Ad-1

Sunday, May 25, 2025

মিষ্টি আলুর উপকারিতা


মিষ্টি আলুঃ "বাচ্চার ওজন দ্রুত বাড়ানোর সেরা খাবার" 

বাচ্চার স্বাস্থ্য এবং বিকাশের জন্য মিষ্টি আলু একটি বিশেষ খাবার। এটি শুধু বাচ্চার শরীরের জন্য নয়, তাদের মানসিক বিকাশেও সাহায্য করে।

🟠 মিষ্টি আলুর পুষ্টিগুণ:

🟣 ওজন বৃদ্ধি:

মিষ্টি আলু দ্রুত বাচ্চার ওজন বাড়াতে সহায়তা করে। এতে থাকা পুষ্টিগুণ বাচ্চার শক্তি বৃদ্ধি করে, যা তাদের শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধিতে সহায়ক।

🟣 ক্যালসিয়াম ও আয়রন:

এতে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম এবং আয়রন, যা রক্তশূন্যতা কমায় এবং হাড়ের গঠন শক্তিশালী করে।

🟣 হজমে সহায়তা:

মিষ্টি আলু হজমে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এটি বাচ্চার পেটের সমস্যাগুলোর জন্যও খুব উপকারী।

🟣 বিটা ক্যারোটিন ও ভিটামিন A:

মিষ্টি আলুতে প্রচুর বিটা ক্যারোটিন এবং ভিটামিন A থাকে, যা বাচ্চার চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়ায় এবং তাদের চোখের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

🟣 রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা:

এটি বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে, যার ফলে তারা বেশি সুস্থ ও সক্রিয় থাকে।

প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় মিষ্টি আলু রাখুন এবং দেখুন আপনার বাচ্চা হয়ে উঠছে আরো শক্তিশালী, সুস্থ এবং প্রাণবন্ত।

Tuesday, May 20, 2025

ভাব-সম্প্রসারণ নবম ও দশম শ্রেণি

১. অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে

     তব ঘৃণা তারে তৃণসম দহে।

২. আপনি আচরি ধর্ম শিখাও অপরি।

৩. ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়

    পূর্ণিমা চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি।

৪. গ্রন্থগত বিদ্যা পরহস্তে ধন

     নহে বিদ্যা, নহে ধন,হলে প্রয়োজন।

৫. জন্ম হোক যথা তথা,কর্ম হোক ভালো। 

৬. দুর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য। 

৭. প্রাণ থাকলেই প্রাণী হয়,কিন্তু মন না থাকলে মানুষ হয় না। 

৮. বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না।      

৯. বার্ধক্য তাহাই যাহা পুরাতনকে, মিথ্যাকে,মৃত্যুকে আঁকড়িয়া পড়িয়া থাকে।

১০. বিদ্যার সঙ্গে সম্পর্কহীন জীবন অন্ধ এবং জীবনের সঙ্গে সম্পর্কহীন বিদ্যা পঙ্গু 

১১. মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্যে, বয়সের মধ্যে নয়।     

১২. মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাসে

     হারা শশীর হারা হাসি, অন্ধকারেই ফিরে আসে। 

১৩. ভোগে নয়, ত্যাগেই মনুষ্যত্বের বিকাশ।

১৪. যে নদী হারায়ে স্রোত চলিতে না পারে

    সহস্র শৈবাল দাম বাঁধে আসি তারে;

