১. দুর্গেশনন্দিনী (১৮৬৫)
* দুটি খণ্ড(১ম
খণ্ডে-২১,২য় খণ্ডে-২২ টি পরিচ্ছেদ)
* জগৎসিংহঃ মানসিংহের পুত্র/কৃষ্ণপুর থেকে মান্দারন যাচ্ছিলেন।
* তিলোত্তমাঃ গল্পের নায়িকা/জগৎসিংহকে ভালোবাসে/
* বীরেন্দ্র সিং- তিলোত্তমার বাবা/মান্দারনের রাজা/
* বিমলাঃ তিলোত্তমার মা/
* অভিরাম স্বামীঃ বিমলার বাবা/
* আশামনিঃ বিমলার দাসী/
* কতলু খাঁঃ পাঠান নবাব/উৎসবের রাতে নিহত/
* আয়েষাঃ কতলু খাঁর
মেয়ে/জগৎসিংহকে ভালোবাসে/আত্মহত্যা করতে গিয়ে করেনি/
* ওসমানঃ কতলু খাঁর সেনাপতি/
* শৈলেশ্বর মন্দিরঃ
* ২৩৩ পৃষ্ঠার মধ্যে দুর্গেশনন্দিনী শব্দটি আছে একবার/২৯ পৃষ্ঠায়।
০২. কপালকুণ্ডলা(১৮৬৬)
* নবকুমারঃসপ্তগ্রাম নিবাসী/কাঠ আনার ব্যবস্থা/একবার বলো তুমি অবিশ্বাসী নও/
* কপালকুণ্ডলাঃপলায়ন করো/পালকিতে ভ্রমণ/মতিবিবি কর্তৃক প্রদত্ত অলংকার ভিক্ষুককে প্রদান/
* কাপালিকঃনরবলি দেবে নবকুমারকে/একবছর ধরে অনুসন্ধান/ভৈরবীর কাছে কপালকুণ্ডলাকে
বলি দিতে চায়/গোপণপত্র/
* অধিকারীঃ
* শ্যামাসুন্দরীঃ কপালকুণ্ডলার ননদ/
* মতিবিবিঃআসল নাম পদ্মাবতী/কৈশোরে বিবাহ/বাবার বাড়ি থাকত/রামগোবিন্দ ঘোষালের
কন্যা/১৩বছর বয়সে উড়িষ্যা/মুসলমান হওয়ার পর নাম হয় লুৎফুন্নেছা/পরে ছদ্মবেশ ধারণ
করেন মতিবিবি নামে/যুবরাজ সেলিমের প্রণয়ভোগিনী ছিল/সাম্রাজ্ঞী হওয়ার আকাঙ্ক্ষা
/খসরুকে সিংহাসনে বসানোর ষড়যন্ত্র/মেহেরুন্নেসার মনের কথা জেনে নেয়/
* মেহেরুন্নিসাঃ যুবরাজ সেলিমের গোপণ প্রণয়িণী/
* বিল্বপত্র
* পন্থশালা
০৩. চন্দ্রশেখর(১৮৭৫)
১. শৈবলিনীঃ
২. প্রতাপঃ
৩. চন্দ্রশেখরঃ
৪. ফস্টরঃ
★ এটা একটি ঐতিহাসিক রোমান্সধর্মী উপন্যাস।
★ কেন মরিব? প্রতাপ আমার কে!!!
