Ad-1

Monday, August 11, 2025

MPO শিক্ষক কর্মচারীদের ছুটির সুবিধা



এম.পি,ও  শিক্ষক কর্মচারীরা  নিম্ন বর্ণিত যেকোনো ধরনের ছুটি নিতে পারেন :-

১। বিভিন্ন প্রকারের ছুটি। (১) কোন কর্মচারী নিম্নবর্ণিত যে কোন ধরনের ছুটি পাইবেন, যথাঃ-

(ক) পূর্ণ গড় বেতনে ছুটি;

(খ) অর্ধ গড় বেতনে ছুটি;

(গ) বিনা বেতনে অসাধারণ ছুটি;

(ঘ) বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি;

(ঙ) সংগরোধ ছুটি;

(চ) প্রসূতিজনিত ছুটি;

(ছ) অধ্যয়ন ছুটি; এবং

(জ) নৈমিত্তিক ছুটি।

(২) উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কোন কর্মচারীকে বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি ও অধ্যয়ন ছুটি ব্যতীত অন্যবিধ ছুটি মঞ্জুর করিতে পারিবে এবং ইহা বন্ধের দিনের সহিত সংযুক্ত করিয়াও প্রদান করা যাইতে পারে।

(৩) বোর্ডের পূর্বানুমোদনক্রমে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি ও অধ্যয়ন ছুটি মঞ্জুর করিতে পারিবে।


২। পূর্ণ গড় বেতনে ছুটি। (১) প্রত্যেক কর্মচারী তৎকর্তৃক দায়িত্ব পালনে অতিবাহিত প্রতি এগার কার্যদিবসের জন্য এক দিন হারে পূর্ণ গড় বেতনে ছুটি অর্জন করিবেন এবং পূর্ণ গড় বেতনে প্রাপ্য এককালীন ছুটির পরিমাণ চার মাসের অধিক হইবে না।


(২) অর্জিত ছুটির পরিমাণ চার মাসের অধিক হইলে, তাহা ছুটির হিসাবের অন্য খাতে জমা দেখানো হইবে, উহা হইতে ডাক্তারী সার্টিফিকেট উপস্থাপন সাপেক্ষে অথবা বাংলাদেশের বাহিরে ধর্মীয় সফর, অধ্যয়ন বা অবকাশ ও চিত্তবিনোদনের জন্য পূর্ণ গড় বেতনে ছুটি মঞ্জুর করা যাইতে পারে।


৩। অর্ধ গড় বেতনে ছুটি। (১) প্রত্যেক কর্মচারী তৎকর্তৃক দায়িত্ব পালনে অতিবাহিত প্রতি এগার কার্যদিবসের জন্য এক দিন হারে অর্ধ গড় বেতনে ছুটি অর্জন করিবেন এবং এইরূপ ছুটি জমা হওয়ার কোন সীমা থাকিবে না।


(২) প্রতি দুই দিনের অর্ধগড় বেতনের ছুটিকে কোন চিকিৎসা কর্মকর্তা বা জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তার সার্টিফিকেট দাখিল সাপেক্ষে, একদিনের পূর্ণ গড় বেতনে ছুটিতে রূপান্তরিত করিয়া কোন কর্মচারীকে সর্বোচচ চার মাস পর্যন্ত পূর্ণ গড় বেতনে ছুটি মঞ্জুর করা যাইতে পারে।


৪। প্রাপ্যতাবিহীন ছুটি।-(১) কোন চিকিৎসা কর্মকর্তা বা জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তার সার্টিফিকেট দ্বারা সমর্থিত হইলে, কোন কর্মচারীকে তাহার সমগ্র চাকুরী জীবনে সর্বোচচ বার মাস পর্যন্ত, এবং অন্য কোন কারণে হইলে, তিন মাস পর্যন্ত, অর্ধ গড় বেতনে ছুটি মঞ্জুর করা যাইতে পারে।


(২) যখন কোন কর্মচারী তাহার ছুটি পাওনা হওয়ার পূর্বেই প্রাপ্যতাবিহীন ছুটি ভোগ করিয়া ফিরিয়া আসেন তখন তিনি পূর্বেই যে ছুটি ভোগ করিয়াছেন সেই দুটি অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত নূতনভাবে অর্ধ গড় বেতনে কোন ছুটি পাইবার অধিকারী হইবেন না।


