ঈদের নামাযের নিয়ম:
বছরে মাত্র দুইবার ঈদের নামায পড়তে হয়।তাই অনেকে আমরা ঈদের নামাযের নিয়ম জানা সত্ত্বেও ভুলে যাই এবং ভুল করি।নিম্নে এর নিয়ম দেওয়া হলো::::
অনেকের ধারণা নামাজের নিয়ত আরবিতে করা জরুরি। এমনটি ঠিক নয়। যে কোনো ভাষাতেই নামাজের নিয়ত করা যায়। নিয়ত মনে মনে করাই যথেষ্ট। ঈদের দিন ইমামের পেছনে কিবলামুখী দাঁড়িয়ে মনে এই নিয়ত করে নিবে—‘আমি অতিরিক্ত ছয় তাকবিরসহ এই ইমামের পেছনে ঈদুল আজহার দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করছি।’ এরপর
১. উভয় হাত কান বরাবর ওঠিয়ে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে হাত বেধে নিবে। হাত বাঁধার পর ছানা অর্থাত্ ‘সুবহানাকা আল্লাহুম্মা’ শেষ পর্যন্ত পড়ে নেবে।
২. এরপর আল্লাহু আকবার বলে হাত কান পর্যন্ত ওঠিয়ে ছেড়ে দেবে।
৩. দ্বিতীয়বারও একই নিয়মে তাকবির বলে হাত ছেড়ে দেতে হবে।
৪. ইমাম সাহেব তৃতীয়বার তাকবির বলে হাত বেঁধে আউজুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ পড়ে সূরা ফাতিহার সঙ্গে অন্য যে কোনো সূরা তিলাওয়াত করবেন। এ সময় মুক্তাদিরা নীরবে দাঁড়িয়ে থাকবেন।
৫. এরপর ইমাম সাহেব নিয়মমত রুকু-সিজদা সেরে দ্বিতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়াবেন। মুক্তাদিরা ইমাম সাহেবের অনুসরণ করবেন।
৬. দ্বিতীয় রাকাতে ইমাম সাহেব প্রথমে সূরা ফাতিহার সঙ্গে অন্য সূরা পড়বেন।
৭. এরপর আগের মতো তিন তাকবির বলতে হবে। প্রতি তাকবিরের সময়ই উভয় হাত কান পর্যন্ত ওঠিয়ে ছেড়ে দিতে হবে।
৮. চতুর্থ তাকবির বলে হাত না ওঠিয়েই রুকুতে চলে যেতে হবে।
৯. এরপর অন্যান্য নামাজের নিয়মেই নামাজ শেষ করে সালাম ফেরাতে হবে।
১০. ঈদের নামাজ শেষে ইমাম সাহেব খুতবা পাঠ করবেন। জুমার খুতবার মতো এই খুতবা শোনা মুসল্লিদের জন্য ওয়াজিব। খুতবার সময় কথাবার্তা বলা, চলাফেলা করা, নামাজ পড়া সম্পূর্ণরূপে হারাম।
১১. কারও ঈদের নামাজ ছুটে গেলে কিংবা যে কোনো কারণে নামাজ নষ্ট হয়ে গেলে পুনরায় একাকী তা আদায় বা কাজা করার কোনো সুযোগ নেই।
১২. তবে চার বা তার অধিক লোকের ঈদের নামাজ ছুটে গেলে তাদের জন্য ঈদের নামাজ পড়ে নেয়া ওয়াজিব।
বি:দ্র: জানাযা ও ঈদের নামাযের মধ্যে অন্যতম পার্থক্য হলো ঈদের নামাযে তকবির বলার সময় হাত উঠাতে হয়,জানাযায় হাত উঠাতে হয় না।
Ad-1
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Recent Post
হজম শক্তি বাড়ানোর প্রাকৃতিক উপায়:
১) প্রতিদিন সকালে কুসুম গরম পানি পান করলে হজম প্রক্রিয়া সক্রিয় হয় এবং পাকস্থলীর এসিড ব্যালান্স ঠিক থাকে। ২) খাবারের সঙ্গে আদা, জিরা, গোলমরিচ...

Most Popular Post
-
১। উপন্যাসের আখ্যানভাগ কী ? ------- Plot বা কাহিনি-সমগ্র। ২। কাকতাড়ুয়া ’ উপন্যাসের মিঠুর ভাইয়ের নাম কী ? ------- মধু। ৩। বু...
-
নৌকাডুবি (১৯০৬) চরিত্র ও তথ্য সমূহ ১. রমেশঃকলকাতা/Law/বাবার চিঠি/ ২. হেমনলিনীঃমাতৃহীন/ ৩. কমলাঃ ৪. ডাক্তার নলিনাক্ষঃ * গঙ্গার প্রবল ঘুর্ণিঝড়...
-
জীবনানন্দ দাশ • তথ্য কণিকা ১. কবি আবার ফিরে আসতে চেয়েছেন — ধানসিঁড়ি তীরের বাংলায় ।। ২. কবি আবার ফিরে আসতে চেয়েছেন — শঙ্খচিলের বেশে। ...
-
বাংলা ছন্দ ছন্দ: কাব্যের রসঘন ও শ্রুতিমধুর বাক্যে সুশৃঙ্খল ধ্বনিবিন্যাসের ফলে যে সৌন্দর্য সৃষ্টি হয় তাকে ছন্দ বলে। (বাঙলা ছন্দ : জীবেন্দ...
-
জ্ঞানমূলক প্রশ্নঃ ১. “ বহিপীর ” নাটকটি কত অঙ্কে বিভক্ত ? ২. নাটকের উপাদানগুলো উল্লেখ কর। ৩. বহিপীরের বাড়ি কোন জেলায় ? ৪. হাতেম আলি...
-
উত্তর: তৎসম শব্দে মূর্ধন্য-ণ এর ব্যবহারের নিয়মকে ণ-ত্ব বিধান বলে।নিম্নে এর পাঁচটি নিয়ম বর্ণনা দেওয়া হলো... ১. ঋ,র,ষ এরপর মূর্ধন্য-ণ হয়। ...
-
অলঙ্কার এর সংজ্ঞাঃ অলঙ্কার কথাটি এসেছে সংস্কৃত 'অলম' শব্দ থেকে।অলম শব্দের অর্থ ভূষণ।ভূষণ অর্থ সজ্জা,গহনা ইত্যাদি। তাই আভিধানিক অর্থে...
No comments:
Post a Comment