Ad-1

Monday, January 13, 2025

সুভা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

১. সুভার বাবার নাম কি?
২. সুভা কোথায় বসে থাকত?
৩. সুভা জলকুমারী হলে কী করত?
৪. সুভার গ্রামের নাম কী?
৫. প্রতাপ কাদের ছেলে?
৬. ‘শুক্লা দ্বাদশী’ শব্দের অর্থ কী?
৭. বাণীকণ্ঠের আর্থিক অবস্থা কেমন?
৮. প্রতাপ সুভাকে কী বলে ডাকত?
৯. বাণীকণ্ঠের ঘর কয় চালা?
১০. সুভার মা সুভার প্রতি বিরক্ত ছিলেন কেন?
১১. সুভা কার কাছে মুক্তির আনন্দ পায়?
১২. 'কপোল' শব্দের অর্থ কী? 

১৩. সুভাদের গোয়ালের গাভি দুটির নাম কী?
১৪. প্রতাপ সুভার মর্যাদা বুঝতো কেন?
১৫. কিশলয় শব্দের অর্থ কী?
১৬. প্রতাপের প্রধান শখ কী?
১৭. প্রকৃতি সুভার কিসের অভাব পূরণ করে দেয়?
১৮. 'মানসী'-কাব্যগ্রন্থটি কার লেখা?
১৯. সুভা নিয়মিত কয়বার গোয়ালে যেত?
২০. 'ঝিল্লিরব'-অর্থ কী?

অনুধাবনমূলক প্রশ্নঃ-

১. “পিতা-মাতার নীরব হৃদয়ভার’ – কথাটি দ্বারা লেখক কী বোঝাতে চেয়েছেন?
২. সুভাকে সুভার মা বিধাতার অভিশাপ মনে করেন কেন?ব্যাখ্যা করো।
৩. "তুমি আমাকে যাইতে দিওনা মা"- উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
৪. প্রতাপকে নিতান্ত অকর্মণ্য লোক কেন বলা হয়েছে? 
৫. "তাহার মর্ম তাহারা ভাষার অপেক্ষা সহজে বুঝিত”_ ব্যাখ্যা করো।
৬. প্রতাপ সুভার মর্যাদা বুঝত কেন? ব্যাখ্যা কর ।
৭. সুভার নাম কেন ‘সুভাষিণী’ রাখা হয়েছিল? ব্যাখ্যা করো।
৮. “সে ভাষাবিশিষ্ট জীব”- কার সম্পর্কে কোন প্রসঙ্গে বলা হয়েছে?
৯. সুভা মনে মনে বিধাতার কাছে অলৌকিক ক্ষমতা প্রার্থনা করত কেন? বুঝিয়ে লিখ ।
১০. কেন বাণীকণ্ঠকে লোকে নিন্দা করতে শুরু করে?
১১. ‘তাহার মর্ম তাহার ভাষার অপেক্ষা সহজে বুঝিত’-কথাটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
১২. প্রতাপের প্রতি তার মা-বাবা নিরাশ হওয়ার কারণ কী?
১৩. " মাছ ধরার সময় বাক্যহীন সঙ্গীই সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ"- ব্যাখ্যা করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ১ : আমার ভাইপো বলাই – তার প্রকৃতিতে গাছপালার মূল সুরগুলোই হয়েছে প্রবল। ছেলেবেলা থেকেই চুপচাপ চেয়ে চেয়ে দেখাই তার অভ্যাস, নড়েচড়ে বেড়ানো নয়। পুব দিকের আকাশে কালো মেঘ স্তরে স্তরে স্তপ্তিত হয়ে দাঁড়ায়, ওর সমস্ত মনটাতে ভিজে হাওয়া যেন শ্রাবণ-অরণ্যের গন্ধ নিয়ে ঘনিয়ে ওঠে; ঝুম ঝুম করে বৃষ্টি পড়ে, ওর সমস্ত গা যেন শুনতে পায় সেই বৃষ্টির শব্দ।

গ) উদ্দীপকের বলাইয়ের সঙ্গে “সুভা” গল্পের সুভা চরিত্রটির সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি আলোচনা করো।
ঘ) “উদ্দীপকে সুভার ব্যক্তিজীবনের নিঃসঙ্গতা অনুপস্থিত” – মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ২ : সদানন্দ আর নিরুপমার মেয়ে কৃতি। কৃতি তার মায়ের চোখের মনি। কিন্তু পুত্রহীন সদানন্দ তার মেয়ে কে খুব একটা পছন্দ করে না। বাবার এমন আচরণে কৃতি মনে বড্ড দুঃখ অনুভব করে । কিন্ত ভার সব কষ্ট চলে যায় নিরুপমার সীমাহীন ভালোবাসায় । কৃতির বলা না বলা সব সুখ-দুঃখ একমাত্র তার মাই বোঝেন

গ) উদ্দিপকে সুভা গল্পের যে দিকটি ফুটে উঠেছে তা বর্ণনা কর।
ঘ) “উদ্দিপক ও ‘সুভা” গল্পটি-ভিন্নধারায় প্রবাহিত- উক্তিটির যথার্থতা যাচাই কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ : দুই পুত্রসন্তানের পর কন্যাসন্তান পলাশ বাবুর পরিবারে আনন্দের বন্যা নিয়ে এলো । নাম রাখা হলো “কল্যাণী’। সকলের চোখের মণি কল্যাণী বেড়ে ওঠার সাথে সাথে পলাশ বাবু বুঝতে পারলেন, বয়সের তুলনায় কল্যাণীর মানসিক বিকাশ ঘটেনি । কিছু বললে ফ্যাল্ফ্যাল্‌ করে চেয়ে থাকে। কল্যাণীর বিয়ের কথাবার্তা চলছে। পলাশবাবু কল্যাণীর সবই বরপক্ষকে খুলে বললেন। সব শুনে বরের বাবা সুবোধ বাবু বললেন, “পলাশ বাবু কল্যাণীর মতো আমার ছেলেও তো হতে পারতো, কাজেই কল্যাণী মাকে ঘরে নিতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই”

গ. উদ্দীপকের প্রথম অংশের বক্তব্যে কল্যাণী ও সুভার যে বিশেষ দিকটির সঙ্গতি দেখানো হয়েছে- তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. কল্যাণী ও সুভা একই পরিস্থিতির শিকার হলেও উভয়ের প্রেক্ষাপট ও পরিণতি ভিন্ন- বিশ্লেষণ কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৪ :
কবিতা ১
‘চোখ গেল’ ওই চেঁচিয়ে হলো সারা।
আচ্ছা দিদি, কী করবে ভাই তারা—
জন্ম লাগি গিয়েছে যার চোখ।
কাঁদার সুখ যে বারণ তাহার—ছাই।
কাঁদতে পেলে বাঁচতে সে যে ভাই,
কতক তবু কমত যে তার শোক।
‘চোখ গেল’—তার ভরসা তবু আছে—
চক্ষুহীনতার কী কথা কার কাছে!

