১. বাঙালি যেদিন ঐক্যবদ্ধ হয়ে বলতে পারবে ‘বাঙালির বাংলা’ সেদিন তারা অসাধ্য সাধন করবে। বাঙালির মতো জ্ঞান-শক্তি ও প্রেম-শক্তি (ব্রেন সেন্টার ও হার্ট সেন্টার) এশিয়ায় কেন, বুঝি পৃথিবীতে কোনো জাতির নেই। কিন্তু কর্ম-শক্তি একেবারে নেই বলেই তাদের এই দিব্যশক্তি তমসাচ্ছন্ন হয়ে আছে। তাদের কর্ম-বিমুখতা, জড়তা, মৃত্যুভয়, আলস্য, তন্দ্রা, নিদ্রা, ব্যবসাবাণিজ্যে অনিচ্ছার কারণ। তারা তামসিকতায় আচ্ছন্ন হয়ে চেতনা-শক্তিকে হারিয়ে ফেলেছে। এই তমঃ, এই তিমির, এই জড়তাই অবিদ্যা। অবিদ্যা কেবল অন্ধকার পথে ভ্রান্তির পথে নিয়ে যায়; দিব্যশক্তিকে নিস্তেজ, মৃতপ্রায় করে রাখে।
১. নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং অনুধাবন করে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সৌভাগ্য
আকাশ থেকে পড়ে না। জীবনে সৌভাগ্য অর্জনের জন্য প্রচুর পরিশ্রম ও নিরন্তর সাধনার
দরকার হয়। সব মানুষের মধ্যে সুপ্ত প্রতিভা আছে। পরিশ্রমের দ্বারা সেই সুপ্ত
প্রতিভাকে জাগিয়ে তুলতে হয়।
যে
মানুষ কর্মকে জীবনের ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেছে, জীবন সংগ্রামে তারই জয় হয়েছে।
কর্মের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তি জীবনে সফল সৈনিক হতে পারে। কর্মহীন ব্যক্তি
সমাজের বোঝাস্বরূপ। অন্যদিকে, শ্রমশীলতাই মানব জীবনের সৌভাগ্যের চাবিকাঠি। আমাদের
জীবনে উন্নতি করতে হলে, জীবনে সুখী হতে হলে পরিশ্রমের বিকল্প নেই।
i.
‘সৌভাগ্য’ শব্দের বিপরীত শব্দ কী?
ii. সৌভাগ্য অর্জনের জন্য কী করতে হয়?
iii. কে সমাজের বোঝা?
iv. জীবন সংগ্রামে জয়ী হতে হলে কিসের প্রয়োজন?
উত্তর :
i. ‘সৌভাগ্য’ শব্দের বিপরীত শব্দ হচ্ছে ‘দুর্ভাগ্য’।
ii. সৌভাগ্য অর্জনের জন্য প্রচুর পরিশ্রম ও নিরন্তর সাধনা
করতে হয়।
iii. কর্মহীন ব্যক্তি সমাজের বোঝা।
iv. জীবন সংগ্রামে জয়ী হতে হলে কর্মকাকে জীবনের মূল লক্ষ্য
হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। পরিশ্রমই উন্নতির মূল চাবিকাঠি। কর্মের প্রতি একনিষ্ঠ ব্যক্তিগণই
জীবন সংগ্রামে সফল হয়েছেন।
২. নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ো
এবং অনুধাবন করে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সুন্দরকে জানার যে জ্ঞান তার নাম ‘নন্দনতত্ত্ব’। নন্দনতত্ত্ব মানে সুন্দরকে
বিশ্লেষণ করা, সুন্দরকে আরও গভীরভাবে উপলব্ধি করা। সব সুন্দরের সৃষ্টির মধ্যেই
একটা রূপ আছে, তার নাম স্বাধীনতা- অপর নাম যা খুশি তাই করা। যে কাজ সকলকে আনন্দ
দেয়, খুশি করে তাই সুন্দর। স্বার্থপর বা অসংগত আমির খুশি নয়, অনেক মনে খুশির
বিস্তার করা আমি। অন্ধকার ঘর আলোকিত করার জন্যে নিয়ম মেনে প্রদীপ জ্বালতে হয়, ঘরে
অসংগত আগুন লাগিয়ে ঘর আলোকিত করা নয়।
i. ‘আগুন’ শব্দের দুটি সমার্থক শব্দ লেখ।
ii. সুন্দর-এর বিপরীত শব্দ লেখ।
iii. সুন্দরকে গভীরভাবে উপলব্ধি করার নাম কী?
iv. অন্ধকার ঘরে কীভাবে আগুন জ্বালাতে হবে?
v. অনুচ্ছেদে ‘স্বাধীনতা’ কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
উত্তর
:
i. ‘আগুন’ শব্দের দুটি সমার্থক শব্দ হলো অগিড়ব ও হুতাশন।
ii. সুন্দর-এর বিপরীত শব্দ হলো কুৎসিত।
iii. সুন্দরকে গভীরভাবে উপলব্ধি করার নাম নন্দনতত্ত্ব।
iv. অন্ধকার ঘরে নিয়ম মেনে আগুন জ্বালাতে হবে। সারা ঘরে যথেচ্ছভাবে আগুন না
জ্বালিয়ে প্রদীপ জ্বালাতে হবে।
iv. অনুচ্ছেদে স্বাধীনতা শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে মনের আনন্দ প্রকাশ করা অর্থে।
সুন্দর সৃষ্টির জন্য মানুষ নানা শিল্পমাধ্যম বেছে নেয়। সে মাধ্যমগুলোতে মনের
স্বাধীনতা বা আনন্দের প্রকাশ ঘটে।
No comments:
Post a Comment