Ad-1

Showing posts with label ব্যাকরণিক শব্দ শ্রেণি. Show all posts
Showing posts with label ব্যাকরণিক শব্দ শ্রেণি. Show all posts

Wednesday, October 28, 2020

১. ব্যাকরণিক শব্দ শ্রেণি বলতে কী বােঝ? উদাহরণসহ প্রকারভেদ আলোচনা করাে।

উত্তর : ব্যাকরণগত অবস্থানের ভিত্তিতে বাংলা ভাষার শব্দসমূহকে যে কয় ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে তাদের ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি বলে।
অথবা
ব্যাকরণগত চরিত্র ও ভূমিকা অনুযায়ী বাংলা ভাষার শব্দসমূহকে যে কয়ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে, তাকেই ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি বলে।
ব্যাকরণিক শব্দ মােট আট প্রকার । যেমন—

১. বিশেষ্য : যে শব্দশ্রেণি দ্বারা কোনাে ব্যক্তি, জাতি, সমষ্টি, বস্তু,স্থান, কাল, ভাব, কর্ম বা গুণের নাম বােঝায় তাকে বিশেষ্য বলে।যেমন- থালা, বাটি, ঢাকা ইত্যাদি।
২. সর্বনাম : বিশেষ্যের পরিবর্তে যে শব্দ ব্যবহৃত হয় তাকে সর্বনাম বলে। সর্বনাম সাধারণত ইতােপূর্বে ব্যবহৃত বিশেষ্যের প্রতিনিধি স্থানীয় শব্দ হিসেবে কাজ করে। যেমন- অবনি অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। সে নিয়মিত স্কুলে যায়।
৩. বিশেষণ : যে শব্দশ্রেণি দ্বারা বিশেষ্য, সর্বনাম ও ক্রিয়ার দোষ,গুণ, অবস্থা, সংখ্যা, পরিমাণ ইত্যাদি প্রকাশ পায় তাকে বিশেষণ বলে। যেমন— নীল পরী ।
৪. ক্রিয়া : যে শব্দশ্রেণি দ্বারা কোনাে কিছু করা, থাকা, হওয়া, ঘটা ইত্যাদি বােঝায় তাকে ক্রিয়া বলে। যেমন- নিজাম কাঁদছে।
৫. ক্রিয়া বিশেষণ : যে শব্দ বাক্যের ক্রিয়াকে বিশেষিত করে তাকে ক্রিয়াবিশেষণ বলে। যেমন- বাসটি দ্রুত চলতে শুরু করল।
৬. যােজক : যে শব্দ একটি বাক্যাংশের সাথে অন্য একটি বাক্যাংশ অথবা বাক্যস্থিত একটি শব্দের সঙ্গে অন্য একটি শব্দের সংযােজন, বিয়ােজন বা সংকোচন ঘটায় তাকে যােক বলে। যেমন- তুমি খাবে আর আবির পড়বে।
৭. অনুসর্গ : যে শব্দ কখনাে স্বাধীনরূপে আবার কখনাে শব্দ বিভক্তির ন্যায় বাক্যে ব্যবহৃত হয়ে বাক্যের অর্থ প্রকাশে সাহায্য করে তাকে অনুসর্গ বলে। যেমন- ওকে দিয়ে এ কাজ হবে না।
৮. আবেগ শব্দ : যে শব্দ মনের বিশেষ ভাব বা আবেগ প্রকাশে সহায়তা করে তাকে আবেগ শব্দ বলে। যেমন- বাহ! সে তাে আজ ভালােই খেলছে।

Tuesday, October 27, 2020

২. বিশেষ্য পদ কাকে বলে?উহা কত প্রকার ও কি কি উদাহরণসহ লেখো

উত্তর: যে পদ কোনো ব্যক্তি, বস্তু, জাতি, কাজ বা গুণের নাম বোঝায়, তাকে বিশেষ্য পদ বলে। যেমন: বই, নদী, পাখি, ফুল, ঢাকা ইত্যাদি।

