Ad-1

Showing posts with label ৮ম বাংলা সৃজনশীল পদ্যাংশ. Show all posts
Showing posts with label ৮ম বাংলা সৃজনশীল পদ্যাংশ. Show all posts

Wednesday, October 28, 2020

মানবধর্ম

 লালন শাহ


জ্ঞানমূলক প্রশ্নঃ
১. তসবি জপে -- মুসলমানরা।
২. গলায় মালা পরে -- হিন্দুরা ।
৩. মানুষের জাতের চিহ্ন থাকে না - জন্ম-মৃত্যুর সময়ে।
৪. লালন শাহ জেতের ফাতা বিকিয়েছেন সাত- বাজারে।
৫. জগৎ বেড়ে জেতের কথা— অজ্ঞানতার কারণে।
৬. মানবধর্ম কবিতার চরণ চৌদ্দটি।
৭. লালন গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন না— জাতধর্মকে।।
৮. ‘জেতের' শব্দের অর্থ— জাতের।
৯. কুপে যে জল থাকে তাকে বলে— কূপজল।
১০. হিন্দুদের কাছে পবিত্রতার প্রতীক— গঙ্গাজল।
১১. যথা-তথা বলতে বােঝায়-- যেখানে সেখানে।
১২. জেতের ফাতা বলতে বােঝানাে হয়েছে- জাত বা ধর্মের বৈশিষ্ট্যকে।
১৩. ফাতা বলতে বােঝায়- নিশান।
১৪. মানবধর্ম’ কবিতাটির লেখক– লালন শাহ।
১৫. মানবধর্ম' কবিতায় কবি— জাত পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন।
১৬. ‘মানবধর্ম' কবিতার মূল প্রতিপাদ্য- অভেদ ধর্ম জাতি।।
১৭. লালন শাহ গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন না— জাতকে।
১৮. লালনের মতে, মনুষ্যধর্মই হলাে— মূলকথা। ।
১৯. মানুষ তসবি কিংবা জপমালা ধারণ করে না— জন্ম ও মুত্যুর সময় ।।
২০. লালনের গানের মূলসুর— অধ্যাত্মবাদ ও মানবতাবাদ।
২১. লালন শাহ জন্মগ্রহণ করেন-- ১৭৭২ সালে।।
২২. মানবতাবাদী মরমি কবি--- লালন শাহ।
২৩. লালন শাহ নিজের গানে নিজেকে— ফকির লালন বলেছেন।
২৪. লালন শাহর দর্শন প্রকাশ পেয়েছে— গানের মাধ্যমে।
২৫. লালন শাহ শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন— সিরাজ সাঁই-এর কাছে।
২৬. জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার আলােকে লালন শাহ প্রচার করেন---- নতুন দর্শন।।
২৭. লালন শাহ হিন্দু ও মুসলিম ধর্ম সম্পর্কে-- অনেক জ্ঞান অর্জন করেছেন।
২৮. লালন শাহর গানের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলাে— অধ্যাত্মভাব ও মরমি রসব্যঞ্জনা।
২৯, লালন শাহর গানের সংখ্যা---- প্রায় সহস্রাধিক।
৩০. লালন শাহ মৃত্যুবরণ করেন ১৮৯০ খ্রিষ্টাব্দে।
অনুধাবনমূলক প্রশ্নঃ
১. জগৎ বেড়ে জেতের কথা'- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
২. 'যাওয়া কিংবা আসার বেলায় '- বলতে কী বুঝানো হয়েছে? 
৩. কূপজল ও গঙ্গাজল কীভাবে অভিন্ন সত্তা? বুঝিয়ে লেখো।
৪. "মূলে একজল,সে যে ভিন্ন নয়"- বলতে কী বোঝায়?
৫. 'জেতের ফাতা' বলতে কী বোঝানো হয়েছে? 

সৃজনশীল প্রশ্ন 

১. লেখা নেই রক্তে ধর্ম জাতি গোত্র বর্ণ ভেদ; 
তবু কেন এত চলে হানাহানি মানবতা বিচ্ছেদ? 
উদার আকাশ, আলো ও প্রকৃতি ফুসফুস জুড়ে বায়ু 
মানবধর্ম দান করে সবে শাশ্বত পরমায়ু। 
ক) লালন শাহ কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
খ) গঙ্গাজল ও কূপজল ভিন্ন নয় কেন?
গ) উদ্দীপকের কবিতাংশ ‘মানবধর্ম’ কবিতার সঙ্গে কিভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ—ব্যাখ্যা করো।
ঘ) উদ্দীপকের কবিতাংশের এবং ‘মানবধর্ম’ কবিতার মূল সুর এক। মন্তব্যটি মূল্যায়ন করো।

২. রাম কিংবা রহিম আমাদের এখানে দুটি নাম শুধু। খাদিজার দুঃখে যেমন ইন্দুবালা কাঁদে,তেমনি রামের পাশে দাঁড়াই রহিম।এই আমাদের বাংলাদেশ। সবাই মিলে ভালো থাকাটাই আমাদের শিক্ষা। আমাদের ভ্রাতৃত্ববোধ আমাদেরকে পৌছে দিচ্ছে অনন্য এক উচ্চতায়। যেখান থেকে তাকালে সবাইকে সমান মনে হয়। সব মানুষকে আপন মনে হয়। আমরা শুধু একটি দীক্ষায়ই দীক্ষিত হই, ভালোবাসা সবার জন্য।
ক) লালন শাহের গানের বৈশিষ্ট্য কি
খ) 'যাওয়া কিংবা আসার বেলায়'- বলতে কী বুঝানো হয়েছে?
গ) উদ্দীপক এবং 'মানবধর্ম'-কবিতার মধ্যকার সাদৃশ্য তুলে ধরো।
ঘ) বিভেদহীন সমাজ গঠনে ভাতৃত্ববোধের গুরুত্ব 'মানব ধর্ম' কবিতা এবং উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ করো।

৩. আসবার কালে কী জাত ছিলে
এসে তুমি কী জাত নিলে
কী জাত হবা যাবার কালে
সে কথা ভেবে বলো না!
ক.লালন শাহ কার শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন?
খ. কবি মানুষকে জাত ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেছেন কেন?
গ. উদ্দীপকটির বক্তব্য 'মানবধর্ম ' কবিতার মূলবক্তব্যের সঙ্গে কতটুকু সাদৃশ্যপূর্ণ, ব্যাখ্যা করো।
ঘ.'পৃথিবীতে আসা যাওয়ার ক্ষেত্রে জাত অভিন্ন'- উক্তিটির তাৎপর্য 'মানবধর্ম'- কবিতা আলোকে বিশ্লেষণ করো।

Tuesday, October 27, 2020

বঙ্গভূমির প্রতি

মাইকেল মধুসূধন দত্ত

১. কবি মিনতি জানিয়েছেন-- মায়ের চরণে।

২. মনের মন্দিরে সবাই সেবা করে -- কীর্তিমান ব্যক্তিকে।

৩. কবিতায় কবি নিজেকে ভেবেছেন -- দেশের সন্তান হিসেবে।

৪. কবি দেশমাতৃকার স্মৃতি ফুটে থাকতে চান— পদ্মফুলের মতাে।

৫. কবিতায় ‘পরমাদ' বলতে বােঝানাে হয়েছে— প্রমাদ।

৬. ‘অমরতা' শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে- মৃত্যুহীন প্রাণ বােঝাতে।।

