Ad-1

Saturday, October 17, 2020

প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার বাংলা প্রস্তুতি (পাঠ্যবই সংশ্লিষ্ঠ)

এই দেশ এই মানুষ

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১ ও ২ নম্বর ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো :
দেশ মানে এর মানুষ, নদী, আকাশ, প্রান্তর, পাহাড়, সমুদ্র এই সব। দেশ হলো জননীর মতো। মা যেমন আমাদের স্নেহ-মমতা ও ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখেন, দেশও তেমনি তার সম্পদ দিয়ে আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে। এ দেশকে তাই আমাদের ভালোবাসতে হবে। দেশকে ভালোবাসার মধ্য দিয়েই সার্থক হয়ে উঠবে আমাদের জীবন।

১.নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখো :                                                 ১x৫ = ৫
প্রকৃতি, সৌভাগ্য, বৈচিত্র্য, বেলাভূমি, প্রান্তর, সার্থক, স্বজন

২. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :                                                  ১+২+২ = ৫

ক) ‘দেশ’ মানে কী?
খ) দেশকে কেন ভালোবাসতে হবে?
ঘ) ‘ধর্ম যার যার, উৎসব যেন সবার’—এ কথার দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
ঙ) আমাদের জীবন কিভাবে সার্থক হয়ে উঠবে?।

গ) ‘দেশ হলো জননীর মতো’—দেশকে জননীর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে কেন?

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১ ও ২ নম্বর ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো :
আমাদের আছে নানা ধরনের উৎসব । মুসলমানদের রয়েছে দুটি ঈদ, ঈদ-উল-ফিতর ও ঈদ-উল-আযহা। হিন্দুদের দুর্গা পূজাসহ আছে নানা উৎসব আর পার্বণ। বৌদ্ধদের আছে বুদ্ধপূর্ণিমা। খ্রিষ্টানদের আছে ইস্টার সানডে আর বড়দিন। এ ছাড়াও রয়েছে নানা উৎসব। পহেলা বৈশাখ নববর্ষের উৎসব। রয়েছে রাখাইনদের সাংগ্রাই ও চাকমাদের বিজু উৎসব। ধর্ম যার যার, উৎসব যেন সবার।পোশাক-পরিচ্ছদও ভিন্ন ভিন্ন ধরনের, ভিন্ন ভিন্ন ধাঁচের। মিল আমাদের একটা জায়গায় – সকলেই আমরা বাংলাদেশের অধিবাসী । বাংলাদেশের প্রকৃতি ও জনজীবন তাই ভারি বৈচিত্র্যময়। এই দেশকে তাই ঘুরে ঘুরে দেখা দরকার। কোথায় পাহাড়, কোথায় নদী, কোথায়-বা এর সমুদ্রের বেলাভূমি। এজন্য দেশের নানা প্রান্ত যেমন ঘুরে দেখা দরকার, তেমনি দরকার আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের বাড়ি বেড়াতে যাওয়া, পরস্পর মেলামেশা করা। কাছাকাছি আসা, মানুষকে ভালোবাসা ।
১. নিচের যেকোন পাচটি শব্দের অর্থ লেখো: ১x৫ = ৫
উৎসব, পার্বণ, অধিবাসী, বেলাভূমি, প্রান্ত, ধাচ, বিজু।
২. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো: ২+৪+৪
ক. বাংলাদেশের দুটি ধর্মীয় উৎসবের নাম লেখো। ২
খ. পরস্পরের সাথে মিলেমিশে থাকার চারটি সুফল লেখা
গ. পরিবার-পরিজনদের সাথে তোমার সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত বলে তুমি মনে করো? চারটি বাক্যে লেখো।

প্রদত্ত অনুচ্ছেটি পড়ে ১ ও ২ নম্বর ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো।

‘সার্থক জনম মাগো জন্মেছি এ দেশে। ’—কবির এ কথার অর্থ আমাদের সৌভাগ্য ও সার্থকতা যে আমরা এ দেশে জন্মেছি। বাংলাদেশের প্রায় সব লোক বাংলায় কথা বলে। আমরা বাঙালি। তবে আমাদের দেশে যেমন রয়েছে প্রকৃতির বৈচিত্র্য, তেমনি রয়েছে মানুষ ও ভাষার বৈচিত্র্য। বাংলাদেশের পার্বত্য জেলাগুলোতে রয়েছে বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার লোকজন। এদের কেউ চাকমা, কেউ মারমা, কেউ মুরং, কেউ তঞ্চঙ্গা ইত্যাদি। এ ছাড়া রাজশাহী ও জামালপুরে রয়েছে সাঁওতাল ও রাজবংশীদের বসবাস। তাদের রয়েছে নিজ নিজ ভাষা। একই দেশ, একই মানুষ অথচ কত বৈচিত্র্য। এটাই বাংলাদেশের গৌরব।

১। প্রদত্ত শব্দগুলোর অর্থ লেখো :      
 সৌভাগ্য, প্রকৃতি, বৈচিত্র্য, সার্থক, গৌরব।
২। নিচের প্রশ্নগুলোর সংক্ষেপে উত্তর লেখো :
    (ক) কাদের রয়েছে নিজ নিজ ভাষা?
    (খ) বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিসত্তা সম্পর্কে ৪টি বাক্য লেখ।
    (গ) বাংলাদেশের গৌরব কিসে সে সম্পর্কে ৪টি বাক্য লেখ।

প্রদত্ত অনুচ্ছেটি পড়ে ১ ও ২ন নম্বর ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো।

বাংলাদেশের এই যে মানুষ, তাদের পেশাও কত বিচিত্র। কেউ জেলে, কেউ কুমার, কেউ কৃষক, কেউ আবার কাজ করে অফিস-আদালতে। সবাই আমরা পরস্পরের বন্ধু। একজন তার কাজ দিয়ে আরেকজনকে সাহায্য করছে। গড়ে তুলছে এই দেশ।ভাবো তো কৃষকের কথা। তারা কাজ না করলে আমাদের খাদ্য জোগাত কে? সবাইকে তাই আমাদের শ্রদ্ধা করতে হবে, ভালোবাসতে হবে। সবাই আমাদের আপনজন।আমাদের আছে নানা ধরনের উৎসব। মুসলমানদের রয়েছে দুটি ঈদ, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা। হিন্দুদের দুর্গা পূজাসহ আছে নানা উৎসব আর পার্বণ। বৌদ্ধদের আছে বৌদ্ধ পূর্ণিমা। খ্রিস্টানদের আছে ইস্টার সানডে আর বড় দিন। এ ছাড়াও রয়েছে নানা উৎসব। পহেলা বৈশাখ নববর্ষের উৎসব। রয়েছে রাখাইনদের সাংগ্রাই ও চাকমাদের বিজু উৎসব। ধর্ম যার যার, উৎসব যেন সবার।

