Ad-1

Showing posts with label ৮ম শ্রেণি বাংলা সৃজনশীল (গদ্যাংশ). Show all posts
Showing posts with label ৮ম শ্রেণি বাংলা সৃজনশীল (গদ্যাংশ). Show all posts

Wednesday, September 30, 2020

অতিথির স্মৃতি

অতিথির স্মৃতি

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
জন্ম: ১৮৭৬ পশ্চিমবঙ্গ,হুগলি জেলা,দেবানন্দপুর গ্রাম।
উপাধি : অপরাজেয় কথাশি।
রেঙ্গুন : ১৯০৩-১৯১৬।
১৯০৭ সালে 'ভারতী' পত্রিকায় 'বড়দিদি' প্রকাশ।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক 'জগত্তারিণী' পদক।
শেষপ্রশ্ন,গৃহদা, পথেরদা, শ্রীকান্ত ইত্যাদি বিখ্যাত উপন্যাস।

মূলগল্পঃ দেওঘর/রাত তিনটা/ভজন গান/টুনটুনি,শ্যামা,দোয়েল,বেনে বৌ,ইউক্যালিপটাস গাছ/দুই দিন/তিনদিনের দিন দেখতে পাওয়া/ব্যাধ/
গেইটে বসা/বেরিবেরি রোগী দেখা/নিজের যাওয়া/কুকুরের দেখা/
অতিথি বানালো/না প্রবেশ করা/খেতে দেওয়ার নির্দেশ/না খেতে দেওয়া/মালিনীর উচ্ছিষ্ট নিয়ে যাওয়া/বিদায় বেলা কুকুরের জিনিস গোছানোর তাড়া/বখশিশ দেওয়া/বিদায়।

অতিথির স্মৃতি(দেওঘরের স্মৃতি)
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৭৬-১৯৩৮)

★জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

১. গল্পকথক চিকিৎসকের আদেশে এসেছিলেন—দেওঘরে ।
২. রাত্রি তিনটে থেকে শুরু হতাে— ভজন গান ।।
৩. রাত্রিশেষ হলে আনাগােনা শুরু হতাে— পাখিদের।
৪. ফোলা পায়ের লজ্জা ঢাকতে মােজা পরত— বেরিবেরি রােগে আক্রান্ত মেয়েরা।
৫. গল্পকথকের ধারণা, সন্ধ্যার পূর্বে ঘরে ফিরছিল— বাতব্যাধিগ্রস্তরা।
৬. লেখক অতিথিকে পেটপুরে খেতে দিতে বলেছিলেন— বামুনঠাকুরকে।
৭. আতিথ্যের মর্যাদা লঙ্ঘন করেছিল— কুকুরটি।
৮. খাবার সম্পর্কে নির্বিকারচিত্ত ছিল— মালিনী।
৯. গল্পকথক দেওঘরে নানা ছলে দেরি করলেন— দুই দিন।
১০. অতিথি কুকুরটির প্রতি ভালােবাসায়— লেখক বাড়ি ফেরার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিলেন।
১১. দেবদেবীর স্তুতি বা মহিমাকীর্তনকে বলে— ভজন।
১২. লতাপাতায় আচ্ছাদিত বৃত্তাকার স্থানকে বলে— কুঞ্জ বা উপবন।
১৩. শোথ জাতীয় রােগকে বলে— বেরিবেরি ।
১৪. বেরিবেরির আসামি হলো- অল্পবয়সী একদল মেয়ে।
১৫. ‘অতিথির স্মৃতি' গল্পের মূল নাম ছিল— 'দেওঘরের স্মৃতি’ ।
১৬. ‘অতিথির স্মৃতি' গল্পের মূল বিষয় মানবেতর প্রাণীর প্রতি মমত্ববােধ ও নিষ্ঠুরতা পরিহার।
১৭. ‘অতিথির স্মৃতি' গল্পে প্রকাশিত হয়েছে— প্রাণীর প্রতি উদার মানবিক বােধ।
১৮. কুকুরের সঙ্গে গল্পকথকের সৃষ্টি হয়েছে- মমত্বের সম্বর্ক।
১৯. স্নেহ-প্রীতির সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে মানুষের সঙ্গে প্রাণীরও।
২০. ‘অতিথির স্মৃতি' গল্পে প্রকাশ পেয়েছে— সঙ্কর্কের বিচিত্র রূপ।
২১. শরশ্চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় জন্মগ্রহণ করেন ১৮৭৬ সালে।
২২. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় জন্মগ্রহণ করেন— হুগলি জেলার দেবানন্দপুর গ্রামে।
২৩. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পড়ালেখা অসামাপ্ত থাকে— দারিদ্র্যের কারণে।
২৪. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় জীবিকার সন্ধানে গমন করেন রেগুন।।
২৫. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মৃত্যু বরণ করেন— ১৯৩৮ সালে।
২৬. বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক– শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় 
২৭. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় জনপ্রিয় হয়েছিলেন পাঠকের আবেগকে উপলব্ধি করতে পারায়।
২৮. তাঁর উল্লেখযােগ্য উপন্যাস— দেবদাস, শ্রীকান্ত, গৃহদাহ, দেনাপাওনা, পথের দাবী, শেষ প্রশ্ন।
২৯. শরৎচন্দ্ৰ জগত্তারিণী স্বর্ণপদক লাভ করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ।।
৩০. শরশ্চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লাভ করেন ডি.লিট উপাধি ।
৩১. শরৎচন্দ্রের সাহিত্যিক খ্যাতি ছড়ায়— 'বড়দিদি' উপন্যাসের মাধ্যমে।
৩২. 'বড়দিদি ' - উপন্যাস প্রকাশিত হয় - ভারতী পত্রিকায় ১৯০৭ সালে।
৩৩. সবচেয়ে ভোরে ওঠে - দোয়েল পাখি।
৩৪. বেনে-বৌ পাখির রঙ ছিল- হলুদ।
৩৫. প্রাচীরের ধারের গাছটির নাম ছিল- ইউক্যালিপটাস।
৩৬. শরৎচন্দ্র রেঙুন অবস্থান করেছিলেন - ১৩ বছর (১৯০৩-১৯১৬)।
৩৭. ‘পাণ্ডুর’ শব্দের অর্থ— ফ্যাকাশে।
৩৮. বেরিবেরির আসামি কারা?

অনুধাবনমূলক প্রশ্নঃ
১. মালি-বৌ কুকুরটাকে তাড়িয়ে দিত কেন?
২. 'বেরিবেরির আসামী '- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
৩. "ফোলা পায়ের লজ্জা ঢাকতে বেচারাদের কতো না যত্ন"- লেখক কেন এ কথাটি বলেছেন?
৪. "আতিথ্যের মর্যাদা লঙ্ঘন করে সে আরামে নিশ্চিন্তে হয়ে বসে আছে"- বুঝিয়ে লেখো।
৫. বকশিস পেল সবাই, পেল না কেবল অতিথি - কেন?
৬. অতিথি কিছুতেই ভিতরে ঢোকার ভরসা পেল না কেন?
৬. 'অতিথির স্মৃতি ' গল্পে লেখকের কেন মনে হতে লাগলো, হয়তো ওর মতো তুচ্ছ জীব শহরে আর নেই! ব্যাখ্যা করো।
৭. অতিথি প্রথম দিন বাড়ির ভিতরে ঢোকার ভরসা পেল না কেন? ব্যাখ্যা করো।

১. দীর্ঘ দিন রোগ ভোগের পর জাহিদের স্বাস্থ্যহানি ঘটেছে। এ অবস্থায় তাকে পুরোপুরি সুস্থ করে তোলার উদ্দেশ্যে
আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য শ্রীমঙ্গলে চা-বাগান এলাকায় পাঠানো হয়। কিছু দিন থাকার ব্যবস্থা করা হয়
মনোরোম প্রাকৃতিক পরিবেশে। সেখানে বিচিত্র পাখির কলকাকলি,প্রকৃতির সবুজ পরিবেশ ও ভিন্ন
আবহাওয়ায় জাহিদ বেশ আরামবোধ করে।
ক)‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের লেখক বায়ু পরিবর্তনের জন্য কোথায় গিয়েছিলেন? ১
খ) ‘পাখি চালান দেওয়াই তাদের ব্যবসা।’Ñ ব্যাখ্যা করো। ২
গ) উদ্দীপকের জাহিদের সাথে ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের লেখকের মানসিকতার সাদৃশ্য নির্ণয় করো। ৩
ঘ) ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের আলোকে উদ্দীপকে চিত্রিত প্রাকৃতিক পরিবেশের পরিচয় দাও। ৪

প্রশ্ন -০২ : গফুরের প্রিয় গরু মহেশ। মহেশকে সে সন্তানের মতাে ভালােবাসত, সে প্রায় সময় মহেশের সাথে কথা বলত। নিজে না খেয়ে মহেশকে খাওয়াতাে। মহেশ আজ বেঁচে নেই কিন্তু গফুর তাকে ভুলতে পারেনি। [দি. বাে. ১৪]
ক. কার আদেশে লেখক দেওঘরে এসেছিলেন?
খ. মালি-বৌ অতিথিকে তাড়িয়ে দিত কেন?৷ ২
গ. উদ্দীপকে ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের যে দিকটি বিদ্যমান তা ব্যাখ্যা করাে।
ঘ. উদ্দীপকে ‘অতিথির স্মৃতি' গল্পের খণ্ডিত চিত্র প্রকাশ পেয়েছে।-উক্তিটি ‘অতিথির স্মৃতি' গল্পের আলােকে বিশ্লেষণ করাে। ৪

প্রশ্ন-০৩: মহেশ। দরিদ্র বর্গাচাষি গফুরের অতি আদরের একমাত্র ষাঁড়। কিন্তু দারিদ্র্যের কারণে ওকে ঠিকমত খড়-বিচুলি খেতে দিতে পারে না। জমিদারের কাছে সামান্য খড় ধার চেয়েও পায় না। নিজে না খেয়ে থাকলেও গফুরের দুঃখ নেই। কিন্তু মহেশকে খাবার দিতে না পেরে তার বুক ফেটে যায়। সে মহেশের গলা জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলে- মহেশ, তুই আমার ছেলে। তুই আমাদের আট সন প্রতিপালন করে বুড়াে হয়েছিস। তােকে আমি পেট পুরে খেতে দিতে পারিনে, কিন্তু তুই তাে জানিস আমি তােকে কত ভালােবাসি। মহেশ প্রত্যুত্তরে গলা বাড়িয়ে আরামে চোখ বুজে থাকে।
ক. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় দেওঘরে গিয়েছিলেন কেন? ১
খ. অতিথি কিছুতে ভেতরে ঢােকার ভরসা পেল না কেন? ২
গ. উদ্দীপকে মহেশের প্রতি গফুরের আচরণে ‘অতিথির স্মৃতি' গল্পের যে দিকটি প্রকাশ পেয়েছে তা ব্যাখ্যা করাে। ৩
ঘ. ‘উদ্দীপকের গফুরের সাথে লেখকের চেতনাগত মিল থাকলেও প্রেক্ষাপট ভিন্ন'- ‘অতিথির স্মৃতি' গল্পের আলােকে মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার করাে।৪