★ উপন্যাসের মূল চরিত্র শৈবলিনী।
★ এই উপন্যাসের চালিকা শক্তি শৈবলিনীর জীবন তৃষ্ণা।
প্রত্যেকটা উপন্যাস দাঁড়িয়ে থাকে একটা প্লটের উপর।প্লটটাকে উপন্যাসের ভিত্তি বলা
যেতে পারে।
★ বঙ্কিমের নীতি প্রিয়তা।বিষবৃক্ষে কুন্দনন্দিনীকে বিষ খেয়ে মরতে
হয়েছে,কৃষ্ণকান্তের উইলে রোহিনীকে পিস্তলের সামনে মরতে হয়েছে,চন্দ্রশেখরে
শৈবলিনীকে বলপূর্বক বিবাহিত জীবনে ফিরতে হয়েছে।হৃদয়ের উপর নীতির প্রাধান্য
প্রতিষ্ঠিত।বঙ্কিম মনে করতেন সাহিত্য সমাজের জন্য,সমাজের হিতের জন্য,কিন্তু তাই
বলে বঙ্কিম সাহিত্যে মানব হৃদয়কে অস্বীকার করতে পারেন নি।
মনের সঙ্গে নীতির লড়াইয়ে বঙ্কিম শেষ পর্যন্ত নীতিকে প্রাধান্য দিয়েছে।
রবীন্দ্রনাথ পারেননি বিনোদিনী আর বিহারির বিয়ে দিতে।
০৪. কৃষ্ণকান্তের উইলঃ(১৮৭৮)
হরিদ্রা গ্রাম
★ কৃষ্ণকান্তঃ
তিন ছেলে।
* হরলাল (তিন আনা)
* বিনোদলাল (তিন আনা)
* শৌলবতী,মেয়ে (এক আনা)
* স্ত্রী (এক আনা)
★
রামকান্তঃ কৃষ্ণকান্তের ভাই।
* গোবিন্দলাল (আট আনা)
* ভ্রমর (গোবিন্দলালের স্ত্রী)
* মাধবীনাথ (ভ্রমরের পিতা)
* নিশাকর ( মাধবীনাথের বন্ধু)
* শশীকান্ত ( গোবিন্দলালের ভাগিনেয়).
★ ভ্রহ্মানন্দ
ঘোষ(উইল লেখক)
* রোহিনী ( ভ্রহ্মানন্দের ভ্রাতুষ্কন্যা), সে বিধবা ছিল।
★ কৃষ্ণকান্ত
উইল করে।তা মেনে না নিয়ে তার বড় ছেলে হরলাল রোহিনীকে দিয়ে তা চুরি করিয়ে নকল উইল
দিয়ে আসে।পরে রোহিনীকে বিয়ে না করলে রোহিনী পুনরায় উইল দিতে গিয়ে ধরা পড়ে।পরে
রোহিনীর সঙ্গে প্রেম হয়।একসময় পালিয়ে যায়।সেখানে নিশাকরের ছলনায় শিকার হলে
গোবিন্দলাল তাকে হত্যা করে।পরে ভ্রমরের কাছে ফিরে আসে।।
০৫.
চোখেরবালি(১৯০৩)মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাসঃ
* মহেন্দ্রঃ গল্পের নায়ক।
* আশালতাঃ মহেন্দ্রর স্ত্রী।
* বিনোদিনীঃ বিধবা
* বিহারীঃ মহেন্দ্রের কাকাতো ভাই।
* রাজলক্ষ্মীঃ মহেন্দ্র এর মা।
* অন্নপূর্ণাঃ মহেন্দ্র এর চাচী।
★বিয়ে করবে না
বলেও বিয়ে করেছে আশাকে।পরে বিধবা বিনোদিনীর প্রেমে পড়ে যায় মহেন্দ্র।অন্যদিকে
বিনোদিনীর ভালো লাগে বিহারিকে।আবার বিহারির ভালো লাগে আশাকে।একটা জটিল প্রেমের
কাহিনি হলো চোখের বালি উপন্যাস।
০৬. নৌকাডুবি
(১৯০৬)
১. রমেশঃকলকাতা/Law/বাবার চিঠি/
২. হেমনলিনীঃমাতৃহীন/
৩. কমলাঃ
৪. ডাক্তার নলিনাক্ষঃ
* গঙ্গার প্রবল ঘুর্ণিঝড়
০৭. শেষের কবিতা