১। প্রদত্ত শব্দগুলোর অর্থ লেখো :    
    পরস্পর, জেলে, শ্রদ্ধা, সাংগ্রাই, পার্বণ
২। নিচের প্রশ্নগুলোর সংক্ষেপে উত্তর লেখো : 
    (ক) বাংলাদেশের মানুষের কোনটিকে বিচিত্র বলা হয়েছে?
    (খ) বাংলাদেশের ধর্মীয় উৎসব সম্পর্কে ৪টি বাক্য লেখ।
    (গ) তোমার দেশের মানুষের পেশা সম্পর্কে ৪টি বাক্য লেখ।

প্রদত্ত অনুচ্ছেটি পড়ে ১ ও ২  নম্বর ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো।

পোশাক-পরিচ্ছদও ভিন্ন ভিন্ন ধরনের, ভিন্ন ভিন্ন ধাঁচের। মিল আমাদের একটা জায়গায়—সবাই আমরা বাংলাদেশের অধিবাসী।বাংলাদেশের জনজীবন তাই ভারী বৈচিত্র্যময়। এই দেশকে তাই ঘুরে ঘুরে দেখা দরকার। কোথায় পাহাড়, কোথায় নদী, কোথায় বা এর সমুদ্রের বেলাভূমি। এ জন্য দরকার দেশের নানা প্রান্তে আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া। পরস্পর মেলামেশা করা। কাছাকাছি আসা। মানুষকে ভালোবাসা।দেশ মানে এর মানুষ, নদী, আকাশ, প্রান্তর, পাহাড়, সমুদ্র—এসব। দেশ হলো জননীর মতো। স্নেহ, মমতা, ভালোবাসা দিয়ে আমাদের আগলে রাখেন। দেশও তেমনই তার আলো, বাতাস, সম্পদ দিয়ে আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে। এ দেশকে আমরা ভালোবাসব।

১। প্রদত্ত শব্দগুলোর অর্থ লেখো :    
    বেলাভূমি, স্বজন, জননী, ধাঁচ, প্রান্তর
২। নিচের প্রশ্নগুলোর সংক্ষেপে উত্তর লেখো :  
    (ক) বাংলাদেশের জনজীবন কেমন?
    (খ) তুমি তোমার দেশকে কেন ঘুরে ঘুরে দেখবে সে সম্পর্কে ৪টি বাক্য লেখ।
    (গ) দেশকে জননীর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে কেন ৪টি বাক্যে লেখ।

সংকল্প

নিচের কবিতাংশটি পড়ে ১ ও ২ নম্বর ক্রমিকের প্রশ্নগুলাের উত্তর লেখাে:
থাকব না কো বদ্ধ ঘরে
দেখব এবার জগৎটাকে,
কেমন করে ঘুরছে মানুষ।
যুগান্তরের ঘূর্ণিপাকে।
দেশ হতে দেশ দেশান্তরে
ছুটছে তারা কেমন করে,
কিসের নেশায় কেমন করে
মরছে যে বীর লাখে লাখে,
কিসের আশায় করছে তারা।
বরণ মরণ-যন্ত্রণাকে।।
১. নিচের যেকোনাে পাঁচটি শব্দের অর্থ লেখাে: ১x৫ = ৫
বদ্ধ, যুগান্তর, দেশান্তর, নেশা, বীর , বরণ, মরণ-যন্ত্রণা ।
২. নিচের প্রশ্নগুলাের উত্তর লেখাে:
ক, কবি বদ্ধ ঘরে না থেকে কী করতে চান? দুটি বাক্যে লেখাে।
খ. মানুষ কেন দেশ থেকে দেশান্তরে ছুটছে? চারটি বাক্যে লেখাে। 8
গ. কবি মঙ্গলের ইজিত শুনতে চান কেন? মানুষ কীসের জন্য মরণ-যন্ত্রণাকেও বরণ করে নিচ্ছে তা তিনটি বাক্যে লেখাে । 8

১১. কবিতার চরণগুলাে পড়ে প্রশ্নগুলাের উত্তর লেখাে:
শুনব আমি, ইঙ্গিত কোন
মঙ্গল হতে আসছে উড়ে
পাতাল ফেড়ে নামব নিচে
উঠব আবার আকাশ ছুঁড়ে;
বিশ্ব-জগৎ দেখব আমি
আপন হাতের মুঠোয় পুরো
ক. কবি কীভাবে নিচে নামতে ও ওপরে উঠতে চান? দুটি বাক্যে লেখাে। ২
খ. কবিতাংশটির মূলভাব লেখাে। ৫
গ. তুমি কীভাবে বিশ্বজগৎ দেখতে চাও? তিনটি বাক্যে লেখাে। ৩

সুন্দরবনের প্রাণী

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১ ও ২ নম্বর ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর

বিশ্বের কোনো কোনো প্রাণীর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে দেশের নাম বা জায়গার নাম। যেমন ক্যাঙ্গারু বললেই মনে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার কথা। সিংহ বললেই মনে ভেসে ওঠে আফ্রিকার কথা। তেমনি বাংলাদেশের নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার বা রাজকীয় বাঘের নাম। এই বাঘ থাকে সুন্দরবনে। এ বাঘ দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি আবার ভয়ংকর। এর চালচলনও রাজার মতো। সুন্দরবনের ভেজা স্যাঁতসেঁতে গোলপাতার বনে এ বাঘ ঘুরে বেড়ায়। শিকার করে জীবজন্তু, সুযোগ পেলে মানুষও খায়। একসময় সুন্দরবনে ছিল চিতাবাঘ ও ওলবাঘ। কিন্তু এখন আর এসব বাঘ দেখা যায় না। সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার বাংলাদেশের অমূল্য সম্পদ। এ বাঘকে বিলুপ্তির হাত থেকে আমাদের বাঁচাতে হবে।

১। নিচের যেকোনো পাঁচটি শব্দের অর্থ লেখো।।          ১–৫=৫
প্রাণী, রয়েল, ভয়ংকর, চালচলন, স্যাঁতসেঁতে, ভেজা, অমূল্য
২। নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো :
ক) অস্ট্রেলিয়া ও আফ্রিকার একটি করে প্রাণীর নাম লেখো?           ১+১=২
খ)কোন প্রাণীকে‘বাঘের মাসি’বলা হয়?তোমার পোষা একটি প্রাণী সম্পর্কে তিনটি বাক্য লেখো।১+৩=৪
গ) বনের প্রাণীকে কেন বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচাতে হবে, তা চারটি বাক্যে লেখো।           ৪
 

