Ad-1

Sunday, July 30, 2017

বঙ্গভূমির প্রতি, কবি মাইকেল মধুসূদন

                               বঙ্গভূমির প্রতি
মাইকেল মধুসূদন দত্ত(যশোর,১৮২৪-কলকাতা,১৮৭৩)
বিখ্যাত ও প্রথম সার্থক নাটক : শর্মিষ্ঠা।
বিখ্যাত মহাকাব্য : মেঘনাদ বধ কাব্য
বিশেষ অবদান: অমিত্রাক্ষর ছন্দ ও সনেট।
প্রহসন : ' একেই কি বলে সভ্যতা' ও 'বুড়ু শালিকের                     ঘাড়ে রো'
প্রথম ট্রাজেডি নাটক : কৃষ্ণকুমারী
১. 'বঙ্গভূমির প্রতি' কবিতাটির লেখক কে?
উত্তর : মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
২. 'বঙ্গভূমির প্রতি' কবিতায় কবি কাকে 'মা' হিসেবে কল্পনা করেছেন?
উত্তর :কবি নিজ দেশকে।
৩. মধুসূদনের মনে কখন থেকে কবি হওয়ার বাসনা ছিল?
উত্তর : শৈশব থেকেই।
৪. কোথায় না গেলে কবি হওয়া যাবে না বলে মধুসূদন মনে করেছিলেন?
উত্তর : বিলেত না গেলে।
৫. মধুসূদন কী ধর্ম গ্রহণ করেন?
উত্তর : খ্রিস্টধর্ম
৬. খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করার কারণে মধুসূদনের নামের পূর্বে কোন শব্দটি যুক্ত হয়?
উত্তর :  'মাইকেল'
৭. বাংলা ভাষায় প্রথম মহাকাব্য রচনাকারী কে?
উত্তর : মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
৮. বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম মহাকাব্যটির নাম কী?
উত্তর : 'মেঘনাবধ কাব্য'।
৯. মাইকেল মধুসূদন দত্তের পত্রকাব্যটির নাম কী?
উত্তর : 'বীরাঙ্গনা'।
১০. বাংলা সাহিত্যের প্রথম প্রথাবিরোধী লেখক কে?
উত্তর : মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
১১. 'চতুর্দশপদী কবিতার' আরেক নাম কী?
উত্তর : 'সনেট'।
১২. বাংলা সনেটের রচয়িতা কে?
উত্তর : মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
১৩. জন্মিলে কী করতে হবে?
উত্তর : জন্মিলে মরতে হবে।
১৪. অমৃত-হৃদে পড়িলে কে গলে না?
উত্তর : মক্ষিকাও গলে না।
১৫. জীবন-নদে কী চিরস্থিত নয়?
উত্তর :  নীর
১৬. 'নীর' অর্থ কী?
উত্তর : 'নীর' অর্থ পানি বা জল।
১৭. কোননদ অর্থ কী?
উত্তর : কোননদ অর্থ লাল পদ্ম।
১৮. শমন কী?
উত্তর : মৃত্যুর দেবতা।
১৯. সাধিতে মনের সাধ ঘটে যদি কী?
উত্তর : পরমাদ।
২০. মনঃকোকনদ কী হীন করো না?
উত্তর : মনঃকোকনদ মধুহীন করো না।

★অনুধাবনমূলক প্রশ্ন

১. 'রেখো, মা, দাসেরে মনে'- পঙ্ক্তিটির অর্থ ব্যাখ্যা কর।
২. 'সাধিতে মনের সাধ ঘটে যদি পরমাদ' বলতে কী বোঝায়?
৩. মধুহীন করো না বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? ব্যাখ্যা কর।
৪. জন্মিলে মরিতে হবে কেন? ব্যাখ্যা কর।
৫. কোথাও কেউ অমর নয় কেন? বুঝিয়ে দাও।
৬. জীবন নদের নীর স্থির নয় কেন? ব্যাখ্যা কর।
৭. 'মা যদি রাখ মনে নাহি ডরি, শমনে। '- পঙ্ক্তিটির অর্থ ব্যাখ্যা দাও।
৮. 'ধন্য সে নরকুলে। '- কথাটি বুঝিয়ে বল।
৯. 'তবে যদি দয়া কর, ভুল দোষ, গুণ ধর' বলতে কী বোঝায়?
১০. 'মনের মন্দিরে সদা সেবে সবর্জন' পঙ্ক্তিটির অর্থ ব্যাখ্যা কর।