৫। বিনা বেতনে অসাধারণ ছুটি। (১) যখন কোন কর্মচারীর অন্য কোন ছুটি পাওনা না থাকে, বা অন্য প্রকার কোন ছুটি পাওনা থাকে অথচ সংশ্লিষ্ট কর্মচারী লিখিতভাবে অস্বাভাবিক ছুটির জন্য আবেদন করেন, তখন তাহাকে অসাধারণছুটি মঞ্জুর করা যাইতে পারে।


(২) অসাধারণ ছুটির মেয়াদ একবারে তিন মাসের অধিক হইবে না, তবে নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে উক্ত ছুটির মেয়াদ বর্ধিত করা যাইতে পারে,-


(ক) যে ক্ষেত্রে কর্মচারী এই শর্তে বিদেশে প্রশিক্ষণ গ্রহণের অনুমতিপ্রাপ্ত হন যে, উক্ত প্রশিক্ষণ গ্রহণের পরে পাঁচ বৎসরের জন্য তিনি কর্তৃপক্ষে চাকুরী করিবেন।


(খ) যে ক্ষেত্রে সংশিষ্ট কর্মচারী চিকিৎসাধীন থাকেন; এবং


(গ) যে ক্ষেত্রে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, কর্মচারী তাহার নিয়ন্ত্রন বহির্ভূত কারণে কর্তব্যে যোগদান করিতে অসমর্থ।


(৩) উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কোন কর্মচারীর বিনা ছুটিতে অনুপস্থিতির সময়কে ভূতাপেক্ষ কার্যকারিতাসহ অসাধারণ ছুটিতে রূপান্তরিত করিতে পারিবে।


৬। বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি। 

(১) কোন কর্মচারী তাহার যথাযথ কর্তব্য পালনকালে বা উহা পালনের পরিণতিতে অথবা তাহার পদে অধিষ্ঠিত থাকিবার কারণে আঘাতপ্রাপ্ত হইয়া অক্ষম হইলে, কর্তৃপক্ষ তাহাকে বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি মঞ্জুর করিতে পারিবে।


(২) যে অক্ষমতার কারণে অক্ষমতাজনিত ছুটি চাওয়া হয় সেই অক্ষমতা তিন মাসের মধ্যে প্রকাশ না পাইলে, এবং যে ব্যক্তি অক্ষম হন, সেই ব্যক্তি অনুরূপ অক্ষমতার কারণ অবিলম্বে কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করিলে, বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি মঞ্জুর করা হইবে না।


(৩) যে মেয়াদের জন্য বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি প্রয়োজনীয় বলিয়া এতদুদ্দেশ্যে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গঠিত চিকিৎসা পর্যন্ত প্রত্যায়ন করিবে সেই মেয়াদের জন্য বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি মঞ্জুর করা হইবে, এবং চিকিৎসা পর্ষদের প্রত্যায়ন ব্যতিরেকে তাহা বর্ধিত করা হইবে না এবং উক্ত ছুটি কোনক্রমে চবিবশ মাসের অধিক হইবে না।


(৪) বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি অন্য যে কোন ছুটির সংগে সংযুক্ত করা যাইতে পারে।


(৫) যদি একই ধরণের অবস্থায় পরবর্তীকালে কোন সময় অক্ষমতা বৃদ্ধি পায় বা উহার পুনরাবৃত্তি ঘটে, তাহা হইলে একাধিকবার বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি মঞ্জুর করা যাইবে, তবে অনুরূপ ছুটির পরিমাণ চবিবশ মাসের অধিক হইবে না এবং তাহা যে কোন একটি অক্ষমতার কারণে মঞ্জুর করা যাইবে।


(৬) শুধুমাত্র আনুতোষিকের এবং যেক্ষেত্রে অবসর ভাতা প্রাপ্য হয় সেক্ষেত্রে অবসর ভাতার ব্যাপারে চাকুরী হিসাব করিবার সময় বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি কর্তব্য পালনের সময় হিসাবে গণনা করা হইবে এবং ইহা সংশিষ্ট কর্মচারীর ছুটির হিসাব হইতে বিয়োজন করা হইবে না।


