Ad-1

Wednesday, July 8, 2020

একজন সত্য সন্ধানী সাহাবী হযরত সালমান ফারসী(রা)

এটি একজন সত্য-সন্ধানী এক ব্যক্তির জীবন কথা। তিনি সালমান আল-ফারেসী।সত্যকে জানার জন্য তিনি যে ত্যাগ-তিতিক্ষা করেছেন তা পৃথিবীতে অন্য কেউ করেছেন বলে আমার জানা নেই।

সালমান আল-ফারেসীর জবানেই তার সে চমকপ্রদ বর্ননায় তিনি বলেনঃআমি এক পারসী নওজোয়ান। আমার বাবা গ্রামের দাহকান-সর্দার। সর্বাধিক ধনবান ও উচ্চ মর্যাদার অধিকারী। আমি ছিলাম তার কাছে আল্লাহর সৃষ্টিজগতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রিয়। তাই তিনি আমাকে মেয়েদের মত ঘরে আবদ্ধ করে রাখেন। আমার বাবা-মার মাজুসী ধর্মে আমি কঠোর সাধনা শুরু করলাম এবং আমাদের উপাস্য আগুনের তত্ত্বাবধায়কের পদটি খুব তাড়াতাড়ি অর্জন করলাম। রাতদিন চব্বিশ ঘণ্টা উপাসনার সেই আগুন জ্বালিয়ে রাখা আমার দায়িত্ব।

