Ad-1

Wednesday, September 30, 2020

অতিথির স্মৃতি

অতিথির স্মৃতি

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
জন্ম: ১৮৭৬ পশ্চিমবঙ্গ,হুগলি জেলা,দেবানন্দপুর গ্রাম।
উপাধি : অপরাজেয় কথাশি।
রেঙ্গুন : ১৯০৩-১৯১৬।
১৯০৭ সালে 'ভারতী' পত্রিকায় 'বড়দিদি' প্রকাশ।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক 'জগত্তারিণী' পদক।
শেষপ্রশ্ন,গৃহদা, পথেরদা, শ্রীকান্ত ইত্যাদি বিখ্যাত উপন্যাস।

মূলগল্পঃ দেওঘর/রাত তিনটা/ভজন গান/টুনটুনি,শ্যামা,দোয়েল,বেনে বৌ,ইউক্যালিপটাস গাছ/দুই দিন/তিনদিনের দিন দেখতে পাওয়া/ব্যাধ/
গেইটে বসা/বেরিবেরি রোগী দেখা/নিজের যাওয়া/কুকুরের দেখা/
অতিথি বানালো/না প্রবেশ করা/খেতে দেওয়ার নির্দেশ/না খেতে দেওয়া/মালিনীর উচ্ছিষ্ট নিয়ে যাওয়া/বিদায় বেলা কুকুরের জিনিস গোছানোর তাড়া/বখশিশ দেওয়া/বিদায়।

অতিথির স্মৃতি(দেওঘরের স্মৃতি)
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৭৬-১৯৩৮)

★জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

১. গল্পকথক চিকিৎসকের আদেশে এসেছিলেন—দেওঘরে ।
২. রাত্রি তিনটে থেকে শুরু হতাে— ভজন গান ।।
৩. রাত্রিশেষ হলে আনাগােনা শুরু হতাে— পাখিদের।
৪. ফোলা পায়ের লজ্জা ঢাকতে মােজা পরত— বেরিবেরি রােগে আক্রান্ত মেয়েরা।
৫. গল্পকথকের ধারণা, সন্ধ্যার পূর্বে ঘরে ফিরছিল— বাতব্যাধিগ্রস্তরা।
৬. লেখক অতিথিকে পেটপুরে খেতে দিতে বলেছিলেন— বামুনঠাকুরকে।
৭. আতিথ্যের মর্যাদা লঙ্ঘন করেছিল— কুকুরটি।
৮. খাবার সম্পর্কে নির্বিকারচিত্ত ছিল— মালিনী।
৯. গল্পকথক দেওঘরে নানা ছলে দেরি করলেন— দুই দিন।
১০. অতিথি কুকুরটির প্রতি ভালােবাসায়— লেখক বাড়ি ফেরার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিলেন।
১১. দেবদেবীর স্তুতি বা মহিমাকীর্তনকে বলে— ভজন।
১২. লতাপাতায় আচ্ছাদিত বৃত্তাকার স্থানকে বলে— কুঞ্জ বা উপবন।
১৩. শোথ জাতীয় রােগকে বলে— বেরিবেরি ।
১৪. বেরিবেরির আসামি হলো- অল্পবয়সী একদল মেয়ে।
১৫. ‘অতিথির স্মৃতি' গল্পের মূল নাম ছিল— 'দেওঘরের স্মৃতি’ ।
১৬. ‘অতিথির স্মৃতি' গল্পের মূল বিষয় মানবেতর প্রাণীর প্রতি মমত্ববােধ ও নিষ্ঠুরতা পরিহার।
১৭. ‘অতিথির স্মৃতি' গল্পে প্রকাশিত হয়েছে— প্রাণীর প্রতি উদার মানবিক বােধ।
১৮. কুকুরের সঙ্গে গল্পকথকের সৃষ্টি হয়েছে- মমত্বের সম্বর্ক।
১৯. স্নেহ-প্রীতির সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে মানুষের সঙ্গে প্রাণীরও।
২০. ‘অতিথির স্মৃতি' গল্পে প্রকাশ পেয়েছে— সঙ্কর্কের বিচিত্র রূপ।
২১. শরশ্চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় জন্মগ্রহণ করেন ১৮৭৬ সালে।
২২. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় জন্মগ্রহণ করেন— হুগলি জেলার দেবানন্দপুর গ্রামে।
২৩. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পড়ালেখা অসামাপ্ত থাকে— দারিদ্র্যের কারণে।
২৪. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় জীবিকার সন্ধানে গমন করেন রেগুন।।
২৫. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মৃত্যু বরণ করেন— ১৯৩৮ সালে।
২৬. বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক– শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় 
২৭. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় জনপ্রিয় হয়েছিলেন পাঠকের আবেগকে উপলব্ধি করতে পারায়।
২৮. তাঁর উল্লেখযােগ্য উপন্যাস— দেবদাস, শ্রীকান্ত, গৃহদাহ, দেনাপাওনা, পথের দাবী, শেষ প্রশ্ন।
২৯. শরৎচন্দ্ৰ জগত্তারিণী স্বর্ণপদক লাভ করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ।।
৩০. শরশ্চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লাভ করেন ডি.লিট উপাধি ।
৩১. শরৎচন্দ্রের সাহিত্যিক খ্যাতি ছড়ায়— 'বড়দিদি' উপন্যাসের মাধ্যমে।
৩২. 'বড়দিদি ' - উপন্যাস প্রকাশিত হয় - ভারতী পত্রিকায় ১৯০৭ সালে।
৩৩. সবচেয়ে ভোরে ওঠে - দোয়েল পাখি।
৩৪. বেনে-বৌ পাখির রঙ ছিল- হলুদ।
৩৫. প্রাচীরের ধারের গাছটির নাম ছিল- ইউক্যালিপটাস।
৩৬. শরৎচন্দ্র রেঙুন অবস্থান করেছিলেন - ১৩ বছর (১৯০৩-১৯১৬)।
৩৭. ‘পাণ্ডুর’ শব্দের অর্থ— ফ্যাকাশে।
৩৮. বেরিবেরির আসামি কারা?