★নমুনা সৃজনশীল :
সালাম দুষ্টুমির অপরাধের কারণে মায়ের কাছে ক্ষমা চায়। সে আর কোনো দিন সেই অপরাধ করবে না বলে মাকে জানায়। কারণ মা ক্ষমাশীল, মা’র কাছে সন্তানের অপরাধ মার্জনীয়। সন্তান মায়ের কাছে ক্ষমা চাইলে মা ক্ষমা করে দেন। কারণ মায়ের মন মমতায় ভরা, তাই তিনি সন্তানের প্রতি রাগ করে থাকতে পারেন না।
প্রশ্ন : ক) ‘মেঘনাদবধ’ কাব্যের রচয়িতা কে?
খ) ‘জন্মিলে মরিতে হবে, অমর কে কোথা কবে।’ ব্যাখ্যা করো।
গ) উদ্দীপকটি ‘বঙ্গভূমির প্রতি’ কবিতার কোন বিষয়টিকে প্রতীকায়িত করে? লিখ।
ঘ) “উদ্দীপকের সালামের অপরাধ থেকে কবি মধুসূদনের অপরাধ ভিন্নতর"- বিশ্লেষণ করো।
উত্তর :
ক) ‘মেঘনাদবধ’ কাব্যের রচয়িতা মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
খ) ‘জন্মিলে মরিতে হবে, অমর কে কোথায় কবে।’ চরণটিতে মানুষ অমর নয়, একদিন সবাইকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে সে বিষয়টি বোঝানো হয়েছে।
কবি বাংলা-মায়ের কোলে বেঁচে থাকতে চান। তাই কবি যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন যেন দেশমাতৃকা তাকে মনে রাখেন এবং আদর-সোহাগের পরশ বুলিয়ে দেন। কারণ এ পৃথিবীতে মানুষ অমর নয়। জন্মগ্রহণ করলে মৃত্যু অবধারিত। পৃথিবীতে এমন কোনো মানুষ পাওয়া যাবে না যিনি জীবিত রয়েছেন হাজার বছর। তাই কবি দেশমাতৃকার কাছে প্রার্থনা করেছেন তাকে যেন মা করে দিয়ে বুকে জড়িয়ে নেন।
গ) উদ্দীপকটি ‘বঙ্গভূমির প্রতি’ কবিতার কবির প্রতি দেশমাতৃকার ক্ষমাশীলতার বিষয়টিকে প্রতীকায়িত করে। কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত তার ‘বঙ্গভূমির প্রতি’ কবিতায় স্বদেশের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার স্বরূপ প্রকাশ করেছেন। তিনি তার স্বদেশকে অর্থাৎ দেশমাতৃকাকে প্রাণের চেয়ে অধিক ভালোবেসে ছিলেন। উদ্দীপকের সালাম দুষ্টুমির অপরাধের কারণে মায়ের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। কারণ সে জানে ক্ষমাশীল। মায়ের কাছে সন্তানের অপরাধ মার্জনীয়। সন্তান মায়ের কাছে ক্ষমা চাইলে মা তা ক্ষমা করে দেন। ‘বঙ্গভূমির প্রতি’ কবিতার কবিও সে বিষয়টি বিশ্বাস করেন। তাই তো প্রবাসী মধুসূদন ভেবেছেন মা যেমন সন্তানের কোনো দোষ মনে রাখেন না। দেশমাতৃকাও তেমনি তার সব দোষ ক্ষমা করে দেবেন। কারণ কোনো মা-ই সন্তানের দোষ ক্ষমা না করে পারেন না। সুতরাং বলা যায়, উদ্দীপকটি আলোচ্য কবিতার মায়ের সেই ক্ষমাশীলতার দিকটিকে প্রতীকায়িত করে।
ঘ) উদ্দীপকের সালামের অপরাধ থেকে কবি মধুসূদনের অপরাধ ভিন্নতর। কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যের উজ্জ্বল নক্ষত্রস্বরূপ। কারণ তিনি পুরো সাহিত্যের নতুনত্বের সংযোগ সাধন করেছেন। অমিত্রাক্ষর ছন্দ, সনেট, প্রহসন ইত্যাদি রচনা করে তিনি স্মরণীয় হয়ে আছেন। তার ‘বঙ্গভূমির প্রতি’ কবিতায় বঙ্গভূমির প্রতি কবির মমত্ববোধের প্রকাশ পেয়েছে। সেই সাথে দেশমাতৃকার কাছে কবির কৃতকর্মের মার্জনা চাওয়া হয়েছে। উদ্দীপকের সালাম দুষ্টুমির কারণে মায়ের কাছে অপরাধী হয়, সে আর কোনো দুষ্টুমি করবে না বলে মাকে জানায়। কিন্তু মাইকেল মধুসূদন দত্ত জন্মভূমি ও মাতৃভাষাকে অবজ্ঞার অপরাধে অপরাধী। তিনি প্রথম জীবনে বঙ্গভূমি ও বঙ্গভাষাকে অবজ্ঞা করে বিদেশী ভাষায় সাহিত্য রচনা করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে দেশে ফিরে দেশমাতৃকার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এখানে সালাম ও কবির অপরাধের বৈসাদৃশ্য রয়েছে। শৈশব থেকে মাইকেল মধুসূদন দত্তের মনে কবি হওয়ার তীব্র বাসনা ছিল। তিনি মনে করেছিলেন, বিলেত না গেলে কবি হওয়া যাবে না। সেই আশা লালন করে তিনি বিলেত যান এবং সেখানে গিয়ে সাহিত্য রচনা করে ব্যর্থ হন। পরে দেশে ফিরে এসে মাতৃভাষায় সাহিত্য রচনা করার জন্য আত্মনিয়োগ করেন এবং দেশমাতৃকার কাছে সেই অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন ‘বঙ্গভূমির প্রতি’ কবিতায়। উদ্দীপকের সালাম কিন্তু এমন অপরাধে অপরাধী নয়। তাই আমরা বলতে পারি, উদ্দীপকের সালামের অপরাধ থেকে কবি মধুসূদনের অপরাধ ভিন্নতর।