ফুটবল খেলোয়াড় 

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১ ও ২ নম্বর ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো :
‘ফুটবল খেলোয়াড়’ কবিতায় এক মজার বন্ধুর কথা বলা হয়েছে। জাত খেলোয়াড় ইমদাদ হক। খেলা এবং খেলায় জেতাই তার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। নিজের অবস্থা যেমনই হোক না কেন, খেলাপাগল সে খেলবেই। খেলতে গিয়ে ইমদাদ কত শত আঘাত পায়। সন্ধ্যাবেলায় তার ঘরে গেলে দেখা যায়, তার হাতে-পায়ে পটি বাঁধা। মেসের চাকর তার ক্ষত স্থানে সেঁক দিতে গিয়ে লবেজান হয়। তবু সেসব কষ্টকে পরোয়া না করে সে খেলে এবং তার জন্যই খেলায় জিত আসে। সব দর্শক তার বাঁ পায়ে ড্রিবলিং করে ডান পায়ে বল ঠেলা মারার কৌশলটি উপভোগ করে। খেলার সময় তার ভাঙা হাত-পায়ে যেন বজ্র খেলা করতে থাকে। সব দর্শক খেলার মাঠে গিয়ে তার জন্যই আনন্দ পায়। এ কবিতায় খেলাচ্ছলে একটি আদর্শকে তুলে ধরা হয়েছে। তা হলো নিজের যতটুকু যোগ্যতা তার সবটুকু দিয়ে মানুষ যদি একান্তভাবে কিছু করে, তবে অন্য সবার জন্যও সে বড় কিছু করতে পারে।

১.নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখো :                              ১x৫ = ৫
লবেজান, পটি, মালিশ, ড্রিবলিং, বজ্র।
২. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :                               ১+২+২ = ৫
(ক) ইমদাদ হক কেমন খেলোয়াড়?
(খ) ইমদাদ হকের ফুটবল নিয়ে দুটি বাক্য লেখো।
(গ) ‘ফুটবল খেলোয়াড়’ কবিতায় খেলাচ্ছলে যে আদর্শকে তুলে ধরা হয়েছে, সে সম্পর্কে লেখো।

১১) কবিতার চরণগুলাে পড়ে প্রশ্নগুলাের উত্তর লেখাে।
আমাদের মেসে ইমদাদ হক ফুটবল খেলােয়াড়,
হাতে পায়ে মুখে শত আঘাতের ক্ষতে খ্যাতি লেখা তার ।
সন্ধ্যাবেলায় দেখিবে তাহারে পটি বাধি পায়ে হাতে,
মালিশ মাখিছে প্রতি গিটে গিটে কাৎ হয়ে বিছানাতে ।
মেসের চাকর হয় লবেজান সেঁক দিতে ভাঙা হাড়ে,
সারা রাত শুধু ছটফট করে কেঁদে কেঁদে ডাক ছাড়ে।
আমরা তাে ভাবি ছ মাসের তরে পঙ্গু সে হলাে হায়,
ফুটবল টিমে বল লয়ে কভু দেখিতে পাব না তায়।
ক. ইমদাদ হক কে? সে কোথায় থাকে?
খ. কবিতাংশটির মূলভাব পাঁচটি বাক্যে লেখাে।
গ. উদ্দীপকে খেলােয়াড়ের হাড় ভাঙলে কেমন অবস্থার সৃষ্টি হয়? তিনটি বাক্যে লেখাে।

বীরের রক্তে স্বাধীন এ দেশ

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১ ও ২ নম্বর ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো :

সময়টা ১৯৭১ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর । যশোরের পাকিস্তানি ছুটিপুর ক্যাম্প। একটু দূরে গোয়ালহাটি গ্রামে টহল দিচ্ছিলেন পাঁচ মুক্তিযোদ্ধা। এঁদেরই নেতৃত্বে ছিলেন ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ। পাকিস্তানি সেনারা টের পেয়ে যায় মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান। রাজাকারদের সহায়তায় তিন দিক থেকে পাকিস্তানি সেনারা তাঁদের ঘিরে ফেলে। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধারা দমবার পাত্র নন। এই দলেই ছিলেন অসীম সাহসী মুক্তিযোদ্ধা নান্নু মিয়া। কিন্তু প্রতিপক্ষের একটা গুলি হঠাত্ এসে লাগে তাঁর গায়ে। নূর মোহাম্মদ তাঁকে এক হাত দিয়ে কাঁধে তুলে নিলেন আর অন্য হাত দিয়ে গুলি চালাতে থাকলেন। কৌশল হিসেবে বারবার নিজের অবস্থান পরিবর্তন করতে থাকলেন তিনি। উদ্দেশ্য— একজন ননঅনেক মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধ করছেন শত্রুদের এরকম একটা ধারণা দেওয়া। সংখ্যায় কম বলে সহযোদ্ধাদের নির্দেশ দিলেন পিছিয়ে গিয়ে অবস্থান নিতে।

 প্রদত্ত শব্দগুলোর অর্থ লেখ :               ১*৫ = ৫ 
মুক্তিযোদ্ধাশহিদকৌশলসাহসীউদ্দেশ্য
৩। নিচের প্রশ্নগুরোর সংক্ষেপে উত্তর দাও :২+৪+৪
ক) মুক্তিযোদ্ধারা কোথায় টহল দিচ্ছিলেন ?
খ) মুন্সী আব্দুর রউফ কীভাবে শহিদ হলেন ?
গ) মুক্তিযোদ্ধাদের মৃত্যু অবধারিত ছিল কেন ?  

 নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১ ও ২ নম্বর ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো :

দিনটি ছিল একাত্তরের ৮ এপ্রিল।ঐদিন মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি নৌসেনাদের ওপর আক্রমণ করবে।এ জন্য তারা মহালছড়ির কাছে বুড়িঘাট এলাকার চিংড়ি খালের দুই পাশে অবস্থান গ্রহণ করেন।পাকিস্তানি সৈন্যরা মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণ করতে এগিয়ে আসে।সঙ্গে নিয়ে আসে সাতটি স্পিডবোট আর দুটি মোটর লঞ্চ।স্বল্পসংখ্যক মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু ছিল অবধারিত।তবু মুক্তিযোদ্ধারা পালিয়ে যাননি।আবদুর রউফ নিজেই দায়িত্ব নিলেন নিজের জীবন দিয়ে সবাইকে রক্ষা করার।হালকা একটা মেশিনগান হাতে তুলে নিয়ে গুলি ছুড়ে শত্রুদের রুখে দিতে থাকলেন।সহযোদ্ধাদের বললেন নিরাপদে সরে যেতে।মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে পাকিস্তানি সাতটি স্পিডবোটই ডুবে গেল।বাকি লঞ্চ দুটো থেকে গুলি ছুড়তে ছুড়তে তারা পিছু হটতে থাকল।এ রকম একটা মুহূর্তেই হঠাৎ একটা গোলা এসে পড়ল তার ওপর,তিনি শহীদ হলেন। বীরের রক্তস্রোতে রঞ্জিত হল মাটি।রাঙ্গামাটি জেলার বোর্ড বাজারের কাছে নানিয়ারচরের চিংড়িখালের কাছাকাছি একটা টিলার ওপর সমাহিত হন বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফ।পরবর্তী সময়ে সমাধিকে স্মৃতিস্তম্ভে রূপান্তরিত করে সরকার।


 প্রদত্ত শব্দগুলোর অর্থ লেখ :               ১*৫ = ৫ 
মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, কৌশল, সাহসী, উদ্দেশ্য
৩। নিচের প্রশ্নগুরোর সংক্ষেপে উত্তর দাও :২+৪+৪

ক) মুক্তিযোদ্ধাদের মৃত্যু অবধারিত ছিল কেন?

