Ad-1

Showing posts with label এডভোকেটশীপ প্রস্তুতি ও বিবিধ আইন. Show all posts
Showing posts with label এডভোকেটশীপ প্রস্তুতি ও বিবিধ আইন. Show all posts

Tuesday, February 20, 2024

মুচলেকা কি (what is bond) ?

ফৌজদারি কার্যবিধি -১৮৯৮(১০৬-১০৯ ধারা)

👉কেউ অপরাধ করলে তাকে শাস্তি পেতে হবে, এটা আইনের বিধান। তবে কোন অপরাধ সংঘটনের পুর্বেই যদি কোন ব্যক্তিকে তা থেকে বিরত রাখা যায় তা অবশ্যই মঙ্গলজনক। সেজন্যই অপরাধ প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থাস্বরূপ আইনে মুচলেকার বিধান রাখা হয়েছে। মুচলেকা বা বন্ডের অর্থ হচ্ছে কোন ব্যক্তির কাছ থেকে এইমর্মে অঙ্গীকার আদায় করা, যেন সে ভবিষ্যতে আর ঐ ধরণের অন্যায় করবে না এবং নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে যদি প্রমাণিত হয় সে ঐ ধরণের অপরাধ করেছে, তাহলে সে আইনে নির্ধারিত দণ্ড ভোগ করবে।

ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা-১০৬,১০৭,১০৮ ও ১০৯ ধারাতে বন্ড প্রদানের কারণ ও বিধান সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।

Monday, September 25, 2023

আইনের টেকনিক্যাল শব্দ

* The Panel Code,1860 - দণ্ডবিধি, ১৮৬০[প্রিলি-২০]

* The Evidence Act,1872-সাক্ষ্য আইন, ১৮৭২[প্রিলি-১৫]

* The Specific Relief Act,1877 - সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন,১৮৭৭[প্রিলি-১০]

* The Criminal Procedure Code,1898 - ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৯০৮[প্রিলি-২০]

* The Code of Civil Procedure,1908 - দেওয়ানি কার্যবিধি,১৯০৮[প্রিলি-২০]

* The Limitation Act,1908 - তামাদি আইন, ১৯০৮[প্রিলি-১০]

       ৯ নং আইন,মোট ধারা-২৯টি,অনুচ্ছেদ আছে-১৮৩টি, 

       তফসিল আছে -৪টি। 

      [Adv: মার্ক্স-২০+১৫+১০+২০+২০+১০+৫=১০০]    

----------------------------------------------------------------------

১. Cross-exanination- জেরা

২. Examination-in-chief - জবানবন্দি। 

৩. Re-examination - পুন:জবানবন্দি। 

৪. Precept - বিচারকের আদেশপত্র /অনুরোধলিপি।

৫. Undisputed matters - বিরোধ নেই এমন বিষয় /৷৷৷৷৷  স্বীকৃত বিষয়।

৬. Bail bond - জামিননামা(আদালতে রাখা নির্ধারিত ফর্ম)

৭. Surety - জামিনদার।

৮. Discretionary power - (বিবেচনামূলক ক্ষমতা)

৯. Anticipatory Bail - (আগাম জামিন)

১০. Defamation - মানহানি [দণ্ডবিধির - ৪৯৯ ধারা]

১১. Pleadings -- আরজি বা জবাব।

১২. Strike out - কর্তন করা।

১৩. Libel - লিখিত কুৎসা (মানহানি) 

১৪. Slander - মৌখিক কুৎসা (মানহানি)

১৫. Confession দুই প্রকার।যথা:-

  1. Confession (বিচারিক দোষস্বীকার)

  2. Extra- Confession (বিচার বিভাগ বহির্ভূত দোষস্বীকার।

১৬. Decoity - ডাকাতি [দণ্ডবিধি -৩৯১]

১৭. Culpable homicide - অপরাধমূলক নরহত্যা [দণ্ডবিধি - ২৯৯]

১৮. কোর্ট ফি দুই প্রকার।যথা:

     ★ Advoluram Court Fee

     ★ Fixed Court Fee.

১৯. Retification - দলিল সংশোধন [SRAct-31]

২০. Leading Question - ইঙ্গিতবাহী প্রশ্ন।

২১. Dying Declaration - মৃত্যুকালীন ঘোষণা [সাক্ষ্য আইন-৩২]

২২. May Presume - অনুমান করতে পারে,

২৩. Shall Presume - অনুমান করতে বাধ্য [ধারা-৮৫]

২৪. Public Nuisance - গণ উপদ্রব [ধারা-৯১]

২৫. Mesne Profit - মধ্যবর্তী/অন্তবর্তীকালীন মুনাফা 

২৬. Precept - আদেশপত্র/নির্দেশাজ্ঞা/অনুরোধলিপি[CPC-46]

২৭. Writ of habeas corpus - বন্দী হাজির রিট অর্থাৎ  বন্দীকে আদালতে হাজির করা।[Crpc-491]

২৮. Solatium - সান্ত্বনাপ্রদ ক্ষতিপূরণ [Sract-22]

২৯. Commutation - দণ্ড পরিবর্তন [Cr-402]

৩০. Suspend - দণ্ড স্থগিত / Remit - মওকুফ [Cr-401]

৩১. Disinter Corpses - মৃত ব্যক্তির লাশ তোলা[Cr-176(2)

৩২. Prerogative of Mercy - রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের অধিকার [Penal Code-55a)

৩৩. Hostile witness - বৈরী সাক্ষী [Evi-154]

৩৪. Burden of proof - প্রমাণের দায়ভার [Evi-101]

৩৫. 







Friday, September 8, 2023

সাক্ষ্য আইন-১৮৭২

* সাক্ষ্য আইন কত সালের? ---- ১৮৭২ সালের।

* প্রণয়ন হয়-- ১৫ই মার্চ ১৮৭২

* কার্যকর হয়-- ১লা সেপ্টেম্বর ১৮৭২ সালে।

* সাক্ষ্য আইনের মোট ধারা --- ১৬৭ ধারা।

* অধ্যায় আছে -- ১১টি।

* সাক্ষ্য আইন --একটি প্রকার পদ্ধতিগত আইন।

* সাক্ষ্যকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে - ৩ ধারায় 

* সাক্ষ্যকে ভাগ করা হয়েছে - ২ ভাগে[মৌখিক সাক্ষ্য, দালিলিক সাক্ষ্য ]

* মৌখিক সাক্ষ্য অবশ্যই প্রত্যক্ষ হতে হবে - বর্ণিত ৬০ ধারায়। 

* সাক্ষ্য আইন অনুযায়ী কয় ধরনের বিষয় প্রমাণ করার প্রয়োজন নেই?--- ৩ ধরনের।

১. Fact judicially noticeable [বিচারিক দৃষ্টিগোচর বিষয়সমূহ ]

২. Facts admitted [স্বীকৃত বিষয় ]

৩. Facts which the laws presume in favour of party [৮৬-৮৮ ধারা]

* বিচারিকভাবে দৃষ্টিগোচর বিষয়সমূহ প্রমাণ করার প্রয়োজন নেই[Fact judicially noticable need not be proved] বলা হয়েছে - ৫৬ ধারায়। 

* যে সকল বিষয়ে আদালত অবশ্যই দৃষ্টিগোচর নিবে বলা হয়েছে - ৫৭ ধারায়। 

* ১১টি বিষয়ে আদালতকে দৃষ্টিগোচর নিতে হবে "- বলা হয়েছে - ৫৭ ধারায়। 

* স্বীকৃত বিষয়সমূহ প্রমাণ করার প্রয়োজন নেই বলা হয়েছে - ৫৮ ধারায়। 

* ৩০ বছর ধরে জীবিত, তাকে মৃত দাবী করলে তা প্রমাণ করতে হবে - ১০৭ ধারায় [[Burden proof of death]

* ৭ বছর ধরে কোন খুঁজ-খবর নেই,সে জীবিত তা প্রমাণ করতে হবে - ১০৮ ধারায় [Burden proof of alive]

* পূর্ববর্তী লিখিত বক্তব্য নিয়ে জেরা করা যায় - ১৪৫ ধারা অনুসারে।

* জেরায় আইনসম্মত প্রশ্ন করা যায় - ১৪৬ ধারা অনুসারে। 

জেরায় প্রশ্ন করা বৈধ:-

১. সত্যবাদিতা পরীক্ষা করা।

২. তার পরিচয় ও মর্যাদা জানা যায়।

৩. চরিত্রে আঘাত করে বিশ্বাসযোগ্যতা বিনষ্ট করা।


★ সাক্ষ্য আইনের ২৫ ধারায় পুলিশের নিকট প্রদত্ত বিবৃতি অপ্রাসঙ্গিক।

২৬ ধারায় পুলিশ হেফাজতে থাকাকালে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ উপস্থিত থাকলে অপ্রাসঙ্গিক শুধু ম্যাজিষ্ট্র্যাট থাকলে সাক্ষ্য প্রাসঙ্গিক।

তবে ২৭ ধারায় পুলিশ এর নিকট আলামত প্রাসঙ্গিক।



Thursday, September 7, 2023

তামাদি আইন -১৯০৮

১) সর্বপ্রথম তামাদি আইন কার্যক্রম শুরু হয়-১৭৯৩ সালে।

২) সর্বপ্রথম আইনে পরিণত হয় - ১৮৬২ সালে। 

৩) পরবর্তীতে তামাদি আইন সংশোধন হয়- ১৮৭১ ও ১৮৭৭ সালে। 

৪)বর্তমান তামাদি আইন প্রকাশিত হয় - ১৯০৮ সালের ৭-ই আগস্ট। 

৫) তামাদি আইন কার্যকর হয় -১৯০৯ সাল ১লা জানুয়ারি। 

৬) তামাদি আইন ১৯০৮ সালের - ৯ নাম্বার আইন। 

৭) তামাদি আইন সর্বশেষ সংশোধন হয় - ২০০৪ সালে।

৮) এই আইনে মোট ধারা - ৩২টি, বলবৎ আছে ২৯টি

৯) তামাদি আইনের তফসিল- ৩টি।

১০) এই আইনের অনুচ্ছেদ আছে - ১৮৩টি।

১১) তামাদি আইন - একটা পদ্ধতিগত আইন।

১২) প্রতারণার ফলাফল কথা বলা হয়েছে - ১৮ ধারায়। 

১৩) লিখিত প্রাপ্তি স্বীকারের ফলাফল - ১৯ ধারায়। 

১৪) অবিরাম চুক্তি ভঙ্গের ফলাফল - ২৩ ধারায়। 

১৫) বিরুদ্ধ দখল - ২৮ ধারায়। 

১৬) 

সংজ্ঞার ব্যাখাসমূহ।

১২) তামাদি আইনে মামলা বলতে কী বুঝায় না?------- আপিল বা দরখাস্ত। 

১৩) তামাদি আইনের উদ্দেশ্য কী?------ নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে মামলা বা দরখাস্ত দায়ের করা। 

১৪) তামাদি আইন প্রযোজ্য নয় কোন ক্ষেত্রে? -------- ফৌজদারি মূল মামলার ক্ষেত্রে 

- ১৮৭২ সালের চুক্তি আইনের ২৫ ধারার ক্ষেত্রে এবং

- ১৮৬৯ সালের বিবাহ বিচ্ছেদ আইনের ক্ষেত্রে। 

১৫) তামাদি আইন প্রযোজ্য হয় কোন ক্ষেত্রে? 

- দেওয়ানি মূল মামলায় 

- দেওয়ানি আপিল, রিভিউ এবং রিভিশনের ক্ষেত্রে এবং

- ফৌজদারি আপিল ও রিভিশনের ক্ষেত্রে। 

১৬) তামাদি মেয়াদ গণনা শুরু হয় কখন থেকে? 

-নালিশের কারণ উদ্ভবের দিন হতে এবং গণনা হয় ইংরেজি সাল অনুযায়ী।

🕛 তামাদি মেয়াদ শেষ হওয়ার  পরে  মামলা দায়েরের  ফলাফল;

১৭) "তামাদির নির্ধারিত সময়সীমা পার হওয়ার পর কোনো মামলা বা দরখাস্ত দায়ের করা হলে বিবাদী

 পক্ষ আপত্তি না করলেও তা খারিজ হবে"- কত ধারার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট? - তামাদি আইনের ৩ ধারার সঙ্গে। 

১৮) কোনো মামলা তামাদিতে বারিত নয় তা প্রমাণের দায়িত্ব কার উপর? ------- বাদীর উপর। 

১৯) তামাদিতে বারিত মামলা সরকার করলে তার ফলাফল কী হবে?----------- খারিজ হবে।

🕕তামাদি মেয়াদ শেষ হওয়ার দিন আদালত বন্ধ থাকা;

২০) "তামাদি মেয়াদ শেষ হওয়ার দিন আদালত বন্ধ থাকলে মামলা, আপিল বা দরখাস্ত আদালত

 খোলার প্রথম দিন দায়ের করতে হবে" কত ধারায় বলা হয়েছে? --------- ৪ ধারায়।

🕛বিলম্ব মওকুফের জন্য আবেদন (Condonation Of Delay) 

২১) বিলম্ব মওকুফের জন্য আবেদন বিষয় কত ধারায় বলা হয়েছে? ------- ৫ ধারায়।

২২) কোন কোন ক্ষেত্রে বিলম্ব মওকুফের জন্য আবেদন করা যায়?

- অসুস্থতা / কারাবাস / সরল বিশ্বাস / দারিদ্রতা / কৌঁসুলির ভুল এবং ভুল পরামর্শ 

- আদালতের সিদ্ধান্ত। 

২৩) ৫ ধারার বিলম্ব মওকুফ কোন ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়? ------- দেওয়ানি মূল মামলার ক্ষেত্রে। 

২৪) ৫ ধারার আবেদন মঞ্জুর করা আদালতের কী ধরণের ক্ষমতা? 

- Discretionary Power অর্থাৎ স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা। 

২৫) সুনির্দিষ্টভাবে কোনো কিছু বলা না থাকলে বিশেষ আইনের ক্ষেত্রে সময় বৃদ্ধির জন্য তামাদি আইন

 ৫ ধারা প্রযোজ্য হবে কী?--------- হবে না।

🕛বৈধ অপারগতা(Legal Disability) 

২৬) কোন ক্ষেত্রে তামাদি মেয়াদ বন্ধ থাকে? ------- Legal Disability অর্থাৎ বৈধ অপারগতার ক্ষেত্রে।

২৭) Legal Disability অর্থাৎ বৈধ অপারগতার আওতাভুক্ত কারা?

- নাবালক / উম্মাদ এবং জড়বুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তি। 

২৮) তামাদি আইনের ৬ ধারা কোন ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়? 

- মামলা  ও ডিক্রির কার্যকর করার ক্ষেত্রে। 

২৯) তামাদি আইনের ৬ ধারা প্রযোজ্য হয় না কোন ক্ষেত্রে? 

- আপিল, রিভিউ, রিভিশন ও দরখাস্ত আবেদনের ক্ষেত্রে 

-অগ্রক্রয়ের ক্ষেত্রে (৮ ধারা)

৩০) কতিপয় ব্যক্তির মধ্যে একজনের অপারগতা থাকলে ফলাফল কী হবে?