মডেল টেস্ট-০১
বাংলা প্রথম পত্র

১। ‘বঙ্গভূমির প্রতি’ কী ধরনের কবিতা?
ক. রঙ্গ কবিতা খ. রম্য কবিতা
গ. গীতি কবিতা ঘ. বড় কবিতা
২। কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত দেশকে কী হিসেবে কল্পনা করেছেন?
ক. সন্তান খ. মা  গ. ছেলে ঘ. মেয়ে
৩। কবি কার স্মৃতিতে পদ্ম ফুলের মতো ফুটে থাকতে চান?
ক. দেশমাতৃকার খ. সন্তানের
গ. পিতার ঘ. বাঙালির
৪। বাংলা সাহিত্যে প্রথম প্রথাবিরোধী লেখক কে?
ক. কাজী নজরুল ইসলাম
খ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
গ. মাইকেল মধুসূদন দত্ত
ঘ. জসীম উদ্দীন
৫। মাইকেল মধুসূদন দত্ত জন্মগ্রহণ করেন কত সালে?
ক. ১৮২৪ খ্রি. খ. ১৮২৫ খ্রি.
গ. ১৮২৬ খ্রি. ঘ. ১৮২৭ খ্রি.
৬। মাইকেল মধুসূদন দত্ত কোথায় মৃত্যুবরণ করেন?
ক. ঢাকায় খ. রংপুরে
গ. কলকাতায় ঘ. ইংল্যান্ডে
৭। ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ’ কী ধরনের সাহিত্যকর্ম?
ক. প্রহসন খ. নাটক গ. উপন্যাস ঘ. প্রবন্ধ
৮। মধুসূদন দত্তের নামের পূর্বে মাইকেল যুক্ত হয় কখন?
ক. হিন্দু ধর্ম গ্রহণের পর
খ. খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণের পর
গ. বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণের পর
ঘ. আর্য ধর্ম গ্রহণের পর
৯। বাংলা ভাষায় প্রথম মহাকাব্য কোনটি?
ক. মেঘনাদবধ কাব্য খ. পদ্মাবতী
গ. বীরাঙ্গনা ঘ. পদ্মলোচন
১০। ‘মক্ষিকা’ শব্দের অর্থ কী?
ক. মশা খ. মাছি
গ. বাদুড় ঘ. খরগোশ
১১। কী গলে না অমৃত হ্রদে?
ক. চিনি খ. তুঁত
গ. মক্ষিকা ঘ. লবণ
১২. কবি ‘বঙ্গভূমির প্রতি’ কবিতায় নিজেকে কী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন?
ক. দাস খ. দেশপ্রেমিক
গ. চোর ঘ. ভাবুক
১৩. ‘জন্মিলে মরিতে হবে
অমর কে কোথা কবে’
কবিতাংশটির কবি কে?
ক. কাজী নজরুল ইসলাম
খ. জসীম উদ্?দীন
গ. মাইকেল মধুসূদন দত্ত
ঘ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৪. ‘রেখো, মা দাসেরে মনে’ এই উক্তিতে প্রকাশ পেয়েছে i. স্বদেশের প্রতি কবির অহমিকা
ii. স্বদেশের প্রতি কবির শ্রদ্ধা