বিশেষ্য পদের কয়েকটি শ্রেণিবিভাগ আছে। যেমন:
১। সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য: যেসব বিশেষ্য পদে কোনো নির্দিষ্ট স্থান, নদী, পর্বত, সমুদ্র, প্রসিদ্ধ গ্রন্থ বা ব্যক্তির নাম বোঝায়, তাকে সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য বলা হয়। যেমন: আকবর, রানা, লন্ডন, তাজমহল ইত্যাদি।
২। স্থানবাচক বিশেষ্য: যেসব বিশেষ্য পদে কোনো নির্দিষ্ট স্থানের নাম বোঝায়, তাকে স্থানবাচক বিশেষ্য বলা হয়। যেমন: রাজশাহী, ময়নামতি ইত্যাদি।
৩। বস্তুবাচক বিশেষ্য: যে বিশেষ্য পদের সাহায্যে কোনো বস্তু বোঝায় এবং যার সংখ্যা নির্দেশ করা যায় না, শুধু পরিমাণ নির্দেশ করা যায়, তাকে বস্তুবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন: পানি, লবণ ইত্যাদি।
৪। জাতিবাচক বিশেষ্য: যে বিশেষ্য পদের সাহায্যে কোনো প্রাণী বা বস্তুর জাতি বোঝায় তাঁকে জাতিবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন: মানুষ, মুসলমান, হিন্দু ইত্যাদি।
৫। গুণবাচক বিশেষ্য: যে বিশেষ্য পদে কোনো গুণ, অবস্থা ও ভাবের নাম বোঝায়, তাকে গুণবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন: সুখ, দুঃখ, দয়া, বীরত্ব ইত্যাদি।
৬। ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য: যে বিশেষ্য পদে কোনো কাজের নাম বোঝায়, তাকে ক্রিয়াবাচক বা ভাববাচক বিশেষ্য বলে। যেমন: ঘুমানো, গমন, যাওয়া ইত্যাদি।
৭। সমষ্টিবাচক বিশেষ্য: যে বিশেষ্য পদে সমষ্টি বোঝায়, তাকে সমষ্টিবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন: জনতা, সমিতি, সভা, দল ইত্

Monday, October 26, 2020

৩. সর্বনাম কাকে বলে? উদাহরণসহ সর্বনামের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা করো।

উত্তর : বিশেষ্যের পরিবর্তে যে শব্দ ব্যবহৃত হয়, তাকে সর্বনাম বলে।যেমন—উর্মি একাদশ শ্রেণিতে পড়ে। সে নিয়মিত কলেজে যায়। তার একটি ল্যাপটপ আছে।
সর্বনামকে প্রধানত তিনটি মানদণ্ডের ভিত্তিতে ভাগ করা যায়। যথা—
১. অর্থগতভাবে
২. অন্বয়গতভাবে এবং
৩. পক্ষভেদে।
১. অর্থগতভাবে সর্বনামের শ্রেণিবিভাগ—
ক. ব্যক্তিবাচক সর্বনাম : যে সর্বনাম বাক্যের পক্ষ বা পুরুষ নির্দেশ করে, তাকে ব্যক্তিবাচক সর্বনাম বলে। যেমন—আমি, আমার, তুমি তোমার, সে, তোমরা, তারা, তিনি ইত্যাদি।

খ. আত্মবাচক সর্বনাম : কর্তা নিজেই কোনো কাজ করেছে—এ ভাবটি জোর দিয়ে বোঝানোর জন্য যে সর্বনাম ব্যবহৃত হয়, তাকে আত্মবাচক সর্বনাম বলে। যেমন—স্বয়ং নিজে, খোদ, স্ব স্ব, আপনি ইত্যাদি।

গ. পারস্পরিক সর্বনাম : দুই পক্ষের সহযোগ বা পারস্পরিকতা বোঝাতে যে সর্বনাম ব্যবহৃত হয়, তাকেই পারস্পরিক সর্বনাম বলে। যেমন—পরস্পর পরিচিত। ওরা নিজেরা নিজেরাই সমস্যা মিটিয়ে ফেলবে।

ঘ. সকলবাচক সর্বনাম : ব্যক্তি, বস্তু বা ভাবের সমষ্টি বোঝাতে যে সর্বনাম ব্যবহৃত হয়, তাকেই সকলবাচক সর্বনাম বলে। যেমন—সবাই কফি খেতে চাচ্ছে। সকলেই সাহায্য পেয়েছে।