- ঐ একজন ছাড়া সবাই সামর্থ্যবান হলে সকলের বিরুদ্ধে তামাদির মেয়াদ চলবে। এমনকি একজন

 সামর্থ্যবান হলেও তামাদির মেয়াদ চলবে।(৭ ধারা)

৩১) মামলা দায়েরের নির্ধারিত মেয়াদ যাহাই থাকুক না কেন বৈধ অপারগতা শেষ হওয়ার সর্বোচ্চ

 কতটুকু সময় পর্যন্ত বর্ধিত করা যেতে পারে? ------ ৩ বছর। 

৩২) "তামাদি মেয়াদ একবার আরম্ভ হলে অবিরাম চলতে থাকবে" কত ধারায় বলা হয়েছে? 

- ৯ ধারায়।

৩৩) তামাদি আইনের ৬-৮ ধারা কার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য? ----- শুধুমাত্র বাদীর ক্ষেত্রে, বিবাদীর ক্ষেত্রে নয়।

🕛 মেয়াদ গণনা হতে যে সময় বাদ যাবে;

৩৪) তামাদি মেয়াদ গণনা হতে বাদ যাবে কোন কোন দিনগুলো? 

- মামলা, আপিল বা দরখাস্ত কারণ উদ্ভবের দিন 

- আদেশ বা রায় ঘোষণার দিন

- আদেশের নকল সংগ্রহের আবশ্যকীয় দিন

- রায়ের নকল সংগ্রহের আবশ্যকীয় দিন এবং

- রোয়েদাদ সংগ্রহের আবশ্যকীয় দিন। (১২ ধারা)

৩৫) ভুল আদালতে মামলা ব আপিল দায়েরের ফলাফল কী? 

- এর ফলে বাদীর যে সময় নষ্ট হয়েছে তা তামাদি মেয়াদ হতে বাদ যাবে।

৩৬) বিদেশে সম্পাদিত চুক্তির উপর বাংলাদেশে মামলা হলে কোন আইন অনুযায়ী এই মামলা হবে?

- তামাদি আইন অনুযায়ী। বিদেশি তামাদি আইনের বিধান প্রযোজ্য হবে না। 

প্রতারণার ফলাফল( Effect Of Fraud) 

৩৭) তামাদি আইনের ১৮ ধারা কোন বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট? 

- তামাদি মেয়াদের ক্ষেত্রে প্রতারণার ফলাফল। 

৩৮) প্রতারণার ক্ষেত্রে তামাদি মেয়াদ কখন শুরু হবে? 

যেদিন উক্ত ব্যক্তি প্রতারণা সম্পর্কে জানতে পারবে।


লিখিত দায় স্বীকারের ফলাফল (Effect Of Acknowledgement in Writing) 

৩৯) লিখিতভাবে দায় স্বীকার প্রযোজ্য হয় কোন ক্ষেত্রে? ------ সম্পত্তি ও অধিকারের ক্ষেত্রে। 

৪০) তামাদি আইনের ১৯ ধারায় বর্ণিত বিষয় কী?---------- লিখিত প্রাপ্তি স্বীকারের ফলাফল। 

৪১) লিখিত দায় স্বীকারের ফলাফল কী? --------- নতুন করে তামাদি মেয়াদ গণনা শুরু হবে।


দেনা পরিশোধের ফলাফল (Effect Of Payment) 

৪২) কোনো দেনা বা দেনার সুদ আংশিক পরিশোধ হলে কখন থেকে তামাদি মেয়াদ শুরু হবে?

- পরিশোধের তারিখ হতে। 

৪৩) এই ধারার অধীনে দেনা বলতে কী বুঝাবে?

- আদালতের ডিক্রি বা আদেশের অধীনে প্রদেয় অর্থ।

৪৪) মামলায় নতুন বাদী বা বিবাদী পক্ষভুক্ত হলে তার ক্ষেত্রে তামাদির মেয়াদ কিভাবে গণনা করা হবে?

- পক্ষভুক্তির দিন হতে।(২২ ধারা)

অবিরাম বা একাধারে চুক্তিভঙ্গ বা অন্যায় (Continuing Breach and Wrongs)

৪৫) অবিরামভাবে চুক্তিভঙ্গের ফলাফল কী? 

- প্রতি মুহুর্তে নতুন করে তামাদির মেয়াদ গণনা আরম্ভ হবে।ধারা-২৩

৪৬) "ক্ষতিপূরণের মামলার জন্য যখন প্রকৃত ক্ষতি হয়, তখন থেকে তামাদির মেয়াদ গণনা শুরু হবে"-

 কত ধারায় বলা হয়েছে? ------ ২৪ ধারায়।

সুখাধিকার অর্জন(Acquisition Of Easements Rights) 

৪৭) সুখাধিকার কিভাবে অর্জিত হয়?

 কোনোকিছু--বিনা বাঁধায় / শান্তিপূর্ণভাবে / অব্যাহতভাবে

-২০ বছর যাবৎ ভোগদখল করার মাধ্যমে। (সরকারি সম্পত্তির ক্ষেত্রে ৬০ বছর)

৪৭) সুখাধিকারের অর্জনের কথা বলা হয়েছে তামাদি আইনের কত ধারায়? ----- ২৬ ধারায়।

😡বিরুদ্ধ দখল বা সম্পত্তির অধিকার বিলুপ্তি (Adverse Possession) 

৪৮) Adverse Possession বা বিরুদ্ধ দখলের কথা বলা হয়েছে কত ধারায়? ----- ২৮ ধারায়।

৪৯) অবৈধ দখলকারী স্থাবর সম্পত্তির মালিক বলে পরিগণিত হবে কিভাবে? 

- প্রকৃত মালিকের জ্ঞাতসারে / প্রকাশ্যভাবে / নিরবচ্ছিন্নভাবে

-১২ বছর যাবৎ উক্ত জমির বাস্তব ভোগদখল করে।

৫০) বিক্রয় চুক্তির কত বছরের মধ্যে যদি নিলাম ক্রেতা তার ক্রয়কৃত সম্পত্তি দখলে নেবার জন্য মামলা

 না করেন আদালত তাকে ঐ সম্পত্তি দখল প্রদানে অস্বীকৃতি জানাতে পারেন? 

- ৩ বছরের মধ্যে মামলা না করলে।

তফসিল( Schedule) 

৫১) দেওয়ানি আদালতে ডিক্রি বা আদেশ প্রদানের কত সময়ের মধ্যে ডিক্রি জারির মামলা দায়ের

 করতে হয়?

- তিন বছরের মধ্যে। 

৫২) ডিক্রির বিরুদ্ধে কত সময়ের মধ্যে জেলা জজের নিকট আপিল করতে হয়?

- ৩০ দিনের মধ্যে। 

৫৩) বেদখল হওয়ার ক্ষেত্রে কত দিনের মধ্যে স্বত্ব দখল পুনরুদ্ধারের মামলা করতে হয়?

-১২ বছরের মধ্যে। 

৫৪) বিবাহ বিচ্ছেদের পর বিলম্বিত দেনমোহরের জন্য একজন মুসলিম স্ত্রী কর্তৃক মামলা দায়েরের

 ক্ষেত্রে তামাদির মেয়াদকাল কত?------- ৩ বছর। 

৫৫) SRA এর অধীনে ৯ ধারা অনুযায়ী তামাদির মেয়াদ হবে বেদখলের তারিখ হত কত সময়ের মধ্যে? 

- ৬ মাসের মধ্যে। 

৫৬) জমির স্বত্ব ঘোষণা ছাড়াই শুধু দখল পুনরুদ্ধারের মামলা তামাদি মেয়াদ কত?------ ৬ মাস।

৫৭) অগ্রক্রয়ের তামাদির মেয়াদ কত? ------ ১ বছর।

৫৮) তামাদি আইনের কোন অনুচ্ছেদে স্থাবর সম্পত্তির দখল উদ্ধারের নালিশ দায়েরের মেয়াদ

 উল্লিখিত আছে?------১৪২ অনুচ্ছেদে। 

৫৯)চুক্তিভঙ্গের কারণে ক্ষতিপূরণের মামলায় তামাদি মেয়াদ কত? ------- ১ বছর। 

৬০)কোনো মামলা দায়েরের সময় সীমার বিষয়ে তামাদি আইনে সুনির্দিষ্ট বিধান না থাকলে তামাদির

 মেয়াদ কত বছর ধরা হবে?------৬ বছর। 

৬১) মৃতের ওয়ারিশ কায়েম সংক্রান্ত তামাদির বিধান তামাদি আইনের কত অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে? 

- ১৭৭ অনুচ্ছেদে। 

৬২) দায়রা জজ কর্তৃক প্রদত্ত মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল সংক্রান্ত তামাদির বিধান "তামাদি

 আইনের" কত অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে? -------- ১৫০ অনুচ্ছেদে। 

৬৩) বন্ধকী স্থাবর সম্পত্তির খালাস করার বা দখল পুনরুদ্ধারের জন্য বন্ধকগ্রহীতার বিরুদ্ধে মামলার

 নির্ধারিত মেয়াদ কত? --------- ৬০ বছর। 

৬৪) এক তরফা শুনানিকৃত আপিল পুনঃশুনানির তামাদি সম্পর্কিত বিধান "তামাদি আইনের" কত

 অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে? ---------১৬৯ অনুচ্ছেদে। ( তামাদি মেয়াদ ৩০ দিন)

৬৫) চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদনের কোন মামলায় যেক্ষেত্রে কোন সময়কাল নির্ধারিত নেই সেক্ষেত্রে তামাদির মেয়াদ গণনা শুরু হবে কিভাবে? 

- অস্বীকৃতির বিষয় জানার তারিখ থেকে। 

৬৬)নিষেধাজ্ঞার ডিক্রি জারির দরখাস্ত দাখিলের মেয়াদকাল গণনা করা হবে কখন থেকে? 

- ডিক্রির সই মহুরি নকল প্রাপ্তির তারিখ হতে।

৬৭) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ বিরুদ্ধে আপিল করতে হয় কত সময়ের মধ্যে? 

- ৬০ দিনের মধ্যে। (তামাদি আইনের ১৫৫ অনুচ্ছেদ।) 

৬৮) মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট বিভাগে আপিল করতে হয় কত সময়ের মধ্যে? 

-৭ দিনের মধ্যে। (তামাদি আইনের ১৫০ অনুচ্ছেদে বলা আছে।)

৬৯) বিক্রয় রদের মামলা দায়ের তামাদি মেয়াদ কত? ------- ১ বছর। 

৭০) সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন-১৮৭৭ এর ৪২ ধারা অনুযায়ী ঘোষণামূলক মামলার তামাদি মেয়াদ কত? 

- ৬ বছর

★ তামাদি আইন ১৯০৮-ধারা সংক্ষেপঃ-

ধারা-১ শিরোনাম,

ধারা-২ সংজ্ঞা,

ধারা-৩ খারিজ,

ধারা-৪ বন্ধ,

ধারা-৫ বিলম্ব মউকুফ,

ধারা-৬ অপারগতা,

ধারা-৭ কতিপয় বাদী,

ধারা-৮ ব্যতিক্রম,

ধারা-৯ সময়ের অবিরাম চলন,ধারা-১০ অছি,

ধারা-১১ বৈদেশিক চুক্তি,

ধারা-১২ বাদ যাবে,

ধারা-১৩ বিবাদি বিদেশে,

ধারা-১৪ ভুল আদালত,

ধারা-১৫ নোটিস,

ধারা-১৬ নিলাম রদ,

ধারা-১৭ মৃত্যুর ফলাফল,

ধারা-১৮ প্রতারণার ফলাফল,ধারা-১৯ স্বীকৃতির ফলাফল,

ধারা-২০ ঋণ বা সুদ প্রদান ফলাফল

ধারা-২১ অক্ষম ব্যক্তির প্রতিনিধি

ধারা-২২ পক্ষভুিক্তর ফলাফল,ধারা-২৩ অবিরাম চুক্তিভঙ্গ,

ধারা-২৪ ক্ষতিপূরণের মামলা,ধারা-২৫ গেগরিয়ান বর্ষ পুঞ্জি,

ধারা-২৬ সুখাধিকার,

ধারা-২৭ ভাবি উত্তরাধিকারী,

ধারা-২৮ বিলুপ্তি,

ধারা-২৯ সংরক্ষন।

টিপসঃ- ১

➤ ৩ টি করে ক্ষেত্র আছে তিনটি ধারাতে ৩, ৬, ২১ (৬ ধারা উপধারা ৪টি)।

➤ ৪ টি করে ক্ষেত্র আছে ৪ টি ধারাতে ১২, ২৬, ২৯

➤ ৫ ধারায় ৫টি ক্ষেত্র আছে।

➤ ৫ টি ধারায় তামাদি মেয়াদ গণনা থেকে বাদ যাবে ১২, ১৩, ১৪, ১৫, ১৬ 

➤ ৫ টি ধারায় ফলাফল সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে ১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২২

টিপসঃ- ২ 

➤ তামাদি সময় --- ৭ দিনঃ-

অনুচ্ছেদ --- ১৫০

➤ তামাদি সময়  --- ১০ দিনঃ-অনুচ্ছেদ --- ১৫৯

➤ তামাদি সময় --- ১৫ দিনঃ-অনুচ্ছেদ --- ১৬০, ১৬১

➤ তামাদি সময় --- ২০ দিনঃ-অনুচ্ছেদ --- ১৫১, ১৬২

➤ তামাদি সময় --- ৩০ দিনঃ- অনুচ্ছেদ --- ১৫২, ১৫৩, ১৫৪, ১৫৮, ১৬৩ থেকে ১৭০

➤ তামাদি সময় --- ৬০ দিনঃ- অনুচ্ছেদ --- ১৫৫, ১৭১, ১৭২

➤ তামাদি সময় --- ৯০ দিনঃ- অনুচ্ছেদ  ---- ২, ১৫৬, ১৭৩, ১৭৪,  ১৭৬ থেকে ১৭৯ 

➤ তামাদি সময় --- ১৮০ দিনঃ- অনুচ্ছেদ --- ৩, ১৫৭, ১৭৫

➤ তামাদি সময় --- ১  বছরঃ-অনুচ্ছেদ --- ৪ থেকে ৩১, ১১৩, ১১৪

নোটঃ চুক্তির তামাদি মেয়াদ ১ বছর।

➤ তামাদি সময় --- ২  বছরঃ-অনুচ্ছেদ --- ৩২ থেকে ৩৬

➤ তামাদি সময় --- ৩ বছরঃ-

অনুচ্ছেদ --- ৩৭ থেকে ১১২, ১১৫, ১৮০, ১৮১, ১৮২

নোটঃ দেনমহর, ঋণ, দলিল, বন্ধক, টাকা লেনদেন থাকলে তামাদি মেয়াদ ৩ বছর হবে।

➤ তামাদি সময় --- ৬ বছরঃ-অনুচ্ছেদ --- ১১৬ থেকে ১২০

➤ তামাদি সময় --- ১২ বছরঃ-অনুচ্ছেদ --- ১২১ থেকে ১৪৪

নোটঃ হিন্দু শব্দ থাকলেই ১২ বছর তামাদি মেয়াদ হবে।

➤ তামাদি সময় --- ৩০ বছরঃ- অনুচ্ছেদ --- ১৪৫, ১৪৬


Sunday, August 27, 2023

সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন

১. সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন- পদ্ধতিগত আইন নয়।

২. সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন কত সালে প্রণীত হয়?-- ১৮৭৭ সালে।

৩. সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন বলবৎ হয় - ১৮৭৭ সালে ১লা মে

৪. সুনির্দিষ্ট প্রতিকার (সংশোধন) আইন,২০০৪ কার্যকর হয়- ০১.০৭.২০০৫ সালে।

৫. সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন- বলতে বুঝায় --- আদালত কর্তৃক বিশেষ ধরনের প্রতিকার।

৬. সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনে মোট ধারা আছে --- ৫৭ টি।

৭. সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন,১৮৭৭ এর খসড়া প্রণয়ন করেন--- Dr.Whitley Strokes.

