Ad-1

Showing posts with label ৯ম-১০ম শ্রণি বাংলা দ্বিতীয়. Show all posts
Showing posts with label ৯ম-১০ম শ্রণি বাংলা দ্বিতীয়. Show all posts

Wednesday, October 7, 2020

বহু নির্বাচনী প্রশ্ন (পার্ট-০২)


 ***বাংলা অনুজ্ঞা

। কোন পুরুষের অনুজ্ঞায় মূল ধাতুটিই ক্রিয়াপদ রূপে ব্যবহৃত হয়?
(ক) উত্তম. (খ) মধ্যম. (গ) নাম. (ঘ) প্রথম
। পাতিসনে শিলাতলে পদ্মপাতাবাক্যটিতে কী অর্থে অনুজ্ঞার ব্যবহার হয়েছে?
(ক) আদেশ (খ) উপদেশ (গ) অনুরোধ (ঘ) অভিশাপ
। অনুজ্ঞা কোন কালে ব্যবহৃত হয়?
(ক) বর্তমান ও ভবিষ্যৎ (খ) ভবিষ্যৎ ও অতীত
(গ) বর্তমান ও অতীত (ঘ) নিত্যবৃত্ত ও ঘটমান অতীত
রোগ হলে ঔষধ খাবে’—কোন অর্থে অনুজ্ঞার ব্যবহার হয়েছে?
ক. আদেশ। খ. বিধান। গ. অনুরোধ। ঘ. উপদেশ
। অপ্রত্যক্ষ বলে কোন পুরুষের অনুজ্ঞ হয় না?
ক. উত্তম পুরুষ। খ. মধ্যম পুরুষ। গ. নাম পুরুষ। ঘ. উত্তম ও নাম পুরুষ




***ক্রিয়া বিভক্তি ও সাধু-চলিত
১২। কিসের ভেদে ক্রিয়ারূপের কোনো পার্থক্য হয় না?
(ক) বচনভেদে (খ) পুরুষভেদে (গ) অর্থভেদে (ঘ) প্রয়োগভেদে
২১। কিসের ভেদে ক্রিয়ার রূপের কোনো পার্থক্য হয় না?
(ক) বচনভেদে (খ) পুরুষভেদে (গ) অর্থভেদে (ঘ) প্রয়োগভেদে
২২। সূর্য অস্তমিত হলে যাত্রীদল পথচলা শুরু করল—এখানে কোন ধরনের কর্তা?
(ক) এক কর্তা (খ) নিরপেক্ষ কর্তা (গ) প্রযোজক কর্তা (ঘ) অসমান কর্তা
৬। ‘ঘুরা’—এর আদিগণ কোনটি?
(ক) ঝিমা (খ) খোঁচা (গ) উঁচা (ঘ) দৌড়া
২। খুঁজ, খুল, তুল ধাতুগুলো কোন আদিগণের অন্তর্ভুক্ত?
(ক) লিখ্ (খ) কাট্ (গ) কহ্ (ঘ) উঠ্
৯। ‘সিট্কা’-এর আদি গণ কোনটি?
(ক) চট্কা (খ) উটলা (গ) বিগড়া (ঘ) ছোব্লা
১৪। ‘দুমড়া মুচড়া’—কোন আদিগণের অন্তর্ভুক্ত?
ক. উঠ্ আদিগণ। খ. ঘুরা আদিগণ। গ. উল্টা আদিগণ। নঘ. চট্কা আদিগণ
২। বাংলা ভাষায় কয়েকটি ধাতুর সব কালের রূপ পাওয়া যায় না—এগুলোকে কোন ধাতু বলে?
ক. স্বয়ং সিদ্ধ ধাতু নখ. সিদ্ধ ধাতু গ. অসম্পূর্ণ ধাতু ঘ. যৌগিক ধাতু
৫। কোনটি অসম্পূর্ণ ধাতু?
(ক) রাখ্ (খ) উঠ্ (গ) বট্ (ঘ) কর্
২০। কখনো কখনো বাক্যে কোন কোন ক্রিয়াপদ উহ্য থাকতে পারে?
(ক) ‘থাক্’ ও ‘আছ্’ ধাতু গঠিত ক্রিয়াপদ.
(খ) ‘হ্’ ও ‘নহ্’ ধাতু গঠিত ক্রিয়াপদ
(গ) ‘হ্’ ও ‘আছ্’ ধাতু গঠিত ক্রিয়াপদ.
(ঘ) ‘থাক্’ ও ‘নহ্’ ধাতু গঠিত ক্রিয়াপদ
২৪। কোন গুচ্ছের সব ধাতু অসম্পূর্ণ?
(ক) আ, বট্, শিখ্, যা (খ) আছ্, তা, শিখ্, যা (গ) আ, আছ্, থাক্, বট্ (ঘ) থাক্, বট্, রহ্, আ,



***কারক ও বিভক্তি

১. তির্যক বিভক্তি হল

      (ক) শূন্য বিভক্তির অপর নাম      (খ) একাধিক কারকে ব্যবহৃত বিভক্তি

      (গ) একসঙ্গে সব রকমের বিভক্তি      (ঘ) একসঙ্গে বিভক্তি ও অনুসর্গ

২.  দারোগার ভয়ে বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খায় । —  নিম্নরেখ অংশটি হল  —

       (ক)  সহযোগী কর্তা      (খ) ব্যতিহার কর্তা      (গ) একই ক্রিয়ার বহু কর্তা      (ঘ) প্রযোজক কর্তা

৩.  খানি, খানা এগুলি হল — 

        (ক) নির্দেশক      (খ) উপসর্গ       (গ) অনুসর্গ       (ঘ) বিভক্তি

৪.  তির্যক বিভক্তির উদাহরণ — 

       (ক) দ্বারা       (খ) এ      (গ) তে     (ঘ) থেকে

৫.  শুধালেম জনে-জনে । — নিম্নরেখ পদটি হল — 

       (ক) কর্মের বীপ্সা       (খ) কর্তার বীপ্সা      (গ) করণের বিপ্সা     (ঘ) উপবাক্যীয় কর্ম ।

৬.  কী বাঁধনে বাঁধলে আমায় । উদাহরণটি হল

       (ক) হেতুময় করণ     (খ) কালাত্মক করণ     (গ) নিমিত্ত কারক    (ঘ) যন্ত্রাত্মক করণ ।

৭.  একই ধাতু থেকে ক্রিয়াপদ ও কর্মপদ নিষ্পন্ন হলে কর্মটিকে বলা হয়

 (ক) উদ্দেশ্য কর্ম      (খ) বিধেয় কর্ম     (গ) সমধাতুজ কর্ম      (ঘ) গৌণ কর্ম

৮.  দিয়া, দ্বারা, কর্তৃক অব্যয়গুলি হল — 

        (ক) ক্রিয়াজাত অনুসর্গ      (খ) শব্দজাত অনুসর্গ     (গ) উপসর্গ      (ঘ) বিভক্তি

৯.  কর্তা যাকে দিয়ে কাজ করায় তাকে বলা হয়

       (ক) প্রযোজ্য কর্তা      (খ) উহ্য কর্তা      (গ) অনুক্ত কর্তা      (ঘ) প্রযোজক কর্তা ।