(৭) বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটিকালীন বেতন হইবে নিম্নরূপ, যথাঃ-


(ক) উপ-প্রবিধান (৫) এর অধীনে মঞ্জুরীকৃত ছুটির মেয়াদসহ যেকোন মেয়াদের ছুটির প্রথম চার মাসের জন্য পূর্ণ গড় বেতন, এবং


(খ) এইরূপ কোন ছুটির অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য অর্ধ গড় বেতন।


(৮) এই প্রবিধানের অন্যান্য বিধান সমূহের প্রযোজ্যতা এইরূপ কর্মচারীর ক্ষেত্রেও সম্প্রসারিত করা যাইতে পারে, যিনি তাহার যথাযথ কর্তব্য পালনকালে, বা উহা পালনের পরিণতিতে, অথবা তাহার পদে অধিষ্ঠিত থাকিবার কারণে, দূর্ঘটনাবশতঃ আঘাতপ্রাপ্ত হইয়াছেন অথবা যিনি নির্দিষ্ট কোন কর্তব্য পালনকালে, তাঁহার পদের স্বাভাবিক ঝুঁকি বহির্ভুত অসুস্থতা বা যখম বাড়াইয়া তোলার সম্ভাবনা থাকে, এইরূপ অসুস্থতার দরুণ অক্ষম হইয়াছেন।


৭। সংগরোধ ছুটি।- (১) কোন কর্মচারীর পরিবারে বা গৃহে সংক্রান্তক ব্যাধি থাকার কারণে যদি আদেশ দ্বারা তাহাকে অফিসে উপস্থিত না হওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয় তবে যে সময়ের জন্য উক্তরূপ নির্দেশ কার্যকর থাকে সেই সময়কাল হইবে সংগরোধ ছুটি।


(২) অফিস প্রধান কোন চিকিৎসা কর্মকর্তা বা জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তার সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে অনুর্ধর্ব একুশ দিন অথবা অস্বাভাবিক অবস্থায় ত্রিশ দিনের জন্য সংগরোধ ছুটি মঞ্জুর করিতে পারিবেন।


(৩) সংগরোধের জন্য উপ-প্রবিধান (২) এ উল্লিখিত মেয়াদের অতিরিক্ত ছুটি প্রয়োজন হইলে,


উহা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুসারে এই প্রবিধানমালার অধীন অন্য কোন প্রকার ছুটি হিসাবে গণ্য হইবে।


(৪) এই প্রবিধানমালা অনুযায়ী প্রাপ্য সর্বাধিক ছুটি সাপেক্ষে, প্রয়োজন হইলে অন্যবিধ ছুটির সহিত সংগরোধ ছুটি মঞ্জুর করা যাইতে পারে।


(৫) সংগরোধ ছুটিতে থাকাকালে কোন কর্মচারীকে তাহার দায়িত্ব পালনে অনুপস্থিত বলিয়া গণ্য করা হইবে না, এবং যখন কোন কর্মচারী নিজেই সংক্রান্তক ব্যাধিতে আক্রান্ত, তখন তাহাকে এইরূপ কোন ছুটি দেওয়া যাইবে না।


৮। প্রসূতিজনিত ছুটি। (১) কোন কর্মচারীকে পূর্ণ গড় বেতনে সর্বাধিক চার মাস পর্যন্ত প্রসূতিজনিত ছুটি মঞ্জুর করা যাইবে এবং উহা তাহার পাওনা ছুটির হিসাব হইতে বাদ দেওয়া যাইবে না।


(২) প্রসূতিজনিত ছুটি মঞ্জুরীর অনুরোধ কোন নিবন্ধিত চিকিৎসক কর্তৃক সমর্থিত হইলে, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের বিবেচনা মতে কর্মচারীর প্রাপ্য অন্য যে কোন ছুটির সহিত একত্রে বা সম্প্রসারিত করিয়া মঞ্জুর করা যাইতে পারে।


(৩) কর্তৃপক্ষে চাকুরী জীবনে কোন কর্মচারীকে দুই বারের অধিক প্রসূতিজনিত ছুটি মঞ্জুর করা যাইবে না।