ঙ. অন্যবাচক সর্বনাম : নিজ ভিন্ন অন্য কোনো অনির্দিষ্ট ব্যক্তিকে বোঝাতে যে সর্বনাম ব্যবহৃত হয়, তাকেই অন্যবাচক সর্বনাম বলে। যেমন—অপরে পারলে তুমি কেন পারবে না? অন্যের কথা বলো না।

চ. নির্দেশক সর্বনাম : যে সর্বনাম বক্তার নিকট থেকে কাছের বা দূরের কিছু নির্দেশ করে, তাকে নির্দেশক সর্বনাম বলে। যেমন—এ, ও, ইনি, উনি ইত্যাদি।

ছ. অনির্দিষ্ট সর্বনাম : অনির্দিষ্ট বা পরিচয়হীন কোনো কিছু বোঝাতে যে সর্বনাম ব্যবহার করা হয়, তাকে অনির্দিষ্ট সর্বনাম বলে।যেমন—এখানে কেউ নেই। আমার কিছু বলার নেই।
২. অন্বয়গতভাবে সর্বনামের শ্রেণিবিভাগ—
ক. প্রশ্নবাচক সর্বনাম : প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রশ্নের জন্য যে সর্বনাম ব্যবহৃত হয়, তাকে প্রশ্নবাচক সর্বনাম বলে। যেমন—কে যাবে? কারা খাবে?
খ. সংযোগবাচক সর্বনাম : যে সর্বনাম দ্বারা দুটি বাক্যে সংযোগ ঘটানো হয়, তাকে সংযোগবাচক সর্বনাম বলে। যেমন—হাটে গিয়ে দেখি যে, সে চলে গেছে। আমি বলি কী, তুই আজ থেকেই যা।
গ. সাপেক্ষ সর্বনাম : পরস্পর নির্ভরশীল যে যুগল সর্বনাম দুটি বাক্যাংশের সংযোগ ঘটায়, তাদের সাপেক্ষ সর্বনাম বলে। যেমন—যত চাও তত লও। যার কাজ তারই সাজে। যেমন কর্ম তেমন ফল।
৩. পক্ষভেদে সর্বনামের শ্রেণিবিভাগ—
ক. বক্তাপক্ষ : যে সর্বনাম দ্বারা বাক্যের বক্তা ও তার সমগোত্রীয়দের নির্দেশ করা হয়, তা এই শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। যেমন—আমি, আমরা, আমাকে, আমাদিগকে, আমার, আমাদের, মোর, মোরা ইত্যাদি।
খ. শ্রোতাপক্ষ : যে সর্বনাম দ্বারা বক্তার সামনে প্রত্যক্ষভাবে উপস্থিত শ্রোতা ও তার সমগোত্রীয়দের নির্দেশ করা হয়, তা এই শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। যেমন—তুই, তুমি, তোরা, তোকে, তোমার, তোমরা, তোমাকে ইত্যাদি।
গ. অন্যপক্ষ : যে সর্বনাম দ্বারা বক্তার সামনে অনুপস্থিত শ্রোতা ও তার সমগোত্রীয়দের নির্দেশ করা হয়, তা এই শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত।যেমন—সে, তারা, তাহারা, তাদের, তাহাকে, তিনি, তাঁকে, তাঁরা, তাঁদের ইত্যাদি।

Sunday, October 25, 2020

৪. বিশেষণ পদ কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি উদাহরণসহ লেখো

উত্তর:

বিশেষণ : যে পদ বিশেষ্য, সর্বনাম ও ক্রিয়াপদের দোষ, গুণ, অবস্থা, সংখ্যা, পরিমাণ ইত্যাদি প্রকাশ করে, তাকে বিশেষণ পদ বলে।

চলন্ত গাড়ি : বিশেষ্যের বিশেষণ।
করুণাময় তুমি : সর্বনামের বিশেষণ।
দ্রুত চল: ক্রিয়া বিশেষণ।

বিশেষণ দুই ভাগে বিভক্ত। যথা—১. নাম বিশেষণ ও ২. ভাব বিশেষণ।

নাম বিশেষণ: যে বিশেষণ পদ কোনো বিশেষ্য বা সর্বনাম পদকে বিশেষিত করে, তাকে নাম বিশেষণ বলে। যথা