কবিতা ২
টানিস কেন? কিসের তাড়াতাড়ি—
সেই তো ফিরে যাব আবার বাড়ি,
একলা-থাকা সেই তো গৃহকোণ—
তার চেয়ে এই স্নিগ্ধ শীতল জলে
দুটো যেন প্রাণের কথা বলে—
দরদ ভরা দুখের আলাপন;
পরশ তাহার মায়ের স্নেহের মতো
ভুলায় খানিক মনের ব্যথা যত!

গ. কবিতা-১-এর বক্তব্যে ‘সুভা’ গল্পের যে বিশেষ দিকটির সংগতি দেখানো হয়েছে—তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘কবিতা-২-এর অন্ধ বধূটির অনুভূতি ও সুভার অনুভূতি একসূত্রে গাঁথা’—মন্তব্যটির যথার্থতা নির্ণয় করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৫ : মা-মরা মেয়ে মিনু। বাবা জন্মের আগেই মারা গেছে। নে মানুষ হচ্ছে এক দূর সম্পর্কের পিসিমার বাড়িতে । বয়স মাত্র দশ । কিন্ত এ বয়সেই সবরকম কাজ করতে পারে সে। সবরকম কাজই করতে হয়। লোকে অবশ্য বলে যোগেন বসাক মহৎ লোক বলেই অনাথ বোবা মেয়েটিকে আশ্রয় দিয়েছেন ।

গ. উদ্দীপরেক মিনু “সুভা’ কোন চত্রিত্রের প্রতীক? ব্যখ্যা কর ।
ঘ. “উদ্দীপকের মিনুর সাথে সুভা গল্পের সুভার সাদৃশ্য থাকলেও সুভার জগতটি ভিন্ন ।” – উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৬ : রায়বাহাদুর পরিবারের একমাত্র কন্যা রমা। রূপে-গুনে, শিক্ষা-দীক্ষায় সে অতুলানীয়। ধনীর দুলালীর কদর স্বরুপ বরপক্ষের আগ্রহে অনেক ঘটা করে রমার বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হচ্ছিল। হঠাৎ একটি
সোরগোল পড়ে গেলো । বিয়ের আসর থেকে বিয়ে ভেঙ্গে দিয়ে বরপক্ষ চলে যাচ্ছে। কারন কনেপক্ষ
সত্য গোপন করে বোবা মেয়ের বিয়ে দিচ্ছিল।

গ. সুভা ও রমা চরিত্রের তুলনামূলক আলোচনা কর।
ঘ. রমার জীবনের করুণ পরিনতি “সুভা” গল্পের মুলসুর কে কতটুকু ধারণ করেছে? তোমার মতের
পক্ষে যুক্তি দাও ।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৭ : ছন্দা ছোটবেলায় বাবা-মাকে হারিয়ে তার চাচার কাছে মানুষ হয়েছে। পিতা-মাতাহীন জীবনে ছন্দাকে অনেক দুঃখ-যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়েছে। একদিন হুট করে কাউকে কিছু না জানিয়ে চাচা তার এক পরিচিত লোকের সাথে ছন্দাকে বিয়ে দেন। এর পর থেকেই শুরু হর শশুরবাড়িতে ছন্দার নির্যাতিত জীবন । প্রথম প্রথম মুখ বুজে সহ্য করলেও শেবে ছন্দা প্রতিবাদী হয়ে ওঠে । তার এ প্রতিবাদের জন্য শেৰ পর্যন্ত স্বামীর বাড়ি থেকে সে বিতাড়িত হয়।

গ. উদ্দীপকের ছন্দা ও “সুভা” গল্পের সুভার জীবনের বৈসাদৃশ্য তুলে ধর।
ঘ. উদ্দীপকের ছন্দা ও ‘সুভা’ গল্পের সুভার পরিণতি ভিন্ন ধারায় প্রবাহিত হয়েছে। মন্তব্যটি কতখানি যৌক্তিক তা নির্ণয় কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৮ : আনু নবম শ্রেণিতে পড়ে। ক্লাসের অন্য সব ছেলে-মেয়ের মত সেও প্রাণবন্ত। খেলাধুলা করে, বন্ধুদের সাথে মেলামেশা করে। হঠাৎ করেই ঘটল দুর্ঘটনা। সড়ক দুর্ঘটনায় আনু একটা পা হারায়। এখনও সে ক্লাসে আসে, শিক্ষকের পড়াবলে। কিন্তু আগের মতো সেই প্রাণবন্ত পরিবেশ পায় না। ক্লাসের বন্ধুরা তার সাথে মেশে না, কথাও বলতে চায় না। ফলে সে ধীরে ধীরে নিশ্চুপ হয়ে যায়।

গ. উদ্দীপকটি ‘সুভা’ গল্পের কোন ভাবকে নির্দেশ করে? লেখ।
ঘ. “শারীরিক ত্রæটির কারণেই উদ্দীপকের আনু আর ‘সুভা’ গল্পের সুভা সামাজিক বৈষম্যের শিকার।”-মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৯ :
যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে,
বাইব না মোর খেয়া তরী এই ঘাটে
চুকিয়ে দেব বেচা কেনা, মিটিয়ে দেব লেনা দেনা
বন্ধ হবে আনাগোনা এই বাটে;
তখন আমায় নাইবা মনে রাখলে।

গ. উদ্দীপকটিতে ‘সুভা’ গল্পের দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “ উদ্দীপকের কবিতাংশে ‘সভা’ গল্পের বোবা মেয়েটির ব্যথিত হৃদয়ের আর্তিই যেন ভাষারূপ পেয়েছে।”-মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ১০ : দুই পা আছে কিন্তু উঠে দাঁড়াবার শক্তি নেই। তাতে কী? আত্মবিশ্বাস তো আছে। তাই তো জীবনযুদ্ধে দমে যাননি আলমগীর হোসেন। ছোটবেলায় টাইফয়েট জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেন তিনি। তারপর থেকে হাঁটা-চলা ও কাজকর্ম করার কথা কখনো চিন্তা করতে পারেননি আলমগীর। কিন্তু শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী হলেও জীবিকার তাগিদে রিকশাকে বেছে নিয়েছেন হাতিয়ার হিসেবে।

গ. উদ্দীপকটি আলমগীর হোসেনের সাথে ‘সুভা’ গল্পের সুভার সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “ উদ্দীপকটি আলমগীর হোসেনের পরিস্থিতি ও পরিণতি সুভার পরিণতির থেকে ভিন্ন।”-মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ১১: বাবা-মা হারা রেজা তার চাচা আমজাদ সাহেবের কাছে থাকে। রেজার একটি হাত ও একটি পা নেই। তবু সে থেমে থাকে না। ক্লাসে ভালো ফলাফল করায় শিক্ষকগণ তাকে স্নেহ করেন। সহপাঠীরা তাকে সহযোগিতা করে। তবে কেউ কেউ তাকে নিয়ে তামাশা করে। ফলে অনেক সময় মন খারাপ হয়। চাচা তাকে বলে, “মন খারাপ করো না, এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে তুমি সবাইকে দেখিয়ে দাও যে তুমিও পার।”