    যে জাতি জীবন হারা অচল অসাড়

    পদে পদে বাঁধে তারে জীর্ণ লোকাচার।

১৫. যে সহে সে রহে।


পাঠাবই বহির্ভূত গুরুত্বপূর্ণ ভাব-সম্প্রসারণ ---

১। পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি।
২। চরিত্র মানুষের অমূল্য সম্পদ।
৩। শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড।
৪। দুর্নীতি জাতীয় জীবনের সকল উন্নতির অন্তরায়।
৫। কীর্তিমানের মৃত্যু নেই।
৬। স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন।
৭। বন্যেরা বনে সুন্দর,শিশুরা মাতৃক্রোড়ে।
৮। পুষ্প আপনার জন্য ফোটে না।
৯। আত্মশক্তি অর্জনই শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য।
১০। মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন।
১১। সকলের তরে সকলে আমরা
     প্রত্যেকে  আমরা পরের তরে।
১২। পরের অনিষ্ট চিন্তা করে যেই জন
    নিজের অনিষ্ট বীজ করে সে বপন।
১৩।  নানান দেশের নানান ভাষা
     বিনা স্বদেশী ভাষায় পুরে কি আশা।
১৪। শৈবাল দিঘীরে বলে ঊচ্চ করে শির
     লিখে রেখ একফোটা দিলেম শিশির।
১৫। স্বদেশের উপকারে নেই যার মন
    কে বলে মানুষ তারে পশু সেই হন।
১৬। কত বড় আমি, কহে নকল হীরাটি 
     তাই তো সন্দেহ করি নহ ঠিক খাঁটি।





Monday, May 19, 2025

অষ্টম শ্রেণি

 ১. বাঙালি যেদিন ঐক্যবদ্ধ হয়ে বলতে পারবে ‘বাঙালির বাংলা’ সেদিন তারা অসাধ্য সাধন করবে। বাঙালির মতো জ্ঞান-শক্তি ও প্রেম-শক্তি (ব্রেন সেন্টার ও হার্ট সেন্টার) এশিয়ায় কেন, বুঝি পৃথিবীতে কোনো জাতির নেই। কিন্তু কর্ম-শক্তি একেবারে নেই বলেই তাদের এই দিব্যশক্তি তমসাচ্ছন্ন হয়ে আছে। তাদের কর্ম-বিমুখতা, জড়তা, মৃত্যুভয়, আলস্য, তন্দ্রা, নিদ্রা, ব্যবসাবাণিজ্যে অনিচ্ছার কারণ। তারা তামসিকতায় আচ্ছন্ন হয়ে চেতনা-শক্তিকে হারিয়ে ফেলেছে। এই তমঃ, এই তিমির, এই জড়তাই অবিদ্যা। অবিদ্যা কেবল অন্ধকার পথে ভ্রান্তির পথে নিয়ে যায়; দিব্যশক্তিকে নিস্তেজ, মৃতপ্রায় করে রাখে।

 ২. আনন্দ প্রকাশ জীবনীশক্তির প্রবলতারই প্রকাশ। আনন্দকে আমরা বুঝি রূপ-রস-শব্দ-স্পর্শ-গন্ধ ইত্যাদির সাহায্যে, ইন্দ্রিয়গুলোর সাহায্যে। মানুষ যখন আনন্দ পায়, তখন সে তার মনকে প্রকাশ করতে চায় নানারূপে। তাই সৃষ্টি হলো চিত্রশিল্পী, নৃত্যশিল্পী, সংগীতশিল্পী, কবি, সাহিত্যিক। পুরাকালের গুহামানুষ থেকে শুরু করে বর্তমান যুগ পর্যন্ত মানুষ নিজের পাওয়া আনন্দ ও সুন্দরকে অন্য মানুষের মধ্যে বিস্তার করতে চেয়েছে। তাই সৃষ্টি হয়েছে নানা আঙ্গিকের শিল্পকলা।


১. নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং অনুধাবন করে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

সৌভাগ্য আকাশ থেকে পড়ে না। জীবনে সৌভাগ্য অর্জনের জন্য প্রচুর পরিশ্রম ও নিরন্তর সাধনার দরকার হয়। সব মানুষের মধ্যে সুপ্ত প্রতিভা আছে। পরিশ্রমের দ্বারা সেই সুপ্ত প্রতিভাকে জাগিয়ে তুলতে হয়।

যে মানুষ কর্মকে জীবনের ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেছে, জীবন সংগ্রামে তারই জয় হয়েছে। কর্মের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তি জীবনে সফল সৈনিক হতে পারে। কর্মহীন ব্যক্তি সমাজের বোঝাস্বরূপ। অন্যদিকে, শ্রমশীলতাই মানব জীবনের সৌভাগ্যের চাবিকাঠি। আমাদের জীবনে উন্নতি করতে হলে, জীবনে সুখী হতে হলে পরিশ্রমের বিকল্প নেই।

i. ‘সৌভাগ্য’ শব্দের বিপরীত শব্দ কী?
ii. সৌভাগ্য অর্জনের জন্য কী করতে হয়?
iii. কে সমাজের বোঝা?
iv. জীবন সংগ্রামে জয়ী হতে হলে কিসের প্রয়োজন?

