Ad-1

Showing posts with label স্বাস্থ্য বিধি. Show all posts
Showing posts with label স্বাস্থ্য বিধি. Show all posts

Thursday, July 2, 2020

মধুর উপকারিতা

কেন খাবেন মধু? জেনে নিন মধুর প্রধান ১৬ টি রোগের কার্যকরী ব্যবহার ও সতর্কতা
*****************************************

মধু একটি খুব উপকারী খাদ্য, পথ্য ও ঔষধ।। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এ সমস্ত গুণাগুণ আমাদের অনেকেরই অজানা। 
আজ আমরা মধুর এই সমস্ত গুনাবলি সম্পর্কে জানবো।
তরল মধু নষ্ট হয় না, কারণ এতে চিনির উচ্চ ঘনত্বের কারণে প্লাজমোলাইসিস প্রক্রিয়ায় ব্যাকটেরিয়া মারা যায়। প্রাকৃতিক বায়ুবাহিত ইস্ট মধুতে সক্রিয় হতে পারে না, কারণ মধুতে পানির পরিমাণ খুব অল্প। প্রাকৃতিক, অপ্রক্রিয়াজাত মধুতে মাত্র ১৪% হতে ১৮% আর্দ্রর্তা থাকে। আর্দ্রর্তার মাত্রা ১৮% এর নিচে যতক্ষণ থাকে, ততক্ষণ মধুতে কোন জীবাণু বংশবৃদ্ধি করতে পারে না। পাস্তুরাইয্‌ড মধুতে মধুর প্রাকৃতিক ঔষধি গুণাবলী হ্রাস পায়।

মধুতে প্রায় ৪৫টি খাদ্য উপাদান থাকে। 

মধুর বিভিন্ন উপকারিতা সমূহ:

১)  হজমে সহায়তা :-
এতে যে শর্করা থাকে তা সহজেই হজম হয়। কারণ এতে যে ডেক্সট্রিন থাকে তা সরাসরি রক্তে প্রবেশ করে এবং তাৎক্ষণিকভাবে ক্রিয়া করে।পেটরোগা মানুষদের জন্য মধু বিশেষ উপকারি।

২) কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে :-
মধুতে রয়েছে ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।১ চা চামচ খাঁটি মধু ভোরবেলা পান করলে কোষ্ঠবদ্ধতা এবং অম্লত্ব দূর হয়।

৩) রক্তশূন্যতায়  :-
মধু রক্তের হিমোগ্লোবিন গঠনে সহায়তা করে বলে এটি রক্তশূন্যতায় বেশ ফলদায়ক।কারণ এতে থাকে খুব বেশি পরিমাণে কপার, লৌহ ও ম্যাঙ্গানিজ।

৪) ফুসফুসের যাবতীয় রোগ ও শ্বাসকষ্ট নিরাময়েঃ  

বলা হয়, ফুসফুসের যাবতীয় রোগে মধু উপকারী।  কেউ কেউ মনে করেন, এক বছরের পুরনো মধু শ্বাসকষ্টের রোগীদের জন্য বেশ ভালো।

 ৫) দাঁতের সমস্যা মধু:- 
 ‎এটা দাঁতের ওপর ব্যবহার করলে দাঁতের ক্ষয়রোধ করে। দাঁতে পাথর জমাট বাঁধা রোধ করে এবং দাঁত পড়ে যাওয়াকে বিলম্বিত করে।মধু রক্তনালিকে সম্প্রসারিত করে দাঁতের মাড়ির স্বাস্থ্য রক্ষা করে। যদি মুখের ঘায়ের জন্য গর্ত হয়। এটি সেই গর্ত ভরাট করতে সাহায্য করে এবং সেখানে পুঁজ জমতে দেয় না। মধু মিশ্রিত পানি দিয়ে গড়গড়া করলে মাড়ির প্রদাহ দূর হয়।

৬) পাকস্থলীর/ গ্যাস্ট্রিক কমাতে :
মধু পাকস্থলীর কাজকে জোরালো করে এবং হজমের গোলমাল দূর করে। এর ব্যবহার হাইড্রোক্রলিক এসিড ক্ষরণ কমিয়ে দেয় বলে অরুচি, বমিভাব, বুক জ্বালা এগুলো দূর করা সম্ভব হয়।

