Ad-1

Thursday, June 13, 2019

ভাইরাস জ্বর প্রতিকারে আপনার করণীয়:


ঠান্ডা গরমের এই সময় এক প্রকার জ্বরের আবির্ভাব দেখা যাচ্ছে যাকে বলা হচ্ছে ভাইরাস জর মুলত ভাইরাস জ্বর একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা।ভাইরাস জ্বর হলে ভাইরাস আক্রমণের দুই থেকে সাত দিন পর জ্বর হয়। শীত শীত ভাব, মাথাব্যথা, শরীর ও গিরায় ব্যথা, অরুচি, ক্লান্তি, দুর্বলতা, নাক দিয়ে পানি পড়া, চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখ লাল হওয়া, চুলকানি, কাশি, অস্থিরতা ও ঘুম কম হতে পারে। অনেকের পেটের সমস্যা, বমি ও ডায়রিয়া হয়। শিশুদের ক্ষেত্রে ভাইরাসের সংক্রমণে পেটব্যথাও হতে পারে। আজকের লেখাতে আমরা জানবো এই ভাইরাসের জ্বরের প্রতিকারে আপনার করণীয় সম্বন্ধে ।

চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ভাইরাস জ্বর প্রতিকারে যা করতে হবে সেই সম্বন্ধেঃ

ভাইরাস জ্বর সাধারণত তেমন কোনো ভয়াবহ রোগ নয়। ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হলে খুব বেশি চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। কোনো অ্যান্টিবায়োটিকেরও প্রয়োজন হয় না। জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল খেলেই হয়। তবে প্রচুর পানি পান করতে হবে এবং সেই সঙ্গে নিতে হবে বিশ্রাম। ভাইরাস জ্বর হলে খাবারের বিষয়ে সচেতন হতে হবে।

(১) অনেকে মনে করেন, ভাইরাস জ্বর হলে গোসল করা যাবে না। এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। গোসল করতে বাধা নেই। খুব ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে শরীর মুছে দেওয়া ভালো। দরজা, জানালা ও ফ্যান বন্ধ করে ঘরকে গুমোট করে রাখবেন না। জানালা খুলে হালকা গতিতে ফ্যান ছেড়ে দেওয়া ভালো। সাধারণত কয়েক দিনেই ভাইরাস জ্বর ভালো হয়ে গেলেও এর ফলে শরীরে যে ক্লান্তি ও অবসাদ আসে, তা দুই থেকে তিন সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।

(২) খাবারের মধ্যে ভিটামিন সি ও জিঙ্কযুক্ত খাবার প্রাধান্য দিতে হবে। সাবধানে চলাফেলা করতে হবে। গরম এড়িয়ে চলতে হবে। পরিশ্রমের কারণে শরীরে ঘাম দেখা দিলে অবশ্যই পরিস্কার করতে হবে। যারা কর্মসংস্থানের কারণে অধিকাংশ সময় অফিসের বাহিরে থাকতে হয় তারা অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করবে।

(৩) পোষাক হতে হবে অবশ্যই আরামদায়ক ও ঢিলেঢলা। যাতে খুব সহজে শরীরের ঘাম বের হয়ে যায়। বিশেষ করে যারা শ্রমিক, বাচ্চা এবং বয়স্কদের বাড়তি সর্তক থাকতে হবে। এছাড়া রাস্তার খোলা খাবার পরিত্যাগ করে হবে সঙ্গে সঙ্গে সম্ভব হলে বাড়িতে তৈরি খাবার গ্রহণ করতে হবে। তবে যারা ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হবে তাদের অবশ্যই কিছুক্ষণ পর পর শরীর পাতলা গামছা বা কাপড় দিয়ে স্পঞ্জ করতে হবে ও মাথায় পানি দিতে হবে। শরীর গরম হলেই থার্মোমিটার দিয়ে তাপমাত্রা মেপে ওষুধ খেতে হবে। জ্বর আক্রান্ত স্থায়িত্বকাল ৪-৫ দিন। তবে জ্বরের তীব্রতা বাড়লে অবশ্যই ডাক্তারের পরার্মশ নিতে হবে।

(৪) এছাড়া ভাইরাস জ্বর হলে রোগীকে তরল জাতীয় খাবার যেমন, স্যুপ, ফলের শরবত, স্যালাইন, লেবুর শরবত, ডাবের পানি খেতে হবে। পাশাপাশি প্রচুর পানি পান করতে হবে। খাবারের তালিকায় মৌসুমী ফলও খুবই উপকারী। যেমন- আনরস, আম কলা, খোসাযুক্ত ফলা খাদ্য তালিকায় রাখা ভাল। রোগীকে সব সময় মশারির নিচে রাখতে হবে। গলা ব্যথা থাকলে কুসুম গরম পানি খেতে হবে।

তাহলে জেনে গেলেন তো ভাইরাস জ্বর হলে আপনাকে কি করতে হবে। তাই এখন যেহেতু প্রতিকার আপনার জানা তাই আপনার কিংবা আপনার পরিবারের কারো এই ভাইরাস জ্বর হলে এই পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করুন এবং অতিরিক্ত জ্বরে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন সুস্থ থাকুন সবসময়।

সুত্রঃ ডা. আবু সাঈদ, শিশু বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ইন্টারনেট হতে সংগ্রহ)

No comments:

Post a Comment

Recent Post

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯

১. ‘ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ ’ কবিতায় সালামের হাতে কেন অবিনাশী বর্ণমালা ঝরে ? ক. সংগ্রামী চেতনার কারণে     খ. দুঃখিনী মাতার অশ্রুজল দেখে গ. বরকত...

Most Popular Post