দ্রনাথ অর্ধেক টাকা দিবেন, আর বাকি অর্ধেক টাকা হিতৈষীসভা  দিবে।

 এভাবে কয়েক বছরের মধ্যে তখন ১১ হাজার টাকা সংগ্রহ হয়েছিল। এরপর শুরু হয় রাস্তাঘাট নির্মাণ, পাঠশালা নির্মাণ।

 ৬শ’ গ্রামের মধ্যে প্রায় ২০০ টি গ্রামে পাঠশালা নির্মাণ করে পাঠদান শুরু হয়।  এই পাঠশালার মাস্টারদের বেতন ও দিতেন রবীন্দ্রনাথ।  একইসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ   তিনটি মাইনর স্কুল চালু করেন। একটি পতিসরে, অপর দুটি রাতোয়াল ও ভান্ডারগ্রামে।

 নিজের প্রজাদের জন্যে চাষ ব্যবস্থায় উন্নয়ন ঘটানো জন্যে ১৯০৬ সালে  রবীন্দ্রনাথ নিজের ছেলে রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও  শিরিষ চন্দ্র মজুমদারের ছেলে সন্তোষ চন্দ্র মজুমদারকে আমেরিকার ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষির উপর পড়াশুনার জন্যে পাঠিয়েছিলেন। অথচ তিনি চাইলেই ইঞ্জিনিয়ারিং বা অন্য কিছু পড়াতে পারতেন! 

 রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও সন্তোষ চন্দ্র মজুমদার যখন কৃষির উপর পড়তে আমেরিকা গেলেন তখন রবীন্দ্রনাথ তাঁদের চিঠিতে লিখেছিলেন, 

. ‘তোমরা দুর্ভিক্ষপীড়িত প্রজার অন্ন গ্রাসের অংশ নিয়ে বিদেশে কৃষি শিখতে গেছ। ফিরে এসে এই হতভাগ্যদের অন্ন গ্রাস কিছু পরিমাণেও যদি বাড়িয়ে দিতে পার তাহলে মনে সান্ত্বনা পাব। মনে রেখো, জমিদারের টাকা চাষির টাকা এবং এই চাষিরাই তোমাদের শিক্ষার ব্যয়ভার নিজেরা আধপেটা খেয়ে এবং না খেয়ে বহণ করছে। এদের ঋণ সম্পূর্ণ শোধ করবার দায় তোমাদের উপর রইল। নিজেদের সংসারিক উন্নতির চেয়েও এইটেই তোমাদের প্রথম কর্তব্য হবে।’

 ১৯০৯ সালে পড়াশোনা শেষে  দেশে ফিরে এলেন রথীন্দ্রনাথ ও সন্তোষ মজুমদার।  কলকাতায় বা পশ্চিমবঙ্গে না রেখে নিজের ছেলেকে  পতিসরে নিয়ে এলে রবীন্দ্রনাথ। তখন  রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলের লাঙ্গলে চাষ করে আধুনিক পদ্ধতি শিখিয়েছেন প্রজাদের।    আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের জন্য পতিসরে ৭টি বিদেশি কলের লাঙল এনেছিলেন  কলকাতা থেকে। সঙ্গে আনিয়ে ছিলেন বিদেশি ইঞ্জিনিয়ার।

আধুনিক চাষাবাদ, আধুনিক যন্ত্রপাতি ক্রয়, খামার ব্যবস্থাপনা, হস্ত ও কুটিরশিল্প, তাঁতশিল্প, রেশমশিল্পের বিকাশ ঘটানো ও দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য রবীন্দ্রনাথ পতিসরে যা করেছিলেন তাতে পতিসর কয়েক বছরের মধ্যে প্রায় দারিদ্র শূন্য হয়ে গিয়েছিলো। 

পতিসরকে মডেল হিসেবে তুলে ধরে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন,  ‘তোমরা যে পার ‍এবং যেখানে পার এক-একটি গ্রামের ভার গ্রহণ করিয়া সেখানে গিয়া আশ্রয় লও। গ্রামগুলিকে ব্যবস্থাবদ্ধ করো। শিক্ষা দাও, কৃষিশিল্প ও গ্রামের ব্যবহার‍সামগ্রী সম্বন্ধে নূতন চেষ্টা প্রবর্তিত করো।'

রথীন্দ্রনাথ ঠাকু্র তাঁর পিতৃ স্মৃতি গ্রন্থে বাবা রবীন্দ্রনাথের একটি চিঠি তুলে এনেছিলেন।  রবীন্দ্রনাথ সেই চিঠিতে ছেলেকে লিখেছিলেন, 

'পতিসরে পৌঁছে গ্রামবাসীদের অবস্থার উন্নতি দেখে মন পুলকিত হয়ে উঠলো। পতিসরের হাইস্কুলে ছাত্র আর ধরছে না। দেখলুম– নৌকার পর নৌকা নাবিয়ে দিয়ে যাচ্ছে ছেলের দল স্কুলের ঘাটে। এমনকি, আট-দশ মাইল দূরের গ্রাম থেকেও ছাত্র আসছে। পড়াশুনার ব্যবস্থা প্রথম শ্রেণীর কোন ইস্কুলের চেয়ে নিকৃষ্ট নয়। পাঠশালা, মাইনর স্কুল সর্বত্র ছড়িয়ে গেছে। হাসপাতাল ও ডিস্পেনসারিতে কাজ ভালো চলছে। যে সব জোলা আগে এক সময় গামছা বুনতো তাঁরা এখন ধুতি, শাড়ী, বিছানার চাদর বুনতে পারছে। কুমোরদেরও কাজের উন্নতি হয়েছে। গ্রামবাসীর আর্থিক দুরবস্থা আর নেই। শুধু চাষীরা অনুযোগ জানালো তাদেরকে চাষের জন্য আরও ট্রাক্টর এনে দেওয়ার জন্য।'

রবীন্দ্রনাথ ১৯১১ সালের উইলে নিজের স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পত্তি দান করেছিলেন পুত্র রথীন্দ্রনাথকে। এক চিঠিতে

প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়কে  রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন,  'জমিদারি সম্পত্তির আয় নিজের ভোগে না লাগাইয়া প্রজাদের হিতার্থে যাহাতে নিযুক্ত করেন রথীকে সে সম্বন্ধে বার-বার উপদেশ দিয়াছি। তদনুসারে এইরূপ মঙ্গল অনুষ্ঠানে সে যদি তাহার পৈত্রিক সম্পত্তি প্রসন্নচিত্তে উৎসর্গ করিতে পারে তবে আমার বহুকালের একান্ত ইচ্ছা পূর্ণ হয়..'