৭) ডায়রিয়া/ পানি শূন্যতা :-
ডায়রিয়া হলে এক লিটার পানিতে ৫০ মিলিলিটার মধু মিশিয়ে খেলে দেহে পানিশূন্যতা রোধ করা যায়।

৮) রক্ত পরিষ্কারক :-
এক গ্লাস গরম পানির সাথে এক বা দুই চামচ মধু ও এক চামচ লেবুর রস মেশান। পেট খালি করার আগে প্রতিদিন এই মিশ্রন খান। এটা রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। তাছাড়া রক্তনালীগুলোও পরিষ্কার করে।

৯) গ্যাস্ট্রিক-আলসার থেকে মুক্তি :-
হজম সমস্যার সমাধানেও কাজ করে মধু।একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, গ্যাস্ট্রিক-আলসার থেকে মুক্তি পেতে একজন ব্যক্তি দিনে তিনবেলা দুই চামচ করে মধু খেতে পারে।

১০) হৃদরোগে :-
এক চামচ মৌরি গুঁড়োর সাথে এক বা দুই চামচ মধুর মিশ্রণ হৃদরোগের টনিক হিসেবে কাজ করে। এটা হৃদপেশিকে সবল করে এবং এর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

১১) রোগ প্রতিরোধে :-
সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় দেখা যায়, সুপারবাগ ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ প্রতিরোধে মধু অত্যন্ত কার্যকর।বিভিন্ন ভাইরাসের আক্রমণে বিভিন্ন রোগ প্রায়ই দেহকে দুর্বল করে দেয়। এসব ভাইরাস প্রতিরোধে মধু খুবই কার্যকর।

১২) ঠান্ডা জনিত সমস্যা:-
পেনসিলভানিয়া স্টেট কলেজ অব মেডিসিনের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, এক চামচ মধু বিভিন্ন সর্দির ওষুধ থেকেও অনেক বেশি কার্যকর।মধুর এই ঠাণ্ডাজনিত রোগনিরোধী গুণের কথা বলা হয়েছে এই গবেষণায়,যা কবিরাজি মতে আগে থেকেই প্রতিষ্ঠিত.

১৩) উপকারী।প্রাচীন কাল তেকে গ্রিস ও মিশরে ক্ষত সারাইয়ে মধু ব্যবহৃত হয়ে আসছে।সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পরীক্ষায় দেখা গেছে অধিকাংশ ক্ষত ও জখমের উপশমে মধু ডাক্তারী ড্রেসিং-এর চেয়েও বেশী কার্যকর। অগ্নিদগ্ধ ত্বকের জন্যও মধু খুব উপকারী।

১৪) দৃষ্টিশক্তি ও স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করে।

১৫) মধুর রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষমতা, যা দেহকে নানা ঘাত-প্রতিঘাতের হাত থেকে রক্ষা করে ।

১৬) অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে ও কোষকে ফ্রি রেডিকেলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।

মধুর গুণাগুণ এর কথা বলে শেষ করা যাবে না। মধুর অসংখ্য গুণাগুণ আছে যা আপনার স্বাস্থ্যের সুরক্ষায় অগ্রগন্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম।

সতর্কতা :-
মধু সব রোগের মহৌষধ হলেও একটি কথা থেকেই যায়, সেটি হলো ডায়াবেটিস রোগের ক্ষেত্রে মধু খুবই বিপজ্জনক। কারণ এটি রক্তে সরাসরি শোষিত হয় বলে সহজেই দেহের রক্ত শর্করাকে উচ্চস্তরে নিয়ে আসবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। সুতরাং ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মধু গ্রহণ নিষেধ।