বিশেষ্যের বিশেষণ : সুস্থ সবল দেহকে কে না ভালোবাসে?
সর্বনামের বিশেষণ : সে রূপবান ও গুণবান

নাম বিশেষণের প্রকারভেদ

ক. রূপবাচক: নীল আকাশ, সবুজ মাঠ, কালো মেঘ।
খ. গুণবাচক : চৌকস লোক, দক্ষ কারিগর, ঠাণ্ডা হাওয়া।
গ. অবস্থাবাচক: তাজা মাছ, রোগা ছেলে, খোঁড়া পা।
ঘ. সংখ্যাবাচক: হাজার লোক, দশ দশা, শ টাকা।
ঙ. ক্রমবাচক: দশম শ্রেণি, সত্তর পৃষ্ঠা, প্রথমা কন্যা।
চ. পরিমাণবাচক: বিঘাটেক জমি, পাঁচ শতাংশ ভূমি, হাজার টনী জাহাজ, এক কেজি চাল, দু কিলোমিটার রাস্তা।
ছ. অংশবাচকঃ অর্ধেক সম্পত্তি, ষোল আনা দখল, সিকি পথ।
জ. উপাদানবাচক: বেলে মাটি, মেটে কলসি, পাথুরে মূর্তি।
ঝ. প্রশ্নবাচক: কতদূর পথ? কেমন অবস্থা?
ঞ. নির্দিষ্টতাজ্ঞাপক : এই লোক, সেই ছেলে, ছাব্বিশে মার্চ।

ভাব বিশেষণ: যে পদ বিশেষ্য ও সর্বনাম ভিন্ন অন্য পদকে বিশেষিত করে তা-ই ভাব বিশেষণ। ভাব বিশেষণ দুই প্রকার :

১. ক্রিয়া বিশেষণের বিশেষণ
২. বিশেষণের বিশেষণ বা বিশেষণীয় বিশেষণ

১. ক্রিয়া বিশেষণের বিশেষণ: ক্রিয়া বিশেষণকে বিশেষিত করে।যেমনঃ খুব তাড়াতাড়ি যাও।গাড়িটা বেশ জোরে চলছে। 

২. বিশেষণের বিশেষণ: সবরকম বিশেষণ পদকে বিশেষিত করে। যথাঃ খুুব ভালো ছেলে।

★বাক্যে অবস্থান অনুযায়ী বিশেষণ দুই প্রকার।যথাঃ
১. সাক্ষাৎ বিশেষণ বা উদ্দেশ্যের বিশেষণঃসাক্ষাৎ বিশেষণ বা উদ্দেশ্যের বিশেষণ বিশেষিত পদ বা বিশেষ্যের আগে বসে।যেমনঃ গভীর সমুদ্র। হলুদ শাড়ি।ঘোলা পানি।

২. বিধেয় বিশেষণঃ বিধেয় বিশেষণ বাক্যের বিধেয় অংশে বসে।যেমনঃ ছেলেটি শান্ত। এ পুকুরের পানি স্বচ্ছ। মেয়েটি অসুস্থ। 

Wednesday, October 21, 2020

৫. ক্রিয়াপদ কাকে বলে?উহা কত প্রকার ও কি কি? বিস্তারিত আলোচনা কর


উত্তর:
ধাতুর সঙ্গে বিভক্তির যুক্ত হয়ে যে পদ গঠিত হয়,তাকে ক্রিয়াপদ বলে।
ক্রিয়াপদ প্রথমত দুই প্রকার। যথা:
  ১. সমাপিকা ক্রিয়া
  ২. অসমাপিকা ক্রিয়া।
*সমাপিকা ক্রিয়া:
যে ক্রিয়া সম্পূর্ণ মনের ভাব প্রকাশ করে, তাকে সমাপিকা ক্রিয়া বলে।সমাপিকা ক্রিয়াকে ইংরেজিতে Finite Verb বলে।যেমন: করিম স্কুলে যায়।
*অসমাপিকা ক্রিয়া:
যে ক্রিয়া সম্পূর্ণ মনের ভাব প্রকাশ করে না,তাকে অসমাপিকা ক্রিয়া বলে।অসমাপিকা ক্রিয়াকে ইংরেজিতে Non-Finite Verb বলে।যেমন: করিম স্কুলে গিয়ে.....এখানে গিয়ে হলো অসমাপিকা ক্রিয়া।