(গ্রন্থাকারে প্রকাশ-১৯২৯)
* উপন্যাসের পূর্বনাম 'মিতা'।প্রথম প্রকাশিত হয় 'প্রবাসীতে। উপন্যাসটি লেখার সময়
রবীন্দ্রনাথের বয়স তখন ৬৮ বছর।শিলং পাহাড়ের পথে বিপরীতমুখী দুটি গাড়ির পরস্পর
আকস্মিক দুর্ঘটনায় পরিচয় হয় বিলেত ফেরত ব্যারিস্টার অমিত রায় ও লাবণ্যর।
* অমিতরায়ঃ ব্যারিস্টার/পড়াশোনার প্রতি তেমন আগ্রহ নেই/ জীবন-জীবিকার
চিন্তা নেই/ নিজের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করাতে চায়/রোমান্টিক/ কথা দিয়ে চমক
লাগা/মেয়েদের সম্পর্কে আগ্রহ নেই,কিন্তু উৎসাহ আছে/রুচির তৃষ্ণা মেটানো/নিরাপত্তা
বা দায়িত্ব সচেতনতা ছিল না/ব্যক্তি লাবণ্যকে ভালোবাসেনি কথা ও রুচির লাবণ্যকে
ভালোবেসেছে/
---মেয়েদের সম্বন্ধে ওর মন তর্কই করে, মীমাংসায় আসে না।
---
* লাবণ্যলতাঃ পিতার বিবাহ দেন/ ব্যক্তিত্য এবং চরিত্রে ছিল
বলিষ্ঠ/অমিত কথা দিয়ে তাকে গড়েছে রুচির তৃষ্ণা মেটানোর জন্য/ কথা পুরালে লাবণ্য
পুরাবে/
* অবনীশদত্তঃ লাবণ্যের বাবা/কলেজের অধ্যক্ষ/
* শোভনলালঃজোরের সঙ্গে প্রত্যক্ষ করাতে পারেনি নিজেকে/
* কেতকীরায়ঃ
* যোগমায়াঃ
* সিসি-লিসিঃ
* জ্ঞানদাশংকর,বরদাশংকর,যতিশংকরঃ
* শিলং পাহাড়/চেরাপুঞ্জি /
★ রুচির
তৃঞ্চা মিটিয়ে কত সুন্দরী মেয়েদের পাশ কাটিয়ে এসেছে এতকাল।
★ সম্পর্কের
ক্ষেত্রে মনের মিল,পছন্দের মিল, রুচির মিল গুরুত্বপূর্ণ।
★ কলসির জল আর
দিঘির জল।উনবিংশ শতকের গোড়ায় অনন্য উক্তি।
★ ‘ফ্যাশনটা
হলো মুখোশ, স্টাইল মুখশ্রী।
*** রবীন্দ্রনাথ যে চির নতুন চির আধুনিক তা শেষের দেখলেই বুঝা যায়।(বুদ্ধদেব বসু)
** বাঙালি রোমান্টিকতার কারণে 'শেষের কবিতা'- থেকে বের হয়ে আসতে পারে না।
*** শিলঙ পাহাড়ে অমিত ও লাবণ্য যখন একসঙ্গে ঘুরতে গেলো তখন অমিত লাবণ্যকে
একটা ছ্যাৎলা পড়া পাথরের মধ্য বসতে অনুরোধ করলে লাবণ্য ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বলল,
‘কিন্তু সময় যে অল্প। ’
অমিত বলল, ‘জীবনে সেটাই তো শোচনীয় সমস্যা লাবণ্যদেবী, সময় অল্প। ... সময় যাদের
বিস্তর তাদের পাঙ্কচুয়াল হওয়া শোভা পায়। দেবতার হাতে সময় অসীম; তাই ঠিক সময়টিতে
সূর্য ওঠে, ঠিক সময়ে অস্ত যায়। আমাদের মেয়াদ অল্প, পাঙ্কচুয়াল হতে গিয়ে সময় নষ্ট
করা আমাদের পক্ষে অমিতব্যয়িতা। ’