উত্তর :
i. ‘সৌভাগ্য’ শব্দের বিপরীত শব্দ হচ্ছে ‘দুর্ভাগ্য’।
ii. সৌভাগ্য অর্জনের জন্য প্রচুর পরিশ্রম ও নিরন্তর সাধনা করতে হয়।
iii. কর্মহীন ব্যক্তি সমাজের বোঝা।
iv. জীবন সংগ্রামে জয়ী হতে হলে কর্মকাকে জীবনের মূল লক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। পরিশ্রমই উন্নতির মূল চাবিকাঠি। কর্মের প্রতি একনিষ্ঠ ব্যক্তিগণই জীবন সংগ্রামে সফল হয়েছেন।

২. নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ো এবং অনুধাবন করে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সুন্দরকে জানার যে জ্ঞান তার নাম ‘নন্দনতত্ত্ব’। নন্দনতত্ত্ব মানে সুন্দরকে বিশ্লেষণ করা, সুন্দরকে আরও গভীরভাবে উপলব্ধি করা। সব সুন্দরের সৃষ্টির মধ্যেই একটা রূপ আছে, তার নাম স্বাধীনতা- অপর নাম যা খুশি তাই করা। যে কাজ সকলকে আনন্দ দেয়, খুশি করে তাই সুন্দর। স্বার্থপর বা অসংগত আমির খুশি নয়, অনেক মনে খুশির বিস্তার করা আমি। অন্ধকার ঘর আলোকিত করার জন্যে নিয়ম মেনে প্রদীপ জ্বালতে হয়, ঘরে অসংগত আগুন লাগিয়ে ঘর আলোকিত করা নয়।

i. ‘আগুন’ শব্দের দুটি সমার্থক শব্দ লেখ।
ii. সুন্দর-এর বিপরীত শব্দ লেখ।
iii. সুন্দরকে গভীরভাবে উপলব্ধি করার নাম কী?
iv. অন্ধকার ঘরে কীভাবে আগুন জ্বালাতে হবে?
v. অনুচ্ছেদে ‘স্বাধীনতা’ কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?

উত্তর :
i. ‘আগুন’ শব্দের দুটি সমার্থক শব্দ হলো অগিড়ব ও হুতাশন।
ii. সুন্দর-এর বিপরীত শব্দ হলো কুৎসিত।
iii. সুন্দরকে গভীরভাবে উপলব্ধি করার নাম নন্দনতত্ত্ব।
iv. অন্ধকার ঘরে নিয়ম মেনে আগুন জ্বালাতে হবে। সারা ঘরে যথেচ্ছভাবে আগুন না জ্বালিয়ে প্রদীপ জ্বালাতে হবে।
iv. অনুচ্ছেদে স্বাধীনতা শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে মনের আনন্দ প্রকাশ করা অর্থে। সুন্দর সৃষ্টির জন্য মানুষ নানা শিল্পমাধ্যম বেছে নেয়। সে মাধ্যমগুলোতে মনের স্বাধীনতা বা আনন্দের প্রকাশ ঘটে।

 


Sunday, May 4, 2025

আপনাকে ছাড়া কি আপনার ব্যবসা চলে?


যদি উত্তর "না" হয়, তাহলে দুঃখিত — আপনি একটা চাকরি তৈরি করেছেন নিজের জন্য, ব্যবসা নয়।

সত্যিকারের ব্যবসা গড়ে তুলতে হলে ৩টি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হয়:

- সিস্টেম তৈরি করুন।

আপনি না থেকেও যেন কাজ চলতে পারে। কীভাবে অর্ডার নেবে, কীভাবে ডেলিভারি হবে, কীভাবে কাস্টমারের সমস্যা সমাধান হবে — সবকিছুর জন্য স্পষ্ট নিয়ম ও প্রক্রিয়া তৈরি করতে হবে।

- টিম তৈরি করুন, সময় কিনুন।

আপনার সময় সীমিত। দিনে ২৪ ঘণ্টার বেশি কাজ করা সম্ভব নয়। তাই অন্যের সময় (ট্যালেন্ট) কিনতে হবে — মানে কর্মী নিয়োগ করতে হবে এবং দায়িত্ব ভাগ করে দিতে হবে।