৭. কবি ভয় পান না-- শমনে।

৮. কবিতায় শ্যামা বলতে বােঝানাে হয়েছে— শ্যামল জন্মভূমিকে।

৯. ‘কোকনদ’ শব্দের অর্থ— লাল পদ্ম ।

১০. নীর’ অর্থ— পানি বা জল ।

১১. ‘শমন' হলাে- মৃত্যুর দেবতা।

১২. তামরস’ শব্দের অর্থ— পদ্ম।

১৩. “মিনতি’ শব্দের অর্থ— বিনীত প্রার্থনা।

১৪. বর’ শব্দের অর্থ— আশীর্বাদ।

১৫. শরদে’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে- শরৎকাল বােঝাতে।

১৬. বঙ্গভূমির প্রতি' কবিতাটি লিখেছেন— মাইকেল মধুসূদন দত্ত।

১৭. বঙ্গভূমির প্রতি' কবিতাটি হলাে— গীতিকবিতা ।

১৮. কবি নিজেকে মনে করেন --- দেশমাতার সন্তান।

১৯. মা কখনােই মনে রাখেন না--- সন্তানের দোষ।

২০. কবি মা হিসেবে কল্পনা করেছেন -- দেশকে।

২১. কবি দেশমাতার কাছে প্রার্থনা করেন— অমরতা ।

২২. দেশমাতৃকার ছবিতে কবি ফুটতে চান— পদ্মফুলের মতাে।

২৩. মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্ম- ১৮২৪ সালে ।

২৪. বাংলা সাহিত্যের প্রথম প্রথাবিরােধী লেখক --- মাইকেল মধুসূদন দত্ত

২৫. বাংলা আধুনিক কবিতার জনক- মাইকেল মধুসূদন দত্ত ।

২৬. মাইকেল মধুসূদন দত্ত কাব্য সাধনার জন্য গিয়েছিলেন --- বিলেতে ।

২৭. খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণের পর---- ‘মাইকেল’ শব্দটি যুক্ত হয়।

২৮, মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত মহাকাব্য- মেঘনাদবধ কাব্য।

২৯. একেই কি বলে সভ্যতা একটি --- প্রহসন।

৩০. বুড়াে শালিকের ঘাড়ে রো’ একটি ----প্রহসন।

★ অনুধাবনমূলক প্রশ্নঃ-

১. "সেই ধন্য নরকূলে, লোকে যারে নাহি ভুলে"- কবি এ কথা বলেছেন কেন?

২. 'মক্ষিকাও গলে না গো পড়িলে অমৃত-হ্রদে'- চরণটি দ্বারা কি বুঝানো হয়েছে?

৩. 'মধুময় তামরস কী বসন্ত, কী শরদে' বলতে কবি কী বুঝাতে চেয়েছেন?

৪. কবি মার কাছে মিনতি করেন কেন? 

৫. 'রেখো, মা, দাসেরে মনে, এ মিনতি করি পদে '- কবির এমিনতির কারণ কী??

নমুনা সৃজনশীল প্রশ্নঃ


১. ল্যাপটপ কিনে দেয়নি বলে বাবা মায়ের উপর রাগ করে বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়েছিল রাশেদ।বন্ধুর বাড়িতে দুদিন কাটানোর পর সে বুঝতে পারে যে,ঐ পরিবারের সকলে ওকে বোঝা ভাবছে। আরো কিছু হওয়ার আগে সে নিজ বাড়িতে ফিরে মা-বাবার কাছে কৃত অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর। মা বলেন- পর কখনো আপন হয় না রে পাগল, আপন হয় না।
ক) 'বঙ্গভূমির প্রতি' কী জাতীয় কবিতা?
খ) 'মক্ষিকাও গলে না গো পড়িলে অমৃত-হ্রদে'- চরণটি দ্বারা কি বুঝানো হয়েছে?
গ) উদ্দীপকের রাশেদের মাঝে 'বঙ্গভূমির প্রতি'- কবিতা রচয়িতার যে চেতনা প্রকাশ পেয়েছে তার ব্যাখ্যা করো।
ঘ) উল্লেখিত চেতনায় কেবল 'বঙ্গভূমির প্রতি' কবিতার বিষয়বস্তুকে তুলে ধরে না-মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

২. সতত, হে নদ, তুমি পড় মোর মনে!
সতত তোমার কথা ভাবি এ বিরলে;
সতত (যেমতি লোক নিশার 
স্বপনে শোনে মায়া মন্ত্রধ্বনি) তব কলকলে
জুড়াই এ কান আমি ভ্রান্তির ছলনে!
ক. বাংলা ভাষার প্রথম মহাকাব্যের নাম কী?
খ. 'মধুময় তামরস কী বসন্ত, কী শরদে' বলতে কবি কী বুঝাতে চেয়েছেন?
গ. উদ্দীপকে 'বঙ্গভূমির প্রতি' কবিতার কোন ভাবটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের মূল উপজীব্য এবং 'বঙ্গভূমির প্রতি' কবিতার মূল উপজীব্য একই ধারায় উৎসারিত- মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর

৩. রফিক উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার জন্য কানাডায় গমন করে। কিন্তু কানাডায় গিয়ে বঙ্গভূমি বাংলাদেশের কথা বারবার মনে করে, এই দেশের স্মৃতিগুলো রফিককে বারবার তাড়া করে বেড়ায়। তাই রফিক তার বড় ভাইয়ের কাছে চিঠি লেখে ভাই, আমার কানাডায় থাকা সম্ভব হবে না। কারণ জন্মভূমি বাংলাদেশকে আমি কিছুতেই ভুলতে পারছি না। নিরুপায় হয়ে ভাই প্রত্যুত্তরে জানায়, ভালো না লাগলে চলে আয়। দেশে এসে রফিক উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করতে সক্ষম হয়।
ক) ‘মক্ষিকা’ শব্দের অর্থ কী? ১
খ) কবি মার কাছে মিনতি করেন কেন? ২
গ) উদ্দীপকের রফিকের সাথে ‘বঙ্গভূমির প্রতি’ কবিতার কবি মাইকেল মধুসূদনের বৈসাদৃশ্য কোথায়? নির্ণয় করো। ৩
ঘ) ‘কিছু বৈসাদৃশ্য থাকলেও উদ্দীপকের রফিক মধুসূদন দত্তেরই প্রতিচ্ছবি।’ বিশ্লেষণ করো। ৪

৪. জাবেদ সাহেব প্রায় বিস বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে থাকে। নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন সেই দেশের মানুষ, পরিবেশের সাথে।দেসে ফেরার ইচ্ছা তার নেই। মাতৃভূমি তাকে মনে রাখর কি রাখলনা এ নিয়ে তিনি মাথা ঘামান না।
ক) শমন '- শব্দের অর্থ কী?
খ) রেখো, মা, দাসেরে মনে, এ মিনতি করি পদে '- কবির এমিনতির কারণ কী??
গ) জাবেদ সাহেবের মানসিকতার সাথে কবির মানসিকতার বৈসাদৃশ্য নির্ণয় কর।
ঘ) "উদ্দীপকে 'বঙ্গভূমির প্রতি ' কবিতার আবেদন প্রতিফলিত হয়নি"- এ মতামতের সাপেক্ষে যুক্তি
দেখাও।

Monday, October 26, 2020

দুই বিঘা জমি

 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

> তথ্য কণিকা

১. ভূস্বামী উপেনের জমি নিতে চান— বাগান করার জন্য ।

২. উপেনের দুই বিঘা জমি স্মৃতিবিজড়িত— সাত পুরুষের।

৩. জমি হারিয়ে উপেন ঘুরে বেড়ায়— সন্ন্যাসীবেশে

৪. উপেন গ্রামে প্রবেশ করে -- পনেরাে-ষােলাে বছর পর।

৫. দুই বিঘা জমির অঞ্চলে ছিল --- পাঁচ রঙা পাতা।

৬. ‘দুই বিঘা জমি কবিতায় স্নেহময়ী রূপ— বঙ্গের বধূর ।
৭. ‘দুই বিঘা জমি' কবিতায় আমগাছ— স্মৃতির প্রতীক।

৮. উপেনের কোলের কাছে পড়ে— দুটি পাকা আম।

৯. এক বিঘা সমান- ১৩৩৪ বর্গমিটার ।

১০. বিশ কাঠা সমান-১ বিঘা।

১১. এক প্রহর বলতে বােঝায় --- তিন ঘণ্টা ।

১২. দিন-রাত্রির আটভাগের এক ভাগ হলাে— এক প্রহর।

১৩. ‘গেহ’ শব্দের অর্থ— ঘর।

১৪. লক্ষ্মীছাড়া’ শব্দের ব্যবহারিক অর্থ— দুর্ভাগ্য।

১৫. সমীর’ শব্দের অর্থ— বাতাস।

১৬. সব হারানাে নিঃস্ব মানুষ --- উদ্বাস্তু।

১৭. পাণি’ শব্দের অর্থ— হাত।

১৮. দুই বিঘা জমি' কবিতাটি সংকলিত হয়েছে--- কথা ও কাহিনী’ কাব্যগ্রন্থ থেকে।

১৯, বাড়ি ফিরে উপেন শুধু চিনতে পারল— আমগাছটা ।

২০. সাধু উপেনকে আমচোর বলে গালি-গালাজ করে --- মালি ।

২১. জমিদার উপেনকে অপবাদ দেয়— সাধুবেশী চোর।

২২. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম গ্রহণ করেন --- ১৮৬১ সালে।