৯। অবসর গ্রহণের জন্য প্রস্তুতি লক ছুটি। (১) কোন কর্মচারী ছয়মাস পর্যন্ত পূর্ণ গড় বেতনে এবং আরও ছয়মাস পর্যন্ত অর্ধ গড় বেতনে অবসর গ্রহণের জন্য প্রস্তুতি লক ছুটি পাইবেন এবং এইরূপ ছুটির মেয়াদ তাহার অবসর গ্রহণের তারিখ অতিক্রম করার পরেও সম্প্রসারিত করা যাইতে পারে, কিন্তু আটান্ন বৎসরের বয়স-সীমা অতিক্রমের পর উহা সম্প্রসারণ করা যাইবে না।


(২) কোন কর্মচারী তাহার অবসর গ্রহণের তারিখের কমপক্ষে এক মাস পূর্বে অবসর গ্রহণের প্রস্তুতি লক ছুটির জন্য আবেদন না করিলে তাহার পাওনা ছুটি অবসর গ্রহণের তারিখের পর তামাদি হইয়া যাইবে।


(৩) কোন কর্মচারী তাহার অবসর গ্রহণের তারিখের কমপক্ষে একদিন পূর্বে অবসর গ্রহণের জন্য প্রস্তুতি লক ছুটিতে যাইবেন।


১০। অধ্যয়ন ছুটি।- (১) কর্তৃপক্ষে চাকুরীর জন্য সহায়ক এইরূপ বৈজ্ঞানিক, কারিগরি বা অনুরূপ সমস্যাদি অধ্যয়ন অথবা বিশেষ প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশ গ্রহণের জন্য কোন কর্মচারীকে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ অর্ধ গড় বেতনে অনধিক চবিবশ মাস অধ্যয়নের জন্য ছুটি মঞ্জুর করিতে পারিবে, যাহা তাহার দুটির হিসাব হইতে বাদ দেওয়া হইবে না।


(২) যে ক্ষেত্রে কোন কর্মচারীকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কোন অধ্যয়ন ছুটি মঞ্জুর করা হয় এবং তিনি পরবর্তীকালে দেখিতে পান যে, মঞ্জুরীকৃত ছুটির মেয়াদ তাহার শিক্ষা কোর্স ও পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় মেয়াদ অপেক্ষা কম, সেক্ষেত্রে সময়ের স্বল্পতা পূরণকল্পে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ তাহাকে অনধিক এক বৎসরের জন্য উক্ত অধ্যয়ন ছুটির মেয়াদ বর্ধিত করিতে পারিবে।


(৩) পূর্ণ গড় বেতনে বা অর্ধ গড় বেতনে ছুটি বা বিনা বেতনে অসাধারন ছুটির সহিত একত্রে অধ্যয়ন ছুটি মঞ্জুর করা যাইবে, তবে এইরূপে মঞ্জুরীকৃত ছুটি কোনক্রমেই একত্রে মোট দুই বৎসরের অধিক হইবে না।


১১। নৈমিত্তিক ছুটি। সরকার সময়ে সময়ে উহার কর্মচারীদের জন্য প্রতি পঞ্জিকা বৎসরে মোট যতদিন নৈমিত্তিক ছুটি নির্ধারণ করিবে কর্মচারীগণ ততদিন নৈমিত্তিক ছুটি পাইবে।


১২। ছুটির পদ্ধতি। - (১) প্রত্যেক কর্মচারীর ছুটির হিসাব কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত নিয়ম ও পদ্ধতিতে


সংরক্ষণ করা হইবে।


(২) ছুটির জন্য সকল আবেদন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে হইতে হইবে।


(৩) আবেদনকারী কর্মচারী যে কর্মকর্তার অধীনে কর্মরত আছেন তাহার সুপারিশক্রমে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ছুটি মঞ্জুর করিতে পারিবে।


(৪) বিশেষ পরিস্থিতিতে, কোন কর্মকর্তা যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, তাহার অধীন কর্মরত কোন কর্মচারীর ছুটি পাওনা রহিয়াছে, তবে তিনি, আনুষ্ঠানিক মঞ্জুরী আদেশ সাপেক্ষে, তাহাকে অনুর্ধর্ব পনের দিনের জন্য ছুটিতে যাইবার অনুমতি দিতে পারিবেন।


১৩। ছুটিকালীন বেতন। (১) কোন কর্মচারী পূর্ণ গড় বেতনে ছুটিতে থাকাকালে উক্ত ছুটি আরম্ভের পূর্বে তিনি সর্বশেষ যে বেতন পাইয়াছেন সেই বেতনের সমান হারে ছুটিকালীন বেতন পাইবার অধিকারী হইবেন।