খ) মুন্সী আবদুর রউফের যুদ্ধের বর্ণনা দাও।

গ) মুন্সী আবদুর রউফ কীভাবে শহীদ হন।

 

ফেব্রুয়ারির গান

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১ ও ২ নং ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ:--[বোর্ড প্রশ্ন-২০১৮]
একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা শহীদদের স্মরণ তরে আমরা ফুল দিতে য্ই শহীদ মিনারে।তখন আমাদের মনে আর মুখে বেজে ওঠে একটি গান 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি।'এ গানে সুর দেন আলতাফ মাহমুদ। প্রতিভাবান এ সুরসাধকের প্রাণ কেড়ে নেয় পাকিস্তানী বাহিনী।মুক্তিযুদ্ধের একেবারে শেষের দিকে তারা বুঝতে পারে যে তাদের পরাজয় অবধারিত। তখন তারা এদেশকে আরো গভীরভাবে ধ্বংস করার উদ্যোগ নেয়।রাজাকার, আলবদর,আলশামস বাহিনীর সহায়তায় নতুন করে হত্যাযজ্ঞ শুরু করে।১৯৭১ সালের ১৪ই ডিসেম্বর বিভিন্ন আবাসস্থল থেকে ধরে নিয়ে যায় দেশের শক্তিমান,যশস্বী ও প্রতিভাবানদের।এরা কেউ আর জীবিত ফিরে আসেন নি।দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে এ সকল বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায় মিরপুর ও রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে।আবার অনেকের কোন সন্ধানও পাওয়া যায় নি।তাদের স্মরণে প্রতি বছর ১৪ ডিসেম্বর অামরা পালন করি শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস।এ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান ছিলেন তাঁরা।তাঁদের প্রাণ দান আমরা কখনো ব্যর্থ হতে দেব না।আমরা তাঁদের স্মরণ করব চিরদিন। দেশ ও মাতৃভাষার জন্য ত্যাগের মহান অাদর্শ তাঁরা স্থাপন করে গেছেন।আমরা সে আদর্শ অনুসরণ করে নিজেদের যোগ্য মানুষরুপে গড়ে তুলব। তবেই তাঁদের ঋণ শোধ করা সম্ভব হবে।

১. নিচের যে কোন পাঁচটি শব্দের অর্থ লেখ:
যশস্বী, মুক্তিযোদ্ধা, স্মরণ, পরাজয়, অবধারিত, মহান, ক্ষত।
২. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ;
ক) 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি'- গানের সুরকারের নাম লেখ।কারা এই সুরসাধকের প্রাণ কেড়ে নেয়?
খ) পাকিস্তানি বাহিনী কেনো বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল?চারটি বাক্যে লেখো।
গ) একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপনে তুমি যা করবে তা চারটি বাক্যে লেখ।


নিচের কবিতাংশটি পড়ে ১ ও ২ নম্বর ক্রমিকের প্রশ্নগুলাের উত্তর লেখাে:
গাছের গানে মুগ্ধ পাতা
মুগ্ধ স্বর্ণলতা
ছন্দ-সুরে ফুলের সাথে
প্রজাপতির কথা।
ফুল পাখি নই, নইকো পাহাড়
ঝরণা সাগর নই
মায়ের মুখের মধুর ভাষায়
মনের কথা কই।
বাংলা আমার মায়ের ভাষা।
শহিদ ছেলের দান।
আমার ভাইয়ের রক্তে লেখা
ফেব্রুয়ারির গান ।
১. নিচের যেকোনাে পাঁচটি শব্দের অর্থ লেখাে: ১x৫ = ৫
মুগ্ধ, স্বর্ণলতা, ফুল, ঝরনা, সাগর, মন, শহিদ।
২. নিচের প্রশ্নগুলাের উত্তর লেখাে: ২+৪+৪
ক. ফেব্রুয়ারির গান কার রক্তে লেখা? দুই বাক্যে লেখাে?
খ. বাংলা ভাষা কাদের দান? চারটি বাক্যে লেখাে।
গ. বাংলাকে মায়ের ভাষা বলা হয়েছে কেন? চারটি বাক্যে লেখাে।
 
কবিতার চরণগুলাে পড়ে প্রশ্নগুলাের উত্তর লেখাে:
দোয়েল কোয়েল ময়না কোকিল
সবার আছে গান
পাখির গানে পাখির সুরে
মুগ্ধ সবার প্রাণ।
সাগর নদীর উর্মিমালার
মন ভােলানাে সুর
নদী হচ্ছে স্রোতস্বিনী
সাগর সমুদ্র।
ক. দুটি গানের পাখির নাম লেখাে। ২
খ. কবিতাংশটুকুর মূলভাব পাঁচটি বাক্যে লেখাে। ৫
গ. তােমার নিজের ভাষা চর্চায় তুমি কী করবে তা তিনটি বাক্যে লেখাে। ৩

শখের মৃৎশিল্প

প্রদত্ত অনুচ্ছেদটি পড়ে ১ ও ২ নাম্বার ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ :
মাটির তৈরি শিল্পকে আমরা বলি মাটির শিল্প বা মৃৎশিল্প। এ শিল্পের প্রধান উপকরণ হলো মাটি। তবে সব
মাটি দিয়ে এ কাজ হয় না। দরকার পরিষ্কার এঁটেল মাটি। এ ধরনের মাটি বেশ আঠালো। দোঅাঁশ মাটি তেমন আঠালো নয়। আর বেলে মাটি তো ঝরঝরে তাই এগুলো দিয়ে মাটিশিল্প হয় না। এঁটেল মাটি হলেই যে তা দিয়ে শিল্পের কাজ করা যাবে তা-ও নয়। এর জন্য অনেক যত্ন আর শ্রম দরকার। দরকার হাতের নৈপুণ্য ও কারিগরি জ্ঞান। কুমারদের কাছে এসব খুব সহজ। কারণ তারা বংশপরম্পরায় এ কাজ করে আসছেন। আবার এ কাজের জন্য প্রয়োজন কিছু ছোটখাটো যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম। সবকিছুর আগে যেটা প্রয়োজন তা হলো একটা কাঠের চাকা। এ চাকায় নরম মাটির তাল লাগিয়ে লাগিয়ে নানা আকারের মাটির পাত্র ও নানা জিনিস তৈরি করেন কুমাররা।

১। প্রদত্ত শব্দগুলোর অর্থ লেখ :
মৃৎশিল্প, শখ, কুমার, নকশা, টেরাকোটা।
২। নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ :
(ক) মৃৎশিল্প কী?
(খ) এ শিল্পকে কেন মাটির শিল্প বলা হয়?
(গ) কিভাবে টেপা পুতুল তৈরি করা হয়?