১০. বাক্যের প্রাণীবাচক কর্মটিকে বলা হয় — 

        (ক) গৌণ কর্ম     (খ) মুখ্য কর্ম      (গ) উদ্দেশ্য কর্ম       (ঘ) বিধেয় কর্ম 

১১.  বিভক্তি — 

        (ক) সর্বদা শব্দের পূর্বে বসে     (খ) সর্বদা শব্দের শেষে যুক্ত হয়

        (গ) শব্দের পরে আলাদাভাবে বসে        (ঘ) শব্দের পূর্বে আলাদাভাবে বসে ।

১২.  আমার বইটা আমায় ফেরত দাও । বাক্যে অ-কারকটি হল  —

         (ক) আমার     (খ) আমায়     (গ) দাও      (ঘ) বইটা 

১৩.  হে পিতৃব্য, তব ইচ্ছি মরিবারে । — নিম্নরেখ পদটি হল — 

 (ক) ক্রিয়া পদ     (খ) সম্বোধন পদ     (গ) সম্বন্ধ পদ     (ঘ) কর্তৃপদ

১৪.  ওরে, আগুন লেগেছে বনে বনে ।লাইনটিতে অ-কারক হল —  

          (ক) ওরে     (খ) আগুন      (গ) লেগেছে     (ঘ) বনে বনে ।

১৫.  অনুসর্গের অপর নাম হল  — 

         (ক) উপসর্গ       (খ) পরসর্গ      (গ) অব্যয়      (ঘ) বিভক্তি  

১৬. বাক্যে দুটি কর্তা একত্রে একজাতীয় ক্রিয়া সম্পাদন করলে তাদের বলে—
(ক) ব্যতিহার কর্তা (খ) প্রযোজক কর্তা (গ) কর্মবাচ্যের কর্তা (ঘ) ভাববাচ্যের কর্তা
১৭. রিপা ব্যাকরণে ভালো—‘ব্যাকরণে’ কোন কারক?
(ক) বিষয়াধিকরণ (খ) কর্মকারক গ) ভাবাধিকরণ (ঘ) করণকারক
১৮. ‘বোঁটা আলগা’ ফল গাছে থাকে না। এখানে ‘বোঁটা আলগা’ কোন কারকে কোন বিভক্তি?
(ক) কর্মকারকে প্রথমা (খ) অধিকরণে প্রথমা (গ) অপাদানে প্রথমা (ঘ) কর্তৃকারকে প্রথমা
১৯. চেষ্টায় সব হয়—এখানে ‘চেষ্টা’ কোন কারকে কোন বিভক্তি?
(ক) কর্মে দ্বিতীয়া (খ) করণে সপ্তমী (গ) অপাদানে ষষ্ঠী (ঘ) অধিকরণে সপ্তমী
২০. ঘোড়াকে চাবুক মারে—‘চাবুক’ কোন কারকে কোন বিভক্তি?
(ক) কর্মে দ্বিতীয়া (খ) করণে শূন্য (গ) কর্তায় প্রথমা (ঘ) করণে তৃতীয়া
২১. ব্যাপ্তি অর্থে সম্বন্ধ পদ কোনটি?
(ক) রোজার ছুটি (খ) দেশের লোক (গ) রাজার রাজ্য (ঘ) বাটির দুধ
২২. ‘দুঃখের দহন’—কোন প্রকার সম্বন্ধ পদ?
ক. অভেদ সম্বন্ধ। খ. অধিকার সম্বন্ধ। গ. জন্ম জনক সম্বন্ধ। ঘ. হেতু সম্বন্ধ
২৩. বিশাল স্থানের যেকোনো অংশে ক্রিয়া সংঘটিত হলে তাকে কী বলে?
ক. ভাবাধীকরণ। খ. কালাধীকরণ
গ. ঐকদেশিক আধারাধীকরণ। ঘ. অভিব্যাপক ভাবাধীকরণ





***অনুসর্গ বা কর্মপ্রবচনীয়
১৪। অনুসর্গ সাধারণত কোথায় বসে?
(ক) শব্দের পূর্বে (খ) শব্দের মধ্যে (গ) শব্দের পরে (ঘ) বাক্যের শেষে
১১. "দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহিতে"- এই বাক্যে অব্যয়টির নাম কী?
ক) অনুসর্গ অব্যয়৷ খ) অনুকার অব্যয়৷ গ) অনন্বয়ী অব্যয়৷৷ ঘ) সমুচ্চয়ী অব্যয়
১। ‘উদ্যম বিহনে কার পুরে মনোরথ’—বাক্যে অনুসর্গটি কোন অর্থে ব্যবহার হয়েছে?
(ক) হেতু (খ) ব্যতিরেকে (গ) পরে (ঘ) সঙ্গে
২৪। সমসূত্র অর্থে অনুসর্গের প্রয়োগ রয়েছে কোন বাক্যে?
(ক) তিনি পুত্রসহ উপস্থিত হলেন. (খ) মায়ের সঙ্গে এ মেয়ের তুলনা হয় না
(গ) এ জন্মের তরে বিদায় নিলাম. (ঘ) শত্রুর সহিত সন্ধি চাই না