পতিসরের জমিদারী ছেড়ে দিলেও রবীন্দ্রনাথ পতিসরকে কিংবা পরিসরের মানুষ রবীন্দ্রনাথকে কখনোই ভুলতে পারেনি। 

 তাইতো  প্রজাদের প্রবল  অনুরোধে মৃত্যুর চার বছর আগে  ১৯৩৭ সালের ২৭ জুলাই শেষবারের মতো পতিসরে এসেছিলেন কথিত নিষ্ঠুর ও বর্বর জমিদার রবীন্দ্রনাথ। 

ছবি-  সাধারণ মানুষের কথা শুনছেন জমিদার রবীন্দ্রনাথ।




Tuesday, September 3, 2024

নীতিশ রায় এর বিখ্যাত ছবি



কিংবদন্তী ফটোগ্রাফার নীতিশ রায়ের তোলা এই ছবিটি গত কয়েকদিন থেকে সোশ্যাল মিডিয়ার ঘুরপাক খাচ্ছে, কেউ বলছে ছবিটি দেশের কেউ বা বলছে বিদেশের কিন্তু মর্মস্পর্শী এই ছবিটির আসল রহস্য কি..... 

১৯৭১সালের মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়। জামালপুর-শেরপুর অঞ্চলের আসাম-মেঘালয় গাড়ো পাহাড় সীমান্তবর্তী হাজং সম্প্রদায়ের রমণীর চিত্র।  ছবি ক্যাপশন: 'তৃষ্ণার্ত এক নারীর নদীর জল পান আর মায়ের কোলে তৃষার্ত শিশুর মাতৃদুগ্ধ পান।' জলে ভাসমান সাদা রাঙের বস্তুগুলো হচ্ছে মানুষের মৃতদেহ।

নীতিশ রায় ১৯৪৪ সালে বৃহত্তর ময়মনসিংহের  শেরপুর শহরের নয়আনী বাজার এলাকায় প্রয়াত নন্দহরি রায়ের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৭ সালে তিনি সৌখিন আলোকচিত্রী হিসেবে কাজ শুরু করেন। ষাট, সত্তর ও আশির দশকে আলোকচিত্র জগতে তিনি ছিলেন একজন নক্ষত্র। ১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি ভারতে চলে যান। ওই বছরের ১৬ জুন মুজিবনগর থেকে প্রকাশিত ‘জয় বাংলা’ পত্রিকার প্রেস ফটোগ্রাফার হিসেবে যোগদান করেন। সত্তর থেকে আশির দশক পর্যন্ত ইত্তেফাক, সংবাদ ও মাসিক পত্রিকা ফটোগ্রাফিসহ বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সীমিত সুযোগ-সুবিধার মধ্যেও তার ছবি বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ও বিশ্বের অনেক দেশে প্রদর্শিত হয়েছে এবং পুরস্কার পেয়েছে। ১৯৮২ সনে জাপানে অনুষ্ঠিত সপ্তম এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় আলোকচিত্র প্রতিযোগিতায় নীতিশ রায়ের ছবি ‘তৃষ্ণা’ ইয়াকুল্ট পুরস্কার লাভ করে।

 শিল্প-চেতনা সমৃদ্ধ আলোকচিত্রী নীতিশ রায় বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন কৃষ্টি প্রবাহ ও ত্রিসপ্তক নাট্যগোষ্ঠীর সঙ্গেও জড়িত ছিলেন এবং অভিনয়ে অংশগ্রহণ করতেন। নিঃসন্তান সাংবাদিক নীতিশ রায় এর স্ত্রী কবি সন্ধ্যা রায়। নীতিশ রায় ৭৫ বছর বয়সে ২০১৭ সালের ৮ জুন তিনি পরলোকগোমন করেন।

বিশেষ কৃতজ্ঞতা আল আমিন হোসাইন মৃধা।

Saturday, August 24, 2024

কর্মের পুরস্কার সময় মতই দেওয়া হবে......

একটি মেয়ে একটা মাংসের ফ্যাক্টরিতে কাজ করত। তার কাজ ছিল, মাংসগুলো সঠিক সাইজে কাটা।

একদিন কাজ শেষ হবার কিছু সময় আগে সে মাংস রাখার স্টোরেজ রুমে ঢুকল, যেটা মূলত কোল্ড স্টোরেজ।

হুট করে বাইরে থেকে দরজাটি লক হয়ে যায়। সে অনেক চেষ্টা করলেও দরজা খোলা সম্ভব হয় নি। অনেক চিৎকার করেও লাভ হয় নি, কারন ততক্ষণে অন্য সব কর্মীরা কাজ শেষ করে বেরিয়ে গেছে।

আস্তে আস্তে সে ঠান্ডায় জমে যেতে লাগল। মৃত্যু আসন্ন। সে কাঁদছে। কিন্তু তার বাঁচার কোন সম্ভাবনাই নেই।

হঠাৎ বেশ অপ্রত্যাশিতভাবে একজন সিকিউরিটি গার্ড এসে দরজা খুললেন এবং তাকে মুক্ত করলেন।

মেয়েটি তখন তাকে জিজ্ঞেস করলেন,

আপনার তো এখানে আসার কথা নয়।

এখানে আসলেন কেন?