iii. স্বদেশের প্রতি কবির বিনয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i খ. ii গ. ii ও iii ঘ. i ও iii
১৫. ‘কোকনদ’ শব্দের অর্থ কী?
ক. লাল পদ্ম খ. সবুজ পদ্ম
গ. নীল পদ্ম ঘ. সাদা পদ্ম
১৬. ‘তবে যদি দয়া কর’ কার কাছে?
ক. বঙ্গভূমি খ. অমৃত হ্রদ
গ. সৃষ্টিকর্তা ঘ. কোনোটিই নয়
১৭. ‘অমর করিয়া বর দেহ দাসে’ এখানে কবি কী বর চেয়েছেন?
ক. সুবর খ. কুবর
গ. দৈববর ঘ. শমন
১৮. ‘বঙ্গভূমির প্রতি’ কবিতায় প্রকাশিত মূল বিষয় কী?
ক. দাসপ্রীতি খ. ভাষাপ্রীতি
গ. স্বদেশপ্রীতি ঘ. প্রকৃতিপ্রীতি
১৯. কবির দেহ আকাশ থেকে কী খসে পড়লেও তার খেদ নেই?
ক. নীর খ. বায়ু গ. রস ঘ. জীব-তারা
২০. কখন থেকে মাইকেল মধুসূদন দত্তের মনে কবি হওয়ার তীব্র বাসনা ছিল?
ক. বৃদ্ধ খ. শৈশব
গ. যৌবন ঘ. বার্ধক্য
উত্তরগুলো মিলিয়ে নাও
১. গ ২. খ ৩. ক ৪. গ ৫. ক ৬. গ ৭. ক ৮. খ ৯. ক ১০. খ ১১. গ ১২. ক ১৩. গ ১৪. গ ১৫. ক ১৬. ক ১৭. ক ১৮. গ ১৯. ঘ ২০. খ।
১.
আবার আসিব ফিরে ধানসিড়িটির তীরে-এই বাংলায়
হয়তো মানুষ নয়-হয়তো বা শঙ্খচিল শালিকের বেশে;
হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিকের নবান্নের দেশে
কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব এ কাঁঠাল-ছায়ায়;
২.
রেখো মা, দাসেরে মনে, এ মিনতি করি পদে।
সাধিতে মনের সাধ,
ঘটে যদি পরমাদ,
মধুহীন করো না গো তব মনঃকোকনদে।
ক. বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম মহাকাব্যের নাম কী?
খ. কবি বর প্রার্থনা করেন কেন-ব্যাখ্যা কর।
গ. কবিতাংশ দুটিতে কী অমিল লক্ষ্য করা যায়?- আলোচনা কর।
ঘ) কবিতাংশ দুটির মূল সুর একই –মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর ।

2 comments:

Recent Post

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯

১. ‘ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ ’ কবিতায় সালামের হাতে কেন অবিনাশী বর্ণমালা ঝরে ? ক. সংগ্রামী চেতনার কারণে     খ. দুঃখিনী মাতার অশ্রুজল দেখে গ. বরকত...

Most Popular Post