Ad-1

Wednesday, March 2, 2022

বাংলা সাহিত্য

বাংলা সাহিত্যের
১. প্রাচীন যুগ(৬৫০-১২০০)
* চর্যাপদ আবিষ্কার করেন -১৯০৭ সালে।
* করেছেন - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী।
* 'হাজার বছরের পুরান বাঙালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহাকোষ'- নামে গ্রন্থাকারে প্রকাশ করেন।
* চর্যাপদের মোট কবি - ২৪ জন।
* মোট গান বা পদ - ৫১ টি।
* পদ পাওয়া যায়নি - ৩টি (২৪,২৫ ও ৪৮)
* শেষাংশ পাওয়া যায়নি - ২৩ নং পদের।
* সর্বোমোট পদ পাওয়া যায় - সাড়ে ছেচল্লিশটি।
* সবচেয়ে বেশি পদ লিখেছেন - কাহ্নপা
* চর্যাপদ মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত।
* প্রথম পদটির রচয়িতা - লুইপা

২. মধ্যযুগ(১২০১-১৮০০)
* মধ্য যুগে দুই ধরনের সাহিত্য রচিত হতে দেখা যায়
১. মৌলিক রচনাঃ-
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন।
বৈষ্ণব পদাবলী।
মঙ্গলকাব্য।
জীবনী সাহিত্য।
লোক সাহিত্য।
২. অনুবাদ সাহিত্যঃ-
সংস্কৃত থেকে অনূদিত[রামায়ণ, মহাভারত, ভগবত]
আরবি-ফারসি-হিন্দি ভাষা থেকে অনূদিত[রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান]

 শ্রীকৃষ্ণকীর্তনঃ-
* মধ্যযুগের প্রথম মহাকাব্য।
* রচয়িতা - বড়ু চণ্ডীদাস।
* ১৩ খণ্ডে লিখিত।
* উদ্ধার করেন- বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ ১৯০৯ সালে।

 বৈষ্ণব পদাবলীঃ-
* রাধাকৃষ্ণের প্রেম লীলা ও শ্রীচৈতন্যলীলা বিষয়ক কবিতা।
* বিখ্যাত কবি- চণ্ডীদাস,বিদ্যাপতি জ্ঞানদাস,গোবিন্দ দাস।

 মঙ্গল কাব্যঃ-

মঙ্গল কাব্য ৪ ধরনের
মনসা মঙ্গল - কবি কানাহরি দত্ত।
চণ্ডীমঙ্গল - আদি কবি মানিক দত্তশ্রেষ্ঠ কবি মুকুন্দরাম চক্রবর্তী।
অন্নদামঙ্গল কাব্যের শ্রেষ্ঠ কবি - ভারতচন্দ্র রায়।
** চণ্ডী ও অন্নদা অভিন্ন,- একই দেবীর দুই নাম।
ধর্মমঙ্গল -ধারার আদি কবি ময়ূর ভট্ট।


 জীবনী সাহিত্যঃ-
* শ্রীচৈতন্যদেব ও তাঁর শিষ্যদের জীবনী নিয়ে লিখিত গ্রন্থ।
* প্রথম জীবনী কাব্য - বৃন্দাবন দাসের 'শ্রীচৈতন্য ভাগবত'
* চৈতন্যদেবের জীবনী গ্রন্থকে 'কড়চা' বলে।
* বিখ্যাত জীবনী গ্রন্থ 'চৈতন্য-চরিতামৃত'।লেখক কৃষ্ণদাস কবিরাজ।
* বৌদ্ধ ধর্মের সঙ্গে শৈব ধর্ম মিলে হয় 'নাথ ধর্ম'
* বিখ্যাত কবি - শেখ ফয়জুল্লাহ,তার কাব্য 'গোরক্ষবিজয়'


 অনুবাদ সাহিত্যঃ-
*
 রামায়ণের প্রথম অনুবাদক - কৃত্তিবাস ওঝা।
* বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা কবি - চন্দ্রাবতী।
* তিনি রামায়ণ অনুবাদ করেন - সপ্তদশ শতকে।
* মহাভারত মূল রচয়িতা - কৃষ্ণদ্বৈপায়ন।
* ১ম অনুবাদক ষোল শতকে - কবীন্দ্র পরমেশ্বর।
* সতেরো শতকে অনুবাদ করেন - কাশীরাম দাস।

রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যানঃ-;
* প্রথম মুসলমান কবি - শাহ মুহাম্মদ সগীর।
* পনের শতকে লিখেন - ইউসুফ-জোলেখা।
* ষোল শতকে লিখেন - দৌলত উজির বাহরাম খান।
* তিনি লিখেন - 'লায়লী মজনু'
* সতের শতকে আব্দুল হাকিম লিখেন - 'নূরনামা' কাব্য।

 আধুনিক যুগঃ-
* 'কল্লোল'- পত্রিকা প্রকাশিত হয় - ১৯২৩ সালে।
* 'মুসলিম সাহিত্য সমাজ'- প্রতিষ্ঠিত হয় - ১৯২৬।
* এর মুখপত্র ছিল - 'শিখা'


 বাংলা সাহিত্যের পঞ্চপাণ্ডব হলোঃ-
১. জীবনানন্দ দাশ (১৮৯৯-১৯৫৪)
২. অমীয় চক্রবর্তী(১৯০১-৮৭)
৩. সুধীন্দ্রনাথ দত্ত (১৯০১-৬০)
৪. বুদ্ধদেব বসু (১৯০৭-৫৬)
৫. বিষ্ণু দে (১৯০৯-৮২)

জীবনে অমিয় সুধা পান করতে হলে বুদ্ধ ও বিষ্ণুর কাছে যাও। 

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোধ্যায়ঃ-(১৮৩৮-১৮৯৪)
সাহিত্য সম্রাট, বাংলার স্কট।
ছদ্মনামঃ- কমলাকান্ত, রামচন্দ্র।
হিন্দু ধর্মানুরাগীরা উপাধি দেয় - ' ঋষি' 
দুর্গেশনন্দিনী বিপরীতে লিখেন সৈয়দ ইস্মাইল হোসেন সিরাজী লিখেন - রায়নন্দিনী।
ত্রয়ী উপন্যাস হলোঃ- আনন্দমঠ(১৮৮২),দেবী চৌধুরাণী(১৮৮৪),সীতারাম(১৮৮৭)।
টেকনিকঃ- সীতা দেবীর আনন্দ নেই।
 
প্রমথ চৌধুরীঃ-(১৮৬৮-১৯৩৮)
বাংলা ভাষায় ইতালীয় সনেটের প্রবর্তক।
চলিত রীতিতে লেখা প্রথম গ্রন্থ- 'বীরবলের হালখাতা'।
'চার ইয়ারি কথা '- গল্পগ্রন্থের মূল কাহিনি 'চার বন্ধুর প্রেমের কাহিনি। 
১৮৯৯ সালে রবীন্দ্রনাথের ভাতিজী ইন্দিরা দেবী(সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের মেয়ে) বিয়ে করেন। 
 
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়(১৮৭৬-১৯৩৮)
পিতার নামঃ- মতিলাল চট্টোপাধ্যায়, মাতাঃ- ভুবনমোহিনী দেবী।
উপাধিঃ- অপরাজেয় কথাশিল্পী। 
ডাকনামঃ- ন্যাঁড়া।
ছদ্মনামঃ- 
১. অনিলা দেবী    ২. অনুরূপা দেবী   ৩. অপরাজিতা দেবী     ৪. সুরেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়    ৫. পরশুরাম (রাজশেখর বসুর ছদ্মনামও এটা ছিল)  ৬. শ্রীকান্ত শর্মা  ৭. শ্রী চট্টোপাধ্যায়। 
'বড়দিদি'(১৯১৩)- উপন্যাসের পূর্বনাম ছিল 'শিশু'। ১ম উপন্যাস।
দেবদাস'- উপন্যাসটি নিয়ে শরৎচন্দ্রের দ্বিধা ছিল বলে ১৭ বছর প্রকাশ করা থেকে বিরত ছিল।উপন্যাসটি তিনি রচনা করেছিলেন মাতাল হয়ে এবং বন্ধু প্রমথনাথ ভট্টাচার্যকে ১৯১৩-তে লেখা এক চিঠিতে শরৎচন্দ্র লিখেছেন, " ওই বইটা একবারে মাতাল হইয়া বোতল খাইয়া লেখা।"
বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কিশোর চরিত্র 'ইন্দ্রনাথ'।(শ্রীকান্ত'- উপন্যাস)। 
'পথের দাবী '(১৯২৬)- উপন্যাসের প্রধান চরিত্র 'সব্যসাচী'।
নাটক
'ষোড়শী '- বনাম দেনা-পাওনা উপন্যাসের নাট্যরুপ।
'রমা'- বনাম পল্লী সমাজ উপন্যাসের নাট্যরুপ। 
বিজয়া'- বনাম দত্তা উপন্যাসের নাট্যরুপ।
'বিরাজ বউ'।
অনিলা দেবী ছদ্মনামে লিখেছিলেন- 'নারীর মূল্য' প্রবন্ধটি।
 