গ. উদ্দীপকের রেজার সাথে সুভা গল্পের সুভার সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর।
ঘ. সুভার বাবা-মায়ের মানসিকতা যদি রেজার চাচার মতো হতো তবে সুভার পরিণতি অন্য রকম হতে পারত- উত্তিটি বিশ্লেষণ কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ১২: মেঘনার তীরবর্তী গ্রামে বেড়ে ওঠা দুরন্ত কিশোর জুনায়েদ দশম শ্রেণির ছাত্র। ক্লাসে সবচেয়ে প্রাণবন্ত ও অসম সাহসী এ কিশোর। সবকিছুতে তার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। খেলাধুলা, বন্ধুদের সাথে দুষ্টুমি কোনো কিছুতে সে পিছিয়ে নেই। হঠাৎ একদিন সড়ক দুর্ঘটনায় সে তার একটি পা হারায়। এতে সে মানসিকভাবে পুরোপুরি ভেঙে পড়ে। পড়ালেখায় মন দিতে পারছে না। তার সর্বদা মনে হতে লাগল। এখন আর পড়ালেখা করে কী লাভ হবে? কিন্তু তার সহপাঠীরা তাকে উৎসাহ ও সাহস দিয়ে আবার প্রাণচঞ্চল করে তোলে। সে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়। সকলে তার সফলতায় খুশি হয়।

গ. উদ্দীপকের জুনায়েদের মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার দিকটি সুভা গল্পের সুভার সঙ্গে কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের সহপাঠীদের মতো মানসিকতা থাকলে সুভা গল্পের সুভার পরিবারকে বিড়ম্বনার শিকার হতে হতো না- মন্তব্যটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর।


Sunday, January 12, 2025

বইপড়া

প্রমথ চৌধুরী 

প্রমথ চৌধুরী(১৮৬৮-১৯৪৬)
ছদ্মনাম - বীরবল।
পত্রিকার সম্পাদক: সবুজপত্র (১৯১৪)
চলিত ভাষা রীতির জনক।

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

১. প্রমথ চৌধুরীর সাহিত্যিক ছদ্মনাম কী?
২. “বই পড়া” প্রবন্ধটি প্রমথ চৌধুরীর কোন গ্রন্থ থেকে সংকলন করা হয়েছে?
৩. “বই পড়া” প্রবন্ধ অনুসারে লেখকের মতে থামে গ্রামে কী প্রতিষ্ঠা করা উচিত?
৪. 'ভাঁড়েও ভবানী” অর্থ কী?
৫. প্রমথ চৌধুরী সম্পাদিত সাময়িকপত্রের নাম কী?
৬. সুশিক্ষিত লোক মাত্রই কী?
৭. প্রমথ চৌধুরীর সাহিত্যিক ছদ্মনাম কী?
৮. প্রমথ চৌধুরীর ছদ্মনাম কী?
৯. যিনি যথার্থ গুরু তিনি শিষ্যের আত্মাকে কী করেন?
১০. লেখকের মতে কাব্যামৃতে আমাদের অরুচির জন্য দোষ কার?
১১. বাংলা সাহিত্যে চলিত রীতির প্রবর্তক কে?
১২. শিক্ষকের সার্থকতা কোথায়? 
১৩. 'গতাসু' শব্দের অর্থ কী? 
১৪. যথার্থ গুরুর কাজ কী? 
১৫. কেতাবি '- শব্দের অর্থ কী? 
১৬. যথার্থ শিক্ষিত হতে হলে কী দরকার?
১৭. মনের দাবি রক্ষা না করলে কী বাঁচে না?
১৮. সাহিত্য চর্চার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হওয়ার অর্থ কী? 
১৯. মানুষের সর্বশ্রেষ্ঠ শখ কোনটি?
২০. 'বই পড়া'- প্রবন্ধটি কোথায় পড়া হয়েছিল? 
২১. কারদানী '- শব্দের অর্থ কী? 
২২. প্রমথ চৌধুরী কোন সালে মৃত্যুবরণ করেন?

অনুধাবনমূলক প্রশ্নঃ-
১. “ব্যধিই সংক্রামক, স্বাস্থ্য নয় ।’ – বুঝিয়ে লেখো।
২. ‘পাস করা ও শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয়’ — কথাটি ব্যাখ্যা কর।
৩. গণতন্ত্র বলতে কী বোঝায়?
৪. ‘সেখানে ছেলেদের বিদ্যে গেলানো হয়’—ব্যাখ্যা করো।
৫. 
 “বই পড়া” প্রবন্ধে প্রাবদ্ধিক লাইব্রেরিকে হাসপাতালের সঙ্গে তুলনা করেছেন কেন?

৬. “এ আশা সম্ভবত দুরাশা ।’ – কেন?
৭. অন্তর্নিহিত শক্তি বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
৮. মনের হাসপতাল বলতে কী বোঝায়?
৯. “সুশিক্ষিত লোকমাত্রই স্বশিক্ষিত ৷” _কেন? বুঝিয়ে বলো।
১০. সেখানে ছেলেদের বিদ্যে গেলানো হয়’—ব্যাখ্যা করো।

১১. প্রমথ চৌধুরী সাহিত্যচ্চাকে শিক্ষার সর্বপ্রধান অঞ্জ বলেছেন কেন?

১২. শিক্ষা কেউ কাউকে দিতে পারে না কেন?

১৩. মানুষের মনের সাক্ষাৎ শুধু সাহিত্যে পাওয়া যায় কেন?

১৪. মনের দাবি রক্ষা না করলে মানুষের আত্মা বাঁচে না"- বুঝিয়ে লেখো। 

১৫. দেহের মৃত্যুর রেজিস্টারি রাখা হয়,আত্মার হয় না'- বুঝিয়ে লেখো।
১৬. সাহিত্য চর্চাকে শিক্ষার সর্বপ্রধান অঙ্গ বলা হয়েছে কেন?
১৭. যে জাতি জ্ঞানের ভাণ্ডার শূন্য, সে জাতির ধনের ভাঁড়েও ভবানী "- উক্তিটি দ্বারা কী বুঝানো হয়েছে? 
১৮. আত্মার অপমৃত্যু বলতে কী বুঝানো হয়েছে? 
১৯. জাতির জীবনী শক্তি হ্রাস পায় কোন কারণে?
২০. প্রাবন্ধিক শখ হিসেবে বই পড়ার পরামর্শ দেননি কেন?
২১. পাস করা ও শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় কেন?—বুঝিয়ে লেখো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ১ : বাল্যকাল হইতে আমাদের শিক্ষার সহিত আনন্দ নাই। কেবল যাহা নিতান্ত আবশ্যক, তাহাই কণ্ঠস্থ করিতেছি। তেমনি কোনোমতে কাজ চলে মাত্র, কিন্তু মনের বিকাশ লাভ হয় না। হাওয়া খাইলে পেট ভরে না, আহার করিলে পেট ভরে, কিন্তু আহারাদি রীতিমত হজম করিবার জন্য হাওয়া আবশ্যক।