বাবা ছিলেন বিরাট ভূ-সম্পত্তির মালিক। তিনি নিজেই তা দেখাশুনা করতেন। একদিন কোন কারণবশত তিনি বাড়িতে আটকে গেলেন,তাই আমাকে সেখানকার কাজকর্ম তদারক করতে যেতে বললেন।’ আমি খামারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম। পথে খৃষ্টানদের একটি গীর্জার পাশ দিয়ে যাবার সময় তাদের কিছু কথার আওয়াজ আমার কানে ভেসে এলো। ভেতরে ঢুকে দেখি তারা তখন প্রার্থনা করছিলো। এ আওয়াজই আমাকে সচেতন করে তোলে।
দীর্ঘদিন ঘরে আবদ্ধ থাকার কারণে খৃষ্টান বা অন্য কোন ধর্ম সম্পর্কে আমার কোন জ্ঞানই ছিল না। গভীরভাবে তাদেরকে আমি নিরীক্ষণ করলাম। তাদের প্রার্থনা পদ্ধতি আমার খুবই ভালো লাগলো এবং আমি তাদের ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়লাম। মনে মনে বললামঃএ ধর্ম অতি উত্তম। আমি খামারে না গিয়ে সে দিনটি তাদের সাথেই কাটিয়ে দিলাম। তাদেরকে জিজ্ঞেস করলামঃ – এ ধর্মের মূল উৎস কোথায়? – পবিত্রভূমি আস শ্যাম। ফিলিস্তিন।। সন্ধ্যায় আমি বাড়িতে ফিরে আসলাম। সারাদিন আমি কি কি করেছি,তা জিজ্ঞেস করলে আমি যা যা দেখেছি সব বললাম। তিনি বললেনঃ ‘বেটা, সে ধর্মে কোন কল্যাণ নেই, তোমার ও তোমার পিতৃপুরুষের ধর্ম তা থেকেও উত্তম।’ আমি বললাম, ‘আল্লাহর শপথ, কখনো তা নয়। তাদের ধর্ম আমাদের ধর্ম থেকেও উত্তম।’ আমার কথা শুনে বাবা ভীত হয়ে পড়লেন এবং আমি আমার ধর্ম ত্যাগ আশংকায় তিনি আমার পায়ে বেড়ী লাগিয়ে ঘরে বন্দী করে রাখলেন। আমি সুযোগের প্রতীক্ষায় ছিলাম। কিছুদিনের মধ্যেই সে সুযোগ এসে গেল। গোপনে খ্রিস্টানদের কাছে এই বলে সংবাদ পাঠালাম যে, শাম অভিমুখী কোন কাফিলা তাদের কাছে এলে তারা যেন আমাকে খবর দেয়। কিছুদিনের মধ্যেই শাম অভিমুখী একটি কাফিলা তাদের কাছে এলো। তারা আমাকে সংবাদ দিল। আমি আমার বন্দীদশা থেকে পালিয়ে গোপনে তাদের সাথে বেরিয়ে পড়লাম। তারা আমাকে শামে পৌঁছে দিল। শামে পৌঁছে আমি জিজ্ঞেস করলামঃএ ধর্মের সর্বোত্তম ও সবচেয়ে বেশি জ্ঞানী ব্যক্তি কে? তারা বললোঃ বিশপ, গীর্জার পুরোহিত। আমি তার কাছে গেলাম। বললামঃ আমি খ্রিষ্টধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছি। আমার ইচ্ছা, আপনার নিকট থেকে শিক্ষালাভ ও আপনার সাথে প্রার্থনা করা। তিনি বললেনঃ ভেতরে এসো। আমি তার সাথে থাকতে লাগলাম। বুঝতে পারলাম লোকটি অসৎ। কারণ সে তার সংগী সাথীদেরকে দান-খয়রাতের নির্দেশ দেয়,কিন্তু যখন তারা আল্লাহর রাস্তায় খরচ করার জন্য তার হাতে কিছু তুলে দেয়, তখন সে নিজেই তা আত্মসাত করে এবং নিজের জন্য পুঞ্জিভূত করে রাখে। গরীব মিসকীনদের সে কিছুই দেয় না। এভাবে সে সাত কলস স্বর্ণ পুঞ্জিভূত করে। চারিত্রিক অধপতন দেখে আমি তাকে ঘৃণা করতাম। কিছু দিনের মধ্যেই লোকটি মারা গেল। এলাকার খ্রিষ্টান সম্প্রদায় তাকে দাফনের জন্য সমবেত হলো। তাদেরকে আমি বললামঃ তোমাদের এ বন্ধুটি খুবই অসৎ প্রকৃতির লোক ছিল। তারা ক্ষ্রিপ্ত হয়ে জিজ্ঞেস করলোঃ তুমি তা কেমন করে জানলে। আমি তাদেরকে গোপন ভাণ্ডারটি দেখিয়ে দেই।