Ad-1

Monday, February 13, 2023

ফৌজদারি কার্যবিধি- MCQ

১. দণ্ডবিধি কোন ধরনের আইন?- Substantive Law(তত্ত্বগত বা মৌলিক আইন)।
২. পেনাল কোড হলো - Substantive Law.
৩. যে আইনে কোন অধিকার বা শাস্তিকে সংজ্ঞায়িত করে তাকে বলে- তত্ত্বগত আইন।
৫. ফৌজদারি কার্যবিধি পাস হয় - ১৮৬১ সালে।
৬. ফৌজদারি কার্যবিধি কত সালের আইন?  -- ১৮৯৮ সালে
৭. ফৌজদারি কার্যবিধিতে ধারা আছে - ৫৬৫ টি।
৮. ক্রিমিনাল প্রসিডিউর কোডে মোট কতটি সিডিউল(তফসিল) আছে? --- ৪টি।[মোট তফসিল-৫,বাতিল-১,সুতারাং বর্তমানে আছে-৪টি]
৯. জামিনযোগ্য এবং জামিনঅযোগ্য অপরাধ ফৌ:কা: আছে- ২য় তফসিলের ৫ম কলামে।
১০. Arrest with warrant & without warrant by Police, তার বর্ণনা আছে - ২য় তফসিলের ৩য় কলামে।
১১. বাংলাদেশে ফৌজদারি আদালত কয় প্রকার?--- ২ প্রকার।
১২. আর তা হলো - দায়রা আদালত(Courts of Session) & ম্যাজিস্ট্রেট আদালত(Courts of Megistrate)।
★ ম্যাজিস্ট্রেট আদালত দুই ধরনের।
     ১. জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট
     ২. নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
১৩. প্রতিটি জেলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সর্বোচ্চ পদ হলো - জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।
১৪. একজন প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট কারাদণ্ড দিতে পারে - অনধিক ৫ বছর।
১৫. একজন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট /প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট সর্বোচ্চ কত টাকা জরিমানা করতে পারে? - সর্বোচ্চ ১০,০০০/= টাকা।
১৬. চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট -- মৃত্যুদণ্ড ব্যতিত অর্থাৎ সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিতে পারে(২৯গ)
৭ বছর কারাদণ্ড দিতে পারে (৩৩গ)


* হাইকোর্ট বিভাগের সহজাত ক্ষমতা (Inherent Power)  আছে কত ধারায়? - ফৌ.কা.৫৬১ ক ধারায়। 
* হাইকোর্ট বিভাগ কয়টি ক্ষেত্রে তা প্রয়োগ করতে পারে - ৩টি ক্ষেত্রে। 
* ফৌ.কা কোন ধারায় আদালতকে মামলা শুনানির জন্য যে কোন পর্যায়ে সাক্ষীকে তলব করার ক্ষমতা দেওয়া আছে?- ৫৪০ ধারায়। 
* জামিনযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে জামিন - ৪৯৬ ধারা।
* জামিন অযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে জামিন - ৪৯৭ ধারা।
* আগাম জামিনের কথা আছে - ৪৯৮ ধারায়। 
------তা দিতে পারে
 ------১. হাইকোর্ট বিভাগ   ২. দায়রা জজ।
★ শান্তি রক্ষা ও সদাচরণের মুচলেকা সম্পাদন:-
১০৭ - ধারা অনুসারে শান্তি রক্ষা ও মুচলেকা সম্পাদনের জন্য মামলা করতে হয়।
১১৪ - ধারার মাধ্যমে সমন/warrant ইস্যু করা হয়। 
১১৮ - ধারার ম্যাজিস্ট্রেট জামিনদারসহ বা জামিনদার   
          ব্যতিত মুচলেকা প্রদানের আদেশ / দিতে পারেন।
         অথবা, জামানত প্রদানের আদেশ দিতে পারেন।
১২৩ - মুচলেকা বা জামানতের খেলাপ [মানে অনাদায় বলে গণ্য হবে ] করলে তিন বছরের সশ্রম / বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হবে।
এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যায় না,তবে রিভিশন করতে পারবে।
উপর্যুক্ত ধারা সমুহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ধারা হিসেবে গণ্য করা হয়। 
তবে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট/দায়রা জজ হলে ১০৬ ধারা অনুসারে মামলা করতে হবে। 
★ ২য় ও ৩য় শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট শান্তি রক্ষা ও সদাচরণের মুচলেকা সম্পাদন করতে পারে না।

