Ad-1

Showing posts with label ৯ম-১০ম বাংলা প্রথম গদ্যাংশ. Show all posts
Showing posts with label ৯ম-১০ম বাংলা প্রথম গদ্যাংশ. Show all posts

Thursday, December 30, 2021

বইপড়া

প্রমথ চৌধুরী 

প্রমথ চৌধুরী(১৮৬৮-১৯৪৬)
ছদ্মনাম - বীরবল।
পত্রিকার সম্পাদক: সবুজপত্র (১৯১৪)
চলিত ভাষা রীতির জনক।

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

১. প্রমথ চৌধুরীর সাহিত্যিক ছদ্মনাম কী?
২. “বই পড়া” প্রবন্ধটি প্রমথ চৌধুরীর কোন গ্রন্থ থেকে সংকলন করা হয়েছে?
৩. “বই পড়া” প্রবন্ধ অনুসারে লেখকের মতে থামে গ্রামে কী প্রতিষ্ঠা করা উচিত?
৪. 'ভাঁড়েও ভবানী” অর্থ কী?
৫. প্রমথ চৌধুরী সম্পাদিত সাময়িকপত্রের নাম কী?
৬. সুশিক্ষিত লোক মাত্রই কী?
৭. প্রমথ চৌধুরীর সাহিত্যিক ছদ্মনাম কী?
৮. প্রমথ চৌধুরীর ছদ্মনাম কী?
৯. যিনি যথার্থ গুরু তিনি শিষ্যের আত্মাকে কী করেন?
১০. লেখকের মতে কাব্যামৃতে আমাদের অরুচির জন্য দোষ কার?
১১. বাংলা সাহিত্যে চলিত রীতির প্রবর্তক কে?
১২. শিক্ষকের সার্থকতা কোথায়? 
১৩. 'গতাসু' শব্দের অর্থ কী? 
১৪. যথার্থ গুরুত্ব কাজ কী? 
১৫. কেতাবি '- শব্দের অর্থ কী? 
১৬. যথার্থ শিক্ষিত হতে হলে কী দরকার?
১৭. মনের দাবি রক্ষা না করলে কী বাঁচে না?
১৮. সাহিত্য চর্চার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হওয়ার অর্থ কী? 
১৯. মানুষের সর্বশ্রেষ্ঠ শখ কোনটি?
২০. 'বই পড়া'- প্রবন্ধটি কোথায় পড়া হয়েছিল? 
২১. কারদানী '- শব্দের অর্থ কী? 

অনুধাবনমূলক প্রশ্নঃ-
১. “ব্যধিই সংক্রামক, স্বাস্থ্য নয় ।’ – বুঝিয়ে লেখো।
২. ‘পাস করা ও শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয়’ — কথাটি ব্যাখ্যা কর।
৩. গণতন্ত্র বলতে কী বোঝায়?
৪. ‘সেখানে ছেলেদের বিদ্যে গেলানো হয়’—ব্যাখ্যা করো।
৫. মনের হাসপতাল বলতে কী বোঝায়?
৬. “এ আশা সম্ভবত দুরাশা ।’ – কেন?
৭. অন্তর্নিহিত শক্তি বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
৮. “বই পড়া” প্রবন্ধে প্রাবদ্ধিক লাইব্রেরিকে হাসপাতালের সঙ্গে তুলনা করেছেন কেন?
৯. “সুশিক্ষিত লোকমাত্রই স্বশিক্ষিত ৷” _কেন? বুঝিয়ে বলো।
১০. সেখানে ছেলেদের বিদ্যে গেলানো হয়’—ব্যাখ্যা করো।

১১. প্রমথ চৌধুরী সাহিত্যচ্চাকে শিক্ষার সর্বপ্রধান অঞ্জ বলেছেন কেন?

১২. শিক্ষা কেউ কাউকে দিতে পারে না কেন?

১৩. মানুষের মনের সাক্ষাৎ শুধু সাহিত্যে পাওয়া যায় কেন?

১৪. মনের দাবি রক্ষা না করলে মানুষের আত্মা বাঁচে না"- বুঝিয়ে লেখো। 

১৫. দেহের মৃত্যুর রেজিস্টারি রাখা হয়,আত্মার হয় না'- বুঝিয়ে লেখো।
১৬. সাহিত্য চর্চাকে শিক্ষার সর্বপ্রধান অঙ্গ বলা হয়েছে কেন?
১৭. যে জাতি জ্ঞানের ভাণ্ডার শূন্য, সে জাতির ধনের ভাঁড়েও ভবানী "- উক্তিটি দ্বারা কী বুঝানো হয়েছে? 
১৮. আত্মার অপমৃত্যু বলতে কী বুঝানো হয়েছে? 
১৯. জাতির জীবনী শক্তি হ্রাস পায় কোন কারণে?
২০. প্রাবন্ধিক শখ হিসেবে বই পড়ার পরামর্শ দেননি কেন?