***শব্দের যোগ্যতা বিকাশ ও বাগধারা
২৬। শব্দের আভিধানিক অর্থকে কী বলে?
ক. লক্ষ্যার্থ খ. বাচ্যার্থ। গ. সরলার্থ ঘ. গৌণার্থ
২৫। শব্দের যোগ্যতার সঙ্গে কয়টি বিষয় জড়িত থাকে?
(ক) ছয়টি (খ) পাঁচটি (গ) চারটি (ঘ) তিনটি
২৭। ‘জ্যাঠামি করো না’—বাক্যটি কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
(ক) শব্দের অর্থ সংকোচে (খ) শব্দের অপকর্ষ বোঝাতে (গ) শব্দের অর্থান্তর প্রাপ্তিতে (ঘ) শব্দের উৎকর্ষ প্রাপ্তিতে
৩০। ‘তুমি আমার সাথে প্রপঞ্চ করেছে’—বাক্যটিতে কী কারণে যোগ্যতা বিনষ্ট হয়েছে?
ক. গুরুচণ্ডালী দোষে খ. উপমার ভুল প্রয়োগে গ. বাহুল্য দোষে ঘ. দুর্বোধ্য শব্দ ব্যবহারে
৪। কোন বাক্যাংশটি গুরুচণ্ডালী দোষযুক্ত?
(ক) শব পোড়া (খ) মড়া পোড়া (গ) গরুর গাড়ি (ঘ) ঘোড়ার গাড়ি
১৮। ‘বাধিত’ শব্দের রীতিসিদ্ধ অর্থ কোনটি?
(ক) কৃতজ্ঞ (খ) বাধাপ্রাপ্ত (গ) নির্দেশ (ঘ) অনুগত
২৬। ‘অহিংসা পরম ধর্ম’—এখানে ‘ধর্ম’ কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
(ক) সুনীতি (খ) সত্কাজ (গ) উত্কর্ষ (ঘ) স্বভাব
১৮। নিচের কোন বাক্যে ‘মুখ’ শব্দটি ‘সম্মান বাঁচানো’ অর্থে প্রয়োগ করা হয়েছে?
ক. শুধু শুধু ছেলেটাকে মুখ করছো কেন? খ. টক খেয়ে মুখ ধরে আসছে
গ. খোদা মুখ তুলে চাইলে অবশ্যই ব্যবসায়ে লাভ হবে ঘ. এ ছেলে বংশের মুখ রক্ষা করবে 
৩০। ‘কপট’ অর্থে ‘কূট’ শব্দের ব্যবহার কোনটি?
(ক) পর্বত কূটে আরোহণ করা দুরূহ.
(খ) এটা কূট প্রশ্ন, উত্তর দেওয়া কঠিন
(গ) তার কূট বুদ্ধির সঙ্গে পারবে কেন?
(ঘ) কূট সাক্ষী সাক্ষ্য দিতে এসে ধরা পড়েছে
২৮। ‘দায়িত্ব গ্রহণ’ অর্থে ‘মাথা’ শব্দের রীতিসিদ্ধ প্রয়োগ কোনটি?
(ক) মাথা দেওয়া (খ) মাথা ঘামানো (গ) মাথা ব্যথা (ঘ) মাথা খাওয়া
৩। ‘সূর্য’ শব্দের সমার্থক শব্দ কোনটি?
ক. নিশাকর। খ. নরপতি গ. অবনী ঘ. দিবাকর
১৭। সূর্যের সমার্থক শব্দ কোনটি?
(ক) বারি, ইন্দু (খ) সুধাংশ (গ) আদিত্য, বিধু (ঘ) সবিতা, ভানু
২৭। সূর্যের সমার্থক শব্দ কোনগুলো?
(ক) আদিত্য, বিধু (খ) তপন, সুধাংশু (গ) রবি, ইন্দু (ঘ) সবিতা, ভানু
২৭.যে ভবিষ্যৎ না ভেবেই কাজ করে "- এ বাক্যটির এক কথায় প্রকাশ কোনটি?
ক) অপরিণামদর্শী খ) অবিসংবাদী গ) অনভিজ্ঞ ঘ) নির্ভাবনা
২৮." যে নারীর স্বামী ও পুত্র নেই "- এক কথায় পুকাশ কী হবে?
ক) অপুত্রক। খ) অবীরা গ)অসূর্যম্পর্শা ঘ) বন্ধ্যা
৩। ‘যিনি বিদ্যা লাভ করেছেন’—তাকে এককথায় কী বলে?
(ক) কৃতবিদ্য (খ) বিদ্বান (গ) জ্ঞানী (ঘ) বিদ্যাধর
২১। শুভক্ষণে জন্ম যার—এককথায় কী বলে?
ক. শুভজন্মা খ. শুভক্ষণা গ. ক্ষণজন্মা ঘ. সুলক্ষণা
১০। যে ক্রমাগত রোদন করছে'- এক কথায় প্রকাশ কি হবে?
(ক) রোরুদ্যমান (খ) রোদ্দ্যমান (গ) ক্রন্দনরত (ঘ) অশ্রুজলে মুহ্যমান
৩৮. কোনভাবেই নিবারণ করা যায় না"- এক খথায় প্রকাশ কী হবে?
ক) দুর্নিবার খ) দুর্দমনীয় গ) অদম্য। ঘ) অনিবার্য
২৬। যে সব অত্যাচারই সয়ে যায়—এক কথায় কী?
(ক) সর্বস্ব সহ্যকারী (খ) ধৈর্যশীল. (গ) সর্বংসহা (ঘ) অত্যাচার সহিষ্ণু
৬। কোন বাগধারাটির সঙ্গে ‘বালির বাঁধ’ বাগধারার মিল আছে?
(ক) আষাঢ়ে গল্প (খ) অমাবস্যার চাঁদ (গ) সাপে নেউলে (ঘ) তাসের ঘর
৯। ‘গোঁফ খেজুরে’ বাগধারাটির অর্থ কী?
(ক) আলসেমি (খ) অতি ধীরগতি (গ) নিতান্ত অলস (ঘ) মূর্খ
৩০.' কূপমণ্ডুক '- বাগধারাটির অর্থ কোনটি?
ক) অপদার্থ খ) মুর্খ গ) কুয়োর ব্যাঙ ঘ) সংকীর্ণমনা লোক
৪০.' সাক্ষী গোপাল '- বাগধারাটির অর্থ কতহী?
ক) অপদার্থ খ) মুর্খ গ) নিরেট বোকা ঘ) নিস্ক্রিয় দর্শক
৪০.'রাবণের চিতা '- বাগধারাটির অর্থ কী?
ক) ভীষণ চক্রান্ত খ) ভীষণ শত্রুতা গ) চির অশান্তি ঘ) ছোটখাট জগড়া
২৩। ‘গোল্লায় যাওয়া’—বাগধারাটির অর্থ কী?
(ক) অসৎ কাজ করা (খ) খারাপ কাজে যাওয়া (গ) দোষের কাজ করা (ঘ) নষ্ট হওয়া
৩৯.কোনটি ভিন্নার্থক বাগধারা?
ক) অহিনকুল সম্পর্ক খ) আদায় - কাঁচকলা গ) সাপে নেউলে ঘ) চোখের বালি



