১. মাদার তেরেসা আশৈশব স্বপ্ন দেখেন মানব সেবার। এক সময় যোগ দেন খ্রিস্টান মিশনারি সংঘে। মানুষকে আরো কাছে থেকে সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে সন্ন্যাসব্রত গ্রহণ করেন। প্রতিষ্ঠা করেন মিশনারিজ অব চ্যারিটি। তাঁর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আরও অনেকেই এগিয়ে আসেন এ মহান কাজে। এক সময় এ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি লাভ করেন নোবেল পুরস্কার। সারা জীবনের তাঁর সবটুকু উপার্জনই বিলিয়ে দেন মানবের কল্যাণে।
ক) কোথায় মানুষেরা নির্ভাবনায় ঘুমিয়ে থাকে?
খ) বিত্ত-সুখের ভাবনাহীন মানুষেরা সংশয়হীন কেন?
গ) মাদার তেরেসার মানসিকতা ‘আশা’ কবিতার কোন দিকটিকে তুলে ধরেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ) “মাদার তেরেসার দর্শনই যেন ‘আশা’ কবিতার ভাববস্তু” – যুক্তিসহ প্রমাণ কর।
২। শুথু স্বপ্ন, শুধু স্মৃতি, তাই নিয়ে থাকি নিতি
আর আশা নাহি রাখি সুখের দুখের।
আমি যাহা দেখিয়াছি আমি যাহা পাইয়াছি
এ জনম-সব
জীবনের সব শূন্য আমি যাহে ভরিয়াছি
তোমার তা কই!
ক) ‘আশা’ কবিতাটি কবির কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত?
খ) প্রতিবেশীর অন্ধকার ঘরে কীভাবে আলো জ্বালানো যায়? ব্যাখ্যা কর।
গ) উদ্দীপকটি ‘আশা’ কবিতার কোন দিকটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ) ‘শূন্যতার মাঝেই রয়েছে জীবনের সকল প্রাপ্তি’ – যা ‘আশা’ কবিতাতেও প্রতিফলিত হয়েছে- মন্তব্যটি মূল্যায়ন কর।
৩. গ্রামের স্কুল মাস্টার সজীব সাহেবের তেমন টাকা-পয়সা নেই। তারপরও প্রতিনিয়ত নেপাল অন্যের উপকার করেন। দরিদ্র ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার জন্য নিজের কিছু টাকা এবং অন্যদের সহযোগিতায় ফান্ড গঠন করেন। সেই ফান্ড থেকে চলতে থাকে গরিব ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনার খরচ। এতেই নেপাল জীবনের আনন্দ খুঁজে পান।
ক) ‘আশা’ কবিতাটি কার লেখা?
খ) মানুষকে ভালোবাসার বিষয়টির প্রতি কবি কেন গুরুত্ব দিয়েছেন? ব্যাখ্যা কর।
গ) উদ্দীপকের সজীব সাহেবের ভাবনার সঙ্গে ‘আশা’ কবিতার কবির ভাবনার সাদৃশ্য বুঝিয়ে লেখ।
ঘ) “উদ্দীপকের সজীব সাহেবের আনন্দের দিকটিই ‘আশা’ কবিতার সম্পূর্ণ ভাবার্থ নয়।” মন্তব্যটি তুমি সমর্থন কর কি? তোমার মতের পক্ষে যুক্তি দাও।
৪. লোক : দুনিয়াতে আমার মতো সুখী কে? আমি সুখের ডরাজা। আমি মস্ত বড় বাদশা।
রহমত : ও বাদশা ভাই, তোমার গায়ের জামা কোথায়? ঘরের মধ্যে রেখেছ? তোমাকে একশ টাকা দেব। জামাটা নিয়ে এস।
লোক : জামা!
রহমত : জামা মানে জামা! এই যে, আমাদের এই জামার মতো জিনিস।…
লোক : আমার তো কোনো জামা নাই ভাই!
হাসু : মিছে কথা বল না।
লোক : মিছে বলব কেন? আমার ঘরে কিছু নাই। সেই জন্যই তো আমি সুখী মানুষ।
ক) সিকান্দার আবু জাফর কর্মজীবনে কী ছিলেন?
খ) ‘নির্ভাবনায় মানুষেরা ঘুমিয়ে থাকে ভাই’- এ কথাটি কেন বলা হয়েছে?
গ) উদ্দীপকের সঙ্গে ‘আশা’ কবিতার মিলের ক্ষেত্রটি চিহ্নিত কর।
ঘ) “উদ্দীপকের সুখী মানুষ ‘আশা’ কবিতার কবির ভাবনার প্রতিরূপ” মন্তব্যটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর।
৫. ফরহাদ সাহেবের স্ত্রীর খুব মন খরাপ। তার স্বামী অনেক টাকা হাতে পেয়েও তার সবটাই এক বৃদ্ধাশ্রমে দিয়ে আসেন। তার স্ত্রীর অভিমানের সুরে বলেন, টাকাগুলো আমায় দিলে আমি গহনা বানাতে পারতাম। ফরহাদ সাহেব বলেন, তোমার গহনার চেয়েও সেসব অসহায় মানুষের হাসি আমার কাছে বেশি প্রিয়। হারানো বাবা-মায়ের মুখের হাসি আমি সেখানে খুঁজে পাই।
ক) বিত্তসুখের দুর্ভাবনায় মানুষের কী কমে যায়?
খ) ‘আমি সেই জগতে হারিয়ে যেতে চাই’ চরণটি দ্বারা কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন? ব্যাখ্যা কর।
গ) উদ্দীপকের ফরহাদ সাহেবের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ‘আশা’ কবিতার কবির মনোভাবের সাদৃশ্য নির্ণয় কর।
ঘ) “উদ্দীপকের ফরহাদ সাহেবের স্ত্রীর ভাবনা ‘আশা’ কবিতার কবির ভাবনাকে কোনোভাবেই প্রতিনিধিত্ব করে না।” মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর।
No comments:
Post a Comment