আপনি একা দিনে ৮ ঘণ্টা কাজ করতে পারেন। কিন্তু যদি চারজনকে নিয়োগ দেন, তাহলে প্রতিদিন ৩২ ঘণ্টার কাজের আউটপুট পাবেন। চিন্তা করুন, কত দ্রুত উন্নতি হবে। তবে সাথে সাথে ম্যানেজমেন্টও ডেভেলপ করতে হবে।

- স্কেলযোগ্য পণ্য তৈরি করুন।

এমন পণ্য বা সেবা তৈরি করুন যেটা একাধিকবার বিক্রি করা যাবে, বড় করা যাবে, নতুন বাজারে নেওয়া যাবে।

যেমন, ১০ হাজার টাকা খরচ করে যদি ১০০টি প্রোডাক্ট বানিয়ে ১৫ হাজারে বিক্রি করতে পারেন, তাহলে একইভাবে ১ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।

কিন্তু আপনি যদি প্রতিটা প্রোডাক্ট নিজের হাতে বানান, তাহলে প্রতিদিনের উৎপাদন স্বাভাবিকভাবেই সীমিত থাকবে।

- উদাহরণ:

আপনি যদি নিজেই প্রতিদিন দোকানে বসে রুটি বানান, তাহলে আপনি রুটির কারিগর।

কিন্তু যদি বেকারির রেসিপি ঠিক করে দেন, কর্মী নিয়োগ করেন, ডেলিভারির সিস্টেম তৈরি করেন, এবং দোকানের বাইরে থেকেও অর্ডার নিতে পারেন — তাহলে আপনি একজন উদ্যোক্তা।

- আরেকটি বাস্তব উদাহরণ:

মুদি দোকানও ব্যবসা, সুপারশপও ব্যবসা।

পার্থক্য হলো — মুদি দোকানে মালিককে প্রতিদিন নিজে থাকতে হয়,

কিন্তু সুপারশপে মালিক ছাড়াও ব্যবসা চলে, কারণ সেখানে সিস্টেম তৈরি আছে।

হ্যাঁ, শুরুতে হয়তো নিজের হাতে অনেক কাজ করতে হবে বা চাকরির টাকা জমিয়ে ব্যবসা শুরু করতে হতে পারে।

কিন্তু শুরু থেকেই লক্ষ্য রাখা উচিত — সিস্টেম তৈরি করা।

কাজ করুন নিজের ওপর নয়, নিজের তৈরি করা সিস্টেমের ওপর আস্থা রাখুন।

চাকরির মতো নয়, সত্যিকারের ব্যবসা তৈরি করুন।

Monday, April 28, 2025

প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে কি কি করণীয়?


মহান রাব্বুল আলামিনের ঘোষনা:

فَبِمَا رَحْمَةٍ مِّنَ اللَّهِ لِنتَ لَهُمْ وَلَوْ كُنتَ فَظًّا غَلِيظَ الْقَلْبِ لَانفَضُّوا مِنْ حَوْلِكَ فَاعْفُ عَنْهُمْ وَاسْتَغْفِرْ لَهُمْ وَشَاوِرْهُمْ فِي الْأَمْرِ فَإِذَا عَزَمْتَ فَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُتَوَكِّلِينَ

আল্লাহর রহমতেই আপনি তাদের জন্য (আপনার সাথীদের প্রতি) কোমল হৃদয় হয়েছেন, পক্ষান্তরে আপনি যদি রাগ ও কঠিন হৃদয় হতেন তাহলে তারা আপনার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতো। কাজেই আপনি তাদের ক্ষমা করে দিন এবং তাদের জন্য মাগফেরাত কামনা করুন এবং কাজে কর্মে তাদের সাথে পরামর্শ করুন। অত:পর যখন কোন কাজের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ফেলবেন, তখন আল্লাহ্ তা'আলার উপর ভরসা করুন আল্লাহ্ তাওয়াক্কুল কারীদের ভালবাসেন, (আল ইমরান: ১৫৯)।


শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের আবশ্যকীয় গুণাবলী:


১. নেতৃত্বের চেয়ার আল্লাহর নিয়ামত অথবা পরীক্ষা মনে করে শোকর আদায় করা এবং অন্তরে পরকালিন জবাবদিহিতার ভয় রাখা। 