সৃজনশীল প্রশ্ন ১ : বাল্যকাল হইতে আমাদের শিক্ষার সহিত আনন্দ নাই। কেবল যাহা নিতান্ত আবশ্যক, তাহাই কণ্ঠস্থ করিতেছি। তেমনি কোনোমতে কাজ চলে মাত্র, কিন্তু মনের বিকাশ লাভ হয় না। হাওয়া খাইলে পেট ভরে না, আহার করিলে পেট ভরে, কিন্তু আহারাদি রীতিমত হজম করিবার জন্য হাওয়া আবশ্যক।

গ. উদ্দীপকটি “বই পড়া” প্রবন্ধের সঙ্গে কোন দিক দিয়ে সাদৃশ্যপূর্ণ? -আলোচনা করো।
ঘ. “উদ্দীপকটি “বই পড়া” প্রবন্ধের সমঘ ভাব নয়, খণ্ডাংশকে ধারণ করেছে মাত্র ।” -বিশ্লেষণ করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ২ : বই কেনার সামর্থ্য নেই। তবুও বিভিন্ন বদ্ধুর নিকট থেকে বই সংহ করে পড়ে পায়েল। সাহিত্য, সাহিত্য সমালোচনা, আত্মজীবনী, দর্শন- জ্ঞানজগতের সকল প্রদেশে তার যাতায়াত থাকা চাই । অন্য দিকে তার বন্ধু কাকলি বই কিনে বন্ধুদের উপহার দেয় কিন্তু নিজে খুব একটা পড়ে না। তার ধারণা এসব বই পড়ে কী হবে? প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাই যথেষ্ট ।

গ. উদ্দীপকে “বই পড়া’ প্রবন্ধের কোন দিকটি প্রকাশিত হয়েছে?_ আলোচনা করো।
ঘ. “উদ্দীপকের পায়েল “বই পড়া” প্রবন্ধের একটি বিশেষ চিন্তার ধারক” – মন্তব্যটি বিচার করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ : জাতীয় জীবনধারা গঙ্গা-যমুনার মতোই দুই ধারায় প্রবাহিত। এক ধারার নাম আত্মরক্ষা বা স্বার্থপ্রসার, আরেক ধারার নাম আত্মপ্রকাশ বা পরমার্থ বৃদ্ধি। একদিকে যুদ্ধবিগ্রহ, মামলা-ফ্যাসাদ প্রভৃতি কদর্য দিক; অপরদিকে সাহিত্য, শিল্প, ধর্ম প্রভৃতি কল্যাণপ্রদ দিক। একদিকে শুধু কাজের জন্য কাজ। অপরদিকে আনন্দের জন্য কাজ। একদিকে সংগ্রহ, আরেক দিকে সৃষ্টি। যে জাতি দ্বিতীয় দিকটির প্রতি উদাসীন থেকে শুধু প্রথম দিকটির সাধনা করে, সে জাতি কখনও উঁচু জীবনের অধিকারী হতে পারে না।

গ. উদ্দীপকে বর্ণিত প্রথম দিকটি “বই পড়া” প্রবন্ধের যে দিকটিকে ইঙ্গিত করে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে পরমার্থ বৃদ্ধির প্রতি যে গুরত্তব দেয়া হয়েছে তা “বই পড়া” প্রবন্ধের লেখকের মতকে সমর্থন করে – মন্তব্যটির বিচার কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৪ : মহাসমুদ্রের শত বৎসরের কল্লোল কেহ যদি এমন করিয়া বাধিয়া রাখিত তবে সে ঘৃমাইয়া পড়া শিশুটির মতো চুপ করিয়া থাকিত, তবে সেই মহাশব্দের সহিত এই লাইব্রেরীর তুলনা হইত এখানে ভাষা চুপ করিয়া আছে, প্রবাহ স্থির হইয়া আছে, মানবাত্রার অমর আলোক কালো অক্ষরের শৃঙ্খলে কাগজের কারাগারে বাধা পড়িয়াছে।

গ. উদ্দীপকে “বই পড়া” প্রবন্ধের যে দিকটি প্রকাশিত হয়েছে তা বর্ণনা করো।
ঘ. “উদ্দীপকের বিষয়বস্ত “বই পড়া” প্রবন্ধের সমগ্র ভাবকে ধারণ করে না।” মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৫ : আজমল হোসেন গণিতের একজন অভিজ্ঞ শিক্ষক। তিনি ছাত্রদের মানসিক বিকাশের জন্য শুধু পাঠ্য বইয়ে আবদ্ধ রাখায় বিশ্বাসী নন। তাঁর বিশ্বাস, মেধাবী জাতি তৈরির জন্য সাহিত্যচর্চার কোনো বিকল্প নেই। সাহিত্য শিক্ষার্থীর মনকে আলোকিত করে তোলে, ছাত্রদের সাহিত্য পাঠে উৎসাহিত করার জন্য তিনি মাঝে মাঝে বইও উপহার দেন।