দ্বিতীয়ত যারা anti-coagulant জাতীয় ঔষুধ খায় তাদের মধু না খাওয়াই ভালো।

আর যাদের auto immune disease আছে যেমনঃ ১) Systemic lupus erythrometasus.  2) Marfan syndrome.                                  
তাদের মধু না খাওয়াই ভালো ।                 
~~~~~~~~~~~~~
Md Sojib Khan
https://www.facebook.com/Khansojib51

Thursday, June 13, 2019

ভাইরাস জ্বর প্রতিকারে আপনার করণীয়:


ঠান্ডা গরমের এই সময় এক প্রকার জ্বরের আবির্ভাব দেখা যাচ্ছে যাকে বলা হচ্ছে ভাইরাস জর মুলত ভাইরাস জ্বর একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা।ভাইরাস জ্বর হলে ভাইরাস আক্রমণের দুই থেকে সাত দিন পর জ্বর হয়। শীত শীত ভাব, মাথাব্যথা, শরীর ও গিরায় ব্যথা, অরুচি, ক্লান্তি, দুর্বলতা, নাক দিয়ে পানি পড়া, চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখ লাল হওয়া, চুলকানি, কাশি, অস্থিরতা ও ঘুম কম হতে পারে। অনেকের পেটের সমস্যা, বমি ও ডায়রিয়া হয়। শিশুদের ক্ষেত্রে ভাইরাসের সংক্রমণে পেটব্যথাও হতে পারে। আজকের লেখাতে আমরা জানবো এই ভাইরাসের জ্বরের প্রতিকারে আপনার করণীয় সম্বন্ধে ।

চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ভাইরাস জ্বর প্রতিকারে যা করতে হবে সেই সম্বন্ধেঃ

ভাইরাস জ্বর সাধারণত তেমন কোনো ভয়াবহ রোগ নয়। ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হলে খুব বেশি চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। কোনো অ্যান্টিবায়োটিকেরও প্রয়োজন হয় না। জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল খেলেই হয়। তবে প্রচুর পানি পান করতে হবে এবং সেই সঙ্গে নিতে হবে বিশ্রাম। ভাইরাস জ্বর হলে খাবারের বিষয়ে সচেতন হতে হবে।

(১) অনেকে মনে করেন, ভাইরাস জ্বর হলে গোসল করা যাবে না। এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। গোসল করতে বাধা নেই। খুব ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে শরীর মুছে দেওয়া ভালো। দরজা, জানালা ও ফ্যান বন্ধ করে ঘরকে গুমোট করে রাখবেন না। জানালা খুলে হালকা গতিতে ফ্যান ছেড়ে দেওয়া ভালো। সাধারণত কয়েক দিনেই ভাইরাস জ্বর ভালো হয়ে গেলেও এর ফলে শরীরে যে ক্লান্তি ও অবসাদ আসে, তা দুই থেকে তিন সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।

(২) খাবারের মধ্যে ভিটামিন সি ও জিঙ্কযুক্ত খাবার প্রাধান্য দিতে হবে। সাবধানে চলাফেলা করতে হবে। গরম এড়িয়ে চলতে হবে। পরিশ্রমের কারণে শরীরে ঘাম দেখা দিলে অবশ্যই পরিস্কার করতে হবে। যারা কর্মসংস্থানের কারণে অধিকাংশ সময় অফিসের বাহিরে থাকতে হয় তারা অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করবে।

(৩) পোষাক হতে হবে অবশ্যই আরামদায়ক ও ঢিলেঢলা। যাতে খুব সহজে শরীরের ঘাম বের হয়ে যায়। বিশেষ করে যারা শ্রমিক, বাচ্চা এবং বয়স্কদের বাড়তি সর্তক থাকতে হবে। এছাড়া রাস্তার খোলা খাবার পরিত্যাগ করে হবে সঙ্গে সঙ্গে সম্ভব হলে বাড়িতে তৈরি খাবার গ্রহণ করতে হবে। তবে যারা ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হবে তাদের অবশ্যই কিছুক্ষণ পর পর শরীর পাতলা গামছা বা কাপড় দিয়ে স্পঞ্জ করতে হবে ও মাথায় পানি দিতে হবে। শরীর গরম হলেই থার্মোমিটার দিয়ে তাপমাত্রা মেপে ওষুধ খেতে হবে। জ্বর আক্রান্ত স্থায়িত্বকাল ৪-৫ দিন। তবে জ্বরের তীব্রতা বাড়লে অবশ্যই ডাক্তারের পরার্মশ নিতে হবে।