গার্ড উত্তর দিলেন, আমি প্রায় ৩৫ বছর ধরে এখানে সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করছি।

কিন্তু আমি এমন মানুষ খুব কম দেখেছি

যারা প্রতিদিন সকালে

আমাকে Good Morning বলে ঢুকেছে এবং

সন্ধ্যায় বের হবার সময় Good Evening বলে বেরিয়েছে।

বেশিরভাগ মানুষ এমন আচরণ করত যেন তারা আমায় দেখতেই পায় নি। কিন্তু আপনি ছিলেন সেই মানুষ যে প্রতিদিন আমাকে দেখে একটা মিষ্টি হাসি দিয়ে Wish করতেন। আজ সকালেও করেছেন।

কিন্তু সন্ধ্যায় আমি আপনার কাছ থেকে Good Evening শব্দটি শুনতে পাইনি, তার মানে আপনি এখনো বের হন নি। আর তাই আমি আপনাকে খুঁজতে শুরু করি। আমাদের জীবন খুব ছোট। তাই সকলেই অন্যের সাথে ভালো ব্যবহার করার চেষ্টা করি।

Sunday, July 14, 2024

জীবনের সবকিছুই আপেক্ষিক

কারো মার্সিডিজ থামছে রাতের গভীরে নিষিদ্ধ পল্লীতে, ঘরে অপেক্ষারত স্ত্রী দীর্ঘশ্বাস ফেলছে...! কেউ ভাঙা ঘরে থেকে স্ত্রীকে নিয়ে অবিরত স্বপ্নের জোয়ারে ভাসছে।

কেউ ভাবছে আর কয়েকটা দিন! ডিভোর্স পেপারে সাইন করলেই মুক্তি। কেউ কেউ আবার একটা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য অবিরাম যুদ্ধ করে চলছে।

কেউ সদ্যোজাত সন্তানকে ডাস্টবিনে ফেলে দিয়ে দায়মুক্ত হতে চাইছে। আবার কেউ একটা সন্তানের জন্য সারাটা জীবন হাহাকার করছে!

কেউ বছরে কতোজন ভালবাসার মানুষ বদলে ফেলছে!

কেউ আবার তার ভালবাসার মানুষের জন্য বছরের পর বছর অপেক্ষা করে চলছে।

কেউ দামি শাড়ি হাতে পেয়ে তবু খুশি নয়! আবার কেউ তাঁতের নতুন শাড়ির গন্ধ বারবার শুঁকছে।

কেউ প্রিয়জন এর কাছ থেকে সোনা বা হিরের চুড়ি পেয়ে খুশি নয়, 

কেউ  প্রিয়জন এর কাছ থেকে পাওয়া কাঁচের চুড়িতে স্বর্গের সুখ খুঁজে পাচ্ছে। 

কেউ লাখ টাকার ডাইনিং টেবিলে বসেও তৃপ্তি সহকারে খেতে পারছেনা! কেউ পেঁয়াজ, কাঁচালঙ্কা কচলিয়ে গোগ্ৰাসে পান্তা গিলছে।

কারো দামি খাটে শুয়েও ঘুমের ওষুধ খেতে হচ্ছে! কেউ আবার হিমেল হাওয়ায় অঘোরে ঘুমোচ্ছে।

কারো পড়ার টেবিলে নতুন বইয়ের সমারোহ কিন্তু পড়ার ইচ্ছে নেই। কেউ আবার পুরাতন বইয়ের দোকান চষে বেড়াচ্ছে, পকেট খালি বলে!

কেউ বিলাসবহুল গাড়িতে বসে চিন্তিত, সন্তানগুলো মানুষ হলোনা! এতো সম্পত্তি রাখতে পারবেতো? কেউ পায়ে হেঁটে পথ চলছে, আর মনে মনে ভাবছে... সন্তানতো মানুষ করতে পেরেছি! ঈশ্বর চাইলে, ওরা নিজেরাই নিজের জীবনটা গড়ে নেবে।

নানান রঙের মানুষ,

বিভোর নানা স্বপ্নে, 

জীবন এঁকে বেড়ায়

সাদাকালো আলাপনে !!

 আসলে এটাই বাস্তবতা। সুখ এবং শান্তি সর্বদাই আপেক্ষিক।

কারো সব থেকেও "সুখ" জিনিসটাই নাই, আবার কারো বাকি সব ঘাটতি থাকলেও সুখটা আছে!

কেউ দুইবেলা খাওয়ার জন্য সারাদিন হাটে, আবার কেউ খাবার হজম করার জন্য হাটে।

জীবন যেখানে যেমন!

Friday, June 7, 2024

বাকিটা ইতিহাস

-: ১ :-

বিধবা বিবাহের পক্ষে সই ছিল মাত্র ৯৮৭টি, আর বিপক্ষে সই ছিল ৩৬,৭৬৩টি।

বাকিটা ইতিহাস।

-: ২ :-

গ্যালিলিও কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে যেদিন বলেছিলেন, "আমি আবার বলছি, সূর্য স্থির। পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘোরে। আমাকে শাস্তি দিয়েও, সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর প্রদক্ষিণ আপনারা বন্ধ করতে পারবেন না, পৃথিবী আগের মতোই ঘুরবে।" সেদিন ওনার কথায় সবাই হেসেছিলো। বিচার সভায় গ্যালিলিও-র শাস্তি হয়েছিল।

বাকিটা ইতিহাস।

-: ৩ :-

সতীদাহ প্রথার মতো জঘন্য এক সামাজিক প্রথার বিরুদ্ধে যেদিন রাজা রামমোহন রায় রুখে দাঁড়িয়েছিলেন, সেদিন সমাজের সংখ্যাগরিষ্ট মানুষ ওনাকে হাস্যাস্পদ করেছিল।

বাকিটা ইতিহাস।

-: ৪ :-

সিগনেট থেকে প্রকাশিত বিভূতিভূষণের "পথের পাঁচালী"-র সংক্ষিপ্ত সংস্করণ "আম আঁটির ভেঁপু"-র জন্য ছবি আঁকতে আঁকতেই সত্যজিতের মনে হয়েছিল, তিনি যদি কোনোদিন সিনেমা করেন, তবে এটাই হবে তাঁর প্রথম সিনেমা। সিনেমার শুটিং যখন শুরু হয়, তখন শুধু প্রযোজকরাই নন, তৎকালীন বিখ্যাত পরিচালকরাও তাঁর উপর হেসেছিলেন। অনেকে তো ওনাকে পাগল পর্যন্ত বলেছিলেন।

বাকিটা ইতিহাস।

-: ৫ :-

আজ যখন আমরা বলি - লড়াইটা আমাদের জাত নিয়ে নয়, ভাত নিয়ে; বাবরি নিয়ে নয়, চাকরি নিয়ে; অস্ত্র নিয়ে নয়, বস্ত্র নিয়ে; দীক্ষা নিয়ে নয়, শিক্ষা নিয়ে; শ্মশান বা কবরস্থান নিয়ে নয়, বাসস্থান নিয়ে - ওরা হাসে আমাদের উপর।

