Ad-1

Showing posts with label একান্ত ভাবনা. Show all posts
Showing posts with label একান্ত ভাবনা. Show all posts

Sunday, October 1, 2023

আজ একটা কোচিং-এ একটা স্টুডেন্টকে ক্লাসে দুষ্টুমি করার কারণে ক্লাস থেকে বের করে দিলাম।আমি ক্লাস থেকে বের হয়ে দেখলাম স্টুডেন্টটা রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে আমার অপেক্ষায়।আমাকে দেখে কাছে এসে বলল,স্যার এভাবে আপনি সবার সামনে অপমান করলেন?তাও কত গুলো মেয়ে ও ছেলেদের সামনে থেকে???ওরা সবাই আমার দিকে তাকিয়ে রয়েছিল।

আমি বললাম,এটাকে তুমি অপমান মনে করছ?এটা তো অপমান না,তুমি যে আচরণ করছ সে আচরণে ভবিষ্যতে তুমি অনেক মানী ও সম্মানী হতে পারবে না বলে আজ তোমাকে অপমান করে বের করে দিলাম।তুমি কি ভবিষ্যতে আজকের চেয়ে ৫০ গুন সম্মানী হতে চাও???

বলল,জী,হ্যাঁ।

কিন্তু আজকের আচরণ তোমাকে ৫০ গুণ সম্মানী  হতে দেবে না।তাই আমি আজ তোমাকে অপমান করে বের করে দিলাম।সে সঙ্গে বললাম,কখনো শিক্ষকের কাছ থেকে পাওয়া অপমানকে অপমান মনে করিও না, বরং সেটাকে মানী হওয়ার সোপান মনে করিও।শিক্ষক তোমার মানের আগে যুক্ত হওয়া সম্ভানাময় অপ টাকে দূর করার জন্যই এ ব্যবস্থাগুলো নেয়।

মনে করো,একজন স্টুডেন্ট শত শত মানুষের সামনে শিক্ষককে পায়ে ধরে সালাম করলো,এটা কি ছাত্রের জন্য অপমান????

:না,স্যার।

:এটা যদি অপমান না হয় তাহলে সামান্য কয়েকজন স্টুডেন্টের সামনে থেকে বের করে দেওয়াটাতে অপমান বোধ করছ কেন????

এটা বলার পর দেখলাম,স্টুডেন্টটা মোমের মতো গলে গেল।এতটা বিনয়ী হয়ে গেল যে মনে হলো ওর ঘাড়টা সারা জীবনের জন্য বাঁকা করে দিলাম।এখন প্রশ্ন হলো

#ঘাড়_বাঁকা_করে_দেওয়ার_মানে_কি?

আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ স্যার একবার বলেছিলেন,আমার সামনে যদি দশজন বড় বড় অফিসার দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয় তার মধ্যে আমার স্টুডেন্ট কোনটা আমি তা বেঁচে নিতে পারব।কিভাবে?

ওই যে ঘাড় বাঁকা করে হাত দুটো সামনে এনে ভাঁজ করে বিনয়ের ভঙ্গিতে দাঁড়ানোতে বুঝে যাব ও আমারই স্টুডেন্ট ছিল।

ও....ই যে ঘাড় বাঁকা করেছিল সেটা সে বড় অফিসার হয়েও এখনো সোজা করতে পারেনি এবং পারবেও না।

লেখক 

জহির উদ্দীন 

বি.এ(অনার্স),এম.এ(বাংলা), এলএলবি

তারিখ : ০১/১০/২৩

Saturday, July 30, 2022

সালাম দেব নাকি গুড মর্নিং বলব

اسلام قبل الكلام۔

কথা বলার পূর্বে বা শুরুতে সালাম দেওয়া উচিত।

সালাম অর্থ শান্তি। 

আমি আমার ক্লাসে প্রবেশ করলে স্টুডেন্টরা যখন বলে 'গুড মর্নিং '- তখন আমি বলি,তোমরা আমাকে গুড মর্নিং বলিও না,তোমরা আমাকে বলবে "আসসালামু আলাইকুম"।

