Ad-1

Sunday, September 27, 2020

তৈলচিত্রের ভূত

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়(১৯০৮-১৯৫৬)

প্রকৃত নামঃ প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়।
পৈতৃক নিবাসঃ বিক্রমপুর।
বিখ্যাত উপন্যাস : পদ্মা নদীর মাঝি', 'পুতুল নাচের ইতিকথা', 'দিবারাত্রির কাব্য' ইত্যাদি। 
বিখ্যাত ছোটগল্প : 'প্রাগৈতিহাসিক', 'হারানের নাতজামাই' প্রভৃতি। 
কিশোর উপন্যাস :'মাঝির ছেলে'। 
কিশোর উপযোগী গল্পের সংখ্যা ২৭ টি।
মৃত্যু : কলকাতায় ১৯৫৬ সালে।

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
১. তৈলচিত্রের ভূত' গল্পে ডাক্তারের নাম --পরাশর।
২. পরাশর ডাক্তার চিঠি লিখছিলেন— লাইব্রেরিতে বসে।
৩. নগেনের দৃষ্টিতে তার মামা ছিলেন --- কৃপণ।
৪. নগেন মিথ্যা শ্রদ্ধা-ভক্তির ভান দেখাতাে--- মামাকে।
৫. মামা নগেনকে টাকাকড়ি দিয়ে গেছেন --- প্রায় নিজের ছেলেদের সমান।
৬, নগেন কল্পনা করতে পারেনি মামার --- উদারতা।
৭. নগেনের মামার তৈলচিত্রে প্রণাম করতে যাওয়ার কারণ— আত্মগ্লানি।
৮. অন্ধকারে তৈলচিত্র ছোঁয়ামাত্রই ধাক্কা খায়--- নগেন।
৯. তৈলচিত্রের ছবিটা শখ করে আঁকিয়েছিলেন— নগেনের মামা।
১০. মামার তৈলচিত্রটি বাঁধানাে ছিল— রুপার ফ্রেমে।
১১. নগেনের মামাতাে ভাই পরেশ— ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়ে।
১২. যে দানপত্র মৃত্যুর পর বলবৎ হয়— উইল।
১৩. নিজের ওপর ক্ষোভ ও ধিক্কারকে বলে— আত্মগ্লানি।।
১৪. মৃত ব্যক্তির আত্মার শান্তির জন্য হিন্দু ধর্মীয় আচার কে বলে- শ্রাদ্ধ।
১৫. রেশমের মােটা কাপড়কে বলে – মটকা।।
১৬. 'তৈলচিত্রের ভূত' গল্পটি প্রকাশিত হয় – ১৯৪১ সালে মৌচাক পত্র।
১৭. নগেনের ভূতে বিশ্বাসের কারণ— কুসংস্কার।
১৮. 'তৈলচিত্রের ভত’ গল্পে লেখক দেখিয়েছেন – বিজ্ঞানবুদ্ধির জয় ।
১৯. 'তৈলচিত্রের ভূত' একটি – কিশাের-উপযােগী ছােটগল্প।
২০. 'তৈলচিত্রের ভূত' গল্পের উদ্দেশ্য --- বিজ্ঞানসম্মত বিচারবুদ্ধির মাধ্যমে অন্ধবিশ্বাস দূর করা।
২১. গল্পে বিজ্ঞানসম্মত বিচারবুদ্ধির প্রয়ােগ করেছেন --- পরাশর ডাক্তার।
২২. পরাশর ডাক্তারের কাছে বৈদ্যুতিক শকের বিষয়টি সহজেই ধরা পড়েছে --- কারণ তিনি যুক্তি দিয়ে বিচার করেছেন।
২৩. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় জন্মগ্রহণ করেন ১৯০৮ সালে।
২৪. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিতৃপুরুষের বাড়ি— বিক্রমপুরের মালবদিয়া গ্রামে।
২৫. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় খ্যাতি লাভ করেছেন-- ঔপন্যাসিক ও ছােটগল্পকার হিসেবে।
২৬. সাহিত্যে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঝোঁক ছিল--- মানুষের মন বিশ্লেষণে।
২৭. মানিক তার গল্প-উপন্যাসে মুক্তির জয়গান গেয়েছেন --- শ্রমিক-কৃষকের।
২৮. কস্মিনকালে শব্দের অর্থ --- কোন কালে বা কোন কালেই।
২৯. ছলনা শব্দের অর্থ হলো --- কপটতা,শঠতা,প্রতারণা,প্রবঞ্চনা,ধোঁকা।
২৯. প্রথম রাত্রে নগেণ উঠেছিল - রাত তিনটা বাজে।
৩০. বিব্রত শব্দের অর্থ হলো -- ব্যতিব্যস্ত,ব্যাকুল,বিচলিত।