গ. উদ্দীপকে ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের যে বিশেষ দিকটির প্রতিফলন ঘটেছে, তা আলোচনা করো
ঘ. ‘মানুষের আত্মিক মুক্তির জন্য সাহিত্যচর্চার বিকল্প নেই’—উদ্দীপক ও ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের আলোকে উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৬ : তামিমকে মা পাঠ্যপুস্তকের বাইরে সাহিত্যের কিছু বই পড়ার পরামর্শ দেন। তামিমের বই পড়ার ইচ্ছা থাকলেও বই পাবে কোথায়। মা তাকে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরিতে যোগাযোগ করতে বলে। সেখানে সাহিত্যের নানারকম বই আছে। যা তামিম পছন্দমতো বাছাই করে নিয়ে পড়তে পারবে। এতে তামিম অনেক আনন্দ পাবে। ফলে তার সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পাবে।

গ) প্রমথ চৌধুরীর ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের সঙ্গে উদ্দীপকের বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সাদৃশ্য নির্ণয় কর।
ঘ) ‘আমরা যত বেশি লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করব, দেশের তত বেশি উপকার হবে’- মন্তব্যটির যৌক্তিক বিশ্লেষণ কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৭ : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ধরাবাঁধা লেখাপড়ার প্রতি কোনো আগ্রহই ছিল না। তবে নিজের ইচ্ছায় তিনি ছেলেবেলা থেকে পড়েছেন। এই সুপণ্ডিতের বাড়িতেই ছিল বিশাল গ্রন্থাগার। তাঁর সৃজনশীলতার প্রাথমিক সাক্ষ্য হলো তাঁর সৃষ্টির বিপুলতা। সাহিত্যের সকল অঙ্গনেই ছিল তাঁর সফল পদচারণা। তিনি একাই তাঁর শিল্প সাধনা, কর্মোদ্যোগ ও চিন্তাধারা দ্বারা তাঁর পশ্চাত্পদ জাতিকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জাতিসমূহের সমকক্ষ করে গিয়েছেন।

গ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সুশিক্ষিত হওয়া ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের যে দিকটিকে প্রতিফলিত করেছে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের মূল বক্তব্যকে পুরোপুরি সমর্থন করে — উক্তিটি মূল্যায়ন কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৮ : শুধু পাঠ্যপুস্তক পড়ে আর খ্যাতিমান শিক্ষকদের নোট মুখস্ত করে পরীন্ষায় প্রথম হতে হয় কীভাবে আশিক তা ভালো করেই জানে | কিন্তু কুলের একাডেমিক পরীক্ষার বাইরে বিভিন্ন অলিম্পিয়াড, ভাষা-সাধারণ জ্ঞান ও বক্তৃতা প্রতিযোগে জাহিন থাকে শীর্ষে | অথচ বিভিন্ন শ্রেণিতে তার রোল থেকেছে পাঁচ থেকে দশের মধ্যে | আশিক পাঠ্যপুস্তকের বাইরে অন্য বই পড়তে বিশেষ আগ্রহী নয় | তাছাড়া তার মা-বাবাও এটাকে ভালো মনে করে না | কিন্তু জাহিন ক্লাসের পড়া শেষ হলেই তার পছন্দের বইয়ের মধ্যে ডুব দেয় | তার এই গ্রন্থনীতি দেখে তার বাবাও ছেলের পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের বই কিনে দেন | তাই বন্ধুসমাজে ‘গ্রন্থকীট’ উপাধিপ্রাপ্ত জাহিনের ব্যক্তিগত লাইব্রেরিটিও বেশ সমৃদ্ধ হরে উঠেছে।

গে) উদ্দীপকের আশিকের শিক্ষাজীবনকে “বই পড়া” প্রবন্ধের আলোকে ব্যাখ্যা করো |
(ঘ)’বই পড়া” প্রবন্ধের লেখকের নিকট শিক্ষার্থী হিসেবে জাহিনের ভূমিকা যথার্থ | _ উক্তিটি মূল্যায়ন করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৯ : আবিদ এমএ পাস যুবক । ছাত্রীজবনে সে পাঠ্যপুস্তক মুখস্থ করে ভালো রেজাল্ট করেছে। একদিন তার এক বন্ধু তাকে নিয়ে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে যায় । সেখানে নে বিভিন্ন বই দেখে আগ্রহী হয় এবং একটি দুটি করে বই এনে পড়তে শুরু করে । কিছুদিনের মধ্যেই নে অনুধাবন করে যে, একদিন কেবল পাঠ্যপুস্তক পড়ে নে সুশিক্ষিত হতে পারেনি। যথার্থ শিক্ষিত হতে মনের যে প্রসারতা দরকার তা সে অর্জন করতে পারেনি । বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বই তার মনের ভ্বানালা খুলে দিয়েছে। এখন সে অনুভব করে যে, দেশের প্রতিটি গ্রামের লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন ।