স্মরণীয় যারা চিরদিন

১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ পাকিস্তানি সেনারা গভীর রাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঢাকার নিরস্ত্র, ঘুমন্ত মানুষের ওপর। আক্রমণ চালায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে, ব্যারাকে আর নানা আবাসিক এলাকায়। নির্বিচারে হত্যা করে ঘুমন্ত মানুষকে। সেই হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যেতে থাকে পরবর্তী নয় মাস ধরে। পাশাপাশি তারা বিশেষ রকমের হত্যাকাণ্ড চালানর পরিকল্পনাও করে। সেই পরিকল্পনা অনুসারে একে একে হত্যা করে এদেশের মেধাবী, আলোকিত ও বরেণ্য মানুষদের। হত্যা পরিকল্পনা কার্যকর করার জন্য পাকিস্তানিরা গড়ে তুলে রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনী। পাষণ্ড কিছু লোকজন যোগ দেয় ওই সব বাহিনীতে। তারা ওই হত্যা পরিকল্পনায় সহযোগিতা করে। পঁচিশে মার্চের মধ্যরাতে শহিদ হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনস্বী শিক্ষক এম. মুনিরুজ্জামান, অধ্যাপক জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, ড. গোবিন্দচন্দ্র দেব । পাকিস্তানি সেনারা সেই রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসগুলোতেই শুধু আক্রমণ চালায়নি, হানা দেয় তারা শিক্ষকদের বাড়িতে বাড়িতেও। বিজ্ঞানের শিক্ষক ছিলেন এম. মুনিরুজ্জামান। প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ শুনে তিনি পবিত্র কুরআন পড়া শুরু করেন। এই কুরআন পাঠরত মানুষটিকেই টেনে হিচড়ে নিচে নামায় পাকিস্তানি সেনারা। একই বাড়ির নিচতলায় থাকতেন অধ্যাপক জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা। ইংরেজি সাহিত্যের খ্যাতিমান শিক্ষক। তাকেও শত্রুসেনারা টেনে হেঁচড়ে বের করে আনে। তারপর এই দুই শিক্ষককেই গুলি করে হত্যা করে। হত্যা করে দর্শনশাস্ত্রের যশস্বী শিক্ষক গোবিন্দচন্দ্র দেবসহ আরও কয়েকজন শিক্ষককে।

১) নিচের যেকোন পাঁচটি শব্দের অর্থ লেখো:

নির্বিচারে, বরেণ্য, মনস্বী, খ্যাতিমান, শহিদ, পাষণ্ড, যশস্বী

২. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখোঃ-

ক. এম.মুনিরুজ্জামান কে ছিলেন? পাকিস্তানি সেনারা তাকে কিভাবে বের করে আনে?

খ) পাকিস্তানিরা এদেশের মেধাবী মানুষদের হত্যা করার পরিকল্পনা করে কেন?চারটি বাক্যে লেখো।

গ) দেশের জন্য যাঁরা আত্মত্যাগ করেছেন তাঁদের স্মরণে তুমি কী করবে?চারটি বাক্যে লেখো।

শব্দ দূষণ

নিচের কবিতাংশটি পড়ে ১ ও ২ নম্বর ক্রমিকের প্রশ্নগুলাের উত্তর লেখাে ।
গরু ডাকে হাঁস ডাকে-ডাকে কবুতর
গাছে ডাকে শত পাখি সারা দিনভর ।
মােরগের ডাক শুনি প্রতিদিন ভােরে
নিশিরাতে কুকুরের দল ডাকে জোরে।
দোয়েল চড়ুই মিলে কিচির মিচির
গান শুনি ঘুঘু আর টুনটুনির।
১. নিচের যেকোনাে পাঁচটি শব্দের অর্থ লেখাে: ১x৫ = ৫
ডাক, সারা, ভাের, নিশিরাত, দল, দিনভর,প্রতিদিন।
২. নিচের প্রশ্নগুলাের উত্তর লেখাে:
ক. গ্রামের ভােরগুলাে কীভাবে আসে? দুই বাক্যে লেখাে ২
খ. গ্রামীণ জীবন সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখাে। ৪
গ. গ্রাম্য পরিবেশে দেখা যায় এমন চারটি প্রাণীর নাম ও তাদের বৈশিষ্ট্য চার বাক্যে লেখাে। ৪
 
১১. কবিতার চরণগুলাে পড়ে প্রশ্নগুলাের উত্তর লেখাে:
গরু ডাকে হাঁস ডাকে— ডাকে কবুতর
গাছে ডাকে শত পাখি সারা দিনভর।
মােরগের ডাক শুনি প্রতিদিন ভােরে
নিশিরাতে কুকুরের দল ডাকে জোরে।
দোয়েল চড়ুই মিলে কিচির মিচির
গান শুনি ঘুঘু আর টুনটুনিটির।
ক. ভােরবেলায় ডাক শুনে গ্রামের মানুষের ঘুম ভাঙে এমন দুটি পশুপাখির নাম লেখাে। ২
খ. কবিতাংশটির মূলভাব পাঁচটি বাক্যে লেখাে।৫
গ. সকালবেলায় তােমার করতে ভালাে লাগে এমন তিনটি কাজের নাম লেখাে। ৩

ঘাসফুল

প্রদত্ত কবিতাংশটি পড়ে ১ ও ২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লিখ:
আমরা ঘাসের ছোট ছোট ফুল
হাওয়াতে দোলাই মাথা,
তুলো না মোদের দোলো না পায়ে
ছিঁড়ো না নরম পাতা।
শুধু দেখো আর খুশি হও মনে
সূর্যের সাথে হাসির কিরণে
কেমন আমরা হেসে উঠি আর
দুলে দুলে নাড়ি মাথা।

১। নিচের শব্দগুলোর শব্দার্থ লিখ: ১*৫=৫
হাওয়া, দোলাই মাথা, ছিঁড়ো, খুশি, কিরণ
২। নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লিখ:
(ক) দুলে দুলে কারা মাথা নাড়ে? ২
(খ) ঘাসফুল কিভাবে নিজেকে তুলনা করেছে? ৪
(গ) ঘাসফুল আমাদের কাছে কী মিনতি করেছে? ৪