***বাচ্য পরিবর্তন

১। দস্যুদল গৃহটি লুণ্ঠন করেছে। এটি-
 ক) কর্মবাচ্য * খ) কর্তৃবাচ্য
      গ) ভাববাচ্য  ঘ) কর্মকর্তৃবাচ্য
২। যে বাচ্যে কর্মপদই কর্তৃস্থানীয় হয়ে বাক্য গঠন করে তাকে বলে-
 ক) কর্তৃবাচ্য  খ) কর্মবাচ্য    * গ) কর্মকর্তৃবাচ্য  ঘ) ভাববাচ্য
৩। কর্মকর্তৃবাচ্যের উদাহরণ কোনটি?
* ক) মেলা বসেছে  খ) তোমাকে হাঁটতে হবে গ) রাখাল বাঁশি বাজায়  ঘ) কোথায় থাকা হয়?
৪।
 তার যেন আসা হয়। এ বাক্যটি কিসের উদাহরণ?
 ক) কর্র্তৃবাচ্য  খ) কর্মবাচ্য গ) কর্মকর্তৃবাচ্য * ঘ) ভাববাচ্য
৫।
 সুতি কাপড় অনেক দিন টিকে।’-এ বাক্যটি কিসের উদাহরণ?
 ক) ভাববাচ্য * খ) কর্মকর্র্তৃবাচ্য     গ) কর্মবাচ্য  ঘ) কোনটিই নয়
৬।
 কোথায় থাকা হয়’-এ বাক্যটি কোন বাচ্যের উদাহরণ?
 ক) কর্তৃবাচ্য  খ) কর্মবাচ্য    * গ) ভাববাচ্য  ঘ) কর্র্তৃকর্মবাচ্য
৭। যে বাচ্যের কর্ম থাকে না এবং বাক্যে ক্রিয়ার অর্থই প্রধানরূপ প্রতীয়মান হয় তাকে কোন বাচ্য বলে?
 ক) কর্মকর্তৃবাচ্য  খ) কর্মবাচ্য* গ) ভাববাচ্য  ঘ) কর্তৃবাচ্য
৮। বাক্যের বিভিন্ন ধরনের প্রকাশভঙ্গিকে কি বলা হয়?
 ক) উক্তি * খ) বাচ্য
        গ) পদান্তর  ঘ) বাক্যান্তর
৯.
 বাক্যের বিভিন্ন ধরনের প্রকাশভঙ্গিকে কি বলা হয়?
 ক) উক্তি * খ) বাচ্য
        গ) পদান্তর  ঘ) বাক্যান্তর
৯।
 কাজটা ভালো দেখায় না। বাক্যটি কোন বাচ্য?
 ক) কর্মবাচ্য  খ) ভাববাচ্য
        গ) কর্র্তৃবাচ্য * ঘ) কর্মকর্তৃবাচ্য
১০। কোনটি কর্মকর্তৃবাচ্যের উদাহরণ?
 ক) তোমাকে যেতে হবে  খ) আমার যাওয়া হবে না
        গ) মেয়েরা ফুল তোলে * ঘ) বাঁশি বাজে
১১।
 কোথায় যাওয়া হচ্ছে?’-এটি কোন বাচ্যের উদাহরণ?
* ক) ভাববাচ্যের  খ) কর্মবাচ্যের
    গ) কর্তৃবাচ্যের  ঘ) কর্মকর্তৃবাচ্যের
১২। কর্তৃবাচ্যের বাক্য কোনটি?
* ক) ছাত্ররা অংক করছে  খ) আমার যাওয়া হবে
 গ) তোমাকে হাঁটতে হবে  ঘ) বাঁশি বাজে ঐ মুধুর লগনে
১৩। বিদ্বানকে সকলেই সম্মান করে-বাক্যটি কর্মবাচ্যে কি হবে?
 ক) বিদ্বান সকলের দ্বারা সমর্থিত * খ) বিদ্বান সকলে দ্বারা সম্মানিত
 গ) বিদ্বান সকল কর্তৃক সমর্থিত  ঘ) সকলের দ্বারা বিদ্বান সম্মান অর্জন করেন
১৪.
 কোন বাচ্যের ক্রিয়া অকর্মক হলে তাকে কোন বাচ্য বলে?
 ক) কর্মবাচ্য  খ) কর্তৃবাচ্য    * গ) ভাববাচ্য  ঘ) কর্মকর্তৃবাচ্য
১৫।
 বাঁশি বাজে ঐ মধুর লগনে।’-এটা কোন বাচ্যের উদাহরণ?
 ক) কর্তৃবাচ্য  খ) কর্মবাচ্য
    গ) ভাববাচ্য * ঘ) কর্মকর্তৃবাচ্য
১৬।
 হালাকু খাঁ বাগদাদ নগরী ধ্বংস করেন।’-এটা কোন বাচ্যের উদাহরণ?
 ক) কর্মবাচ্য * খ) কর্তৃবাচ্য
     গ) ভাববাচ্য  ঘ) কর্মকর্তৃবাচ্য
১৭। কর্তৃবাচ্যের বাক্যকে ভাববাচ্যে পরিবর্তিত করতে হলে কিসের প্রয়োজন হয়?
 ক) কর্মে ৬ষ্ঠী ও ক্রিয়ার মধ্যম পুরুষ  খ) করণে ৭মী ও ক্রিয়ার উত্তম পুরুষ
 গ) শুধুমাত্র কর্তায় ৬ষ্ঠী বিভক্তি * ঘ) কর্তায় ৬ষ্ঠী বা ২য়া বিভক্তি এবং ক্রিয়া নামপুরুষ
১৮। কর্তৃবাচ্যের বাক্য কর্মবাচ্যে রূপান্তরের সময় কর্তায় কোন বিভক্তি যুক্ত হয়?
* ক) তৃতীয়া বিভক্তি  খ) প্রথমা বিভক্তি
    গ) দ্বিতীয়া বিভক্তি  ঘ) ষষ্ঠী বিভক্তি
১৯। ভাববাচ্যের ক্রিয়া সর্বদাই কোন পুরুষের হয়ে থাকে?
 ক) উত্তম পুরুষ  খ) মধ্যম পুরুষ
    * গ) নাম পুরুষ  ঘ) উত্তম পুরুষ ও মধ্যম পুরুষ
২০।
 মূল ক্রিয়ার সঙ্গে সহযোগী ক্রিয়ার সংযোগ ও বিভিন্ন অর্থে ভাববাচ্যের ক্রিয়া গঠিত হয়’-তার উদাহরণ কোনটি?
* ক) এ ব্যাপারে আমাকে দোষী করা চলে না  খ) এ পথে চলা যায় না
 গ) আসামিকে জরিমানা করা হয়েছে  ঘ) রোগী পথ্য সেবন করে
২১।
 তুমি কখন এলে। বাক্যটিকে ভাববাচ্য রূপান্তর করলে কোনটি হবে?
 ক) তোমার দ্বারা কখন আসা হল * খ) তোমার কখন আসা হল
 গ) এবার একটি গান কর  ঘ) তোমার কখন আসা হয়
২২। ভাববাচ্য থেকে কর্তৃবাচ্যে রূপান্তরের সময় ক্রিয়া কিরূপ হয়?
* ক) কর্তার অনুসারী হয়  খ) কর্মের অনুসারী হয়
 গ) ভাবাচ্যের অনুসারী হয়  ঘ) কালের অনুসারী হয়
২৩।
 কর্তৃবাচ্যে ব্যবহৃত তৎসম মিশ্র ক্রিয়াটি কর্মবাচ্যে যৌগিক ক্রিয়াজাত রূপে ব্যবহৃত হয়। শূন্যস্থানে নিচের কোনটি বসবে?
 ক) বিশেষণ  খ) ভাব বিশেষণ
 * গ) ক্রিয়া বিশেষণ  ঘ) বিশেষণের বিশেষণ
২৪। ভাববাচ্যের বাক্যকে কর্তৃবাচ্যে রূপান্তরিত করতে হলে কিসের প্রয়োজন হয়?
* ক) কর্তায় ১মা এবং ক্রিয়া কর্তা অনুযায়ী  খ) কর্মে ১মা এবং ক্রিয়া উত্তম পুরুষ হয়
 গ) কর্তা ৬ষ্ঠী বিভক্তি
 ঘ) কর্তায় ৬ষ্ঠী বা ২য়া বিভক্তি এবং ক্রিয়া নাম পুরুষ হয়
২৫।
 এবার একটি গান হোক।’-কোন বাচ্যের বাক্য?
 ক) কর্মকর্তৃবাচ্য * খ) ভাববাচ্য
     গ) কর্তৃবাচ্য  ঘ) কর্মবাচ্য
২৬।
 নজরুল কর্তৃক অগ্নিবীণা রচিত হয়েছে। কোন বাচ্যের উদাহরণ?
 ক) ভাববাচ্য * খ) কর্মবাচ্য
    গ) কর্তৃবাচ্য  ঘ) কর্মকর্তৃবাচ্য
২৭. কোনটি কর্মবাচ্যের উদাহরণ?
 ক) রোগী পথ্য সেবন করে * খ) ফেরদৌসী কর্র্তৃক শাহনামা রচিত হয়েছিল
 গ) আমার যাওয়া হল না  ঘ) এ ব্যাপারে আসামিকে দায়ী করা চলে না
২৮। কোন নিয়মানুসারে কর্তৃবাচ্যকে কর্মবাচ্য পরিবর্তন করা যায়?
* ক) কর্তায় ৩য়া,
 কর্মে ১মা বা শূন্য এবং ক্রিয়া কর্মানুযায়ী হয়
 খ) কর্তায় ৬ষ্ঠী বা ২য়া বিভক্তি এবং ক্রিয়া নাম পুরুষের হয়
 গ) কর্তায় ১মা বিভক্তি এবং ক্রিয়া কর্তানুযায়ী হয়
 ঘ) কর্তায় ৩য়া,
 কর্মে ৭মী এবং ক্রিয়া অর্থানুযায়ী হয়
২৯। কোন ক্রিয়ারবাচ্য পরিবর্তন হয় না?
 ক) সকর্মক ক্রিয়া  খ) সমাপিকা ক্রিয়া
    * গ) অকর্মক ক্রিয়া  ঘ) সমধাতুজ কর্মের
৩০। যে বাক্যে কর্ম প্রধান এবং ক্রিয়া কর্মকে অনুসরণ করে তাকে বলে-
 ক) কর্তৃবাচ্য  খ) কর্মকর্তৃবাচ্য
    * গ) কর্মবাচ্য  ঘ) ভাববাচ্য
৩১।
 বিদ্বান সকলের দ্বারা সমাদৃত হন।’-কোন বাচ্যের বাক্য?
 ক) কর্মকর্তৃবাচ্যের  খ) ভাববাচ্যের
 গ) কর্তৃবাচ্যের * ঘ) কর্মবাচ্যের