অনুধাবনমূলক প্রশ্নঃ
১. মালি-বৌ কুকুরটাকে তাড়িয়ে দিত কেন?
২. 'বেরিবেরির আসামী '- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
৩. "ফোলা পায়ের লজ্জা ঢাকতে বেচারাদের কতো না যত্ন"- লেখক কেন এ কথাটি বলেছেন?
৪. "আতিথ্যের মর্যাদা লঙ্ঘন করে সে আরামে নিশ্চিন্তে হয়ে বসে আছে"- বুঝিয়ে লেখো।
৫. বকশিস পেল সবাই, পেল না কেবল অতিথি - কেন?
৬. অতিথি কিছুতেই ভিতরে ঢোকার ভরসা পেল না কেন?
৬. 'অতিথির স্মৃতি ' গল্পে লেখকের কেন মনে হতে লাগলো, হয়তো ওর মতো তুচ্ছ জীব শহরে আর নেই! ব্যাখ্যা করো।
৭. অতিথি প্রথম দিন বাড়ির ভিতরে ঢোকার ভরসা পেল না কেন? ব্যাখ্যা করো।

১. দীর্ঘ দিন রোগ ভোগের পর জাহিদের স্বাস্থ্যহানি ঘটেছে। এ অবস্থায় তাকে পুরোপুরি সুস্থ করে তোলার উদ্দেশ্যে
আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য শ্রীমঙ্গলে চা-বাগান এলাকায় পাঠানো হয়। কিছু দিন থাকার ব্যবস্থা করা হয়
মনোরোম প্রাকৃতিক পরিবেশে। সেখানে বিচিত্র পাখির কলকাকলি,প্রকৃতির সবুজ পরিবেশ ও ভিন্ন
আবহাওয়ায় জাহিদ বেশ আরামবোধ করে।
ক)‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের লেখক বায়ু পরিবর্তনের জন্য কোথায় গিয়েছিলেন? ১
খ) ‘পাখি চালান দেওয়াই তাদের ব্যবসা।’Ñ ব্যাখ্যা করো। ২
গ) উদ্দীপকের জাহিদের সাথে ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের লেখকের মানসিকতার সাদৃশ্য নির্ণয় করো। ৩
ঘ) ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের আলোকে উদ্দীপকে চিত্রিত প্রাকৃতিক পরিবেশের পরিচয় দাও। ৪

প্রশ্ন -০২ : গফুরের প্রিয় গরু মহেশ। মহেশকে সে সন্তানের মতাে ভালােবাসত, সে প্রায় সময় মহেশের সাথে কথা বলত। নিজে না খেয়ে মহেশকে খাওয়াতাে। মহেশ আজ বেঁচে নেই কিন্তু গফুর তাকে ভুলতে পারেনি। [দি. বাে. ১৪]
ক. কার আদেশে লেখক দেওঘরে এসেছিলেন?
খ. মালি-বৌ অতিথিকে তাড়িয়ে দিত কেন?৷ ২
গ. উদ্দীপকে ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের যে দিকটি বিদ্যমান তা ব্যাখ্যা করাে।
ঘ. উদ্দীপকে ‘অতিথির স্মৃতি' গল্পের খণ্ডিত চিত্র প্রকাশ পেয়েছে।-উক্তিটি ‘অতিথির স্মৃতি' গল্পের আলােকে বিশ্লেষণ করাে। ৪

প্রশ্ন-০৩: মহেশ। দরিদ্র বর্গাচাষি গফুরের অতি আদরের একমাত্র ষাঁড়। কিন্তু দারিদ্র্যের কারণে ওকে ঠিকমত খড়-বিচুলি খেতে দিতে পারে না। জমিদারের কাছে সামান্য খড় ধার চেয়েও পায় না। নিজে না খেয়ে থাকলেও গফুরের দুঃখ নেই। কিন্তু মহেশকে খাবার দিতে না পেরে তার বুক ফেটে যায়। সে মহেশের গলা জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলে- মহেশ, তুই আমার ছেলে। তুই আমাদের আট সন প্রতিপালন করে বুড়াে হয়েছিস। তােকে আমি পেট পুরে খেতে দিতে পারিনে, কিন্তু তুই তাে জানিস আমি তােকে কত ভালােবাসি। মহেশ প্রত্যুত্তরে গলা বাড়িয়ে আরামে চোখ বুজে থাকে।
ক. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় দেওঘরে গিয়েছিলেন কেন? ১
খ. অতিথি কিছুতে ভেতরে ঢােকার ভরসা পেল না কেন? ২
গ. উদ্দীপকে মহেশের প্রতি গফুরের আচরণে ‘অতিথির স্মৃতি' গল্পের যে দিকটি প্রকাশ পেয়েছে তা ব্যাখ্যা করাে। ৩
ঘ. ‘উদ্দীপকের গফুরের সাথে লেখকের চেতনাগত মিল থাকলেও প্রেক্ষাপট ভিন্ন'- ‘অতিথির স্মৃতি' গল্পের আলােকে মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার করাে।৪

No comments:

Post a Comment

Recent Post

মানুষের মূল্য কোথায়?

 ১.  মানুষের   মূল্য   কোথায় ?  চরিত্র ,  মনুষ্যত্ব ,  জ্ঞান   ও   কর্মে ।   বস্তুত   চরিত্রবলেই   মানুষের   জীবনে   যা   কিছু   শ্রেষ্ঠ   ত...

Most Popular Post