Tuesday, September 29, 2020

ভাব ও কাজ

কাজী নজরুল ইসলাম(১৮৯৯-১৯৭৬) 


জ্ঞানমূলক প্রশ্নঃ
১. ভাব ও কাজের মধ্যে তফাত আসমান-জমিন ।
২. ভাব জিনিসটা পুষ্পবিহীন— সৌরভের মতাে।
৩. ভাবকে বাস্তবরূপ দেয়— কাজ।
৪. কেবল ভাবজগতে বিচরণ করাটা হচ্ছে- বদ-খেয়াল ।।
৫. মানুষের ভাবকে জাগিয়ে তুলতে হবে— মানবকল্যাণের জন্য।
৬. আমাদের আশা-ভরসার স্থল— যুবকগণ।
৭. কর্মে শক্তি আনার জন্য প্রয়ােজন— ভাব-সাধনা।
৮. কাউকে ঘুম থেকে উঠানাে যায় না যদি সে জেগে ঘুমায়।
৯. লেখক “স্পিরিট' বলতে বুঝিয়েছেন— আত্মার শক্তিকে।
১০. ‘লা-পরওয়া’ শব্দের অর্থ— গ্রাহ্য না করা।
১১. ‘পুয়াল’ শব্দের অর্থ— খড় ।
১২. ‘উদমো ষাঁড়' বলতে বােঝায়— বন্ধনমুক্ত ষাঁড়।
১৩. ইংরেজি স্পিরিট' শব্দের অর্থ— উৎসাহ, উদ্দীপনা।
১৪. শাস্ত্রজ্ঞ তপস্বীকে বলা হয়— ঋষি।
১৫. রামায়ণে বর্ণিত রাবণের ছােট ভাইয়ের নাম— কুম্ভকর্ণ।
১৬. বহুলােকের ষড়যন্ত্রে অসম্ভবকে সম্ভব করাকে বলে— দশচক্রে ভগবান ভূত।
১৭. দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য দরকার— বাস্তবধর্মী কর্মতৎপরতা।
১৮. মহৎ কিছু অর্জন করার জন্য দরকার— কর্মশক্তি ও সঠিক উদ্যোগ।
১৯. মানুষকে জাগিয়ে তােলা যায়- ভাবের মাধ্যমে।।
২০. ‘ভাব ও কাজ' প্রবন্ধে বলা হয়েছে দেশের উন্নতি ও কল্যাণের কথা।
২১. 'ভাব ও কাজ' প্রবন্ধটি অনুপ্রাণিত করে– মহৎকাজে।
২২. কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম— ১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৫শে মে।
২৩. প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে নজরুল যােগ দেন বাঙালি পল্টনে।'
২৪. বাঙালি পল্টন ভেঙে দেয়া হয়— ১৯১৯ সালে ।
২৫. নজরুল রচনাবলিতে প্রকাশ পেয়েছে— অসাম্প্রদায়িক চেতনা।
২৬. ‘বিদ্রোহী' কবিতাটি প্রকাশিত হয়- ‘বিজলী’ পত্রিকায় ।
২৭. নজরুলের কবিতায় বিদ্রোহ উচ্চারিত হয়েছে— পরাধীনতা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে।
২৮. নজরুলের কবিতার বিশেষ বৈশিষ্ট্য— আরবি-ফারসি শব্দের সফল ব্যবহার।
২৯. দুরারােগ্য রােগে আক্রান্ত হয়ে নজরুলের সাহিত্য জীবনে ছেদ ঘটে—তেতাল্লিশ বছর বয়সে।
৩০, কাজী নজরুল ইসলামকে ঢাকায় এনে নাগরিকত্ব প্রদান করা হয় ১৯৭২ সালে।
৩১. ঋষির বৈশিষ্ট্য হলো - নিঃস্বার্থ ও ত্যাগী হওয়া।
৩২. 

অনুধাবনমূলক প্রশ্নঃ
১. 'দশচক্রে ভগবান ভূত'- 'ভাব ও কাজ' প্রবন্ধে লেখক কেন এ কথা বলেছেন?
২. 'সোনার কাঠি'- বলতে কী বোঝানো হয়েছে? 
৩. সত্যের সাধনা বলতে লেখক কী বুঝিয়েছেন? 
৪. লেখক 'স্পিরিট ' বা আত্মার শক্তিকে জাগিয়ে তুলতে বলেছেন কেন?
৫. "কর্মশক্তি আনিবার জন্য ভাব-সাধনা কর"- বাক্যটি বুঝিয়ে লেখো।
৬. 'ভাবের সুরা পান কর ভাই কিন্তু জ্ঞান হারাইও না'- বলতে প্রাবন্ধিক কী বোঝাতে চেয়েছেন?


২. তুমি স্বপ্নে রাজা হতে পার, কোটি কোটি টাকা, বাড়ি-গাড়ির মালিক হতে পার। কল্পলোকের সুন্দর গল্পও হতে পার, কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন এক জগৎ। এখানে বড় হতে হলে পরিশ্রমের বিকল্প নেই। শিক্ষার দ্বারা নিজের সুপ্ত প্রতিভাকে জাগ্রত করে সঠিক কর্মানুশীলনের মাধমে বড় হতে হবে। সুতরাং কল্পনার জগতে হাবুডুবু না খেয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মনিয়োগ করাই মনুষ্যত্বের পরিচায়ক।তুমি স্বপ্নে রাজা হতে পার, কোটি কোটি টাকা, বাড়ি-গাড়ির মালিক হতে পার। কল্পলোকের সুন্দর গল্পও হতে পার, কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন এক জগৎ। এখানে বড় হতে হলে পরিশ্রমে=র বিকল্প নেই। শিক্ষার দ্বারা নিজের সুপ্ত প্রতিভাকে জাগ্রত করে সঠিক কর্মানুশীলনের মাধমে বড় হতে হবে। সুতরাং কল্পনার জগতে হাবুডুবু না খেয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মনিয়োগ করাই মনুষ্যত্বের পরিচায়ক।তুমি স্বপ্নে রাজা হতে পার, কোটি কোটি টাকা, বাড়ি-গাড়ির মালিক হতে পার। কল্পলোকের সুন্দর গল্পও হতে পার, কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন এক জগৎ। এখানে বড় হতে হলে পরিশ্রমের বিকল্প নেই। শিক্ষার দ্বারা নিজের সুপ্ত প্রতিভাকে জাগ্রত করে সঠিক কর্মানুশীলনের মাধমে বড় হতে হবে। সুতরাং কল্পনার জগতে হাবুডুবু না খেয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মনিয়োগ করাই মনুষ্যত্বের পরিচায়ক।

(ক) যিনি ভাবের বাঁশি বাজিয়ে জনসাধারণকে নাচাবেন, তাঁকে কেমন হতে হবে?
(খ) লেখক ‘স্পিরিট’ বা আত্মার শক্তিকে জাগিয়ে তুলতে বলেছেন কেন?
(গ) উদ্দীপকটি ‘ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধের যে দিকটি নির্দেশ করে, তা বর্ণনা করো।
(ঘ) ‘কল্পনার জগতে হাবুডুবু না খেয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মনিয়োগ করাই মনুষ্যত্বের পরিচায়ক’—মন্তব্যটি ‘ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধের আলোকে মূল্যায়ন করো

৩. জে এস সি পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হওয়ায় সামিহা প্রতিজ্ঞা করেছিল,এস এস সি পরীক্ষায় ভালো 
ফলাফল করবোই। কিন্তু সে অনুযায়ী লেখাপড়া করেন সামিহা। ফেসবুক নিয়েই সারাদিন ব্যস্ত থাকে সে।
ক) 'বিদ্রোহী'- কবিতাটি কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয় 
খ) 'ভাবের সুরা পান করো ভাই কিন্তু জ্ঞান হারাইও না'- বলতে প্রাবন্ধিক কি বোঝাতে চেয়েছেন?
গ) উদ্দীপকের সামিহার কর্মকাণ্ড 'ভাব ও কাজ' প্রবন্ধের কোন দিককে নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ) উদ্দীপকের সামিহাকে প্রাবন্ধিকের বক্তব্য বাস্তবায়ন করতে হলে কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে? 'ভাব ও কাজ'- প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ করো।

Monday, September 28, 2020

পড়ে পাওয়া

 

মূল নামঃ নীল গঞ্জের ফালমন সাহেব

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়(১৮৯৪-১৯৫০)
যাদেরকে নিয়ে গল্পের আয়োজনঃ

১. বিধু -(বয়সে বড় , সর্দার, বড় হয়ে উকিল হবে)
২. নিধু
৩. সিধু
৪. তিনু[এ চারজনের নাম বিজ্ঞাপনে ছিল]
৫. বাদল - হাতের লেখা সুন্দৰ
৬. বাড়ুয্যেদের বাগান , চাপাতলীর আম
৭. আমি ।
৮. ডাবল টিনের ক্যাশ বাক্স(সবুজ টিনের),সেখানে ছিল আড়াইশ টাকার গহনা ও পটল বেচা নগদ পঞ্চাশ টাকা।
৯. তেঁতুলতলা
১০. বাদলদের বাড়ির বিচুলিগাদা
১১. নাটমন্দিরে
১২. রায়বাড়ি
১৩. ইদিরভীষণ
১৪. অম্বরপুরের কাপালী।
১৫. নির্বিষখোলার হাট।
১৬. "দুজনেই হঠাৎ ধার্মিক হয়ে উঠলাম"- বুঝিয়ে লেখো।

