Ad-1

Friday, September 21, 2018

ডায়াবেটিস থেকে মুক্ত থাকার চেষ্টা করি।

ডায়াবেটিস হলো সকল রোগের উৎস কেন্দ্র।কথায় আছে,"ডায়াবেটিস হলে একজন পুরুষের সন্তান হওয়া অসম্ভব ছাড়া বাকি সকল রোগ হতে পারে।"
তাই আসুন ডায়াবেটিস সম্পর্কে জানি।ডায়াবেটিস কি? তা আমরা জানি,কিন্তু ডায়াবেটিস কত প্রকার তা হয়তো আমরা জানি না।তাই বলি....
ডায়াবেটিসের প্রকারভেদ::

ডায়াবেটিস প্রধানত ২ ধরনের -
১) টাইপ ১ ডায়াবেটিস – (Insulin Dependent Diabetes , Juvenile Diabetes)
২) টাইপ ২ ডায়াবেটিস (Insulin Non Dependent Diabetes, Adult Onset Diabetes)
১) টাইপ ১ ডায়াবেটিস –
ছোট বয়সেই দেখা দেয় এবং প্রত্যহ ইনসুলিন গ্রহণ ছাড়া এর কোন চিকিৎসা নেই।
(যত দিন বেঁচে থাকবে,
ইনসুলিন নিয়েই বেঁচে থাকতে হবে)
২) টাইপ ২ ডায়াবেটিস :
যার সূচনা ঘটে ৪০ বছর পরবর্তি সময়ে। এবং এই ডায়াবেটিসই বংশ পরম্পরায় ছড়িয়ে পড়ে। এর চিকিৎসার জন্য রয়েছে নানা ধরনের ঔষধ,এই ঔষধ গুলো মুখে খাওয়ার জন্য, এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ি খেতে হয়। এর আরেকটি ঔষধ হচ্ছে INSULIN – যখন উপরোক্ত ঔষধ গুলো আর কাজ করে না কিংবা liver diseases অথবা Surgery এর সময় এ Insulin দেয়া হয়।
বর্তমানে শুধু বুড়ো মানুষই নয়, বহু তরুণও এখন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছে। ডায়াবেটিসের সরাসরি নিরাময় না থাকায় এতে আক্রান্ত হলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। তবে কিছু উপায় রয়েছে যা আগে থেকে পালন করলে ডায়াবেটিস থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। নিচে ডায়াবেটিস থেকে রক্ষার পাওয়ার তেমন কিছু উপায় দেওয়া হলো:
১. ডায়াবেটিসকে জানুনঃ শরীরের ইনসুলিনের ভারসাম্যহীনতায় রক্তে শর্করার মাত্রা অস্বাভাবিক হয়ে ডায়াবেটিসের সৃষ্টি হয়। সময় থাকতেই ডায়াবেটিস সম্পর্কে জেনে রাখা ভালো। এতে আগে থেকেই রোগটি সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলা যায়।
২. খাবারের পরিমাণ কমানঃ মাত্রাতিরিক্ত খাবার খাওয়া ডায়াবেটিসের অন্যতম কারণ। এ কারণে খাবারের পরিমাণ কমানো উচিত আগেভাগেই। খাবার খাওয়ার আগে এক গ্লাস পানি খেয়ে নিলেও তাতে খাবারের পরিমাণ কমতে পারে।
৩. শারীরিক অনুশীলন করুনঃ আপনি যদি নিয়মিত শারীরিক অনুশীলন করেন তাহলে বিশেষ করে দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ, বিভিন্ন রোগ ও ডায়াবেটিস ও দূরে থাকবে।