(২) কোন কর্মচারী অর্ধ গড় বেতনে ছুটিতে থাকাকালে উক্ত ছুটি আরম্ভের পূর্বে তিনি সর্বশেষ যে বেতন পাইয়াছেন সেই বেতনের অর্ধ হারে ছুটিকালীন বেতন পাইবার অধিকারী হইবেন।

১৪। ছুটি হইতে প্রত্যাবর্তন করানো। ছুটি ভোগরত কোন কর্মচারীকে ছুটির মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে দায়িত্ব পালনের জন্য তলব করা যাইতে পারে এবং তাহাকে অনুরূপভাবে তলব করা হইলে, তিনি যে কর্মস্থলে ফিরিয়া আসিবার জন্য নির্দেশিত হইয়াছেন, উহার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়ার তারিখ হইতে তাহাকে কর্মরত বলিয়া গণ্য করা হইবে এবং এতদুদ্দেশ্যে ভ্রমণের জন্য তিনি ভ্রমণ ভাতা ও অন্যান্য ভাতা পাইবার অধিকারী হইবেন।

১৫। ছুটির নগদায়ন। (১) যে কর্মচারী অবসর ভাতা বা ভবিষ্য তহবিলের সুবিধা গ্রহণের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন নাই, তিনি তাহার সম্পূর্ণ চাকুরীকালে সর্বাধিক বার মাস পর্যন্ত, প্রতি বৎসরে প্রত্যাখ্যাত ছুটির ৫০% ভাগ নগদ টাকায় রূপান্তরিত করার জন্য অনুমতি পাইতে পারেন।

(২) সর্বশেষ মূল বেতনের ভিত্তিতে উপ প্রবিধান (১) এ উল্লেখিত ছুটি নগদ টাকায় রূপান্তরিত করা যাইবে।

(৩) কোন কর্মচারী চাকুরীরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করিলে মৃত্যুবরণের তারিখে তাহার অবসর গ্রহণ গণ্য করিয়া তাহার ছুটি পাওনা সাপেক্ষে ছুটির বদলে তাহার প্রাপ্য নগদ অর্থ তাহার পরিবারকে প্রদান করা যাইবে।

ব্যাখ্যাঃ পরিবার বলিতে পারিবারিক অবসরভাতা প্রদানের নিমিত্ত প্রযোজ্য বিধিতে পরিবারকে যে অর্থে দেখানো হইয়াছে তাহা বুঝাইবে।

Tuesday, July 29, 2025

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের আর্থিক লাভ..


১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে সাহায্য করতে এসে ভারতের প্রাপ্তি

লেখক: আরিফুল হক

ভারতের আর্থিক প্রাপ্তি (জাতিসংঘের মাধ্যমে):

১) যুক্তরাষ্ট্র থেকে: ৮,৯১৫,৭০০ ডলার

২) যুক্তরাজ্য থেকে: ৩,৮১১,২১৩ ডলার

৩) কানাডা থেকে: ২,৩২৬,৩৬০ ডলার

৪) সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে: ২০,০০০,০০০ ডলার

৫) মায়ামী থেকে: ১২৬ কোটি ডলার

৬) জাতিসংঘের ৬৮টি দেশ থেকে: ৫৭৪,১৬২ ডলার

এই অনুদানের মোট পরিমাণ ছিল তখনকার হিসেবে ১২,৩১২,৯৫২৯৪ টাকা।

পাকিস্তানের কাছ থেকে প্রাপ্তি:

যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ বাবদ: ৫৯,৩৫১,৪২৯৪ রুপি

পাকিস্তানিদের ফেলে যাওয়া অস্ত্র ও সরঞ্জাম: কেবল ৮৭টি ট্যাঙ্কের মূল্যই ছিল প্রায় ৭৫০ মিলিয়ন ডলার

শুধু খুলনা অঞ্চল থেকেই বিভিন্ন সামগ্রী (যেমন মেশিনারিজ, মালামাল) লুটে নেওয়া হয়েছিল প্রায় ২.২ মিলিয়ন ডলারের