এ দেখে তারা বললোঃ – আল্লাহর কসম আমরা তাকে দাফন করবো না। তাকে তারা শুলিতে লটকিয়ে পাথর মেরে তার দেহ জর্জরিত করে দিল। কিছুদিনের মধ্যেই অন্য এক ব্যক্তিকে তার স্থলাভিষিক্ত করলো। আমি তারও সাহচর্য গ্রহণ করলাম।লোকটি দুনিয়ার প্রতি উদাসীন এবং আখিরাতের প্রতি অনুরাগী। একটা দীর্ঘ সময় তার সাথে আমি কাটালাম। যখন তার মরণ সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো, আমি তাকে বললামঃ – জনাব, আপনার মৃত্যুর পর কার সাহচর্যে কাটাবার উপদেশ দিচ্ছেন আমাকে? বললেনঃ এখানে সে সত্যের ধারক কেউ নেই । তবে মাওসেলে এক ব্যক্তি আছে, তিনি এ সত্যের এক বিন্দুও পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করেননি। তুমি সেখানে যাবে।তার মৃত্যুর পর মাওসেলে গিয়ে তার বর্নিত লোককে সব খুলে বললে তিনি বললেনঃ তুমি আমার কাছে থাকো। এই লোকটিও ভালো।অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তার মরণ সময় নিকটবর্তীহলে আমি তাকে বললামঃ – জনাব, আপনার মৃত্যুর পর কার কাছে যাওয়ার উপদেশ দিচ্ছেন? বললেনঃ বেটা, এ সত্যের ধারক এখানে কেউ নেই, তবে ‘নাস্‌সিবীনে’ অমুক নামে এক ব্যক্তি আছেন, তুমি তার সাথে মিলতে পার। তার মৃত্যুর পর আমি নাস্‌সিবীনের সেই লোকটির সাথে সাক্ষাত করে সব খুলে বললে তিনি তার কাছে থাকতে বলেন এবংঅল্পদিনের মধ্যে অন্তিম সময় আসলে তাঁকে আমি বললামঃ আমার সম্পর্কে আপনি মোটামুটি সব কথা জানেন। এখন আমাকে কার কাছে যেতে বলেন? তিনি বললেনঃ অমুন নামে ‘আম্মুরিয়াতে’ এক লোক আছেন, তুমি তারই সুহবত অবলম্বন করবে। তার মৃত্যুর পর সেখানে উপস্থিত হয়ে আমি আমার সব কথা বললাম।
আমার কথা শুনে তিনি বললেনঃ আমার কাছে থাক। আল্লাহর কসম, তার কাছে থেকে আমি দেখতে পেলাম তিনি তার পূর্ববর্তী সংগীদের মত একই মত ও পথের অনুসারী। তার কাছে থাকাকালেই আমি অনেকগুলি গরু ও ছাগলের অধিকারী হয়েছিলাম। কিছুদিনের মধ্যেই তার জীবনের অন্তিম সময়ে হলে আমি তাকে বললামঃ আমার অবস্থা তো আপনি ভালোই জানেন। এখন আমাকে কি করতে বলেন, কার কাছে যেতে পরামর্শ দেন? বললেনঃ বৎস! আমরা যে সত্যকে ধরে রেখেছিলাম, সে সত্যের ওপর ভূ-পৃষ্ঠে জন্য কোন ব্যক্তি অবশিষ্ট আছে বলে আমার জানা নেই। তবে, অদূর ভবিষ্যতে আরব দেশে একজন নবী আবির্ভূত হবেন। তিনি ইবরাহীমের দ্বীন নতুনভাবে নিয়ে আসবেন।তিনি তার জন্মভূমি থেকে বিতাড়িত হয়ে বড় বড় কালো পাথরের যমীনের মাঝখানে খেজুর উদ্যানবিশিষ্ট ভূমির দিকে হিজরাত করবেন। দিবালোকের ন্যায় সুস্পষ্ট কিছু নিদর্শনও তার থাকবে। তিনি হাদিয়ার জিনিস তো খাবেন; কিন্তু সাদকার জিনিস খাবেন না। তার দু’কাঁধের মাঝখানে নুওয়াতের মোহর থাকবে। তুমি পারলে সে দেশে যাও। এরপর তিনি মারা গেলেন।