গ. উদ্দীপকটি “বই পড়া” প্রবন্ধের সঙ্গে কোন দিক দিয়ে সাদৃশ্যপূর্ণ? -আলোচনা করো।
ঘ. “উদ্দীপকটি “বই পড়া” প্রবন্ধের সমঘ ভাব নয়, খণ্ডাংশকে ধারণ করেছে মাত্র ।” -বিশ্লেষণ করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ২ : বই কেনার সামর্থ্য নেই। তবুও বিভিন্ন বদ্ধুর নিকট থেকে বই সংহ করে পড়ে পায়েল। সাহিত্য, সাহিত্য সমালোচনা, আত্মজীবনী, দর্শন- জ্ঞানজগতের সকল প্রদেশে তার যাতায়াত থাকা চাই । অন্য দিকে তার বন্ধু কাকলি বই কিনে বন্ধুদের উপহার দেয় কিন্তু নিজে খুব একটা পড়ে না। তার ধারণা এসব বই পড়ে কী হবে? প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাই যথেষ্ট ।

গ. উদ্দীপকে “বই পড়া’ প্রবন্ধের কোন দিকটি প্রকাশিত হয়েছে?_ আলোচনা করো।
ঘ. “উদ্দীপকের পায়েল “বই পড়া” প্রবন্ধের একটি বিশেষ চিন্তার ধারক” – মন্তব্যটি বিচার করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ : জাতীয় জীবনধারা গঙ্গা-যমুনার মতোই দুই ধারায় প্রবাহিত। এক ধারার নাম আত্মরক্ষা বা স্বার্থপ্রসার, আরেক ধারার নাম আত্মপ্রকাশ বা পরমার্থ বৃদ্ধি। একদিকে যুদ্ধবিগ্রহ, মামলা-ফ্যাসাদ প্রভৃতি কদর্য দিক; অপরদিকে সাহিত্য, শিল্প, ধর্ম প্রভৃতি কল্যাণপ্রদ দিক। একদিকে শুধু কাজের জন্য কাজ। অপরদিকে আনন্দের জন্য কাজ। একদিকে সংগ্রহ, আরেক দিকে সৃষ্টি। যে জাতি দ্বিতীয় দিকটির প্রতি উদাসীন থেকে শুধু প্রথম দিকটির সাধনা করে, সে জাতি কখনও উঁচু জীবনের অধিকারী হতে পারে না।

গ. উদ্দীপকে বর্ণিত প্রথম দিকটি “বই পড়া” প্রবন্ধের যে দিকটিকে ইঙ্গিত করে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে পরমার্থ বৃদ্ধির প্রতি যে গুরত্তব দেয়া হয়েছে তা “বই পড়া” প্রবন্ধের লেখকের মতকে সমর্থন করে – মন্তব্যটির বিচার কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৪ : মহাসমুদ্রের শত বৎসরের কল্লোল কেহ যদি এমন করিয়া বাধিয়া রাখিত তবে সে ঘৃমাইয়া পড়া শিশুটির মতো চুপ করিয়া থাকিত, তবে সেই মহাশব্দের সহিত এই লাইব্রেরীর তুলনা হইত এখানে ভাষা চুপ করিয়া আছে, প্রবাহ স্থির হইয়া আছে, মানবাত্রার অমর আলোক কালো অক্ষরের শৃঙ্খলে কাগজের কারাগারে বাধা পড়িয়াছে।

গ. উদ্দীপকে “বই পড়া” প্রবন্ধের যে দিকটি প্রকাশিত হয়েছে তা বর্ণনা করো।
ঘ. “উদ্দীপকের বিষয়বস্ত “বই পড়া” প্রবন্ধের সমগ্র ভাবকে ধারণ করে না।” মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৫ : আজমল হোসেন গণিতের একজন অভিজ্ঞ শিক্ষক। তিনি ছাত্রদের মানসিক বিকাশের জন্য শুধু পাঠ্য বইয়ে আবদ্ধ রাখায় বিশ্বাসী নন। তাঁর বিশ্বাস, মেধাবী জাতি তৈরির জন্য সাহিত্যচর্চার কোনো বিকল্প নেই। সাহিত্য শিক্ষার্থীর মনকে আলোকিত করে তোলে, ছাত্রদের সাহিত্য পাঠে উৎসাহিত করার জন্য তিনি মাঝে মাঝে বইও উপহার দেন।

গ. উদ্দীপকে ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের যে বিশেষ দিকটির প্রতিফলন ঘটেছে, তা আলোচনা করো
ঘ. ‘মানুষের আত্মিক মুক্তির জন্য সাহিত্যচর্চার বিকল্প নেই’—উদ্দীপক ও ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের আলোকে উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৬ : তামিমকে মা পাঠ্যপুস্তকের বাইরে সাহিত্যের কিছু বই পড়ার পরামর্শ দেন। তামিমের বই পড়ার ইচ্ছা থাকলেও বই পাবে কোথায়। মা তাকে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরিতে যোগাযোগ করতে বলে। সেখানে সাহিত্যের নানারকম বই আছে। যা তামিম পছন্দমতো বাছাই করে নিয়ে পড়তে পারবে। এতে তামিম অনেক আনন্দ পাবে। ফলে তার সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পাবে।

গ) প্রমথ চৌধুরীর ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের সঙ্গে উদ্দীপকের বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সাদৃশ্য নির্ণয় কর।
ঘ) ‘আমরা যত বেশি লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করব, দেশের তত বেশি উপকার হবে’- মন্তব্যটির যৌক্তিক বিশ্লেষণ কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৭ : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ধরাবাঁধা লেখাপড়ার প্রতি কোনো আগ্রহই ছিল না। তবে নিজের ইচ্ছায় তিনি ছেলেবেলা থেকে পড়েছেন। এই সুপণ্ডিতের বাড়িতেই ছিল বিশাল গ্রন্থাগার। তাঁর সৃজনশীলতার প্রাথমিক সাক্ষ্য হলো তাঁর সৃষ্টির বিপুলতা। সাহিত্যের সকল অঙ্গনেই ছিল তাঁর সফল পদচারণা। তিনি একাই তাঁর শিল্প সাধনা, কর্মোদ্যোগ ও চিন্তাধারা দ্বারা তাঁর পশ্চাত্পদ জাতিকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জাতিসমূহের সমকক্ষ করে গিয়েছেন।

গ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সুশিক্ষিত হওয়া ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের যে দিকটিকে প্রতিফলিত করেছে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের মূল বক্তব্যকে পুরোপুরি সমর্থন করে — উক্তিটি মূল্যায়ন কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৮ : শুধু পাঠ্যপুস্তক পড়ে আর খ্যাতিমান শিক্ষকদের নোট মুখস্ত করে পরীন্ষায় প্রথম হতে হয় কীভাবে আশিক তা ভালো করেই জানে | কিন্তু কুলের একাডেমিক পরীক্ষার বাইরে বিভিন্ন অলিম্পিয়াড, ভাষা-সাধারণ জ্ঞান ও বক্তৃতা প্রতিযোগে জাহিন থাকে শীর্ষে | অথচ বিভিন্ন শ্রেণিতে তার রোল থেকেছে পাঁচ থেকে দশের মধ্যে | আশিক পাঠ্যপুস্তকের বাইরে অন্য বই পড়তে বিশেষ আগ্রহী নয় | তাছাড়া তার মা-বাবাও এটাকে ভালো মনে করে না | কিন্তু জাহিন ক্লাসের পড়া শেষ হলেই তার পছন্দের বইয়ের মধ্যে ডুব দেয় | তার এই গ্রন্থনীতি দেখে তার বাবাও ছেলের পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের বই কিনে দেন | তাই বন্ধুসমাজে ‘গ্রন্থকীট’ উপাধিপ্রাপ্ত জাহিনের ব্যক্তিগত লাইব্রেরিটিও বেশ সমৃদ্ধ হরে উঠেছে।