আমরা যখন বলি - লড়াইটা উগ্র দেশপ্রেম আর মানুষে মানুষে বিভেদ নিয়ে নয়, লড়াইটা খাদ্য বাসস্থান শিক্ষা স্বাস্থ্য নিয়ে; লড়াইটা রোজ সন্ধ্যার ওই টিভি স্টুডিওর টিকি আর দাড়ির জন্য নয়, লড়াইটা স্বাধীনতা গণতন্ত্র আর সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য - ওরা হাসে আমাদের উপর।

আমরা যখন বলি - নারীর পিরিয়ড হওয়া মানে তার শরীর অপবিত্র ঘোষণা করে দিয়ে বিভিন্ন জায়গাতে তার প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেওয়া নয় - তখনও ওরা হাসে আমাদের উপর।

ওদের হাসতে দিন। শুধু একটা কথাই মনে রেখে দিন - হাজারটা লোকও যদি একটা পুকুরকে সমুদ্র বলে, রাতারাতি পুকুরটা সমুদ্র হয়ে যায় না।

তাই প্রশ্ন এটা নয় যে আমরা পরিসংখ্যানে কত শতাংশ? প্রশ্ন এটাও নয় যে আমরা নগণ্য!

উত্তর একটাই:

পৃথিবীর সব যুদ্ধ জেতা যায় না, কিন্তু লড়াইয়ের ময়দানে থাকতে হয় - এটা বোঝানোর জন্য কেউ তো একজন ছিল, কেউ তো একজন শুরু করেছিল, কেউ তো একজন শাসকের চোখে চোখ রেখে বলতে পেরেছিলো।

রাজা তোর কাপড় কোথায়?

জেতা হারাটা‌ তো সাময়িক, জীবনে নীতিটাই সব।

সংগৃহীত।



Tuesday, February 27, 2024

বাংলা ভাষার রক্ষক মুসলিমরা

হাজার বছর আগে বাঙ্গালি জাতির মুখের ভাষা ‘বাংলা’কে কেড়ে নিয়েছিলো দক্ষিণ ভারত থেকে আগত সেন রাজারা। সেন রাজাদের হিন্দু পণ্ডিতরা ফতওয়া জারি করেছিলো, “যারা বাংলা ভাষা বলবে ও শুনবে তারা ‘রৌরব’ নামক নরকে যাবে।” ঐ সময় তুর্কি বংশোদ্ভূত ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খিলজী নির্যাতিত বাঙালীদের মুক্ত করতে এগিয়ে আসেন এবং ১২০৪ সালে মাত্র ১৮ জন ঘোড়সওয়ারী নিয়ে সেন রাজাকে পরাজিত করে বাংলাকে স্বাধীন করেন। বক্তারা বলেন, ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খিলাজীর বাংলা বিজয়ের মাধ্যম দিয়ে সেইদিন শুধু ভূমির বিজয় হয়নি, সাথে মুক্ত হয়েছিলো বাঙ্গালীদের মুখের ভাষা ‘বাংলা’।

ভাষাবিদ দীনেশ চন্দ্র সেন বলেন, “মুসলমান সম্রাটগণ বর্তমান বঙ্গ-সাহিত্যের জন্মদাতা বললে অত্যুক্তি হয় না। বঙ্গ-সাহিত্য মুসলমানদেরই সৃষ্ট, বঙ্গ-ভাষা বাঙালি মুসলমানের মাতৃভাষা।” অধ্যাপক ও গবেষক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, “যদি বাংলায় মুসলিম বিজয় ত্বরান্বিত না হতো এবং এদেশে আরো কয়েক শতকের জন্য পূ্র্বের শাসন অব্যাহত থাকতো, তবে বাংলা ভাষা বিলুপ্ত হয়ে যেত এবং অবহেলিত ও বিস্মৃত-প্রায় হয়ে অতীতের গর্ভে নিমজ্জিত হতো।”

মধ্যযুগে মুসলিম শাসকদের রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলা ভাষার যে সাহিত্য চর্চা শুরু হয়, তার মাধ্যমে বাংলা ভাষা একটি পরিপূর্ণ ভাষা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার যোগ্যতা অর্জন করে।

বাংলা ভাষাকে কলুষিত করার চেষ্টা পরবর্তীতে যুগে যুগে আরো হয়। ১৮শ’ সনে ব্রিটিশরা কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করে বাংলা ভাষার আরবী ও ফারসী শব্দ বাদ দিয়ে সংস্কৃত শব্দ প্রবেশের উদ্দেশ্যে সাহিত্য চর্চা শুরু করে। তারা দেখাতে চায়, “বাংলা ভাষার সাথে মুসলমানদের কোন সম্পর্ক নেই”।

মুসলিমদের হেয় প্রতিপন্ন করতে প্রচার করা হয়, বাংলা ভাষায় প্রথম কুরআন শরীফ অনুবাদ নাকি গিরিশ চন্দ্র সেন করেছে। অথচ ১৮৮৬ সালে গিরিশ চন্দ্র সেনের অনুবাদের বহু পূর্বে ১৮০৮ সালে বাংলা ভাষায় কুরআন শরীফের আংশিক অনুবাদ করেন মাওলানা আমীরুদ্দীন বসুনিয়া। এরপর ১৮৩৬ সনে মৌলভী নাঈমুদ্দীন পূর্ণাঙ্গ কুরআন মাজীদের বাংলা অনুবাদ সম্পন্ন করেন। অথচ এ ইতিহাস প্রচার করা হয় না।


সুত্র: খন্দকার কামরুল হুদা, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও শেখ মুজিব, ১৯৯৫ পৃ. ৩২, বাংলাপিডিয়া

Tuesday, February 20, 2024

সুখী হওয়ার উপায়

আমরা ব্যক্তি,পরিবার, বন্ধু ও কর্মক্ষেত্র দ্বারা আক্রান্ত হই।তা থেকে........ 