 কর্মবাচ্যের বাক্যকে কর্তৃবাচ্যে রূপান্তর করতে হলে, কর্তায় কোন বিভক্তি হয়?
 ক) প্রথমা  খ) দ্বিতীয়া  গ) তৃতীয়া  ঘ) ষষ্ঠী
৮।
 সুতি কাপড় অনেক দিন টেকে’—কোন বাচ্যের উদাহরণ?
ক. কর্তৃবাচ্য খ. ভাব বাচ্য। গ. কর্ম কর্তৃবাচ্য ঘ. কর্মবাচ্য

 

 




***উক্তি পরিবর্তন
১৮। অর্থ সংগতি রক্ষার জন্য পরোক্ষ উক্তিতে কোন পদের পরিবর্তন করতে হয়?
(ক) বিশেষ্য (খ) বিশেষণ (গ) সর্বনাম (ঘ) অব্যয়
১৯। শিক্ষক বললেন, ‘তোমরা কী ছুটি চাও?’ এর পরোক্ষ উক্তি কী হবে?
(ক) শিক্ষক জানতে চাইলেন যে তোমরা কি ছুটি চাও (খ) আমরা ছুটি চাই কি না শিক্ষক তা জিজ্ঞাসা করলেন
(গ) শিক্ষক জানতে চাইলেন আমরা কি ছুটি চাই (ঘ) আমরা ছুটি চাই কি না শিক্ষক প্রশ্ন করলেন




***যতি বা ছেদ চিহ্ন
২০। কোন যতি চিহ্নে ১ বলার দ্বিগুণ সময় থামতে হয়?
(ক) দাঁড়ি (খ) বিস্ময় (গ) জিজ্ঞাসা (ঘ) সেমিকোলন
৩০। ‘কমা’-এ কত সময় থামতে হয়?
(ক) এক সেকেন্ড (খ) থামার প্রয়োজন নেই (গ) এক বলার দ্বিগুণ সময় (ঘ) এক বলতে যে সময় লাগে
৯। কোন বন্ধনীর (ব্রাকেট) চিহ্নটি বিশেষ ব্যাখ্যামূলক অর্থে সাহিত্যে ব্যবহূত হয়ে থাকে?
ক. {} খ. ‘- -’ গ. [ ] ঘ. ( )




***বাক্যের শ্রেণিবিভাগ

৯. বাক্যের অর্থ পরিষ্কারভাবে বোঝার জন্য এক পদের পর অন্য পদ শোনার ইচ্ছাকে বলে

ক. আকাঙ্ক্ষা খ. যোগ্যতা  গ. আসক্তি ঘ. অর্থসংগতি

১০. মিশ্র বাক্যে ক্রিয়ার কোন ভাব ব্যবহৃত হয়?

ক. নির্দেশক খ. অনুজ্ঞা   গ. সাপেক্ষ ঘ. আকাঙ্ক্ষা

১১. বাক্যস্থিত পদগুলোর অর্থগত ও ভাবগত মেলবন্ধনের নাম কী?

ক. আসক্তি খ. আকাঙ্ক্ষা  গ. পূর্ণতা ঘ. যোগ্যতা

১২. প্রয়োজনের অতিরিক্ত শব্দ ব্যবহারে বাক্য কোন গুণটি হারায়?

ক. বাহুল্য খ. যোগ্যতা    গ. আকাঙ্ক্ষা ঘ. আসক্তি

১৩. হাতিগুলো আকাশে উড়ছেবাক্যটিতে কোন গুণের অভাব রয়েছে?

ক. আসক্তির খ. আকাঙ্ক্ষা গ. যোগ্যতার ঘ. গঠনের

১৪. আষাঢ়-শ্রাবণ দুই মাস বসন্তকাল’—বাক্যটিতে কোন গুণের অভাব?

ক. যোগ্যতা খ. আসক্তি   গ. আকাঙ্ক্ষা ঘ. প্রাঞ্জলতা

১৫. তোমার হাত দুটি ইস্পাতের মতো নরম’—বাক্যটিতে কোন গুণের অভাব আছে?

ক. আসক্তি খ. আকাঙ্ক্ষা  গ. যোগ্যতা ঘ. শৃঙ্খলা

১৬. শব্দের যোগ্যতার সঙ্গে কয়টি বিষয় জড়িত

ক. ৩টি খ. ৪টি  গ. ৫টি ঘ. ৬টি

১৭. আমি বহুবার স্কুল পালিয়েছি কিন্তু রবীন্দ্রনাথ হতে পারিনি’—গঠন অনুসারে বাক্যটি

ক. সরল বাক্য খ. জটিল বাক্য     গ. যৌগিক বাক্য ঘ. আশ্রিত খণ্ড বাক্য

১৮. বাগধারার যথেচ্ছ পরিবর্তন করলে শব্দ তার কোন গুণ হারায়?

ক. আকাঙ্ক্ষা খ. যোগ্যতা  গ. আসক্তি ঘ. দুর্বোধ্যতা

১৯. তৎসম শব্দের সঙ্গে দেশীয় শব্দের প্রয়োগ কখনো কখনো কী সৃষ্টি করে?

ক. বাহুল্য দোষ  খ. দুর্বোধ্যতা     গ. গুরুচণ্ডালী দোষ       ঘ. উপমার ভুল প্রয়োগ

২০. শ্মশান-যাত্রীরা মড়া দাহ করে ঘরে ফিরছেন। বাক্যটি

ক. যোগ্যতা গুণসম্পন্ন    খ. বাহুল্য দোষে দুষ্ট      গ. দুর্বোধ্য       ঘ. গুরুচণ্ডালী দোষে দুষ্ট

২১. বিপদ এবং দুঃখ এক সময়ে আসে’—এটি কোন প্রকারের বাক্য?

ক. সরল বাক্য খ. যৌগিক বাক্য   গ. মিশ্র বাক্য ঘ. জটিল বাক্য

২২. বাগভঙ্গি অনুযায়ী বাক্য কয় প্রকার?

ক. ২ খ. ৩     গ. ৪ ঘ. ৫

২৩. বাক্যে দুটি অংশ থাকেএ দুটি কী?

ক. ক্রিয়া ও কর্ম খ. কর্তা ও কর্ম  গ. উদ্দেশ্য ও বিধেয়      ঘ. বিশেষ্য ও বিশেষণ

সঠিক উত্তর ৯. ক ১০. ক ১১. গ ১২. খ ১৩. গ ১৪. ক ১৫. গ ১৬.ঘ ১৭. গ ১৮. খ ১৯. গ ২০. ঘ ২১. খ ২২. ঘ ২৩. গ

২৪। যতই করিবে দান, ততই যাবে বেড়ে’—এটি কোন প্রকারের বাক্য?
ক. সরল         খ. জটিল         গ. যৌগিক         ঘ. আশ্রিত
২৫। যেসব পশু মাংস ভোজন করে, তারা অত্যন্ত বলবান। বাক্যটির সরল বাক্য রূপ কোনটি?