গে) উদ্দীপকের আশিকের শিক্ষাজীবনকে “বই পড়া” প্রবন্ধের আলোকে ব্যাখ্যা করো |
(ঘ)’বই পড়া” প্রবন্ধের লেখকের নিকট শিক্ষার্থী হিসেবে জাহিনের ভূমিকা যথার্থ | _ উক্তিটি মূল্যায়ন করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৯ : আবিদ এমএ পাস যুবক । ছাত্রীজবনে সে পাঠ্যপুস্তক মুখস্থ করে ভালো রেজাল্ট করেছে। একদিন তার এক বন্ধু তাকে নিয়ে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে যায় । সেখানে নে বিভিন্ন বই দেখে আগ্রহী হয় এবং একটি দুটি করে বই এনে পড়তে শুরু করে । কিছুদিনের মধ্যেই নে অনুধাবন করে যে, একদিন কেবল পাঠ্যপুস্তক পড়ে নে সুশিক্ষিত হতে পারেনি। যথার্থ শিক্ষিত হতে মনের যে প্রসারতা দরকার তা সে অর্জন করতে পারেনি । বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বই তার মনের ভ্বানালা খুলে দিয়েছে। এখন সে অনুভব করে যে, দেশের প্রতিটি গ্রামের লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন ।

গ. উদ্দীপকে আবিদের এ দৃষ্টিভঙ্গি “বই পড়া” প্রবন্ধের কোন দিকটি ইঙ্গিত বহন করে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “আবিদের সুশিক্ষিত না হওয়ার কারণ প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার ত্রুটি । ” প্রবন্ধের আলোকে এ উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্রেষণ কর ।

সৃজনশীল প্রশ্ন ১০ : দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সৌমিকের পত্রিকার সাহিত্যের পাতাগুলোর প্রতি আগ্রহ বেশি । মামার সাথে বইমেলায় গিয়ে অবসরকালীন বিনোদনের জন্য কয়েকটি বই কিনে নেয় । মাতা তাকে বলেন, জ্ঞানের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করতে হলে বই পড়ার বিকল্প নেই। সৌমিকের বই পড়ার আগ্রহ দেখে মামা তাকে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরিতে ভর্তি করে দেন।

গ. উদ্দীপকের মুলভাব “বই পড়া” প্রবন্ধের কোন দিকের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ- ব্যাখ্যা কর ।
ঘ. উদ্দপকের মূলভাব ‘বই পড়া” প্রবন্ধের মূলভাবের অংশবিশেষকে প্রস্ফুটিত করে ।”- বক্তব্যটি যথার্থতা নিরূপন কর ।

সৃজনশীল প্রশ্ন ১১ঃ আজমল হোসেন গণিতের একজন অভিজ্ঞ শিক্ষক। তিনি ছাত্রদের মানসিক বিকাশের জন্য শুধু পাঠ্য বইয়ে আবদ্ধ রাখায় বিশ্বাসী নন। তাঁর বিশ্বাসমেধাবী জাতি তৈরির জন্য সাহিত্যচর্চার কোনো বিকল্প নেই। সাহিত্য শিক্ষার্থীর মনকে আলোকিত করে তোলেছাত্রদের সাহিত্য পাঠে উৎসাহিত করার জন্য তিনি মাঝে মাঝে বইও উপহার দেন।

গ) উদ্দীপকে বই পড়া’ প্রবন্ধের যে বিশেষ দিকটির প্রতিফলন ঘটেছেতা আলোচনা করো।
ঘ) মানুষের আত্মিক মুক্তির জন্য সাহিত্যচর্চার বিকল্প নেই’—উদ্দীপক ও বই পড়া’ প্রবন্ধের আলোকে উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ১২। রাসেল পেশায় একজন চিকিৎসক। একবার তিনি বইয়ের দোকান থেকে চিকিৎসাবিষয়ক কিছু বই কিনলেন। দোকানি তাঁকে বললেন, ‘বিখ্যাত কবির একখানা কাব্যগ্রন্থ এসেছে, নেবেন স্যার?’ রাসেল মুখ বাঁকা করে বললেন, ‘ওসব কাব্য-টাব্য পড়ে কী লাভ, অর্থ ও সময়ের অপচয় মাত্র। ’ বলা বাহুল্য, বৈষয়িক বুদ্ধি আমাদের শিক্ষা ক্ষেত্রে একেবারে সীমাবদ্ধ করে ফেলেছে।

(গ) রাসেলের সঙ্গে ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে উল্লিখিত আইন ব্যবসায়ীর সাদৃশ্য বিচার করো।
(ঘ) ‘বৈষয়িক বুদ্ধি আমাদের শিক্ষাক্ষেত্র একেবারে সীমাবদ্ধ করে ফেলেছে’—প্রবন্ধের আলোকে এর সত্যতা যাচাই করো।


Wednesday, January 8, 2025

আমার পথ

কাজী নজরুল ইসলাম 
জন্ম : ১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ মে।
জন্মস্থান : পশ্চিমবঙ্গের আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে।
বাঙালি পল্টনে যোগদান করেন - ১৯১৭ সালে।
দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হন - ৪৩ বছর বয়সে। 
উপাধি - বিদ্রোহী।
উপন্যাসঃ বাঁধনহারা,মৃত্যুক্ষুধা,কুহেলিকা।
গল্পগ্রন্থ; ব্যথার দান, রিক্তের বেদন, শিউলিমালা। 
প্রবন্ধগ্রন্থ; যুগবাণী, দুর্দিনের যাত্রী, রুদ্র মংগল , রাজবন্দীর জবানবন্দী ।
মৃত্যু ঃ ২৯শে আগস্ট ১৯৭৬।

গুরুত্বপূর্ণ শব্দার্থ ও টীকা:---
নমস্কার - করজোড়ে কপাল ছুঁয়ে অভিবাদন।
কুর্নিশ - অভিবাদন বা সম্মান প্রদর্শন।
কর্ণধার - নেতৃত্ব প্রদানের সামর্থ্য আছে এমন ব্যক্তি।
বিপথ - মন্দপথ,ভুল পথ।
দম্ভ - গর্ব,অহংকার। 
পৌরুষ - তেজ,পুরুষোচিত ভাব।
স্পর্ধা  - দর্প, অহংকারপূর্ণ দু:সাহস।
অটুট - নিখুঁত। 
স্বাবলম্বন - নিজের উপর নির্ভরশীলতা,স্বনির্ভর। 
নিষ্ক্রিয় - অলস,কর্মহীন। 
ভণ্ডামি - প্রতারণা।
সম্মার্জনা - মেজে ঘষে পরিষ্কার করা।
মেকি - মিথ্যা বা কপট।