(৪) এছাড়া ভাইরাস জ্বর হলে রোগীকে তরল জাতীয় খাবার যেমন, স্যুপ, ফলের শরবত, স্যালাইন, লেবুর শরবত, ডাবের পানি খেতে হবে। পাশাপাশি প্রচুর পানি পান করতে হবে। খাবারের তালিকায় মৌসুমী ফলও খুবই উপকারী। যেমন- আনরস, আম কলা, খোসাযুক্ত ফলা খাদ্য তালিকায় রাখা ভাল। রোগীকে সব সময় মশারির নিচে রাখতে হবে। গলা ব্যথা থাকলে কুসুম গরম পানি খেতে হবে।

তাহলে জেনে গেলেন তো ভাইরাস জ্বর হলে আপনাকে কি করতে হবে। তাই এখন যেহেতু প্রতিকার আপনার জানা তাই আপনার কিংবা আপনার পরিবারের কারো এই ভাইরাস জ্বর হলে এই পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করুন এবং অতিরিক্ত জ্বরে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন সুস্থ থাকুন সবসময়।

সুত্রঃ ডা. আবু সাঈদ, শিশু বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ইন্টারনেট হতে সংগ্রহ)

Friday, May 31, 2019

নবজাতকের কিছু সাধারণ সমস্যা ও সমাধান


নবজাতক ও শিশুদের মায়েরা প্রায়ই কিছু সমস্যা নিয়ে আসেন, যার একমাত্র চিকিৎসা হচ্ছে আশ্বস্ত করা। এই সমস্যাগুলো খুবই সাধারণ, অধিকাংশ ক্ষেত্রে ওষুধ লাগে না, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভুল কিংবা অতিচিকিৎসার সম্মুখীন হতে হয়। মায়েদের সচেতনতার জন্য এমন কিছু আপাত ‘নিরীহ’ সমস্যার সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি।

১। নবজাতকের চামড়ায় লাল ছোপ : থমা টক্সিকাম। এই লাল ছোপ দাগ দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় দিন বয়সে দেখা যায়, প্রথম সপ্তাহের মধ্যে অদৃশ্য হয়ে যায়। কোন ওষুধের প্রয়োজন নেই। এছাড়া লালের মাঝে সাদা সাদা দানা, ঠোঁটে, আঙুলে, হাতে পানি দানা উঠতে পারে। এগুলোও কোন ওষুধ ছাড়াই ভালো হয়ে যায়।
২। দুধ বমি : দুধ খাওয়ার সময় বাতাস খেয়ে ফেলা, কাশি দেয়া, অতিরিক্ত কান্না এসবের জন্য নবজাতক শিশু দুধ বমি করতে পারে। এই বাচ্চাদের খাদ্যনালী এবং পাকস্থলীর সংযোগস্থল বড়দের চেয়ে আলগা হয়ে থাকে। শিশুর ওজন বৃদ্ধি এবং বিকাশ সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে চললে চিন্তার কিছু নেই। ছয় মাস থেকে দুই বছরের মধ্যে এই সমস্যা ওষুধ ছাড়াই সেরে যায়।
৩। পায়খানার তারতম্য : নবজাতক যদি শুধুমাত্র বুকের দুধ খায়, ওজন বৃদ্ধি এবং বিকাশ সঠিক থাকে তাহলে মলত্যাগের ধরণ নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। সম্পূর্ণ সুস্থ বাচ্চা এমনকি দিনে কুড়ি পঁচিশবার পায়খানা করতে পারে, আবার চার পাঁচদিনে একবার করেও মলত্যাগ করতে পারে। দুটিই স্বাভাবিক বলে ধরা যায়।
৪। নাভির হার্নিয়া : অনেক শিশুর নাভির হার্নিয়া যদিও ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে, কিন্তু এক বছরের মধ্যে বিনা ওষুধে মিলে যায়।