৪. ওজন কমানঃ শরীরের ওজন যদি বেশি বেড়ে যায় তাহলে তা ডায়াবেটিসকে ডেকে আনতে পারে।
৫. লাল আটার খাবারঃ ধবধবে সাদা আটা-ময়দা বাদ দিয়ে লাল আটার তৈরি রুটি ও অন্যান্য খাবার খান।
৬. সকালের নাস্তা গুরুত্ব দিনঃ সকালের নাস্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খাবার। এটি কখনোই বাদ দেওয়া ঠিক নয়। এতে শরীর যেমন সুস্থ থাকে তেমন ডায়াবেটিসও দূরে থাকে।
৭. ফ্যাটযুক্ত খাবার বাদ দিনঃ ফাস্ট ফুড দোকানের জাংক খাবার রক্তে ক্ষতিকর কোলস্টেরল বাড়িয়ে দিতে পারে। এটি রক্তের শর্করার মাত্রাও বাড়ায়। তাই এসব খাবার বাদ দিতে হবে।
৮. মিষ্টি পানীয় বাদ দিনঃ তেষ্টা পেলেই মিষ্টি পানীয় বা কোমল পানীয় পান সম্পূর্ণ ত্যাগ করুন।
৯. স্বাস্থ্যকর খাবার খানঃ আপনি যদি বিকালের ক্ষুধা নিবৃত্ত করার জন্য অস্বাস্থ্যকর পিজা বা ফাস্ট ফুড বাদ দিয়ে তাজা ফলমূল কিংবা সালাদ খেলে ডায়াবেটিস থেকে আপনাকে রক্ষা করবে।
১০. সবজি খানঃ প্রতিদিন আপনার খাদ্যতালিকায় রাখুন পর্যাপ্ত সবজি।
১১. মানসিক চাপমুক্ত থাকুনঃ মাত্রাতিরিক্ত মানসিক চাপ আপনার রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। প্রয়োজনে ইয়োগা, মেডিটেশন ও শ্বাস-প্রশ্বাসের অনুশীলন করুন।
১২. ভালোভাবে ঘুমানঃ রাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমান। এতে আপনার দেহের ওপর চাপ কমবে এবং ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগ দূরে থাকবে। ঘুমের অভাবে দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার ক্ষতি হয়।
১৩. আঁশযুক্ত খাবার খানঃ যেসব শাক-সবজি ও খাবারে প্রচুর আঁশ রয়েছে সেসব খাবার খান। এতে আপনার টাইপ-টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমবে। প্রতিদিন কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ গ্রাম করে আঁশযুক্ত খাবার রাখুন খাদ্যতালিকায়। এতে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
১৪. প্রচুর পানি পান করুনঃ প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে। পর্যাপ্ত পানির অভাবে দেহের নানা সমস্যা হতে পারে।
১৫. স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুনঃ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলো নীরবেই থাকে।তাই নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
১৬. সূর্যতাপ গ্রহণ করুনঃ ভিটামিন ডি দেহের ইনসুলিনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। আর সূর্যতাপ ভিটামিন ডি গ্রহণের অন্যতম উপায়। তাই নিয়সিক সূর্যতাপ গ্রহণে ডায়াবেটিস দূরে থাকে।
১৭. মসলাসমৃদ্ধ খাবার খানঃ জার্মান গবেষণায় দেখা গেছে, দারুচিনিসমৃদ্ধ খাবার ডায়াবেটিস দূরে রাখতে সহায়তা করে। তাই খাবারে দারুচিনিসহ বিভিন্ন মসলা ব্যবহার করুন।
১৮. গ্রিন টি পান করুনঃ নিয়মিত গ্রিন টি পান করুন যা রক্তের শর্করা কমাতে ভূমিকা রাখে।
২০. ধূমপান বর্জন করুনঃ ধূমপানে ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এর কারণ হলো দেহের হরমোনজনিত পরিবর্তন। এ কারণে ডায়াবেটিস থেকে দূরে থাকতে ধূমপান বর্জন করা উচিত।

No comments:

Post a Comment

Recent Post

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯

১. ‘ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ ’ কবিতায় সালামের হাতে কেন অবিনাশী বর্ণমালা ঝরে ? ক. সংগ্রামী চেতনার কারণে     খ. দুঃখিনী মাতার অশ্রুজল দেখে গ. বরকত...

Most Popular Post