মনে রাখতে হবে যে,
জেলা জজ মানে দেওয়ানি আদালত।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মানে নির্বাহী আদালত। 
দায়রা জজ মানে ফৌজদারি আদালত অর্থাৎ দায়রা মানেই ফৌজদারি।

★ বেআইনি সমাবেশ :- 
দণ্ডবিধি অনুসারে পড়ে - ১৪১ ধারায়। 
আর 
১২৭ ধারা (ফৌজদারি কার্যবিধি) মতে :- পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির কোন আইনপন্থা ব্যতিত সাধারণ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য সমাবেশকে বেআইনি সমাবেশ বলে।
* এর জন্য কোন পূর্ব পরিকল্পনার প্রয়োজন নেই।
বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার আদেশের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে তিন ধরনের কর্মকর্তাকে।
১. থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। 
২. নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (মহানগর বা ম্যাট্রোপলিটন এলাকার বাইরে হলে)
৩. পুলিশ কমিশনার (মহানগর বা ম্যাট্রোপলিটন এলাকার মধ্যে হলে)
১২৮ - ধারা মতে পুলিশ বেআইনি সমাবেশ ভঙ্গ করতে অসামরিক ও বেসরকারি ব্যক্তির সহযোগিতা নিতে পারবে।
১২৯ - ধারা মতে সামরিক শক্তিও নিয়োগ দেওয়া যাবে।


★ চার্জে বা অভিযোগে যে যে বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করতে হবে:-
২২১- অপরাধের বিবরণ থাকবে।
২২২- অপরাধের সময়, স্থান ও ব্যক্তির সম্পর্কে বিবরণ..
২২৩- অপরাধ সংঘটনের পদ্ধতি। 
২২৪ - যে আইনের অধীনে অপরাধটি দণ্ডনীয় তার বিবরণ.. 
২২৫ - ভুলের ফলাফল। 
২২৭ - আদালত অভিযোগ রায় ঘোষণার পূর্বে পরিবর্তন করতে পারে। 
২৩১ - চার্জ বা অভিযোগ পরিবর্তন করা হলে সাক্ষীকে পুনরায় তলব/Re-call করা যাবে।

বি:দ্র: অভিযোগে বা চার্জে শাস্তি উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই।
[২৩৩-২৪২ নং ধারা রিটেনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ]
২৩৩ - সুস্পষ্ট অপরাধের জন্য পৃথক চার্জ ঘটন করা যেতে পারে।[পৃথক চার্জ শব্দটি থাকলে মামলা ভিন্ন হবে]
* ২৩৪ - একই ধরনের তিনটি অপরাধ একই বছরের (শাস্তির বছর)  মধ্যে হলে একত্রে অভিযোগ /চার্জ গঠন করা যাবে।
২৩৫ - একাধিক অপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে একত্রে চার্জ গঠন করা যাবে। [একত্রে চার্জ শব্দ থাকলে মামলা একটি হবে]
২৩৬ - কি অপরাধ সংঘটিত হয়েছে সে সম্পর্কে সন্দেহ থাকলে এরুপ সকল অথবা একটি সংঘটিত অপরাধে অভিযুক্ত করা যাবে।
২৩৭ - এক অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অন্য অপরাধে অভিযুক্ত বা দোষী সাব্যস্ত করা যাবে।
২৩৯ - একাধিক ব্যক্তি একত্রে অপরাধ সংঘটন করলে একত্রে অভিযুক্ত করা যাবে। 




No comments:

Post a Comment

Recent Post

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯

১. ‘ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ ’ কবিতায় সালামের হাতে কেন অবিনাশী বর্ণমালা ঝরে ? ক. সংগ্রামী চেতনার কারণে     খ. দুঃখিনী মাতার অশ্রুজল দেখে গ. বরকত...

Most Popular Post