গ. উদ্দীপকে আবিদের এ দৃষ্টিভঙ্গি “বই পড়া” প্রবন্ধের কোন দিকটি ইঙ্গিত বহন করে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “আবিদের সুশিক্ষিত না হওয়ার কারণ প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার ত্রুটি । ” প্রবন্ধের আলোকে এ উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্রেষণ কর ।

সৃজনশীল প্রশ্ন ১০ : দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সৌমিকের পত্রিকার সাহিত্যের পাতাগুলোর প্রতি আগ্রহ বেশি । মামার সাথে বইমেলায় গিয়ে অবসরকালীন বিনোদনের জন্য কয়েকটি বই কিনে নেয় । মাতা তাকে বলেন, জ্ঞানের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করতে হলে বই পড়ার বিকল্প নেই। সৌমিকের বই পড়ার আগ্রহ দেখে মামা তাকে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরিতে ভর্তি করে দেন।

গ. উদ্দীপকের মুলভাব “বই পড়া” প্রবন্ধের কোন দিকের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ- ব্যাখ্যা কর ।
ঘ. উদ্দপকের মূলভাব ‘বই পড়া” প্রবন্ধের মূলভাবের অংশবিশেষকে প্রস্ফুটিত করে ।”- বক্তব্যটি যথার্থতা নিরূপন কর ।

সৃজনশীল প্রশ্ন ১১ঃ আজমল হোসেন গণিতের একজন অভিজ্ঞ শিক্ষক। তিনি ছাত্রদের মানসিক বিকাশের জন্য শুধু পাঠ্য বইয়ে আবদ্ধ রাখায় বিশ্বাসী নন। তাঁর বিশ্বাসমেধাবী জাতি তৈরির জন্য সাহিত্যচর্চার কোনো বিকল্প নেই। সাহিত্য শিক্ষার্থীর মনকে আলোকিত করে তোলেছাত্রদের সাহিত্য পাঠে উৎসাহিত করার জন্য তিনি মাঝে মাঝে বইও উপহার দেন।

গ) উদ্দীপকে বই পড়া’ প্রবন্ধের যে বিশেষ দিকটির প্রতিফলন ঘটেছেতা আলোচনা করো।
ঘ) মানুষের আত্মিক মুক্তির জন্য সাহিত্যচর্চার বিকল্প নেই’—উদ্দীপক ও বই পড়া’ প্রবন্ধের আলোকে উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

Tuesday, December 28, 2021

অভাগীর স্বর্গ

 শরতচন্দ্র চট্টোপাধযায় 
জ্ঞানমূলক প্রশ্নঃ-
১. কাঙালীর বাবার নাম কী?
২. গ্রামে কে নাড়ি দেখতে জানত?
৩. ঠাকুরদাস মুখুয্যের স্ত্রী কয়দিনের অসুখে মারা গেলেন?
৪. কাঙালী কবিরাজকে কত টাকা প্রণামী দিয়েছিল?
৫. অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে জমিদারের গোস্তার নাম কী?
৬. শ্মশানঘাট কোথায় অবস্থিত?
৭. শ্মশানঘাট কোথায় অবস্থিত?
৮. অভাগীর স্বামীর নাম কী?
৯. কাঙালী কোন জাতের ছেলে?
১০. দুলে’ শব্দের অর্থ কী ?
১১. কাঙালীর বাবার নাম কী?
১২. কাঙালির মা কোন বংশের মেয়ে?
১৩. চিতার ধোঁয়ায় কাঙালির মা কী দেখতে পেল?
১৪. কাঙালির বয়স কত?
১৫. অভাগী কাদের কথা দিয়ে গল্প আরম্ভ করল?
১৬. অভাগীর স্বামীর নাম কী? 
১৭. 'মুষ্টিযোগ'- কী?
১৮. শরৎচন্দ্র কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
অনুধাবনমূলক প্রশ্নঃ-
১. বাগদি-দুলে ঘরের কেউ কখনো ওষুধ খেয়ে বাঁচে না’ – ব্যাখ্যা কর।

২. কি জাতের ছেলে তুইঅধর রায় কেন এ কথা বলেছিল?

৩. অভাগী মৃত্যুকালে কেন স্বামীকে ডেকে পাঠিয়েছিল?