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন:--
১. 'আমার পথ'- প্রবন্ধটি কোন গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে? --- 'রুদ্র-মঙ্গল' প্রবন্ধগ্রন্থ থেকে।
২. কোনটি আমাদের নিষ্ক্রিয় করে দেয়?  --- পরাবলম্বন।
৩. লেখক কাকে সালাম জানিয়েছেন? --- আপন সত্যকে।
৪. আমার পথ আমাকে কী দেখাবে? --- আমার সত্যকে।
৫. কে বাইরে ভয় পায়?-- যার ভেতরে ভয়। 
৬. কে অন্য ধর্মকে ঘৃণা করতর পারে না?--- যার নিজের ধর্ম
 বিশ্বাস আছে,যে নিজের সত্যকে চিনেছে।
৭. কে মিথ্যাকে ভয় পায়? --- যার মনে মিথ্যা আছে।
৮. মানুষের মধ্যে সহনশীলতা বাড়ে কখন?--- সম্প্রীতির বন্ধন শক্তিশালী হলে।
৯. কোন বোধে জাগ্রত হতে পারলেই ধর্মের সত্য উন্মোচিত হয়?--- মনুষ্যত্ব বোধে।
১০. কোনটি সবচেয়ে বড় দাসত্ব? --- পরাবলম্বন।

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন:
১. মানুষ ধর্মকে সবাই বড় ধর্ম বলা হয় কেন?
২. "ভুলের মধ্য দিয়ে গিয়েই তবে সত্যকে পাওয়া যায় "- উক্তিটি বিশ্লেষণ করো।

অপরিচিতা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 
জন্ম : ১৮৬১ খ্রি: ৭ই মে(১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ শে বৈশাখ) 
জন্মস্থান : কলকাতা জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে।
পিতার নাম : দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
মাতার নাম: সারদা দেবী।
প্রথম ছোটগল্প : 'ভিখারিনী ' [১২৮৪ বঙ্গাব্দে ১৬ বছর বয়স]
গল্পগুচ্ছে ছোটগল্পের সংখ্যা ৯৫টি।
সর্বশেষ লিখিত ছোটগল্প: 'মুসলমানীর গল্প'
বিখ্যাত উপন্যাস : 'চোখের বালি','ঘরে-বাইরে','শেষের কবিতা','যোগাযোগ '।
বিখ্যাত নাটক : রাজা,ডাকঘর,রক্তকরবী। 
মৃত্যু : ১৯৪১ সালে ৭ই আগস্ট(১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ শ্রাবণ)

গুরুত্বপূর্ণ শব্দার্থ :
অন্নপূর্ণা - অন্নে পরিপূর্ণা। দেবী দুর্গা।
অন্ত:পুর - অন্দরমহল, ভেতরবাড়ি। 
স্বয়ংবরা - যে মেয়ে নিজেই স্বাধীন নির্বাচন করে।
উমেদারি - প্রার্থনা, চাকরির আশায় অন্যের কাছে ধরনা দেওয়া। 
প্রজাপতি - জীবের স্রষ্টা,ব্রহ্মা,ইনি বিয়ের দেবতা।
সেকরা - স্বর্ণকার,সোনার অলংকার প্রস্তুতকারক।
অভিষিক্ত - অভিষেক করা হয়েছে এমন।
কন্সর্ট - নানারকম বাদ্যযন্ত্রের ঐকতান।
সওগাদ - উপঢৌকন, ভেট।
কষ্টিপাথর - যে পাথরে ঘষে সোনার খাটিত্ব পরীক্ষা করা হয়। এয়ারিং - কানের দুল।
কলি- পুরাণে বর্ণিত চার যুগের এক যুগ।কলিযুগ,কলিকাল।
প্রদোষ - সন্ধ্যা। 
মঞ্জরী - কিশলয়যুক্ত কচি ডাল।
অভ্র - খনিজ ধাতু।

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন:--
১. 'অপরিচিতা'- কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়?
----- 'সবুজপত্র ' [সম্পাদক - প্রমথ চৌধুরী,১৯১৪ সালে ]
২. অনুপমের বাবার পেশা কী ছিল? ---- ওকালতি।
৩. অনুপমের পিসতুতো ভাই এর নাম কী? --- বিনু।
৪. অনুপমের মামা তার চেয়ে কত বছরের বড়? --- ছয় বছর
৫. কন্যাকে কী দিয়ে আশীর্বাদ করা হয়েছিল?--- এয়ারিং
৬. বিবাহ ভাঙার পর কল্যাণী কোন ব্রত গ্রহণ করেছে?--- মেয়েদের শিক্ষা ব্রত।
৭. বেহাই সম্প্রদায়ের কী থাকাটা দোষের? --- তেজ।
৮. মেয়ের বয়স শুনে কার মন ভারি হলো?--- মামার।
৯. বিয়ের সময় অনুপমেয় বয়স কত ছিল?--- তেইশ।
১০. শম্ভুনাথ সেনের পেশা কী ছিল?  --- ডাক্তারি।
১১. আজ অনুপমের বয়স কত?---- সাতাশ
১২. 'গাড়িতে জায়গা আছে'- উক্তিটি কার? --- কল্যাণীর।
১৩. অনুপমকে 'মাকাল ফল' বলে তুলনা করে বিদ্রুপ করেছিল কে? --- পণ্ডিতমশায়।
১৪. কল্যাণী কোন স্টেশনে নেমেছিল?---- কানপুর।
১৫. বিবাহের সম্বন্ধ এনেছিল কে? --- হরিশ।



অনুধাবনমূলক প্রশ্ন:
১. 'অন্নপূর্ণার কোলে গজাননের ছোট ভাইটি' উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
২. 'কন্যার পিতা মাত্রই স্বীকার করিবেন আমি সৎপাত্র'- কেন?
৩. 'মেয়ের চেয়ে মেয়ের বাপের খবরটাই তাহার কাছে গুরুতর'-উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
৪. অনুপমের মামা সেকরাকে বিয়েবাড়িতে এনেছিল কেন?
৫. "ঠাট্টার সম্পর্কটাকে স্থায়ী করিবার ইচ্ছা আমার নাই" উক্তিটি কোন প্রসঙ্গে করা হয়েছে?  ব্যাখ্যা করো।
৬. "এই তো আমি জায়গা পাইয়াছি"- ব্যাখ্যা করো।
৭. 'তার পরে বুঝিলাম,মাতৃভূমি আছে' বলতে কী বোঝানো হয়েছে? 
৮. " বাংলাদেশের মধ্যে আমিই একমাত্র পুরুষ যাহাকে কন্যার বাপ বিবাহ আসর হইতে নিজে ফিরাইয়া দিয়েছে ' বলতে কী বোঝানো হয়েছে? 
৯. অনুপম তার মামাকে ভাগ্য দেবতার প্রধান এজেন্ট বলেছে কেন?
১০. 'অপরিচিতা' গল্পে অনুপমকে 'এক ব্যক্তিত্বহীন যুবকের ' আখ্যা দেওয়া হয়েছে কেন?

