Ad-1

Showing posts with label খোশগল্প. Show all posts
Showing posts with label খোশগল্প. Show all posts

Tuesday, October 1, 2019

স্টুডেন্টের ঘাঁড় বাঁকানোর গল্প

আজ একটা কোচিং-এ একটা স্টুডেন্টকে ক্লাসে দুষ্টুমি করার কারণে ক্লাস থেকে বের করে দিলাম।আমি ক্লাস থেকে বের হয়ে দেখলাম স্টুডেন্টটা রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে আমার অপেক্ষায়।আমাকে দেখে কাছে এসে বলল,স্যার এভাবে আপনি সবার সামনে অপমান করলেন?তাও কত গুলো মেয়ে ও ছেলেদের সামনে থেকে???ওরা সবাই আমার দিকে তাকিয়ে রয়েছিল।
আমি বললাম,এটাকে তুমি অপমান মনে করছ?এটা তো অপমান না,তুমি যে আচরণ করছ সে আচরণে ভবিষ্যতে তুমি অনেক মানী ও সম্মানী হতে পারবে না বলে আজ তোমাকে অপমান করে বের করে দিলাম।তুমি কি ভবিষ্যতে আজকের চেয়ে ৫০ গুন সম্মানী হতে চাও???
বলল,জী,হ্যাঁ।
কিন্তু আজকের আচরণ তোমাকে ৫০ গুণ সম্মানী হতে দেবে না।তাই আমি আজ তোমাকে অপমান করে বের করে দিলাম।সে সঙ্গে বললাম,কখনো শিক্ষকের কাছ থেকে পাওয়া অপমানকে অপমান মনে করিও না, বরং সেটাকে মানী হওয়ার সোপান মনে করিও।শিক্ষক তোমার মানের আগে যুক্ত হওয়া সম্ভানাময় অপ টাকে দূর করার জন্যই এ ব্যবস্থাগুলো নেয়।
মনে করো,একজন স্টুডেন্ট শত শত মানুষের সামনে শিক্ষককে পায়ে ধরে সালাম করলো,এটা কি ছাত্রের জন্য অপমান????
:না,স্যার।
:এটা যদি অপমান না হয় তাহলে সামান্য কয়েকজন স্টুডেন্টের সামনে থেকে বের করে দেওয়াটাতে অপমান বোধ করছ কেন????
এটা বলার পর দেখলাম,স্টুডেন্টটা মোমের মতো গলে গেল।এতটা বিনয়ী হয়ে গেল যে মনে হলো ওর ঘাড়টা সারা জীবনের জন্য বাঁকা করে দিলাম।এখন প্রশ্ন হলো
ঘাড়_বাঁকা_করে_দেওয়ার_মানে_কি?
আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ স্যার একবার বলেছিলেন,আমার সামনে যদি দশজন বড় বড় অফিসার দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয় তার মধ্যে আমার স্টুডেন্ট কোনটা আমি তা বেঁচে নিতে পারব।কিভাবে?
ওই যে ঘাড় বাঁকা করে হাত দুটো সামনে এনে ভাঁজ করে বিনয়ের ভঙ্গিতে দাঁড়ানোতে বুঝে যাব ও আমারই স্টুডেন্ট ছিল।
ও....ই যে ঘাড় বাঁকা করেছিল সেটা সে বড় অফিসার হয়েও এখনো সোজা করতে পারেনি এবং পারবেও না।

Monday, February 12, 2018

যারা কম করে,তারাই বেশি সমালোচনা করে।

একদিন একটি প্রতিষ্ঠানের একজন লোককে দেখলাম খুব গর্ব করে বলতে,"এখানে এমন অনেক লোক আছে যারা সবসময় নিজের ভাড়াটা দেয়,কখনো সঙ্গে যাওয়া বন্ধুর গাড়ি ভাড়াটা পর্যন্ত দেয় না,অথচ ওই বন্ধুটা একই গাড়িতে করে তার সঙ্গেই গেল।"

তারপরে লোকটা এও বলছে,"এখানে এমনও অনেক লোক আছে যারা নিজেরা নাস্তা করে,কিন্তু জীবনে কখনো অন্য কাউকে নাস্তা করায় নি।এমনকি এমনও লোক আছে,যারা অন্যকে নাস্তা করাতে হবে বলে নিজেরাও নাস্তা না করে বসে থাকে।"
অথচ যে লোকটা এ কথাগুলো বলছে,তাকে আমি খুব ভালো করেই চিনি।সে জীবনে কখনো কাউকে নাস্তা করিয়েছে কিংবা বন্ধুর গাড়ি ভাড়া দিতে পকেট থেকে আগে মানি ব্যাগ বের করেছে,কিংবা গাড়ি ভাড়া দিয়েছে এরকম কখনো দেখিনি ।

যে কখনো কাউকে দাওয়াত দিয়ে দুটো ভাত খাওয়াইনি কিংবা খাওয়াতে পারেনি,সেই কিন্তু অন্যের দাওয়াত খেয়ে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা করে।গরুর মাংসে তেমন লবণ হয়নি,মাছের টুকরোগুলো এত ছোট হয় তা আমি এই জীবনে প্রথম দেখলাম,আজকের দাওয়াতে না? আইটেম একটু কম ছিল, মাত্র দশটা আইটেম,এরকম আরো কত না কমেন্ট করে!!!এমন ভাব যে,"ওরা যেন আইটেমে সন্তুষ্ট আপ্যায়নে নয়।"
যাঁরা খুঁত ধরে,তাদের স্বভাবই হচ্ছে খুঁত ধরা।ওদেরকে ভালোবেসে হার্টটা বের করে দিলেও ওরা বলবে," হার্ট তো দিলে, কিন্তু ওটা হাতে করে দিলে কেন?ধুয়ে মুছে সুন্দর প্লেটে করে দিতে পারনি?"
কিন্তু এটা কখনো চিন্তা করে না যে,যে লোকটা হার্ট বের করে দিয়েছে, তার যে সক্ষমতা আর নেই।সে যে এখন জীবন্মৃত।।

কোন অনুষ্ঠান হচ্ছে, আয়োজককে কত না কষ্ট করতে হলো।স্টেজ বা মঞ্চ সাজানো,প্রধান অতিথি বিশেষ অতিথিদের দাওয়াত দেওয়া,সব কিছুর সুন্দর ও সুশৃঙ্খল করতে তার দিন রাত কত না খাটুনি বা পরিশ্রম, কিন্তু সেদিকে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই,অথচ যে কিছুই করেনি,সে কিন্তু মঞ্চের এক পাশে বসে সমালোচনা করছে,স্টেজটা আর একটু সুন্দর হলে ভালো হতো,এখানে এ জায়গায় খুঁত ঐ জায়গায় খুঁত,আরও কত না সমালোচনা!!!

মনে হয় পৃথিবীটাই এরকমই যে,
"যারা কম করে,
তারাই যেন সবচেয়ে বেশি সমালোচনা করে।"

Recent Post

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯

১. ‘ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ ’ কবিতায় সালামের হাতে কেন অবিনাশী বর্ণমালা ঝরে ? ক. সংগ্রামী চেতনার কারণে     খ. দুঃখিনী মাতার অশ্রুজল দেখে গ. বরকত...

Most Popular Post