৪. কাঙালীর মার জীবনের ইতিহাস ছোট।’ বিষয়টি বুঝিয়ে লিখো।

৫. দুলের মড়ার কাঠ কী হবে শুনিকে কী প্রসঙ্গে বলেছে?

৬. দুলের মড়ার কাঠ কী হবে শুনিকে কী প্রসঙ্গে বলেছে?

৭. রসিক হতবুদ্ধির মত দাঁড়াইয়া রহিল কেন?

৮. অভাগীর জীবন-নাট্যের শেষ অঙ্ক পরিসমাপ্ত হইতে চলিল।’ উক্তিটিতে কী বোঝানো হয়েছে?

৯. রসিক দুলে তার পায়ের ধুলো দিতে গিয়ে কেঁদে ফেলল কেন?

১০. মা মরেছে ত যা নিচে নেবে দাঁড়া”- অধর রায়ের এরূপ উক্তির কারণ কী?

১১. তোর হাতের আগুন যদি পাইআমিও সগ্যে যাব – উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
১২. পুষ্পে,পত্রে,গন্ধে,মাল্যে লেখকের কেন মনে হলো- এ কোন শোকের ব্যাপার নয়?
১৩. 'মড়া -পোড়ানো বলতে নেই, পাপ হয়'- কথাটি কে,কাকে বলে?ব্যাখ্যা করো।
১৪. মুখুয্যে বিস্মিত ও বিরক্ত হয়েছিল কেন?
১৫. মাকে বিশ্বাস করাই কাঙালির অভ্যাস কেন?
১৬. অভাগীর অন্তিম ইচ্ছে পূরণ হলো না কেন?
১৭. অভাগী কবিরাজের বড়ি উনুনে ফেলে দিল কেন?
১৮. কাঙালির অসহায়ত্বের কারণ কী?


সৃজনশীল প্রশ্ন ১ : এই নিষ্ঠুর অভিযোগে গফুর যেন বাক্রোধ হইয়া গেল। ক্ষণেক পরে ধীরে ধীরে কহিল, কাহন খানেক খড় এবার ভাগে পেয়েছিলাম। কিন্তু গেল সনের বকেয়া বলে কর্তামশীয় সব ধরে রাখলেন? কেঁদে কেটে হাতে পায়ে পড়ে বললাম, বাবু মশাই, হাকিম তুমি, তোমার রাজত্ব ছেড়ে আর পালাব কোথায়? আমাকে পণদশেক বিচুলি না হয় দাও। চালে খড় নেই। বাপ বেটিতে থাকি, তাও না হয় তালপাখার গৌঁজাগাজা দিয়ে এ বর্ষা কাটিয়ে দেব, কিন্তু না খেতে পেয়ে আমার মহেশ যে মরে যাবে।

গ. উদ্দীপকে অভাগীর স্বর্গগল্পের যে সমাজচিত্রের ইঙ্গিত রয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. কাঙালীর সঙ্গে উদ্দীপকের গফুরের সাদৃশ্য থাকলেও কাঙালী সম্পূর্ণরূপে গফুরের প্রতিনিধিত্ব করে না _ মন্তব্যটি, যথার্থতা নিরূপণ কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ২ : সাপ ধরার মন্ত্র শিখে মৃত্যুঞ্জয় মস্তবড় সাপুড়ে হয়ে উঠল। একদিন সাপ ধরতে গেলে, বিষধর সাপের দংশনে সে আহ হয়। তার শ্বশুরের দেওয়া সব তাবি-কবজ তার হাতে বেঁধে দেওয়া হলো আর সেই সাথে বহু সংখ্যক ওঝা মিলে বহু দেব-দেবীর দোহাই এবং ঝাড়ফুঁক করেও তাকে বাঁচাতে পারল না।

গ. উদ্দীপকে অভাগীর স্বর্গগল্পে যে বিশেষ দিকের প্রতিফলন গঠেছে তা ব্যাখা কর।
ঘ. উদ্দীপকে ‘‘অভাগীর স্বর্গগল্পের একটি বিশেষ দিকের প্রতিফলন গঠলে গল্পের একটি বিশেষ দিকের প্রতিফলন ঘটলেও গল্পের মূল বিষয়টি অনুপস্থিত। মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ : রহিম চৌধুরী কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক হয়েও সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত। কিছুদিন পূর্বে তাঁর বড় মেয়ের বিয়েতে এলাকার সকলকে দাওয়াত দেন। তিনি ধনী-গরিবের মধ্যে কোনো পার্থক্য করেননি। তাঁর এ আচরণে এলাকার দরিদ্র জনগণ খুবই সন্তুষ্ট।