জীবনানন্দ দাশ (১৮৯৯-১৯৫৪)
শুদ্ধতম কবি'- আখ্যা দিয়েছেন অন্নদাশঙ্কর রায়।
তাঁর সম্প্রতি খুঁজে পাওয়া উপন্যাস হলো - কল্যাণী।
চিত্তরঞ্জন দাশের মৃত্যুতে লেখেন 'দেশবন্ধুর প্রয়াণে'।
ছদ্মনাম - 'কালপুরুষ '
পারিবারিক পদবী - 'কালপুরুষ '।
কবিতার কথা - প্রবন্ধটি মৃত্যুর পরে প্রকাশিত হয়েছিল।
 
অমিয় চক্রবর্তীঃ-(১৯০১-১৯৮৬)
পঞ্চপাণ্ডবের একজন
শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। 
কাব্যগ্রন্থঃ- 'খসড়া','এক মুঠো',মাটির দেয়াল, ঘরে ফেরার দিন,পুষ্পিত ইমেজ,হারানো অর্কিড ইত্যাদি। 
ইউনেস্কো পুরস্কার (১৯৬০)-পান-- চলো যাই গদ্যগ্রন্থের জন্য। 
 
শামসুর রাহমান (১৯২৯-২০০৬)
নাগরিক কবি।
তাকে বলা হয় 'সার্বক্ষণিক কবি'।
ডাক নামঃ- বাচ্চু।
ছদ্মনামঃ- মজলুম আদিব, মৈনাক,  সিন্দাবাদ, জনান্তিক, লিপিকার,নেপথ্যে, চক্ষুষ্মান।
'বন্দি শিবির থেকে'- গ্রন্থটি লিখেন 'মজলুম আদিব'- ছদ্মনামে।
বঙ্গবন্ধু কারাগারে বন্দি হলে যে কবিতাটি লিখেন - টলেমেকাস।
প্রথম কাব্যগ্রন্থ - 'প্রথম গান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে'
অন্যান্য কাব্য গ্রন্থঃ- প্রতিদিন ঘরহীন ঘরে, বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়, বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখে,উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ,নিজ বাসভূমে,ফিরিয়ে নাও ঘাতক কাটা,এক ধরনের অহংকার।
প্রথম উপন্যাস - 'অক্টোপাস'।
উপন্যাসঃ- অক্টোপাস,নিয়ত মন্তাজ, অদ্ভুত আঁধার এক, এলো সে অবেলায়। 
শিশুতোষ গ্রন্থঃ- এলাটিং বেলাটিং, ধান ভানলে কুঁড়ো দেব,গোলাপ ফুটে খুকির হাতে।
আত্মস্মৃতিঃ- স্মৃতির শহর, কালের ধুলায়ে লেখা।
 