*** দ্বৈত প্রেমের আবেশে আবিষ্ট অমিত।তার প্রমাণ অমিতের উক্তি,
"কেতকীর সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালবাসারই। কিন্তু সে যেন ঘড়ায় তোলা জল,
প্রতিদিন তুলব, প্রতিদিন ব্যবহার করব। আর লাবণ্যের ভালবাসা, সে রইল দীঘি। সে ঘরে
আনবার নয়, আমার মন তাতে সাঁতার দেবে।"
অথবা, ‘যে ভালবাসা ব্যাপ্তভাবে আকাশে থাকে অন্তরের মধ্যে সে দেয় সঙ্গ; যে ভালবাসা
বিশেষভাবে প্রতিদিনের সব-কিছুতেই যুক্ত হয়ে থাকে সংসারে সে দেয় আসঙ্গ। দুটোই আমি
চাই।"
পাঁচ বছর পূর্বেকার ভালো-লাগা পাঁচ বছর পরেও যদি একই জায়গায় খাড়া দাঁড়িয়ে থাকে তা
হলে বুঝতে হবে, বেচারা জানতে পারে নি যে সে মরে গেছে। ’
*** কেতকীর সম্পর্কে বলতে গিয়ে লাবণ্য বললো, ‘অন্তত হপ্তাখানেকের জন্য তোমার
দলকে নিয়ে তুমি চেরাপুঞ্জিতে বেড়িয়ে এসো। ওকে (কেতকি) আনন্দ দিতে নাও যদি পারো,
ওকে আমোদ দিতে পারবে।
*** তোমারে যা দিয়েছিনু সে তোমারই দান
গ্রহণ করেছ যত ঋণী তত করেছ আমায়,
হে বন্ধু বিদায়।
০৮. রক্তকরবী (১৯২৬),নাটক
* রাজা
* নন্দিনী
* যক্ষপুরী
০৯. গৃহদাহ(১৯২০ সালে প্রকাশ,৪৪ টি পরিচ্ছেদ)
* মহিমঃ চব্বিশ পরগণা জেলার।সিটি কলেজে এফএ পাশ।দুইশত টাকা ও অচলার গহনা আগুন থেকে
বাঁচায়।রাজপুত্রের টিউটর হিসেবে মহিম ছাত্রের সাথে ডেহরিতে বেড়াতে আসে।
* সুরেশঃ ডাক্তারি পড়ে।ব্রাহ্মকে ঘৃণা করে।মাঝুলিতে প্লেগ রোগে আক্রান্ত।
* অচলাঃ ১৭-১৮ বছর।
* মৃণালঃ ২০-২১ বছর।মহিমের দূর সম্পর্কের বোন।স্বামী ভবানী ঘোষাল নিউমোনিয়ায় মারা
যায়।
* রাক্ষসীঃ আরেক নাম বীণাপানি।ট্রেনেই অচলার সঙ্গে প্রথম দেখা হয়।
* কেদার মুখুজ্জেঃ অচলার বাবা।পটলডাঙার স্থায়ী বাসিন্দা।
* রামচরণ লাহিড়ীঃ রাক্ষসীর বাবা।
* নিশীথঃ সুরেশের বন্ধু।
* বিকাশবাবুঃ কেদারবাবু থেকে তিন-চার হাজার টাকা পেত।
১০. দেবদাস(লিখেছেন ১৯০০,কিন্তু প্রকাশিত হয়-১৯১৭)
চরিত্র ও তথ্য সমূহ
১. দেবদাস(দেবদা)/দেবদাস মুখার্জিঃ
২. পার্বতী (পারো)-ঃ
৩. হরিমতিঃ- দেবদাসের মা/
৪. নারায়ণ মুখার্জিঃ দেবদাসের বাবা/
৫. নীলকন্ঠ চক্রবর্তীঃ পার্বতীর বাবা/
৬. ভুবন চৌধুরীঃ পার্বতীর স্বামী / হাতিপুতা গ্রামের জমিদার/পূর্বের স্ত্রী
মারা যায়/তিন সন্তান প্রায় পার্বতীর সমবয়সী/
৭. চুনিলালঃ দেবদাসের কলকাতার বন্ধু
৮. চন্দ্রমুখীঃ বাঈজী ছিল/
উপন্যাসে দেবদাস (সম্পুর্ন নাম দেবদাস মুখার্জি)
বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে তৎকালীন ব্রাহ্মন জমিদার বংশের সন্তান,