গ. উদ্দীপকের সঙ্গে অভাগীর স্বর্গ গল্পের বৈসাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর।
ঘ. অভাগীর আশা পূর্ণতা পাওয়ার জন্য রহিম চৌধুরীদের মতো মানুষ প্রয়েঅজন”- বক্তব্যটির যথাযর্থতা বিচার কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৪ : দীর্ঘ দিন রোগভোগের পর সঞ্জয় দত্ত প্রায় বিনা চিকিৎসায় মারা যান। তিনি মৃত্যুর পূর্বে ছেলেকে বলে গিয়েছিলেন যে, তার মৃতদেহ যেন যথাযথভাবে দাহ করা হয়। ছেলে বাবার মৃতদেহ দাহ করার জন্য গোয়ালের গরুটি বাজারে বিক্রি করে বাড়ি ফিরছিল। পথে জমিদারের গোমস্তা বকেয়া খাজনা আদায়ের জন্য পথ আটকে দাঁড়ায়। টাকাগুলো নিয়ে গোমস্তা চলে যায়। অপলকনেত্রে রাস্তার দিকে তাকিয়ে থাকে সঞ্জয় দত্তের ছেলে। সঞ্জয় দত্তকে অবশ্য শেষ পর্যন্ত বাড়ির পাশে মাটি খুঁড়ে সমাহিত করা হয়েছিল।

গ. উদ্দীপকের সঞ্জয় দত্ত ও অভাগীর স্বর্গগল্পের অভাগীর স্বপেড়বর মৃতদেহ সৎকার অনুষ্ঠানের অমিলগুলো তুলে ধরো।
ঘ. সঞ্জয় দত্ত ও অভাগীর শেষ ইচ্ছা পূরণ না হওয়ার কারণ একই সূত্রে গাঁথা।উদ্দীপক ও অভাগীর স্বর্গগল্প অবলম্বনে মন্তব্যটি বিচার করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৫ : ও কে? চন্ডাল? চমকাও কেন! নহে ও ঘৃণ্য জীব ওই হতে পারে হরিশচন্দ্র, ওই শ্মশানের শিব। আজ চন্ডাল, কাল হতে পারে মহাযোগী, সম্রাট তুমি কাল তারে অর্ঘ্য দানিবে, করিবে নান্দী পাঠ।

গ. উদ্দীপকের চন্ডাল অভাগীর স্বর্গগল্পের কাঙ্গালীর প্রতিনি।ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে ফুটে ওঠা মনোভাই অভাগীর স্বর্গগল্পের লেখকের প্রত্যাশা।মূল্যায়ন কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৬ : বিহার প্রদেশের অজপাড়াগাঁ গঙ্গামাটিতে রাজলক্ষ্মী নতুন জমিদারির পত্তনি নিয়েছে। অসুস্থ শ্রীকান্তের বায়ু পরিবর্তনের প্রয়োজনে সে এখানে কিছুদিন থাকবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু সমস্যা হলো এখানে যাদের বসতি তারা নিতান্তই ছোটলো। তাদের সঙ্গে ওঠাবসা একেবারেই চলে না।

গ. উদ্দীপকে অভাগীর স্বর্গগল্পের ফুটে ওঠা দিকটি আলোচনা কর।
ঘ. উদ্দীপকটি তোমার বইয়ে পঠিক অভাগীর স্বর্গগল্পের পূর্ণরূ নয় বিশ্লেষণ কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৭ : বিহার প্রদেশের অজপাড়াগাঁ গঙ্গামাটিতে রাজলক্ষ্মী নতুন জমিদারির পত্তনি নিয়ে। অসুস্থ শ্রীকান্তের বায়ু পরিবর্তনের প্রয়োজনে সে এখানে কিছুদিন থাকবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু সমস্যা হলো এখানে যাদের বসতি তারা নিতান্তই ছোটলোক। তাদের সঙ্গে ওঠাবসা একবারেই চলে না।

গ. উদ্দীপকে অভাগীর স্বর্গগল্পের ফুটে ওঠা দিকটি আলোচনা কর।
ঘ. উদ্দীপকটি তোমার বইয়ে পঠিক অভাগীর স্বর্গগল্পের পূর্ণরূ নয় বিশ্লেষণ কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৮ : জয়িতা এখনো স্কুলে যায়। ভীষণ আত্মপ্রত্যয়ী মেয়ে সে, হার না মানা স্বভাব তার। তার বয়স যখন ছয় মাস তখন তার বাবা মাকে ছেড়ে চলে যায়। বাবা নতুন বিয়ে করে সংসার করছেন। তাই জয়িতা মায়ের কাছে বড় হয়েছে। তার বয়স এখন আঠারো। নিত্যদিন তাকে ক্ষুধা আর দৈন্যের সঙ্গে লড়াই করতে হয়। এভাবে তার দিন কাটে আর মাস যায়। জয়িতা শিক্ষা-দীক্ষায় প্রতিষ্ঠিত হতে চায়, মায়ের কষ্ট দূর করতে চায়।