ক) যেসব পশু মাংসভোজী, সেগুলো বলবান।  

খ) মাংসভোজী সকল পশুই খুব বলবান 

গ) মাংসভোজী পশু অত্যন্ত বলবান।  

ঘ) মাংস ভোজনকারী পশু খুব বলবান
২৬। যারা অত্যন্ত পরিশ্রমী, তারাই উন্নতি করেবাক্যে উদ্দেশ্যের সম্প্রসারণ কিভাবে ঘটেছে?
ক) সমার্থক বাক্যাংশ যোগে খ) ক্রিয়া বিশেষণ যোগে গ) বিশেষণ যোগে ঘ) সম্বন্ধ পদ যোগে






***বাক্যের পদ সংস্থাপনার ক্রম
১। বাক্যের অন্তর্ভুক্ত পদগুলো উপযুক্ত স্থানে বসানোই—
(ক) পদ সংস্থাপনার ক্রম (খ) স্বরভঙ্গি (গ) আসত্তি (ঘ) যোগ্যতা
২। নিচের কোন বাক্যটি ভুল?
ক. সব মানুষই মরণশীল।     খ. মানুষ মরণশীল
গ. সকল মানুষেরাই মরণশীল।     ঘ. মানুষেরা মরণশীল
৩। বাক্যে বিধেয় বিশেষণ কোথায় বসে?
ক. বিশেষ্যের আগে     খ. বিশেষণের আগে     গ. বিশেষ্যের পরে     ঘ. বিশেষণের পরে
৪। বাক্যে সমাপিকা ক্রিয়াপদ কোথায় বসে? 
ক. প্রথমে  গ. উদ্দেশ্যের পূর্বে খ, শেষে  ধ, অব্যয় পদের পর  
৫. অসমাপিকা ক্রিয়াপদ বাক্যের কোথায় বসে?  
ক. প্রথমে   খ. বিশেষণের পূর্বে     গ) বিশেষ্যের পর      ঘ) শেষে  
৬) বাক্যে বিধেয়-বিশেষণ কোথায় বসে?  
ক, প্রথমে  খ. শেষে    গ. বিশেষণের পূর্বে ঘ, বিশেষের পর  
৭.  বাক্যে বহুপদময় বিশেষণ কোথায় বসে?  
গ. সর্বনামের পূর্বে  খ) শেষে      খ. বিশেষ্যের পূর্বে  
৮. 'না' শব্দটি বাক্যে কোথায় বসে? 
ক. সমাপিকা ক্রিয়ার পূর্বে খ, সমাপিকা ক্রিয়ার পরে  
গ, অসমাপিকা ক্রিয়ার পরে ঘ, বিশেষণের পরে 
৯. বাক্যে কারক-বিভক্তিযুক্ত পদ কোথায় বসে?  
ক. প্রথমে   খ. শেষে গ, বিশেষযার পূর্বে ঘ. বিশেষণের আগে  
১০. সম্বন্ধ পদ বাক্যে কোথায় বসে?

ক. বিশেষ্যের পূর্বে খ. বিশেষণের পূর্বে   গ. বিশেষ্যের পরে ঘ, বিশেষণের পরে।  

Tuesday, October 6, 2020

সারাংশ / সারমর্ম

 সারমর্ম

১. সার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে।
সার্থক জনম, মা গো,তোমায় ভালোবেসে ॥
জানি নে তোর ধনরতন আছে কি না রানীর মতন,
শুধু জানি আমার অঙ্গজুড়ায় তোমার ছায়ায় এসে ॥
কোন্‌ বনেতে জানি নে ফুল গন্ধে এমন করে আকুল,
কোন্‌ গগনে ওঠে রে চাঁদ এমন হাসি হেসে।
আঁখি মেলে তোমার আলো প্রথম আমার চোখ জুড়ালো,
ওই আলোতেই নয়ন রেখে মুদব নয়ন শেষে ।

২. কবি, তবে উঠে এসো যদি থাকে প্রাণ
তবে তাই লহ সাথে, তবে তাই করো আজি দান।
বড় দুঃখ, বড় ব্যথা, সম্মুখেতে কষ্টের সংসার
বড়ই দরিদ্র, শূন্য, বড় ক্ষুদ্র, বন্ধ অন্ধকার।
অন্ন চাই প্রাণ চাই আলো চাই, চাই মুক্ত বায়ু,
চাই বল, চাই স্বাস্থ্য আনন্দ-উজ্জ্বল পরমায়ু,
সাহস বিস্তৃত বক্ষপট। এ দৈন্য মাঝারে কবি
একবার নিয়ে এসো স্বর্গ হতে বিশ্বাসের ছবি।

৩. পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি
এ জীবন মন সকলি দাও,
তার মত সুখ কোথাও কি আছে?
আপনার কথা ভুলিয়া যাও।
পরের কারণে মরণেও সুখ,
‘সুখ-সুখ’ করি কেঁদো না আর;
যতই কাঁদিবে যতই ভাবিবে,
ততই বাড়িবে হৃদয়-ভার।
আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে
আসে নাই কেহ অবনী পরে
সকলের তরে সকলে আমরা
প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।

৪. হউক সে মহাজ্ঞানী মহা ধনবান,
অসীম ক্ষমতা তার অতুল সম্মান,
হউক বিভব তার সম সিন্ধু জল
হউক প্রতিভা তার অক্ষুণ্ন উজ্জ্বল
হউক তাহার বাস রম্য হর্ম্য মাঝে
থাকুক সে মণিময় মহামূল্য সাজে
হউক তাহার রূপ চন্দ্রের উপম
হউক বীরেন্দ্র সেই যেন সে রোস্তম
শত শত দাস তার সেবুক চরণ
করুক স্তাবক দল স্তব সংকীর্তন।
কিন্তু যে সাধেনি কভু জন্মভূমি হিত
স্বজাতির সেবা যেবা করেনি কিঞ্চিৎ
জানাও সে নরাধমে জানাও সত্বর,
অতীব ঘৃণিত সেই পাষণ্ড বর্বর।

৫. বিপদে মোরে রক্ষা করো
এ নহে মোর প্রার্থনা,
বিপদে আমি না যেন করি ভয়।
দুঃখতাপে ব্যথিত চিতে
নাই বা দিলে সান্ত্বনা,
দুঃখে যেন করিতে পারি জয়।
সহায় মোর না যদি জুটে
নিজের বল না যেন টুটে,
সংসারেতে ঘটিলে ক্ষতি
লভিলে শুধু বঞ্চনা
নিজের মনে না যেন মানি ক্ষয়।
আমারে তুমি করিবে ত্রাণ
এ নহে মোর প্রার্থনা,
তরিতে পারি শকতি যেন রয়।
আমার ভার লাঘব করি
নাই বা দিলে সান্ত্বনা,
বহিতে পারি এমনি যেন হয়।

৬. নিন্দুকেরে বাসি আমি সবার চেয়ে ভাল,
যুগ জনমের বন্ধু আমার আঁধার ঘরের আঁলো।
সবাই মোরে ছাড়তে পারে, বন্ধু যারা আছে,
নিন্দুক সে ছায়ার মত থাকবে পাছে পাছে।
বিশ্বজনে নিঃস্ব করে পবিত্রতা আনে,
সাধক জনে নিস্তারিতে তার মত কে জানে?
বিনামূল্যে ময়লা ধুয়ে করে পরিষ্কার,
বিশ্বমাঝে এমন দয়াল মিলবে কোথা আর?
নিন্দুকে সে বেঁচে থাকুক বিশ্ব হিতের তরে;
আমার আশা পূর্ণ হবে তাহার কৃপা ভরে।

৭. একদা ছিল না জুতা চরণ যুগলে
দহিল হৃদয় মম সেই ক্ষোভানলে।
ধীরে ধীরে চুপি চুপি দুঃখাকুল মনে
গেলাম ভজনালয়ে ভজন কারণে।
দেখি সেথা একজন পদ নাহি তার
অমনি জুতার খেদ ঘুচিল আমার।
পরের দুঃখের কথা করিলে চিন্তন
আপনার মনে দুঃখ থাকে কতক্ষণ।

৮. কোথায় স্বর্গ, কোথায় নরক কে বলে তা বহুদূর?
মানুষের মাঝে স্বর্গ-নরক, মানুষেতে সুরাসুর।
রিপুর তাড়নে যখনি মোদের বিবেক পায় গো লয়,
আত্মগ্লানির নরক-অনলে তখনি পুড়িতে হয়।
প্রীতি ও প্রেমের পুণ্য বাঁধনে মিলি পরস্পরে,
স্বর্গ আসিয়া দাঁড়ায় তখন আমাদেরি কুঁড়ে ঘরে।