★ মুক্তির উপায় :-----

১. শত্রুকে কাজে লাগানো।

২. সময় চূড়ান্তভাবে মেনে চলা।

৩. সঞ্চয় থাকতে হবে।

৪. কাজের মধ্যে কাজ করতে হবে।(Work in work)


★ সুখী হওয়ার উপায় :-----

১. নিজে না করে কাজ করা/কাজ না করে কাজ করা।

২. টেনশন বিক্রি। 

৩. Minimum investment maximum profit.

৪. খরচ না করে খরচ বাঁচানো।

৫. ভাগ্যের উপর বিশ্বাস। 

৬. পাপ থেকে বিরত থাকা।কথায় আছে,

     "পরিশ্রম ধন আনে,পূণ্য আনে সুখ"

৭. আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা।

৮. প্রতিকারের উপায় না থাকলে সহ্য করতে হয়।


Monday, January 22, 2024

বই পড়ুয়াদের জন্য ৩০টি টিপস

১) বইপড়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে কঠিন কাজ হলো পড়ার জন্য বসা! অধিকাংশ মানুষের এই সুযোগটাই হয় না।

২)  পড়ার মজা বাড়ানোর একটি কার্যকরী উপায় হলো, বোরিং টপিকের বইগুলো আগে না পড়া।

৩)  একটি বই পড়লেই জীবন হয়ত পাল্টে যাবে না। কিন্তু প্রতিদিন বই পড়লে একদিন না একদিন জীবন পাল্টাবে ইনশাআল্লাহ।

৪) নতুন বইয়ের চাইতে সেসব বই বেশি পড়ুন, যেগুলো যুগ যুগ ধরে মানুষ পড়ছে।

৫) জীবনে আপনি কয়টা বই পড়েছেন, সেটা দেখার বিষয় না। দেখুন কয়টা বই আপনার ভিতরে রেখাপাত করতে পেরেছে।

৬) পড়ার সময় মনোযোগ থাকে না? মোবাইল অন্য রুমে রেখে আসুন। মনোযোগ আসতে বাধ্য।

৭) একটি ভালো বই যদি একবার পড়তে হয়, তাহলে সেরা বইগুলো বার বার পড়তে হবে।

৮) বই পড়া শুরু করতে চাইলে 'পড়ুয়া' হওয়া জরুরী না। বরং বই পড়তে পড়তেই একদিন আপনি পড়ুয়া হয়ে উঠবেন।

৯) পড়ার অভ্যাস হারিয়ে ফেলার চেয়ে একটা খারাপ বই ছেড়ে দেওয়া ভালো।

১০) কোনো বই যদি আপনার জীবনে সামান্য পরিবর্তনও এনে থাকে, তাহলে বছরে সেটা একবার হলেও পুনরায় পড়ুন।

১১) যে বই আপনার ভালো লাগেনি, সেটা নিজের কাছে না রেখে অন্যকে গিফট করে দেওয়া ভালো।

১২) বই পড়ার মোক্ষম সময় হলো, যখন আপনি মোবাইল নিয়ে পড়ে থাকেন।

১৩) সব পাঠককেই এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়, যখন সে বুঝে উঠতে পারে না তার জন্য কোন বইটি ভালো হবে।

১৪) ওপরের সমস্যাটার সমাধান হলো, সঙ্কোচ না করে বড়দের সহায়তা নেওয়া। তাহলে অনেক সময়, শ্রম দুটোই বেঁচে যাবে।

১৫) একটি সেরা বইয়ের বৈশিষ্ট্য হলো, আপনি চাইলেও সেটা দ্রুত পড়ে ফেলতে পারবেন না। কারণ, সে আপনাকে বার বার থামিয়ে দেবে, ভাবাবে।

১৬) বই পড়ার মূল উদ্দেশ্য হলো কাজে পরিণত করা। মুখস্থ নয়। সুতরাং তথ্য-উপাত্ত মনে রাখার বদলে কাজেকর্মে বাস্তবায়নে বেশি মনোযোগ দিন।

১৭) বই পড়ার অভ্যাস গড়তে চান? তাহলে প্রতিদিন ২ মিনিট করে পড়ার টার্গেট নিন। জি এত ছোট টার্গেট, যাতে আপনার মন অজুহাত দেখানোর সুযোগই না পায়।

১৮) একটি ভালো বইয়ের সারাংশ যে পড়ে, তার চাইতে ১০ গুণ বেশি উপকার পায় সেই ব্যক্তি, যে সারাংশটা লিখে। কাজেই বই পড়া শেষে সারাংশ লিখতে ভুলবেন না।

১৯) কোনো বই পড়ার পর যদি আপনার আচার-ব্যবহারে, চিন্তাভাবনায় পরিবর্তন না আসে, তাহলে বুঝে নিবেন হয় বইটি ভালো নয় অথবা আপনি কিছুই শিখতে পারেন নি।

২০) প্রচুর বই কিনলেই পাঠক হওয়া যায় না। কথা সত্য। তবে অল্প বই নিয়ম করে প্রতিদিন পড়লে একদিন ঠিকই ভালো পাঠক হয়ে যাবেন।

২১) বই কেনা মানে বিনিয়োগ করা, খরচ নয়। হতে পারে একটি ভালো বই ভবিষ্যতে আপনাকে লক্ষকোটি টাকা আয়ের রাস্তা দেখিয়ে দিচ্ছে।

২২) পড়ার জন্য মোটিভেশন নয়, বেশি দরকার পড়ার পরিবেশ তৈরি করা। একটা সাধারণ বই আপনি লাইব্রেরীতে বসে যত সহজে পড়ে ফেলতে পারবেন, একটি অসাধারণ বই কোলাহল পরিবেশে পড়া ততটাই কঠিন হবে, যদিও বইটা অসাধারণ।

২৩) যেখানেই যান, একটি বই সঙ্গে রাখুন। কারণ, আপনি জানেন না, কখন আপনি বই পড়ার জন্য বাড়তি সময় পেতে যাচ্ছেন।

২৪) একটি বইকে সর্বোচ্চ ৩বার সুযোগ দিতে পারেন (৩টি অধ্যায় পড়ার মাধ্যমে)। এরপরও যদি বইটি ভালো না লাগে, তাহলে অন্য বই ধরুন।

২৫) একজন লেখকের জন্য সবচেয়ে বড় প্রশংসার বিষয় হলো, যখন সে দেখে পাঠক তার বইটি দাগিয়ে দাগিয়ে পড়েছে, হাইলাইট করেছে, নোট টুকে রেখেছে।

২৬) ছোট বইকে কখনো তুচ্ছজ্ঞান করবেন না। কখনো কখনো ছোট মরীচে ঝাল বেশি হয়।

২৭) আপনার সমস্যা যদি অসংখ্য হয়, তাহলে বইও অসংখ্য পড়ুন। প্রত্যেক নতুন সমস্যারই নতুন বই আছে।

২৮) বই হলো শিক্ষা নেবার সবচেয়ে শর্টকাট রাস্তা। মাত্র ১০০ টাকা খরচ করে আপনি ১০০ দিনের শিক্ষা পেয়ে যেতে পারেন, কিংবা কয়েক বছরের!