২৩. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান— কলকাতা।

২৪. এশীয়দের মধ্যে প্রথম সাহিত্যে নােবেল পুরস্কার লাভ করেন- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

২৫. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাহিত্যে নােবেল পুরস্কার পান— গীতাঞ্জলি' কাব্যের জন্য।
২৬. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নােবেল পুরস্কার লাভ করেন ---- ১৯১৩ সালে ।
২৭. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন– সাহিত্যের প্রতিটি শাখায় ।

২৮. আমাদের জাতীয় সংগীতের রচয়িতা --- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

২৯. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মৃত্যুবরণ করেন— ১৯৪১ সালে।

৩০. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মৃত্যুবরণ করেন --- কলকাতায়।

নমুনা সৃজনশীল প্রশ্নঃ

৮. ‘ক’ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অত্যন্ত সৎ ও ন্যায়পরায়ন ব্যক্তি। তিনি তাঁর এলাকার সবাইকে সমান চোখে দেখেন। এমনকি তাঁর বাড়ির চাকর চান মিয়ার কিছু জমি তাঁর জমির পাশে থাকলেও তিনি তা কিনে নিতে চান না;বরং ওর জমির দিকে অন্য কেউ যাতে লোভের হাত বাড়াতে না পারে, সেদিকে তিনি খেয়াল রাখেন। 
(ক) কোন গ্রন্থের জন্য রবীন্দ্রনাথ নোবেল পুরস্কার লাভ করেন? ১
(খ) ‘তুমি মহারাজ, সাধু হলে আজ, আমি আজ চোর বটে।’ —উপেনের এ কথা বলার কারণ ব্যাখ্যা করো। ২
(গ) চেয়ারম্যানের সঙ্গে ‘দুই বিঘা জমি’ কবিতার জমিদারের চারিত্রিক বৈসাদৃশ্য কী? ব্যাখ্যা করো। 
(ঘ) ‘দুই বিঘা জমি’ কবিতার জমিদার যদি উদ্দীপকের চেয়ারম্যানের মতো হতেন, তবে উপেনের পরিণতি এমন হতো না’—বিশ্লেষণ করো। ৪ 

৯. হ, বেবাক মানুষেরই এমবাই ঠকাইছে। করিম গাজী বলে-আরে মিয়া এমন কারবারডা হইল আর তুমি ফিরা চলছ? কী করমু তয়? কী করবা, খেঁকিয়ে ওঠে করিম গাজী। চল আমাগ লগে, দেহি কী করতে পারি। একটা কিছু না কইর‍্যা ছাইড়্যা দিমু? তার ঝিমিয়ে পড়া রক্ত জেগে ওঠে। গা ঝাড়া দিয়ে বলে-হ চল। রক্ত চুইষ্যা খাইছে। অজম করতে দিমু না। যা থাকে কপালে।(জোঁক : আবু ইসহাক)
ক. কত খ্রিস্টাব্দে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 'গীতাঞ্জলি' কাব্যের জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান?
খ. 'নমঃ নমঃ নমঃ সুন্দরী মম জননী বঙ্গভূমি' বলতে কবি কী বুঝাতে চেয়েছেন?
গ. উদ্দীপকে 'দুই বিঘা জমি' কবিতার কোন ভাবটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. করিম গাজী ও ওসমানের সঙ্গে উপেনের মিল থাকলেও চেতনাগত পার্থক্য রয়েছে- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

১০. জমিদার ওয়াজেদ চৌধুরীর জমি বর্গা চাষ করে দরিদ্র কৃষক ওসমান। ফসলের ভাগ আধাআধি। এবার পাটের ফলন খুব ভালো হয়েছে। জোঁকের কামড় খেয়ে, পানিতে ডুব দিয়ে দিয়ে পাটগুলো কেটেছে সে। কিন্তু ভাগ-বণ্টনের সময় চৌধুরী তিন ভাগের দুই ভাগ নিয়ে নেয়। এর কারণ জানতে চাইলে চৌধুরী বলে, গতবার বাইনের সময় বলদ আর লাঙল কেনার জন্য সে ৫০০ টাকা ধার দিয়েছে। সেই টাকার সুদ হিসেবেই ফসলের তিন ভাগের দুই ভাগ তার। ওসমান আকাশ থেকে পড়ে! কবে, কখন টাকা নিল সে? তবে ওর মনে পড়ে, বাইনের সময় কী একটা সাদা কাগজে তার টিপসই ঠিকই নিয়েছিল জমিদার। কিন্তু ওটাতে ৫০০ টাকা ধার নেওয়ার কথা লেখা ছিল, এটা তো সে বোঝেনি। সে ভাবে, এরা তো অনেক বড় জোঁক, কখন কীভাবে রক্ত চোষে, টেরও পাওয়া যায় না। ওসমানের মাথায় রক্ত উঠে যায়। সে লাঠি হাতে রওনা দেয় চৌধুরীর বাড়ির দিকে। 
ক. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত সালে নোবেল পুরস্কার পান? 
খ. নমঃ নমঃ নমঃ সুন্দরী মম জননী জন্মভূমি—উক্তিটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? 
গ. ওয়াজেদ চৌধুরীর সঙ্গে বাবু সাহেব যেদিক থেকে সাদৃশ্যপূর্ণ, তা ব্যাখ্যা করো। 
ঘ. ওসমানের সঙ্গে উপেনের সাদৃশ্য থাকলেও দুজন দুই মেরুর বাসিন্দা, মন্তব্যটি মূল্যায়ন করো। 

১১. জমিদার কৃষ্ণচন্দ্রের একটি বাগান আছে। বাগানটি দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে সমান নয়। তাই তিনি মনে করলেন বাগানটিকে বর্গাকৃতি করে সৌন্দর্য বাড়াতে হলে প্রয়োজন আরো কিছু জমি। তাই জমিদার পাশের গরিব গৃহস্থ কৃষক নিমাই চন্দ্রের বাড়ি দখল করে নিয়েছেন। বর্তমান সমাজে অনেক গরিব মানুষই এভাবে তাদের সর্বস্ব হারাচ্ছে।
ক. দুই বিঘা জমি কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া? ১
খ. ‘ছিলে দেবী, হলে দাসী। ’ এ কথার মাধ্যমে কী বোঝানো হয়েছে? ২
গ. উদ্দীপকের নিমাই চন্দ্রের সঙ্গে ‘দুই বিঘা জমি’ কবিতার উপেন চরিত্রের সাদৃশ্য তুলে ধরো। ৩
ঘ. বর্তমান সমাজের অনেক গরিব মানুষ সমাজের ক্ষমতাবানদের নিষ্ঠুরতার শিকার—কথাটি কবিতার আলোকে ব্যাখ্যা করো। ৪