এছাড়া, দোকানপাট থেকে সোনার গহনা, ইলেকট্রনিকস, শিল্প কারখানার যন্ত্রাংশ, দামি গাড়ি ইত্যাদি শত শত ওয়াগনে করে নিয়ে যাওয়া হয়—যার সুনির্দিষ্ট হিসাব আজও নেই।

এর পাশাপাশি নদী, বন্দর, সড়ক, ব্রিজ এবং দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোতেও ভারতের প্রভাব বিস্তার ঘটে। তবুও আজ শুনতে হয়, আমরা নাকি ভারতের কাছে কৃতজ্ঞ! আর তারপর, শেখ হাসিনা সরকার এত কিছু উজাড় করে দিয়েছে যে, ভারত হয়তো তা আজীবন মনে রাখবে!

Sunday, May 25, 2025

মিষ্টি আলুর উপকারিতা


মিষ্টি আলুঃ "বাচ্চার ওজন দ্রুত বাড়ানোর সেরা খাবার" 

বাচ্চার স্বাস্থ্য এবং বিকাশের জন্য মিষ্টি আলু একটি বিশেষ খাবার। এটি শুধু বাচ্চার শরীরের জন্য নয়, তাদের মানসিক বিকাশেও সাহায্য করে।

🟠 মিষ্টি আলুর পুষ্টিগুণ:

🟣 ওজন বৃদ্ধি:

মিষ্টি আলু দ্রুত বাচ্চার ওজন বাড়াতে সহায়তা করে। এতে থাকা পুষ্টিগুণ বাচ্চার শক্তি বৃদ্ধি করে, যা তাদের শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধিতে সহায়ক।

🟣 ক্যালসিয়াম ও আয়রন:

এতে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম এবং আয়রন, যা রক্তশূন্যতা কমায় এবং হাড়ের গঠন শক্তিশালী করে।

🟣 হজমে সহায়তা:

মিষ্টি আলু হজমে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এটি বাচ্চার পেটের সমস্যাগুলোর জন্যও খুব উপকারী।

🟣 বিটা ক্যারোটিন ও ভিটামিন A:

মিষ্টি আলুতে প্রচুর বিটা ক্যারোটিন এবং ভিটামিন A থাকে, যা বাচ্চার চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়ায় এবং তাদের চোখের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

🟣 রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা:

এটি বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে, যার ফলে তারা বেশি সুস্থ ও সক্রিয় থাকে।

প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় মিষ্টি আলু রাখুন এবং দেখুন আপনার বাচ্চা হয়ে উঠছে আরো শক্তিশালী, সুস্থ এবং প্রাণবন্ত।

Tuesday, May 20, 2025

ভাব-সম্প্রসারণ নবম ও দশম শ্রেণি

১. অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে

     তব ঘৃণা তারে তৃণসম দহে।

২. আপনি আচরি ধর্ম শিখাও অপরি।

৩. ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়

    পূর্ণিমা চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি।

৪. গ্রন্থগত বিদ্যা পরহস্তে ধন

     নহে বিদ্যা, নহে ধন,হলে প্রয়োজন।

৫. জন্ম হোক যথা তথা,কর্ম হোক ভালো। 

৬. দুর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য। 

৭. প্রাণ থাকলেই প্রাণী হয়,কিন্তু মন না থাকলে মানুষ হয় না। 

৮. বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না।      

৯. বার্ধক্য তাহাই যাহা পুরাতনকে, মিথ্যাকে,মৃত্যুকে আঁকড়িয়া পড়িয়া থাকে।

১০. বিদ্যার সঙ্গে সম্পর্কহীন জীবন অন্ধ এবং জীবনের সঙ্গে সম্পর্কহীন বিদ্যা পঙ্গু 

১১. মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্যে, বয়সের মধ্যে নয়।     

১২. মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাসে

     হারা শশীর হারা হাসি, অন্ধকারেই ফিরে আসে। 

১৩. ভোগে নয়, ত্যাগেই মনুষ্যত্বের বিকাশ।

১৪. যে নদী হারায়ে স্রোত চলিতে না পারে

    সহস্র শৈবাল দাম বাঁধে আসি তারে;