২৯) অতীতের ফেলে আসা সময়গুলো যদি বই জন্য পড়ার ভালো সময় হয়ে থাকে, তাহলে আজকে থেকেই পড়া শুরু করলে সেটা হবে সর্বোত্তম সময়। 

৩০) একটি ভালো বইয়ের নাম ভুলে যেতে পারেন, বইয়ের আলোচনাও ভুলে যেতে পারেন। কিন্তু শিক্ষাটা আজীবন আপনার মনে গেঁথে থাকবে।

ধন্যবাদ জানাই সময় নিয়ে পুরোটা লিখা পড়ার জন্য।


Friday, January 19, 2024

জীবনকে কেমন করে কাটাবেন?

মাইকেল জ্যাকসন ১৫০ বছর বাঁচতে চেয়েছিলেন। কারো সাথে হাত মেলাবার সময় দস্তানা পরতেন, মুখে মাস্ক লাগাতেন।

নিজের দেখাশোনা করার জন্য বাড়িতে ১২ জন ডাক্তার নিযুক্ত করে ছিলেন,যারা তার মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত প্রতিদিন পরিক্ষা করতো। খাবার ল্যাবরেটরিতে পরিক্ষা করে খাওয়ানো হত। প্রতিদিন ব্যায়াম করানোর জন্য ১৫ জন লোক ছিল। মাইকেল জ্যাকসন ১৫০ বছর বেঁচে থাকার লক্ষ্যে এগিয়ে চলে ছিলেন। Oxygen যুক্ত বেডে ঘুমাতেন।

নিজের জন্য Organ Donar রেডি করে রেখেছিলেন। যাদের সমস্ত খরচ নিজে বহন করতেন,যাতে হঠাৎ দরকার পড়লেই তারা Kidney, Lungs, Eye etc organ মাইকেলকে দিতে পারে। পারলেন না হেরে গেলেন। মাত্র ৫০ বছরে জীবনে। 25th June 2009 সালে ওনার হৃৎপিণ্ড স্তব্ধ হয়ে গেল। নিজের ঘরে থাকা ১২ জন ডাক্তারের চেষ্টা কোনো কাজেই লাগলোনা।

Los Angeles, California র সমস্ত ডাক্তার একত্রে চেষ্টা করেও তাকে বাঁচাতে পারলেন না।

জীবনের শেষ ২৫ বছর ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া একপাও চলতেন না।

যে নিজেকে ১৫০ বছর বাঁচার স্বপ্ন দেখাতেন। তার স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল।

মাইকেল জ্যাকসনের অন্তিমযাত্রা 2.5 million লোক Live দেখেছিল,যেটা আজ পর্যন্ত সব থেকে বড় Live telecast ছিল। তার মৃত্যু দিন অর্থাৎ 25th June 2009, 3.15pm Wekipedia, Twitter, AOL's Instant messagenger বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। Google's এ 8 lakh লোক একসাথে মাইকেল জ্যাকসন সার্চ করে ছিল। অতিরিক্ত সার্চের জন্য Google traffic জ্যাম হয়ে গিয়েছিল, প্রায় আড়াই ঘণ্টা Google কাজ করেনি।

মৃত্যুকে চ্যালেঞ্জ জানাতে গিয়ে নিজেই চ্যালেঞ্জের কাছে হেরে গেলেন।

সাজানো পৃথিবীর,সাজানো জীবন স্বাভাবিক মৃত্যুর বদলে সাজানো মৃত্যুকেই আলিঙ্গন করে।এটাই নিয়ম।


(কিসের অহংকার, কিসের গর্ব,চারদিনের এই জীবনে একদিন শুন্য হাতে, খালি পায়ে পৌছে যাবেন মৃত্যুর কাছে  )

এবার একটু ভাবুন।

১. আমরা কি Builder, Engineer, Designer, Caterer, Decorator's দের জন্য রোজগার করে যাচ্ছি?

২. দামি বাড়ি,গাড়ি, বিলাসবহুল বিয়ে দেখিয়ে কাকে আমরা Impressed করছি?

৩. আপনার নিজের কি মনে আছে দুদিন আগে কারো বিয়েতে কি কি খেয়ে ছিলেন?

৪. জীবনের শুরু সময়ে কেন আমরা পশুর মত খেটে যাচ্ছি?

৫. আগামী কত Generation এর ‌জন্য খাওয়া দাওয়া, লালন পালনের ব্যবস্থা করে যাবো?

৬. আমাদের বেশিরভাগেরই 2টা করে সন্তান,কারো আবার একটা। আমাদের জীবনের প্রয়োজন কতটা আর কতটা পেতে চাই এটা কি ভেবেছেন?

৭. আপনার কি মনে হয় আপনার সন্তানেরা রোজকার করতে পারবনা,তাই তাদের জন্য অতিরিক্ত Savings করা কি এতই দরকার?

৮. আপনি কি সারা সপ্তাহে 1 দিনও নিজের পরিবার, বন্ধু বান্ধব,এমনকি নিজের জন্য খরচ করেন?

৯. আপনার মাসিক আয়ের 5% ও নিজের খুশি ও আনন্দের জন্য ব্যয় করেন?

১০. আমরা অর্থ উপার্জনের সাথেসাথে জীবনের আনন্দ কেন পাচ্ছিনা?


উত্তর হবে না না না!!!!!!!!!