কারণ গুড মর্নিং মানে আপনার সকালটা সুন্দর হউক।

তার মারে তোমরা কামনা করছ যে,আমার বিকেলটা সুন্দর না হউক।

যদি গুড ইভনিং, গুড নাইট - তার মানে সন্ধ্যাটা বা রাতটা সুন্দর হউক।পরবর্তীটা নয়।

এরকম হিসেব করলে আমরা দেখি,সময়ের পরিবর্তনে তাদের ভাষাটাও পরিবর্তন হচ্ছে। যাতে নির্দিষ্ট সময়ের শুভ কামনা করা হয়, পরবর্তী সময়ের নয়।

কিন্তু ইসলামের বাণী কতটাই না সুন্দর।সকাল, সন্ধ্যা,রাত একই কথার মাধ্যমে কল্যাণ কামনা করা হয়। 

যাতে মুসলমানদের এক কথার উপর অটল থাকার নির্দেশ দেয় এবং সর্বদা শান্তি কামনা করা হয়। 

Friday, November 1, 2019

পরীক্ষায় ফেইল নিয়ে ভাবনা।

আজ থেকে প্রায় পাঁচ সাত বছর আগে মহেশখালি গিয়েছিলাম।রবীন্দ্রনাথের 'ছুটি' গল্পের নায়ক 'ফটিক' এর সমবয়সী এক ছেলেকে দুপুরের প্রচণ্ড তাপদাহে লবণের মাঠে কাজ করতে দেখে তার বাবাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম,"আপনার ছেলে পড়া-লেখা করে না?"
বলল; পড়ত।এখন পড়ে না।আষ্ট কেলাস পর্যন্ত পইরগে।আষ্ট ক্লাসর সরকারি পরীক্ষায় (মানে জে এস সি পরীক্ষায়) অংকে ফেল করার পর আমার সঙ্গে মাঠে নিয়ে এসেছি।আর কি পড়া লেখা করবো।তখন থেকে ভাবছি এটা নিয়ে লিখব,কিন্তু লেখা হয়ে ওঠেনা।মাঝখানে ভুলেই গিয়েছি লিখতে,আজ হঠাৎ মনে পড়লো।
তারপর ভাবছি,,,,,,
এভাবে হয়তো একজন রিকশা ওয়ালার ছেলে জে এস সি পরীক্ষা দিল,সে সব সাবজেক্টে পাশ করেছে শুধু গণিতে ফেইল করেছে।তার ফলে রেজাল্টের পরের দিন বাবা ছেলেকে ডেকে বলেছে তোকে দিয়ে আর পড়া লেখা হবে না,চল তোরে রিকশা চালানো শিখায়।আর বাবা জেলে হলে বলে, চল মাছ ধরানো শিখায়।ড্রাইভার হলে বলবে,গাড়ি চালানো শিখায়।কৃষক হলে বলবে,চল আমাকে সাহায্য করতে ফসলের মাঠে ।কিংবা বলবে, আমি তো এই রকম কাজ করে জীবনটা শেষ করে দিলাম,চল তুই আমার চেয়ে সামন্য একটু উঁচু মানের ভাল কাজ শিখে নেয়।এভাবে একটা ছেলের পড়া লেখার জীবন শেষ হয়ে যায় এবং এভাবে আমাদের সমাজ ওকে পড়া লেখা থেকে বঞ্চিত করে দিল।
অথচ সেই ছেলেটি ক্লাস Nine/Ten/eleven /twelve এ গিয়ে কোন এক ব্যক্তির সংস্পর্শে এসে যে গণিত সাব্জেক্টে এত খারাপ করলো সে গণিত সাব্জেক্টিকে এত ভালো করে বুঝা শুরু করে দিল যে,গণিতই তার একমাত্র ধ্যান জ্ঞান হয়ে উঠল।অনুরূপভাবে গণিত ছাড়া অন্য সাবজেক্টেও একই রকম হতে পারে।যেমন :কেউ বাংলায় ফেল করে,কেউ ইংরেজিতে, কেউ বা বিজ্ঞানে ফেইল করে।