গ. জয়িতা অভাগীর স্বর্গগল্পের কোন চরিত্রের প্রতিনিধিত্ব করে? আলোচনা করো।
ঘ. জয়িতার মায়ের স্বপেড়ব অভাগীর স্বপেড়বর অনুরণন রয়েছে।উদ্দীপক ও অভাগীর স্বর্গগল্পের আলোকে মন্তব্যটি বিচার করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৯ : কার্তিক চন্দ্র রায় একসময় জমিদার ছিলেন। অন্ত্যজ শ্রেণির মানুষ তার কাছে ঘেঁষার সুযোগ পায় না। একদিন তিনি কাছারি বাড়িতে বসে আছেন। সে সময় একটি অসহায় দরিদ্র বালক এসে বলল, “আমার মা মরেছে। মায়ের সৎকারের জন্য কিছু টাকা দেবেন জমিদার বাবু।জমিদার ধমক দিয়ে বললেন, “মা মরেছে তো কী হয়েছে, যা, দূরে সরে দাঁড়া। ওরে তোরা কে কোথায় আছিস? এখানে একটু গোবর জল ছড়িয়ে দে। কী জাতের ছেলেরে তুই?”

গ. উদ্দীপকের জমিদারের সঙ্গে অভাগীর স্বর্গগল্পের সাদৃশ্যপূর্ণ চরিত্র কোনটি? আলোচনা করো।
ঘ. উদ্দীপক ও অভাগীর স্বর্গগল্পে একই সামাজিক সমস্যা প্রকাশিত হয়েছে। বিশ্লেষণ করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ১০ : উৎপল তার বাবাকে কখনো দেখেনি। জন্মের আগেই তার বাবা মাকে ছেড়ে চলে গেছেন। সে বড় হয়েছে মার কাছে। বড় হয়েছে অভাব, ক্ষুধা আর দারিদ্র্যকে নিত্য সঙ্গী করে। বড় হয়ে সে নাট্যকার হতে চায়। শিক্ষাদীক্ষায় প্রতিষ্ঠিত হতে চায়। জীবন সংগ্রামে হার না মানা একজন নওজোয়ান উৎপল।

গ. উদ্দীপকের উৎপলের সঙ্গে কাঙালীর বৈসাদৃশ্যগুলো তুলে ধরো।
ঘ. উদ্দীপকের উৎপল অভাগীর স্বর্গগল্পের কাঙালীর চেয়ে জীবন-ভাবনায় অগ্রসর।আলোচনা করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ১১ : শিববাড়ির বড় মন্দির। পূজার মস্ত আয়োজনে ব্যস্ত গ্রামের সকলে। সুন্দর করে সাজানো হয়েছে মন্দির। গ্রামের জমিদার নিজ হাতে মন্দির সাজানোর কাজ করছেন। পাশের গ্রাম থেকে ভক্তরা আসছে মায়ের পূজা দিতে। পুরোহিতের কণ্ঠে মন্ত্রের উচ্চারণে পূজা শুরু হলো। পুরোহিত মন্ত্র পড়ার ফাঁকে ফাঁকে পূজার ঘণ্টা বাজান। এমন সময় গর্জে উঠল জমিদারের কণ্ঠ। মন্দিরে পূজা দিতে এসেছে এক মেথরের গৃহবধূ। জমিদার বলল, ‘ছোট জাত হয়ে মায়ের মন্দিরে পূজা দেবার শখ?” জমিদারের নির্দেশে তাকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হলো মন্দির থেকে। আঁচল দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে চলে গেল গৃহবধূ। আবার শুরু হলো পূজা।

গ. উদ্দীপকের মূলভাব অভাগীর স্বর্গগল্পের কোন ঘটনাকে নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. মেথরের গৃহবধূকে মন্দির থেকে বের করে দেওয়ায় তৎকালীন হিন্দু সমাজের সংকীর্ণ মনেরই পরিচয় পাওয়া যায়উক্তিটির সত্যতা অভাগীর স্বর্গগল্পের আলোকে যাচাই কর।

১০ বছরের মা মরা মেয়ে রোকেয়া গৃহকর্মীর কাজ করে নিজের এবং অসুস্থ বাবার অন্ন সংস্থান করে। চিকিত্সার অভাবে রোকেয়াকে ছেড়ে এক দিন বাবা ইহধাম ত্যাগ করেন। দাফন-কাফনের খরচ এবং কবরের জায়গা না থাকায় রোকেয়া গাঁয়ের মোড়লের সহযোগিতা চেয়ে খালি হাতে ফিরে আসে। অনন্যোপায় হয়ে বাবার মৃতদেহের পাশে বসে কাঁদতে থাকে। প্রতিবেশী জয়নাল এ খবর পেয়ে রোকেয়ার পাশে এসে দাঁড়ায় এবং যাবতীয় ব্যবস্থা করে।

ক) কাঙালির মা তফাতে একটা উঁচু ঢিপির মধ্যে দাঁড়িয়ে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত উত্সুক আগ্রহে চোখ মেলে কী দেখতে লাগল?