★জ্ঞানমূলক প্রশ্নঃ
১. বালকদের সর্দার ছিল-- বিধু।
২. 'পড়ে পাওয়া '- গল্পটি কোন গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?
২. বৈশাখ মাসে পশ্চিম দিকে গুড় গুড় করে মেঘ ডাকার মানে- কালবৈশাখী।
৩. বাক্সটি লুকিয়ে রাখা হয়েছিল— বাদলদের বাড়ির বিচুলিগাদায় ।
৪. সন্ধ্যার অন্ধকারে নদীর ধার দিয়ে বাড়ি ফিরছিল— কথক আর বাদল।
৫. টাকা-পয়সা রাখার বাক্সকে পাড়াগাঁয়ে বলে— ডাবল টিনের ক্যাশ বাক্স।
৬. কথক ও বাদল হঠাৎ ধার্মিক হয়ে উঠেছিল— নৈতিকতাবােধ জাগ্রত হওয়ায়।
৭. কথকের বাবার কাছে চাকরির খােঁজে এসেছিল— অম্বরপুরের কাপালি।
৮. অম্বরপুরের কাপালিরা সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছিল-- বন্যায় ।
৯. ঘুড়ির মাপে কাগজ কেটে আনা হয়েছিল— বিজ্ঞপ্তি লেখার জন্য।
১০.ঘুড়ির মাপে কাগজ কাটা হয়েছিল - দু-তিনখানা।
১১. বাক্স খুঁজ করার কথা বলা হয়েছে - রায়বাড়িতে।
১২. বিধুর বিচক্ষণতার জন্য সবাই বলে, বড় হলে সে- উকিল হবে।
১৩. 'সংশয়' শব্দের অর্থ— সন্দেহ, দ্বিধা ।
১৪. ‘অনাদৃত' শব্দের অর্থ— অবহেলিত, উপেক্ষিত, গুরুত্বহীন।
১৫. বিচুলিগাদা বলা হয়— ধানের খড়ের স্তুপকে।
১৬. দেবমন্দিরের সামনের ঘরকে বলা হয়— নাটমন্দির।
১৭. 'চৌকিদার' শব্দের অর্থ-- প্রহরী।
১৮. যে বৈষ্ণব হরিনাম সংকীর্তন করে জীবিকা অর্জন করে-- বােষ্টম ।
১৯. মাটিতে পড়ে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করাকে বলে— দণ্ডবৎ।
২০. ‘পত্রপাঠ বিদায় বলতে বােঝায়— তৎক্ষণাৎ বিদায়।
২১. ‘পড়ে পাওয়া বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের-- বিখ্যাত কিশাের গল্প।
২২. 'পড়ে পাওয়া' গল্পটির সংকলিত গ্রন্থ- 'নীলগঞ্জের ফালমন সাহেব'।
২৩. ‘পড়ে পাওয়া' গল্পের বালকদের মধ্যে লক্ষ করা যায়— দায়িত্বশীলতা।
২৪. ‘পড়ে পাওয়া' গল্পে প্রকাশ পেয়েছে – কিশােরদের ঐক্য চেতনা।
২৫. ‘পড়ে পাওয়া' গল্পে পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে-- বালকদের তীক্ষ্ণ বিবেচনাবােধ।
২৬. বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম-- ১৮৯৪ সালে।
২৭. বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৈত্রিক নিবাস-- চব্বিশ পরগণার বারাকপুরে।।
২৮. বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ কীর্তি হলাে— 'পথের পাঁচালী' ও ‘অপরাজিত' উপন্যাস।
২৯. বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ভ্রমণ দিনলিপির নাম— তৃণাঙ্কুর।
৩০. বিভূতিভূষণের কিশাের উপন্যাস— চাঁদের পাহাড়।
৩১. বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শৈশব ও কৈশাের কেটেছে-- দারিদ্র্যের মধ্য দিয়ে।।
৩২. বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিতার পেশা ছিল— কথকতা ও পৌরােহিত্য।
৩৩. বিভূতিভূষণের লেখা শ্রেষ্ঠ উপন্যাস - 'পথের পাঁচালী','অপরাজিতা ', 'আরণ্যক','ইছামতী '।

★অনুধাবনমূলক প্রশ্ন
১. 'দুজনেই হঠাৎ ধার্মিক হয়ে উঠলাম '- কথাটি দ্বারা কী বুঝানো হয়েছে? 
২. গল্পকথক কী ভেবে বাক্সটির তালা ভাঙতে নিষেধ করল?
৩. বিধুর বুদ্ধির পরিচয় পাওয়া গেল কীভাবে? 
৪. বাক্সটি পেয়ে সেটির মালিকের কীরূপ প্রতিক্রিয়া হলো?
৫. 'ওর মতো কত লোক আসবে' - কথাটির অর্থ বুঝিয়ে লেখো।
৬. "ও বড় হয়ে উকিল হবে,সবাই বলত।"উক্তিটি বুঝিয়ে লেখ।

সম্পাদক ও রচনায়
জহির উদ্দীন
বি.এ(অনার্স),এম.এ,চ.বি
শিক্ষক, বিএএফ শাহীন কলেজ চট্টগ্রা। 



৪. দৈনিক প্রথম আলোর খবর ‘রংপুরের মিঠামইনে সোনার মোহর নিয়ে শ্রমিক উধাও। ঘটনায় প্রকাশ, স্থানীয় দেবাশীষ চক্রবর্তী তাঁর পুরোনো পুকুরটি সংস্কার করতে কিছু শ্রমিককে কাজ দেন। কয়েক দিন ধরে তাঁরা পুকুরটি খনন করছিলেন। হঠাৎ একদিন পুকুরের নিচ থেকে একটি মাটির কলসি বের হয়। যার মধ্যে ছিল প্রচুর সোনার মোহর। শ্রমিকেরা এ ঘটনা মালিককে না জানিয়ে নিজেরা ভাগাভাগি করে মোহরগুলো নিয়ে পালিয়ে যান। পরে ঘটনা জানাজানি হলে দেবাশীষ স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে খবর দেন এবং শ্রমিকদের ধরে এনে মোহরগুলো উদ্ধারে সাহায্য করেন।’
ক. বিভূতিভূষণের মায়ের নাম কী? ১
খ. ‘বাবার মুখ দিয়ে একটি কথাও বেরোল না’—কেন?’ ২
গ. উদ্দীপকের শ্রমিকদের কর্মকাণ্ড ‘পড়ে পাওয়া’ গল্পের সঙ্গে কোন দিক দিয়ে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ—ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকের দেবাশীষ চক্রবর্তীকে লেখক বা বাদলের প্রতিরূপ বলা যায় কি না, বিশ্লেষণ করো। ৪

৫. ব্যাটারিচালিত গাড়িচালক এমদাদ তার গাড়িতে টাকা ভর্তি একটা মানিব্যাগ পেল। প্রথমে সে ভাবল, এই টাকা সে চুপচাপ রেখে দেবে। কিন্তু পরক্ষণেই তার মনে হলো— কাজটা অন্যায়, অনুচিত। তাই সে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিল যাতে প্রকৃত মালিক তার টাকাটা ফেরত পায়।
(ক) ‘কাপালি শব্দের অর্থ কী ? ১
(খ) ‘ওর মতো কত লোক আসবে? —বিধুর এ কথাটির অর্থ বুঝিয়ে লেখো। ২
(গ) উদ্দীপকের এমদাদের সিদ্ধান্ত ‘পড়ে পাওয়া’ গল্পের যে দিকটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ তা ব্যাখ্যা করো। ৩
(ঘ) ‘উদ্দীপকে এমদাদের মনোভাব ও ‘পড়ে পাওয়া’ গল্পের বালকদের অনুভূতি একই সূত্রে গাঁথা।”— উক্তিটির যথার্থতা বিচার করো। ৪ 

৬. মুহিত, রনি ও নুহাশ একদিন স্কুলে যাওয়ার পথে নুহাশ একটি লকেটসহ সোনার চেইন কুড়িয়ে পায়। জাহিদ বয়সে বড় ছিল, সে প্রথমে এটি বিক্রি করে টাকা ভাগ করে নিতে চেয়েছিল। কিন্তু পরক্ষণেই তারা বুঝতে পারে, অন্যের জিনিস এভাবে বিক্রি করলে অন্যায় করা হবে। তাই তারা তিনজনে বুদ্ধি করল, প্রকৃত মালিক খুঁজে বের করে যার জিনিস তাকে ফেরত দেবে। শেষ পর্যন্ত তারা সফল হলো।
ক) টিনের বাক্সটি কুড়িয়ে পেয়েছিল কে?
খ) ‘কালবৈশাখীর ঝড় মানেই আম কুড়ানো’—এ কথা কেন বলা হয়েছে?
গ) উদ্দীপকের সঙ্গে ‘পড়ে পাওয়া’ গল্পের মিল দেখাও।
ঘ) উদ্দীপকের কিশোরদের দায়িত্বশীলতা এবং ‘পড়ে পাওয়া’ গল্পের কিশোরদের দায়িত্বশীলতা যেন একই—আলোচনা করো। 

৭. রাশিক ৪০ টাকা মূল্যের আইসক্রিম কিনে দোকানিকে ৫০ টাকার নোট দেয়।দোকানি ৬০ টাকা ফেরত দিলে রাশিক দোকানির দেওয়া অতিরিক্ত টাকা তৎক্ষণাৎ ফেরত দেয়।দোকানি টাকা ফেরত পেয়ে অত্যন্ত খুশি হয় এবং রাশিকের জন্য দোয়া করে। এই ঘটনাটি দোকানি অন্যদের বলে রাসিকের ব্যাপক প্রশংসা করে।
ক) 'কাপালি' কারা?
খ) 'ও বড় হয়ে উকিল হবে, সবাই বলতো'- উক্তিটি বুঝিয়ে লেখ?
গ) উদ্দীপকের রাশিকের কাজটি 'পড়ে পাওয়া' গল্পের কোন দিককে নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ) উদ্দীপকের দোকানির মতো করে কিশোরদের প্রশংসার জন্যই কি লেখক 'পড়ে পাওয়া' গল্পটি লিখেছেন? উত্তরের স্বপক্ষে যুক্তি দাও।

Sunday, September 27, 2020

তৈলচিত্রের ভূত

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়(১৯০৮-১৯৫৬)

প্রকৃত নামঃ প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়।
পৈতৃক নিবাসঃ বিক্রমপুর।
বিখ্যাত উপন্যাস : পদ্মা নদীর মাঝি', 'পুতুল নাচের ইতিকথা', 'দিবারাত্রির কাব্য' ইত্যাদি। 
বিখ্যাত ছোটগল্প : 'প্রাগৈতিহাসিক', 'হারানের নাতজামাই' প্রভৃতি। 
কিশোর উপন্যাস :'মাঝির ছেলে'। 
কিশোর উপযোগী গল্পের সংখ্যা ২৭ টি।
মৃত্যু : কলকাতায় ১৯৫৬ সালে।