২. সমাপিকা ক্রিয়া কী? কত প্রকার ও কি কি? উদাহরণসহ লেখো।
উত্তর:
সমাপিকা ক্রিয়া:
যে ক্রিয়া সম্পূর্ণ মনের ভাব প্রকাশ করে, তাকে সমাপিকা ক্রিয়া বলে।সমাপিকা ক্রিয়াকে ইংরেজিতে Finite Verb বলে।যেমন: করিম স্কুলে যায়।
*সমাপিকা ক্রিয়ার প্রকারভেদ :
সমাপিকা ক্রিয়া পাঁচ প্রকার।যথা:
১. সকর্মক ক্রিয়া
২. অকর্মক ক্রিয়া
৩. দ্বিকর্মক ক্রিয়া
৪.প্রযোজক ক্রিয়া
৫. যৌগিক ক্রিয়।
১. সকর্মক ক্রিয়া :
যে ক্রিয়ার কর্ম থাকে, তাকে সকর্মক ক্রিয়া বলে।কর্ম আছে কি নাকি নেই? সেটা বুঝব ক্রিয়াকে 'কি' বা 'কাকে'- দিয়ে প্রশ্ন করে উত্তর পেলে বুঝব কর্ম আছে।যেমন: রহিম বই পড়ে।
২. অকর্মক ক্রিয়া:
যে ক্রিয়ার কর্ম নেই,তাকে অকর্মক ক্রিয়া বলে।যেমন: সে হাঁসে।
৩. দ্বিকর্মক ক্রিয়া :
     যে ক্রিয়ার দুটি কর্ম থাকে, তাকে দ্বিকর্মক ক্রিয়া বলে।যেমন: সে আমাকে একটি গোলাপ দিল।
এখানে আমাকে ও গোলাপ দুটো কর্ম।
৪.প্রযোজক ক্রিয়া:
    যে ক্রিয়া দ্বারা অন্যকে দিয়ে কাজ করানো বুঝায়, তাকে প্রযোজক ক্রিয়া বলে।যেমন:
 মা শিশুকে চাঁদ দেখায়।
৫. যৌগিক ক্রিয়া:
   কোন বাক্যে যদি সমাপিকা ও অসমাপিকা ক্রিয়া একসঙ্গে থাকে, তাকে যৌগিক ক্রিয়া বলে।যেমন: আমাকে ট্রেন ধরতে হবে।এখানে ধরতে অসমাপিকা ক্রিয়া ও হবে সমাপিকা ক্রিয়া।একসঙ্গে হয়ে হলো যৌগিক ক্রিয়া।

Wednesday, February 26, 2020

৬. আবেগ শব্দ কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি? উদাহরণসহ লিখ

আবেগ-শব্দ (Interjection):

আবেগ-শব্দের সাহায্যে মনের নানা ভাব বা আবেগকে প্রকাশ করা হয়। এ ধরনের শব্দে তীব্র আবেগ, অনুভূতি ও মনােভাব ব্যক্ত হয়। যেমন : বাহ্! কী চমক্কার রং ! আরে ! আপনি কখন এলেন? প্রথাগত ব্যাকরণে এগুলি অনন্বয়ী, মনােভাববাচক বা অন্তর্ভাবাত্মক অব্যয় নামে পরিচিত। এ ধরনের শব্দ বাক্যের অন্য পদগুলাের সঙ্গে সম্পর্কিত না হয়ে আলগা বা স্বাধীনভাবে বাক্যে বসে।

আবেগ-শব্দের শ্রেণিবিভাগ মানুষের আবেগ বিচিত্র, সব যে শব্দের আকার পায়, তাও নয়। তবু প্রকাশ অনুসারে আবেগ-শব্দকে কয়েক ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন :

১. সিদ্ধান্তবাচক আবেগ-শব্দ (assertive interjection) : এ ধরনের আবেগ-শব্দের সাহায্যে অনুমােদন, সম্মতি, সমর্থন ইত্যাদি ভাব প্রকাশ করা হয়। যেমন : হুঁ, মনে হচ্ছে একটা ষড়যন্ত্রের আভাস পাচ্ছি। বেশ, তাহলে রাতেই রওনা করুন। না, কাউকে আমি এখান থেকে নড়তে দেব না। উঁহু, ওসব ঝামেলাতে আমি নেই।'