একদিন সেখানে ‘কালব’ গোত্রের কিছু আরব ব্যবসায়ী এলো। আমি তাদেরকে বললামঃ আপনারা যদি আমাকে সংগে করে আরব দেশে নিয়ে যান, বিনিময়ে আমি আপনাদেরকে আমার এ গরু ছাগলগুলি দিয়ে দেব। তারা বললেনঃ ঠিক আছে। আমি তাদেরকে গুরু-ছাগলগুলি দিয়ে দিলাম। তারা আমাকে সংগে নিয়ে চললেন। যখন মদীনা ও শামে’র মধ্যবর্তী ‘ওয়াদী আল-কুরা’ নামক স্থানে পৌঁছলাম, তখন তারা বিশ্বাসঘাতকতা করে এক ইহুদীর কাছে আমাকে বিক্রি করে দিল। আমি তার দাসত্ব শুরু করে দিলাম। অল্পদিনের মধ্যেই বনী কুরাইজা গোত্রের তার এক চাচাতো ভাই আমাকে খরীদ করে এবং আমাকে ‘ইয়াসরিবে’ (মদীনা) নিয়ে আসে। এখানে আমি আম্মুরিয়ার বন্ধুটির বর্ণিত সেই খেজুর গাছ দেখতে পেলাম এবং তিনি স্থানটির যে বর্ণনা দিয়েছিলেন, সে অনুযায়ী শহরটিকে চিনতে পারলাম। এখানে আমি আমার মনিবের কাছে কাটাতে লাগলাম। নবী (স.) তখন মক্কায় দ্বীনের দাওয়াত দিচ্ছিলেন। কিন্তু দাস হিসাবে সব সময় কাজে ব্যস্ত থাকায় তার সম্পর্কে কোন কথা বা আলোচনা আমার কানে পৌঁছেনি। কিছুদিনের মধ্যে রাসূল (স.) থেকে হিজরাত করে ইয়াসরিবে এলেন। আমি তখন একটি খেজুর গাছের মাথায় উঠে কি যেন কাজ করছিলাম, আমার মনিব গাছের নীচেই বসে ছিলো এমন সময় তার এক ভাতিজা এসে তাকে বললোঃ আল্লাহ বনী কায়লাকে (আউস ও খাজরাজ গোত্র) ধ্বংস করুন। কসম খোদার, তারা এখন কুবাতে মক্কা থেকে আজই আগত এক ব্যক্তির কাছে সমবেত হয়েছে, যে কিনা নিজেকে নবী বলে মনে করে। তার কথাগুলি আমার কানে যেতেই আমি ভীষণভাবে কাঁপতে শুরু করলাম।ভয় লাগলো গাছের নীচে বসা আমার মনিবের ঘাড়ের ওপর ধপাস করে পড়ে না যাই। তাড়াতাড়ি গাছ থেকে নেমে সেই লোকটিকে বললামঃতুমি কি বললে? কথাগুলি আমার কাছে আবার বলো তো। আমার কথা শুনে আমার মনিব রেগে ফেটে পড়লো এবং আমার গালে সজোরে এক থাপ্‌পড় বসিয়ে দিয়ে বললোঃ এর সাথে তোমার সম্পর্ক কি? যাও, তুমি যা করছিলে তাই কর। সেদিন সন্ধ্যায় আমার সংগৃহীত খেজুর থেকে কিছু খেজুর নিয়ে রাসূল (স.) যেখানে অবস্থান করছিলেন সেদিকে রওয়ানা হলাম। রাসূল (স.)নিকট পৌঁছে তাকে বললামঃ – আমি শুনেছি আপনি একজন পূর্ণবান ব্যক্তি। আপনার কিছু সহায়-সম্বলহীন সঙ্গী-সাথী আছেন। এ সামান্য কিছু জিনিস সদকার উদ্দেশ্যে আপনাকে দিলাম। এ কথা বলে খেজুরগুলি তার দিকে এগিয়ে দিলাম। তিনি সঙ্গীদের বললেনঃ তোমরা খাও। কিন্তু তিনি নিজের হাতটি গুটিয়ে নিলেন, কিছুই খেলেন না। মনে মনে আমি বললামঃ এ হলো একটি। সেদিন আমি ফিরে এলাম। আমি আবারও কিছু খেজুর জমা করতে লাগলাম। রাসূল (স.) কুবা থেকে মদীনায় এলেন। আমি একদিন খেজুরগুলি নিয়ে তার কাছে গিয়ে বললামঃ ‘আমি দেখেছি, আপনি সদকার জিনিস খাননা। তাই এবার কিছু হাদিয়া নিয়ে এসেছি, আপনাকে দেয়ার উদ্দেশ্যে।’ এবার তিনি নিজে খেলেন এবং সঙ্গীদের আহ্‌বান জানালেন তারাও তার সাথে খেলেন। আমি মনে মনে বললামঃ এ হলো দ্বিতীয়টি। তারপর অন্য একদিন আমি রাসূলুল্লাহ (স.) কাছে গেলাম। তিনি তখন ‘বাকী আল-গারকাদ’ গোরস্থানে তার এক সঙ্গীকে দাফন করছিলেন। আমি দেখলাম, তিনি গায়ে ‘শামলা’ (এক ধরনের ঢিলা পোশাক) জড়িয়ে বসে আছেন। আমি তাকে সালাম দিলাম। তারপর আমি তার পেছনের দিকে দৃষ্টি ঘোরাতে লাগলাম। আমি খুঁজতে লাগলাম, আমার সেই আম্মুরিয়ার বন্ধুটির বর্ণিত নবুয়্যাতের মোহরটি। রাসূল (স.) আমাকে তার পিঠের দিকে ঘন ঘন তাকাতে দেখে বুঝতে পারলেন। তিনি তার পিঠের চাদরটি সরিয়ে নিলেন এবং আমি মোহরটি স্পষ্ট দেখতে পেলাম। আমি তখন পরিষ্কারভাবে তাকে চিনতে পারলাম এবং হুমড়ি খেয়ে পড়ে তাকে চুমুতে ভরে দিলাম ও কেঁদে চোখের পানিতে বুক ভাসালাম। আমার এ অবস্থা দেখে রাসূল (স.)জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমার খবর কি? আমি সব কাহিনী খুলে বললাম। তিনি আশ্চর্য হয়ে গেলেন এবং আমার মুখ দিয়েই এ কাহিনীটা তার সংগীদের শোনাতে চাইলেন। আমি তাদেরকে শোনালাম। তারা অবাক হয়ে গেলেন, খুবই আনন্দিত হলেন। সালমান ইসলাম গ্রহণের পর রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁকে দাসত্ব থেকে মুক্তির ব্যবস্থা করেন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘সালমান! তোমার মনিবের সঙ্গে মুক্তিপণের চুক্তি করে আজাদ হওয়ার ব্যবস্থা করো।’ তিনি বলেন, ‘মনিবের সঙ্গে আমার চুক্তি হলো, ৩০০ খেজুরগাছের চারা লাগিয়ে দেব এবং ৪০ উকিয়া স্বর্ণও দেব। এর বিনিময়ে মুক্তি লাভ করব। এই চুক্তির কথা আমি রাসুল (সা.)-কে জানালাম।’ তিনি সাহাবিদের ডেকে বলেন, ‘তোমরা তোমাদের এ ভাইকে সাহায্য করো।’ তাঁরা প্রত্যেকে ১০, ২০, ৩০, যাঁর পক্ষে যা সম্ভব খেজুরের চারা দিয়ে সালমানকে সাহায্য করলেন। এভাবে তাঁর ৩০০ চারার ব্যবস্থা হয়ে গেল। মনিবের নির্ধারিত স্থানে চারাগুলো লাগানোর কাজে খোদ রাসুল (সা.) তাঁর সঙ্গে গেলেন।
কিছুদিন যেতে না যেতে এক লোক ডিমের মতো এক টুকরা স্বর্ণ নিয়ে উপস্থিত হলো রাসুল (সা.)-এর কাছে। রাসুল (সা.) সালমান (রা.)-কে ডেকে বলেন, ‘যাও এটা দ্বারা তোমার মুক্তিপণ পরিশোধ করো।’ এভাবে তিনি দাসত্বের জিঞ্জির থেকে মুক্তি লাভ করেন।

সালমান ফারসী থেকে ৬০ টি সহীহ্ হাদিস বর্ণিত আছে।কারো কারো মতে তিনি ২৫০ বছর বেচে ছিলেন, আবার কারো মতে ৩৫০ বছর।

তিনি মারা যাওয়ার পর তার ঘরে একটি বড় পেওলা,একটা থালা আর একটি পানির পাত্র ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায়নি।আল্লাহু আকবার। সত্যের ধর্ম গ্রহণের জন্য মাজুসি ধর্ম থেকে খ্রিষ্ট ধর্ম তারপর ইসলাম। এমন আর কোনো সত্যান্বেষী পৃথিবীতে আছেন বলে আমার জানা নেই।

সোর্সঃ
উইকিপিডিয়া,
মিশকাত(আসমাউর রিজাল),পৃষ্ঠা ৫৯৭।
আসহাবে রাসূলের জীবনকথা ১/১৭১,১৭২।

No comments:

Post a Comment

Recent Post

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯

১. ‘ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ ’ কবিতায় সালামের হাতে কেন অবিনাশী বর্ণমালা ঝরে ? ক. সংগ্রামী চেতনার কারণে     খ. দুঃখিনী মাতার অশ্রুজল দেখে গ. বরকত...

Most Popular Post