    যে জাতি জীবন হারা অচল অসাড়

    পদে পদে বাঁধে তারে জীর্ণ লোকাচার।

১৫. যে সহে সে রহে।


পাঠাবই বহির্ভূত গুরুত্বপূর্ণ ভাব-সম্প্রসারণ ---

১। পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি।
২। চরিত্র মানুষের অমূল্য সম্পদ।
৩। শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড।
৪। দুর্নীতি জাতীয় জীবনের সকল উন্নতির অন্তরায়।
৫। কীর্তিমানের মৃত্যু নেই।
৬। স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন।
৭। বন্যেরা বনে সুন্দর,শিশুরা মাতৃক্রোড়ে।
৮। পুষ্প আপনার জন্য ফোটে না।
৯। আত্মশক্তি অর্জনই শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য।
১০। মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন।
১১। সকলের তরে সকলে আমরা
     প্রত্যেকে  আমরা পরের তরে।
১২। পরের অনিষ্ট চিন্তা করে যেই জন
    নিজের অনিষ্ট বীজ করে সে বপন।
১৩।  নানান দেশের নানান ভাষা
     বিনা স্বদেশী ভাষায় পুরে কি আশা।
১৪। শৈবাল দিঘীরে বলে ঊচ্চ করে শির
     লিখে রেখ একফোটা দিলেম শিশির।
১৫। স্বদেশের উপকারে নেই যার মন
    কে বলে মানুষ তারে পশু সেই হন।
১৬। কত বড় আমি, কহে নকল হীরাটি 
     তাই তো সন্দেহ করি নহ ঠিক খাঁটি।





Monday, May 19, 2025

অষ্টম শ্রেণি

 ১. বাঙালি যেদিন ঐক্যবদ্ধ হয়ে বলতে পারবে ‘বাঙালির বাংলা’ সেদিন তারা অসাধ্য সাধন করবে। বাঙালির মতো জ্ঞান-শক্তি ও প্রেম-শক্তি (ব্রেন সেন্টার ও হার্ট সেন্টার) এশিয়ায় কেন, বুঝি পৃথিবীতে কোনো জাতির নেই। কিন্তু কর্ম-শক্তি একেবারে নেই বলেই তাদের এই দিব্যশক্তি তমসাচ্ছন্ন হয়ে আছে। তাদের কর্ম-বিমুখতা, জড়তা, মৃত্যুভয়, আলস্য, তন্দ্রা, নিদ্রা, ব্যবসাবাণিজ্যে অনিচ্ছার কারণ। তারা তামসিকতায় আচ্ছন্ন হয়ে চেতনা-শক্তিকে হারিয়ে ফেলেছে। এই তমঃ, এই তিমির, এই জড়তাই অবিদ্যা। অবিদ্যা কেবল অন্ধকার পথে ভ্রান্তির পথে নিয়ে যায়; দিব্যশক্তিকে নিস্তেজ, মৃতপ্রায় করে রাখে।

 ২. আনন্দ প্রকাশ জীবনীশক্তির প্রবলতারই প্রকাশ। আনন্দকে আমরা বুঝি রূপ-রস-শব্দ-স্পর্শ-গন্ধ ইত্যাদির সাহায্যে, ইন্দ্রিয়গুলোর সাহায্যে। মানুষ যখন আনন্দ পায়, তখন সে তার মনকে প্রকাশ করতে চায় নানারূপে। তাই সৃষ্টি হলো চিত্রশিল্পী, নৃত্যশিল্পী, সংগীতশিল্পী, কবি, সাহিত্যিক। পুরাকালের গুহামানুষ থেকে শুরু করে বর্তমান যুগ পর্যন্ত মানুষ নিজের পাওয়া আনন্দ ও সুন্দরকে অন্য মানুষের মধ্যে বিস্তার করতে চেয়েছে। তাই সৃষ্টি হয়েছে নানা আঙ্গিকের শিল্পকলা।


১. নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং অনুধাবন করে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

সৌভাগ্য আকাশ থেকে পড়ে না। জীবনে সৌভাগ্য অর্জনের জন্য প্রচুর পরিশ্রম ও নিরন্তর সাধনার দরকার হয়। সব মানুষের মধ্যে সুপ্ত প্রতিভা আছে। পরিশ্রমের দ্বারা সেই সুপ্ত প্রতিভাকে জাগিয়ে তুলতে হয়।

