উত্তর: যে পদ কোনো ব্যক্তি, বস্তু, জাতি, কাজ বা গুণের নাম বোঝায়, তাকে বিশেষ্য পদ বলে। যেমন: বই, নদী, পাখি, ফুল, ঢাকা ইত্যাদি।
বিশেষ্য পদের কয়েকটি শ্রেণিবিভাগ আছে। যেমন:
১। সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য: যেসব বিশেষ্য পদে কোনো নির্দিষ্ট স্থান, নদী, পর্বত, সমুদ্র, প্রসিদ্ধ গ্রন্থ বা ব্যক্তির নাম বোঝায়, তাকে সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য বলা হয়। যেমন: আকবর, রানা, লন্ডন, তাজমহল ইত্যাদি।
২। স্থানবাচক বিশেষ্য: যেসব বিশেষ্য পদে কোনো নির্দিষ্ট স্থানের নাম বোঝায়, তাকে স্থানবাচক বিশেষ্য বলা হয়। যেমন: রাজশাহী, ময়নামতি ইত্যাদি।
৩। বস্তুবাচক বিশেষ্য: যে বিশেষ্য পদের সাহায্যে কোনো বস্তু বোঝায় এবং যার সংখ্যা নির্দেশ করা যায় না, শুধু পরিমাণ নির্দেশ করা যায়, তাকে বস্তুবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন: পানি, লবণ ইত্যাদি।
৪। জাতিবাচক বিশেষ্য: যে বিশেষ্য পদের সাহায্যে কোনো প্রাণী বা বস্তুর জাতি বোঝায় তাঁকে জাতিবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন: মানুষ, মুসলমান, হিন্দু ইত্যাদি।
৫। গুণবাচক বিশেষ্য: যে বিশেষ্য পদে কোনো গুণ, অবস্থা ও ভাবের নাম বোঝায়, তাকে গুণবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন: সুখ, দুঃখ, দয়া, বীরত্ব ইত্যাদি।
৬। ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য: যে বিশেষ্য পদে কোনো কাজের নাম বোঝায়, তাকে ক্রিয়াবাচক বা ভাববাচক বিশেষ্য বলে। যেমন: ঘুমানো, গমন, যাওয়া ইত্যাদি।
৭। সমষ্টিবাচক বিশেষ্য: যে বিশেষ্য পদে সমষ্টি বোঝায়, তাকে সমষ্টিবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন: জনতা, সমিতি, সভা, দল ইত্
No comments:
Post a Comment