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
১. তৈলচিত্রের ভূত' গল্পে ডাক্তারের নাম --পরাশর।
২. পরাশর ডাক্তার চিঠি লিখছিলেন— লাইব্রেরিতে বসে।
৩. নগেনের দৃষ্টিতে তার মামা ছিলেন --- কৃপণ।
৪. নগেন মিথ্যা শ্রদ্ধা-ভক্তির ভান দেখাতাে--- মামাকে।
৫. মামা নগেনকে টাকাকড়ি দিয়ে গেছেন --- প্রায় নিজের ছেলেদের সমান।
৬, নগেন কল্পনা করতে পারেনি মামার --- উদারতা।
৭. নগেনের মামার তৈলচিত্রে প্রণাম করতে যাওয়ার কারণ— আত্মগ্লানি।
৮. অন্ধকারে তৈলচিত্র ছোঁয়ামাত্রই ধাক্কা খায়--- নগেন।
৯. তৈলচিত্রের ছবিটা শখ করে আঁকিয়েছিলেন— নগেনের মামা।
১০. মামার তৈলচিত্রটি বাঁধানাে ছিল— রুপার ফ্রেমে।
১১. নগেনের মামাতাে ভাই পরেশ— ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়ে।
১২. যে দানপত্র মৃত্যুর পর বলবৎ হয়— উইল।
১৩. নিজের ওপর ক্ষোভ ও ধিক্কারকে বলে— আত্মগ্লানি।।
১৪. মৃত ব্যক্তির আত্মার শান্তির জন্য হিন্দু ধর্মীয় আচার কে বলে- শ্রাদ্ধ।
১৫. রেশমের মােটা কাপড়কে বলে – মটকা।।
১৬. 'তৈলচিত্রের ভূত' গল্পটি প্রকাশিত হয় – ১৯৪১ সালে মৌচাক পত্র।
১৭. নগেনের ভূতে বিশ্বাসের কারণ— কুসংস্কার।
১৮. 'তৈলচিত্রের ভত’ গল্পে লেখক দেখিয়েছেন – বিজ্ঞানবুদ্ধির জয় ।
১৯. 'তৈলচিত্রের ভূত' একটি – কিশাের-উপযােগী ছােটগল্প।
২০. 'তৈলচিত্রের ভূত' গল্পের উদ্দেশ্য --- বিজ্ঞানসম্মত বিচারবুদ্ধির মাধ্যমে অন্ধবিশ্বাস দূর করা।
২১. গল্পে বিজ্ঞানসম্মত বিচারবুদ্ধির প্রয়ােগ করেছেন --- পরাশর ডাক্তার।
২২. পরাশর ডাক্তারের কাছে বৈদ্যুতিক শকের বিষয়টি সহজেই ধরা পড়েছে --- কারণ তিনি যুক্তি দিয়ে বিচার করেছেন।
২৩. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় জন্মগ্রহণ করেন ১৯০৮ সালে।
২৪. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিতৃপুরুষের বাড়ি— বিক্রমপুরের মালবদিয়া গ্রামে।
২৫. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় খ্যাতি লাভ করেছেন-- ঔপন্যাসিক ও ছােটগল্পকার হিসেবে।
২৬. সাহিত্যে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঝোঁক ছিল--- মানুষের মন বিশ্লেষণে।
২৭. মানিক তার গল্প-উপন্যাসে মুক্তির জয়গান গেয়েছেন --- শ্রমিক-কৃষকের।
২৮. কস্মিনকালে শব্দের অর্থ --- কোন কালে বা কোন কালেই।
২৯. ছলনা শব্দের অর্থ হলো --- কপটতা,শঠতা,প্রতারণা,প্রবঞ্চনা,ধোঁকা।
২৯. প্রথম রাত্রে নগেণ উঠেছিল - রাত তিনটা বাজে।
৩০. বিব্রত শব্দের অর্থ হলো -- ব্যতিব্যস্ত,ব্যাকুল,বিচলিত।

সৃজনশীল প্রশ্ন

প্রশ্ন ১-- অজপাড়া গাঁয়ের ছেলে সুবল জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে গ্রামের প্রচলিত টোটকা চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসারে বিভিন্ন জায়গা থেকে ঝাড়ফুঁক ও অনুপান নেয়। তার ধারণা জন্ডিসের কোনো আধুনিক চিকিৎসা নেই। কিন্তু ইতোমধ্যে জন্ডিসের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সুবল আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া পাশের বাড়ির ছেলে অনিমেষ তাকে শহরে নেওয়ার অনুরোধ জানায়। ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে সুচিকিৎসায় সুবল একসময় সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠে। (সি. বো. ২০১৯)
ক. তৈলচিত্র কী?  ১ 
খ. 'তুমি একটি আস্ত গর্দভ নগেন।'— এ উক্তির কারণ ব্যাখ্যা করো।  ২ 
গ. উদ্দীপকের সুবল ও ‘তৈলচিত্রের ভূত’ গল্পের নগেনের সাদৃশ্য বর্ণনা করো। ৩ 
ঘ. “উদ্দীপকের অনিমেষ যেন তৈলচিত্রের ভূত' গল্পের পরাশর ডাক্তারের প্রতিচ্ছবি।”— মন্তব্যটির সত্যতা যাচাই করো। 8 

প্রশ্ন-২ রফিক সাহেব শীতের ছুটিতে ভাগ্নি সাহানাকে নিয়ে গ্রামে বেড়াতে যান। রাতের আকাশ দেখার জন্য তারা খোলা মাঠে যান। অদূরেই দেখতে পান মাঠের মধ্যে হঠাৎ এক প্রকার আলো জ্বলে ওঠে তা সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। ওটা কিসের আলো তা জানতে চাইলে সাহানার মামা বলেন, ভূতের! সাহানা ভয় পেয়ে তার মামাকে জড়িয়ে ধরে। মামা তখন তাকে বুঝিয়ে বলেন যে, খোলা মাঠের মাটিতে এক প্রকার গ্যাস থাকে- যা বাতাসের সংস্পর্শে এলে জ্বলে ওঠে। সাহানা বিষয়টা বুঝতে পেরে স্বাভাবিক হয়।

ক. ‘তৈলচিত্রের ভূত’ কোন জাতীয় রচনা? ১

খ. নগেনের মনে দারুণ লজ্জা আর অনুতাপ জেগেছিল কেন?

গ.উদ্দীপকের সাহানা আর ‘তৈলচিত্রের ভূত’ গল্পের নগেনের বিশেষ মিল কোথায়?- ব্যাখ্যা কর। ৩

ঘ. “রফিক সাহেব আর ‘তৈলচিত্রের ভূত’ গল্পের পরাশর ডাক্তার উভয়কে আধুনিক মানসিকতার অধিকারী বলা যায়?”- উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ কর। ৪

Saturday, September 26, 2020

এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম

শেখ মুজিবুর রহমান

তথ্য কণিকা

১. ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন — পাকিস্তানের সামরিক শাসক আইয়ুব খান।

২. ১৯৭০-এর নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেআওয়ামী লীগ।

৩. বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা হলেন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
৪. গণতন্ত্রের ধারা অনুসারে শাসনভার পাওয়ার কথা ছিল — আওয়ামী লীগের ।
৫. বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ দিয়েছিলেনরেসকোর্স ময়দানে।
৬. ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে লােকের উপস্থিতি হয়েছিল প্রায় ১০ লক্ষ ।
৭. বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের স্থায়িত্ব ছিল১৮ মিনিট।
৮. বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ তুলনীয়— আব্রাহাম লিংকনের গেটিসবার্গ ভাষণের সঙ্গে।
৯. রেসকোর্স ময়দানের বর্তমান নামসােহরাওয়ার্দী উদ্যান।
১০. আইয়ুব খান মার্শাল-ল জারি করেন— ১৯৫৮ সালে ।
১১. মার্শাল-ল’ চালু ছিল— দীর্ঘ ১০ বছর।
১২. ঐতিহাসিক ৬ দফা আন্দোলন হয়েছিল১৯৬৬ সালে।
১৩. জাতীয় পরিষদের প্রথম অধিবেশন ডাকা হয়েছিল— ৩রা মার্চ।
১৪. রাউন্ড টেবিল কনফারেন্স ডাকা হয়েছিল১০ই মার্চ।
১৫. পাকিস্তানে সংখ্যাগুরু ছিলবাঙালি।
১৬. Withdraw-শব্দের অর্থ – প্রত্যাহার ।
১৭. শাসনতন্ত্রের আরেক নামসংবিধান ।
১৮. আরটিসি পূর্ণরূপ হলাে— রাউন্ড টেবিল কনফারেন্স ।
১৯. মার্শাল-ল’ হলাে— সামরিক আইন ।
২০. রাষ্ট্র পরিচালনার প্রশাসনিক কেন্দ্রকে বলেসেক্রেটারিয়েট (সচিবালয়)।
২১. সর্বোচ্চ আদালতকে বলেসুপ্রিম কোর্ট।
২২. ওয়াপদা হলাে— পানি ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
২৩. সােহরাওয়ার্দী উদ্যানের পূর্ব নামরেসকোর্স ময়দান।
২৪. স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতিশেখ মুজিবুর রহমান।
২৫. বঙ্গবন্ধু জন্মগ্রহণ করেনগােপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় ।
২৬. বঙ্গবন্ধু ছাত্রজীবন থেকেইরাজনীতিতে যুক্ত হন।
২৭. বঙ্গবন্ধু বহুবার কারাবরণ করেছেনআন্দোলনে যােগ দেয়ার কারণে
২৮, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘােষণা করেন২৬শে মার্চ প্রথম প্রহরে ।
২৯. জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু ভাষণ দেন– বাং লা ভাষায়।
৩০. শেখ মুজিবুর রহমান বঙ্গবন্ধু' উপাধি লাভ করেন১৯৬৯ সালে।

নমুনা সৃজনশীল প্রশ্নঃ

৮. কে রোধে তাঁহার বজ্রকণ্ঠ বাণী?
গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে কবি শোনালেন তাঁর অমর কবিতা খানি,
‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, 
এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম।’
(ক) ‘মার্শাল ল’ জারি করে আইয়ুব খান কত বছর বাঙালির ওপর শাসন করেছে? 
(খ) ‘আজ বাংলার মানুষ মুক্তি চায়’—বলতে কী বোঝানো হয়েছে? 
(গ)উদ্দীপকের ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ প্রবন্ধের কোন দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
(ঘ) উদ্দীপকটি ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ প্রবন্ধের মূল ভাবকে পুরোপুরি ধারণ করতে পেরেছে’—তোমার মতামত দাও। 