Thursday, January 2, 2025

বাংলা উচ্চারণের নিয়ম

১. অ-ধ্বনির সংবৃত উচ্চারণের নিয়ম লেখো পাঁচটি।

উত্তর:

অ-ধ্বনির সংবৃত উচ্চারণের নিয়ম নিম্নরুপ।যথা:
১. ''অথবা নিহিত ''-ধ্বনির পর ই-কার বা উ-কার হলে, তবে অ-ধ্বনির উচ্চারণ সংবৃত হয়।যথা: অলি>ওলি,কবিতা>কোবিতা,বধু>বোধু ইত্যাদি।
২.''অথবা নিহিত ''-ধ্বনির পর ঋ-কার হলে,তবে অ-ধ্বনির উচ্চারণ সংবৃত হয়।যথা:কর্তৃপক্ষ>কোর্তৃপকখো ইত্যাদি।
৩. ''অথবা নিহিত ''-ধ্বনির সঙ্গে র-ফলা হলে, তবে অ-ধ্বনির উচ্চারণ সংবৃত হয়।যথা:প্রমা>প্রোমা,প্রশ্ন>প্রোসনো ইত্যাদি।
৪.''অথবা নিহিত ''-ধ্বনির পর য-ফলা হলে, তবে অ-ধ্বনির উচ্চারণ সংবৃত হয়।যথা:অদ্য>ওদদো,পদ্য>পোদদো ইত্যাদি।
৫.''অথবা নিহিত ''-ধ্বনি পর 'জ্ঞ' বা 'ক্ষ' হলে, তবে অ-ধ্বনির উচ্চারণ সংবৃত হয়।যথা:বক্ষ>বোকখো ইত্যাদি।
***এক বাক্যে সহজে মনে রাখার উপায়:
'-বা নিহিত'' ধ্বনির পর ি/ু/ৃ/্র/্য/জ্ঞ/ক্ষ হলে, অ-ধ্বনির উচ্চারণ সংবৃত হয়।এবার এটাকে ভেঙ্গে পাঁচটা নিয়ম বের করো।
উল্লেখ্য: নিহিত ''- মানে ব্যঞ্জন ধ্বনির মধ্যে লুকায়িত '' - কে বুঝায়।যেমন: ন=ন্+অ,প=প্+অ ইত্যাদি।

 

২. অ-ধ্বনির বিবৃত উচ্চারণের নিয়ম লেখো পাঁচটি।

উত্তর 

'' ধ্বনির উচ্চারণ অ-এর মতো হলে তাকে অ-বিবৃত বা স্বাভাবিক উচ্চারণ বলে।অ-ধ্বনির বিবৃত উচ্চারণে ঠোঁট তেমন বাঁকা বা গোল হয় না।যেমন: কত,অমর,কলম।

''-ধ্বনির বিবৃত উচ্চারণের নিয়ম নিম্নরুপ:

১. অ এর নিজস্ব উচ্চারন স্বাভাবিক বা বিবৃত হয় ।যেমন: যেমন: জল, সরল, দখল,ইত্যাদি।
২. শব্দের দ্বিতীয় স্বর '','','' হলে আদ্য ''-এর উচ্চারণ স্বাভাবিক বা বিবৃত হয়।যেমন: বলা,বন্ধ,ধর্ম,অজ,কথা ইত্যাদি।
৩. ''অথবা 'সম' উপসর্গযুক্ত শব্দের আদি ''-ধ্বনি স্বাভাবিক বা বিবৃত হয়।যেমন: সস্ত্রীক, সহাস্য,সজীব,সংস্কৃত,সবিনয় ইত্যাদি।
৪. 'না' অর্থে শব্দের আদিতে '' বা 'অন' থাকলে আদ্য ''-ধ্বনি স্বাভাবিক বা বিবৃত হয়।যেমন:অমূল্য,অমৃত,অস্থির,অসীম,অধর্ম ইত্যাদি।
৫. ''-স্বরধ্বনি যুক্ত এক -'অক্ষর' শব্দের ''-এর উচ্চারণ স্বাভাবিক বা বিবৃত হয়।যেমন: রব,যম,জপ,নদ ইত্যাদি।

 

৩. অন্ত - '' ধ্বনির সংবৃত উচ্চারণের ৫টি নিয়ম লেখো।

উত্তর :

১। বংলা ভাষায় ব্যবহৃত বেশ কিছু দ্বিরুক্ত শব্দের অন্ত '' এর উচ্চারণ '' এর মত হয়।

        যেমন : বড় বড় >বড়ো বড়ো, কাঁদ কাঁদ >কাঁদো কাঁদো ইত্যাদি।
২। ১১ থেকে ১৮ পর্যন্ত সংখ্যাবাচক শব্দের শেষে '' এর উচ্চারণ '' এর মত হয়।যেমন: এগার>এগারো,বার>বারো,সতের>শতেরো ইত্যাদি।
৩। '' এবং 'ইত' প্রত্যয়যোগে গঠিত শব্দের শেষে '' এর উচ্চারণ '' এর মত হয়।যেমন: চলিত>চলিতো,জ্ঞাত>জ্ঞাতো ইত্যাদি।
৪। বিশেষ্য শব্দের শেষে '' থাকলে '' এর উচ্চারণ '' এর মত হয়।যেমন: দেহ >দেহো,বিবাহ >বিবাহো ইত্যাদি।
৫। 'তর' 'তম' প্রত্যয়যোগে গঠিত শব্দের শেষে '' এর উচ্চারণ '' এর মত হয়।যেমনঃ-দীর্ঘতর>দীর্ঘতরো, বৃহত্তর >বৃহততরো ইত্যাদি।
৬। দুই অক্ষর বিশিষ্ট কোন শব্দের শেষ বর্ণ ''- ধ্বনি থাকলে উক্ত ''- এর উচ্চারণ সংবৃত হয়।যেমন: কাল>কালো,মত>মতো, এত>এতো ইত্যাদি।
৭। শব্দের শেষ অক্ষর যুক্ত ব্যঞ্জন হলে, অন্ত -অ সংবৃত হয়।যেমনঃ- অভিজ্ঞ>ওভিগগো,নম্র>নমরো ইত্যাদি

 

৪. মধ্য-অধ্বনি উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখো।

উত্তর :

নিচে মধ্য-অ ধ্বনির পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ দেওয়া হলো

ক.  মধ্য ’-এর পরে বা ধ্বনি থাকলে সেই অ-এর উচ্চারণ সংবৃত বা ও-এর মতো হয়। যেমনকাকলি > কাকোলি, জলধি > জলোধি, সকরুণ > শকোরুন্।

খ.  মধ্য অ-এর পরের ধ্বনিতে ঋ-কার থাকলে সেই ও-রূপে উচ্চারিত হয়। যেমনলোকনৃত্য >  লোকোনৃতেতা, উপবৃত্ত  > উপোবৃতেতা।

