★ ভাব প্রকাশের দিক থেকে ক্রিয়া দুই প্রকার। যথা:
১. সমাপিকা ক্রিয়া
২. অসমাপিকা ক্রিয়া।
*সমাপিকা ক্রিয়া:
যে ক্রিয়া সম্পূর্ণ মনের ভাব প্রকাশ করে, তাকে সমাপিকা ক্রিয়া বলে।সমাপিকা ক্রিয়াকে ইংরেজিতে Finite Verb বলে। যেমন: করিম স্কুলে যায়।
*অসমাপিকা ক্রিয়া:
যে ক্রিয়া সম্পূর্ণ মনের ভাব প্রকাশ করে না,তাকে অসমাপিকা ক্রিয়া বলে।অসমাপিকা ক্রিয়াকে ইংরেজিতে Non-Finite Verb বলে। যেমন: করিম স্কুলে গিয়ে.....এখানে গিয়ে হলো অসমাপিকা ক্রিয়া।
★ ক্রিয়ার কর্মপদ থাকা না থাকার ভিত্তিতে তিন প্রকার।যথাঃ-
১.
সকর্মক ক্রিয়া
২. অকর্মক ক্রিয়া
৩. দ্বিকর্মক ক্রিয়া
১. সকর্মক ক্রিয়া : যে ক্রিয়ার কর্ম থাকে, তাকে সকর্মক ক্রিয়া বলে। যেমন: রহিম বই পড়ে।
২. অকর্মক ক্রিয়া: যে ক্রিয়ার কর্ম নেই,তাকে অকর্মক ক্রিয়া বলে। যেমন: সে হাঁসে।
৩. দ্বিকর্মক ক্রিয়া : যে ক্রিয়ার দুটি কর্ম থাকে, তাকে দ্বিকর্মক ক্রিয়া
বলে। যেমন: সে আমাকে একটি গোলাপ দিল। এখানে আমাকে ও গোলাপ দুটো কর্ম।
বিঃদ্রঃ ক্রিয়াকে 'কি' বা 'কাকে'- দিয়ে প্রশ্ন করে উত্তর পেলে বুঝব কর্ম আছে।
★ গঠন
অনুসারে ক্রিয়া পাঁচ প্রকার।যথাঃ
২. প্রযোজক ক্রিয়া
৩. নাম ক্রিয়া
৪. সংযোগ ক্রিয়া
৫. যৌগিক ক্রিয়া
১. সরল ক্রিয়া: একটিমাত্র পদ
দিয়ে যে ক্রিয়া গঠিত হয় এবং কর্তা এককভাবে ক্রিয়াটি সম্পন্ন করে, তাকে সরল ক্রিয়া
বলে। যেমন সে লিখছে। ছেলেরা মাঠে খেলছে। এখানে লিখছে ও খেলছে এগুলো সরল ক্রিয়া।
২.প্রযোজক ক্রিয়া: কর্তা অন্যকে দিয়ে কাজ করালে তাকে প্রযোজক ক্রিয়া বলে। যেমন তিনি আমাকে অঙ্ক করাচ্ছেন; রাখাল গরুকে ঘাস খাওয়ায় এখানে 'করাচ্ছেন' ও 'খাওয়ায়' প্রযোজক ক্রিয়া।
৪. সংযোগ ক্রিয়া: বিশেষ্য,
বিশেষণ বা ধ্বন্যাত্মক শব্দের পরে করা, কাটা, হওয়া, দেওয়া, ধরা, খাওয়া প্রভৃতি
ক্রিয়া যুক্ত হয়ে সংযোগ ক্রিয়া গঠিত হয়।
৫. যৌগিক ক্রিয়া: অসমাপিকা ক্রিয়ার সঙ্গে সমাপিকা ক্রিয়া যুক্ত হয়ে যখন একটি ক্রিয়া গঠন করে, তখন তাকে যৌগিক ক্রিয়া বলে। যেমনঃ কমে আসা, এগিয়ে চলা, হেসে ওঠা, উঠে পড়া, সরে দাঁড়ানো, বুঝে নেওয়া, বলে ফেলা ইত্যাদি।
এইটি আসলে অত্যন্ত ভালো হয়েছে।
ReplyDeleteধন্যবা।
পদ কাকে বলে?
ReplyDelete