সৃজনশীল প্রশ্ন

প্রশ্ন ১-- অজপাড়া গাঁয়ের ছেলে সুবল জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে গ্রামের প্রচলিত টোটকা চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসারে বিভিন্ন জায়গা থেকে ঝাড়ফুঁক ও অনুপান নেয়। তার ধারণা জন্ডিসের কোনো আধুনিক চিকিৎসা নেই। কিন্তু ইতোমধ্যে জন্ডিসের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সুবল আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া পাশের বাড়ির ছেলে অনিমেষ তাকে শহরে নেওয়ার অনুরোধ জানায়। ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে সুচিকিৎসায় সুবল একসময় সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠে। (সি. বো. ২০১৯)
ক. তৈলচিত্র কী?  ১ 
খ. 'তুমি একটি আস্ত গর্দভ নগেন।'— এ উক্তির কারণ ব্যাখ্যা করো।  ২ 
গ. উদ্দীপকের সুবল ও ‘তৈলচিত্রের ভূত’ গল্পের নগেনের সাদৃশ্য বর্ণনা করো। ৩ 
ঘ. “উদ্দীপকের অনিমেষ যেন তৈলচিত্রের ভূত' গল্পের পরাশর ডাক্তারের প্রতিচ্ছবি।”— মন্তব্যটির সত্যতা যাচাই করো। 8 

প্রশ্ন-২ রফিক সাহেব শীতের ছুটিতে ভাগ্নি সাহানাকে নিয়ে গ্রামে বেড়াতে যান। রাতের আকাশ দেখার জন্য তারা খোলা মাঠে যান। অদূরেই দেখতে পান মাঠের মধ্যে হঠাৎ এক প্রকার আলো জ্বলে ওঠে তা সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। ওটা কিসের আলো তা জানতে চাইলে সাহানার মামা বলেন, ভূতের! সাহানা ভয় পেয়ে তার মামাকে জড়িয়ে ধরে। মামা তখন তাকে বুঝিয়ে বলেন যে, খোলা মাঠের মাটিতে এক প্রকার গ্যাস থাকে- যা বাতাসের সংস্পর্শে এলে জ্বলে ওঠে। সাহানা বিষয়টা বুঝতে পেরে স্বাভাবিক হয়।

ক. ‘তৈলচিত্রের ভূত’ কোন জাতীয় রচনা? ১

খ. নগেনের মনে দারুণ লজ্জা আর অনুতাপ জেগেছিল কেন?

গ.উদ্দীপকের সাহানা আর ‘তৈলচিত্রের ভূত’ গল্পের নগেনের বিশেষ মিল কোথায়?- ব্যাখ্যা কর। ৩

ঘ. “রফিক সাহেব আর ‘তৈলচিত্রের ভূত’ গল্পের পরাশর ডাক্তার উভয়কে আধুনিক মানসিকতার অধিকারী বলা যায়?”- উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ কর। ৪

No comments:

Post a Comment

Recent Post

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯

১. ‘ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ ’ কবিতায় সালামের হাতে কেন অবিনাশী বর্ণমালা ঝরে ? ক. সংগ্রামী চেতনার কারণে     খ. দুঃখিনী মাতার অশ্রুজল দেখে গ. বরকত...

Most Popular Post