গাড়িতে করে টেম্পুতে চড়ে নিউ মার্কেট থেকে আসছিলাম নতুন ব্রিজের দিকে।জনৈক বলল;"একটা বাড়িতে খুন হয়েছে,সেটা সরকারের দোষ।"
আরেকজন বলল সেটা সরকারের দোষ নয়,সরকার কি আপনার বেড় রুমে নিরাপত্তা দেবে নাকি?
আরেকজন বলল; প্রশাসন ঠিক থাকলে সব অটোমেটিক ঠিক হয়ে যাবে।দেশের অভিভাবক ঠিক নেই;আপনি আর আমি কি করবো?যে সবচেয়ে বেশি অন্যায় করে ক্ষমতায় আসে,মানুষ তার কাছেই ন্যায় বিচার চায়।এটাই হলো দেশ,আমাদের বাংলাদেশ।
এবার আসি নিরাপত্তা বিষয়ে কিছু কথা বলি।
আসলে সরকারের কাছ থেকে নিরাপত্তা দেওয়ার বা পাওয়ার আগে নিজেকে নিজের নিরাপত্তার ব্যাবস্থা প্রথমে রাখতে হবে।কথায় আছে ; Self help is the best help.তাই নিজেকেই প্রথমে নিরাপত্তার ব্যাবস্থা করতে হবে।সেই নিরাপত্তা ভেঙ্গে কেউ যদি কোন অন্যায় করে সে অপরাধের শাস্তি প্রদান করা সরকারের দায়িত্ব।যেমন;
শহরের কোন বাসায় বা কোন এক অন্ধকার রাস্তার মধ্যে একজন আরেকজনকে হত্যা করে সেখানে পৃথিবীর কোন সরকারের পক্ষে সঠিক বিচার করে শাস্তি দেওয়া সম্ভব নয় বলে আমি মনে করি।কারণ কাকে,কিভাবে,দোষী সাব্যস্ত করবে সেটা অনেক দীর্ঘ সূত্রিতার বিষয়।অপরাধীকে ধরা কোন মতেই সম্ভব নয়।সম্ভব হলেও নি:সন্দেহে সে অপরাধী তা বিচার করে রায় প্রকাশ করা অনেকটা অসম্ভব হয়ে পড়ে।এত কথা বলার কারণ হলো,তার একটি সুন্দর সমাধান বের করা।
সমাধান কী?
আমাকে যদি এক মাসের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা দেওয়া হয়,কিংবা একটা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র করে দেওয়া হয়,আমি প্রতিটি পরিবাররের, প্রতিটি ব্যক্তির জীবনের নিরাপত্তা দিতে পারব এবং দেব।অনেকেই এটা পড়ে হয়তো হাঁসবেন বা পড়ে মনে মনে হাঁসছেন।হাঁসার কিছু নেই,আমি ব্যক্তির বেড়রুমেও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে দেব।
কিন্তু কীভাবে?
১. প্রথম কাজ হবে,দেশের ডিজিটাল ডিভাইস তথা সিসিটিভি ক্যামেরার সরঞ্জামের দাম কমিয়ে দেব।এর শুল্ক কমিয়ে দেব।প্রয়োজনে তাতে ভর্তুকি দেব।
২. সকল নাগরিকের সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো বাধ্য করে দেব।বিশেষ করে সকল বাড়িওয়ালাদের বাধ্য করবো,তারা যেন এক মাসের মধ্যে বিল্ডিংয়ের গেটে ও সিঁড়ি বেয়ে ওঠার পথে যেন তারা সিসি ক্যামেরা লাগায়।
৩. যে সকল বাড়ির মালিক তা লাগাবে তাদের বাড়ির এক বছরের হোল্ডিং টেক্সের ৫% ছাড় দেওয়া হবে।এটা গেল বাড়ির নিরাপত্তার কথা।
এবার আসি রাস্তায় কিভাবে নিরাপত্তা দেবে?