৯. অবিসংবাদী নেতা নেলসন মেন্ডেলা। বর্ণবাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে তাঁকে দীর্ঘ ২৪ বছর কারা ভোগ করতে হয়।সহ্য করতে হয় সীমাহীন নির্যাতন। কিন্তু মাথা নত করেননি।ক্রমান্বয়ে তার আদর্শে উজ্জীবিত মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকে।একসময় অবসান ঘটে বর্ণবাদের।, জয় হয় মানবতার।
ক) ৭ মার্চের ভাষণটির স্থান কোথায়?
খ) "আমি প্রধানমন্ত্রী হতে চাই না"- ব্যাখ্যা কর
গ) উদ্দীপকের মেন্ডেলারর চরিত্রের কোন গুণটি বঙ্গবন্ধুশেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে লক্ষণীয়? ব্যাখ্যা কর
ঘ) ' নেরসন মেন্ডেলা আর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উভয়ই চিরন্তন প্রেরণার আদর্শ' -বিশ্লেষণ কর

১০. ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর চেয়ারম্যান কবির আহমদ সকলের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা ভাষণে বলেন, আমার একার পক্ষে এ ইউনিয়নের উন্নয়ন সম্ভব নয়।এজন্য আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।যার যেটুকু সামর্থ্য আছে তাই নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।তাহলে কেউ আমাদের উন্নয়ন রুখতে পারবে না।আর একটি ইউনিয়নের উন্নয়ন মানে একটি দেশের উন্নয়ন।কারণ ইউনিয়ন দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন কিছু নয়।তাঁর এ ভাষণে ইউনিয়নের মানুষগুলো একটি আদর্শ ইউনিয়নের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে।
ক) কতসালে গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল?
খ) ৭ই মার্চের ভাষণটিকে ঐতিহাসিক ভাষণ বলার কারণ কী?
গ) উদ্দীপকে চেয়ারম্যানের ভাষণের সাথে ৭ই মার্চের ভাষণের সাদৃশ্য ব্যাখ্যা করো।
ঘ) 'যার যেটুকু সামর্থ্য আছে তাই নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে '- চেয়ারম্যান সাহেবের উক্তিটি 'এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম'- বিষয়বস্তুর আলোকে বিশ্লেষণ করো।

৬. সত্য, সুন্দর কল্যাণ ও ন্যায়ের পক্ষে যাঁরা কথা বলেন, প্রতিবাদ করেন, তারাই শাসকদের চক্ষুশূল হন। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে, এঁদের কপালে জেল-জুলুম-হুলিয়াই জোটে। তবে সাধারণ মানুষ তাঁদের কথায় জীবন পর্যন্ত বাজি রাখতে প্রস্তুত। আমাদের 'স্বাধীনতা যুদ্ধ' তেমনই এক চেতনার ফসল।
(ক) ‘মার্শাল ল’ জারি করে আইয়ুব খান কত বছর বাঙালির ওপর শাসন করেছে? 
খ) খ) "আমি প্রধানমন্ত্রী হতে চাই না"- ব্যাখ্যা কর।
গ) "তবে সাধারণ মানুষ তাঁদের কথায় জীবন পর্যন্ত বাজি রাখতে প্রস্তুত"- উদ্দীপকের এ, সত্য "এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম" এর সাথে সাদৃশ্য স্থাপন করো।
ঘ) "আমাদের 'স্বাধীনতা যুদ্ধ' তেমনই এক চেতনার ফসল"- উদ্দীপকের এ বক্তব্যকে "এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম"- এর আলোকে তুলনামূলক আলোচনা করো।



Friday, September 25, 2020

আমাদের লোকশিল্প

কামরুল হাসান

 তথ্য কণিকা

১. বাংলাদেশের মানুষের জীবনের সঙ্গে নিবিড়ভাবে মিশে আছে— কুটিরশিল্প।

২. শিল্পগুণ বিচারে কুটিরশিল্প— লােকশিল্পের অন্তর্গত।

৩. ডেমরা এলাকার তাঁতিদের অমূল্য সৃষ্টি — মসলিন শাড়ি।

৪. বর্তমানে আমাদের গর্বের বস্তুজামদানি শাড়ি।

৫. একটি নকশিকাঁথা সেলাই করতে লাগতপ্রায় ছয় মাস ।

৬. নকশিকাঁথার ফোড়ের মধ্যে লুকিয়ে থাকে— পরিবারের জীবনকাহিনি

৭. জামদানি বােনার জন্য উপযােগী— শীতলক্ষ্যা নদীর জলীয়বাষ্প ।
৮. মণিপুরিদের বাস — সিলেটের মাছিমপুরে।
৯. আমাদের দেশের মেয়েদের সহজাত শিল্পগুণ— কাপড়ের পুতুল তৈরি।
১০. দেশে দেশে হৃদয়ের সম্পর্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে — লােকশিল্প
১১. নিবিড়' শব্দটির অর্থ — ঘনিষ্ঠ।
১২. দেশি মানুষের হাতে তৈরি শিল্পসম্মত দ্রব্যকে বলে — লােকশিল্প ।
১৩. যা মূল্য দিয়ে বিচার করা যায় না— অমূল্য।
১৪. অপ্রতুল অর্থ— যা যথেষ্ট নয়।
১৫. লােপ পেতে বসেছে, এমন কিছুকে বলে— লুপ্তপ্রায় ।
১৬. হিন্দুসম্প্রদায়ের বিয়ের সময় বর মাথায় পরে — টোপর ।
১৭. অতীতের গর্ব ও গৌরবের বস্তুকে বলে— ঐতিহ্য।
১৮. সংরক্ষণ অর্থ — বিশেষভাবে রক্ষা করা।
১৯. সম্প্রসারণ বলতে বােঝায়— বিস্তার করা।
২০. বিক্রি করা যায়, এমন জিনিসকে বলে— পণ্য।
২১. আমাদের লােকশিল্প প্রবন্ধটি রচনা করেন— কামরুল হাসান।
২২. আমাদের লােকশিল্প প্রবন্ধটি গৃহীত হয়েছে — আমাদের লােককৃষ্টি গ্রন্থ থেকে ।
২৩. আমাদের লােকশিল্প' প্রবন্ধে গভীর মমত্ববােধের পরিচয় পাওয়া যায়— লােকশিল্পের প্রতি।
২৪. আমাদের নিত্যব্যবহার্য অধিকাংশ জিনিস নির্ভর করে — কুটির শিল্পের ওপর
২৫. মসলিন শাড়ির স্থান অধিকার করেছে— জামদানি শাড়ি।
২৬. কামরুল হাসান জন্মগ্রহণ করেন — ১৯২১ খ্রিষ্টাব্দে।
২৭. কামরুল হাসান দেশ-বিদেশে পরিচিত ছিলেন — খ্যাতিমান শিল্পী হিসেবে।
২৮. কামরুল হাসানের আঁকা ছবিতে পাওয়া যায়— লােকজ জীবনের নানা উপাদান
২৯. কামরুল হাসানের ছবি আমাদের ঐতিহ্য — সচেতন করে।
৩০. কামরুল হাসান অধ্যাপনা করতেন— ঢাকা আর্ট ইনস্টিটিউটে।

অনুধাবনমূলক প্রশ্নঃ-
১. 'ঢাকাই মসলিনের কদর ছিল দুনিয়াজুড়ে’ বলতে কী বোঝায়? ২. ভৌগোলিক অবস্থান লোকশিল্পের ওপর কীভাবে প্রভাব ফেলে বর্ণনা করো। ৩. "বর্তমান যুগে জামদানি শাড়ি দেশে-বিদেশে শুধু পরিচিতই নয়,গর্বের বস্তু। "- কেন? ব্যাখ্যা করো। ৪. 'হাসিয়া' বলতে কী বোঝায়? ৫. কাঁথার নাম নকশিকাঁথা '- কেন? ব্যাখ্যা করো। ৬. বড় বড় কাপড়ের কারখানা শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে গড়ে উঠেছে কেন? ৭. দারিদ্র্য দূরীকরণে লোকশিল্প কীভাবে ভূমিকা রাখতে পারে?  ব্যাখ্যা করো। ৮. খাদি কাপড় কীভাবে স্বদেশী আন্দোলনের সাথে সম্পর্কিত?  ব্যাখ্যা করো। ৯. কীভাবে আমরা লোকশিল্প সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণ করতে পারি? ১০. 'কারিগরি দক্ষতার সঙ্গে শিল্পীমনের সংযোগে এ শিল্প গড়ে উঠেছে '- ব্যাখ্যা করো।



নমুনা সৃজনশীল প্রশ্ন

১১. মিথ্যা খুনের মামলায় আসামি হয়ে ঘরছাড়া আম্বিয়ার স্বামী আজগর আলী। দিন যায়, মাস যায়, বছর পেরিয়ে যায়। আজগরের খোঁজ পাওয়া যায় না। সংসারের বোঝা আর স্বামী হারানোর শোকে বিধ্বস্ত আম্বিয়া একদিন সুই-সুতা হাতে তুলে নিল। দীঘল সুতার মায়াবি অক্ষরে তার সুখ-দুঃখের জীবনালেখ্য তুলে ধরতে শুরু করল প্রতীকীভাবে। দীর্ঘ প্রায় ছয় মাস ধরে আম্বিয়া তার জীবনের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনার ইতিকথা ফুটিয়ে তুলল সে সুতার ক্যানভাসে। শিল্পকর্মটি এত জনপ্রিয়তা পেল যে সেটার দ্বারা আম্বিয়া তার ভাগ্যের চাকাই ঘুরিয়ে দিল।
ক. হাতে তৈরি সুতা থেকে কোন জাতীয় কাপড় তৈরি হয়? ১
খ. ভৌগোলিক অবস্থান লোকশিল্পের ওপর কীভাবে প্রভাব ফেলে বর্ণনা করো। ২
গ. উদ্দীপকে আম্বিয়া যে লোকশিল্পটি তৈরি করেছে তার বর্ণনা দাও। ৩
ঘ. আম্বিয়ার লোকশিল্পটি ‘আমাদের লোকশিল্প’ প্রবন্ধের একটি দিককেই তুলে ধরে মাত্র—মন্তব্যটি মূল্যায়ন করো। ৪

১২. লোকশিল্প সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণ আমাদের সবার দায়িত্ব। আমরা যদি লোকশিল্পের ভেতর দিয়ে আমাদের মনের ভাব প্রকাশ করতে পারি, তাহলে তা দেশে দেশে হৃদয়ের সম্পর্ক গড়ে তোলার কাজেও সাহায্য করবে। শুধু তাই নয়, এতে একদিকে যেমন আমাদের লোকশিল্পের প্রসার হবে, তেমনি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশ লাভবান হবে।
ক. কোন অঞ্চলের মাদুর সবার কাছে পরিচিত?
খ. ‘ঢাকাই মসলিনের কদর ছিল দুনিয়াজুড়ে’ বলতে কী বোঝায়?
গ. লোকশিল্প সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণের উপায়গুলো ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকে লোকশিল্প বাঁচিয়ে রাখার যে তাগিদ অনুভূত হয়েছে, তা প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ করো।