৮. সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন-৮ ও ৯ ধারায় আদালত কোন ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে না? --- বিবেচনামূলক ক্ষমতা।

৯. সুনির্দিষ্ট প্রতিকার কত উপায়ে দেয়া যায়?--- ৫ উপায়ে।[ধারা-৫]

১০. সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন-৫২ ধারায় কোন প্রকার প্রতিকারের বিধান আছে?--- নিরোধমূলক।

১১. ৮ ও ৯ ধারায় স্থাবর সম্পত্তি এবং  ১০ ও ১১ ধারায় অস্থাবর সম্পত্তির দখল উদ্ধার নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। 

১২. 

★ Preventive Relief -- প্রতিরোধমূলক প্রতিকার/নিরোধমূলক প্রতিকার।[৬ ধারায় সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে ]

* তা দেওয়া বা না দেওয়া আদালতের বিবেচনামূলক ক্ষমতা

★ Discretionary Power - বিবেচনামূলক ক্ষমতা।

★ Temporary Injunction - অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা। 

★ Perpetual Injunction - স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা। 

★ Mendatory Injunction - বাধ্যতামূলক নিষেধাজ্ঞা। 


১. দলিল বাতিল বা বাতিলযোগ্য বিষয়টি অবগত হওয়ার কত বছরের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষকে মামলা দায়ের করতে হয়?--- ৩ বছরের মধ্যে। 

২. দলিল বাতিলের বিধান আছে কত ধারায়? --- ৩৯ ধারায়।

৩. বাতিলযোগ্য দলিল বাতিলের ডিক্রি প্রদানের ক্ষেত্রে দেওয়ানি আদালতের ক্ষমতা কেমন? -- স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা।

৪. আদালতের ডিক্রির কপি সংশ্লিষ্ট নিবন্ধন কর্মকর্তার কাছে প্রেরণ করতে হয় একটি - লিখিত দলিল বাতিলের ক্ষেত্রে। 

৫. কোন মামলায় আদালত ডিক্রির কপি রেজিস্ট্রি অফিসে প্রেরণ করতে আইনগত বাধ্য? --- রেজিস্টার্ড দলিল বাতিলের মোকদ্দমায়।

৬. দলিল বাতিলের মোকদ্দমায় বাদীকে উক্ত দলিলের - পক্ষ থাকার প্রয়োজন নেই।

৭. দলিল রদের মামলায় কোর্ট ফি কত? -- এ্যাড -ভোলেরাম।

৮. সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের........ ধারায় দলিল সংশোধন এবং.........  ধারায় দলিল বাতিলের আবেদন করা যায় ----- ৩১ ও ৩৯ ধারায় যথাক্রমে।

৯. সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের........ ধারায় চুক্তি বাতিল এবং.........  ধারায় দলিল বাতিলের আবেদন করা যায় ----- ৩৫ ও ৩৯ ধারায় যথাক্রমে।

১০. দলিল বাতিলের ঘোষণার জন্য মামলা দায়ের করতে হয় --- ৪২ ধারায়। 

রিসিভার নিয়োগ:-

১. রিসিভার নিয়োগ দেওয়া হয় - CPC-1908 এর - ৪০ নং আদেশ অনুযায়ী। 

২. সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের কত ধারায় রিসিভার নিয়োগের আবেদন করা যায়?  - ৪৪ ধারায়। 

৩. রিসিভার নিয়োগ আদালতের কেমন ক্ষমতা?- স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা(Discretionary Power)


Tuesday, February 14, 2023

দেওয়ানী কার্যবিধি-১৯০৮

★দেওয়ানী কার্যবিধি ১৯০৮সালের ৫নং আইন। 

     মোট ১৫৮টি ধারা, ৫১টি আদেশ আছে এবং মোট তফসিল আছে ৫ টি।

★১৯০৮সালের ৫ নং আইনের পূর্বে ৩টি কোড ছিল।

★এটি একটি মূল আইন এবং পদ্ধতি গত আইন।

★১৯০৮সালের দেওয়ানী কার্যবিধি পাশ হওয়ার আগে মোট ধারা ছিল ৬৫৩ টি।

★দেওয়ানী কার্যবিধির সর্বোচ্চ বিধি সংবলিত আদেশ ২১ এবং সর্বনিম্ন বিধি সংবলিত আদেশ হল ৪২ এবং ৫০।

★২০০৩ সালে দেওয়ানী কার্যবিধির ১১৫ ধারা সংশোধনের মাধ্যমে জেলা জজকে রিভিশন এর ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। 

★দেওয়ানী আদালত প্রতিষ্টিত হয়  Cvil courts act 1887।

★সাক্ষীর প্রতি সমনের কথা বলা আছে ৩১ ধারায়।

★চুড়ান্ত শুনানি নির্ধারণ হওয়ার ১২০ দিনের মধ্যেই আদালত শুনানী শেষ করবেন।

★যে কোন পক্ষের অনুরোধ ক্রমে আপীল আদালত আপীলের শুনানি ৩ বার মূলতবী করতে পারবে। 

★মোকাদ্দমা ব্যয়ের উপর অনাধীক ৬%সুদ দেওয়ার নির্দেশ দিতে পারে। 

★আরজি সংশোধনের দরখাস্ত না মঞ্জুর হলে রিভিশন করতে হবে। 

★অনুসন্ধান ২প্রকার।

★বিচার্য বিষয়/মূলতবী কথা বলা আছে ১৪ নং /১৭নং আদেশে।

★মূল মোকদ্দমার পক্ষ না হলে ৯৬ধারা অনুযায়ী আপীল করা যায় না।

★কমিশন কতৃক সরেজমিনে তদন্ত রিপোর্ট দেওয়ার সর্বোচ্চ সময় ৩মাস।

★কমিশন কতৃক আদালতে দাখিল কৃত স্থানীয় তদন্ত রিপোর্ট মোকদ্দমার অংশ হিসাবে গন্য হবে।

★দেওয়ানী মামলায় সর্বোচ্চ ২০০০টাকা পর্যন্ত Adjournment cost দেওয়া যেতে পারে।

★দেওয়ানী মামলায় ডিক্রি জারী মূলে কোন সম্পত্তির নিলাম বিক্রি হলে বিক্রির তারিখ  হতে ১৫দিনের মধ্যে ক্রয়মূল্য আদালতে জমা দিতে হবে। 

★মোকাদ্দমার অ্যবেইটমেন্ট আদেশ সরাসরি বাতিল করার জন্য আদালত একজন দরখাস্তকরীকে সর্বোচ্চ ৩০০০টাকা পরিশেষের নির্দেশ দিতে পারেন।

★সংবিধানের ব্যাখ্যা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কোন প্রশ্ন জড়িত মোকদ্দমা সম্পর্কে বলা আছে দেওয়ানী কার্যবিধি ২৭এ আদেশে।

★ডিক্রিজারী ৩৬-৭৪ ধারা এবং ২১ নং আদেশে। 

★আপীল এর কথা বলা আছে ৯৬-১১২ধারা এবং ৪১-৪৫ নং আদেশে।

★রিভিউর কথা বলা আছে ১১৪ধারা এবং ৪৭আদেশে।

★রিভিশনের কথা বলা আছে ১১৫ ধারাতে।

★রেফারেন্স এর কথা বলা আছে  ১১৩ ধারা এবং  ৪৬আদেশে।

----------------------------------------------------------------------

১| সমন বিনা জারিতে ফেরত আসলে ১ মাসের মধ্যে নতুন সমন জারি করতে ব্যর্থ হলে মোকদ্দমা খারিজ হবে। ৯ আদেশ ৫ বিধি।

২| একতরফা ডিক্রি রদের জন্য সরাসরি আবেদন করলে আদালতে কত টাকা জমা দিতে হয়।৩০০০ টাকা। ৯ আদেশ ১৩ক বিধি।

৩| একতরফা ডিক্রির আবেদন নামঞ্জুর করে আদেশ দিলে প্রতিকার আপীল ৪৩ আদেশ ১ বিধি।

৪| একতরফা ডিক্রি রদের আবেদন কত দিনের মধ্যে ৩০ দিনের মধ্যে ১৬৪ অনুচ্ছেদ।

৫| বাদীর দোষের কারণে মোকদ্দমা খারিজ হলে নতুন করে মোকদ্দমা দায়ের করতে পারবেনা। ৯ আদেশ ৮ বিধি।

৬| মোকদ্দমা খারিজ আদেশ রদের জন্য সরাসরি আবেদন করতে পারে ৩০ দিনের মধ্যে সাথে ১০০০ টাকা খরচ দিতে হবে।

৯ আদেশ ৯ক বিধি।

৭| চুড়ান্ত শুনানির পূর্বে আদালত প্রত্যেক পক্ষকে খরচ ছাড়া মুলতবি মন্জুর করতে পারে এবং খরচসহ তিনটি মুলতবি মন্জুর করতে পারে। ১৭ আদেশ ১(৩) বিধি।

৮| মোকদ্দমা মুলতবি খরচ সর্বনিম্ন ২০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১০০০ টাকা।

৯| মোকদ্দমা মুলতবি  খরচ প্রদানের ব্যর্থতার কারণে খারিজ বা একতরফা ডিক্রি হলে ৩০ দিনের মধ্যে ২০০০ টাকা খরচ দিয়ে আবেদন করতে হবে।

১০| মোকদ্দমা চুড়ান্ত শুনানির দিন ধার্য হওয়ার তারিখ থেকে ১২০ দিনের মধ্যে শুনানির কাজ শেষ করবেন। ১৮ আদেশ ১৯ বিধি।

১১| মোকদ্দমার বিচার্য বিষয় নির্ধারণের পর ১২০ দিনের মধ্যে চূড়ান্ত শুনানির দিন ধার্য করবেন। ১৪ আদেশ ৮ বিধি।

১২| মোকদ্দমা শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করবেন ৭ দিনের মধ্যে। ২০ আদেশ ১ বিধি।

১৩| রায় ঘোষণার পর ৭ দিনের মধ্যে ডিক্রি প্রণয়ন করবেন। ২০ আদেশ ৫ক বিধি।



৩. দেওয়ানী কার্যবিধি কোন ধরনের আইন?--------- পদ্ধতিগত আইন।

৪. একাটি দেওয়ানী মামলা শুরু হয কিভাবে? ------আরজি দাখিলের মাধ্যমে।

৫. দেওয়ানী কার্যবিধি কবে থেকে কার্যকর হয়? -----১লা জানুয়ারী ১৯০৯।


৬. দেওয়ানী কার্যবিধির ধারার সংখ্যা?--------১৫৮টি।

৭. কোন মামলাটি দেওয়ানী মামলা বল বিবেচিত হবে? -------সকল প্রকার স্বত্বের মামলা।

৮. ডিক্রি কত ধরনের হয়?-------২ ধরনের।

৯. ডিক্রিতে কি উল্লেখ থাকে?--------পক্ষগণের অধিকার।

১০. দেওয়ানী কার্যবিধিতে কয়টি আদেশ রয়েছে?----------৫১ টি।

১১. দেওয়ানী কার্যবিধির ৯ নং ধারায় কি উল্লেখ আছে?--------আদালতের সাধারণ এখতিয়ার।

১৩. দেওয়ানী কার্যবিধির কত নং ধারায় ডিক্রি এর সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে? --------২(২) ধারায়।

১৪. দেওয়ানী কার্যবিধির কত নং ধারায় আদেশ এর সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে? ------২(১৪) ধারায়।

১৫. রেস জুডিকাটা কত ধারায় বলা হয়েছে? ---------১১ নং ধারায়?

১৬. দেওয়ানী কার্যবিধির কত নং ধারায় বিধি এর সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে?------২(১৮) ধারায়।

১৭. রেস সাব জুডিস কত ধারায় বলা হয়েছে?----- ১ ০ ধারায়।

১৮. এক আদালতে একই পক্ষদ্বয়ের মাঝে যে মামলা চলমান সেই বিষয়ে অন্য আদালতে একই

 পক্ষদ্বয়ের মামলা চলবেনা। এমন নীতি কত ধরায় উল্লেখ আছে? --------১০ ধারায়।

১৯. পুনরায় মামলা করার বাধা প্রদান করা হয়েছে কোন ধারায়?-------- ১২ ধারায়।

২০. দেওয়ানাী কার্যবিধি অনুসারে অস্থাবর সম্পত্তি নিম্নের কোনটিকে অর্ন্তভূক্ত করে?-----বাড়ন্ত ফসল।

২১. রায় বলতে কী বোঝায়? -----আদেশ।

২২. দেওয়ানী আদালতের এমন কোন সিদ্ধান্তের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ যা কোন ডিক্রি নয় তা কী বলে

 বিবেচিত হবে?----------আদেশ।

২৩. আদালতে পক্ষগণের মাঝে যে বিষয়টি চুড়ান্ত ভাবে একবার নিস্পত্তি করা হয়েছে। সেই একই বিষয় নিয়ে একই পক্ষগণের মাঝে পুনরায় মামলা করা যাবে না এই নীতিটি কত নং ধারায় বলা হয়েছে? ------------১১ নং ধারায়।

২৪. রহিম একজন ব্যবসায়ী সে করিমের বিরুদ্ধে স্বত্ত্বের মামলা করে তার পক্ষে রায় পায় এবং একই বিষয়ে করিমের বিরুদ্ধে দখল পুনরূদ্ধোরের মামলাকরে। তবে নিচের কোনটি সত্য? 

মামলাটি চলতে কোন বাধা নেই।

২৫. দেওয়ানী মামলা কোথায় করতে হবে এ সংক্রান্ত বিধান দেওয়ানী কার্যবিধির কত নং ধারায় উল্লেখ

 আছে? ----------------১৫ ধারায়।

২৬. দেওয়ানী কার্যবিধির ১৫ নং ধারা অনুযায়ী প্রতিটি সিভিল মামলা করতে হবে? 

----যোগ্য সর্বনিম্ন আদালতে।

২৭. দেওয়ানী মামলা কোথায় দায়ের করতে হবে এটি কোন ধারায় বলা হয়েছে ? 