৯.  তরুতলে বসে পান্থ শ্রান্তি করে দূর,
ফল আস্বাদনে পায় আনন্দ প্রচুর।
বিদায়ের কালে হাতে ডাল ভেঙে লয়,
তরু তবু অকাতর কিছু নাহি কয়।
দুর্লভ মানব জন্ম পেয়েছে যখন,
তরুর আদর্শ কর জীবনে গ্রহণ।
পরার্থে আপন সুখ দিয়ে বিসর্জন,
তুমি ও হয় গো ধন্য তরুর মতোন।

১০. আসিতেছে শুভ দিন,
দিনে দিনে বহু বাড়িয়াছে দেনা, শুধিতে হইবে ঋণ।
হাতুড়ি-শাবল-গাইতি চালায়ে ভাঙ্গিল যারা পাহাড়,
পাহাড় কাটা সে পথের দুপাশে পড়িয়া যাদের হাড়,
তোমারে সেবিতে হইল যাহারা মজুর, মুটে ও কুলি,
তোমারে সেবিতে যারা পবিত্র অঙ্গে লাগল ধূলি,
তারাই মানুষ, তারাই দেবতা, গাহি তাহাদেরি গান,
তাদেরি ব্যথিত বক্ষে পা ফেলে আসে নব উত্থান।

১১. বসুমতী কেন তুমি এতই কৃপণা?
কত খোঁড়া খুঁড়ি করে পাই শস্যকণা।
দিতে যদি হয় দে মা প্রসন্ন সহাস,
কেন এ মাথার ঘাম পায়েতে বহাস?
বিনা চাষে শস্য দিলে কি তাহাতে ক্ষতি?
শুনিয়া ঈষৎ হাসি কহে বসুমতি-
আমার গৌরব তাতে সামান্যই বাড়ে,
তোমার গৌরব তাহে একেবারে ছাড়ে।

সারাংশ

১. জাতিকে শক্তিশালী, শ্রেষ্ঠ, ধন-সম্পদশালী, উন্নত ও সুখী করতে হলে শিক্ষা ও জ্ঞান বর্ষার বারিপাতের মতো সর্বসাধারণের মধ্যে সমভাবে বিতরণ করতে হবে। দেশে সহজ ও সরল ভাষায় নানা প্রকারের পুস্তক প্রচার করলে এ কাজ সিদ্ধ হয়। শক্তিশালী দৃষ্টিসম্পন্ন মহাপুরুষদের লেখনীর প্রভাবে একটি জাতির মানসিক ও পার্থিব অবস্থার পরিবর্তন অপেক্ষাকৃত অল্প সময়ে সংশোধিত হয়ে থাকে। দেশের প্রত্যেক মানুষ তার ভুল ও কুসংস্কার, অন্ধতা ও জড়তা, হীনতা ও সংকীর্ণতাকে পরিহার করে একটি বিনয়-মহিমোজ্জ্বল উচ্চজীবনের ধারণা করতে শেখে; মনুষ্যত্ব ও ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা করাই ধর্ম মনে করে; আত্মমর্যাদা জ্ঞানসম্পন্ন হয় এবং গভীর দৃষ্টি লাভ করে। তারপর বিরাট জাতির বিরাট দেহে শক্তি জেগে ওঠে।

২.  মানুষের মূল্য কোথায়? চরিত্র, মনুষ্যত্ব, জ্ঞান ও কর্মে। বস্তুত চরিত্রবলেই মানুষের জীবনে যা কিছু শ্রেষ্ঠ তা বুঝতে হবে। চরিত্র ছাড়া মানুষের গৌরব করার আর কিছু নেই। মানুষের শ্রদ্ধা যদি মানুষের প্রাপ্য হয়, সে শুধু চরিত্রের জন্য। অন্য কোনো কারণে মানুষের সামনে নত হওয়ার দরকার নেই। জগতে যেসব মহাপুরুষ জন্মগ্রহণ করেছেন, তাঁদের গৌরবমূলে এই চরিত্রশক্তি। তুমি চরিত্রবান লোক, এ কথার অর্থ এই নয় যে তুমি লম্পট নও, তুমি সত্যবাদী, বিনয়ী এবং জ্ঞানের প্রতি শ্রদ্ধা পোষণ করো; তুমি পর দুঃখে কাতর, ন্যায়বান এবং মানুষের ন্যায় স্বাধীনতা প্রিয়। চরিত্রবান মানে এই।

৩. অভ্যাস ভয়ানক জিনিস— একে হঠাৎ স্বভাব থেকে তুলে ফেলা কঠিন। মানুষ হওয়ার সাধনাতেও তোমাকে ধীর ও সহিষ্ণু হতে হবে। সত্যবাদী হতে চাও? তাহলে ঠিক কর সপ্তাহে অন্তত একদিন মিথ্যা বলবে না। ছমাস ধরে এমনি করে নিজে সত্য কথা বলতে অভ্যাস কর। তারপর এক শুভদিনে আর একবার প্রতিজ্ঞা কর, সপ্তাহে তুমি দুদিন মিথ্যা বলবে না। এক বছর পরে দেখবে সত্য কথা বলা তোমার কাছে অনেকটা সহজ হয়ে পড়েছে। সাধনা করতে করতে এমন একদিন আসবে যখন ইচ্ছা করলেও মিথ্যা বলতে পারবে না। নিজেকে মানুষ করার চেষ্টায় পাপ ও প্রবৃত্তির সঙ্গে সংগ্রামে তুমি হঠাৎ জয়ী হতে কখনো ইচ্ছা কর না— তাহলে সব পণ্ড হবে।

৪. নিন্দা না থাকিলে পৃথিবীতে জীবনের গৌরব কি থাকিত? একটা ভালো কাজে হাত দিলাম, তাহার নিন্দা কেহ করে না, সেই ভালো কাজের দাম কী? একটা ভালো কিছু শিখিলাম, তাহার নিন্দুক কেহ নাই, ভালো গ্রন্থের পক্ষে এমন মর্মান্তিক অনাদর কী হইতে পারে? জীবনকে ধর্মচর্চায় উত্সর্গ করিলাম, যদি কোনো মন্দ লোক তাহার মধ্যে মন্দ অভিপ্রায় না দেখিল, তবে সাধুতা যে নিতান্তই সহজ হইয়া পড়িল। মহত্ত্বকে পদে পদে নিন্দার কাঁটা মাড়াইয়া চলিতে হয়। ইহাতে যে হার মানে, বীরের সংগতি সে লাভ করে না। পৃথিবীতে নিন্দা দোষীকে সংশোধন করিবার জন্য আছে তাহা নহে; মহত্ত্বকে গৌরব দেওয়া তাহার একটা মস্ত কাজ।

৫. ভবিষ্যতের ভাবনা ভাবাই হলো জ্ঞানীর কাজ। পিঁপড়া, মৌমাছি পর্যন্ত যখন ভবিষ্যতের জন্য ব্যতিব্যস্ত, তখন মানুষের কথা বলাই বাহুল্য। ফকির-সন্ন্যাসী যে ঘরবাড়ি ছেড়ে আহার-নিদ্রা ভুলে পাহাড়-জঙ্গলে চোখ বুজে বসে থাকে, সেটা যদি নিতান্ত গঞ্জিকার কৃপায় না হয়, তবে বলতে হবে ভবিষ্যতের ভাবনা ভেবে। সব জীবজন্তুর দুটি চোখ সামনে থাকার মানে হলো ভবিষ্যতের দিকে যেন নজর থাকে। অতীতের ভাবনা ভেবে লাভ নেই। পণ্ডিতেরা তো বলে গেছেন, ‘গতস্য শোচনা নাস্তি।’ আর বর্তমান সে তো নেই বললেই চলে। এই যেটা বর্তমান, সে-ই এই কথা বলতে বলতে অতীত হয়ে গেল। কাজেই তরঙ্গ গোনা আর বর্তমানের চিন্তা করা, সমানই অনর্থক। ভবিষ্যত্টা হলো আসল জিনিস। সেটা কখনো শেষ হয় না। তাই ভবিষ্যতের মানব কেমন হবে, সেটা একবার ভেবে দেখা উচিত।