৫। গলায় আওয়াজ, বুক ঘরঘর করা : ‘ল্যারিন্গোম্যালাশিয়া’ সমস্যা হলে জন্মগতভাবে শিশুর গলার স্বরনালী নরম থাকে, নিঃশ্বাস নেয়ার সময় সরু হয়ে যায়, ঘরঘর শব্দ হয়। মা এসে বলে, বাচ্চা নাক ডাকে, কিংবা সারাক্ষণ ঠা-া (ঘরঘরকে বুকে কফ জমে থাকা ভেবে) লেগে থাকে। এই মায়েদের নিশ্চিন্ত করে বলা যায়, বারো থেকে আঠারো মাসের মধ্যে এই সমস্যা মিশে যাবে। কোন ওষুধের প্রয়োজন নেই।
৬। কান্না আর ঘুম নিয়ে উদ্বেগ : কান্না শিশুদের একমাত্র ভাষা। অনেক কারণেই এই নবজাতক শিশু কান্না করতে পারে। ক্ষুধা, বিরক্তি, ঘুম, পেশাব পায়খানা, অবস্থার পরিবর্তন, মায়ের সঙ্গলাভ অনেক কারণেই সম্পূর্ণ সুস্থ বাচ্চা অতিরিক্ত কান্না করতে পারে। এছাড়া অনেক মা বলে থাকেন বাচ্চা পেট মোচড় দিয়ে কান্না করে। এক্ষেত্রে বাচ্চাকে কাঁধে নিয়ে ঢেঁকুর তোলানো যেতে পারে। ওষুধের (যেমন- সিমিথিকন, গ্রাইপ ওয়াটার, ফেনোবারবিটন) কিংবা কৌটার দুধের কোন ভূমিকা নেই। চব্বিশ ঘণ্টায় কমপক্ষে পাঁচ ছয়বার পেশাব করলে পর্যাপ্ত দুধ পাচ্ছে ধরে নেয়া যায়। ঘুমের ব্যাপারে বলা যায়, জন্মের পরপর নবজাতক শিশু দিনে আঠারো কুড়ি ঘণ্টা ঘুমাতে পারে, যা বয়স বাড়ার সাথে কমতে থাকে। আবার হালকা ঘুমের স্বাভাবিক বাচ্চাও প্রচুর পাওয়া যায়।
৭। মেয়ে নবজাতকের যোনি পথ দিয়ে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক কারণে রক্ত যেতে পারে। এতে ভয়ের কিছু নেই।
৮। অপরিপক্ব মস্তিষ্কের জন্য অনেক শিশুর পা কাঁপতে থাকে, যা ধরলে থেমে যায়। কোন ওষুধ লাগে না।
৯। জন্মের দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় দিনের মধ্যে একধরনের জন্ডিস হয়, যা খুব বেশি মাত্রায় বাড়ে না, ধীরে ধীরে কমে যায়। বাচ্চা অন্য সবদিক দিয়ে ভালো থাকলে কিছুই করা লাগে না। বলে রাখা ভালো, নবজাতকের জন্ডিস কমাতে রোদের কোন ভূমিকা কোন গবেষণায় পাওয়া যায়নি।
১০। শিশু হাম : ছয় থেকে চব্বিশ মাসের বাচ্চাদের হালকা ভাইরাল জ্বরের তৃতীয় দিনের মাথায় শরীরে লাল দানা দেখা যায়, আবার খুব দ্রুত মিশে যায়। আমরা এগুলোকে বলে থাকি জঙঝঊঙখঅ ওঘঋঅঘঞটগ কিংবা ইঅইণ গঊঅঝখঊঝ। এক্ষেত্রেও কোন ওষুধের প্রয়োজন নেই।
আসলে মা’কে আশ্বস্ত করলেই অধিকাংশ নবজাতক ও শিশুর সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। শিশু চিকিৎসক আরেকটি ব্যাপার দেখবেন, এই লক্ষণগুলোর সাথে অন্য কোন গুরুতর সমস্যা লুকিয়ে আছে কিনা। যেমন-নাভির হার্নিয়ার সাথে কোষ্ঠকাঠিন্য, কান্নার শব্দে অস্বাভাবিকত্ব থাকলে অন্য আরেকটি ভয়ানক অসুস্থতার লক্ষণ নির্দেশ করতে পারে। আশা করতে পারি, যে সমস্যায় কোন ওষুধ লাগে না, সে সমস্যাতেই শিশু যেন অতিরিক্ত, অপ্রয়োজনীয় ওষুধে অসুস্থ হয়ে না পড়ে।
ডাঃ আহাদ আদনান,
সহকারি রেজিস্ট্রার, শিশু বিভাগ।
আইসিএমএইচ, মাতুয়াইল, ঢাকা।
সংগৃহীত : দৈনিক ইনকিলাব।

Friday, February 22, 2019

দাঁত সুস্হ রাখতে যা করবেন

দাঁত সুস্হ রাখতে যা করবেন
★ রাত্রে ঘুমানোর আগে ও সকালে নাস্তার পরে দাঁত ব্রাশ করুরন।
★ নরম ব্রাশ ব্যবহার করুন।
★ ব্রাশ করার সময় দাঁতে বেশি চাপ দিবেন না।
★ ব্রাশ করবেন ২-৩ মিনিট।
★ ৪ মাস পরপর ব্রাশ পরিবর্তন করুন।
★ দুই দাঁতের মাঝখানে আটকানো খাদ্যকনা পরিষ্কার করার জন্য টুথপিকের পরিবর্তে Dental Floss ব্যবহার করুন।
★ কোন ধরনের মাজন,কয়লা,বালি দিয়ে দাঁত মাজবেন না।
★ মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার পর ভালো করে কুলি করে ফেলুন।
★ বাচ্চাদের ফাস্টফুড জাতীয় খাবার থেকে বিরত রাখুন
★ ধুমপান ও পান জর্দা খাওয়ার অভ্যাস থাকলে পরিহার করুন।
★ সর্বোপরি ৬ মাস পরপর ডেন্টাল সার্জনের পরামর্শ নিন।
ডা.মহিম উদ্দীন।
বিডিএস(সিইউ),বিসিএস(স্বাস্থ্য)
পিজিটি (ওরাল সার্জন)।
সিরিয়ালের জন্য: ০১৮৫৭-০৩৪৯১২
জি.ই.সি, চট্টগ্রাম।

Friday, September 21, 2018

ডায়াবেটিস থেকে মুক্ত থাকার চেষ্টা করি।

ডায়াবেটিস হলো সকল রোগের উৎস কেন্দ্র।কথায় আছে,"ডায়াবেটিস হলে একজন পুরুষের সন্তান হওয়া অসম্ভব ছাড়া বাকি সকল রোগ হতে পারে।"
তাই আসুন ডায়াবেটিস সম্পর্কে জানি।ডায়াবেটিস কি? তা আমরা জানি,কিন্তু ডায়াবেটিস কত প্রকার তা হয়তো আমরা জানি না।তাই বলি....
ডায়াবেটিসের প্রকারভেদ::

ডায়াবেটিস প্রধানত ২ ধরনের -
১) টাইপ ১ ডায়াবেটিস – (Insulin Dependent Diabetes , Juvenile Diabetes)
২) টাইপ ২ ডায়াবেটিস (Insulin Non Dependent Diabetes, Adult Onset Diabetes)
১) টাইপ ১ ডায়াবেটিস –
ছোট বয়সেই দেখা দেয় এবং প্রত্যহ ইনসুলিন গ্রহণ ছাড়া এর কোন চিকিৎসা নেই।
(যত দিন বেঁচে থাকবে,
ইনসুলিন নিয়েই বেঁচে থাকতে হবে)
২) টাইপ ২ ডায়াবেটিস :
যার সূচনা ঘটে ৪০ বছর পরবর্তি সময়ে। এবং এই ডায়াবেটিসই বংশ পরম্পরায় ছড়িয়ে পড়ে। এর চিকিৎসার জন্য রয়েছে নানা ধরনের ঔষধ,এই ঔষধ গুলো মুখে খাওয়ার জন্য, এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ি খেতে হয়। এর আরেকটি ঔষধ হচ্ছে INSULIN – যখন উপরোক্ত ঔষধ গুলো আর কাজ করে না কিংবা liver diseases অথবা Surgery এর সময় এ Insulin দেয়া হয়।
বর্তমানে শুধু বুড়ো মানুষই নয়, বহু তরুণও এখন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছে। ডায়াবেটিসের সরাসরি নিরাময় না থাকায় এতে আক্রান্ত হলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। তবে কিছু উপায় রয়েছে যা আগে থেকে পালন করলে ডায়াবেটিস থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। নিচে ডায়াবেটিস থেকে রক্ষার পাওয়ার তেমন কিছু উপায় দেওয়া হলো:
১. ডায়াবেটিসকে জানুনঃ শরীরের ইনসুলিনের ভারসাম্যহীনতায় রক্তে শর্করার মাত্রা অস্বাভাবিক হয়ে ডায়াবেটিসের সৃষ্টি হয়। সময় থাকতেই ডায়াবেটিস সম্পর্কে জেনে রাখা ভালো। এতে আগে থেকেই রোগটি সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলা যায়।
২. খাবারের পরিমাণ কমানঃ মাত্রাতিরিক্ত খাবার খাওয়া ডায়াবেটিসের অন্যতম কারণ। এ কারণে খাবারের পরিমাণ কমানো উচিত আগেভাগেই। খাবার খাওয়ার আগে এক গ্লাস পানি খেয়ে নিলেও তাতে খাবারের পরিমাণ কমতে পারে।
৩. শারীরিক অনুশীলন করুনঃ আপনি যদি নিয়মিত শারীরিক অনুশীলন করেন তাহলে বিশেষ করে দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ, বিভিন্ন রোগ ও ডায়াবেটিস ও দূরে থাকবে।

৪. ওজন কমানঃ শরীরের ওজন যদি বেশি বেড়ে যায় তাহলে তা ডায়াবেটিসকে ডেকে আনতে পারে।
৫. লাল আটার খাবারঃ ধবধবে সাদা আটা-ময়দা বাদ দিয়ে লাল আটার তৈরি রুটি ও অন্যান্য খাবার খান।
