Ad-1

Friday, February 2, 2018

নিজেকে সুখী করি....

নিজেকেই সুখী করি......

অধর রায় মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে।সামান্য বেতনে কেরানির চাকরি করেন শহরের একটা প্রতিষ্ঠানে। বিয়ে করেছে কয়েক মাস হলো।সেই সুবাধে পরিবারে আছে মা,ভাই,দুই বোন আর নতুন বউ।সারাদিন ডিউটি,তার উপর বাসায় এসে রান্না করা অনেকটা তার বিরক্তিকর মনে হয়,তাই সে হোটেলেই খাবার খেয়ে ফেলে।বিয়ের পর অধরের মনে পরিবারের প্রতি এক অকৃত্রিম ভালোবাসা সৃষ্টি হয়,তাই সে কখনো কখনো হোটেলে খাবার খেতে গিয়ে ভাবে,"আজ আমি মাছ-মাংস দিয়ে খাব না।আগামিকাল তো বাড়ি যাব, এ টাকা দিয়ে বরং বৌ,বাচ্ছা,মা-সহ পরিবারের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে মাছ মাংস দিয়ে খাব।"তাই সে সবজি বা ভর্তা দিয়ে খাবার খেয়ে ফেলে।
এদিকে এখন অধরের মাথার উপর রয়েছে ঋণের বোঝা।বিয়ে করতে গিয়ে এবং বিয়েতে সামাজিকতা ও সম্মান রাখতে গিয়ে তাকে এ ঋণ নিতে হয়।মাঝে মাঝে অধর স্বপ্ন দেখে স্ত্রীকে নিয়ে অচেনা মনোরম কোন জায়গায় হানিমুন খেতে যাবে,দুজনে হাতে হাত ধরে হাঁটবে।সন্ধ্যায় পার্কের কোন এক বেঞ্চিতে পাশাপাশি বসে গল্প করবে।কিংবা কোন এক সমুদ্র পাড়ের সূর্যাস্তের মুহূর্তে হাঁটুগেড়ে স্ত্রীকে প্রথম প্রেমে পড়া কোন রমণীকে প্রেম নিবেদনের মতো করে গোলাপ ও প্রেম নিবেদন করবে,সূর্যাস্তের মতো করে স্ত্রীকে চুম্বনে লজ্জিত করবে আর একটা মুহূর্তে অন্ধকারের চাঁদরে আবৃত হয়ে দুজনে পৃথিবী থেকে আড়াল হবে।কিন্তু তা আর হয়ে উঠে না।
একদিকে ঋণের বোঝা অন্যদিকে পাওনাদারদের তাগাদা তার উপর সুন্দরী বউয়ের নানাবিধ আবদার তার উপর আছে বিবাহযোগ্য অবিবাহিত দুই বোনের ব্যাপারে চিন্তা।সবকিছু ছেড়ে হানিমুনে গেলে সূর্যাস্তের মুহুর্তে বোনের চিন্তায় বেদনায় বিধুর হয়ে উঠবে তার হানিমুন।পাওনাদাররা তাগাদা দিচ্ছে বারবার।সে দিকে স্ত্রীর কোন খেয়াল নেই।এ ব্যাপারে তাঁর কোন খুঁজ খবরই নেই।তার ভাবটা অনেকটা এরকম যে,বিয়ে করছ কেন? আমি যা চাই তা তো দিতে হবেই।
বিয়ের পর দুজন যে দুজনার নয়,বরং যে এক,তা সে কোন মতে বুঝতে চায় না।ভাবটা এরকম যে,ঋণ তো তোমার,তাতে আমার কি???
তো সে স্বামীর কাছে আবদার করে বসেছে পাশের বাড়ির ভাবির মতো দামি শাড়ি কিনে দেওয়ার।কিন্তু অধর রায় ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তা কিনে দিতে পারে না।
তার উপর বলে কী?মানুষ কত জায়গায় বিয়ের পর বেড়াতে যায়?আর তুমি?ঘরকোণো বউ পাগলা স্বামী।সারাদিন শুধু বাড়িতে বসে থাক,বউয়ের চারপাশেই ঘুরপাক খাও। কোথাও নিজেও যায় না,আর আমাকেও যেতে দাও না।
অধর জীবিকার তাগিদে শহরে আসলে প্রতিদিন স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতো,কেমন আছে,কি করছে,কী খেয়েছে এটাসেটা জিজ্ঞেস করতো।আর স্ত্রীও মাঝে মাঝে মিস কল দিত। দুজনে এমনভাবে মধুর মধুর রসালাপে লিপ্ত থাকতো যেন স্বামী-স্ত্রী নয় কোন এক প্রেমিক-প্রেমিকার জুটি যারা দীর্ঘ বিরহে কাতর।।
কিন্তু এখন সেই স্ত্রীকে অধর শাড়ি কিনে দেয় না বলে তার সঙ্গে আর কথা বলে না,মিসকল দেয় না,স্বামী অসুস্থ জেনেও তার খুঁজ খবর নেয় না,অন্তত কেমন আছে? সেটা পর্যন্ত জিজ্ঞেস করে না।
অথচ স্ত্রীর সামান্য অসুস্থতায় অধর কত না খুঁজ খবর নিতো।ঔষধ খেয়েছে কিনা?ঠিকভাবে ঔষধ খাওয়া হচ্ছে কিনা?লাগানো হচ্ছে কি না? আরো কত কী?????
অধর রায় আজ খুব অভিমানী ও রাগী।তাই সে আজ হোটেলে খাবারের সময় মাছ-মাংস দুটো দিয়েই খাবার খেয়েছ।আর মনে মনে ভাবছে, কী হবে? এই স্ত্রী,বউ বাচ্ছা দিয়ে? সব জ্যুট হ্যায়।মানুষকে সুখী করতে চাওয়াটাই যেন,শোকের বিষয়।তাই তার আজ এক নতুন উপলব্ধি, কাউকে নয় ও কারো জন্য নয়।আগে নিজেকেই সুখী করো।