Sunday, October 25, 2020

পাছে লোকে কিছু বলে

কামিনী রায়ঃ

তথ্য কণিকা

১. আমরা কাজ করতে পারি না — ভয় আর লজ্জায় ।

২. শক্তি মরে ভীতির কবলে ।

৩.সবসময় সংকল্প টলে– সংশয়ে।

৪. কবি অন্তরের চিন্তাকে তুলনা করেছেন বুদবুদের সাথে ।

৫.মনের ব্যথা প্রশমন করতে পারে— স্নেহের কথা ।

৬. বিধাতা প্রাণ দিয়েছেন- উচ্ছল থাকার জন্য ।

৭. লােকলজ্জার ভয় পরিহার করলে সদিচ্ছা বাস্তবায়ন হয় ।

৮. বুদবুদের মতাে চিন্তা মিশে যায় হৃদয়ের তলে।

৯. সদা শব্দের অর্থ— সবসময়। ‘প্রশমিতে’ শব্দের অর্থ নিবারণ করতে।

১০. সযতনে’ শব্দটি দ্বারা বােঝায়– যত্ন সহকারে।

১১. “নিরমল' অর্থ- পবিত্র ।

১২. উপেক্ষা’ শব্দের অর্থ— অবহেলা করা। |

১৩. কবিতায় ‘সংকল্প’ শব্দের অর্থ— মনের দৃঢ় ইচ্ছা।

১৪. ‘ছল' শব্দের অর্থ— ছুতা।

১৫. ‘মিয়মাণ’ শব্দটির অর্থ— কাতর; বিষাদগ্রস্ত।

১৬. পরিষ্কার বা অমলিন অর্থ বােঝাতে ব্যবহার হয়— শুভ্র শব্দটি।

১৭. সংশয় শব্দের অর্থ— দ্বিধা। কাজ করতে গেলে মানুষ দ্বিধাগ্রস্ত হয়।

১৮. কাজে দ্বিধাগ্রস্তের কারণ— সমালােচনার ভয়।

১৯. সমাজে অবদান রাখতে চাইলে দ্বিধা করা যাবে না।

২০. লােকলজ্জা ও সমালােচনাকে উপেক্ষা করতে হবে— দৃঢ় মনােবল নিয়ে

২১. কবিতার মূল মর্মবাণী– নিঃসংকোচচিত্ত । |

২২. কবিতার মূল উদ্দেশ্য মানুষকে কর্মোদ্যমী করা ।

২৩. ‘পাছে লােকে কিছু বলে' কবিতার রচয়িতা- কামিনী রায় ।

২৪. কামিনী রায় জন্মগ্রহণ করেন ১৮৬৪ সালে ।

২৫. কামিনী রায় অধ্যাপনা করেন কলকাতার বেথুন কলেজে।

২৬. কামিনী রায়ের কবিতার বিশেষত্ব হলাে— আনন্দ বেদনার সহজ-সরল প্রকাশ।

২৭. কামিনী রায়ের কবিতায় রবীন্দ্রনাথের প্রভাব স্পষ্ট।

২৮. কামিনী রায়ের ছােটদের কবিতা সংগ্রহের নাম— গুঞ্জন।

২৯. কামিনী রায় জগত্তারিণী স্বর্ণপদক লাভ করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

৩০. কামিনী রায় মৃত্যুবরণ করেন ১৯৩৩ সালে ।


নমুনা সৃজনশীল প্রশ্নঃ


১২. বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করার পর অনিকের ইচ্ছা হলো, গ্রামে গিয়ে বয়স্কদের জন্য নৈশ স্কুল চালুর পাশাপাশি তার বাবার কাজে সহযোগিতা করা। কিন্তু তার বন্ধুরা সবাই বড় বড় চাকরি করছে। তাই সে দ্বিধাগ্রস্ত। বন্ধুদের সমালোচনার ভয়ে সে তার পরিকল্পনা বাদ দিল।
ক) হৃদয়ে কিসের মতো শুভ্র চিন্তা ওঠে?
খ) শক্তি মরে ভীতির কবলে—কেন?
গ) উদ্দীপকের অনিকের মধ্য দিয়ে ‘পাছে লোকে কিছু বলে’ কবিতার কোন বিশেষ দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে?
ঘ) ‘দ্বিধাদ্বন্দ্ব মানুষের কাজকে ব্যর্থতায় পর্যবসিত করে’—উক্তিটি ‘পাছে লোকে কিছু বলে’ কবিতার আলোকে বিশ্লেষণ করো।

১৩. নিন্দুকেরে বাসি আমি সবার চেয়ে ভালো
যুগ-জনমের বন্ধু আমার আঁধার ঘরের আলো।
সবাই মোরে ছাড়তে পারে বন্ধু যারা আছে
নিন্দুক সে ছায়ার মতো থাকবে পাছে পাছে।
বিশ্বজনে নিঃস্ব করে, পবিত্রতা আনে
সাধক জনে নিস্তারিতে তার মতো কে জানে?
বিনামূল্যে ময়লা ধুয়ে করে পরিষ্কার,
বিশ্ব মাঝে এমন দয়াল মিলবে কোথা আর?
নিন্দুক সে বেঁচে থাকুক বিশ্বহিতের তরে,
আমার আশা পূর্ণ হবে তাহার কৃপা ভরে।
ক) ‘সদা’ শব্দের অর্থ কী?১
খ) ‘সংশয়ে সংকল্প সদা টলে’কেন? ২
গ) উদ্দীপকের নিন্দুক ও ‘পাছে লোকে কিছু বলে’ দিকটি ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ) উদ্দীপকের নিন্দুকের প্রভাব আর ‘পাছে লোকে কিছু বলে’ কবিতায় বর্ণিত নিন্দুকের প্রভাবকে একসূত্রে 
গাঁথা যায় কি? যুক্তিসহ বুঝিয়ে লেখ।।৪

প্রার্থনা

Saturday, October 24, 2020

প্রার্থনা

কায়কোবাদ

তথ্য কণিকা

১. কবি রিক্ত হাতে দাঁড়িয়েছেন প্রভুর দুয়ারে।

২. প্রভুর গুণগানে আত্মহারা পাখি ।

৩. প্রভুকে ভুলে গেলে প্রাণে জাগে— অবসাদ।

৪. স্রষ্টার প্রসাদ রয়েছে তরুলতা শিরে।

৫, প্রভুর কাছে আরতি জানাতে কবি জানেন না ভক্তি।

৬. ‘প্রার্থনা কবিতায় কবি বর্ণনা করেছেন স্রষ্টার মহিমা।

৭, প্রার্থনা' কবিতায় নিঃসম্বল হলেন- কবি ।

৮. কবি আঁখি জল সঁপতে চেয়েছেন স্রষ্টার কাছে ।

৯. স্রষ্টাকে ডাকতে হয়– একাগ্রচিত্তে।

১০. ক্রোড়' শব্দের অর্থ কোল ।

১১. আরতি' শব্দের অর্থ প্রার্থনা।

১২. চারু' শব্দের অর্থ— সুন্দর ।

১৩. পেষণে’ শব্দের অর্থ— অত্যাচারে ।

১৪. স্তুতি' শব্দের অর্থ প্রশংসা।

১৫, নিকুঞ্জ' শব্দের অর্থ— বাগান।

১৬. ‘প্রার্থনা কবিতাটি লিখেছেন— কায়কোবাদ।

১৭. প্রার্থনা' কবিতার মূল বিষয় স্রষ্টার অনন্ত মহিমা ।

১৮, ‘প্রার্থনা' কবিতাটি— ভক্তিমূলক।

১৯. ‘প্রার্থনা’ কবিতা সংবলিত হয়েছে ‘অশ্রুমালা' কাব্যগ্রন্থ থেকে।

২০. প্রার্থনা' কবিতা পাঠের উদ্দেশ্য— স্রষ্টার মহিমাকীর্তন।

২১. ‘প্রার্থনা' কবিতাটি— স্রষ্টার প্রতি আনুগত্য বৃদ্ধি করবে।

২২. ‘প্রার্থনা' কবিতাটি স্রষ্টার প্রতি স্তুতি বা নিবেদনমূলক রচনা।

২৩. কবি কায়কোবাদ জন্মগ্রহণ করেন ১৮৫৭ সালে।

২৪. তাঁর প্রকৃত নাম— মুহম্মদ কাজেম আল কুরায়শী ।

২৫. কায়কোবাদের গ্রামের বাড়ি অবস্থিত ঢাকা জেলায়।

২৬. তিনি লেখাপড়া করেন প্রবেশিকা পর্যন্ত।

২৭. লেখাপড়া শেষে তিনি চাকরি নেন ডাক বিভাগে।

২৮, তার বিখ্যাত মহাকাব্যের নাম— মহাশ্মশান।

২৯. তাঁর কবিতা লেখার হাতেখড়ি হয় ছােটবেলায়।

৩০. তিনি মৃত্যুবরণ করেন— ১৯৫১ সালে।


নমুনা সৃজনশীল প্রশ্নঃ



১. উদ্দীপক -১
মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে সৃষ্টি করা হলেও পৃথিবীর সব সৃষ্টিই স্রষ্টার গুনগানে সদা মশগুল।ক্ষুদ্র পিপীলিকা ও তাঁ সেক্সির অপার মহিমা থেকে বঞ্চিত নয়।
উদ্দীপক -২
ভাই তোমার দয়া বিনা পাবনা তো ক্ষমা
ওগো মোর দয়াময়
তব করুণা লভিলে হৃদয়
আজিকে ধন্য হয়।
ক) একাগ্র হৃদয় স্রষ্টাকে স্মরণ করলে কী নিভে যায়?
খ) তুমি মোর পথের সম্বল বলতে কি বুঝানো হয়েছে?
গ) ১নং উদ্দীপকে 'প্রার্থনা' কবিতার ফুটে উঠা দিকটি ব্যাখ্যা করো।
ঘ) ২নং উদ্দীপকটি 'প্রার্থনা'-কবিতার মূলভাব কে ধারণ করে। মূল্যায়ন করো।