যে মানুষ কর্মকে জীবনের ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেছে, জীবন সংগ্রামে তারই জয় হয়েছে। কর্মের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তি জীবনে সফল সৈনিক হতে পারে। কর্মহীন ব্যক্তি সমাজের বোঝাস্বরূপ। অন্যদিকে, শ্রমশীলতাই মানব জীবনের সৌভাগ্যের চাবিকাঠি। আমাদের জীবনে উন্নতি করতে হলে, জীবনে সুখী হতে হলে পরিশ্রমের বিকল্প নেই।

i. ‘সৌভাগ্য’ শব্দের বিপরীত শব্দ কী?
ii. সৌভাগ্য অর্জনের জন্য কী করতে হয়?
iii. কে সমাজের বোঝা?
iv. জীবন সংগ্রামে জয়ী হতে হলে কিসের প্রয়োজন?

উত্তর :
i. ‘সৌভাগ্য’ শব্দের বিপরীত শব্দ হচ্ছে ‘দুর্ভাগ্য’।
ii. সৌভাগ্য অর্জনের জন্য প্রচুর পরিশ্রম ও নিরন্তর সাধনা করতে হয়।
iii. কর্মহীন ব্যক্তি সমাজের বোঝা।
iv. জীবন সংগ্রামে জয়ী হতে হলে কর্মকাকে জীবনের মূল লক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। পরিশ্রমই উন্নতির মূল চাবিকাঠি। কর্মের প্রতি একনিষ্ঠ ব্যক্তিগণই জীবন সংগ্রামে সফল হয়েছেন।

২. নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ো এবং অনুধাবন করে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সুন্দরকে জানার যে জ্ঞান তার নাম ‘নন্দনতত্ত্ব’। নন্দনতত্ত্ব মানে সুন্দরকে বিশ্লেষণ করা, সুন্দরকে আরও গভীরভাবে উপলব্ধি করা। সব সুন্দরের সৃষ্টির মধ্যেই একটা রূপ আছে, তার নাম স্বাধীনতা- অপর নাম যা খুশি তাই করা। যে কাজ সকলকে আনন্দ দেয়, খুশি করে তাই সুন্দর। স্বার্থপর বা অসংগত আমির খুশি নয়, অনেক মনে খুশির বিস্তার করা আমি। অন্ধকার ঘর আলোকিত করার জন্যে নিয়ম মেনে প্রদীপ জ্বালতে হয়, ঘরে অসংগত আগুন লাগিয়ে ঘর আলোকিত করা নয়।

i. ‘আগুন’ শব্দের দুটি সমার্থক শব্দ লেখ।
ii. সুন্দর-এর বিপরীত শব্দ লেখ।
iii. সুন্দরকে গভীরভাবে উপলব্ধি করার নাম কী?
iv. অন্ধকার ঘরে কীভাবে আগুন জ্বালাতে হবে?
v. অনুচ্ছেদে ‘স্বাধীনতা’ কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?

উত্তর :
i. ‘আগুন’ শব্দের দুটি সমার্থক শব্দ হলো অগিড়ব ও হুতাশন।
ii. সুন্দর-এর বিপরীত শব্দ হলো কুৎসিত।
iii. সুন্দরকে গভীরভাবে উপলব্ধি করার নাম নন্দনতত্ত্ব।
iv. অন্ধকার ঘরে নিয়ম মেনে আগুন জ্বালাতে হবে। সারা ঘরে যথেচ্ছভাবে আগুন না জ্বালিয়ে প্রদীপ জ্বালাতে হবে।
iv. অনুচ্ছেদে স্বাধীনতা শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে মনের আনন্দ প্রকাশ করা অর্থে। সুন্দর সৃষ্টির জন্য মানুষ নানা শিল্পমাধ্যম বেছে নেয়। সে মাধ্যমগুলোতে মনের স্বাধীনতা বা আনন্দের প্রকাশ ঘটে।

 


Recent Post

MPO শিক্ষক কর্মচারীদের ছুটির সুবিধা

এম.পি,ও  শিক্ষক কর্মচারীরা  নিম্ন বর্ণিত যেকোনো ধরনের ছুটি নিতে পারেন :- ১। বিভিন্ন প্রকারের ছুটি। (১) কোন কর্মচারী নিম্নবর্ণিত যে কোন ধরনের...

Most Popular Post