২. প্রাতিষ্ঠানিক কাজকে দ্বীনের কাজ মনে করা এবং খেদমতের বিশাল সুযোগ কাজে লাগানো।

৩. নিজকে নির্লোভ এবং পরোপকারী হিসেবে উপস্থাপন করা।

৪. প্রতিষ্ঠানকে নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি মনে না করা।

৫. আত্মীয়তা, প্রতিশোধ পরায়ণ এবং আঞ্চলিকতার জাহেলিয়াত থেকে মুক্ত থাকা।

৬. প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষার্থী এবং জিনিসপত্রকে আমানত মনে করা।

৭. নিজের পাওনা প্রাপ্তির সাথে সাথে অধীনস্থদের পাওনা প্রাপ্তির প্রতি বিশেষ নজর দেয়া, তাদের যৌক্তিক দাবীগুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে দর কষাকষি করে নিজ দায়িত্বে আদায় করে দেয়া।

৮. কর্তৃপক্ষের সাথে কোন বিষয়ে বিতর্কে জড়ানো যাবে না। পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে, সুন্দর ভাষায় সকল দাবী আদায় করার চেষ্টা করা।  

৯. কোন কাজ আগামী দিনের জন্য না রেখে যথাসম্ভব আজকেই শেষ করার চেষ্টা করা।

১০. রাজনীতি, ব্যবসা, প্রাইভেট-টিউশনী, ওয়াজ-মাহফিল এবং বোর্ডের কাগজ নিয়ে ব্যস্ত না থেকে প্রতিষ্ঠানে বেশী সময় দেয়া।

১১. অহেতুক উপজেলা, জেলা শিক্ষা অফিস এবং বোর্ডে দৌঁড়াদৌঁড়ি করলে ব্যক্তিত্ব নষ্ট হয়ে যায়।

১২. এরকম হলে আমি এই প্রতিষ্ঠানে থাকবো না, আমার পক্ষে থাকা সম্ভব না, আমি বিকল্প চিন্তা করব ইত্যাদি মন্তব্য কিছুতেই করা যাবেনা। 

১৩. শিক্ষক এবং স্টাফদের সকল শূণ্যপদ তড়িৎ পূরণ করা (একজন স্টাফ বিদায় নেয়ার আগেই একাধিক বিকল্প লোকের ব্যবস্থা রাখা)।

১৪. পুরাতন যেকোন শিক্ষক অথবা স্টাফকে যেকোন মূল্যে ধরে রাখার যথাসাধ্য চেষ্টা করা।

১৫. অর্থনৈতিক এবং নারী গঠিত সকল সন্দেহযুক্ত কর্মকাণ্ড থেকে নিজকে দূরে রাখা (ছাত্রী এবং মহিলা শিক্ষিকাদের সাথে কম ঘেঁষা)। 

১৬. ধমক নয়; সুন্দর আচরন এবং সহযোগী মনোভাব দিয়ে কাজ আদায় করা। 

★ "সকল কাজ আমি করি, বাকীরা সবাই মরা কলা গাছ" এমন মানসিকতা পরিহার করতে হবে, 

বরং সকল কৃতিত্ব সাধারণ শিক্ষকদের, প্রতিষ্ঠান প্রধান অগ্রজ মাত্র- এমন মানসিকতা থাকা চাই৷

১৭. অনুপস্থিতি এবং দেরীতে আসার জন্য আগেই ধমক না দিয়ে- সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের সমস্যাগুলো জানার চেষ্টা করুন। 

১৮.  মাঝে মাঝে শিক্ষকদের বাসায় যাওয়া, চা-নাস্তা খাওয়া, সময় দেয়া এবং তার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক অবস্থা জানা। 

১৯. অধীনস্থদেরকেও মাঝে মাঝে আপনার বাসায় নিয়ে যাবেন, একসাথে চা-নাস্তা খাবেন। 

২০. কেন্দ্রীয় এবং বৃত্তি পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের বিষয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানকেই মূখ্য ভূমিকা পালন করতে হয়।

২১. সকল কাজ ভাগ করে দেয়ার পর প্রত্যক্ষ তদারকি করা। কঠিন কাজটি প্রতিষ্ঠান প্রধানের ভাগে রাখা।