২. স্রষ্টা পরম করুণাময়। ভক্ত কবির স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতার সীমা নেই। কিন্তু তিনি প্রার্থনা করার প্রথাগত নিয়ম জানেন না। কেবল চোখের জলে নিজেকে স্রষ্টার কাছে নিবেদন করেছেন। সুখ-শান্তিতে, মঙ্গল-অমঙ্গলে, প্রাপ্তিতে-বিরহে তিনি আকুল হয়ে স্রষ্টাকে স্মরণ করেছেন। কেননা স্রষ্টাই স্নেহশীল, স্রষ্টাই মঙ্গলময়।
ক. উদ্ধৃতিটির মর্মকথা কোন কবিতার বিষয়বস্তু?
খ. স্রষ্টার প্রতি কবি কেন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেনÑ ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্ধৃত অংশটি তোমার পঠিত কবিতার সাথে কতটুকু সঙ্গতিপূর্ণ।
ঘ. উদ্ধৃতির আলোকে স্রষ্টার মঙ্গলময় স্বরূপ বিশ্লেষণ করো।

Friday, October 23, 2020

বাবুরের মহত্ত্ব

কালিদাস রায়

> তথ্য কণিকা

১. খানুয়ার প্রান্তরে নিহত হয় সংগ্রাম সিং।

২. রণবীর চৌহানের সততা দেখে মুগ্ধ হন - বাবুর।

৩. বাবুর ছদ্মবেশ ধারণ করেন --- প্রজার দুঃখ লাঘবের জন্য।
৪. বাবুরের মহত্ত্ব' কবিতার বিষয়বস্তু - বাবুরের মহানুভবতা ।
৫. বাবুরের মহত্ত্বকবিতা পাঠকদের শিক্ষা দেয় --মানবিক হতে ।
৬. বাবুরের মহত্ত্বকবিতায় প্রকাশ পেয়েছে বাবুরের মহানুভবতা ।
৭.হতশব্দের অর্থনিহত।
৮. বাদশাগণ যে আসনে বসে শাসনকার্য পরিচালনা করেনশাহিগদি, সিংহাসন।
৯ কবি জিনিতে' বলতে বুঝিয়েছেনজয় করতে।
১০. রণশব্দের অর্থযুদ্ধ।
১১. করতলশব্দের অর্থহাতের তালু।
১২. মসনদ' শব্দের অর্থসিংহাসন ।
১৩. কৃপাণহচ্ছেতলােয়ার ।
১৪. 'ঘাতকশব্দের অর্থহত্যাকারী।
১৫. দণ্ডবিধান' শব্দের অর্থশাস্তি প্রদান।
১৬. বাবুরের মহত্ত্বকবিতার কবি কালিদাস রায়।
১৭, বাবুরের মহত্ত্বকবিতাটি সংকলিত হয়েছে- পর্ণপুট' কাব্যগ্রন্থ থেকে ।
১৮. কালিদাস রায় এই কবিতায় তুলে ধরেছেন--- বাবুরের মহৎ আদর্শ ও মানবিক মূল্যবােধকে।
১৯. ভারতে মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা --- সম্রাট বাবুর।
২০. রাজ্য জয়ের পর বাবুর মনোযোগী হলেনপ্রজাসাধারণের হৃদয়জয়ে।  
২১. বাবুরকে কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন নারাজপুতগণ।
২২. বাবুরকে হত্যার উদ্দেশ্যে দিল্লির রাজপথে ঘুরছিলরণবীর চৌহান।
২৩, মত্ত হাতির কবল থেকে বাবুর রক্ষা করলেন --- মেথর শিশুকে ।
২৪, বাবুর রণবীর চৌহানকে নিযুক্ত করলেন --- নিজের দেহরক্ষী হিসেবে।
২৫. কবি কালিদাস রায় জন্মগ্রহণ করেন --- ১৮৮৯ সালে।
২৬. কালিদাস রায়ের বিশেষত্ব রয়েছেকাহিনী-কবিতা রচনায়।
২৭. কালিদাস রায় তাঁর কবিতায় সার্থক প্রয়ােগ ঘটিয়েছেনআরবি-ফারসি শব্দের।
২৮. কালিদাস রায় ভূষিত হন— ‘কবিশেখর' উপাধিতে।
২৯. রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কালিদাস রায়কে প্রদান করে সম্মানসূচক -- ডি লিট ডিগ্রি।
৩০. কালিদাস রায় মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৭৫ সালে।


অনুধাবনমূলক প্রশ্নঃ-

১.'বড়ই কঠিন জীবন দেওয়া যে জীবন নেওয়ার চেয়ে'-কেন?
২. 'মাটির দখলই খাঁটি জয় নয়'- বলতে কী বুঝানো হয়েছে?
৩. কৃতঘ্ন দৌলত বলতে কী বুঝানো হয়েছে?
৪. 'ফেলে দিয়ে ওরে এখন করো গে স্নান'-উক্তিটি কেন করা হয়েছে?
৫. সম্রাট বাবর ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়াতেন কেন?
৬. ফেলে দিয়ে ওরে এখন করগে স্নান'- উক্তিটি কেন করা হয়েছে?
৭. সঁপিনু জীবন, করুন এখন দণ্ডবিধান মাের’- উক্তিটি কার কেন?
৮. "প্রাণ রক্ষকই হইলে আমার প্রাণের ঘাতক নও"- উক্তিটি বুঝিয়ে লেখো।
৯. বাবুর কিভাবে মোঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন?
১০. বীরভোগ্যা এ বসুধা একথা সবাই কয়'- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
১১. "ভারত ভূমির যোগ্য পালক যেবা / তাহারে ছাড়িয়া, এ ভূমি অন্য কাহারে করিবে সেবা?"- উক্তিটি বুঝিয়ে লেখো। 



নমুনা সৃজনশীল প্রশ্নঃ


১. প্রচণ্ড বন্যায় ডুবে যায় টাঙ্গাইলের ব্যাপক অঞ্চল।অনেকেরই ঘর-বাড়ি ডুবে যায়। নিরাশ্রয় হয়ে পড়ে
অগণিত মানুষ। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এমন একটা পরিবার নৌকায় চড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটে।তীব্র স্রোতের টানে নৌকাটি উল্টে গেলে সবাই সাঁতার কেটে উঠে এলেও জলে ডুবে যায় একটি শিশু। বড় মিয়া নামের এক যুবক এ দৃশ্য দেখে ঝাপিয়ে পড়ে উদ্ধার করেন শিশুটিকে। কূলে উঠে
অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ডাক্তার এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানালেন বড় মিয়া আর বেঁচে নেই।
ক. রনবীর চৌহান কে ছিলেন?
খ. বড়ই কঠিন জীবন দেওয়া যে জীবন নেওয়ার চেয়ে'-কেন?
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত বড় মিয়া আবরণে বাবুরের মহত্ত্ব কবিতায় ফুটে ওঠা দিকটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকটিতে বাবুরের মহত্ত্ব কবিতার একটা বিশেষ দিকের প্রতিফলন ঘটলেও সমভাব ধারণ করে না যুক্তিসহ বুঝিয়ে লিখ।---৪
২. বাঁচিতে চাই না আর
জীবন আমার সঁপিলাম, পীর, পুত পদে আপনার।
ইব্রাহীমের গুপ্তঘাতক আমি ছাড়া কেউ নয়,
ঐ অসিখানা এ বুকে হানুন সত্যের হােক জয়।
ক. বাবুর-এর আসল নাম কী?
খ. "সঁপিনু জীবন, করুন এখন দণ্ডবিধান মাের’- উক্তিটি কার কেন?
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ইব্রাহীমের গুপ্তঘাতকের সাথে বাবুরের মহত্ত্ব কবিতায় বর্ণিত রাজপুত বীরের সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকটি বাবুরের মহত্ত্ব কবিতার সমগ্র ভাব প্রকাশে কতটুকু সক্ষম তা যুক্তি সহকারে বুঝিয়ে বল।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Thursday, October 22, 2020