ভাবতে ভাবতে হয়তো আগেই Slipp Disc, কোলস্টেরল, অনিদ্রা আপনার হার্ট ব্লক করে দেবে।

সারমর্ম

নিজের আনন্দের জন্য সময় দিন। আমরা কেউই কোনো সম্পত্তির মালিক নই, কেবল কিছু কাগজপত্রে অস্থায়ীরূপে আমাদের নাম লেখা থাকে।

যখন আমরা বলি "এই জায়গার মালিক আমি"

সৃস্টিকতা' তখন ব্যাঙ্গের হাসি হাসেন।

কারো সুন্দর গাড়ী,বাহারী পোশাক দেখে তার উপর বিচার করবেন না। 

ধনী হওয়া অপরাধ নয়, কেবল শুধুমাত্র অর্থের জন্যই ধনী হওয়া অপরাধ। জীবনকে Control করুন নাহলে জীবন একদিন আপনাকে Control করবে।"

সংগৃহীত -

Saturday, November 11, 2023

যেমন পাত্র তেমন শিক্ষা দেওয়া উচিত

জঙ্গলের রাজা বাঘ মশাই ঢাকঢোল পিটিয়ে জানিয়ে দিলো - "কোনো শিশুকে নিরক্ষর রাখা চলবে না।। সবার জন্য যথাযথ শিক্ষা সুনিশ্চিত করতে হবে।।" 

সব ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে হবে।। পড়াশুনা শেষ হলে,, সবাইকে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।। 

শুরু হলো সর্ব শিক্ষা অভিযান!!

হাতির বাচ্চা স্কুলে এলো।‌। বাঁদর,, মাছ,, কচ্ছপ,, বিড়াল,,উট ,, জিরাফ,, সবার বাচ্চা স্কুলে পৌঁছে গেলো।। 

শুরু হলো ধুমধাম করে পড়াশোনা।‌। 

"ফার্স্ট ইউনিট টেষ্ট" হলো।। হাতির বাচ্চা ফেল।। 

- "কোন সাবজেক্টে ফেল ??" হাতি এসে প্রশ্ন করে।‌। 

-- "গাছে ওঠা" সাবজেক্টে ফেল করেছে।।" 

হাতি পড়লো মহা চিন্তায়।। তার ছেলে ফেল ?? এটা কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না।।

শুরু হলো খোঁজাখুঁজি,, ভালো টিউটর পেতেই হবে।। সন্তানের শিক্ষার ব্যাপারে কোনো রকম কম্প্রোমাইজ করা যাবে না।। 

হাতির এখন একটাই টেনশন,, যেভাবেই হোক,, ছেলেকে গাছে চড়া শেখাতে হবে !! "গাছে ওঠা' সাবজেক্টে টপার করে তুলতে হবে।। 

ফার্স্ট সেশন অতিক্রান্ত।। ফাইনাল রেজাল্ট আউট হলো।। দেখা গেলো - হাতি,, উট,, জিরাফ,, মাছ,, সবার বাচ্চা ফেল।। বাঁদরের বাচ্চা টপার হয়ে গেছে।। 

প্রকাশ্য মঞ্চে বিভিন্ন গেষ্টদের আমন্ত্রিত করে,, বিরাট অনুষ্ঠান আয়োজন করা হলো।। সেখানে টপার হিসাবে বাঁদরের বাচ্চার গলায় মেডেল পরিয়ে দেওয়া হলো।। 

চুড়ান্ত অপমানিত হয়ে হাতি,, উট,, জিরাফ,, নিজ নিজ সন্তানকে দারুণ পিটুনি দিলো।। এতো টিউশন,, এতো খরচ,, এর পরেও চূড়ান্ত অসম্মান!! 

তারা মেনে নিতে পারলো না।। 

-- "ফাঁকিবাজ,, এতো চেষ্টা করেও তোর দ্বারা গাছে চড়া সম্ভব হলো না ?? নিকম্মা কোথাকার।। শিখে নে, বাঁদরের বাচ্চার কাছে শিক্ষা নে,, কিভাবে গাছে চড়তে হয়।।" 

ফেল কিন্তু মাছের ছেলেও হয়ে গেছে।। সে আবার প্রত্যেক সাবজেক্টে ফেল,, কেবলমাত্র "সাঁতার" কাটা ছাড়া।। 

প্রিন্সিপাল বললো -- "আপনার সন্তানের এ্যটেন্ডেন্স প্রবলেম।। পাঁচ  মিনিটের বেশী ক্লাসে থাকতে পারে না।।" 

মাছ নিজের সন্তানের দিকে ক্রোধান্বিত হয়ে তাকিয়ে রইলো।। 

বাচ্চা বলে --" মা-গো,, দম নিতে পারি না,, ভীষণ কষ্ট হয়।। আমার জন্য জলের মধ্যে কোনো স্কুল দেখলে হতো না ??"

মাছ বলে -- "চুপ কর বেয়াদব।। এতো ভালো স্কুল আর কোথাও খুঁজে পাবি না।। পড়াশোনায় মন দে,, স্কুল নিয়ে তোকে ভাবতে হবে না।।" 

হাতি,, উট,, জিরাফ,, নিজের নিজের ফেলিওর বাচ্চাকে পিটুনি দিতে দিতে বাড়ি ফিরে চলেছে।। পথিমধ্যে বুড়ো খেঁকশিয়ালের সঙ্গে দেখা।। 

শিয়াল বলে -- "কি হয়েছে সেটা তো বলো ??" 

হাতি বলে -- "এত বড়ো শরীর নিয়ে,, গাছে চড়তে পারলো না।। বাঁদরের ছেলে টপার হলো,, মান ইজ্জত কিছুই অবশিষ্ট থাকলো না।।" 

শিয়াল অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে।।

শিয়াল বলো -- "তোমাদের গাছে চড়ার কি প্রয়োজন সেটাই তো বুঝতে পারলাম না‌।। শোনো হাতি,, তুমি নিজের বিশালাকার শুঁড় উঠিয়ে ধরো,, গাছের সবচেয়ে বড়ো ফলটি পেড়ে ভক্ষণ করো।। তোমার গাছে ওঠা লাগবে না।।"

-- "উট ভাই,, তোমার অনেক উঁচু ঘাড় রয়েছে।। ঘাড় বাড়িয়ে দাও,, গাছের সর্বশ্রেষ্ঠ ফল,, পাতা পেড়ে খাও।।" 

-- "বোন মাছ,, তোমার সন্তানকে নদীর স্কুলে ভর্তি করে দাও।। ওকে মনভরে সাঁতার কাটতে শেখাও।। দেখবে,, একদিন তোমার ছেলে নদী অতিক্রম করে সমুদ্রে পাড়ি দেবে।। সাত সমুদ্র পার করে,, তোমার নাম উজ্জ্বল করে দেবো।। ওকে রাজার স্কুলে মোটেও পাঠিও না।। ও মারা যাবে।।" 