৬. বাল্যকাল থেকে শিক্ষার অানন্দ নেই। কেবল যাহা কিছু নিতান্ত আবশ্যক, তাহাই কণ্ঠস্থ করিতেছি। তেমনি করিয়া কোন মতে কাজ চলে মাত্র, কিন্তু মনের বিকাশ হয় না। হাওয়া খাইলে পেট ভরেনা,আহার করিলে পাট ভরের,ককিন্তু আহারাদি রীতিমত করিবার জন্য হাওয়া আবশ্যক। তেমনি একটি শিক্ষা পুস্তককে রীতিমত হজম করিতে অনেকগুলো অপাঠ্য পুস্তকের সাহায্য আবশ্যক। ইহাতে আনন্দের সহিত পড়িতে ডারিবার শক্তি অলক্ষিতভাবে বৃদ্ধি পাইতে থাকে।গ্রহণশক্তি, ধারণাশক্তি, চিন্তাশক্তি বেশ সহজে এবং স্বাভাবিক নিয়মে বল লভ করে।

৭. কিসে হয় মর্যাদা? দামি কাপড়ে, গাড়িঘোড়া, না ঠাকুর-দাদার কালের উপাধিতে? না, মর্যাদা এসব জিনিসে নেই। আমি দেখতে চাই তোমার ভিতর, তোমার বাহির, তোমার অন্তর। আমি জানতে চাই, তুমি চরিত্রবান কি না, তুমি সত্যের উপাসক কি না? তোমার মাথা দিয়ে কুসুমের গন্ধ বেরোয়, তোমায় দেখলে দাস-দাসী দৌড়ে আসে, প্রজারা তোমায় দেখে সন্ত্রস্ত হয়, তুমি মানুষের ঘাড়ে চড়ে হাওয়া খাও, মানুষকে দিয়ে জুতা খোলাও, তুমি দিনের আলোতে মানুষের টাকা আত্মসাৎ করো। বাপ-মা, শ্বশুর-শাশুড়ি তোমায় আদর করেন, আমি তোমায় অবজ্ঞায় বলব—যাও।

৮. অপরের জন্য তুমি প্রাণ দাও—আমি বলতে চাই নে। অপরের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দুঃখ তুমি দূর করো। অপরকে একটুখানি সুখ দাও। অপরের সঙ্গে একটুখানি মিষ্টি কথা বলো। পথের অসহায় মানুষটির দিকে একটু করুণ চাহনি নিক্ষেপ করো, তাহলেই অনেক হবে। চরিত্রবান মানবতাসম্পন্ন মানুষ নিজের চেয়ে পরের অভাবে বেশি অধীর হন।পরের দুঃখ ঢেকে রাখতে গৌরব বোধ করেন।

৯. তুমি জীবনকে সার্থক ও সুন্দর করিতে চাও? কিন্তু সে জন্য তোমাকে প্রাণান্ত পরিশ্রম করিতে হইবে। মহত্ কিছু লাভ করিতে হইলে কঠোর সাধনার দরকার। তোমাকে অনেক দুঃখ সহ্য করিতে হইবে। অনেক বিপদ-আপদের সম্মুখীন হইতে হইবে। এইসব তুচ্ছ করিয়া যদি তুমি লক্ষ্যের দিকে ক্রমাগত অগ্রসর হইতে পার, তবে তোমার জীবন সুন্দর হইবে। আরো আছে। তোমার ভিতরে এক ‘আমি’ আছে। সে বড় দুরন্ত। তার স্বভাব পশুর মতো বর্বর ও উচ্ছৃঙ্খল। সে কেবল ভোগ-বিলাস চায়। সে বড় লোভী। এই ‘আমি’কে জয় করিতে হইবে। তবেই তোমার জীবন সুন্দর ও সার্থক হইয়া উঠিবে।

১০. জাতি শুধু বাইরের ঐশ্বর্যসম্ভার, দালান-কোঠার সংখ্যা বৃদ্ধি কিংবা সামরিক শক্তির অপরাজয়তায় বড় হয় না, বড় হয় অন্তরের শক্তিতে, নৈতিক চেতনায় আর জীবনপণ করে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর ক্ষমতায়। জীবনের মূল্যবোধ ছাড়া জাতীয় সত্তার ভিত কখনো শক্ত আর দৃঢ়মূল হতে পারে না। মূল্যবোধ জীবনাশ্রয়ী হয়ে জাতির সর্বাঙ্গে ছড়িয়ে পড়লেই কেবল জাতি অর্জন করে মহত্ত আর মহত্ কর্মের যোগ্যতা। সবরকম মূল্যবোধের বৃহত্তম বাহন হচ্ছে ভাষা তথা মাতৃভাষা আর তা ছড়িয়ে দেয়ার দায়িত্ব লেখক আর সাহিত্যিকদের।

১১. শ্রমকে শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ কর। কালি-ধুলার মাঝে, রৌদ্র-বৃষ্টিতে কাজের ডাকে নেমে যাও।বাবু হয়ে ছায়ায়, পাখার তলায় থাকার কোনো দরকার নেই। এ হচ্ছে মৃত্যুর আয়োজন। কাজের ভেতর কুবুদ্ধি, কুমতলব মানবচিত্তে বাসা বাঁধতে পারে না। কাজে শরীরে সামর্থ্য জন্মে, স্বাস্থ্য, শক্তি, আনন্দ, স্ফূর্তি সবই লাভ হয়। পরিশ্রমের পর যে অবকাশ লাভ হয় তা পরম আনন্দের অবকাশ। তখন কৃত্রিম আয়োজন করে আনন্দ করার কোনো প্রয়োজন হয় না। শুধু চিন্তা দ্বারা জগতের হিতসাধন হয় না। মানব সমাজে মানুষের সঙ্গে কাজে, রাস্তায়, কারখানায়, ব্যবহারে মানুষ নিজেকে পূর্ণ করে।

১২ . অতীতকে ভুলে যাও। অতীতের দুশ্চিন্তার ভার অতীতকেই নিতে হবে। অতীতের কথা ভেবে ভেবে অনেক বোকাই মরেছে। আগামী দিনের বোঝা অতীতের বোঝার সঙ্গে মিলে আজকের বোঝা সবচেয়ে বড় হয়ে দাঁড়ায়। ভবিষ্যেকও অতীতের মতো দৃঢ়ভাবে দূরে সরিয়ে দাও। আজই তো ভবিষ্যৎ। ভবিষ্যৎ কাল বলে কিছু নেই। মানুষের মুক্তির দিন তো আজই। আজই ভবিষ্যতের কথা যে ভাবতে বসে সে ভোগে শক্তিহীনতায়, মানসিক দুশ্চিন্তায় ও স্নায়ুবিক দুর্বলতায়। তাই অতীতের ও ভবিষ্যতের দরজায় আগল লাগাও আর শুরু করো দৈনিক জীবন নিয়ে বাঁচতে।



Recent Post

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯

১. ‘ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ ’ কবিতায় সালামের হাতে কেন অবিনাশী বর্ণমালা ঝরে ? ক. সংগ্রামী চেতনার কারণে     খ. দুঃখিনী মাতার অশ্রুজল দেখে গ. বরকত...

Most Popular Post