Ad-1

Tuesday, March 27, 2018

সমাস কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি? উদাহরণসহ লেখো।

👉 সমাস শব্দের অর্থ সংক্ষেপণ বা মিলন।
👉পরস্পর সম্পর্কযুক্ত দুই বা ততোধিক পদকে একপদে পরিণত করাকে সমাস বলে।

👉আরও সংক্ষেপে বললে বলতে হয়,একপদিকরণকে সমাস বলে।

👉যেমন:গায়ে হলুদ দেয়া হয় যে অনুষ্ঠানে=গায়েহলুদ।
এখানে ছয়টি পদকে একপদে পরিণত করে হলো 'গায়েহলুদ ',সুতারাং এ ধরনের সংক্ষিপ্ত করণকে সমাস বলে।

সমাস ছয় প্রকার।যথা:
১. দ্বন্দ্ব সমাস।যেমন: মা-বাবা,কাপড়-চোপড়,দা-কুমড়া ইত্যাদি।
২. বহুব্রীহি সমাস।যেমন: দশানন,দশভূজা,আশীবিষ ইত্যাদি।
৩. অব্যয়ীভাব সমাস।যেমন: আনত,আমরণ,আকণ্ঠ ইত্যাদি।
৪. দ্বিগু সমাস।যেমন: পঞ্চনদ,ত্রিভূজ,শতাব্দী ইত্যাদি।
৫. তৎপুরুষ সমাস।যেমন: গাছপাকা,ঘিমাখা,আপাদমস্তক ইত্যাদি।
৬. কর্মধারয় সমাস।যেমন: বিষাদসিন্ধু, কাজলকালো,রাজর্ষি ইত্যাদি।

আবার,
👉পূর্বপদ ও পরপদের অর্থের প্রাধান্যের ভিত্তিতে সমাস চার প্রকার।যথা:

১. উভয় পদের অর্থ প্রধান।যেমন: দ্বন্দ্ব সমাস।
২. উভয় পদের অর্থ প্রধান নয়,বরং তৃতীয় আরেকটি পদকে বুঝায়।যেমন: বহুব্রীহি সমাস।
৩. পূর্ব পদের অর্থ প্রধান।যেমন: অব্যয়ীভাব সমাস।
৪. পর পদের অর্থ প্রধান। যেমন: দ্বিগু, তৎপুরুষ, কর্মধারয় সমাস।

নিম্নে বিভিন্ন প্রকার সমাসের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি উপস্থাপন করা হলোঃ--- 

১. দ্বন্দ্ব সমাস

👉পূর্বপদ  পরপদের অর্থ প্রাধান্য পায় তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে।
👉দ্বন্দ্ব শব্দের অর্থ জোড়া।সুতারাং দ্বন্দ্ব সমাস জোড়ায় জোড়ায় থাকে।
👉দ্বন্দ্ব সমাসের ব্যাসবাক্য ও,এবং,আর দিয়ে হয়।
👉যেমনঃ মা-বাবা,ভাই-বোন,স্বামী-স্ত্রী,দা-কুমড়া,কাপড়-চোপড় ইত্যাদি। 

২.বহুব্রীহি সমাস

👉পূর্বপদ  পরপদের অর্থ প্রাধান্য পায় না,বরং তৃতীয় আরেকটি পদকে বুঝায় তাকে দ্বন্দ্ব বহুব্রীহি সমাস বলে।
👉 বহুব্রীহি সমাসের ব্যাসবাক্য 'যার' দিয়ে হয়।
👉 যেমনঃ দশানন,দশভূজা,আশীবিষ,ঊর্ণ্নাভ ইত্যাদি।

৩.অব্যয়ীভাব সমাস

👉 যে সমাসের পূর্ব পদের অর্থ প্রাধান্য পায়,তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে।
👉 অব্যয়ীভাব সমাসের সমস্ত পদের শুরূতে উপসর্গ থাকে,কিন্তু ব্যাসবাক্য করার সময় তা থাকে না।
👉 যেমন ঃ হাভাত,আমরণ,আনত,প্রতিদিন ইত্যাদি।

 ৪. দ্বিগু সমাস

👉 যে সমাসের সমস্তপদের শুরুতে সংখ্যাবাচক শব্দ থাকে,পরপদের অর্থ প্রাধান্য পায় তাকে দ্বিগু সমাস বলে।
👉 দ্বিগু সমাসের ব্যাসবাক্য 'সমাহার' শব্দ দিয়ে হয়। 
👉যেমনঃ সপ্তাহ,পঞ্চনদ,ত্রিভূজ,চতূর্ভূজ,শতাব্দী  ইত্যাদি।

নিত্য সমাস

যে সমাসের ব্যাসবাক্য হয় না, কিংবা ব্যাসবাক্য করতে গেলে অন্য পদের সাহায্য নিতে হয়, তাকে নিত্য সমাস বলে। যেমন: অন্য দেশ = দেশান্তর; অন্য কাল = কালান্তর ইত্যাদি।

নিত্য সমাস' মনে রাখুন সহজ টেকনিক দিয়ে! সারাজীবনেও আর নিত্য সমাস ভুল হবে না।

** টেকনিক-; সমস্তপদের শেষে 'অন্তর' অথবা 'মাত্র' থাকলেই নিত্য সমাস হবে।
আর ব্যাসবাক্য করার সময় "অন্তর" থাকলে হবে "অন্য"
আর মাত্র থাকলে হবে 'কেবল'।
যেমনঃ
দেশান্তর = অন্য দেশ (নিত্য সমাস)
ধর্মান্তর= অন্য ধর্ম (নিত্য সমাস)
গ্রামান্তর = অন্যগ্রাম  
দ্বীপান্তর = অন্য দ্বীপ  
কালান্তর = অন্য কাল  
গৃহান্তর = অন্যগৃহ
স্থানান্তর = অন্য স্থান
দর্শনমাত্র= কেবল দর্শন (নিত্যসমাস)
জলমাত্র = কেবল জল
দর্শনমাত্র = কেবল দর্শন
তন্মাত্র = কেবল মাত্র  
জলমাত্র= কেবল জল

প্রাদি সমাসঃ-

 প্র,পরা প্রভৃতি ২০টি উপসর্গের সাথে কৃৎ প্রত্যয়সাধিত বিশেষ্য পদের সমাস হলে, তাকে প্রাদি সমাস বলে।

যেমন:
সম্ (সম্যক্) যে আদর = সমাদর,
প্র (প্রকৃষ্ট) যে বচন = প্রবচন,
পরি (চতুর্দিকে) যে ভ্রমণ = পরিভ্রমণ,
অনুতে (পশ্চাতে) যে তাপ = অনুতাপ,
প্র (প্রকৃষ্ট রূপে) ভাত (আলোকিত) = প্রভাত,
প্র (প্রকৃষ্ট রূপে) গতি = প্রগতি ইত্যাদি,
প্রদর্শন=প্রকৃত রুপে দর্শন,
প্রনাম=প্রত্যয় দ্বারা নাম।

 


No comments:

Post a Comment

Recent Post

আমি কোনো আগন্তুক নই

১. ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় বর্ণিত কে অকাল বার্ধক্যে নত? ক. কবি খ. কদম আলী  গ. জমিলার মা  ঘ. মাছরাঙা ২. ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় ব...

Most Popular Post