৬. সকালের নাস্তা গুরুত্ব দিনঃ সকালের নাস্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খাবার। এটি কখনোই বাদ দেওয়া ঠিক নয়। এতে শরীর যেমন সুস্থ থাকে তেমন ডায়াবেটিসও দূরে থাকে।
৭. ফ্যাটযুক্ত খাবার বাদ দিনঃ ফাস্ট ফুড দোকানের জাংক খাবার রক্তে ক্ষতিকর কোলস্টেরল বাড়িয়ে দিতে পারে। এটি রক্তের শর্করার মাত্রাও বাড়ায়। তাই এসব খাবার বাদ দিতে হবে।
৮. মিষ্টি পানীয় বাদ দিনঃ তেষ্টা পেলেই মিষ্টি পানীয় বা কোমল পানীয় পান সম্পূর্ণ ত্যাগ করুন।
৯. স্বাস্থ্যকর খাবার খানঃ আপনি যদি বিকালের ক্ষুধা নিবৃত্ত করার জন্য অস্বাস্থ্যকর পিজা বা ফাস্ট ফুড বাদ দিয়ে তাজা ফলমূল কিংবা সালাদ খেলে ডায়াবেটিস থেকে আপনাকে রক্ষা করবে।
১০. সবজি খানঃ প্রতিদিন আপনার খাদ্যতালিকায় রাখুন পর্যাপ্ত সবজি।
১১. মানসিক চাপমুক্ত থাকুনঃ মাত্রাতিরিক্ত মানসিক চাপ আপনার রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। প্রয়োজনে ইয়োগা, মেডিটেশন ও শ্বাস-প্রশ্বাসের অনুশীলন করুন।
১২. ভালোভাবে ঘুমানঃ রাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমান। এতে আপনার দেহের ওপর চাপ কমবে এবং ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগ দূরে থাকবে। ঘুমের অভাবে দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার ক্ষতি হয়।
১৩. আঁশযুক্ত খাবার খানঃ যেসব শাক-সবজি ও খাবারে প্রচুর আঁশ রয়েছে সেসব খাবার খান। এতে আপনার টাইপ-টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমবে। প্রতিদিন কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ গ্রাম করে আঁশযুক্ত খাবার রাখুন খাদ্যতালিকায়। এতে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
১৪. প্রচুর পানি পান করুনঃ প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে। পর্যাপ্ত পানির অভাবে দেহের নানা সমস্যা হতে পারে।
১৫. স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুনঃ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলো নীরবেই থাকে।তাই নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
১৬. সূর্যতাপ গ্রহণ করুনঃ ভিটামিন ডি দেহের ইনসুলিনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। আর সূর্যতাপ ভিটামিন ডি গ্রহণের অন্যতম উপায়। তাই নিয়সিক সূর্যতাপ গ্রহণে ডায়াবেটিস দূরে থাকে।
১৭. মসলাসমৃদ্ধ খাবার খানঃ জার্মান গবেষণায় দেখা গেছে, দারুচিনিসমৃদ্ধ খাবার ডায়াবেটিস দূরে রাখতে সহায়তা করে। তাই খাবারে দারুচিনিসহ বিভিন্ন মসলা ব্যবহার করুন।
১৮. গ্রিন টি পান করুনঃ নিয়মিত গ্রিন টি পান করুন যা রক্তের শর্করা কমাতে ভূমিকা রাখে।
২০. ধূমপান বর্জন করুনঃ ধূমপানে ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এর কারণ হলো দেহের হরমোনজনিত পরিবর্তন। এ কারণে ডায়াবেটিস থেকে দূরে থাকতে ধূমপান বর্জন করা উচিত।

Recent Post

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯

১. ‘ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ ’ কবিতায় সালামের হাতে কেন অবিনাশী বর্ণমালা ঝরে ? ক. সংগ্রামী চেতনার কারণে     খ. দুঃখিনী মাতার অশ্রুজল দেখে গ. বরকত...

Most Popular Post