২. প্রশংসাবাচক আবেগ-শব্দ (appreciative interjection) : এ ধরনের আবেগ-শব্দ প্রশংসা প্রকাশে ব্যবহৃত হয়। যেমন : শাবাশ ! একটা খেলার মতাে খেলা দেখালে। বাঃ! বড় চমৎকার ছবি এঁকেছ তাে।

৩. বিরক্তিসূচক আবেগ-শব্দ (interjection of disgust) : এ ধরনের আবেগ-শব্দ অবজ্ঞা, ঘৃণা, বিরক্তি ইত্যাদি মনােভাব প্রকাশে ব্যবহৃত হয়। যেমন : ছিঃ ছিঃ এ তুমি কী বললে ! কী জ্বালা, আর কতক্ষণ অপেক্ষা করব!

৪. ভয় ও যন্ত্রণাবাচক আবেগ-শব্দ (interjection of fear or suffering) : এ ধরনের আবেগ-শব্দ আতঙ্ক, যন্ত্রণা, কাতরতা ইত্যাদি প্রকাশ করে। যেমন: উঃ এত অশান্তি কি সহ্য হয় ! আঃ কী কষ্টই না পাচ্ছি!

৫. বিস্ময়সূচক আবেগ-শব্দ (interjection of surprise) : এ ধরনের আবেগ-শব্দ বিস্মিত বা আশ্চর্য হওয়ার ভাব প্রকাশ করে। যেমন : আরে, তুমি কবে দেশে ফিরলে! অ্যা, বলছ কী? তুমিই লটারি জিতেছ!

. করুণাসূচক আবেগ-শব্দ (interjection of pity) : এ ধরনের আবেগ-শব্দ করুণা, সহানুভূতি ইত্যাদি মনােভাব প্রকাশ করে। যেমন : আহা! মা-মরা মেয়েটার কী কষ্ট! হায়! হায়! এখন ওদের কে দেখবে।

৭. সম্বােধনসূচক আবেগ-শব্দ (vocative interjection) : এ ধরনের আবেগ-শব্দ সম্বােধন বা আহ্বান করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। যেমন : হে বন্ধু , তােমাকে অভিনন্দন। ওরে, তুই কোথায় চললি?

৮. আলংকারিক আবেগ-শব্দ (figurative interjection) : এ ধরনের আবেগ-শব্দ বাক্যের অর্থের পরিবর্তন না ঘটিয়ে কোমলতা, মাধুর্য ইত্যাদি।

Tuesday, February 25, 2020

৭. যোজক শব্দ কাকে বলে? যােজক শব্দের শ্রেণিবিভাগ উদাহরণসহ আলােচনা করাে।

উত্তর : যে শব্দ একটি বাক্য বা বাক্যাংশের সঙ্গে অন্য একটি বাক্য বা বাক্যাংশের কিংবা বাক্যস্থিত একটি শব্দের সঙ্গে অন্য শব্দের সংযােজন, বিয়ােজন বা সংকোচন ঘটায় তাকে যােজক বলে। যেমন—
আমি গান গাইব আর তুমি নাচবে।
অর্থ এবং সংযােজনের ধরন ও বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী যােজক শব্দ পাঁচ প্রকার। এগুলাে নিম্নরূপ-
ক. সাধারণ যােজক : যে যােজক দ্বারা একাধিক শব্দ, বাক্য বা বাক্যাংশকে সংযুক্ত করা যায় তাকে সাধারণ যােজক বলে। যেমন—
আমি ও আমার বাবা বাজারে এসেছি।
খ. বৈকল্পিক যােজক : যে যােজক দ্বারা একাধিক শব্দ, বাক্য বা বাক্যাংশের মধ্যে বিকল্প বােঝায় তাকে বৈকল্পিক যােজক বলে । যেমন—
তুমি বা তােমার বন্ধু যে কেউ এলেই হবে।
গ. বিরোধমূলক যােজক : এ ধরনের যােজক দুটি বাক্যের সংযােগ ঘটিয়ে দ্বিতীয়টি দ্বারা প্রথমটির বিরােধ নির্দেশ করে। যেমন- আমি চিঠি দিয়েছি কিন্তু উত্তর পাইনি।
ঘ. কারণবাচক যােজক : এ ধরনের যােজক এমন দুটি বাক্যের মধ্যে সংযােগ ঘটায় যার একটি অন্যটির কারণ। যেমন-আমি যাইনি, কারণ তুমি দাওয়াত দাওনি।
ঙ, সাপেক্ষ যােজক: পরস্পর নির্ভরশীল যে যােজকগুলাে একে অন্যের পরিপূরক হিসেবে বাক্যে ব্যবহৃত হয় তাদের সাপেক্ষ যােজক বলে।
যেমন- যদি টাকা দাও তবে কাজ হবে।