Friday, January 26, 2018

মৃত ব্যক্তির হক ও জানাযার নামাযের নিয়ম

কোন ব্যক্তি মারা গেলে তার উপর জীবিত ব্যক্তিদের চারটি কাজ ফরয হয়ে যায়।আর তা'হলো....
১. দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করা।
২. অসিয়্যত পুরণ করা।
৩. ঋণ পরিশোধ করা।
৪. এবং তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ওয়ারিশদের মাঝে বণ্টন করা
। নিম্নে এর বিস্তারিত আলোচনা করা হলো...

১.দাফন-কাফনের ব্যবস্থা :

কারও পরিবার, আত্মীয়-স্বজন কিংবা প্রতিবেশী মুসলমান মারা গেলে ওই এলাকার জীবিত পুরুষদের কর্তব্য হলো মৃত ব্যক্তির জানাযার নামাজ আদায় করা। জানাযার নামাজের মাধ্যমে তার জন্য দোয়া করা। পরকালীন মুক্তি কামনা করা করা। জানাযার নামাজ পড়লে নিজের মৃত্যুর কথাও স্মরণ হয়। স্মরণ হয় পরকালের কথা। এতেকরে পরবর্তীসময়ে অন্যায় ও অপরাধের মাত্রা কমে যায়। বেশি বেশি ভালো কাজ করার ইচ্ছা জাগে। তাই, সুযোগ থাকলে মৃতু ব্যক্তির জানাযায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে উপস্থিত হওয়া চাই।
জানাযার নামাজ শুরুর আগে পবিত্রা অর্জন করা আবশ্যক। অপবিত্র অবস্থায় জানাযা শুদ্ধ হবে না। ওজু কিংবা গোসল (যদি প্রয়োজন হয়) করে জানাযার নামাজে দাঁড়াতে হবে। কোথাও পানির ব্যবস্থা না থাকলে তায়াম্মুম করে নিতে হবে।
আর জানাযার নামায চার তকবিরের সাথে পড়তে হয়।তকবির বলার সময় হাত উত্তোলন করা যাবে না এবং হাত ছেড়েও দেওয়া যাবে না।মনে রাখতে হবে,জানাযার নামায ঈদের নামাযের বিপরীত অর্থাৎ ঈদের নামাযে হাত তুলে ছেড়ে দিতে হয়।সংক্ষেপে জানাযার নামায..
১ নং তকবিরের পর ছানা পড়া।
২ নং তকবিরের পর দরুদ পড়া।
৩ নং তকবিরের পর দোয়া করা।
৪ নং তকবিরের পর সালাম ফিরাতে হবে।