১৫-২০ ধারায়।

২৮. মানহানীর মামলা দায়ের সংক্রান্ত বিধান দেওয়ানী কার্যবিধির কত নং ধারায়? 

১৯ নং ধারায়।

২৯. যখন কোন ব্যক্তি স্থায়ী নিবাস এক জায়গায় এবং অস্থায়ী ভাবে অন্য জায়গায় থাকে তখন ধরে নেওয়া হবে যে? 

সে উভয় জায়গার বাসিন্দা।

৩০. যখন কোন ব্যক্তি স্থায়ী নিবাস এক জায়গায় এবং অস্থায়ী ভাবে অন্য জায়গায় থাকে তখন ধরে নেওয়া হবে যে? সে উভয় জায়গার বাসিন্দা এটি কত ধারায়? 

২০ ধারায়।


৩১. দেওয়ানী কার্যবিধির ১৫ নং ধারা মতে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মূল্যমানের কোন মামলা নিম্নোক্ত কোন আদালতে করতে হবে? সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে।

৩২. একই এখতিয়ার আছে এমন এক আদালত থেকে অন্য আদালতে মামলা স্থানান্তর করার বিষয়ে নিম্নের কোন ধারায় আলোচনা করেছে? 

২২ ধারায়।

৩৩. যখন কোন স্থাবর সম্পত্তি একাধিক দেওয়ানী আদালতের এখতিয়ারের মধ্যে চলে আসে। তখন সংশ্লিষ্ট যে কোন আদালতে মামলা দায়ের করলেই হবে এটা কোন ধারায় বলা হয়েছে? 

১৭ ধারায়।

৩৪. দেওয়ানী কার্যবিধির কত ধারা বলে হাইকোর্ট অথবা জেলা জজ আদালত কোন মামলা হস্তান্তর অথবা প্রত্যাখ্যান করতে পারে? ধারা ২৪।

৩৫. ধারা ২৪ অনুসারে কোন কোর্ট সিভিল মামলা হস্তান্তর করবে এই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে? হাইকোর্ট ডিভিশন ও জেলা জজকোর্ট।


৩৬. কোন আদালতের মামলা হস্থান্তরের ক্ষমতা নেই ? 

সিনিয়র সহকারী জজ আদালত।

৩৭. প্রতিটি দেওয়ানী মামলাই আরজি দাখিলের মাধ্যমে সূচনা করতে হবে এমন বিধান কোন ধারা মতে? 

ধারা ২৬।

৩৮. একটি ডিক্রি সম্পাদনের ক্ষমতা আছে নিম্নের কোন আদালতের? 

ডিক্রি প্রদানকারী এবং যে আদালতে ডিক্রি কার্যকর করার জন্য পাঠানো হয়েছে সেই আদালতের।

৩৯. ডিক্রি কার্যকর সম্পর্কিত বিধানটি দেওয়ানী কার্যবিধির কোন ধারায় দেওয়া আছে? 

৩৮ ধারায়।

৪০. কতগুলো শর্ত পূরণের ভিত্তিতে ডিক্রি হোল্ডার একটি মামলার ডিক্রি কার্যকর করার জন্য উক্ত মামলা হস্তান্তর করার আবেদন করতে পারেন, এই বিধান দেওয়ানী কার্যবিধির কত নং ধারায় বলা আছে? 

৩৯ ধারায়।


৪১. আদালত নিজ ইচ্ছায় 

স্ব-প্রনোদিত হয়ে ডিক্রি কার্যকর কারার জন্য মামলা অধীনস্থ এখতিয়ার সম্পন্ন কোন আদালতে প্রেরণ করতে পারে। এমন বিধান দেওয়ানী কার্যবিধির কোন ধারায় দেয়া আছে? 

৩৯ (২) ধারায়।

৪২. ডিক্রি কায়কর করার জন্য সর্বোচ্চ কত বছরের মধ্যে আবেদন করতে হবে? 

১২ বছরের মধ্যে।

৪৩. ডিক্রি কার্যকর করার জন্য সর্বোচ্চ ১২ বছরের মধ্যে আবেদন করতে হবে ইহা কত ধারায় উল্লেখ আছে? 

৪৮ ধারায়।

৪৪. মৃত ব্যক্তির আইনগত প্রতিনিধির ক্ষেত্রে ডিক্রি কিভাবে কার্যকর করতে হবে? 

মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি ক্রোক ও বিক্রি করে।

৪৫. দেওয়ানী কার্যবিধির কোন ধারায় আপিল নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে? 

৯৬ ধারায়।


৪৬. একতরফা রায়ের বিরুদ্ধে কত ধারায় আপিল করতে হবে?

 ৯৬ ধারায় ।

৪৭. সোলে ডিক্রির বিরুদ্ধে কি হয় না? 

আপিল ।

৪৮. সোলে ডিক্রির বিরুদ্ধে আপিল হয়না এটি কোন ধারায়? 

৯৬ (৩) ধারায়।

৪৯. আপীল দায়ের করতে পারেন? রায়, ডিক্রি বা আদেশের ফলে সংযুক্ত, সংক্ষুদ্ধ ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি।

৫০. মামলা হস্তান্তরের ক্ষেত্রে আদালত সমূহের আপীল আদালত অভিন্ন না হলে আপীলটি দায়ের করতে হবে? 

হাইকোর্ট বিভাগে।


৫১. হাইকোর্ট ডিভিশনের আদি এখতিয়ারের মাধ্যমে প্রদত্ত চুড়ান্ত আদেশ বা ডিক্রির বিরুদ্ধে কোথায় আপীল করতে হবে? 

আপিল বিভাগে।

৫২. দেওয়ানী কার্যবিধির কোন আদেশ মুল ডিক্রি হতে আপীল সংক্রান্ত বিধান দেয় আছে? 

আদেশ ৪০।

৫৩. দেওয়ানী কার্যবিধির কোন ধারায় শুধু মাত্র ডিক্রির বিরুদ্ধে আপিল এর কথা বলা হয়েছে?

 ৯৬ ধারায়।

৫৪. কোন কোন ক্ষেত্রে আপিল করা যায় না? পক্ষগণের সম্মতির ভিত্তিতে প্রাপ্ত ডিক্রির বিরুদ্ধে।

৫৫. প্রাথমিক ডিক্রির বিরুদ্ধে সংক্ষুদ্ধ থাকা সত্ত্বেও যদি আপীল না করা হয় তবে চুড়ান্ত ডিক্রির ক্ষেত্রে পূর্বের বিষয় সংযুক্ত করা যাবে না? এমন বিধান কোন ধারায় বলা আছে? 

৯৭ ধারায়।


৫৬. কোন ধারায় আদেশ এর বিরুদ্ধে আপীল এর কথা বলা হয়েছে? 

১০৪ ধারায়।

৫৭. কোন ধারার অধীনে কোন আদেশ পাশ হলে তা আপীল যোগ্য নয়? 

১০৪ ধারা ।

৫৮. কিসের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করা যাবে? 

ডিক্রি ও আদেশ উভয়ের বিরুদ্ধে।

৫৯. দেওয়ানী কার্যবিধির কোন ধারায় রিভিশন এখতিয়ার বর্ণনা করা হয়েছে? 

১১৫ ধারায়।

৬০. রিভিশন কখন প্রযোজ্য হয়? এখতিয়ার অনিয়মিত প্রয়োগ, অপপ্রয়োগ এবং এখতিয়ার সম্পর্কে অবৈধ বা আংশিক ধারনা থাকলে।


৬১. দেওয়ানী কার্যবিধির কোন ধারায় রেফারেন্স এখতিয়ার আলোচনা করা হয়েছে? 

১১৩ ধারায়।

৬২. ১১৫ ধারা অনুযায়ী রিভিশন এখতিয়ার কোন ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যাবে? 

আইনগত ভুলের ক্ষেত্রে।

৬৩. দেওয়ানী কার্যবিধির কোন ধারায় আদালতের সহজাত ক্ষমতা আলোচনা করা হয়েছে? 

১৫১ ধারায়।

৬৪. দেওয়ানী কার্যবিধির ধারা ১৫১ এর অধীনে ক্ষমতা হলো? 

সহজাত।

৬৫. নিম্নের কোন আদালত সহজাত ক্ষমতা প্রযোগ করতে পারে? 

সব আদালত।


৬৬. কোন ক্ষেত্রে সহজাত ক্ষমতা প্রয়োগ করা যাবে? 

ন্যায় বিচারের স্বার্থে এবং আদালতের কার্যপ্রণালী অপব্যবহার।

৬৭. প্লিডিংস সম্পর্কিত আদেশটি কত? 

আদেশ ৬।

৬৮. প্লিডিংস এর অর্থ কি? 

আরজি এবং লিখিত জবাব?

৬৯. প্রত্যেকটি প্লিডিংসএ অবশ্যই মামলার পক্ষগণ মামলা বিষয়ে প্রয়োজনীয় ঘটনার উল্লেখ করবে। এই কথা কোন আদেশে বলা হয়েছে? 

আদেশ ৬।

৭০. আরজি সংক্রান্ত আদেশ কোনটি? 

আদেশ ৭।


৭১. আরজিতে কি কি বিষয় সন্নিবেশিত করতে হবে তা আদেশ ৭ এর কোন বিধিতে উল্লেখ আছে? আদেশ ৭ বিধি ১।

৭২. দেওয়ানী কার্যবিধির ১৯০৮ এর ১০৪ ধারা মতে নিম্নোক্ত কোন আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করা যাবেনা? 

১০৪ ধার মতে আনীত আপীলের আদেশের বিরুদ্ধে ।

৭৩. দেওয়ানী কার্যবিধি নিচের কোন ধারায় আপীল নিয়ে আলোচনা করে? 

১০৪ ধারার আপীল নিয়ে।

৭৪. যদি ধারা ৩৫ এর ক এর অধীনে কোন আদেশ দেয়া হয় তবে তার বিরুদ্ধে কোন ধারায় আপীল করতে হবে? 

১০৪ ধারায়।

৭৫. যখন আদালত ৯৫ ধারার অধীনে কোন আদেশ প্রদান করলে তখন ঐ আদেশের বিরুদ্ধে কোন ধারায় আপীল করা যাবে? 

১০৪ ধারায়।


৭৬. অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা এর আদেশের বিরুদ্ধে কোন ধারায় আপীল করতে হবে? 

১০৪ ধারায়।

৭৭. যদি আরজি বাতিল হয় তবে তা কি বলে বিবেচিত হবে? 

ডিক্রি হিসেবে।

৭৮. আরজি বাতিলের বিরুদ্ধে কোন অধিকার প্রয়োগ করা যেতে পারে? আপিল অধিকার।

৭৯. আপীল আদালতের ক্ষমতা বিষয়ে কোন ধারায় আলোচনা করা হয়েছে? 

১০৭ ধারায়।

৮০. ধারা ১০৭ অনুযায়ী আপীল আদালত নিম্নোক্ত কোন ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে? 

মামলা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি, পুণরায় বিচারে প্রেরণ এবং অতিরিক্ত স্বাক্ষ্য গ্রহণ।


৮১. একজন বিচারক কর্তৃক প্রদত্ত ডিক্রি একই বিচারক কর্তৃক পুনরায় বিবেচনা করাকে কি বলে? 

রিভিউ।

৮২. দেওয়ানী কার্যবিধি কোন ধারায় রিভিউ বিষয়ে বলা আছে? 

১১৪ ধারায়।

৮৩. দেওয়ানী কার্যবিধির ধারা ১১৪ অনুযায়ী রিভিউ কোন আদালতে করা সম্ভব? 

একই আদালতে।

৮৪. দেওয়ানী কার্যবিধি অনুযায়ী কখন রিভিউ আবেদন করা যাবে? যখন ডিক্রি বা আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করার বিধান আছে কিন্ত করা হয়নি।

৮৫. আরজিতে প্রথমেই কোন টি উল্লেখ করতে হবে? 

আদালতের নাম?


৮৬. আরজি ফেরৎ আদেশ ৭ এর কত নং বিধিতে উল্লেখ আছে?

 ১০ নং বিধিতে।

৮৭. আরজি বাতিলের কারণ গুঅের আদেশ ৭ এর কত নং বিধিতে উল্লেখ আছে?

 ১১ নং বিধিতে।

৮৮. প্লিডিংস সংশোধন সংক্রান্ত আদেশ কোনটি? 

আদেশ ৬।

৮৯. আদশ ৬ এর কত নং বিধি অনুযায়ী প্লিডিংস সংশোংধন করতে হবে? বিধি ১৭ অনুযায়ী।

৯০. প্রত্যাখ্যাত আরজি কিভাবে পূনরুজ্জীবিত করা যায়? 

সংশোধন করে। 


৯১. কখন প্লিডিংস সংশোধন করা যায়? 

যে কোন পর্যায়ে।

৯২. সেট অফ সংক্রান্ত আদেশ কোনটি? 

আদেশ ৮।

৯৩. আদেশ ৮ এর কত বিধিতে সেট অফ এর বিধাণ আছে? 

বিধি ৬।

৯৪. দেওয়ানী মামলায় বিবাধী কর্র্তৃক দাখিল হয় কোনটি? 

লিখিত বিবৃতি।

৯৫. দেওয়ানী কার্যবিধি ১৯০৮ এর আদেশ ৬ বিধি অনুযায়ী নিচের কোনটিতে সাক্ষ্য সম্পর্কে বিবরণ দিতে হবে। 

কোনটিতে নয়?


৯৬. আদেশ ৮ বিধি ১ অনুযায়ী কত দিনের মধ্যে বিবাদী লিখিত বিবৃতি জমা দিবে? 

সর্বোচ্চ ৬০ দিনে।

৯৭. নির্ধারিত সময়ে বিবাদী লিখিত বিবৃতি জমা না দিলে কী হবে? একতরফা সিদ্ধান্ত দিবে।

৯৮. আদেশ ৮ বিধি ৬ অনুযায়ী নিচের কোন শর্তটি অবশ্যই পূরণীয় হতে হবে?

 মামলাটি টাকা অথবা জমি সংক্রান্ত হতে হবে।

৯৯. রায় এবং ডিক্রি সংক্রান্ত আদেশ কোনটি? 

আদেশ ২০।

১০০. গ্রেফতার ও রায়ের পূর্বে ক্রোক সংক্রান্ত আদেশ কোনটি? আদেশ ৩৮।


১০১. ধারা ১১৫ অনুযায়ী রিভিশন নিচের কোন ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যাবে? 

আইনগত ভূলের ক্ষেত্রে।

১০২. রিসিভার নিয়োগ সংক্রান্ত আদেশ কোনটি? 

আদেশ ৪০।

১০৩. মূল ডিক্রি থেকে আপিল কত নং আদেশে আছে? 

আদেশ ৪১ এ।

১০৪. আদেশ এর বিরুদ্ধে আপিল কোন আদেশে উল্লেখ আছে? আদেশ ৪৩ এ।

১০৫. নামাজ পড়ার অধিকার, পূজা বা প্রার্থনার অধিকার অথবা সম্পর্কে কোথায় মামলা দায়ের করা যাবে? 