Thursday, September 24, 2020

সুখী মানুষ

মমতাজ উদ্দীন আহমদ
তথ্য কণিকা
১. 'সুখী মানুষ’ নাটিকার হাসুর বয়স — ৪৫ বছর।
২. মোড়লের যে রােগ হয়েছে তার নাম — হাড় মড়মড়।
৩. মোড়লের বিশ্বাসী চাকরের নাম — রহমত আলী।
৪. ‘সুখী মানুষ’ নাটিকার প্রথম সংলাপ- হাসুর ।
৫. সুখী মানুষ’ নাটিকায় উল্লিখিত গ্রামের নাম — সুবর্ণপুর ।
৬. মােড়লের মামাতাে ভায়ের নাম — হাসু।
৭. মােড়ল মুরগি জবাই করে খেয়েছে— হাসুর।
৮. মােড়লের রােগ ভালাে করতে প্রয়ােজন — সুখী মানুষের জামা।
৯. সুখী মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে – কাঠ কেটে।
১০. সুখী মানুষটির কোনাে চিন্তা নেই — কারণ তার কোনাে সম্পদ নেই।
১১. লােভে পাপ, পাপে মৃত্যু' কথাটি বলেছিল— কবিরাজ।
১২. আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে যিনি চিকিত্সা করেন তিনি— কবিরাজ।
১৩. জবরদস্তি’ অর্থ — জোরাজুরি ।।
১৪. নাড়ি পরীক্ষা’ বলতে বােঝায়— কবজির নাড়ির অবস্থা দেখে রােগ নির্ণয়।
১৫. ব্যামোে’ শব্দের অর্থ— অসুখ, রােগ।
১৬. প্রাণখােলা শব্দের অর্থ — উদার।
১৭. সুখী মানুষ’ নাটিকায় প্রাধান্য পেয়েছে — সম্পদ মানুষকে সুখী করতে পারে না।
১৮. সুখী হওয়ার প্রধান শর্ত—সৎ পথে জীবিকা নির্বাহ করা ।
১৯. সুখী মানুষ’ নাটিকায় দৃশ্য— দুইটি।
২০. মানুষের অশান্তির মূল কারণ —অনৈতিকভাবে উপার্জিত অর্থ-বিত্ত ।
২১. মােড়লের অশান্তির কারণ — মানুষকে কষ্ট দেওয়া ।
২২. সুখী মানুষ নাটিকার লেখকের মতে, সুখ একটা — আপেক্ষিক ব্যাপার ।
২৩. সুখী মানুষ’ নাটিকার রচয়িতা—মমতাজ উদ্দীন আহমদ।
২৪. মমতাজ উদ্দীন আহমদ জন্মগ্রহণ করেন — ১৯৩৫ সালে ।
২৫. মমতাজ উদ্দীন আহমদের জন্মস্থান — পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলা।
২৬. মমতাজ উদ্দীন আহমদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে — বাংলায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
২৭. মমতাজ উদ্দীন আহমদ অধ্যাপনা থেকে অবসর গ্রহণ করেন — ১৯৯২ সালে।
২৮. মমতাজ উদ্দীন আহমদ খ্যাতিমান ছিলেন — নাট্যকার ও নাট্যাভিনেতা হিসেবে।
২৯, মমতাজ উদ্দীন আহমদের নাটক — ‘হাস্য লাস্য ভাস্য।
৩০. মমতাজ উদ্দীন আহমদের প্রবন্ধ-গবেষণা — বাংলাদেশের নাটকের ইতিবৃত্ত'; 'বাংলাদেশের থিয়েটারের ইতিবৃত্ত।

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন
১. হাসু মোড়লের মৃত্যু কামনা করে কেন?
২. সুখকে বড় কঠিন জিনিস বলা হয়েছে কেন?
৩. 'লোভে পাপ,পাপে মৃত্যু '- কবিরাজ এ কথা কেন বলেছিলেন?
৪. 'সবাই অসুখী, কারো সুখ নেই'- 'সুখী মানুষ '- নাটিকায় কেন একথা বলা হয়েছে? 
৫. 'মনের মধ্যে অশান্তি থাকলে ওষুধে কাজ হয় না'- কথাটি বুঝিয়ে লেখো। 
৬. 'আমার কত টাকা, কত বড় বাড়ি!আমার মনে দুঃখ কেন?'- 'সুখী মানুষ '- নাটিকায় মোড়ল কেন একথা বলেছে? 
৭. 'মানুষ ও প্রাণী অমর নয়'- কবিরাজ একথাটি কেন বলেছেন? ব্যাখ্যা করো।
৮. 'সুখী মানুষ '- নাটিকাটি থেকে আমরা কী শিক্ষা পাই? ব্যাখ্যা করো।


নমুনা সৃজনশীল প্রশ্নঃ

১. i. পরের অনিষ্ট চিন্তা করে যেই জন,
নিজের অনিষ্ট বীজ করে সে বপন।
ii. আপনার লয়ে বিব্রত রহিতেআসে নাই কেহ অবনী 'পরে,
সকলের তরে সকলে আমরাপ্রত্যেকে আমরা পরের তরে।
ক. 'সুখী মানুষ' নাটিকাটিতে মোড়লের বয়স কত?
গ. উদ্দীপক (i)- এ 'সুখী মানুষ' নাটিকাটির কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? বর্ণনা কর।
ঘ. মোড়লের উচিত শিক্ষার জন্য উদ্দীপক (ii)- এর মূলভাবই যথেষ্ট- মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর।

২. স্বার্থপরতা মানুষের জীবনের অশান্তির মূল কারণ। মানুষকে ঠকিয়ে এবং মানুষের মনে কষ্ট দিয়ে প্রচুর সম্পদের মালিকানায় কোনো সুখ নেই। অন্যায় ও অবৈধভাবে উপার্জিত ধনসম্পদই মানুষের অসুস্থতা ও অশান্তির মূলে সক্রিয়। তাই প্রয়োজন, অন্যায় ও অবৈধ পথ পরিহার করে সুস্থ-সুন্দর জীবন পরিচালনা করা।
ক. মোড়ল কোন অঞ্চলের মানুষকে বেশি জ্বালিয়েছে?
গ. উদ্দীপকের মূলভাবের সঙ্গে ‘সুখী মানুষ’ নাটিকার কোন চরিত্রের মিল আছে—আলোচনা করো।
ঘ. মনের অশান্তি দূর করার জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, তা সুখী মানুষ নাটিকা অনুসারে লেখো।

৩. স্বার্থপরতা মানুষের জীবনের অশান্তির মূল কারণ। মানুষকে ঠকিয়ে এবং মানুষের মনে কষ্ট দিয়ে প্রচুর সম্পদের মালিকানায় কোনো সুখ নেই। অন্যায় ও অবৈধভাবে উপার্জিত ধনসম্পদই মানুষের অসুস্থতা ও অশান্তির মূলে সক্রিয়। তাই প্রয়োজন, অন্যায় ও অবৈধ পথ পরিহার করে সুস্থ-সুন্দর জীবন পরিচালনা করা।
ক) 'সুখী মানুষ' নাটিকায় মোট চরিত্র সংখ্যা কতটি?
গ. উদ্দীপকের মূলভাবের সঙ্গে ‘সুখী মানুষ’ নাটিকার কোন চরিত্রের মিল আছে—আলোচনা করো।
ঘ. মনের অশান্তি দূর করার জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, তা সুখী মানুষ নাটিকা অনুসারে লেখো।

Wednesday, September 23, 2020

মংড়ুর পথে

বিপ্রদাশ বড়ুয়া
তথ্য কণিকা
১. মংডু আর টেকনাফের মাঝখানে রয়েছে — নাফ নদী ।
২. পর্তুগিজরা তাদের বসতির জায়গাকে বলত — ব্যান্ডেল।
৩. চট্টগ্রামের ব্যান্ডেল রােড বহন করেছে — পর্তুগিজদের স্মৃতি।
৪. পাইক্যার একচেটিয়া চালক— স্থানীয় মুসলমানরা ।
৫. আরাকান রাজসভায় সাহিত্যচর্চা করতেন— কবি আলাওল।
৬. একসময় আরাকান স্বাধীন ছিল— মিয়ানমার থেকে ।
৭. মংডুতে রিকশার মতাে তিন চাকার গাড়িকে বলে— পাইক্যা ।
৮. বর্মিরা সবাই পরে লুঙ্গি।
৯, লুঙ্গি, ফুঙ্গি ও প্যাগােডাএই তিন নিয়ে মিয়ানমার।
১০. আমাদের দেশের তুলনায় মংডুতে মাছের দাম — পানির সমান।
১১. খ্রিষ্টান ধর্মের প্রচারকদের বলে— পারি ।
১২. স্বদেশ ছেড়ে অন্য দেশে বসবাসকে বলে— অভিবাসন।
১৩. পণ্যদ্রব্যের আমদানি-রপ্তানির ওপর কর ধার্য করা হয় — শুল্ক অফিসে।
১৪. বৌদ্ধ ধর্মীয় প্রধান গুরুকে বলে— মহাথেরাে।
১৫. আরাকান রাজসভায় সাহিত্যচর্চা করেন — দৌলত কাজী।
১৬. কবি আলাওলের শ্রেষ্ঠ রচনা— ‘পদ্মাবতী'।
১৭. মিয়ানমারে টাকাকে বলা হয় — চ্যা।
১৮. মিয়ানমারে বসবাসরত বৌদ্ধ ভিক্ষুদের বলা হয় — ফুঙ্গি ।
১৯. বৌদ্ধমন্দিরকে বলা হয — প্যাগােডা ।
২০. মিয়ানমার বাংলাদেশেরণ — পূর্ব দিকে অবস্থিত।
২১. লেখক মিয়ানমার গিয়েছিলেন— নিছক ভ্রমণে।
২২. মংডু শহর অবস্থিত মিয়ানমারের — পশ্চিম সীমান্তে ।
২৩. মংডুর পথে রচনায় ধারণা পাওয়া যায় — মংডুর মানুষের পােশাক, খাদ্যাভ্যাস ও ব্যবসা সম্পর্কে।
২৪. বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে মিল পাওয়া যায়— সংস্কৃতিতে।
২৫. মংডুর মেয়েরা ব্যবসা করে — স্বাধীনভাবে।
২৬. মংডুতে স্থায়ীভাবে বাস করছে— চট্টগ্রামের কিছু মানুষ।
২৭. বিপ্রদাশ বড়ুয়ার জন্ম — ১৯৪০ সালে।
২৮. বিপ্রদাশ বড়ুয়া স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন — বাংলা বিষয়ে ।
২৯, বিপ্রদাশ বড়ুয়া অবসর গ্রহণ করেন— শিশু একাডেমিতে সহকারী পরিচালক হিসেবে।
৩০. বিপ্রদাশ বড়ুয়া রচিত শিশুতােষ গল্প— 'সূর্য লুঠের গান

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন
১. "লুঙ্গি, ফুঙ্গি, প্যাগোড়া- এই তিন মিলেই মিয়ানমার "- উক্তিটি কেন করা হয়েছে?
২. 'গ্লাভস পরে হাত ধোয়ার অবস্থা '- বলতে কী বোঝাতে চেয়েছেন?
৩. মংড়ুর মহিলারা চিরস্বাধীন কেন?
৪. 'সব সুন্দরই সরাসরি প্রয়োজনের বাইরে'- কেন? ব্যাখ্যা করো।
৫. পাইক্যা কী? ব্যাখ্যা করো।
৬. আরাকান রাজ্যের পরিচয় দাও।
৭. " তাহলে কী করে দেশের সব মানুষের সঙ্গে আমার সখ্য নিবিড় হবে"- লেখক একথা বলেছেন কেন?