১. যে দোকান মেইন রোড়ের পাশে থাকবে কিংবা যে কোন অলিতে গলিতে থাকবে প্রতিটি দোকান যেন সিসি ক্যামেরা লাগায় তা নিশ্চিত করবো।
২. এই সিসি ক্যামেরার একটা থাকবে দোকানের ভিতরে,আরেকটা থাকবে দোকানের বাইরে রাস্তার দিকে।এখন প্রশ্ন আসতে পারে দোকানে বেচা-কেনা নেই অত।সিসি ক্যামেরা লাগাবো কি করে?সেক্ষেত্রে তাদের প্রতি পরামর্শ থাকবে দুই বা তিন দোকান মিলে সিসি ক্যামেরা লাগাতে হবে।এতে তাদের সিটি কর্পোরেশনে টেক্স থেকে মোটের উপর ১০% কম দিতে পারবে ১ বা ২ মাস পর্যন্ত।
৩. দোকানের ট্রেড লাইসেন্স করতে গেলে পূর্ব শর্ত হিসেবে থাকবে দোকানের বাইরে ও ভিতরে এবং দোকান রাস্তার পাশে থাকলে রাস্তার দিকে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে কি না তা যাচাই করে নিশ্চিত হয়ে ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করব।
সুতারাং উপর্যুক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করিলে বাড়ির ভিতরে যেমন নিরাপত্তা নিশ্চিত থাকবে বাড়ির বাইরেও নিশ্চিত ধাকবে,দোকানে যেমন নিশ্চিত থাকবে দোকানের বাইরে যে কোন অলি-গলির মধ্যেও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।এরপরও কেউ অপরাধ করে থাকলে, হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ ভিড়িও ফোটেজ থেকে একটিতেও হলে ধরা পড়বে।সরকারের দায়িত্ব হলো, সত্যিকারের অপরাধী শাস্তি নিশ্চিত করা।যা সরকার সহজে করতে পারবে, এবং মানুষের বেড় রুমেও নিরাপত্তা দিতে পারবে।এভাবে আমার স্বপ্ন সার্থক হবে।
লেখক:
সম্পাদক ও প্রতিষ্ঠাতা,
বাংলার ভুবন
Ad-1
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Recent Post
সুভা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ১. সুভার বাবার নাম কি? ২. সুভা কোথায় বসে থাকত? ৩. সুভা জলকুমারী হলে কী করত? ৪. সুভার গ্রামের নাম কী? ৫...
Most Popular Post
-
বাংলা ছন্দ ছন্দ: কাব্যের রসঘন ও শ্রুতিমধুর বাক্যে সুশৃঙ্খল ধ্বনিবিন্যাসের ফলে যে সৌন্দর্য সৃষ্টি হয় তাকে ছন্দ বলে। (বাঙলা ছন্দ : জীবেন্দ...
-
অলঙ্কার এর সংজ্ঞাঃ অলঙ্কার কথাটি এসেছে সংস্কৃত 'অলম' শব্দ থেকে।অলম শব্দের অর্থ ভূষণ।ভূষণ অর্থ সজ্জা,গহনা ইত্যাদি। তাই আভিধানিক অর্থে...
-
উত্তর 'অ' ধ্বনির উচ্চারণ অ-এর মতো হলে তাকে অ-বিবৃত বা স্বাভাবিক উচ্চারণ বলে।অ-ধ্বনির বিবৃত উচ্চারণে ঠোঁট তেমন বাঁকা বা গোল হয় না।যে...
-
নৌকাডুবি (১৯০৬) চরিত্র ও তথ্য সমূহ ১. রমেশঃকলকাতা/Law/বাবার চিঠি/ ২. হেমনলিনীঃমাতৃহীন/ ৩. কমলাঃ ৪. ডাক্তার নলিনাক্ষঃ * গঙ্গার প্রবল ঘুর্ণিঝড়...
-
উত্তর: অ-ধ্বনির সংবৃত উচ্চারণের নিয়ম নিম্নরুপ।যথা: ১. 'অ'অথবা নিহিত 'অ'-ধ্বনির পর ই-কার বা উ-কার হলে, তবে অ-ধ্বনির উচ্চারণ...
-
অর্থালঙ্কার: অর্থালঙ্কারের প্রকারভেদ: অর্থালঙ্কার পাঁচ প্রকার।যথা: ১. সাদৃশ্যমূলক ২. বিরোধমূলক ৩. শৃঙ্খলামূলক ৪. ন্যায়মূলক ৫. গূঢ়ার্থ...
-
উত্তর: তৎসম শব্দে মূর্ধন্য-ণ এর ব্যবহারের নিয়মকে ণ-ত্ব বিধান বলে।নিম্নে এর পাঁচটি নিয়ম বর্ণনা দেওয়া হলো... ১. ঋ,র,ষ এরপর মূর্ধন্য-ণ হয়। ...
No comments:
Post a Comment