পার্বতী(পারো) এক সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে৷ বাংলার তালসোনাপুর গ্ৰামে এই
দুই পরিবারের পাশাপাশি বাস। ছোটবেলা থেকেই দেবদাস ও পার্বতীর অন্তরঙ্গ বন্ধুত্ব যা
পরবর্তীতে প্রেমের রূপ নেয়। দেবদাস বয়সে পার্বতীর চেয়ে কিছু বড়ো। দেবদাস ও
পার্বতী একে অপরকে 'পারো' ও 'দেবদা' বলে ডাকে। বিদ্যালয়ে পড়াশোনা থেকে পুকুরে
মাছ ধরা পর্যন্ত প্রত্যেকটি কাজই তারা এক সঙ্গে করত৷ পার্বতী কিছু ভুল করলে
দেবদাস তাকে মারতো, তবুও এদের সম্পর্ক বন্ধুর মতই ছিল৷
ঘটনা পরম্পরায় দেবদাসকে কলকাতা শহরে পাঠানো হয় পড়াশোনা করার জন্য।
কয়েক বছর পর ছুটির সময় সে তার গ্ৰামে ফিরে আসে। কৈশোরে উত্তীর্ণ দুজন হঠাৎই
অনুভব করে, তাদের বাল্যকালের বন্ধুত্ত্ব আরও গভীর কিছুতে উত্তীর্ণ হয়েছে। দেবদাস
দেখে যে তার ছোটবেলার পারো বদলে গেছে। পার্বতী তাদের কৈশোরের প্রেম বিবাহবন্ধনে
পরিস্ফুটনের কথা ভাবে। প্রচলিত সামাজিক রীতি অনুযায়ী, পার্বতীর বাবা-মাকে
দেবদাসের বাবা-মায়ের কাছে তাদের বিবাহের প্রস্তাব আনতে হবে।
পার্বতীর মা দেবদাসের মা হরিমতির কাছে বিয়ের প্রস্তাব আনলে তিনি আনন্দিত হলেও
পাশের বাড়ির সাথে এই সম্পর্ক রাখতে তিনি বিশেষ উৎসাহী হননা। তাছাড়া পার্বতীর
পরিবারে দীর্ঘকাল থেকে বরের পরিবার থেকে 'পণ' গ্ৰহনের প্রথা চলে আসছে। দেবদাসের মা
তাই পার্বতীর পরিবারকে "বেচা-কেনা ছোটঘর" মনে করে এই সম্পর্কে অসম্মত
হন। দেবদাসের বাবা, নারায়ণ মুখার্জিও এই যুক্তি সমর্থন করেন। এতে পার্বতীর পিতা
নীলকন্ঠ চক্রবর্তী অপমানিত বোধ করেন ও পার্বতীর জন্য আরও ধনী গৃহে বিয়ে ঠিক করেন।
পার্বতী একথা জানলে দেবদাস অন্তত তাকে গ্ৰহন করবে এই আশায় রাতের অন্ধকারে তার
সাথে দেখা করে। দেবদাস মনস্থির করে তার বাবাকে বললে, তিনি অরাজি হন।
বিভ্রান্ত অবস্থায়, দেবদাস বাড়ি থেকে কলকাতায় পালিয়ে যায়। সে চিঠি লিখে
পার্বতীকে জানায় যে সে এই সম্পর্ক আর রাখতে চায় না।
পার্বতী বিয়ের জন্য প্রস্তুত হয়। এরপর দেবদাস বললেও আর সে ফিরে যেতে চায় না ও
কাপুরুষতার জন্য তাকে ধিক্কার জানায়। তবুও, সে দেবদাসকে বলে যে তার মৃত্যুর আগে
যেন সে দেবদাসকে অন্তত একবার দেখতে পায়। দেবদাস এই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়।