১১. কবিতার চরণগুলাে পড়ে প্রশ্নগুলাের উত্তর লেখাে।
আমরা ঘাসের ছােট ছােট ফুল
হাওয়াতে দোলাই মাথা
তুলাে না মােদের দলে না পায়ে
ছিড় না নরম পাতা ।
শুধু দেখ আর খুশি হও মনে
সূর্যের সাথে হাসির কিরণে
কেমন আমরা হেসে উঠি আর
দুলে দুলে নাড়ি মাথা ।
ক. ঘাসফুল আমাদের উদ্দেশে কী বলছে? দুই বাক্যে লেখাে। ২
খ. কবিতাংশটির মূলভাব পাঁচটি বাক্যে লেখাে। ৫
গ. বিদ্যালয়ের ফুলের বাগান এবং বৃক্ষ সংরক্ষণে তােমার তিনটি করণীয় লেখাে। ৩

মাটির নিচে যে শহর

 

প্রদত্ত অনুচ্ছেদটি পড়ে ১ ও ২ নাম্বার ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ;

উয়ারী এবং বটেশ্বর পাশাপাশি দুটি গ্রাম।এই দুই গ্রামে প্রায়ই বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান পাওয়া যেত। ১৯৩৩ সালে ওয়ারি গ্রামের শ্রমিকরা মাটি খনন করার সময় একটা পাত্রে জমানো কিছু মুদ্রা পায়। স্থানীয় স্কুল শিক্ষক মোহাম্মদ হানিফ পাঠান সেখান থেকে ২০-৩০ টি মুদ্রা সংগ্রহ করেন। এগুলো ছিল বঙ্গদেশের এবং ভারতের প্রাচীনতম রৌপ্য মুদ্রা। সেটাই ছিল উয়ারী-বটেশ্বরের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সংগ্রহের প্রথম চেষ্টা। তিনি তার ছেলে হাবিবুল্লাহ পাঠানকে এ সম্পর্কে সচেতন করে তোলেনন। হাজার ১৯৫৫ সালে বটেশ্বর গ্রামের শ্রমিকরা দুটি লৌহ পিণ্ড ফেলে যান। ত্রিকোণাকার ও একমুখ চোখা ভারি লোহার পিণ্ডগুলো হাবিবুল্লাহ পাঠান বাবাকে নিয়ে দেখান। তিনি অভিভূত হন।১৯৫৬ সালে ওয়ারী গ্রামে মাটি খননকালে ছাপাঙ্কিত রৌপ্য মুদ্রার একটি ভান্ডার পান। তাতে চার হাজারের মতো মুদ্রা ছিল।


১. নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখ;
অভিভূত, নিদর্শন, সংগ্রহ, প্রাচীনতম, খনন।
২. নিচের প্রশ্নগুলির সংক্ষেপে উত্তর লেখ;
ক) উয়ারী বটেশ্বর এর মধ্যে কোন গ্রাম থেকে প্রথম প্রত্নতত্ত্বের নিদর্শন পাওয়া যায়?
খ) প্রত্নতাত্ত্বিক বলতে কি বুঝায়? চারটি বাক্যে লেখ।
গ) উয়ারী বটেশ্বর কে প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান বলা হয় কেন? চারটি বাক্যে লেখ

শিক্ষাগুরুর মর্যাদা

কবিতাংশটি পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো 

পুত্র আমার জল ঢালি শুধু ভিজাইছে ও চরণ।
নিজ হাতখানি আপনার পায়ে বুলাইয়া সযতনে
ধুয়ে দিল না’ক কেন সে চরণ, স্মরি ব্যথা পাই মনে।”
 উচ্ছ্বাস ভরে শিক্ষকে আজি দাঁড়ায়ে সগৌরবে
কুর্ণিশ করি বাদশাহে তবে কহেন উচ্চরবে-
”আজ হতে চির-উন্নত হল শিক্ষাগুরুর শির,
সত্যই তুমি মহান উদার বাদশাহ্ আলমগীর।

(খ) কবিতাংশটুকু কোন কবিতার অংশ ও লেখক কে?  ২
(গ) শিক্ষককে কিভাবে সম্মান করা উচিৎ বলে তুমি মনে করো?   ৩
(ঘ) কবিতাংশের মূলভাব লেখো।    ৫

ভাবুক ছেলেটি 

প্রদত্ত অনুচ্ছেদটি পড়ে ১ ও ২ নাম্বার ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ;

জগদীশচন্দ্র এক বছর ডাক্তারি পড়ার পর ১৮৮১ সালে ইংল্যান্ডের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। এখান থেকে উচ্চ শিক্ষা লাভ করেন তিনি।১৮৮৫ সালে দেশে ফিরে এসে কলকাতায় প্রেসিডেন্সি কলেজে পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক পদে যোগ দেন। তখন দেশ ছিল পরাধীন। এ সময় একই পদে একজন ইংরেজ অধ্যাপক যে বেতন পেতেন ভারতীয়রা পেতেন তার তিন ভাগের দুই ভাগ। জগদীশচন্দ্র অস্থায়ীভাবে চাকরি করেছিলেন বলে তার বেতন আরো এক ভাগ কেটে নেওয়া হয়। তিনি দীর্ঘ তিন বছর বেতন না নিয়ে কর্তব্য পালন করেন। শেষ পর্যন্ত ইংরেজ সরকার তাঁকে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়। সকল বকেয়া পরিশোধ করে চাকরিতে স্থায়ী করে তাঁকে। তখন থেকেই তিনি বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু হয়ে ওঠেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিএসসি ডিগ্রী প্রদান করেন।
১. নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখ;
অধ্যাপক, অস্থায়ী, স্বীকৃতি, বকেয়া, পরিশোধ।
২. নিচের প্রশ্নগুলোর সংক্ষেপে উত্তর লেখ;
ক) প্রথমদিকে জগদীশচন্দ্র বসু মোট বেতনের কত ভাগ পেতেন?
খ) জগদীশচন্দ্র তিন বছর বেতন ছাড়া দায়িত্ব পালন করেন কেন? দুটি বাক্যে লেখ।
গ) চন্দ্র বসু কিভাবে বিজ্ঞানী হয়ে ওঠেন? দুটি বাক্যে লেখ।

দুই তীরে 

প্রদত্ত অনুচ্ছেদটি পড়ে ১ ও ২ নাম্বার ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ;

তরুছায়া বেষ্টিত সবুজ গ্রাম। গ্রামের পাশেই বন। বনে নানা রকমের গাছপালা। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে একটি নদী। নদীর দু'পাশে রাস্তার ধারে বাঁশ বন। গ্রামের মানুষগুলো নদী থেকে পানি নিয়ে আসে। নদীতে চলে বিভিন্ন ধরনের নৌযান। এই নদীতে খরা মৌসুমে জেগে উঠে চর। সকাল সন্ধ্যা চরে এসে ভিড় জমায় না না পশু পাখি। নদী,বন,গাছপালা সবকিছু মিলিয়ে গ্রামটি খুব সুন্দর।
১. নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখ;
তট,জেলে,মৌসুম,চর,নৌযান।
২. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ;
ক) বাংলাদেশের নদীর তীর গুলো কেমন? দুটি বাক্যে বর্ণনা দাও।
খ) নদী দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করে এই রকম দুজন পেশাজীবীর নাম লেখ।নদীর চারটি উপকারী দিক উল্লেখ করো।
গ) আমাদের বনগুলো কিসে ভরা? চারটি বাক্যে বন সম্পর্কে লেখো। 