আসলে জীবন কখন, কীভাবে যে কার সংস্পর্শে এসে জীবনের mood পাল্টে যায় সেটা কেউ জানে না।কিন্তু আমাদের সমাজ ব্যবস্থা জীবনের mood পাল্টে দেওয়ার আগে জীবনটাকে পাল্টে দিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়।সে জন্য আমি মনে PECE,JSC,SSC,HSC পরীক্ষায় ফেইল বলে কিছু থাকবে না।কেউ যদি একটা সাব্জেক্টে ১০ নাম্বারও পায় সে যেন সে ক্যাটাগরির গ্রেড বিশিষ্ট সার্টিফিকেট পায়।যেমন:
৮০-১০০ =A+
৭০-৭৯ =A
৬০-৬৯ =A-
৫০-৫৯ =B
৪০-৪৯ =C
৩০-৩৯ =D
২০-২৯ =E
১০-১৯ = F(এ গ্রেডটা না দেওয়া ভালো,যেহেতু এ গ্রেডের উপর মানুষের নেগেটিভ ভাব আছে) or Z grade.
এভাবেই ব্যাবস্থা করাই সরকারের উচিত বলে মনে করি।প্রয়োজনে তাকে F বা Z গ্রেড বিশিষ্ট সার্টিফিকেট যেন দেওয়া হয়।এতে করে একজন ছেলে F/Z গেডে হলেও যে HSC পাস করেছে তার একটা ডকুমেন্ট হলেও থাকবে।অন্তত ফেইল করে আত্মহত্যা করা থেকেও অনেকের জীবন বাঁচবে এবং নিজেকে কিছুটা হলেও শিক্ষিত ও আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে।এতে সমাজে শিক্ষিতের সংখ্যা বাড়বে,সমাজ আরো আলোকিত হবে।হয়তো তারাই একদিন তার PECE/JSC ফেইল করা সাব্জেক্টের জন্য জগদ্বিখ্যাত হয়ে যাবে।
তবে HSC পর্যন্ত সব গ্রেড মিলিয়ে যদি সে কম গ্রেড বা মানসম্মত গ্রেড না পায় সে আর উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পাবে না।যেমন: PECE+JSC+SSC+HSC মিলে মোট ১২/১৫ পয়েন্ট বা আলোচনা সাপেক্ষ কোন পয়েন্ট না পায় সে আর উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পাবে না।আগামী বছর থেকে CGPA পদ্ধতিতে রেজাল্ট হবে তাতে ৪০ মার্ক্সে পাস, তাতে তো আরও কঠিন হবে পাস করা।ঝরে পড়বে অসংখ্য শিক্ষার্থী,অজ্ঞতার অন্ধকারে তলিয়ে যাবে অসংখ্য শিক্ষার্থীর জীবন,শিশুর মেরুদণ্ড গড়ে ওঠার আগে পাস পরিমাপের মাপকাঠি দিয়ে ভেঙে দিব তার মেরুদণ্ড।তবে আমি CGPA এর বিপক্ষে নয় ফেইলের বিপক্ষে।
কিছু ছবি কথা বলে....



লেখক ও শিক্ষাবিদ
জহির উদ্দীন।
বি.এ(অনার্স),এম.এ(বাংলা),এলএল.বি।

Recent Post

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯

১. ‘ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ ’ কবিতায় সালামের হাতে কেন অবিনাশী বর্ণমালা ঝরে ? ক. সংগ্রামী চেতনার কারণে     খ. দুঃখিনী মাতার অশ্রুজল দেখে গ. বরকত...

Most Popular Post