নারী

কাজী নজরুল ইসলাম
> তথ্য কণিকা
১. কবি নারীকে তুলনা করেছেন — নরের সমকক্ষ হিসেবে।
২. ইতিহাসে লেখা কী হয়নি ?— নারীর অবদান।
৩. নিজের রচিত কারাগারে ভুগে মরবে কারা?— পুরুষ।
৪. জগতের বড় বড় অভিযান সফল হয়েছে কাদের ত্যাগে?— নারীর ত্যাগে ।
৫. নারী প্রেরণা ও শক্তি দিয়েছে কি হিসেবে? —বিজয় লক্ষ্মীরূপে।
৬. পুরুষশাসিত সমাজ ব্যবস্থা থাকায় — পুরুষ দাস ছিল না।
৭. বর্তমান যুগ হলো কেমন যুগ?— সাম্যের যুগ।
৮. সকলের জন্য সমঅধিকার কি?— সাম্য ।
৯. মহীয়ান’ শব্দের অর্থ কী? — সুমহান।
১০. নারীর সিঁদুর মুছে যায় কী হলে? — স্বামীর মৃত্যু ঘটলে ।
১১. জয়ের নিয়ন্তা দেবী হিসেবে কল্পনা করা হয় — নারীকে।
১২. ডঙ্কা' শব্দের অর্থ কী?— জয়ঢাক।
১৩. ‘পীড়ন' বলতে কী বােঝায়?— অত্যাচার।
১৪. নারী’ কবিতার লেখক কে? – কাজী নজরুল ইসলাম।
১৫. নারী’ কবিতাটি সংকলিত হয়েছে কোথা থেকে?— 'সাম্যবাদী’ কাব্যগ্রন্থ থেকে।
১৬. কবি নারী-পুরুষকে কেমন দেখেন?— মানুষ হিসেবে।
১৭. মানবসভ্যতায় নারী-পুরুষের অবদান কেমন? — সমান।
১৮. কাজী নজরুল ইসলাম কেমন ছিলেন? — সাম্যবাদের কবি ।
১৯. পৃথিবীতে অবদান বেশি লেখা হয়েছে — পুরুষের।
২০. বর্তমান দিনে অধিকার ক্ষুন্ন করা যাবে না— নারীর।
২১. কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম কত সালে? — ১৮৯৯।
২২. কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম কত তারিখে? – ২৪শে মে।
২৩. কাজী নজরুল ইসলাম যুদ্ধে যােগ দিয়েছিলেন— ১০ম শ্রেণির ছাত্র থাকাকালে।
২৪. কত সালে বাঙালি পল্টন ভেঙে যায়? — ১৯১৯ সালে।
২৫. যুদ্ধ থেকে ফিরে নজরুল আত্মনিয়ােগ করেন — সাহিত্যচর্চায় ।
২৬. ‘ বিজলী’কোন ধরনের পত্রিকা?-- সাপ্তাহিক পত্রিকা।
২৭. ‘বিদ্রোহী' কবিতাটি লিখেছেন — কাজী নজরুল ইসলাম।
২৮. বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি — কাজী নজরুল ইসলাম।
২৯. কাজী নজরুল ইসলাম কঠিন রােগে আক্রান্ত হন— ৪৩ বছর বয়সে।
৩০. নজরুল ইসলামকে কত সালে ঢাকায় আনা হয়? — ১৯৭২ সালে।
 
 
বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
. নরের অবদানের কথা লেখা হলেও নারীর অবদানের ইতিহাস লেখা হয়নি কেন?
)  নারীর প্রতি উদাসীনতার জন্য খ) নারীকে অবমূল্যায়নের জন্য
) নারীর শক্তি কম বলে। () নারীর অবদান কম বলে
.নারীকবিতায় কবির কোন দিক প্রবল হয়ে ফুটে উঠেছে?
) মানবিকতা খ) অসাম্প্রদায়িকতা  ) সাম্যবাদিতা ঘ) বিচক্ষণতা
. ‘নারীকবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত?
) সাম্যবাদী খ) বিষের বাঁশী গ) অগ্নি-বীণা () সর্বহারা
. বীরের স্মৃতিস্তম্ভের গায়ে কোনটি লেখা নেই?
) মায়ের সেবা খ) বধূদের আত্মত্যাগ গ) নারীর সিঁথির সিঁদুর () বোনের সেবা
. নারীকবিতায় কবি সাম্যের গান গেয়েছেন-
) নারী পুরুষের ভেদাভেদ রক্ষায় খ) নারী পুরুষের কল্যাণ কামনায় |
) নারী পুরুষের সম-অধিকার প্রতিষ্ঠায় ) নারী পুরুষের স্বীকৃতির জন্য
. ‘যেমন কর্ম তেমন ফল’– প্রবাদ বাক্যটির সাদৃশ্যপূর্ণ চরণ কোনটি?
) বেদনার যুগ মানুষের যুগ, সাম্যের জুগ আজি
) অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর
)  পীড়ন করিলে সে-পীড়ন এসে পীড়া দেবে তোমাকেই
) কেহ রহিবে না বন্দী কাহারও, উঠিছে ডঙ্কা বাজি
. পৃথিবীর মানবসভ্যতা নির্মাণে প্রয়োজন কোনটি?
) নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা খ) পুরুষের অধিকার কমানো
) নারী ও পুরুষের সমান অধিকার ঘ) নারীর অধিকার
. জগতের যত বড় বড় জয় বড় বড় অভিযান
মাতা ভগ্নি ও বধুদের ত্যাগে হইয়াছে মহীয়ান।'-
) নারীর প্রতি শ্ৰদ্ধাবোধ খ) নারীর অধিকারের স্বীকৃতি
) নারীর যোগ্যতার মূল্যায়ন ঘ) নারীর ইতিহাসে অবস্থানের স্বীকৃতি
.  “যেমন কর্ম তেমন ফল'- এ প্রবাদ বাক্যটির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ চরণ নিচের কোনটি?
) কত নারী দিল সিঁথির সিঁদুর, লেখা নাই তার পাশে
) কোনো কালে একা হয়নি কো জয়ী পুরুষের তরবারি
) কে রহিবে না বন্দী কাহারও, উঠিছে ডঙ্কা বাজি
) পীড়ন করিলে সে পীড়ন এসে পীড়া দেবে তোমাকেই
১০. কাজী নজরুল ইসলামকে কত সালে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়?
) ১৯৭০ খ) ১৯৭২ গ) ১৯৭৪ ঘ) ১৯৭৬

নমুনা সৃজনশীল প্রশ্নঃ
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন

১. কবি বর্তমান সময়কে 'বেদনার যুগ' বলতে কী বুঝিয়েছেন?
২. 'সাম্যের গান '-বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
৩. 'পীড়ন করিলে সে পীড়ন এসে পীড়া দেবে তোমাকেই' - ব্যাখ্যা করো।
৪. পুরুষদের বিজয়ের ইতিহাসে নারীরা কীভাবে সহযোগিতা করেছেন? ব্যাখ্যা করো।
৫. কবি বর্তমান যুগকে 'মানুষের যুগ'- বলেছেন কেন?ব্যাখ্যা করো।
৬. "বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর/অর্ধেক তার করিয়াছে নারী,অর্ধেক তার নর"- ব্যাখ্যা করো।
৭. নারীকে বিজয়লক্ষ্মী বলার কারণ ব্যাখ্যা করো।
৮.‘যুগের ধর্ম এই’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
৯. নারীর অবদান সে যুগে ইতিহাসে লেখা হয়নি কেন? ২

১. ১৯১০ সালের ২৬ আগস্ট মেসিডোনিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন আলবেনিয়ান বংশোদ্ভূত ভারতীয় ক্যাথলিক সন্ন্যাসিনী মাদার তেরেসা। সুদীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে নিঃস্বার্থভাবে দরিদ্র, অসুস্থ ও মৃত্যুপথযাত্রী মানুষের সেবা করেছেন। কোলকাতায় তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’ নামে একটি সেবা প্রতিষ্ঠান। ১৯৭৯ সালে তিনি মানবিক সেবাকার্যের জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন। ১৯৮০ সালে ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘ভারতরত্ন’ লাভ করেন। ১৯৯৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর এই মহিয়সী নারী মৃত্যুবরণ করেন।
ক. ‘নারী’ কবিতাটি কোথা থেকে সংকলিত হয়েছে? ১ 
গ. উদ্দীপকটি ‘নারী’ কবিতার কোন্ দিকটিকে প্রতিফলিত করে বর্ণনা কর। ৩
ঘ. ‘মাদার তেরেসাই কাজী নজরুল ইসলামের কাঙ্ক্ষিত নারী’- ‘নারী’ কবিতা অবলম্বনে মন্তব্যটির যথার্থতা যাচাই কর। ৪