১১. কবিতার চরণগুলাে পড়ে প্রশ্নগুলাের উত্তর দাও:
যেথায় ফুটে কাশ
তটের চারিপাশ,
শীতের দিনে বিদেশি সব
হাঁসের বসবাস।
কচ্ছপেরা ধীরে।
রৌদ্র পােহায় তীরে,
দু-একখানে জেলের ডিঙি
সন্ধেবেলায় ভিড়ে।
ক. তটের চারপাশে কী আছে? দুটি বাক্যে লেখাে। ২
খ. কবিতাংশটুকুর মূলভাব পাঁচটি বাক্যে লেখাে।
গ. তােমার দেখা নদী তীরের প্রাকৃতিক দৃশ্য সম্পর্কে তিনটি বাক্য লেখাে।

বিদায় হজ্জ 

প্রদত্ত অনুচ্ছেদটি পড়ে ১ ও ২ নাম্বার ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ;
দশম হিজরীতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স) অন্তরের গভীরে কাবার আহ্বান অনুভব করে সাহাবীদের সঙ্গে নিয়ে হজ পালন করেন। আরাফাতের ময়দানে বিপুল সংখ্যক মানুষ দেখে মহানবীর(স) মন আনন্দে ভরে গেল। জাবালে রহমত নামক পাহাড়ে দাঁড়িয়ে তিনি সমবেত মানুষের উদ্দেশে ভাষণ দিলেনন।এই ভাষণে তিনি ইসলামের বিধান অনুযায়ী জীবন-যাপনের নানা দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন।এই ভাষণে তিনি ধর্ম পালন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ দিয়েছেন।ক্রীতদাস-দাসীর প্রতি আমাদের আচরণ কেমন হবে সেই কথাও তিনি তার ভাষণে উল্লেখ করেছেন। হজ উপলক্ষ্যে আরাফাত ময়দানে নবীজির (স) এর এটিই শেষ ভাষণ। তাই এটি বিদায় হজের ভাষণ নামে খ্যাত। মানব জাতি চিরদিন তাঁর এই ভাষণ গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।
ডিসেম্বরের মধ্যে কারো কোন ক্ষতি না হয়
১.নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখ;
প্রশংসা, ভাষণ, উপদেশ, আহ্বান, সমবেত।
২. নিচের প্রশ্নগুলোর সংক্ষেপে উত্তর লেখ;
ক) কোন পাহাড়ে দাঁড়িয়ে মহানবী (সাঃ) সমবেত মানুষের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন?
খ) ধর্ম সম্পর্কে মহানবী (সা) কী উপদেশ দিয়েছিলেন? দুটি বাক্যে লেখ।
গ) মহানবী (সা) তাঁর ভাষণে ক্রীতদাস- ক্রীতদাসী সম্পর্কে কী বলেছেন? দুটি বাক্যে লেখ।

দেখে এলাম নায়াগ্রা

প্রদত্ত অনুচ্ছেদটি পড়ে ১ ও ২ নাম্বার ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ;
বিশ্ব ভূমণ্ডল বড়ই বিচিত্র। কত অসম্ভব ব্যাপারই যে ঘটে! পৃথিবীতে সবচেয়ে বৃহৎ জলপ্রপাত বলা হয় নায়াগ্রাকে। এই জলপ্রপাত পাহাড় থেকে নামেনি। সমতলের উপর দিয়ে একটি খরস্রোতা নদী বইছে। সামনের সবকিছু তো ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু কই? কিছুই তো ভাসছে না।তার কারণ যে মাটির উপর দিয়েই খরস্রোতা নদীটি প্রবাহিত হচ্ছে সেখানে হঠাৎ করেই এক বিশাল ফাটল। দু'দিকের মাটির মধ্যে এক বিরাট ফাঁক। একটা নদী যতখানি চওড়া হতে পারে ততখানি ফাঁক। নায়াগ্রার জল ঐ ফাঁকের ভিতরে চলে যাচ্ছে। এটাও তো প্রপাত, কারণ পানি পড়ছে। তবে, সাধারণ জলপ্রপাতের মতো পাহাড় থেকে নিচে পড়ছে না। পড়ছে, সমতল থেকে বিশাল ফাটলের গহ্বরে। পানিটা ফাঁটলের মধ্যে পড়ে যাচ্ছে কোথায়? নায়াগ্রা তাই একেবারে ভিন্ন রকমের জলপ্রপাত।
১. নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখ;
চওড়া, সমতল, বিশাল, জলপ্রপাত, খরস্রোতা।
২. নিচের প্রশ্নগুলোর সংক্ষেপে উত্তর লেখ:
ক) প্রপাত শব্দের অর্থ কি?
খ) নায়াগ্রা জলপ্রপাত সবকিছু ভাসিয়ে নেয় না কেন? দুটি বাক্যে লেখ।
গ) নায়াগ্রা জলপ্রপাতের জল প্রবাহিত হয় কিভাবে? দুটি বাক্যে লেখ।

রৌদ্র লেখে জয় 

প্রদত্ত অনুচ্ছেদটি পড়ে ১ ও ২ নাম্বার ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ;
বর্গী এলো খাজনা নিতে
মারলো মানুষ কত।
পুড়ল শহর পুড়ল শ্যামল
গ্রাম যে শত শত।
হানাদারের সঙ্গে জুড়ে
লড়ে মুক্তি সেনা,
তাদের কথা দেশের মানুষ
কখনো বলবে না।
১. শব্দগুলোর অর্থ লেখো;
বর্গী, খাজনা, শ্যামল, হানাদার, মুক্তিসেনা।
২. নিচের প্রশ্নগুলোর সংক্ষেপে উত্তর লেখ;
ক) বর্গিরা খাজনা নিতে আসতো কেন? এক বাক্যে লেখ।
খ) হানাদারের সঙ্গে মুক্তিসেনারা লড়াই করেছিল কেন? তারা দুটি বাক্যে লেখ।
গ) হানাদারের সঙ্গে মুক্তিসেনারা কিভাবে লড়াই করেছিলেন?

