Ad-1

Saturday, May 6, 2017

ভাব ও রস



বিষয়: ভাব ও রস
Filling -অনুভূতি
Emotion-আবেগ
Mood-ভাব-রস
(১)Filling -অনুভূতি : কোন ঘটনায় মনের মাঝে তাৎক্ষণিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া তাকে Filling -অনুভূতি
বলা হয়। যেমন- কোন বন্ধুর আপনজনের মৃত্যুতে তার প্রতি শান্তনা দেয়া/অনুভূতি দেখানো।
(২)Emotion -আবেগ : গভীর অবস্থা অর্থাৎ যে বন্ধুটি আপনজন হারিয়েছে নিজেকে তার স্থানে ভাবা এবং
নিজের মাঝে তেমন পরিস্থিতি তৈরি করা।
(৩)Mood- ভাব-রস : যে ঘটনার প্রতিক্রিয়া মনে থেকে যায় অর্থাৎ কোন কিছু দেখে বা উপভোগ করে তার
রেশটা মনের গভীরে গেথে যায়,তাই ভাব-রস।
দুটি বিষয় ভাবের সাথে জড়িত ভাব মূলত লৌকিক।আর রস মূলত অলৌকিক।
রস
শিল্প উপভোগের পর শ্রোতার মনে যে অনুভূতি জাগ্রত হয় তাকে রস বলে।
[উৎপাদক+পণ্য+ভোক্তা= ( ভোক্তার অনুভূতি) রস]
ভাব
ভাব: কবি বা নাট্যকারের মনোগত বিষয় সম্পর্কে বাক্য দ্বারা, অঙ্গভঙ্গি দ্বারা, মুখের অভিব্যক্তি দ্বারা কিংবা
অভিনয় দ্বারা দর্শক শ্রোতাকে যদি ভাবায় তবে তাকে ‘ভাব’ বলে।
ভাব ৪ প্রকার।যথা:
১. স্থায়ী ভাব
২. বিভাব
৩. অনুভাব
৪. অস্থায়ী ভাব
বি:দ্র:রস বিভাবের দ্বারা জাগ্রত,
অনুভাবের দ্বারা প্রকাশিত,
সঞ্চারী বা ব্যভিচারী দ্বারা অধিকতর স্পষ্ট হয়ে উঠে।
স্থায়ীভাবের সামগ্রিক অভিব্যক্তিকে ‘রস’ বলে।
১.স্থায়ী ভাব
স্থায়ী ভাব: জৈবিক বা সামাজিক কতগুলো ভাব মানুষের মনে সুপ্তভাবে থাকে বাইরের উপযোগ বা
পরিবেশ পেলে তা জাগ্রত হয় তাকে স্থায়ীভাব বলে।
২.বিভাব:
বাইরের যে পারিপার্শ্বিক কারণ ভিতরে জাগ্রত হয় তাকে বিভাব বলে।
বিভাব প্রকাশিত হবার কারণ- ২ ধরনের
১. ব্যক্তি কারণ,      
২. পরিবেশতগত কারণ।
৩.অনুভাব
অনুভাব: যে আঙ্গিক বা বাচিক উপায়ে স্থায়ীভাব বাইরে প্রকাশ করে/ পায় তাকে অনুভাব বলে।
(অনুভাব শিল্পের প্রকাশ)
৪. অস্থায়ী ভাব
অস্থায়ী ভাব: অস্থায়ী ভাব স্থায়ীভাবকে জাগিয়ে দেয় বা ভাড়িয়ে দেয়।
অস্থায়ীভাব ২ প্রকার
১.সঞ্চারী ভাব/ব্যভিচারি ভাব।
২. সাত্ত্বিকভাব।

স্থায়ী ভাবের আলোচনা:

স্থায়ীভাব প্রকাশের উপায়: অঙ্গভঙ্গি দ্বারা বা কথার দ্বারা স্থায়ীভাব প্রকাশিত হয় (আঙ্গিক/বাচিক)।
স্থায়ীভাব ৯টি।যথা:
১. রতিভাব-------আদিরস (the erotic) : নায়ক-নায়িকার অনুরাগবিষয়ক ভাবকে আদিরস বলে।
২.উৎসাভাব------রীররস (the heroic) : দয়া, ধর্ম, দান, দেশভক্তি ও সংগ্রাম বিষয়ে উৎসাহবিষয়ক ভাবের নাম বীররস।
৩. শোকভাব ------করুণরস (the pathetic) : ইষ্টবিয়োগ বা অপ্রিয়সংযোগে যে শোকসঞ্চার হয় তাকে
করুণরস বলে।
৪. বিস্ময়ভাব------অদ্ভুত রস (the surprising) : আশ্চর্য বিষয়াদি দর্শনে যে বিস্ময়াত্মক ভাবের উদয় হয়,তাকে অদ্ভুত রস বলে।
৫. হাসভাব-------হাস্যরস (the comic) : বিকৃত আকার, বাক্য ও চেষ্টা দ্বারা যে ভাবের উদয় হয়, তা হাস্যরস নামে পরিচিত।
৬.ভয়ভাব-------ভয়ানক রস (the disgustful) : যা হতে মনে ভয় সৃষ্টি হয়, তাকে ভয়ানক রস বলে।
৭. জুগুপ্সাভাব--------বীভৎস রস (the surprising) : যা দ্বারা মনে ঘৃণাদায়ক ভাবের উদয় হয়, তাকে বীভৎস
রস বলে।
৮. ক্রোধভাব ---------রৌদ্র রস (the terrible) : ক্রোধজনক রসকে রৌদ্ররস বলে।
৯. শমভাব--------শান্ত রস (the quietistic) : তত্ত্বজ্ঞানের জন্য যে শান্তভাবের উদয় ও অনুরাগ জন্মায় তাকেশান্ত রস বলে।

কাব্য রসের ধর্ম:

রসের উৎকর্ষসাধক ধর্মের নাম গুণ বা স্টাইল। এই গুণ তিন প্রকার। যথা: মাধুর্য, ওজঃ এবং প্রসাদ।
১.মাধুর্য (elegance) : কাব্যের যে গুণ থাকলে শোনামাত্র চিত্ত ব্যাকুল ও বিগলিত হয়, তাকে মাধুর্য বলে।
২.ওজঃ (encitement) : যে গুণ দ্বারা চিত্ত উদ্দীপ্ত ও উজ্জ্বীবিত হয়, তাকে ওজঃ বলে।
৩.প্রসাদগুণ (perspicuity) : যে গুণ থাকলে শোনামাত্র অর্থপূর্ণ হয়, তাকে প্রসাদগুণ বলে।

No comments:

Post a Comment

Recent Post

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯

১. ‘ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ ’ কবিতায় সালামের হাতে কেন অবিনাশী বর্ণমালা ঝরে ? ক. সংগ্রামী চেতনার কারণে     খ. দুঃখিনী মাতার অশ্রুজল দেখে গ. বরকত...

Most Popular Post