দেওয়ানী আদালতে।


১০৬. দেওয়ানী কার্যবিধির কোন ধারা মতে মামলা হস্তান্তর করা হয়? ২৪ ধারা মতে।

১০৭. দেওয়ানী আদালত কত প্রকারের? 

৫ প্রকারের।

১০৮. দেওয়ানী আদালত সমূহ সৃষ্টি করা হয়েছে কোন আইনের মাধ্যমে? দেওয়ানী কার্যবিধি ১৮৮৭এর মাধ্যমে।

১০৯. দেওয়ানী কার্যবিধির কোন ধারা মতে আদালতে অস্থায়ী নিধোজ্ঞা প্রার্থনা করা হয়। আদেশ ৩৯ এর বিধি ১ মতে।

১১০. কোন বিধান মতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা রদ করা হয়? 

আদেশ ৩৯ এর বিধি ৪ মতে।


১১১. নিচের কোন ব্যাক্তিকে রিসিভার বলা যাবে? 

মামলার বিষয় বস্তুুর সংশ্লিষ্ট কোন সম্পত্তি রক্ষার্থে নিয়োজিত ব্যক্তি।

১১২. যেখানে মামলার বিষয়বস্থ অবস্থি সেখানেই অধীনস্থ আদালতে মামলা দায়ের করতে হবে এমন বিধান আছে কোন ধারায়? 

১৬ ধারায়?

১১৩. দেওয়ানী কার্যবিধির ২৭ এর বিধান কি? 

বিবাদীর সমন জারি।

১১৪. দেওয়ানী কার্যবিধির ২(৯)ধারায় কিসের সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে? 

রায় এর সংজ্ঞা।

১১৫. আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত দিলে সেটি নিচের কোনটি বলে ধরে নেওয়া হবে?

 আদেশ।


১১৬. যদি আরজি সংশোধনের দরখাস্ত মঞ্জুর না হয় তবে কি করতে হবে? রিভিশন করতে হবে।

১১৭. অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্ত মঞ্জুর না হলে নিচের কোনটি করা যেতে পারে? বিবিধ আপীল করতে হবে।

১১৮. যখন আরজি খারিজ হয়ে যায় তখন সেই সিদ্ধান্তকে কি বলে? ডিক্রি বলে।

১১৯. ছানী মোকদ্দমা খারিজ হলে কি প্রতিকার পেতে পারি? রিভিউ।

১২০. দেওয়ানী কার্যবিধির কোন্ ধারা পরিবর্তন করার ক্ষমতা নিচের কার আছে? 

সংসদের আছে।


১২১. দেওয়ানী কার্যবিধির বিধি পরিবর্তন কার এখতিয়ার সম্মত? সর্বোচ্চ আদালতের।

১২২. একতরফা ডিক্রি রদ করার আবেদন করতে হবে কত দিনের মধ্যে? 

৩০ দিনের মধ্যে।

১২৩. ছানী মোকদ্দমা কত আদেশের অধীনে উল্লেখ আছে? 

৯ নং আদেশের মধ্যে।

১২৪. রায়ের পূর্বে ক্রোক এর বিধান কোথায় আছে? 

আদেশ ৩৮ এ।

১২৫. রায়ের পূর্বে ক্রোক সংক্রান্ত বিধানটি ৩৮ নং আদেশের কত বিধিতে আছে? 

বিধি ৫ এ।


১২৬. দেওয়ানী কার্যবিধির আদেশ ৯ বিধি ১৩ এর বিধান কি? একতরফা ডিক্রি।

১২৭. আপীলে কি কি ডকুমেন্ট হাজির করতে হবে? 

ডিক্রির নকল, মোকদ্দমার রায় এবং উকিলের সার্টিফিকেট।

১২৮. দেওয়ানী কার্যবিধির কত ধারায় ডিক্রি হস্তান্তর করা হয়? 

৩৯ ধারায়।

১২৯. দেওয়ানী কার্যবিধির কত ধারায় বিধি এর সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে? 

২(১৮) ধারায়।

১৩০. আদালত কখন প্লিডিংস সংশোধন এর আদেশ দিতে পারে? ন্যায় সংগত কারণে।


১৩১. আরজী সংশ্ধোনের আবেদন কাকে করতে হবে? 

বাদীর।

১৩২. এক তরফা ডিক্রি রদের দরখাস্ত মঞ্জুর হলে বাদী কি করবে? রিভিশন করতে হবে। 

১৩৩. বিধিবদ্ধ ও প্রচলিত আইন মোতাবেক আদালতের বিচারিক ক্ষমতাকে বলা হয়? 

এখতিয়ার।

১৩৪. আরজি প্রথ্যাখান কী? 

ইহা একটি ডিক্রি।

১৩৫. দেওয়ানী আপীল না মঞ্জুর হলে কি করতে হবে? 

রিভিশন।


১৩৬. দেওয়ানী কার্যবিধির কোন আদেশে সাক্ষীর সমন ও হাজির সংক্রান্ত বিধান আছে? 

১৭ নং আদেশে। 

১৩৭. লিজ প্যান্ডিং কোন আইনের আলোচ্য বিষয়? 

সম্পত্তি আইনের।

১৩৮. এক্সপার্ট ডিক্রির বিরুদ্ধে কোন্ ধারায় আপীল করতে হবে? ৯৬(২) ধারায়।

১৩৯. রায় দেনাদার কে? 

যার বিরুদ্ধে ডিক্রি হয়েছে।

১৪০. বাটোয়ারা মামলা কে কি ধরনের মোকদ্দমা বলা হয়? পার্টিশন স্যূট মোকদ্দমা।


১৪১. মৃত ব্যক্তির আইনগত প্রতিনিধির ক্ষেত্রে ডিক্রি কীভাবে কার্যকর হবে? মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি ক্রোক ও বিক্রি করে।

১৪২. সম্পত্তির পার্টিশনের জন্য ডিক্রি হলে কে দায়িত্ব প্রাপ্ত হবে? কালেক্টর এবং কালেক্টর অধীনস্ত গেজেটেড কর্মচারীবৃন্দ।

১৪৩. রায় দেনাদারকে কখন গ্রেফতার করা যাবে না? 

সূর্যোদয়ের আগে ও পরে।

১৪৪. গ্রেফতার করার ক্ষমতা প্রাপ্ত অফিসার কখন রায় দেনাদারকে মুক্ত করে দিতে পারে? 

যে টাকা আদায়ের জন্য ডিক্রি হয়েছে সেই টাকা পরিশোধ করলে বা গ্রেফতার করার ব্যয় পরিশোধ করলে।

১৪৫. রায় দেনাদার ব্যক্তি নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করে আবেদন করলে আদালত কখন তাকে মুক্তি দিতে পারে? 

আদালতে সিকিউরিটি জমা দিতে হবে এবং আবেদনের একমাস বা যখন ডাকা হবে তখন হাজির হতে হবে।


১৪৬. বাংলাদেশের বাইরে বসবাসরত কোন ব্যক্তিকে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য আদালত কি করবে? অনুরোধ পত্র দিবে।

১৪৭. অপর্যাপ্ত কারণ ব্যতিত গ্রেফতার, ক্রোক বা অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দিলে বিবাদী কত টাকা জমিরমানা পেরে পারে? 

এক হাজার বা আদালতের আর্থিক এখতিয়ারের মধ্যে যে কোন পরিমাণ।

১৪৮. কোন ধারার অধীন কোন আদেশ পাস হলে আপিলের যোগ্য নয়?

 ১০৪ ধারার ক্ষেত্রে।

১৪৯. হাইকোর্ট ডিভিশনের আদি এখতিয়ার দ্বারা দেয়া কোন রায় ডিক্রি বা চুড়ান্ত আদেশের বিরুদ্ধে কোথায় আপিল করতে হবে? আপিল বিভাগে।

১৫০. দেওয়ানী কার্যবিধির রুলস কে প্রণয়ন করতে পারবে? 

সুপ্রিম কোর্ট।


১৫১. নুতন প্রণিত রুলসগুলোতে কার সম্মতি লাগবে? 

রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাগবে।

১৫২. কোন মোকদ্দমার কোন পক্ষ শুনানীর জন্য ধার্য তারিখের অন্তত কতদিন পূর্বে কোন তথ্য স্বীকারোক্তির জন্য অপর পক্ষকে নোটিশ দিতে পারবে? 

৯ দিন পূর্বে।

১৫৩. মোকদ্দমার যে কোন পর্যায়ে আদালত যদি মনে করে যে, কোন একটি দলিল অপ্রাসঙ্গিক বাঅগ্রহণযোগ্য, তবে কারণ লিপিবদ্ধ করে আদালত তা প্রত্যাখ্যান করতে পারবে? এরূপে নির্দেশনা দেওয়ানী কার্যবিধির কোন আদেশে আছে? 

আদেশ ১৩ এ।

১৫৪. নিম্নের কোন ক্ষেত্রে প্রথম শুনানীর দিনেই মোকদ্দমা নিস্পত্তি হয়ে যেতে পারে? 

পক্ষগণ বিষয়ীভূত না হলে।

১৫৫. দৌযানী কার্যবিধির কোন আদেশে সাক্ষীর সমন ও হাজির সংক্রান্ত বিধান আছে?

১৬ নং আদেশে।


১৫৬. ডিক্রি রদ হলে কি প্রতিকার আছে? 

রিভিশনের আবেদন।

১৫৭. পাল্টা দাবি এর ক্ষেত্রে কোনটি সত্য নয়? 

দাবিকৃত অর্থ মোকদ্দমা রুজু কারার দিনে আইনগতভাবে সংগ্রহযোগ্য হবে।

১৫৮. পারস্পরিক দাবী এর ক্ষেত্রে কোনটি সত্য নয়? 

দাবিকৃত অর্থ লিখিত বিবৃতি দাখিলের দিন আদায়যোগ্য হবে।

১৫৯. মোকদ্দমার শুনানী ও সাক্ষীর জবানবন্দী গ্রহণ সংক্রান্ত বিধান কোন আদেশ আছে? 

আদেশ ১৬।

১৬০. চূড়ান্ত শুনানি নির্ধরণ হওয়ার কত দিনের মধ্যে আদালত মোকদ্দমার শুনানী সমাপ্ত করবে? ১২০ দিনের মধ্যে।


১৬১. দেওয়ানী কার্যবিধির কোন আদেশে রায় ও কিক্রি সংক্রান্ত বিধান আছে? 

২২ নং আদেশে।

১৬২. মোকদ্দমার শুনানী সমাপ্ত হওয়ার কতদিনের মধ্যে আদালত প্রকাশ্যে রায় ঘোষণা করবে? তৎক্ষণাৎ বা অনুর্ধ ৭ দিন।

১৬৩. স্মল কজ কোর্ট এর ক্ষেত্রে রায়ে কোন বিষয়টি ?অন্তর্ভূক্ত করার প্রয়োজন নেই? 

মোকদ্দমার সংক্ষিপ্ত বিরণ এবং সিদ্ধান্তের কারণ।অধিকার বিদ্যমান থাকলে ওয়ারিশগণ বা প্রতিনিধি কর্তৃক মোকদ্দমা অগ্রসর হবে।

১৬৪. শুনানী সমাপ্তি ও রায় ঘোষনার মধ্যবর্তী সময়ে কোন পক্ষের মৃত্যু ঘটলে মোকদ্দমার ফলাফল কী? 

মোকদ্দমা এ্যাবেট হবে না এবং মৃত্যুস্বত্বে ও রায় ঘোষনা হবে।

১৬৫. দেওয়ানী কার্যবিধির কোন আদেশ, পক্ষগণের মৃত্যু বিবাহ ও দেউলিয়া অবস্থা সংক্রান্ত বিধান রয়েছে? 

আদেশ নং ২২ এ।


১৬৬. দেওয়ানী কার্যবিধির কোন আদেশ কমিশন সংক্রান্ত বিধান রয়েছে? 

২৬ নং আদেশে।

১৬৭. নিম্নের কোন কমিশনটি দেওয়ানী কার্যবিধির আদেশ ২৬ এর অন্তর্ভূক্ত? 

সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ, স্থানীয় তদন্তের এবং হিসাব পরীক্ষার জন্য কমিশন।

১৬৮. নিম্নের কোন কমিশনটি দেওয়ানী কার্যবিধির আদেশ ২৬ এ বলা হয়নি? 

বাটোয়ারার জন্য কমিশন ও ঋন খেলাপী তদন্তের জন্য কমিশন।

১৬৯. কোন ধরনের সম্পত্তি বাটোয়ারার জন্য দেওয়ানী কার্যবিধি অনুসারে বাটোয়ারা কমিশন গঠন করা যাবে? 

স্থাবর সম্পত্তির বাটোয়ারার জন্য।

১৭০. সরকার বা সরকারি কর্মকর্তা কর্তৃক বা বিরুদ্ধে তাদের পদাধিকার বলে মোকদ্দমা সংক্রান্ত বিধান দেওয়ানী কার্যবিধির কোন আদেশে আছে? 