২. আনোয়ারা নামটি এখন টক অব দ্য কান্ট্রি। একজন নারী হয়ে জাতিসঙ্ঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নির্বাচন সংক্রান্ত কাজ করছেন। সম্প্রতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মতো বিশাল কর্মযজ্ঞ তিনি কৃতিত্বের সাথে সমাপ্ত করছেন। রিটার্নিং অফিসার হিসেবে তিনি অন্য পুরুষ সহকর্মীদের কাছ থেকে যথাযথ সাহায্য-সহযোগিতা পেয়েছেন। নারী বলে কোথাও তাকে সমস্যায় পড়তে হয়নি।
ক) ‘নারী’ কবিতাটি কাজী নজরুল ইসলামের কোন কাব্য গ্রন্থ থেকে সঙ্কলিত? ১
খ) কবি বর্তমান সময়কে ‘বেদনার যুগ’ বলেছেন কেন? ২
গ) আনোয়ারার কার্যক্রমে ‘নারী’ কবিতার যে দিকটি ফুটে উঠেছে তার বর্ণনা দাও। ৩
ঘ) “উদ্দীপকে কাজী নজরুল ইসলামের অনুভূতির প্রতিফলন ঘটলেও ‘নারী’ কবিতার কবি আরো বেশি বাক্সময়"- বক্তব্যটি বিশ্লেষণ করো। ৪

৩. নারী ও পুরুষের সম্মিলিত শক্তিতে নির্মিত হয়েছে আজকের মানব সভ্যতা। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পুরুষদের অবদান প্রত্যক্ষ; কিন্তু নারীদের অবদান পরোক্ষ বলে মানুষ অনেক সময় তা বুঝতে পারে না। একজন পুরুষের সফলতার পেছনে রয়েছে মা-বোনের উৎসাহ ও উদ্দীপনা। এক কথায় নারী ও পুরুষের ত্যাগের মহিমাই আজকের দুনিয়া।
ক. বিদ্রোহী কবিতাটি কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়?
বা, ‘সাম্যের গান’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকে ‘নারী’ কবিতায় যে ভাবের প্রতিফলন প্রকাশ পেয়েছে, তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. সভ্যতা নির্মাণে পুরুষের পাশাপাশি নারীর অবদান কবিতার আলোকে লেখো।
 
৪. নারীদের প্রেরণাদায়ক একটি নাম আনােয়ারা। একজন নারী হয়ে জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নির্বাচন-সংক্রান্ত কাজ করেছেন। সম্প্রতি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মতাে বিশাল কর্মযজ্ঞ তিনি কৃতিত্বের সাথে সমাপ্ত করেছেন।রিটার্নিং অফিসার হিসেবে তিনি অন্য পুরুষ সহকর্মীদের কাছ থেকে যথাযথ সাহায্য-সহযােগিতা পেয়েছেন। নারী বলে কোথাও তাকে সমস্যায় পড়তে হয় নি।
ক. নারী ’ কবিতাটি কাজী নজরুল ইসলামের কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত?
গ. আনােয়ারার কার্যক্রমে নারী' কবিতার যে দিকটি উদ্ভাসিত হয়েছে তার বর্ণনা দাও।
ঘ. উদ্দীপকে কবি কাজী নজরুল ইসলামের অনুভূতির প্রতিফলন ঘটলেও নারী ' কবিতায় কবি আরও বেশি বাজয় – বক্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
 
৫. জনৈক সমালােচকের মতে ব্রিটিশ ভারতে বঙ্গীয় মুসলমান নারীসমাজ ছিল অজ্ঞতা, কুসংস্কার ও ধর্মীয় বিধি-নিষেধের নিগড়ে আবদ্ধ। নিরক্ষরতা, অশিক্ষা ও সামাজিক ভেদ-বুদ্ধিও ছিল তাদের জন্য নিয়তির মতাে সত্য। অবরুদ্ধ জীবন-যাপনে অভ্যস্ত এক অসহায় জীবে তারা পরিণত হয়েছিলেন।।এদেরকে আলাের জগতে আনার জন্য রােকেয়া সাখাওয়াত হােসেন আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তার বক্তব্য 'আমরা সমাজেরই অর্ধাঙ্গ। আমরা পড়িয়া থাকিলে সমাজ উঠিবে কীভাবে? কোন এক পা বাধিয়া রাখিলে সে খোঁড়াইয়া কতদূর চলিবে? পুরুষের স্বার্থ এবং আমাদের স্বার্থ ভিন্ন নহে— একই।
ক. ‘ বিজয়-লক্ষ্মী নারী'- অর্থ কী?
গ. জনৈক সমালােচকের মতটি নারী ’ কবিতার কোন দিকটির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ — ব্যাখ্যা কর।
ঘ. বেগম রােকেয়ার বক্তব্য যেন কাজী নজরুল ইসলামের 'নারী ’ কবিতারই প্রতিধ্বনি — উক্তিটি মূল্যায়ন করো।
 

Wednesday, October 21, 2020

আবার আসিব ফিরে

জীবনানন্দ দাশ

• তথ্য কণিকা

১. কবি আবার ফিরে আসতে চেয়েছেন ধানসিঁড়ি তীরের বাংলায় ।।
২. কবি আবার ফিরে আসতে চেয়েছেনশঙ্খচিলের বেশে।
৩. 'আবার আসিব ফিরে' কবিতায় উল্লেখ আছে— কাঁঠাল ও শিমুল গাছের ।
৪. কবি বাংলাদেশকে বলেছেন — নবান্নের দেশ।
৫. কবিতায় খইয়ের ধান ছড়ায় — শিশু।
৬. শিমুলের ডালে ডাকে— লক্ষ্মীপেঁচা।
৭. কিশােরীর পায়ের ঘুঙুর থাকবে — হাঁসের পায়ে।
৮. সাদা হেঁড়া পালে ডিঙা বায়— কিশাের।
৯. কিশােরের নৌকার পালের রং — সাদা।
১০. শঙ্খচিল হলাে— এক প্রকার সাদা চিল ।
১১. 'সুদর্শন' বলতে বােঝায়— এক প্রকার পােকা।
১২. সুলক্ষণযুক্ত পেঁচাকে বলা হয় — লক্ষ্মীপেঁচা
১৩. 'ধবল’ শব্দের অর্থ- সাদা।
১৪. নতুন ধান কাটার উৎসবকে বলে— নবান্ন।
১৫. ধানসিঁড়ি হলাে— নদীর নাম ।
১৬. খুলনা শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে — রূপসা নদী
১৭. জল যার অঙ্গে — জলাঙ্গী
১৮. নবান্ন উৎসব অনুষ্ঠিত হয় — কার্তিক মাসে।
১৯. 'আবার আসিব ফিরে' কবিতাটি নেওয়া হয়েছে — ‘রূপসী বাংলা কাব্য থেকে।
২০. দেশের সঙ্গে কবির বাধন শেষ হবে না — মৃত্যুর পরেও।
২১. স্বদেশের তুচ্ছ জিনিসগুলাে কবির চোখে — সুন্দর হয়ে ধরা দেয়।
২২. হাঁস হয়ে কলমির গন্ধভরা জলে সারাদিন ভাসবেন— কবি ।
২৩. দিন শেষে নীড়ে ফিরে আসা ধবল বকের ভীড়ে পাওয়া যাবে — কবিকে।
২৪. ভােরের কাক হয়ে কবি মিশে যাবেন — কুয়াশায়।
২৫. সাদা বকের দল মেঘের কোল ঘেঁষে — নীড়ে ফিরে আসে।
২৬. জীবনানন্দ দাশ জন্মগ্রহণ করেন— বরিশালে ।
২৭. আবার আসিব ফিরে' কবিতাটি লিখেছেন — জীবনানন্দ দাশ।
২৮. জীবনানন্দ দাশ এম, এ ডিগ্রি অর্জন করেন — ইংরেজিতে।
২৯. রূপসী বাংলা কাব্যের রচয়িতা — জীবনানন্দ দাশ।
৩০, জীবনানন্দ দাশ নিহত হন — ট্রাম দুর্ঘটনায় ।