খ) বড় বাড়ির গৃহিণীর মৃত্যুকে কোনো শোকের ব্যাপার বলে মনে হলো না কেন?

গ) উদ্দীপকের জয়নাল এবং অভাগীর স্বর্গগল্পের অধর রায় একে অপরের বিপরীতব্যাখ্যা করো। ৩

ঘ) উদ্দীপকে ফুটে ওঠা বিষয়টি ছাড়াও অভাগীর স্বর্গগল্পে অন্যান্য বিষয়ের আলোচনা রয়েছেমন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো। ৪


৩।   জাতের নামে বজ্জাতি সব জাত জালিয়াত খেলছ জুয়া

            ছুঁলেই তোর জাত যাবে? জাত ছেলের হাতের নয় তো মোয়া।

            হুঁকোর জল আর ভাতের হাঁড়িভাবলি এতেই জাতির জান,

            তাই তো বেকুব, করলি তোরা এক জাতিরে একশখান।

            এখন দেখিস ভারতজোড়া পচে আছিস বাসি মড়া,

            মানুষ নাই আজ, আছে শুধু জাত শেয়ালের হুক্কা হুয়া।

() ‘সন্ধ্যাহ্নিক কী?     

() ‘কিন্তু সেই ছোট্ট কাঙাল জীবনটুকু বিধাতার এই পরিহাসের দায় থেকে অব্যাহতি লাভ করিয়াছিল’—ব্যাখ্যা করো।  

() উদ্দীপকে অভাগীর স্বর্গ গল্পের যে সমাজচিত্রের ইঙ্গিত রয়েছে, তা ব্যাখ্যা করো।        

()“উদ্দীপকের কবির ইচ্ছা যদি অভাগীর স্বর্গ গল্পে প্রতিফলিত হতো, তবে অভাগীর পরিণতি হয়তো ভিন্নতর হতো”—মন্তব্যটির যথার্থতা যাচাই করো।


২।চৌধুরী বাড়ির বড় মন্দির। পূজার মস্ত আয়োজনে ব্যস্ত গ্রামের সবাই। সুন্দর করে সাজানো হয়েছে মন্দির। চৌধুরী সাহেব নিজে মন্দির সাজানোর কাজের তদারকি করছেন। আশপাশের গ্রাম থেকে নিকটাত্মীয় ও পাড়া-প্রতিবেশীরাও আসছে মায়ের পূজা দিতে। পুরোহিতের কণ্ঠে মন্ত্রের উচ্চারণে পূজা শুরু হলো। পুরোহিত মন্ত্র পড়ার ফাঁকে পূজার ঘণ্টা বাজান। এমন সময় গর্জে উঠল জমিদারের কণ্ঠ। মন্দিরে পূজা দিতে এসেছে এক মুচির গৃহবধূ। চৌধুরী সাহেবের নির্দেশে তাকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হলো মন্দির থেকে। তারপর তিনি হুকুম দিলেন, ‘ওরে কে আছিস রে, এখানে একটু গোবরজল ছড়িয়ে দে, সব ব্যাটারাই এখন বামুন-কায়েত হতে চায়।’ —বলে কাজের ঝোঁকে অন্য কোথাও চলে গেলেন।

(ক) মুখুজ্যে গিন্নির শ্রাদ্ধের তত্ত্বাবধান করছিলেন কে?

(খ) অভাগী তাহার অভাগ্য ও শিশুপুত্র কাঙালীকে লইয়া গ্রামেই পড়িয়া রহিল’—কেন?

(গ) উদ্দীপকটি অভাগীর স্বর্গ গল্পের কোন ঘটনার নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা করো।

(ঘ) মুচির গৃহবধূকে মন্দির থেকে বের করে দেওয়ায় তৎকালীন হিন্দু সমাজের সংকীর্ণ মনেরই পরিচয় পাওয়া যায়’—উক্তিটির সত্যতা অভাগীর স্বর্গ গল্পের আলোকে যাচাই করো।   

 


Recent Post

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯

১. ‘ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ ’ কবিতায় সালামের হাতে কেন অবিনাশী বর্ণমালা ঝরে ? ক. সংগ্রামী চেতনার কারণে     খ. দুঃখিনী মাতার অশ্রুজল দেখে গ. বরকত...

Most Popular Post