দেবদাস কলকাতায় ফিরে যায় ও পার্বতীর হাতিপোতা গ্ৰামে ভুবন চৌধুরী নামে এক
জমিদারের সাথে বিয়ে হয়। ভুবন চৌধুরীর পূর্বের স্ত্রী মারা গেছেন ও তার তিনজন
সন্তান রয়েছে, যারা পার্বতীর প্রায় সমবয়সী বা তার চেয়ে বড়ো।
কলকাতায় গিয়ে দেবদাসের চুনীলালের সাথে বন্ধুত্ব হয় ও তার মাধ্যমে সে চন্দ্রমুখী
নামে এক বাঈজীর সাথে পরিচিত হয়। সে দেবদাসের প্রেমে পড়ে, যদিও দেবদাস
তাকে ঘৃণা করতে থাকে। হতাশাগ্ৰস্ত দেবদাস অত্যধিক মদ্যপান শুরু করলে তার শরীর
ক্রমশ ভেঙে পড়ে। চন্দ্রমুখী তার দেখভাল করতে থাকে। দেবদাস তার মনে প্রতিনিয়ত
পার্বতী ও চন্দ্রমুখীর তুলনা করতে থাকে ও চন্দ্রমুখীকে সে পারোর কথা বলে। দুঃখ
ভুলতে দেবদাস ক্রমশ মদ্যপানের মাত্রা বাড়াতে থাকে ও তাতে তার স্বাস্থ্যের চরম
অবনতি ঘটে। চন্দ্রমুখী বুঝতে পারে যে দেবদাসের ভিতরের আসল মানুষটির আজ পতন ঘটেছে।
লক্ষ্যশূন্য দেবদাস শেষপর্যন্ত চন্দ্রমুখীর প্রেমে পড়তে বাধ্য হয়।
শীঘ্র আসন্ন মৃত্যুর কথা অনুভব করতে পেরে দেবদাস, পারোকে দেওয়া তার পূর্বের
প্রতিজ্ঞা পূর্ণ করতে হাতিপোতা গ্ৰামে পার্বতীর কাছে রওনা হয়। পার্বতীর বাড়ির
সামনে পৌঁছে, এক অন্ধকার শীতের রাতে দেবদাসের মৃত্যু হয়। দেবদাসের মৃত্যুর খবর
শুনে পার্বতী সেখানে ছুটে যায়, কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর আগেই, বাড়ির লোকজন তাকে
বাড়ির চৌকাঠ অতিক্রম করতে দেয়না।
শরৎচন্দ্র তার অন্যান্য অনেক উপন্যাসগুলির মতো এটিতেও তৎকালীন বঙ্গসমাজের
নিষ্ঠুরতার চিত্র কঠোরভাবে তুলে ধরেছেন, যে সমাজব্যবস্থা এক সত্যিকারের প্রেমের
শুভ পরিনতির এক বৃহৎ বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
* দেবদাস
* পার্বতী
* চন্দ্রাবতী
১১. বড়দিদি
সুরেন্দ্রনাথ
প্রমিলাঃ ৭ বছরের মেয়ে।
মাধবীঃ ১৬ বয়সী। ১১ বছরে বিয়ে হয়।
শান্তিঃ সুরেন্দ্রনাথের স্ত্রী।
১২. মেঝদিদিঃ
* কেষ্টঃ ১৪ বছর।
* কাদম্বিনীঃ কেষ্টর সৎ বোন।
* বিপিনঃ কাদম্বিনীর স্বামী।
* পাঁচুগোপালঃ কাদম্বিনীর সন্তান।
* হেমাঙ্গিনীঃ কাদম্বিনী এর জা।
* নবীনঃ বিপিন এর ভাই।
* উমা আর ললিত হেমাঙ্গিনীর সন্তান।
★বাবা মা
হারিয়ে কেষ্ট আশ্রয় নেয় সৎ বোন কাদম্বিনীর কাছে।কাদম্বিনী লোকলজ্জার ভয়ে কেষ্টকে
নিজের কাছে রাখলেও তাকে মোটেও আদর করত না।কেষ্টর কাছে মা-বোনের স্থলাভিষিক্ত হয়ে
ওঠে মেঝদিদি হেমাঙ্গিনী।
[ ] অরক্ষণীয়া.