১১. কবিতার চরণগুলাে পড়ে প্রশ্নগুলাের উত্তর দাও:
বর্গি এলাে খাজনা নিতে,
মারল মানুষ কত।
পুড়ল শহর, পুড়ল শ্যামল
গ্রাম যে শত শত
হানাদারের সঙ্গে জোরে
লড়ে মুক্তিসেনা,
তাদের কথা দেশের মানুষ
কখনাে ভুলবে না।
ক. বর্গিরা এদেশে কী বরেছিল? দুটি বাক্যে লেখাে।২
খ. কবিতাংশটির মূলভাব পাঁচটি বাক্যে লেখাে।৫
গ. একজন মুক্তিযােদ্ধার প্রতি তােমার কর্তব্য তিনটি বাক্যে লেখাে।

মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী

প্রদত্ত অনুচ্ছেদটি পড়ে ১ ও ২ নাম্বার ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ;
মওলানা ভাসানী তাঁর এক ভাষণে বলেছেন, ‘আমি খেটে খাওয়া মানুষের কথা বলি। এই কাজ করে ক্ষেতে খামারে কাজ করে কলে-কারখানায়। এরা কৃষক এরা শ্রমিক। আর এরাই জমিদার, মহাজন, মালিকের জুলুমের শিকার হয়। মূলত সারা জীবন তিনি এই নিপীড়িত মানুষের জন্যই সংগ্রাম করেছেন। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর তিনি আসাম থেকে পূর্ববাংলায় চলে আসেন। তিনি পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা করেন। পরে সংগঠনের নাম হয় পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামীলীগ। তিনি টাঙ্গাইলের কাগমারিতে বাস করতে শুরু করেন। ১৯৫২ সালে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে জড়িত থাকার কারণে তিনি আবার গ্রেফতার হন। ১৯৫২ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হক ও হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দীর সঙ্গে যুক্তফ্রন্ট গঠন করেন। যুক্তফ্রন্ট এ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়। ১৯৫৭ সালে ভাসানী টাঙ্গাইলের কাগমারিতে এক বিশাল আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক সম্মেলন আহ্বান করেন। এ সম্মেলনে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের বঞ্চনার চিত্র তুলে ধরেন।
১।প্রদত্ত শব্দগুলোর অর্থ লেখঃ ০৫
নিপীড়িত , সংগ্রাম , আন্দোলন , সম্মেলন, বঞ্চনা।
২।নিচের প্রশ্নগুলোর সংক্ষেপে উত্তর লেখঃ
ক) মওলানা ভাসানী প্রতিষ্ঠিত দলের নাম কী?
খ) মওলানা ভাসানী সারাজীবন কাদের জন্য সংগ্রাম করেছেন?
গ) কাগমারি সম্মেলন কে আহবান করেন? এ সম্মেলনে তিনি কাদের বঞ্চনার চিত্র তুলে ধরেন।

শহিদ তিতুমীর 

প্রদত্ত অনুচ্ছেদটি পড়ে ১ ও ২ নাম্বার ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ;

1834 সালে ম্যাজিস্ট্রেট আলেকজান্ডারকে পাঠানো হয়েছে তিতুমীরকে দমন করার জন্য। কিন্তু আলেকজান্ডার তার সিপাহী বাহিনী নিয়ে পরাস্ত হন তিতুমীরের হাতে। 1831 সালের 19 শে নভেম্বর লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক তখন ভারতবর্ষের গভর্নর জেনারেল। তিতুমীরকে শায়েস্তা করার জন্য তিনি পাঠালেন বিরাট সেনাবহর আর গোলন্দাজ বাহিনী। এর নেতৃত্ব দেওয়া হলো সেনাপতি কর্নেল স্টুয়ার্ডকে। স্টুয়ার্ড আক্রমণ করলেন তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা। তখন ভালো করে ভোর হয়নি। আবছা আলো। ছিল হাজার হাজার প্রশিক্ষিত সৈন্য আর অজস্র গোলাবারুদ। তিতুমীরের ছিল মাত্র চার-পাঁচ হাজার স্বাধীনতাপ্রিয় সৈনিক। তাঁর না ছিল কামান, না ছিল গোলাবারুদ বন্দুক। তবে তাদের মনে ছিল পরাধীন দেশকে স্বাধীন করবার অমিত তেজ।

১. প্রদত্ত শব্দগুলোর অর্থ লেখ:
অত্যাচার, আন্দোলন, সশস্ত্র, অস্ত্রাগার, লুণ্ঠন।
২. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো ;
ক) তিতুমীর কোন কোন জেলা দখল করেছিলেন?
খ) তিতুমীরের বাঁশেরকেল্লায় কী করা হতো?
গ) তিতুমীর কেন ইংরেজদের কাছে পরাজিত হন?

অপেক্ষা

প্রদত্ত অনুচ্ছেদটি পড়ে ১ ও ২ নাম্বার ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ;
কয়েক মাস পরে গায়ে মিলিটারি আসে। জসিম শহর থেকে আসা ছেলেদের কাছ থেকে রাইফেল চালানো শিখে নেয়। তারপর গড়ে তুলে মুক্তিবাহিনী। রাহেলা মেয়েদের নিয়ে বাড়িতে থাকবে। জসীম চেয়েছিল রাহেলা ওর বাবার বাড়ি চলে যাক, কিন্তু রাহেলা যেতে রাজি হয়নি। নদীর ধারেই বাজার।সেদিন বিকেলে বাজারে গেলে পাকিস্তানি মিলিটারির সামনে পড়ে যায় জসিম। ওরা বাজারের দোকান ও ঘরবাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে আসে।একটি বুলেট এসে লাগে জসিমের বুকে নদীর ধারে মুখ থুবড়ে পড়ে যায় ও। রক্তে ভেসে যায় মাটি নিজেরই রক্তে মাখামাখি হয়ে যায় ওর শরীর।মিলিটারিরা চলে গেলে যারা পালিয়ে গিয়েছিল তারা ঘরে ফিরে আসে।রাহেলাও মেয়েদের নিয়ে আসে বাড়িতে। অনেক বাড়ি পুড়ে গেলেও ওদের বাড়িতে আগুন লাগে নি। বড় আমগাছটার ঘরের চাল আড়াল করে রেখেছে বলে আগুন এখানে আসতে পারেনি।

১. নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখ;
থুবড়ে, আড়াল, গাঁ, রাজি, মিলিটারি।
২. নিচের প্রশ্নগুলোর সংক্ষেপে উত্তর লেখ;
ক) জসিম কিভাবে মুক্তিবাহিনী গড়ে তোলেন?
খ) জসীম কিভাবে শহীদ হন? দুটি বাক্যে লেখ।
গ) চলে গেলে রাহেলা কি করে? তাদের বাড়িতে আগুন লাগেনি কেন?

 

No comments:

Post a Comment

Recent Post

"শাকেই এত লাড়া, ডাল হলে ভাঙত হাঁড়ি, ভাসত পাড়া-পাড়া।" এই কথা দ্বারা কি বুঝানো হয়েছে?

এই প্রবাদটি বোঝাতে চায় যে ছোটোখাটো বিষয়ে যদি এত ঝামেলা বা উত্তেজনা হয়, তাহলে বড় কোনো বিষয়ে কী হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়। "শাকেই এত লাড়া&...

Most Popular Post