২৭ নং আদেশে।


১৭১. শাসনতান্ত্রিক আইনের ব্যাখ্যা সম্পর্কে কোন গুরুত্বপূর্ন প্রশ্ন জড়িত মোকদ্দমা সংক্রান্ত বিধান দেওয়ানী


Monday, February 13, 2023

ফৌজদারি কার্যবিধি- MCQ

১. দণ্ডবিধি কোন ধরনের আইন?- Substantive Law(তত্ত্বগত বা মৌলিক আইন)।
২. পেনাল কোড হলো - Substantive Law.
৩. যে আইনে কোন অধিকার বা শাস্তিকে সংজ্ঞায়িত করে তাকে বলে- তত্ত্বগত আইন।
৫. ফৌজদারি কার্যবিধি পাস হয় - ১৮৬১ সালে।
৬. ফৌজদারি কার্যবিধি কত সালের আইন?  -- ১৮৯৮ সালে
৭. ফৌজদারি কার্যবিধিতে ধারা আছে - ৫৬৫ টি।
৮. ক্রিমিনাল প্রসিডিউর কোডে মোট কতটি সিডিউল(তফসিল) আছে? --- ৪টি।[মোট তফসিল-৫,বাতিল-১,সুতারাং বর্তমানে আছে-৪টি]
৯. জামিনযোগ্য এবং জামিনঅযোগ্য অপরাধ ফৌ:কা: আছে- ২য় তফসিলের ৫ম কলামে।
১০. Arrest with warrant & without warrant by Police, তার বর্ণনা আছে - ২য় তফসিলের ৩য় কলামে।
১১. বাংলাদেশে ফৌজদারি আদালত কয় প্রকার?--- ২ প্রকার।
১২. আর তা হলো - দায়রা আদালত(Courts of Session) & ম্যাজিস্ট্রেট আদালত(Courts of Megistrate)।
★ ম্যাজিস্ট্রেট আদালত দুই ধরনের।
     ১. জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট
     ২. নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
১৩. প্রতিটি জেলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সর্বোচ্চ পদ হলো - জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।
১৪. একজন প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট কারাদণ্ড দিতে পারে - অনধিক ৫ বছর।
১৫. একজন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট /প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট সর্বোচ্চ কত টাকা জরিমানা করতে পারে? - সর্বোচ্চ ১০,০০০/= টাকা।
১৬. চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট -- মৃত্যুদণ্ড ব্যতিত অর্থাৎ সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিতে পারে(২৯গ)
৭ বছর কারাদণ্ড দিতে পারে (৩৩গ)


* হাইকোর্ট বিভাগের সহজাত ক্ষমতা (Inherent Power)  আছে কত ধারায়? - ফৌ.কা.৫৬১ ক ধারায়। 
* হাইকোর্ট বিভাগ কয়টি ক্ষেত্রে তা প্রয়োগ করতে পারে - ৩টি ক্ষেত্রে। 
* ফৌ.কা কোন ধারায় আদালতকে মামলা শুনানির জন্য যে কোন পর্যায়ে সাক্ষীকে তলব করার ক্ষমতা দেওয়া আছে?- ৫৪০ ধারায়। 
* জামিনযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে জামিন - ৪৯৬ ধারা।
* জামিন অযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে জামিন - ৪৯৭ ধারা।
* আগাম জামিনের কথা আছে - ৪৯৮ ধারায়। 
------তা দিতে পারে
 ------১. হাইকোর্ট বিভাগ   ২. দায়রা জজ।
★ শান্তি রক্ষা ও সদাচরণের মুচলেকা সম্পাদন:-
১০৭ - ধারা অনুসারে শান্তি রক্ষা ও মুচলেকা সম্পাদনের জন্য মামলা করতে হয়।
১১৪ - ধারার মাধ্যমে সমন/warrant ইস্যু করা হয়। 
১১৮ - ধারার ম্যাজিস্ট্রেট জামিনদারসহ বা জামিনদার   
          ব্যতিত মুচলেকা প্রদানের আদেশ / দিতে পারেন।
         অথবা, জামানত প্রদানের আদেশ দিতে পারেন।
১২৩ - মুচলেকা বা জামানতের খেলাপ [মানে অনাদায় বলে গণ্য হবে ] করলে তিন বছরের সশ্রম / বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হবে।
এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যায় না,তবে রিভিশন করতে পারবে।
উপর্যুক্ত ধারা সমুহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ধারা হিসেবে গণ্য করা হয়। 
তবে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট/দায়রা জজ হলে ১০৬ ধারা অনুসারে মামলা করতে হবে। 
★ ২য় ও ৩য় শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট শান্তি রক্ষা ও সদাচরণের মুচলেকা সম্পাদন করতে পারে না।

মনে রাখতে হবে যে,
জেলা জজ মানে দেওয়ানি আদালত।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মানে নির্বাহী আদালত। 
দায়রা জজ মানে ফৌজদারি আদালত অর্থাৎ দায়রা মানেই ফৌজদারি।

★ বেআইনি সমাবেশ :- 
দণ্ডবিধি অনুসারে পড়ে - ১৪১ ধারায়। 
আর 
১২৭ ধারা (ফৌজদারি কার্যবিধি) মতে :- পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির কোন আইনপন্থা ব্যতিত সাধারণ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য সমাবেশকে বেআইনি সমাবেশ বলে।
* এর জন্য কোন পূর্ব পরিকল্পনার প্রয়োজন নেই।
বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার আদেশের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে তিন ধরনের কর্মকর্তাকে।
১. থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। 
২. নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (মহানগর বা ম্যাট্রোপলিটন এলাকার বাইরে হলে)
৩. পুলিশ কমিশনার (মহানগর বা ম্যাট্রোপলিটন এলাকার মধ্যে হলে)
১২৮ - ধারা মতে পুলিশ বেআইনি সমাবেশ ভঙ্গ করতে অসামরিক ও বেসরকারি ব্যক্তির সহযোগিতা নিতে পারবে।
১২৯ - ধারা মতে সামরিক শক্তিও নিয়োগ দেওয়া যাবে।


★ চার্জে বা অভিযোগে যে যে বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করতে হবে:-
২২১- অপরাধের বিবরণ থাকবে।
২২২- অপরাধের সময়, স্থান ও ব্যক্তির সম্পর্কে বিবরণ..
২২৩- অপরাধ সংঘটনের পদ্ধতি। 
২২৪ - যে আইনের অধীনে অপরাধটি দণ্ডনীয় তার বিবরণ.. 
২২৫ - ভুলের ফলাফল। 
২২৭ - আদালত অভিযোগ রায় ঘোষণার পূর্বে পরিবর্তন করতে পারে। 
২৩১ - চার্জ বা অভিযোগ পরিবর্তন করা হলে সাক্ষীকে পুনরায় তলব/Re-call করা যাবে।

বি:দ্র: অভিযোগে বা চার্জে শাস্তি উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই।
[২৩৩-২৪২ নং ধারা রিটেনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ]
২৩৩ - সুস্পষ্ট অপরাধের জন্য পৃথক চার্জ ঘটন করা যেতে পারে।[পৃথক চার্জ শব্দটি থাকলে মামলা ভিন্ন হবে]
* ২৩৪ - একই ধরনের তিনটি অপরাধ একই বছরের (শাস্তির বছর)  মধ্যে হলে একত্রে অভিযোগ /চার্জ গঠন করা যাবে।
২৩৫ - একাধিক অপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে একত্রে চার্জ গঠন করা যাবে। [একত্রে চার্জ শব্দ থাকলে মামলা একটি হবে]
২৩৬ - কি অপরাধ সংঘটিত হয়েছে সে সম্পর্কে সন্দেহ থাকলে এরুপ সকল অথবা একটি সংঘটিত অপরাধে অভিযুক্ত করা যাবে।
২৩৭ - এক অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অন্য অপরাধে অভিযুক্ত বা দোষী সাব্যস্ত করা যাবে।
২৩৯ - একাধিক ব্যক্তি একত্রে অপরাধ সংঘটন করলে একত্রে অভিযুক্ত করা যাবে। 




Sunday, February 12, 2023

দণ্ডবিধি,১৮৬০

১. দণ্ডবিধির অধীন শাস্তি কত প্রকার?----৫ প্রকার[ধারা-৫৩]

২. দণ্ডবিধির অধীন সর্বোচ্চ শাস্তি ----- মৃত্যুদণ্ড।

৩. দণ্ডবিধির অধীন সর্বনিম্ন কারাবাস ---২৪ ঘণ্টা।[ধারা-৫১০]

৪. দণ্ডবিধির অধীন সর্বোচ্চ কারাবাস - ২০ বছর[ধারা-৫১০]

৫. দণ্ডবিধির অধীন সর্বনিম্ন জরিমানা - ১০ টাকা[৫১০]

৬. দণ্ডবিধির অধীন কয়টি ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের বিধান আছে - ১০টি।

৭. যাবজ্জীবন কারাবাস হ্রাস করে সরকার অনধিক কত বৎসর করতে পারে - ২০ বছর [ধারা-৫৫]

৮. দণ্ডবিধির ৩০০ ধারায় কয়টি ব্যতিক্রম আছে - ৫টি।

৯. সম্মতিসহ বা ব্যতিত কত বৎসরের কম বয়স্ক মেয়ের সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা ধর্ষণ হিসাবে গণ্য হবে? ----১৪ বৎসর[৩৭৫ ধারা]

১০. কোন পুরুষ কর্তৃক নিজের স্ত্রীর সাথে যৌন সহবাস ধর্ষণ বলে গণ্য হবে না যদি না স্ত্রীর বয়স কত বৎসরের নিচে হয়?------১৩ বৎসর [ধারা-৩৭৫]

১১. সর্বনিম্ন কত দিন পর্যন্ত বেদনা দিলে মারাত্মক জখম বলে গণ্য হবে? ------- ২০ দিন [ধারা-৩২০]

১২. কত বছরের অধিক হলে এবং সে নিজের ইচ্ছায় মৃত্যুবরণ করলে বা মৃত্যুর ঝুঁকি নিলে এমন হত্যাটি নিন্দনীয় নরহত্যা হবে?------১৮ বৎসর [ধারা-৩০০]

১৩. কত শ্রেণির আঘাতকে গুরুতর বলে গণ্য - ৮ শ্রেণির[৩২

জেনে রাখা উচিত;

* 'দল' হয়- সর্বনিম্ন ১০ জন।

* 'বেআইনি সমাবেশ ','দাঙা','ডাকাতি ' হয় - সর্বনিম্ন ৫ জন।

* 'যৌথ দায়'- হয় সর্বনিম্ন ২ জনে।

* 'গণ'- হয় - সর্বনিম্ন ২ জনে।

* দস্যুতা / চুরি হয় - সর্বনিম্ন ১ জনে।

★ ধারা ৩৪ ও ১৪৯ এর মধ্যে পার্থক্য ;

* ৩৪ ধারাতে-Common Internation(অভিপ্রায়) লাগবে,এবং ১৪৯ ধারাতে - Common Object(উদ্দেশ্য) হতে হবে।

* ৩৪ এ পূর্ব পরিকল্পনা আবশ্যক,এবং ১৪৯ এ পূর্ব পরিকল্পনা আবশ্যক নয়।

* ৩৪ ধারায় উপস্থিতি আবশ্যক। 

* অনুরুপভাবে কাজ ভিন্ন কিন্তু একই অভিপ্রায় হলে ৩৪ ধারায় আসামি করতে হবে।

*** 'দাঙ্গা' আর 'বেআইনি সমাবেশ ' এর ক্ষেত্রে ১৪৯ এ ছাড়া সকল মামলায় যৌথ অপরাধের ক্ষেত্রে ৩৪ ধারা প্রাসঙ্গিক হবে।

আবার জ্ঞাতব্য যে,পূর্ব পরিকল্পনায় অংশগ্রহণ করেছে,কিন্তু উপস্থিত ছিল না,এক্ষেত্রে ১০৯ ধারা হুকুমের আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

★১০৭,১০৮,১০৯ ধারা আলাদা করি;

* ১০৭ হলো প্ররোচনা,সহায়তা এর সংজ্ঞা ; ১০৮ হতে হলে 'কারী' থাকতে হবে। যেমন: সহায়তাকারী,প্ররোচনাকারী।

* ১০৯ হলো - সহায়তা, প্ররোচনা+সহায়তাকারী,প্ররোচনাকারী এর শাস্তি সম্পর্কে বলা হয়েছে। 

আবার ১০৯ ও ১৩৫ ধারার মধ্যে পার্থক্য হলো- ১০৯ এর অনুপস্থিতি হলো পরিকল্পিত বা ইচ্ছাকৃত, কিন্তু ১৩৫ এর অনুপস্থিতি হলো আকস্মিক। 

★ ১১৫,১১৬,১১৭ ধারা আলাদা করি ;

* মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে অপরাধের প্ররোচনাকারী কিন্তু অপরাধ সংঘটিত হয়নি,এক্ষেত্রে উক্ত ধারা প্রযোজ্য হবে।

এক্ষেত্রে ১/৪ অংশ শাস্তি পাবে।


★ পেনাল কোড,১৮৬০ এর ধারা ৫৩ অনুযায়ী কারাদন্ড ২ প্রকার। যথাঃ

১) সশ্রম;

২) বিনাশ্রম।

এবং দন্ড ৫ প্রকার। যথাঃ

১) মৃত্যুদন্ড

২) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

৩) কারাদণ্ড 

৪) সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত

৫) জরিমানা বা অর্থদণ্ড






Friday, February 10, 2023

এ্যাডভোকেট তালিকাভুক্তির প্রিলিমিনারী(এম.সি.কিউ) পরীক্ষা, ২০২২ এর প্রশ্ন ও সমাধান

 ১. দেওয়ানি প্রকৃতির মোকদ্দমা অর্থ এমন মোকদ্দমা যেখানে............. সংশ্লিষ্ট স্বার্থ জড়িত থাকে-- সম্পত্তি বা অফিস।

২. The Code of Civil Procedure,1908............ ধারা একই বিচার্য বিষয় নিয়ে অক্ষগবানের মধ্যে বিচারকার্য নিষিদ্ধ করে - ১০ ধারা।

৩. প্রত্যেক মোকাদ্দমান দাখিল করতে হবে বিচার এখতিয়ার সম্পন্ন.......... পর্যায়ের আদালতে - সর্বনিম্ন।

৪. The Code of Civil Procedure,1908 এ প্রতিনিধিত্বমূলক মোকদ্দমা দায়ের এর ধারণা পাওয়া যায়.......... এ----- Order 1,rule 8.

৫. নিচের কোন আইনটি ' Procedural Law'- ---The Code of Civil Procedure,1908

৬. The Code of Civil Procedure,1908 অনুযায়ী Review এর দরখাস্ত মঞ্জুর হলে তার বিরুদ্ধে প্রতিকার কি?---- কোন প্রতিকার নেই।

৭. The Code of Civil Procedure,1908 এর কোন ধারানুযায়ী 'to do justice and to undo injustice ' করা যাবে? ---- ১৫১ ধারা।

৮. The Code of Civil Procedure,1908 এর Order 17,rule 1 অনুযায়ী একটি দেওয়ানী মোকাদ্দামায় চূড়ান্ত শুনানীর স্তরে বাদীর অনুপস্থিতির কারণে মোকদ্দমা খারিজ হলে কত টাকা খরচ দাখিল করলে মোকদ্দমা পুন:বহাল হতে পারে?---- ২০০০ টাকা।

৯. The Code of Civil Procedure,1908 এর Section 89 A(10)এর বিধানানুযায়ী 'Panel of Mediator '- প্রস্তুত করেন কে?--- --- জেলা জজ।

১০. The Code of Civil Procedure,1908 অনুযায়ী প্রতিটি সমনে..........  স্বাক্ষর করবেন----- বিচারক।

১১. The Code of Civil Procedure,1908 এর Section 58 এর বিধান অনুযায়ী দেওয়ানী জারি মামলায় একজন দায়ীককে সর্বোচ্চ কতদিন দেওয়ানি কারাগারে আটক রাখা যায়? ---- ৬ মাস।

১২.




৯০.একতরফা ডিক্রি রদ রহিতের জন্য আবেদনের সময় সীমা কত?---- ৩০ দিন

৯১. একতরফাসূত্রে আপিল শুনানি হলে পুন:শুনানির জন্য জন্য আবেদনের সময়সীমা কত? --- ৩০ দিন।

৯২. পাওনা অর্থ আদায়ের মোকাদ্দামা দাখিলের তামাদি কত?---- ৩ বছর।

৯৩. যে মোকাদ্দমার তামাদি মেয়াদ সম্পর্কে কোন বিধান নেই সে মোকাদ্দামা দাখিল করা যাবে........ বছরের মধ্যে ------৬

৯৪. 'Exclusion of time in legal proceedings'- সম্পর্কিত বিধান রয়েছে The Limitation Act,1908 এর ১৫ ধারায়।

৯৫. মামলা করার অধিকার সৃষ্টির পূর্বেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করলে তার  আইনানুগ উত্তরাধিকারী মামলা করার যোগ্য হওয়ার তারিখ থেকে তামাদি গণনা শুরু হবে।এই বিধানের ব্যতিক্রম হল.......মামলা -------- অগ্রক্রয়ের।

৯৬. নিম্নের কে বার কাউন্সিলের সচিব হিসেবে সরকার কর্তৃক নিয়োগ পেতে পারেন ----- জেলা জজ বা অতিরিক্ত জেলা জজ। 

৯৭. অন্যান্য আইনজীবী এর উপর কার প্রাক-শ্রোতা  অধিকার(Right of Pre-audience) রয়েছে?--- বাংলাদেশ এটর্নি জেনারেল।

৯৮. 'Clients, not Advocates, are litigants. 'এটি............. এর প্রতি একজন আইনজীবীর আচরণের সাথে সম্পর্কিত ----- অন্যান্য আইনজীবী।

৯৯. An advocate shall not represent conflicting interest "- এটি.......এর প্রতি একজন আইনজীবীর আচরণ সম্পর্কিত নীতি ---- মক্কেল।

১০০. একজন আইনজীবীর জন্য নিম্নের কোন কাজটি আচরণবিধির লঙ্ঘন---- পাশাপাশি আরেকটি ব্যবসা করা 

Thursday, February 9, 2023

খাস জমি কী নামজারি করা যায়?

ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন যে জমি সরকারের পক্ষে কালেক্টর তত্ত্বাবধান করেন এমন জমিকে খাস জমি বলে। খাস জমি ক্রয় বিক্রয় বা হস্তান্তর করা যায় না বিধায় তৎসূত্রে নামজারি করা যায় না। 


কিন্তু সরকার খাস জমি কাউকে স্থায়ী বন্দোবস্ত দিলে তার নামে নামজারি করা যায় এবং এইরূপ স্থায়ী বন্দোবস্তকৃত খাসজমি কেবলমাত্র উত্তরাধিকারসূত্রে নামজারি করা যায়। 


যেমন- ভূমিহীনদের মাঝে সরকার যে খাসজমি দিয়ে থাকেন তা উত্তরাধিকারসূত্রে নামজারি করা যায়। আবার স্থায়ী বন্দোবস্তকৃত খাসজমি অধিগ্রহণ সূত্রে মালিকানা পরিবর্তন হলে সেক্ষেত্রেও নামজারি করা যায়।

Monday, August 8, 2022

লিখিত প্রমাণ বেশি কার্যকর

#উকিলের_বুদ্ধি

একজন অ্যাডভোকেট ট্রেনের এসি কেবিনে একাকী যাচ্ছিলেন। কিছুক্ষণ পরে এক সুন্দরী💃আসলেন এবং অপর পাশের সিটে বসে পড়লেন। আর তা দেখে উকিল সাহেব মহাখুশি। দীর্ঘ যাত্রায় এরকম একজন সঙ্গী পেতে কার না ভাল লাগে। আর সে যদি হয় কোন সুন্দরী, তবে তো আর কথায় নেই! 

সুন্দরী এবার উকিল সাহেবের দিকে তাকিয়ে একটা মিষ্টি হাসি দিলেন আর উকিল সাহেবের মনে হল, তিনি একটি হার্টবিট মিস করলেন। কিছু সময় পরে সুন্দরীটি অপর পাশ থেকে উঠে এসে একেবারে তার পাশে গা ঘেষে বসলেন। আর এদিকে খুশিতে তো উকিল সাহেবের হার্ট এটাক করার দশা!💓

সুন্দরী মহিলা পুরুষটির পেশাগত পরিচয় ধারণা করতে পারেননি, তাই এবার তার কানের কাছে মুখ নিয়ে আস্তে আস্তে বলল -"তোমার মানিব্যাগ, মোবাইল, টাকা পয়সা যা কিছু আছে সব আমাকে দিয়ে দাও। না হলে আমি এখন ডেকে লোক জড়ো করব, সবাই তোমাকে গণধোলাই দিবে! "😬

যাত্রী উকিল সাহেবে এমন ভাব দেখালেন, যেন তিনি কিছুই শুনতে পাননি। তিনি হাত দিয়ে ইশারায় বুঝাতে চাইলেন, তিনি বধির, তাই কানে শুনতে পান না। "যদি কিছু বলতে চান, তবে তা এই কাগজে লিখে দিন।" এই কথা ইশারার মাধ্যমে বুঝালেন। অতঃপর পকেট থেকে তিনি এক টুকরো কাগজ বের করে দিলেন। 

সুন্দরী উকিল সাহেবের অভিনয় বিশ্বাস করে, এবার কাগজের উপর আগের কথাগুলো লিখলেন। উকিল সাহেব এবার কাগজটি নিয়ে পকেটে রেখে দিলেন এবং হাসতে হাসতে বললেন -" এবার তুমি না, আমি চিৎকার দিয়ে পুলিশ ডাকব? "😁

#নীতিবাক্য:- মৌখিক স্বাক্ষ্য থেকে লিখিত প্রমাণের মূল্য বেশী আর লিখিত প্রমাণ হাতে রাখা খুবই জরুরী। 
#সংগৃহীত

Sunday, October 31, 2021

বণ্টন মামলা কী? এ সম্পর্কে জানি,,,

বাংলাদেশের শহরে-গ্রামে উত্তরাধিকার সম্পত্তি নিয়ে এরকম বিবাদ-বিসংবাদ অহরহ ঘটে থাকে। এ ধরনের ক্ষেত্রে সম্পত্তির বৈধ হকদার আইন অনুযায়ী ওয়ারিশ সার্টিফিকেট দাখিল করে সম্পত্তির অংশ বুঝে পাওয়ার জন্য দেওয়ানি আদালতে 'বাটোয়ারা মামলা' দায়ের করতে পারেন। বাটোয়ারা মামলায় বিজ্ঞ আদালত ইসলামি শরিয়া ও ফারায়েজ আইন অনুযায়ী সম্পত্তি বণ্টন করে দেন।

'বাটোয়ারা মামলা' কী?

ওয়ারিশ বা উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া সম্পত্তির সীমানা চিহ্নিত করে যার যার প্রাপ্ত স্বত্ব বুঝে নেয়ার প্রক্রিয়াটি হচ্ছে 'বণ্টন'। স্থানীয় বা পারিবারিকভাবে বণ্টনের আইনগত ভিত্তি তুলনামূলকভাবে দুর্বল। আদালতের মাধ্যমে উত্তরাধিকার সম্পত্তি বণ্টন করে নিলে জটিলতা অনেক কমে। এ জন্য সব শরিককে এখতিয়ারসম্পন্ন দেওয়ানি আদালতে একটি মামলা করতে হয় যা 'বণ্টন মোকদ্দমা' বা 'বাটোয়ারা মামলা' নামে পরিচিত। ইংরেজিতে একে 'পার্টিশন স্যুট' বলা হয়।

সম্পত্তির শরিক দুই প্রকার। 

ক) উত্তরাধিকার সূত্রে শরিক  বা কো-শেয়ারার বাই ইনহেরিটেন্স 

খ) খরিদ সূত্রে শরিক বা কো-শেয়ারার বাই পারচেজ।

বন্টনের মামলা করার সময় সকল শরিকগণ মামলায় পক্ষভুক্ত হতে হবে।  কোন একজন শরিক বাদ থাকলে বন্টননামা শুদ্ধ হবেনা।  যদি শরিকগণ আপোষ মতে বন্টন করতে রাজী না হন তাহলে যে কোন শরিক বন্টনের জন্য আদালতে উক্ত সম্পত্তির বন্টন চেয়ে মামলা করতে পারেন।

★ বন্টন মামলা করার জন্য কি কি প্রয়োজন?

প্রথমেই আপনাকে একজন অভিজ্ঞ আইনজীবীর সাথে পরামর্শ করে নিতে হবে। পাশাপাশি সম্পত্তির মালিকানা সংশ্লিষ্ট সকল কাগজ পত্র যেমন ভূমি জরিপ খতিয়ান, নামজারি খতিয়ান, মালিকানা দলিল, উত্তরাধিকার সনদ ইত্যাদি সংগ্রহে রাখতে হবে। 

মামলা করার জন্য কোর্ট ফি দিতে হয় ১০০ টাকা কিন্তু ছাহাম চাইলে প্রতি ছাহামের জন্য অতিরিক্ত ১০০ ফি জমা দিতে হয়।

বন্টনের শর্ত সমূহ:

বন্টনের ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত জড়িত; যেমন-

-পরিমাপ করে শরীকদের ভূমির বা জমির সীমানা চিহ্নিতকরণ করতে হবে। এবং

-বন্টন তালিকায় প্রত্যেক সহ-মালিকের বরাদ্দকৃত সম্পত্তির উল্লেখ থাকতে হবে;

-তালিকায় মালিকানার বিভাজন সকল সহ-মালিক কর্তৃক স্বীকৃত হতে হবে;

-বন্টনের বিবরণ সুস্পষ্ট হতে হবে;

-প্রত্যেকটি তালিকা সহ-মালিকবৃন্দ কর্তৃক স্বাক্ষরিত হতে হবে;

-যথাযথভাবে স্ট্যাম্প শুল্ক দিয়ে দলিলটি রেজিস্ট্রি করতে হবে;

-সহ-শরীকগণ আপোষ বন্টন করে পরবর্তীতে তাদের কেউ তা না মানলে দেওয়ানী আদালতের মাধ্যমে তা কার্যকর করা যায় ৷

* বন্টন দলিল কি?

১৮৯৯ সালেরস্ট্যাম্প এক্টের ২ (১৫) ধারায় বলা হয়েছে বণ্টন দলিল ও বণ্টক দলিল অর্থ একই ৷ যখন কোন সম্পত্তির সহ-শরিকগণ তাদের সম্পত্তি ব্যক্তিগত মালিকানায় পৃথকভাবে ভাগ করে নেয় বা নিতে সম্মত হয়ে কোন দলিল করে তাকেই বণ্টন দলিল বলে।

* বন্টননামার রেজিষ্ট্রি ফি:

রেজিষ্ট্রেশন (সংশোধন) আইন ২০০৪ আইনের ১৭(১) ধারার বিধান অনুসারে বাটোয়ারা বা আপোস-বন্টননামা রেজিস্ট্রি করতে হবে, অর্থাৎ রেজিষ্ট্রি বাধ্যতামূলক।

সকল সহ-শরিকের মধ্যে জমি হিস্যানুযায়ী (স্ট্যাম্প এর উপর) বন্টন করে সাব-রেজিস্ট্রিঅফিসে দাখিল করে বন্টননামা দলিল রেজিষ্ট্রি করা যায় ৷ এ দলিল রেজিস্ট্রির জন্যস্ট্যাম্প খরচ লাগবে স্ট্যাম্প এর গায়ে জমির যে মূল্য লেখা হবে তার ২% হারে ৷ এছাড়া অন্যান্য ফিস কবলা দলিল রেজিস্ট্রিতে যেমন লাগে অনুরূপ লাগবে ৷ (তবে এই হার সরকার কর্তৃক সময় সময় পরিবর্তনযোগ্য)

বাটোয়ারামামলায় সাধারণত প্রত্যেক দাগের জমি সকল সহ-শরীক এর মধ্যে বণ্টিত হয়ে থাকে ৷ এমামলায় ২ বার ২টি ডিক্রী হয় ৷

প্রাথমিক ডিক্রী: এ ডিক্রীতে হিস্যানুযায়ী বন্টন আদেশ দেয়া হয় ৷

চূড়ান্তডিক্রী: এ ডিক্রীতে প্রয়োজনে আমিন কমিশন পাঠিয়ে সরে জমিনেসম্পত্তির দখল দেয়া হয় এবং সীমানা পীলার দ্বারা বিভাজন (জমির ভাগ) চিহ্নিত করারমাধ্যমে চূড়ান্ত ডিক্রী প্রচার করা হয় ৷ আদালত প্রয়োজনে আইন শৃংখলা বাহিনী নিয়োগকরে সম্পত্তির সীমানা চিহ্নিত করে ডিক্রী প্রাপককে সম্পত্তির দখল দেয়ার ব্যবস্থাকরে থাকেন ৷

* বন্টন হওয়ার পর করণীয় কি?

আদালতের মাধ্যমে বন্টন হওয়ার পর এবং বন্টন দলিল রেজিষ্ট্রি পর অবশ্যই নিজ নামে নামজারি, জমাভাগ খতিয়ান করে নিতে হবে। পাশাপাশি খাজনা প্রদান করতে হবে। মনে রাখবেন, নামজারি হচ্ছে সরকারিভাবে সম্পত্তিকে নিজ নামে রেকর্ড করা।

বণ্টনের পরও দখল না পেলে

আদালত থেকে বাটোয়ারা মামলার ডিক্রি পাওয়ার পরও সেই মোতাবেক দখল বুঝিয়ে দেয়া না হলে 'উচ্ছেদের মামলা' করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে অংশীদারদের ভয়-ভীতি ও হুমকি দেয়া হলে সংশ্লিষ্ট ও নিকটস্থ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা যেতে পারে। ভয়-ভীতি-হুমকি ও জীবননাশের আশঙ্কায় আদালতে ফৌজদারি মামলাও করা যায়।

সম্পত্তি বেদখল হলে কি করবেন??

***জেনে নিন জমি বেদখল হলে আইন আপনার জন্য কী কী প্রতিকার রেখেছে ??


আজকাল যেখানে যায় সেখানে শুনি একজনের জমি আরেকজনে দখল করে নিয়েছে। আবার কেউ কেউ জাল দলিল তৈরি করে জমির মালিকানা দাবি করে কোর্টে মামলা ঠুকে দিচ্ছে। জমি-জমা নিয়ে কোর্টে প্রচুর পরিমান মামলাও হয়েছে এবং হচ্ছে। বিশেষ করে আমাদের দেশে এমন কোনো এলাকা বাকি নেই যেখানে প্রতিদিন জমিজমা নিয়ে বিরোধ হচ্ছে না। তাই জমি বেদখল হতে রক্ষা করার জন্য আইন আপনার জন্য দেওয়ানি ও ফৌজদারি উভয় ধরণের প্রতিকার রেখেছে। এখানে কোনোটি দীর্ঘমেয়াদি আবার কোনোটি তাৎক্ষণিকভাবে আপনার জমি বেদখল হতে রক্ষা করবে।   আপনি যদি এই বিষয় নিয়ে একটু সচেতন থাকেন, তাহলে আপনার জমি বেদখল হতে আপনাকে অনেক্ষানি সাহায্য করবে। সে জন্য আপনাকে জানতে হবে, জমির বেদখল ঠেকাতে আইন আপনার জন্য কী কী প্রতিকার রেখেছে।


সম্পত্তি বেদখল কি ?

সম্পত্তি বেদখল বলতে বোঝায় প্রকৃত মালিক বা দখলদারকে তার মালিকানা বা দখল থেকে জোর করে উচ্ছেদ করে অবৈধভাবে সেখানে অন্য ব্যক্তির স্বত্ব বা দখল প্রতিষ্ঠিত করা। জমিজমা ভোগদখলে রাখার আশা মানুষের চিরকালের। তাই জমির দখল নিয়ে সবসময়ই সমস্যার সৃষ্টি হয়ে থাকে। অসাধু দাঙ্গাটে প্রকৃতির লোকেরা প্রায়ই লোকজনকে জোরপূর্বক জমি থেকে উচ্ছেদ করে কিংবা চাতুরির আশ্রয় নিয়ে অন্যকে জমি থেকে চলে যেতে বাধ্য করে।

কিভাবে প্রতিকার পাবেন?