নমুনা সৃজনশীল প্রশ্নঃ
১৫. পরীক্ষা শেষে জাওয়াদ তার মা-বাবার সঙ্গে কক্সবাজার বেড়াতে এসেছে। সে শুনেছে—সমুদ্রসৈকতে দূরদূরান্ত থেকে অনেক লোকজন বেড়াতে আসে নয়রাভিরাম সৌন্দর্য উপভোগ করতে, বিশেষ করে সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করার জন্য সেখানে অনেক মানুষের ভিড় হয়। আজ বাস্তবে সৈকতে এসে সে দেখতে পেল রাবার বাগান, ডুলা হাজারা সাফারি পার্ক, বৌদ্ধমন্দির, রাখাইনদের বার্মিজ মার্কেট, বাজার-ঘাটায় প্রচুর গলদা চিংড়ি।
(ক) আরাকান রাজ্যের প্রাচীন ধ্বংসপ্রাপ্ত রাজধানীর নাম কী? ১
(খ) পাইক্যা কী? ব্যাখ্যা করো। ২
(গ) উদ্দীপকে জাওয়াদদের ভ্রমণ কাহিনীর সঙ্গে ‘মংডুর পথে’ ভ্রমণ কাহিনীর যে দিক প্রকাশ পেয়েছে—তা তোমার নিজের ভাষায় লেখো। ৩
(ঘ) ‘মংডুর পথে’ প্রবন্ধে লেখকের অনুভূতির সঙ্গে উদ্দীপকের অনুভূতি এক নয়—প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ করো। ৪ 

★★- নদ-নদী ও বাংলাদেশ একই সুতোয় গাঁথা দুটি নাম। এদেশের মাটি ও মানুষের ক্ষেত্রে নদ-নদী ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এদেশের সমাজ, সভ্যতা, সংস্কৃতি, রাজনীতি, অর্থনীতি সবকিছুই নদীর সাথে জড়িত। নওগাঁর পাহাড়পুর,বগুড়ার মহাস্থানগড়, কুমিল্লা লালমাই ও ময়নামতি এবং নরসিংদীর উয়ারী বটেশ্বরসহ দেশের প্রাচীন সভ্যতার কেন্দ্রভূমিগুলো নদীর তীরে গড়ে উঠেছিল।
ক) ফুঙ্গী কী?
খ) 'সব সুন্দরী সরাসরি প্রয়োজনের বাইরে' কেন? ব্যাখ্যা করো।
গ) বাংলাদেশের প্রাচীন সভ্যতাগুলো যেমন নদীর তীরে গড়ে উঠেছিল; মিয়ানমারে ও তেমনি, 'মংডুর পথে' রচনার আলোকে ব্যাখ্যা করো।
ঘ) " ভ্রমণের মাধ্যমে মানুষ একটি দেশের নানা বিষয় সম্পর্কে জানতে পারে"- উদ্দীপক ও 'মংডুর পথে' রচনার আলোকে বিশ্লেষণ করো।

Tuesday, September 22, 2020

বাংলা নববর্ষ

শামসুজ্জামান খান
 তথ্য কণিকা
১. নববর্ষ সকল দেশের, সকল জাতিরআনন্দের দিন ।
২. নববর্ষ পালন করা হয় — সুখ, সমৃদ্ধি ও কল্যাণের প্রত্যাশা নিয়ে ।
৩. বাংলাদেশের প্রধান জাতীয় উৎসব— নববর্ষ।
৪. পাকিস্তান আমলে নববর্ষ উদযাপনে বাধা দেওয়ার কারণ— পাকিস্তানি আদর্শের পরিপন্থি।
৫. যুক্তফ্রন্ট মুসলিম লীগকে নির্বাচনে পরাজিত করে— ১৯৫৪ সালে।
৬. বাংলা নববর্ষ সরকারি ছুটির দিন ঘােষণা করেন— শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক।
৭. পয়লা বৈশাখের দ্বিতীয় বৃহৎ অনুষ্ঠান— হালখাতা ।
৮. নববর্ষের প্রাচীন মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান হলাে— আমানি।
৯. আধুনিক আঙ্গিকে নববর্ষবরণ উদ্যাপন শুরু হয়কলকাতার ঠাকুর পরিবার এবং শান্তিনিকেতনে।
১০. নববর্ষ উৎসব নতুন গুরুত্ব ও তাৎপর্য লাভ করেভাষা আন্দোলনের পর।
১১. ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত সময়কে বলা হয়পাকিস্তান আমল।
১২. বাঙালি সংস্কৃতি চর্চার ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান – ছায়ানট।
১৩. মানুষের মঙ্গল কামনা করে যে শােভাযাত্রামঙ্গল শােভাযাত্রা।
১৪. যা পূর্বে ছিল এবং এখনাে বর্তমানআবহমান।
১৫. পুণ্যের জন্য আয়ােজিত অনুষ্ঠান – পুণ্যাহ।
১৬. দুজন গায়ক পরস্পরের যুক্তি খণ্ডন করে যে গানেকবিগান।
১৭. দেব-দেবীর মহিমা যে গানে প্রকাশ পায় – কীর্তন।
১৮. প্রাচীন বাংলার দৃশ্যকাব্যকে বলেযাত্রা।
১৯. বৈসুব, সাংগ্রাই, বিজু-এর প্রথম তিন বর্ণের সমাহারে হয়বৈসাবি।
২০. আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা বলতে বােঝায়সব বয়সের নারী-পুরুষ।
২১. বাংলা নববর্ষ' প্রবন্ধের মূল বিষয়পয়লা বৈশাখ উদযাপনের তাৎপর্য।
২২. চান্দ্র হিজরী সনের সঙ্গে সৌর সনের সমন্বয়ে চালু হয়বাংলা সন।
২৩. চলমান বাঙালিত্বের পরিচয়বাহী অনুষ্ঠান— মঙ্গল শােভাযাত্রা।
২৪. বাঙালি পাকিস্তান সরকারের কাছ থেকে বাধা পেয়েছিল— নববর্ষ উদযাপনে।
২৫. নববর্ষ উৎসব পরিণত হয়েছে – বাঙালির প্রাণের উৎসবে।
২৬. শামসুজ্জামান খান জন্মগ্রহণ করেন১৯৪০ সালে।
২৭. শামসুজ্জামান খান জন্মগ্রহণ করেন— মানিকগঞ্জে।
২৮. শামসুজ্জামান খান মহাপরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেনজাতীয় জাদুঘর ও শিল্পকলা একাডেমিতে।
২৯. শামসুজ্জামান খান রচিত গ্রন্থ— ফকলাের চর্চা, দুনিয়া মাতানাে বিশ্বকাপ।
৩০. শামসুজ্জামান খান দেশ-বিদেশে খ্যাতিমান ছিলেনলেখক, গবেষক ও ফোকলােরবিদ হিসেবে।

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন
১. হালখাতা বলতে কী বুঝ?
২. 'আমানি'- অনুষ্ঠানকে মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান বলা হয় কেন?
৩. "বাংলা নববর্ষ আমাদের প্রধান জাতীয় উৎসব "- কেন?
৪. বাংলা সন ও বাংলা নববর্ষ কীভাবে চালু হলো? বুঝিয়ে লেখো
৫. নববর্ষ উৎসব কীভাবে দেশের সর্ববৃহৎ জাতীয় অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে?
৬. মঙ্গল শোভাযাত্রা বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো।
৭. নববর্ষ কীভাবে আমাদের নানা ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়? বুঝিয়ে লেখো।

নমুনা সৃজনশীল প্রশ্নঃ

১. নদী কোল ঘেঁষা বটতলায় হাজার হাজার মানুষ জমেছে। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা যেমন এটা-ওটা খেলনা কিনছে, তেমনি তাদের বাবারাও কাঠের আসবাব, মসলাপাতি কিংবা তৈজসপত্র কিনছেন। আর একটু দূরে শোনা যাচ্ছে নাগরদোলার ক্যাচর ক্যাচর শব্দ। এ দিনটির জন্য আশপাশের গাঁয়ের মানুষেরা প্রায় বছরজুড়ে অপেক্ষায় থাকে।
(ক) ‘ছায়ানট’ কী? ১
(খ) বাংলা সালের ইতিহাস সম্পর্কে ঐতিহাসিক ও পণ্ডিতদের ধারণা কী? ব্যাখ্যা করো। ২
(গ) উদ্দীপকে ‘বাংলা নববর্ষ’ রচনায় উল্লিখিত কোন সর্বজনীন উৎসবের পরিচয় রয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
(ঘ) ‘উল্লিখিত উৎসব ব্যতীত বাঙালির আরো উৎসবের পরিচয় পঠিত রচনায় রয়েছে’—বক্তব্যের তাৎপর্য বিচার করো। ৪ 