মনে রাখতে হবে,, *শিক্ষা আপনার সন্তানের জন্য,, শিক্ষার জন্য আপনার সন্তান নয়*

 প্রত্যেক শিশুর মধ্যেই কিছু না কিছু স্পেশালিটি আছে।

আমাদের দায়িত্ব হলো, সেটা খুঁজে বের করা। তাকে সঠিক পথ দেখিয়ে দেওয়া। তাহলেই দেখবেন,, সে নিজেই নিজের গন্তব্য খুঁজে নেবে।

[সংগৃহীত]


Wednesday, October 18, 2023

সময় ও বিভিন্ন জয়ন্তী সম্পর্কে গণনার একক জেনে নিই


Every 25 years = Silver Jubilee --- রজত জয়ন্তী।
Every 50 years = Golden jubilee --- সুবর্ণজয়ন্তী / স্বর্ণ জয়ন্তী ।
Every 60 years = Diamond Jubilee --- হীরক জয়ন্তী।
Every 75 years = Platinum Jubilee --- প্লাটিনাম জয়ন্তী।
Every 100 years = Centenary jubilee--- শতবার্ষিকী পূর্তি।
Century --- শতাব্দী।
Centennial -- শতবার্ষিকী।
Every 150 years = Sesquicentennial celebration---সার্ধশত বাষির্কী
Every 175 years = Dodransbicentennial / Dodransbicentennial celebration---
বিঃদ্রঃ
Dodrans is a Latin contraction of de-quadrans which means "a whole unit less a quarter" (de means "from"; quadrans means "quarter"). 175 years is a quarter century less than the next whole (bi)century or 175 = (−25 + 200).
Every 200 years = Bicentenary/ Bicentennial celebration--- দ্বিশতবার্ষিকী।
Every 300 years = tercentennial / tercentenary celebration---ত্রিশতবার্ষিকী।
Every 400 years = Quatercentenary / Quatricentennial celebration---চারশত বছর পূর্তি।
Every 500 years = Quincentenary / Quincentennial celebration----পঞ্চশতবার্ষিকী ।
Every 600 years = Sexcentenary / sexcentennial celebration---৬০০ বছর পূর্তি।
Every 700 years = Septcentennial ---৭০০ বছর পূর্তি।
Every 800 years = Octocentenary ---৮০০ বছর পূর্তি।
Every 900 years = Nonacentennial ---৯০০ বছর পূর্তি।
Every 1000 years = Millennial ---১০০০ বছর পূর্তি।
( যদি টাইপিং মিস্টেক হয়, ক্ষমা প্রার্থী)
......To be continued
Wʀɪᴛᴛᴇɴ & Eᴅɪᴛᴇᴅ Bʏ : S M Shamim Ahmed

Sunday, September 24, 2023

__তুর্কীরা তাদের সন্তানদের "সিংহ-বাঘ" এর পরিবর্তে নেকড়ের সাথে তুলনা করে থাকে

কারণঃ-

১]>>>নেকড়েকে আরবিতে "ইবনে আল-বার" বলা হয় যার অর্থ "ভাল ছেলে" কারণ যখন তার বাবা-মা বৃদ্ধ হয়, তখন তারা তাদের জন্য শিকার করে এবং তাদের যত্ন নেয়। 

 ২]>>>নেকড়ে" কখন ও তার স্বাধীনতার সাথে আপোষ করে না এবং কারও দাস হয় না, যখন সিংহ সহ প্রতিটি প্রাণীকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বস করা যায়, কিন্তু নেকড়েকে করা যায়না ।

৩]>>>নেকড়ে কখনও মৃত খাবার খায় না এবং পুরুষ নেকড়ে মহিলা নেকড়ের দিকে তাকায় না। তারা এত বিশ্বস্ত যে পুরুষ নেকড়ে তার একমাত্র স্ত্রী নেকড়ে ব্যতিত অন্য কারো সাথে সম্পর্ক করেনা। এবং স্ত্রী নেকড়েও তার অংশীদার নেকড়ের অনুগত থাকে ।

Friday, June 9, 2023

বিখ্যাত মনীষীর উক্তি


  একজন নারী যদি জানতো- পুরুষেরা তার দিকে কীভাবে তাকায় - তবে সে কাপড় দিয়ে নয় লোহা দিয়ে নিজের পোশাক তৈরী করতো...!!    -হযরত আলী (রা)

অসৎ লোকের ধন দৌলত পৃথীবিতে সৃষ্ট জীবের বিপদ আপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
—- হযরত আলী (রঃ)

তুমি জান্নাত চেয়ো না বরং তুমি দুনিয়াতে এমন কাজ করো যেন জান্নাত তোমাকে চায়....
হযরত আলী (রাঃ)

বিকাশের ক্ষেত্র না পেলে প্রতিভা ও শক্তি ক্রমশ ম্লান হয়ে বিনষ্ট হয়- শেখ সাদী

 Supervision is the touchstone of success.

 The eyes are useless when the mind is blind.

 একদিন সোনা লোহা কে  বললোআমাদের দু'জনেকেই  লোহার হাতুড়ি মারা হয়, কিন্তু তুমি এতো চেঁচামেচি করো কেনো?? লোহা তখন বললোনিজেকে যখন নিজের কেউ আঘাত করে! তখন  ব্যাথা অসহ্য লাগে😭

গ্রামীণ প্রবাদ-প্রবচন,

"টডি নডি ছ আনা

গায়ের জোরে ন আনা
বুদ্ধিয়ে হাজার
কপালে অপার।"

 প্রিয়তমা ওগো, যখনই রাখি ঠোঁট তোমার ঠোঁটে,

লুকায়িত অস্ত্র আমার সহসা কাঁপিয়া উঠে।। [ সংগৃ

 হীত ]

★ If you know yourself and your enemy then you need not fear the results of a thousand battles.
 [Sun zhu,the art of war]

Recent Post

সুভা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর   জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ১. সুভার বাবার নাম কি? ২. সুভা কোথায় বসে থাকত? ৩. সুভা জলকুমারী হলে কী করত? ৪. সুভার গ্রামের নাম কী? ৫...

Most Popular Post