২২. প্রতিষ্ঠানমুখী এবং ছাত্রবান্ধব শিক্ষকদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা। 

২৩. প্রতিষ্ঠানমুখী শিক্ষকদের দাবীগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আদায় করার পাশাপাশি তাদের আয়ের বিভিন্ন সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া (কোচিং, প্রাইভেট, ইমামতি, জুমআ, লজিং ইত্যাদি)।

২৪. তেলবাজ-তোষামোধকারী শিক্ষক-স্টাপ থেকে সর্বদা সতর্ক থাকা। তাদের দ্বারা উপকারের চেয়ে অপকার বেশী হয়।

২৫. অনুগত এবং সরল প্রকৃতির শিক্ষকদের প্রতি কঠোরতা, আর দুষ্কৃতিকারী এবং আইন অমান্যকারীদের প্রতি নমনীয়তা প্রদর্শন না করা।

২৬. দায়িত্বশীল হিসেবে আপনার বেইনসাফি, প্রতিশোধপরায়ন এবং জুলুমবাজ মানসিকতা থাকলে- আপনার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে হিমালয় পর্বত সমান জুলুম এবং মানসিক অশান্তি সৃষ্টি হয়ে যাবে, আর আপনার পরকাল বরবাদ হয়ে যাবে।   

২৭. একাকি চা-নাস্তা গ্রহণ না করে বিভিন্ন দিন বিভিন্ন শিক্ষককে সাথে নিয়ে নাস্তা গ্রহণ করা।

২৮. ঈদ, রমজানসহ বিভিন্ন জাতীয় দিবস এবং অনুষ্ঠানে মোবাইলে ম্যাসেজ অথবা কল দিয়ে অধীনস্থদের শুভেচ্চা জানিয়ে সম্পর্ক বৃদ্ধি করা।

২৯. শুদ্ধ ভাষা, ভদ্র আচরন এবং মার্জিত পোশাক ব্যক্তিত্ব বজায় রাখার অন্যতম হাতিয়ার।

৩০. কোন বিষয়ে তাড়াহুড়া করে সিদ্ধান্ত না নেয়া অথবা মন্তব্য না করা।

৩১. যেকোন ছোটখাটো সমস্যার কথা সাথে সাথে নোট করে নিবেন। তাৎক্ষণিক সমাধানযোগ্য কোন বিষয়ে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা পাকাবেন না।

৩২. প্রতিষ্ঠান প্রধানের ব্যাপারে এমন ধারণা যেন না আসে- 

* প্রতিষ্ঠান প্রধান শুধু আদেশ করেন; নিজে কাজ করেন না, 

* প্রতিষ্ঠান প্রধান শুধু অধীনস্থদের দিয়ে কাজ করান; কিন্তু অধীনস্থদের অধিকারের ব্যাপারে হাইকোর্ট দেখান, 

* প্রতিষ্ঠান প্রধান আইন তৈরী করেন- কিন্তু আইন মানেন না!

৩৩. মিষ্টভাষী, সদালাপী, আমানতদারী, স্থিতিশীল, সময়ানুবর্তিতা, মেজাজের ভারসাম্য, সিদ্ধান্ত গ্রহণের যোগ্যতা, ইনসাফ, ইহসান, প্রজ্ঞা এবং পরিশ্রমপ্রিয়তা একজন প্রতিষ্ঠান প্রধানকে শ্রেষ্ঠ অভিভাবকের গুণে গুণান্বিত করতে পারে। 

৩৪. একদিন এই প্রতিষ্ঠানে আপনি থাকবেন না- কিন্তু আপনার অধীনস্থদের সাথে দেখা হবে, কথা হবে- এমন আচরন করুন, যেন অবসর পরবর্তী লজ্জিত হতে না হয়। 

চেয়ারকে আল্লাহ তায়ালা আমাদের পরকালিন মুক্তির ওসিলা হিসেবে কবুল করুন, আমীন।

সংগৃহীত

Recent Post

মিষ্টি আলুর উপকারিতা

মিষ্টি আলুঃ "বাচ্চার ওজন দ্রুত বাড়ানোর সেরা খাবার"  বাচ্চার স্বাস্থ্য এবং বিকাশের জন্য মিষ্টি আলু একটি বিশেষ খাবার। এটি শুধু বাচ্চ...

Most Popular Post