১৩. পুতুল নাচের
ইতিকথা(১৯৩৬)
* শশীঃ ডাক্তার/
* বিন্দুঃরক্ষিতা/বাইজি করে রেখেছে/
* নন্দলালঃবিন্দুর স্বামী/
* গোপালদাসঃ মহাজন/
* হারুঘোষঃমৃত/
* পরানঃ হারুঘোষের ছেলে/
* কুসুমঃ পরানের স্ত্রী/
* মতিঃকুসুমের ননদ/কুমুদের বউ/
* কুমুদঃ শশীর বন্ধু / মতির স্বামী /
* যাদবপণ্ডিতঃ আফিমখেয়ে আত্মহত্যা/৪০০০০ টাকা/ হাসপাতাল/
* সেনদিদিঃ যামিনী কবিরাজের স্ত্রী/
* গাওদিয়া গ্রামঃ
১৪. হাঁসুলী বাঁকের উপকথাঃ ছয়টি পর্ব আছে/
* সুচাঁদ বুড়িঃ সকলের পিসি/সংস্কৃতি ধরে রাখা/
* বানোয়ারিঃ কোশকেঁদে/কাহারপাড়া মাতব্বর/সামন্তবাদের প্রতিক/খুব
শক্তিশালী কালা পাহাড়ের মতো শরীর/
* গোপালিবালাঃবানোয়ারির কর্তব্যপরায়ণ স্ত্রী/
* কালোশশীঃ আটপৌরে পাড়ার/ এবং পরম ডাকাতের স্ত্রী/বানোয়ারির
ভালোবাসার মানুষ/
* করালিঃপ্রতিবাদী,বিদ্রোহী,যুক্তিবাদী,বিজ্ঞান
মনস্ক,ব্যক্তিস্বাতন্ত্রবাদী চরিত্র/পাকা বাড়ি তৈরি/পুঁজিবাদের প্রতিক/চন্দনপুরে
বা চন্নপুরের রেলস্টেশনে কুলির কাজ করত/
* সুবাসিঃ করালি ওকে বিয়ে করেছে/বানোয়ারি তার মধ্যে কালোশশিকে
দেখতে পায়/
* পাখিঃ সুচাঁদের নাতনি/করালির স্ত্রী/দুরন্ত স্বভাবের/প্রেমের
অপমৃত্যু/
* নসুবালাঃ তৃতীয় লিঙ্গের ধরা যায়/করালির সমর্থক/
* বাঁশবাদি গ্রামঃ হাসুলি গয়নার মতো কোপাই নদীর তীরে অবস্থিত/
* কাহারপাড়াঃ
* চন্দ্রবোড়া সাপঃ
★ যার সঙ্গে
মিলে মন সে আমার আপনজন
★ নিচু
প্রজাতিরা সতী হলে ভদ্র সমাজের পাপ ধারণ করবে কে?
No comments:
Post a Comment