নির্মিতি অংশ (মান-
১। সারাংশ/ সারমর্ম লেখো : ৫
১। বাঙালি যেদিন ঐক্যবদ্ধ হয়ে বলতে পারবে—‘বাঙালির বাংলা’ – সেদিন তারা অসাধ্য সাধন করবে। বাঙালির মতো জ্ঞানশক্তি ও প্রেমশক্তি (ব্রেন সেন্টার ও হার্ট সেন্টার) এশিয়ায় কেন, বুঝি পৃথিবীতে কোনো জাতির নেই। কিন্তু কর্মশক্তি একেবারে নেই বলেই তাদের এই দিব্যশক্তি তমসাচ্ছন্ন হয়ে আছে। তাদের কর্মবিমুখতা, জড়ত্ব, মৃত্যুভয়, আলস্য, তন্দ্রা, নিদ্রা ব্যবসা-বাণিজ্যে অনিচ্ছার কারণ। তারা তামসিকতায় আচ্ছন্ন হয়ে চেতনাশক্তিকে হারিয়ে ফেলেছে। এই তমঃ, এই তিমির, এই জড়ত্বই অবিদ্যা। অবিদ্যা কেবল অন্ধকার পথে, ভ্রান্তির পথে নিয়ে যায়; দিব্যশক্তিকে নিস্তেজ, মৃতপ্রায় করে রাখে।
২। বাঙালি যেদিন ঐক্যবদ্ধ হয়ে বলতে পারবে ‘বাঙালির বাংলা’, সেদিন তারা অসাধ্য সাধন করবে। বাঙালির মতো জ্ঞানশক্তি ও প্রেমশক্তি (ব্রেন সেন্টার ও হার্ট সেন্টার) এশিয়ার কেন, পৃথিবীর কোনো জাতির নেই। কিন্তু কর্মশক্তি এককভাবে নেই বলেই তাদের এই দিব্যশক্তি তমসাচ্ছন্ন হয়ে আছে। তাদের কর্মবিমুখতা, জড়তা, মৃত্যুভয়, আলস্য, তন্দ্রা ও নিদ্রা ব্যবসা-বাণিজ্যে অনিচ্ছার কারণ। তারা তামসিকতায় আচ্ছন্ন হয়ে চেতনাশক্তিকে হারিয়ে ফেলেছে। এই তম, এই তিমির, জড়তাই অবিদ্যা। অবিদ্যা কেবল অন্ধকার পথে, ভ্রান্তির পথে নিয়ে যায়; দিব্যশক্তিকে নিস্তেজ ও মৃতপ্রায় করে রাখে।
৩। সূর্যের আলোতে রাতের অন্ধকার কেটে যায়।শিক্ষার আলো আমাদের অজ্ঞতা দূর করে। আমাদের দৃষ্টিতে চারপাশের জগৎ আরো সুন্দর হয়ে ওঠে। আমরা জীবনের নতুন অর্থ খুঁজে পাই; শিক্ষার আলো পেয়ে আমাদের ভেতরের মানুষটি জেগে ওঠে। আমরা বড় হতে চাই, বড় হওয়ার জন্য চেষ্টা করি। আমরা সুন্দর করে বাঁচতে চাই, বাঁচার মতো বাঁচতে চাই। আর সুন্দর করে বাঁচতে হলে চাই জ্ঞান। সেই জ্ঞানকে কাজেও লাগানো চাই। শিক্ষার ফলে আমাদের ভেতরে যে শক্তি লুকানো থাকে তা ধীরে ধীরে জেগে ওঠে।আমরা মানুষ হয়ে উঠি।
অথবা,
সারমর্ম লেখো :
১। এই যে বিটপী-শ্রেণি হেরি সারি সারি—
কী আশ্চর্য শোভাময় যাই বলিহারি!
কেহ বা সরল সাধু-হৃদয় যেমন,
ফল-ভরে নত কেহ গুণীর মতন।
এদের স্বভাব ভালো মানবের চেয়ে,
ইচ্ছা যার দেখ দেখ জ্ঞানচক্ষে চেয়ে।
যখন মানবকুল ধনবান হয়,
তখন তাদের শির সমুন্নত রয়।
কিন্তু ফলশালী হলে এই তরুগণ,
অহংকারে উচ্চশির না করে কখন।
ফলশূন্য হলে সদা থাকে সমুন্নত,
নীচ প্রায় কার ঠাঁই নহে অবনত।
২। পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি
এ জীবন মন সকলি দাও,
তার মত সুখ কোথাও কি আছে?
আপনার কথা ভুলিয়া যাও।
পরের কারণে মরণেও সুখ,
‘সুখ-সুখ’ করি কেঁদো না আর;
যতই কাঁদিবে যতই ভাবিবে,
ততই বাড়িবে হৃদয়-ভার।
আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে
আসে নাই কেহ অবনী পরে
সকলের তরে সকলে আমরা
প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।
এ জীবন মন সকলি দাও,
তার মত সুখ কোথাও কি আছে?