আলাউদ্দিন আল আজাদ(১৯৩২-২০০৯)
উপজাতীয়দের জীবন নিয়ে রচিত লেখা উপন্যাস - কর্ণফুলী(১৯৬২)।(এটার জন্য ইউনেস্কো পুরস্কার পান)
সিলেটের চা-বাগানীদের জীবন কাহিনি নিয়ে লেখা - জমাখরচ।
বিখ্যাত উপন্যাস - 'তেইশ নম্বর তৈলচিত্র'। এটার উপর নির্মিত চলচ্চিত্র - 'বসুন্ধরা '। অভিনয় করেন - ববিতা ও ইলিয়াস কাঞ্চন।এটি কাঞ্চনের অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র। 
মুক্তি যুদ্ধের পটভূমিতে লেখা গ্রন্থের নাম - 'ফেরারি ডায়েরী।
মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক নাটক - 'নরকে লাল গোলাপ'।
বিখ্যাত উপন্যাসঃ- ক্ষুধা ও আশা,  শীতের শেষরাত বসন্তের প্রথম দিন।
বিখ্যাত ছোটগল্পঃ- ধানকন্যা,  জেগে আছি, অন্ধকার সিঁড়ি,আমার রক্ত আমার স্বপ্ন। 
বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থঃ- মানচিত্র, লেলিহান পাণ্ডুলিপি। 
 
সুকান্ত ভট্টাচার্য(১৯২৬-১৯৪৭)
বাল্যবন্ধু ছিল - কবি অরুনাচল।
জীবিতাবস্থায় প্রকাশিত একমাত্র গ্রন্থ সংকলন- আকাল(১৯৪৩)। এটি পঞ্চাশের মন্বন্তর নিয়ে লেখা।
তাঁকে ''Flower and Fire of Renaissance '' বলা হয়। 
কবির মৃত্যুর তিনমাস পর প্রকাশিত হয় কাব্যগ্রন্থ - ছাড়পত্র(১৯৪৮)।
অন্যান্য কাব্যগ্রন্থঃ- ঘুম নেই, পুর্বাভাস, হরতাল,অভিযান, হরতাল, মিঠেকড়া, গীতিগুচ্ছ।
 
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস(১৯৪৩-১৯৯৭)
ডাকনাম- মঞ্জু।
প্রথম প্রকাশিত ও বিখ্যাত উপন্যাস 'চিলেকোঠার সেপাই'(১৯৮৭)। উপজীব্য বিষয় - ৬৯ এর গণ আন্দোলন। 
এটি একটি - মহাকাব্যোচিত উপন্যাস।
খোয়াবনামা - উপন্যাস শ্রমজীবীদের জীবনালেখ্য।
প্রথম প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ - 'অন্য ঘরে অন্য স্বর'(১৯৭৩).
মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক গল্প - 'জাল স্বপ্ন স্বপ্নের জাল', 'রেইনকোট', 'মিলির হাতে স্টেনগান'।
প্রবন্ধ সংকলনঃ- 'সংস্কৃতির ভাঙা সেতু'(১৯৯৮)
 
জ্ঞাতব্যঃ
* সংস্কৃতির কথা 
 
আল মাহমুদ (১৯৩৬-২০১৯)
প্রকৃত নামঃ- মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ। 
প্রথম উপন্যাসঃ- ডাহুকী। 
শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থঃ- 'লোক লোকান্তর', 'সোনালী কাবিন'। 
'সোনালী কাবিন'- সনেট জাতীয় কাব্য।
অন্যান্য কাব্য গ্রন্থঃ- বখতিয়ারের ঘোড়া, কালের কলস,পাখির কাছে ফুলের কাছে,
উপন্যাসঃ- ডাহুকী, কবি ও কোলাহল, আগুনের মেয়ে,উপমহাদেশ (মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক)। 
গল্পঃ- পানকৌড়ির রক্ত,সৌরভের কাছে পরাজিত,গন্ধবণিক।
 
জ্ঞাতব্যঃ- 
* 'আগুনের মেয়ে '- উপন্যাসের রচয়িতা - আল মাহমুদ। 
* 'আগুন পাখি'- উপন্যাসের রচয়িতা - হাসান আজিজুল হক
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 

No comments:

Post a Comment

Recent Post

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯

১. ‘ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ ’ কবিতায় সালামের হাতে কেন অবিনাশী বর্ণমালা ঝরে ? ক. সংগ্রামী চেতনার কারণে     খ. দুঃখিনী মাতার অশ্রুজল দেখে গ. বরকত...

Most Popular Post