গ.  মধ্য এর পরের ধ্বনিতে য-ফলা থাকলে সেই অ-এর উচ্চারণ এর মতো হয়। যেমনঅদম্য > অদোমেমা, অসহ্য > অশোজেঝা, অগম্য > অগোমেমা ইত্যাদি।

ঘ.  মধ্য এর পরে ক্ষ, জ্ঞ-এর দুটো যুক্ত ব্যঞ্জনের যেকোনো একটি থাকলে সেই ও-রূপে উচ্চারিত হয়। যেমনঅদক্ষ> অদোকেখা, অবজ্ঞা > অবোগ্গাঁ, বিশেষজ্ঞ >  বিশেশোগেগাঁ।

ঙ.  মধ্য অ-এর আগে অ, , , এই চারটি স্বরধ্বনির যেকোনোটি থাকলে সেই ও-রূপে উচ্চারিত হয়। যেমনকমল > কমোল্, কানন > কানোন্, বেতন > বেতোন্, ওজন > ওজোন্

 

৫. '- ধ্বনির স্বাভাবিক বা সংবৃত উচ্চারণের নিয়ম লেখো।

উত্তর:

'- ধ্বনির স্বাভাবিক বা সংবৃত উচ্চারণের নিয়ম নিয়ম নিম্নরুপ.....
১. শব্দের গোড়ায় এ বা এ-কার থাকলে এবং তারপর অ / অা ছাড়া অন্য স্বরধ্বনি থাকলে এ-ধ্বনির স্বাভাবিক বা সংবৃত উচ্চারণ হয়।
যেমন:এতিম,বেলি,দেবী,নেতৃত্ব,মেরুদণ্ড ইত্যাদি।
২. শব্দের দ্বিতীয় অক্ষর বা সিলেবলে ই-ধ্বনি(ই/ঈ), উ-ধ্বনি (উ/ঊ)কিংবা ঋ-ফলা থাকলে এ- ধ্বনির উচ্চারণ সংবৃত বা স্বাভাবিক হয়।
যেমন:
এক [এ্যাক] কিন্তু একটি [একটি],একটু [একটু]
এমন [অ্যামন] কিন্তু এমনি [এমনি]
বেটা [ব্যাটা ] কিন্তু বেটি
নেড়া [ন্যাড়া ] কিন্তু নেড়ি
৩. একাক্ষর সর্বনাম শব্দের গোড়ায় থাকলে এ বা এ-কারের স্বাভাবিক বা সংবৃত উচ্চারণ হয়।
যেমন: কে,যে,সে,কেউ ইত্যাদি।
৪. একাক্ষর বা এক সিলেবলের শব্দের গোড়ায় এ বা এ-কারের পর র,,শ ধ্বনির হলন্ত উচ্চারণ হলে এ-ধ্বনির স্বাভাবিক বা সংবৃত উচ্চারণ হয়।
যেমন: শেষ,দেশ,বেল,তেল,কেশ ইত্যাদি।
৫. আদ্য যুক্তব্যঞ্জনে এ-কার থাকলে এ-ধ্বনির স্বাভাবিক উচ্চারণ হয়।
যেমন; শ্রেণি,প্রেরণ,স্নেহ,শ্বেত ইত্যাদি।

 

৬. ব-ফলা এর উচ্চারণের নিয়ম লেখো পাঁচটি।

উত্তর: 

১. শব্দের প্রথমে ব-ফলা থাকলে ব-ফলার উচ্চারণ হয় না।যেমন:ত্বক >তোক,স্বদেশ>শদেশ ইত্যাদি।

২. শব্দের মাঝখানে ব-ফলা থাকলে ব-ফলার উচ্চারণ হয় না,ব-ফলা এর যুক্ত ব্যঞ্জনটি দ্বিত্ব উচ্চারণ হয়। যেমন: বিশ্বাস>বিশশাস,অনুস্বার>ওনুশশার ইত্যাদি।

৩. শব্দের শেষে ব-ফলা থাকলে ব-ফলার উচ্চারণ হয় না,ব-ফলা এর যুক্ত ব্যঞ্জনটি দ্বিত্ব উচ্চারণ হয়।যেমন:বিশ্ব>বিশশো,বিদ্বান>বিদদান ইত্যাদি। 

 ৪. সন্ধির ফলে ত'-যদি ''- হয়ে যায়, তার সঙ্গে ব-ফলা হলে, ব-ফলা এর উচ্চারণ হয়। যেমন: উদ্বেল>উদবেল,(উৎ+বেল),উদ্বিগ্ন>উদবিগনো(উৎ+বিগ্ন) ইত্যাদি।

 ৫. সন্ধির ফলে ''-যদি ''- হয়ে যায়, তার সঙ্গে ব-ফলা হলে, ব-ফলা এর উচ্চারণ হয়। যেমন: দিগ্বিদিক >দিগবিদিক,দিগ্বিজয় >দিগবিজয় ইত্যাদি। 

 ৬. '' '' এর সঙ্গে ম-ফলা হলে ম-ফলা এর উচ্চারণ হয়। যেমন: সাব্বাস,লম্বা ইত্যাদি।।

 

৭. ম--ফলা এর উচ্চারণের নিয়ম লেখো পাঁচটি

উত্তর  

ম-ফলা এর উচ্চারণের নিয়ম নিম্নরুপ : 

১.শব্দের প্রথমে ম-ফলা থাকলে ম-ফলার উচ্চারণ হয় না। 

যেমন: স্মরণ>শোঁরণ,শ্মশান>শঁশান ইত্যাদি। 

২. শব্দের মাঝখানে ম-ফলা থাকলে ম-ফলার উচ্চারণ হয় না,বরং ম-ফলা যুক্ত ব্যঞ্জনটি দ্বিত্ব উচ্চারণ হয়। যেমন: বিষ্ময় >বিশশোঁয়, কস্মিনকাল > কশশিঁনকাল ইত্যাদি।

৩. শব্দের শেষে ম-ফলা থাকলে ম-ফলার উচ্চারণ হয় না,বরং ম-ফলা এর যুক্ত ব্যঞ্জনটি দ্বিত্ব উচ্চারণ হয়। যেমন: গ্রীষ্ম > গ্রিশশোঁ,পদ্ম> পদদো,আত্ম>আততো ইত্যাদি।

৪. ন,,,,,,ল- এ বর্ণগুলোর যে কোন বর্ণের সঙ্গে ম-ফলা যুক্ত হলে ম-ফলার উচ্চারণ হয়। 

যেমন: বাগ্মী >বাগমি,জন্ম>জনমো,মৃন্ময় >মৃনময় ইত্যাদি। 

৫. যুক্তব্যঞ্জনের সঙ্গে ম-ফলা যুক্ত হলে, ম-ফলার উচ্চারণ হয় না। যেমন: যক্ষ্মা>জোক্খা,লক্ষ্মণ>লকখোন ইত্যাদি।

 

 

Recent Post

সুভা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর   জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ১. সুভার বাবার নাম কি? ২. সুভা কোথায় বসে থাকত? ৩. সুভা জলকুমারী হলে কী করত? ৪. সুভার গ্রামের নাম কী? ৫...

Most Popular Post