Sunday, February 23, 2020

৮. নিচের অনুচ্ছেদ থেকে ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি নির্ণয় কর।

১. একটু মিটমিট করিয়া ক্ষুদ্র আলাে জ্বলিতেছে -দেয়ালের উপর চঞ্চল ছায়া প্রেতবত নাচিতেছে 

আহার প্রস্তুত হয় নাই -এজন্য হুকা হাতে, নিমীলিতলোচনে আমি ভাবিতেছিলাম যে, আমি যদি 

নেপােলিয়ন হইতাম,তবে ওয়াটারলু জিতিতে পারিতাম কি না।

উত্তর :  ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি : ক্রিয়া বিশেষণ, বিশেষণ, ক্রিয়া, বিশেষ্য,যােজক।

২. নিচের অনুচ্ছেদ থেকে যৌগিক ক্রিয়া চিহ্নিত কর। 

 চাহিয়া দেখিলামহঠাৎ কিছু বুঝিতে পারিলাম না। প্রথমে মনে করিলাম, ওয়েলিংটন হঠাৎ 

বিড়ালত্ব প্রাপ্ত হইয়া আমার নিকট ভিক্ষা করিতে আসিয়াছে। প্রথম উদ্যমে,পাষাণবত  কঠিন হইয়া,

বলিব মনে করিলাম যে,ডিউক মহাশয়কে ইতিপূর্বে (ইতঃপূৰে) যথোচিত পুরস্কার দেওয়া গিয়েছে,

এক্ষণে আর অতিরিক্ত পুরস্কার দেওয়া যাইতে পারে না।"

:যৌগিক ক্রিয়া:চাহিয়া দেখিলাম,বুঝিতে পারিলাম,করিতে আসিয়াছে,দেওয়া গিয়াছে,যাইতে পারে।

৩. নিচের অনুচ্ছেদ থেকে বিশেষণ চিহ্নিত কর।

ইট বসানাে রাস্তা দিয়ে করিম বাড়ি ফিরছিল। হঠাৎ দেখতে পেল চলন্ত বাস। থেকে যাত্রীরা লাফিয়ে

নামছে।হাঁটা-পথের অনেকেই দৃশ্যটি তাকিয়ে দেখল। কয়েক জনের যায়-যায় অবস্থা। কাঁদো-কাঁদো

চেহারার মানুষগুলােকে দেখে করিম মনে কষ্ট পেল।

উত্তর : ক্রিয়া বিশেষণ : ইট বসানাে রাস্তা, বাড়ি, চলন্ত বাস, লাফিয়ে, তাকিয়ে, মনে।

৪. নিচের অনুচ্ছেদ থেকে বিশেষণ পদ চিহ্নিত কর। 

আছেন তাে ভালাে? ছেলেমেয়ে? কিছু আলাপের পর দেখিয়ে সফেদ দেয়ালের শান্ত ফটোগ্রাফটিকে

বললাম জিজ্ঞাসু অতিথিকে-

উত্তর : বিশেষণ পদ : ভালো, কিছু, সফেদ, শান্ত, জিজ্ঞাসু।

৫.নিচের অনুচ্ছেদ থেকে নিম্নরেখ শব্দগুলাের ব্যাকরণিক শ্রেণি নির্দেশ কর[সকল বো'১৮]