আপনার কথা ভুলিয়া যাও।
পরের কারণে মরণেও সুখ,
‘সুখ-সুখ’ করি কেঁদো না আর;
যতই কাঁদিবে যতই ভাবিবে,
ততই বাড়িবে হৃদয়-ভার।
আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে
আসে নাই কেহ অবনী পরে
সকলের তরে সকলে আমরা
প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।
৩। নমঃ নমঃ নমঃ সুন্দরী মম জননী বঙ্গভূমি!
গঙ্গার তীর, স্নিগ্ধ সমীর, জীবন জুড়ালে তুমি।
অবারিত মাঠ, গগনললাট চুমে তব পদধূলি
ছায়াসুনিবিড় শান্তির নীড় ছোট ছোট গ্রামগুলো।
পল্লবঘন আম্রকানন রাখালের খেলাগেহ,
স্তব্ধ অতল দিঘি কালোজল- নিশীথশীতল স্নেহ।
বুকভরা মধু বঙ্গের বধূ, জল লয়ে যায় ঘরে-
মা বলিতে প্রাণ করে আনচান, চোখে আসে জল ভরে
৮. ভাব-সম্প্রসারণ (যেকোনো ১টি) ৫
১) বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর।
২) লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু
৩) জ্ঞানহীন মানুষ পশুর সমান।
৪) জন্মিলে মরিতে হবে অমর কে কোথা কবে
চিরস্থির কবে নীর হায়রে জীবন নদে?
৫) সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে।
৬) আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি
আমি কি ভুলিতে পারি।
১. মনে করো তোমার নাম নিবিড়। তোমার বন্ধুর নাম রাহুল। সে খুলনায় থাকে। বৃক্ষরোপণের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তার কাছে একটা পত্র লেখো। ৫
২. মনে করো তুমি রূপনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। তোমার নাম রিহান। শিক্ষা সফরের গুরুত্ব উল্লেখ করে তোমার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকট শিক্ষা সফরে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে একখানা আবেদনপত্র লেখো।
২. মনে করো তুমি রূপনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। তোমার নাম রিহান। শিক্ষা সফরের গুরুত্ব উল্লেখ করে তোমার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকট শিক্ষা সফরে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে একখানা আবেদনপত্র লেখো।
৩। মনে নয়, তুমি সায়মা। শিমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।তােমার ছোট বোন লিমাকে কম্পিউটার শিক্ষার গুরুত্ব বর্ণনা করে একটি চিঠি লেখ।
৪। মনে কর, তুমি আলভি। তুমি নিয়ামকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তোমার বাবা খুলনায় বদলি হয়েছেন।তাই তোমাকেও তার সঙ্গে যেতে হবে। এজন্য তোমার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে ছাড়পত্র চেয়ে একটি আবেদন পত্র লেখ।
৫। ঘ. ধর, তুমি নাকশালা জমিরউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় সখীপুরের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। তোমাদের স্কুলে একটি 'বিজ্ঞান ক্লাব' গঠনের অনুমতি চেয়ে প্রধান শিক্ষকের নিকট একখানা আবেদন পত্র রচনা কর।
১০. যেকোনো একটি বিষয়ে প্রবন্ধ রচনা করো : ১০
১। ছাত্র জীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য [ভূমিকা,ছাত্রজীবন, ছাত্র জীবনের লক্ষ্য, ছাত্রজীবনের কর্তব্য, নিয়মানুবর্তিতা, খেলাধুলা ও ব্যায়াম, উপসংহার]
২। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।
৩। দৈনন্দিন জীবন ও বিজ্ঞান। [সংকেত : সূচনা, দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান, শহুরে জীবনে বিজ্ঞান, গ্রামীণ জীবনে বিজ্ঞান, দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের প্রভাবের অপকারিতা, উপসংহার।]
৪। বাংলা নববর্ষ
৫। ট্রেনে ভ্রমণ [সংকেত : ভূমিকা, ভ্রমণ কী? ভ্রমণের পথসমূহ, ট্রেনে ভ্রমণের শুরু, ট্রেনের ভেতরের অবস্থা, বিভিন্ন স্টেশন, ট্রেন থেকে উল্লেখযোগ্য স্থান, শেষ স্টেশন, উপসংহার।]
১০। যে কোনাে একটি বিষয়ে প্রবন্ধ রচনা কর । ১৫x১=১৫
মনে করো,তোমার ছোট ভাই হাসান ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে।তাকে ‘পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন ব্যক্তি তথা জাতির জন্য হুমকিস্বরুপ’ এই মর্মে একটি পত্র পাঠাও।
No comments:
Post a Comment