অনুধাবনমূলক প্রশ্নঃ-
১. মানুষ না হয়ে শঙ্খচিল,শালিকের বেশে জীবনানন্দ দাশ এদেশে ফিরতে চান কেন?
২. জলাঙ্গীর ঢেউয়ে ভেজা বাংলা '- বলতে কী বুঝানো হয়েছে? 
৩. "আমারেই পাবে তুমি ইহাদের ভিড়ে"- চরণটির দ্বারা কী বুঝানো হয়েছে?  বুঝিয়ে লেখো।
৪. কবি বাংলার বুকে ফিরে আসতে চান কেন?
৫. কবি কীভাবে ও কি কি রুপ ধারণ করে এই বাংলায় আবার ফিরে আসতে চেয়েছেন?
৬. কবি বাংলার বুকে ফিরে আসতে চান কেন?
৭. কবি ধানসিঁড়িটির তীরে আসতে চেয়েছেন কেন?
৮. আবার আসিব ফিরে '- কবিতার গ্রামের যে রূপ ফুটে উঠেছে তা বর্ণনা করো।

নমুনা সৃজনশীল প্রশ্নঃ

১. তোমার যেখানে সাধ চলে যাও—আমি এই বাংলার পারে রয়ে যাব; দেখিব কাঁঠাল পাতা ঝরিতেছে ভোরের বাতাসে; দেখিব খয়েরি ডানা শালিকের সন্ধ্যায় হিম হয়ে আসে, ধবল রোমের নিচে তাহার হলুদ ঠ্যাং ঘাসে অন্ধকারে নেচে চলে—একবার-দুইবার-তারপর হঠাৎ তাহারে বনের হিজলগাছ ডাক দিয়ে নিয়ে যায় হূদয়ের পাশে। 

ক. ‘কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব এ কাঁঠাল ছায়ায়’ এর পরের চরণটি লেখো। ১
খ. কবি জীবনানন্দ দাশ শঙ্খচিল, শালিকের বেশে আবার ফিরে আসতে চেয়েছেন কেন? ২
গ. উদ্দীপকে ‘আবার আসিব ফিরে’ কবিতার যে ভাব প্রস্ফুটিত হয়ে উঠেছে, তা ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উপাদানগত পার্থক্য থাকলেও ‘উদ্দীপকটি ‘আবার আসিব ফিরে’ কবিতার প্রতিপাদ্য বিষয় প্রকাশে সক্ষম—মন্তব্যটির সঙ্গে তুমি কি একমত? তোমার মতের পক্ষে যুক্তি দাও। ৪ 

২. বহু দিন নানা দেশ ঘুরে শেষ জীবনে গ্রামে ফিরে যেন নিজের আশ্রয় খুঁজে পেলেন হাবিব সাহেব। বাংলার নদী, মাঠ, ঘাস, লতা তাঁকে যেন স্নেহের বাঁধনে বাঁধল। এ দেশের নানা জাতের পাখির কলকাকলিতে তিনি সংগীতের মূর্ছনা খুঁজে পেলেন। চৌধুরী সাহেবের মনে হলো, যদি বারবার জন্ম নেওয়া সম্ভব হতো তাহলে এ দেশের বুকেই জন্ম নিতেন তিনি। এ দেশ ছেড়ে কখনোই কোথাও যাবেন না তিনি।
ক. উঠানে খইয়ের ধান ছড়ায় কে?
খ. ‘কার্তিকের নবান্নের দেশে’ বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে? —বুঝিয়ে লেখো।
গ. উদ্দীপকের হাবিব সাহেবের সঙ্গে ‘আবার আসিব ফিরে’ কবিতার কবির ভাবনার মিল কোথায়? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপক ও ‘আবার আসিব ফিরে’ কবিতায় প্রকাশিত দেশপ্রেমের স্বরূপ বিশ্লেষণ করো।

৩. বাংলার হাওয়া বাংলার জল
হৃদয় আমার করে সুশীতল
এত সুখ শান্তি এত পরিমল
কোথা পাব আর বাংলা ছাড়া
ক. ধানসিঁড়ি নদী কোন জেলায়?
খ. ‘নবান্নের দেশ’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
গ. উদ্দীপকটি ‘আবার আসিব ফিরে’ কবিতার সঙ্গে যে দিক থেকে সাদৃশ্যপূর্ণ, তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের ভাবের সঙ্গে কবি জীবনানন্দের বাংলায় ফিরে আসার আকাঙ্ক্ষা কিভাবে সম্পৃক্ত? কবিতার আলোকে ব্যাখ্যা করো।

৪. ও আমার বাংলা মা তোর
আকুল করা রূপের সুধায়
হৃদয় আমার যায় জুড়িয়ে।।
ফাগুনে তোর কৃষ্ণচূড়া
পলাশ বনে কিসের হাসি।
চৈতি রাতের উদাস সুরে
রাখাল বাজায় বাঁশের বাঁশি।।
ক) রাঙা মেঘ সাঁতরায়ে কে নীড়ে ফিরছে?
খ) নবান্নের দেশ বলতে কি বুঝিয়েছেন?
গ) উদ্দীপকের সাথে 'আবার আসিব ফিরে' কবিতার যেদিক দিয়ে সাদৃশ্য রয়েছে তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ) সাদৃশ্য থাকলেও উদ্দীপকটিতে 'আবার আসিব ফিরে' কবিতার কবির আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ পায়নি। মন্তব্যটি বিচার করো।

৫. পল্লির সন্তান অমিত উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে উচ্চশিক্ষার্থে ফ্রান্স যায়। সেখানকার সুপ্রশস্ত রাজপথ, উদ্যান, নির্মল প্রকৃতি তার খুব ভালাে লাগে। রাস্তাঘাট, রেলস্টেশন, বাস-স্টপেজ সব জায়গায় দেশি-বিদেশি স্মরণীয় ব্যক্তিবর্গের মূর্তি স্থাপনের মাধ্যমে ফরাসিদের দেশপ্রেম দেখে সে বিস্মিত
হয়। ওদের ক্যাফে, মিউজিয়াম সবকিছুই তাকে আকৃষ্ট করে। উচ্চশিক্ষা শেষ করে অমিত স্থায়িভাবে সেখানে থেকে যায়। তার অতীত স্মৃতি ফরাসি সৌন্দর্যের মােহে ক্রমশ ধূসর হয়ে যায়।
ক, উঠানে খইয়ের ধান ছড়ায় কে?
খ. মানুষ না হয়ে শঙ্খচিল, শালিকের বেশে জীবনানন্দ দাশ এদেশে ফিরতে চান কেন?
গ. ‘ আবার আসিব ফিরে ' কবিতায় উদ্দীপকের ফরাসি জাতির কোন দিকটির প্রতি ইঙ্গিত করে?বর্ণনা কর।
ঘ. অমিতের অনুভূতি আর জীবনানন্দ দাশের অনুভূতি সম্পূর্ণ ভিন্ন — উক্তিটি মূল্যায়ন কর।(পাঠ্যবই সৃজনশী)  
৬. ‘ বাংলার হাওয়া বাংলার জল।
হৃদয় আমার করে সুশীতল
এত সুখ শান্তি এত পরিমল
কোথা পাব আর বাংলা ছাড়া
ক, আবার আসিব ফিরে' কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে নেয়া হয়েছে?
খ. ‘ বাংলার সবুজ করুণ ডাঙা ’ বলতে কী বােঝানাে হয়েছে?
গ. উদ্দীপক অবলম্বনে ‘ আবার আসিব ফিরে ' কবিতার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বর্ণনা দাও।
ঘ, কোথা পাব আর বাংলা ছাড়া’- কথাটির সঙ্গে কবি জীবনানন্দ দাশের বাংলায় ফিরে আসার
আকাঙ্ক্ষা কীভাবে সম্পর্কিত আলােচনা কর। ৪(পাঠ্যবই সৃজনশীল) 

Recent Post

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯

১. ‘ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ ’ কবিতায় সালামের হাতে কেন অবিনাশী বর্ণমালা ঝরে ? ক. সংগ্রামী চেতনার কারণে     খ. দুঃখিনী মাতার অশ্রুজল দেখে গ. বরকত...

Most Popular Post