২. কালামের বাবার দোকানে নববর্ষের দিনে হালখাতা অনুষ্ঠান হয়। কয়েক দিন থেকে কামাল ও জামাল দুই ভাই খুব ব্যস্ত। তার বাবার দোকানটি হালখাতা উপলক্ষে ঝালর কাটা লাল নীল সবুজ বেগুনি কাগজ দিয়ে সাজাচ্ছে। তারা ওই দিন ধূপ জ্বালাবে, নতুন হিসাবের খাতা খুলবে। তারা গ্রাহক ও খরিদ্দারকে মিষ্টিমুখও করাবে।
ক) কোন সম্রাটের সময় বাংলা সন চালু হয়?
খ) বাংলা নববর্ষ আমাদের প্রধান জাতীয় উৎসব কেন? 
গ) উদ্দীপকের সঙ্গে ‘বাংলা নববর্ষ’ প্রবন্ধের যে মিল তা চিহ্নিত করো।
ঘ) উদ্দীপকটির অনুষ্ঠান বাংলা নববর্ষের একমাত্র অনুষ্ঠান নয়—মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।

৩. সীমা ও চৈতি দুই বান্ধবী। আজ তাদের খুব আনন্দের দিন, কারণ আজ নববর্ষ। তারা দুজনে লাল পাড়ের সাদা শাড়ি পরে চলে যায় রমনার বটমূলে। সেখানে কত মানুষের ভিড়। ছেলে, মেয়ে, শিশু, বুড়ো সবাই সেজেছে নতুন সাজে। সেখানে সীমার খালাতো বোন তন্বীর সঙ্গে দেখা। সীমা খালা-খালু সবার খোঁজ পেল তন্বীর কাছ থেকে। ছোট খালাতো বোনের জন্য কিনে দিল নানা খেলনা। নিজের বাড়ির জন্য কিনে নিল কুলা, ঝুড়ি, হাঁড়ি-পাতিল ইত্যাদি। চৈতি মনের আনন্দে গেয়ে উঠল। 
তাপস নিঃশ্বাস বায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে,
বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক
মুছে যাক গ্লানি, মুছে যাক জরা
অগ্নি স্নানে শুচি হোক ধরা।
ক) নবাব ও জমিদারেরা কোন অনুষ্ঠান চালু করেন?
খ) হালখাতা বলতে কী বোঝায়?
গ) চৈতির গানে বাংলা নববর্ষের কোন দিকটি ফুটে উঠেছে?
ঘ) উদ্দীপকে বাংলা নববর্ষ প্রবন্ধের মূল সুরটিই যেন ফুটে উঠেছে। উক্তিটি মূল্যায়ন করো।

৪ .(!) আজ পহেলা বৈশাখ। বর্গাচাষি আক্কাসমিয়া ছেলে বাদল ও মেয়ে বীণুকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন সেলিম মিয়ার মুদি দোকানের উদ্দেশে। বাদল-বীণু দারুণ খুশি, নতুন জামা পরে সেলিম চাচার দোকানে গিয়ে তারা অবাক। এর আগে তারা দোকানে এসেছে বাকিতে মালপত্র নিতে; কিন্তু আজ দোকানটিকে রঙিন কাগজে সাজানো হয়েছে। সেলিম চাচা তাদের আদর করে অনেক মিষ্টি সন্দেশ খাওয়ালেন।
(!!) সেলিম চাচার দোকান থেকে বেরিয়ে বাদল-বীণু বাবার সঙ্গে গেল পাশের স্কুল মাঠে, সেখানে গিয়ে তারা আহ্লাদে আটখানা মানুষ আর মানুষ। বিভিন্ন ধরনের দোকান। মার জন্য তারা বাতাসা কিনল আর নিজেদের কিছু খেলনা। পুতুল নাচ দেখে বীণু হেসে গড়াগড়ি আর নাগর দোলায় উঠে সে ভয়ে এক্কেবারে পাথর।
ক। কোনটি নববর্ষের একটি প্রাচীন আঞ্চলিকমাঙ্গলিক অনুষ্ঠান? ১
খ। বাংলা নববর্ষ বাঙালি জাতিসত্তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কীভাবে? ২
গ।উদ্দীপকের (!) অংশে 'বাংলা নববর্ষ' প্রবন্ধের যে অনুষ্ঠানের ইঙ্গিত রয়েছে তা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ। উদ্দীপকের উভয় অংশে 'বাংলা নববর্ষ' প্রবন্ধের সমগ্রভাবের প্রতিফলন ঘটেছে কী? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪



Monday, September 21, 2020

বাংলা ভাষার জন্মকথা

হুমায়ুন আজাদ
তথ্য কণিকা
১. বদলে যাওয়াই হচ্ছেভাষার ধর্ম।
২. একদল লােক বাংলা ভাষার জননী বলে মনে করত — সংস্কৃত ভাষাকে।
৩. বাংলা ভাষার জন্ম হয়েছেপ্রাকৃত ভাষা থেকে।
৪. সংস্কৃত ভাষা চূড়ান্তভাবে বিধিবদ্ধ হয়— খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০ অব্দে।
৫. ব্যাকরণবিদ পাণিনি রচিত ব্যাকরণ গ্রন্থের নাম— অষ্টাধ্যায়ী।
৬. মধ্য ভারতীয় আর্যভাষার অপর নামপ্রাকৃত ভাষা।
৭. সমাজের উঁচু শ্রেণির মানুষের লেখার ভাষা ছিলসংস্কৃত।
৮. বাংলা ভাষার উদ্ভব সম্পর্কে প্রথম মত প্রকাশ করেন— জর্জ আব্রাহাম গ্রিয়ারসন।
৯. ভারতীয় আর্যভাষার রয়েছে ৩টি স্তর
১০. প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষার প্রাচীন রূপ পাওয়া যায়— ঋগ্বেদের মন্ত্রগুলােতে।
১১. সাধারণ মানুষের কাছে দুর্বোধ্য হয়ে ওঠেবৈদিক ভাষা ।
১২. বৈদিক ভাষার প্রথম স্তরসংস্কৃত।
১৩. গৌড়ী অপভ্রংশ থেকে উৎপত্তি ঘটে বাংলা ভাষার' মতটি— ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর।
১৪. বাংলা ভাষার জন্মকথা' প্রবন্ধের রচয়িতাহুমায়ুন আজাদ।
১৫. বাংলা ভাষার জন্মকথা’ প্রবন্ধটি সংকলন করা হয়েছে- কতাে নদী সরােবর বা বাঙলা ভাষার জীবনী গ্রন্থ থেকে।
১৬. বাংলা ভাষার জন্মকথা' প্রবন্ধে আলােচিত হয়েছেবাংলা ভাষার উৎপত্তি সম্পর্কে।
১৭. বাংলা ভাষার জন্মকথা প্রবন্ধটিভাষার উৎপত্তি বিষয়ক ।
১৮. সাধারণ মানুষ কথা বলত— প্রাকৃত ভাষায় ।
১৯. প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা— ইন্দো-ইউরােপীয় ভাষাবংশের একটি শাখা।
২০. ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ মতে গৌড়ী প্রাকৃতের পরিবর্তিত রূপ— গৌড়ী অপ্রভ্রংশ।
২১. সংস্কৃত ভাষায় রচিত দুই চরণের কবিতাকে বলেশ্লোক।
২২. যা সহজে বােঝা যায় না— দুর্বোধ্য।
২৩. বিধিবদ্ধ বলতে বােঝায়— নিয়ম দ্বারা শাসিত।
২৪. ‘ঘনিষ্ঠ’ শব্দের অর্থ – নিকট
২৫. উদ্ভূত’ শব্দের অর্থ— উৎপন্ন ।
২৬. হুমায়ুন আজাদ জন্মগ্রহণ করেন১৯৪৭ সালে ।
২৭. হুমায়ুন আজাদের জন্মস্থান— মুন্সীগঞ্জ জেলার রাড়িখাল গ্রামে।
২৮. হুমায়ুন আজাদ অধ্যাপনা করেনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে।
২৯. ‘লালনীল দীপাবলি” লিখেছেনহুমায়ুন আজাদ।
৩০. হুমায়ুন আজাদ মৃত্যুবরণ করেন২০০৪ সালে জার্মানির মিউনিখে।




অনুধাবনমূলক প্রশ্নঃ- 
১) একদল লোক বাংলাকে 'সংস্কৃতের মেয়ে' মনে করত কেন?
২) কীভাবে একটি নতুন ভাষার জন্ম হয়?
৩) বাংলা ভাষার উৎপত্তি সম্পর্কে দুজন পণ্ডিতের মতামত তুলে ধরো।
৪) ইন্দো-ইয়োরোপীয় ভাষা বলতে কী বুঝ?
৫) ভাষার ধর্মই হচ্ছে বদলে যাওয়া '- উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।

নমুনা সৃজনশীল প্রশ্নঃ
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ

পারিশা অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। একদিন বাংলা ব্যাকরণে ভাষার বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য পড়ার সময় দুটি বৈশিষ্ট্যের দিকে ওর নজর আটকে গেল। বৈশিষ্ট্য দুটি হলো—(ক) ভাষা যত কঠিন শব্দ দিয়েই শুরু হোক না কেন, ক্রমান্বয়ে ব্যবহারের ফলে তা সহজ ও সরল হয়ে ওঠে। যেমন—চক্র>চক্ক>চাকা, চর্মকার>চম্মআর>চামার, হস্ত>হন্থ>হাত ইত্যাদি। এই শব্দগুলো একসময় এ রকম সরলীকরণ হতে হতে একটি নতুন ভাষার উদ্ভব হয়।
(খ) কালের পরিক্রমায় একটি ভাষা স্থানিক ও কালিক বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য ধারণ করে বহুরূপী হয়ে ওঠে। যেমন—ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাবংশ থেকে সারা পৃথিবীতে বর্তমানে প্রায় সাড়ে তিন হাজারের মতো ভাষা ছড়িয়ে পড়েছে। পারিশা ভাবতে থাকে।
ক. ‘বাংলা ভাষার জন্ম কথা’ প্রবন্ধটি হুমায়ুন আজাদের কোন গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?
খ. আরেক দল বাংলাকে ‘সংস্কৃতের মেয়ে’ বলে স্বীকার করত না কেন?
গ) অনুচ্ছেদের ক-নম্বর বৈশিষ্ট্যটির মধ্য দিয়ে ‘বাংলা ভাষার জন্ম কথা’ প্রবন্ধের কোন দিকটি প্রকাশ পেয়েছে?
ঘ) পারিশার পঠিত খ-নম্বর বৈশিষ্ট্যটি ‘বাংলা ভাষার জন্মকথা’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ করো।





Recent Post

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯

১. ‘ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ ’ কবিতায় সালামের হাতে কেন অবিনাশী বর্ণমালা ঝরে ? ক. সংগ্রামী চেতনার কারণে     খ. দুঃখিনী মাতার অশ্রুজল দেখে গ. বরকত...

Most Popular Post