সে ছিল চমৎকার এক সুন্দরী তরুণী। নিয়তির ভুলেই যেন এক কেরানির পরিবারে তার

জন্ম হয়েছে তার ছিল না কোনাে আনন্দকোনো আশা পরিচিত হবারপ্রশংসা পাওয়ারপ্রেমলাভ

 করার এবং কোনাে ধনী অথবা বিশিষ্ট লোকের সঙ্গে বিবাহিত হওয়ার কোনাে উপায় ৩ার ছিল না।

তাই শিক্ষা পরিষদ আপিসের সামান্য এক কেরানির সঙ্গে বিবাহ সে স্বীকার করে নিয়েছিল।

উত্তর : ব্যাকরণিক শ্রেণি : বিশেষণ; সমষ্টিবাচক বিশেষ্য; সর্বনাম; অব্যয়; বিশেষণ। 

Friday, December 13, 2019

খণ্ডবাক্য কাকে বলে? আশ্রিত খণ্ডবাক্য কত প্রকার ও কী কী? উদাহরণসহ আলােচনা করাে।

জটিল বা মিশ্র বাক্যে ছােট ছােট একাধিক বাক্য থাকে একে খণ্ডবাক্য বলে। খণ্ডবাক্য প্রধানত দুই প্রকার-
১.প্রধান খণ্ডবাক্য
২.আশ্রিত খণ্ড বাক্য।
যে খণ্ডবাক্য অর্থ প্রকাশের জন্য অন্য কোনাে খণ্ডবাক্যের উপর নির্ভরশীল নয়, তাকে প্রধান খণ্ডবাক্য বলে।
যে খণ্ডবাক্য অর্থ প্রকাশের জন্য প্রধান খণ্ডবাক্যের উপর নির্ভরশীল, তাকে আশ্রিত খণ্ডবাক্য বলে।
আশ্রিত খণ্ডবাক্য আবার তিন প্রকার। যথা-
ক. বিশেষ্য স্থানীয় আশ্রিত খণ্ডবাক্য : যে আশ্রিত খণ্ডবাক্য বিশেষ্য পদের কাজ করে, তাকে বিশেষ্য স্থানীয় আশ্রিত খণ্ডবাক্য বলে। যেমন—
আমি জানি।
প্রধান খণ্ডবাক্য।
সে কেমন লােক।
বিশেষ্য স্থানীয় আশ্রিত খণ্ডবাক্য
খ. বিশেষণ স্থানীয় আশ্রিত খণ্ডবাক্য : যে আশ্রিত খণ্ডবাক্য প্রধান খণ্ডবাক্যের অন্তর্গত কোনাে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের দোষ, গুণ এবং অবস্থা প্রকাশ করে তাকে বিশেষণ স্থানীয় আশ্রিত খণ্ডবাক্য বলে।
যেমন—
যে এ সভায় অনুপস্থিত,
বিশেষণ স্থানীয় আশ্রিত খণ্ডবাক
সে বড় দুর্ভাগা।
***যেখানে, যখন,যেভাবে,যেন দিয়ে থাকলে বিশেষণ স্থানীয় আশ্রিত খণ্ডবাক্য পাওয়া যায়।
গ.ক্রিয়া-বিশেষণ স্থানীয় আশ্রিত খণ্ডবাক্য : যে আশ্রিত খণ্ডবাক্য ক্রিয়াপদের স্থান, কাল ও কারণ নির্দেশক অর্থে ব্যবহূত হয়, তাকে ক্রিয়া-বিশেষণ স্থানীয় আশ্রিত খণ্ডবাক্য বলে।
যেমন—যেখানে আকাশ আর সমুদ্র একাকার হয়ে গেছে, সেখানেই দিকচক্রবাল।
***ক্রিয়াকে কখন, কোথায়, কিভাবে,কেন,কতটুকু দ্বারা প্রশ্ন করে ক্রিয়া-বিশেষণ স্থানীয় আশ্রিত খণ্ডবাক্য পাওয়া যায়।

Recent Post

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯

১. ‘ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ ’ কবিতায় সালামের হাতে কেন অবিনাশী বর্ণমালা ঝরে ? ক. সংগ্রামী চেতনার কারণে     খ. দুঃখিনী মাতার অশ্রুজল দেখে গ. বরকত...

Most Popular Post