জমি থেকে বেদখল হলে দখল পুনরুদ্ধারের জন্য দুই রকমের উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। প্রথমত স্থানীয়ভাবে সালিশের মাধ্যমে বিরোধের নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করা যেতে পারে। যেসব অঞ্চলে সালিশি প্রথা বিজ্ঞজনদের নেতৃত্বে পরিচালিত হয় এবং যেখানকার অধিবাসীরা শান্তিপ্রিয় ও যুক্তিবোধসম্পন্ন, তারা এই উপায়ে এরকম বিরোধের নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করে থাকে। এতে মামলা-মোকদ্দমার মতো দীর্ঘ প্রক্রিয়া এড়ানো যায়। স্থানীয় বিজ্ঞজনরা সালিশে বসে ন্যায়ানুগ সিদ্ধান্ত গ্রহণের মধ্যদিয়ে জমির আসল মালিককে তার জমির দখল বুঝিয়ে দিতে পারেন। জমি থেকে বেদখল হলে প্রতিকার পাওয়ার আরেকটি উপায় আদালতে মামলা মোকদ্দমা চালানো। 


***ফৌজদারি ও দেওয়ানি এই দুই প্রকার আইনেই জমি বেদখল হওয়ার বেশকিছু প্রতিকার পাওয়া যায়।

ফৌজদারি প্রতিকার 

জমি দখলকে কেন্দ্র করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিলে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৫ ধারা অনুযায়ী প্রতিকার চাইতে পারেন। এ ধারা অনুযায়ী প্রতিকার চাইতে হবে প্রথম শ্রেণীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে। আর এ মামলা করতে হবে বেদখল হয়ে গেলে কিংবা বেদখল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেওয়ার দুই মাসের মধ্যে। কোনো মামলা করলে ম্যাজিস্ট্রেট প্রতিপক্ষের ওপর সমন জারি করবেন। পরবর্তী সময়ে উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনবেন এবং সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে সম্পত্তির দখলদার কে তা নির্ধারণ করবেন। প্রয়োজনে সরেজমিনে তদন্তের আদেশ দিতে পারেন পুলিশকে। তাদের দেওয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রকৃত দখলদার কে, সে বিষয়ে রায় দেবেন। তবে ১৪৫ ধারায় প্রতিকার চাইতে গেলে এখানে স্বত্ব বা মালিকানা দাবি করা যাবে না। এর মাধ্যমে শুধু প্রকৃত দখলদার নির্ণয় করার জন্য প্রতিকার চাওয়া যাবে।

১৪৪ ধারায় তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ

ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে উৎ?পাত বা আশঙ্কিত বিপদের ক্ষেত্রে তৎক্ষণাৎ আদেশ জারির ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এই ধারা অনুসারে, যেসব ক্ষেত্রে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোনো ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে মনে হয় যে, এই ধারার অধীনে অগ্রসর হওয়ার মতো যথেষ্ট কারণ রয়েছে এবং সমস্যার আশু নিবারণ বা দ্রুত প্রতিকার বাঞ্ছনীয়, সেসব ক্ষেত্রে যে কোনো ব্যক্তিকে ওই ম্যাজিস্ট্রেট কোনো নির্দিষ্ট কাজ করা থেকে বিরত থাকার অথবা কোনো নির্দিষ্ট সম্পত্তি তার দখলে কিংবা তার অধীনে নেয়ার নির্দেশ দিতে পারবেন, যদি ওই ম্যাজিস্ট্রেট বিবেচনা করেন, তার নির্দেশের কারণে আইনসঙ্গতভাবে নিযুক্ত কোনো ব্যক্তির প্রতি বাধা, বিরক্তি বা ক্ষতি অথবা বাধা, বিরক্তি বা ক্ষতির ঝুঁকি, অথবা মানুষের জীবন, স্বাস্থ্য বা নিরাপত্তার প্রতি বিপদ অথবা জনশান্তির বিরক্তি, দাঙ্গা বা মারামারি নিরোধের সম্ভাবনা আছে কিংবা তার এই নির্দেশ তা নিরোধে সহায়তা করবে।

দখলদারকে পুনর্বহাল

যখন কোনো জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশ রিপোর্ট বা অন্য কোনোভাবে সংবাদ পেয়ে এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, তার এখতিয়ারের স্থানীয় সীমার মধ্যে জমি, পানি বা এ দুটির সীমানা সম্পর্কে এমন একটি বিরোধ রয়েছে, যা শান্তিভঙ্গের কারণ হতে পারে, তখন তিনি তার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিরোধের পক্ষদের সশরীরে বা আইনজীবীর মাধ্যমে তার আদালতে হাজির হওয়ার এবং বিরোধের বিষয়বস্তুতে প্রকৃত দখল সম্পর্কে তাদের নিজ নিজ দাবি সম্পর্কে বিবৃতি পেশ করার নির্দেশ দিয়ে একটি লিখিত আদেশ দেবেন। উভয় পক্ষ নির্ধারিত তারিখে নিজ নিজ বিবৃতি পেশ করলে ম্যাজিস্ট্রেট সেগুলো পড়বেন, প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য গ্রহণ করবেন এবং কোন পক্ষ জমির দখলে ছিল সেটি নির্ণয় করার চেষ্টা করবেন। পূর্ববর্তী দুই মাসের মধ্যে যদি কোনো পক্ষ জোরপূর্বক বেদখল হয়ে থাকেন, তাকে ওই সম্পত্তির দখলদার হিসেবে বিবেচনা করবেন ম্যাজিস্ট্রেট। একই সঙ্গে তাকে তার জমিতে পুনর্বহাল করার উদ্যোগ নেবেন। দেওয়ানি আইনের ডিক্রির মাধ্যমে আইনসঙ্গতভাবে উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত দখলে থাকা পক্ষ দখল বহাল রাখবে মর্মে ম্যাজিস্ট্রেট আদেশ দেবেন। আইনগতভাবে উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত ওই দখলের প্রতি সব ব্যাঘাত ঘটানো নিষিদ্ধ করে ম্যাজিস্ট্রেট একটি আদেশ দেবেন।

দেওয়ানি আদালতে মামলা

জমি থেকে বেদখল হলে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা করা যায়।

৯ ধারার মামলা

১৮৭৭ সালের সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৯ ধারার অধীনে দেওয়ানি আদালতে মোকদ্দমা দায়ের করে জমির দখল পুনরুদ্ধার করা যায়। যিনি ভূমি থেকে বেদখল হয়েছেন তাকে বেদখল হওয়ার তারিখ থেকে ৬ মাসের মধ্যে দখল পুনরুদ্বারের দাবিতে মামলা করতে হবে। ৬ মাস অতিবাহিত হয়ে গেলে মামলা তামাদি দোষে বারিত হবে। এভাবে ৯ ধারায় মামলা করে আদালতের মাধ্যমে দখল পুনরুদ্ধার করা যায়। তবে ৯ ধারার মামলা দায়ের করলে 'জমির মূল স্বত্ব কার' সেই প্রশ্নের নিষ্পত্তি হবে না। এর জন্য একই আইনের ৪২ ধারায় প্রতিকার আছে। একটি জমিতে কোনো ব্যক্তির জমির স্বত্ব যদি অস্বীকার করে যদি তাকে উচ্ছেদ করা হয় তবে জমির দখলে থাকা ব্যক্তি এই ধারায় প্রতিকার চাইতে পারেন। ৯ ধারায় মামলার প্রতিকার শুধু দখলসংক্রান্ত। আদালতের মাধ্যমে দখল পুনরুদ্ধার করা যাবে বটে কিন্তু ভূমির মালিকানার প্রশ্নটি এই ধারার অধীনে বিচার্য হবে না। এমনকি বাদী যদি সম্পত্তিতে নিজের স্বত্ব (মালিকানা) প্রমাণে সমর্থ নাও হন কেবল বেদখল হওয়ার আগ পর্যন্ত দখলে থাকা প্রমাণ করতে পারেন তবেই তিনি তার পক্ষে ৯ ধারার অধীনে ডিক্রি পেতে পারেন এবং বিবদমান ভূমিতে পুনর্বহাল হতে পারেন। সরকার কর্তৃক বেদখল হলে এ ধারায় কোনো প্রতিকার পাওয়া যাবে না। 

৮ ধারায় মামলা

সম্পত্তিতে যার বৈধ মালিকানা স্বত্ব আছে তিনি কোনো কারণে বেদখল হলে পরবর্তী ১২ বছরের মধ্যে ১৮৭৭ সালের সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৮ ধারা মতে দেওয়ানি আদালতে মামলা করে সম্পত্তির দখল পুনরুদ্ধার করতে পারেন। এ ধারায় মামলা করতে হলে সম্পত্তিতে বাদীর মালিকানা স্বত্ব থাকতে হবে।

৪২ ধারায় মামলা

সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের এই ধারায় কোনো মর্যাদা বা অধিকার সম্পর্কে আদালতের ঘোষণা পাওয়া যেতে পারে। আইনানুগ পরিচয় কিংবা কোনো সম্পত্তির স্বত্বের অধিকারী কোনো ব্যক্তি এমন যে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করতে পারে, যে ব্যক্তি পূর্বোক্ত ব্যক্তির মর্যাদা বা অধিকারের ব্যাপারে তার স্বত্ব অস্বীকার করেছে কিংবা অস্বীকার করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ধরুন আপনার জমিতে হঠাৎ করেই আপনার প্রতিবেশী অংশ দাবি করছে। এমন অবস্থায় আপনি ৪২ ধারায় আদালতের কাছ থেকে এই মর্মে ঘোষণা নিয়ে আসতে পারেন যে, আপনার দলিলে বর্ণিত জমিতে অন্য কারো অধিকার নেই। 

যেখানে কেবল স্বত্বের ঘোষণা ছাড়াও আরো প্রতিকার দাবি করা যেত, কিন্তু বাদী তা করা থেকে বিরত থাকে, সেখানে আদালত শুধু ঘোষণা প্রদান করবে না। যেমন_ যেখানে আপনাকে জমি থেকে বেদখল করা হয়েছে, সেখানে শুধু ৪২ ধারায় ঘোষণার মামলা করলে চলবে না, তার আগে জমির দখল পুনরুদ্ধারে ৮ কিংবা ৯ ধারায় মামলা করা হয়েছে কি না, আদালত সেটি দেখবে।

কোথায় ও কীভাবে আইনের আশ্রয় নেবেন

জমিজমার মালিকানা নিয়ে প্রতিকারের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট এখতিয়ারাধীন আদালতে মামলা করতে হবে। মামলার মূল্যমান চার লাখ টাকার কম হলে সহকারী জজ আদালতে এবং চার লাখের বেশি হলে অসীম এখতিয়ার পর্যন্ত যুগ্ম জেলা জজ আদালতে প্রতিকার চাইতে হবে। মামলা দায়ের করতে হবে আইনজীবীর মাধ্যমে। মালিকানাসহ দখলের প্রতিকার চাইলে জমির মূল্য বাবদ অ্যাড-ভ্যালোরেম (মূল্যানুপাতে) কোর্ট ফি দিতে হবে। ৯ ধারা অনুযায়ী শুধু দখলের জন্য প্রতিকার চাইলে সম্পত্তির মূল্য অনুসারে যে কোর্ট ফি তার অর্ধেক, অর্থাৎ অ্যাড-ভ্যালোরেম কোর্ট ফির অর্ধেক পরিমাণ কোর্ট ফি দিতে হবে। জমির মালিকানাসহ দখল কিংবা শুধু দখল চেয়ে প্রতিকারের ক্ষেত্রে যদি বাদী মনে করেন, তাঁর জমিটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে, তাহলে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চাইতে পারেন পৃথক আবেদনের মাধ্যমে।

                সংগৃহীত--বাংলাদেশ আইনগত অধিকার)

Thursday, July 1, 2021

আদালতের বিচারকরা ভেড়ার পশমের তৈরি পরচুলা পরে কেন?

ব্রিটিশ শাসন আমল থেকে ভারতীয় সংস্কৃতিতে মিশে রয়েছে ব্রিটিশ সংস্কৃতি। যুক্তরাজ্যের আদালতে ড্রেস কোডের প্রচলন শুরু হয় ১৭ শতাব্দীতে।
তখন বিচারক-আইনজীবীরা বিভিন্ন রঙের গাউন, ব্যান্ড ও পরচুলা পরতো। এর অনেক কিছুর এখনো প্রচলন রয়েছে।
পরবর্তীতে ব্রিটিশরা পৃথিবীর যেসব দেশ শাসন করেছে সেসব দেশে তাদের এসব সংস্কৃতির প্রচলন ঘটেছে। যার মধ্যে বাংলাদেশ একটি।
ব্রিটিশদের সাদা-লম্বা পরচুলা পরার রেওয়াজ আমাদের দেশ থেকে প্রায় উঠে গেছে। আগে সব বিচারকদের এই পরচুলা পরতে হতো। এখন শুধুমাত্র প্রধান বিচারপতি এই পরচুলা পরে থাকেন।
কিন্তু বিচারকের পরচুলা পরিধান ছাড়া যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে এখনও কোনো বিচারকাজ সম্পন্ন হয় না। তারা এখনও এর গুরুত্ব এবং নিগূঢ় দর্শন আঁকড়ে আছেন।
সাদা পরচুলার পেছনের রহস্য হলো, সাদা চুলের বৃদ্ধা মা-জননী সন্তানের প্রতি যেমন স্নেহপরায়ণ, তেমনি তার কাছে সব সন্তান একই এবং সমান।
কারও প্রতি অবিচার করার মানসিকতা তার থাকে না। সে আলোকে বিচারপ্রার্থী দু’পক্ষই (বাদী ও বিবাদী) বিচারকের সন্তান বলে বিবেচ্য।
তাই বিচারকার্যে যাতে সঠিক বিচারের পথ সমুন্নত থাকে এবং কোনো পক্ষপাতিত্বের অবকাশ না থাকে, এজন্য এজলাসে দু’পক্ষের কথা ও আবেদন মায়ের মত আন্তরিকভাবে শুনে, বিচারক ঠাণ্ডা মাথায় রায় দিয়ে থাকেন।
যাতে বিবাদীর আত্মপক্ষ সমর্থনের মৌলিক অধিকার (fundamental rights) ও ন্যায় পরায়ণতা (equity) বরখেলাপের এতোটুকু সুযোগ না থাকে। ফলশ্রুতিতে সকলের ন্যায়বিচার পাওয়ার পথ সুগম হয়।
_____________________________________
তথ্যসূত্র : উইকিপিডিয়া।

Recent Post

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯

১. ‘ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ ’ কবিতায় সালামের হাতে কেন অবিনাশী বর্ণমালা ঝরে ? ক. সংগ্রামী চেতনার কারণে     খ. দুঃখিনী মাতার অশ্রুজল দেখে গ. বরকত...

Most Popular Post