বিস্তারিত নিয়মঃনামাজের তাকবির বলার আগে নিয়ত করতে হবে। যারা আরবিতে নিয়ত করতে পারেন তাদের জন্য আরবিতে নিয়ত করা-ই ভালো। আরবি নিয়তটি হলো
نَوَيْتُ اَنْ اُؤَدِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى اَرْبَعَ تَكْبِيْرَاتِ صَلَوةِ الْجَنَا زَةِ فَرْضَ الْكِفَايَةِ وَالثَّنَا ءُ لِلَّهِ تَعَا لَى وَالصَّلَوةُ عَلَى النَّبِىِّ وَالدُّعَا ءُلِهَذَا الْمَيِّتِ اِقْتِدَتُ بِهَذَا الاِْمَامِ مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ
উচ্চারণ : নাওয়াইতু আন, উয়াদ্দিয়া লিল্লাহি তায়ালা, আরবাআ তাকরিরাতি ছালাতিল জানাযাতে ফারযুল কেফায়াতি, ওয়াচ্ছানাউ লিল্লাহি তায়ালা ওয়াচ্ছালাতু আলান্নাবিয়্যি, ওয়াদ্দোয়াউ লেহাযাল মাইয়্যিতি ইকতেদায়িতু বিহাযাল ইমাম মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতে আল্লাহু আকবার।
তবে ইমাম সাহেব ‘ইকতেদায়িতু বিহাযাল ইমাম’ এর বদলে ‘আনা ইমামু লিমান হাজারা ওয়া মাইয়্যাহজুরু’ বলবে। আর ‘লিহাযাল মাইয়্যিতে’ শব্দটি কেবল পুরুষ লাশের ক্ষেত্রে বলতে হবে। মহিলা লাশ হলে ওই শব্দটির স্থলে ‘লিহাযিহিল মাইয়্যিত’ বলবে।
আর যারা আরবিতে নিয়ত করতে পারেন না, তারা মনে মনে বা উচ্চস্বরে বাংলায় বলবে ‘আমি অতিরিক্ত চার তাকবিরে জানাযা নামাজ ফরজে কেফায়া ইমামের পিছনে আদায় করার মনস্থ করলাম।’ তারপর আল্লাহু আকবার বলে ইমামের সাথে হাত বাঁধবে।
প্রথমেই ইমাম সাহেব ও মুক্তাদিগণ ছানা পড়বে। আরবি ছানা
سُبْحَا نَكَ اَللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَا لَى جَدُّكَ وَجَلَّ ثَنَاءُكَ وَلاَ اِلَهَ غَيْرُكَ
উচ্চারণ : সুবহা-নাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা, ওয়া তাবারা কাসমুকা ওয়া তায়ালা জাদ্দুকা, ওয়া জাল্লা ছানাউকা ওয়া লা-ইলাহা গাইরুকা।
ছানা পড়া শেষে ২য় তাকবির বলে দুরুদ শরিফ পড়বে। আরবি দুরুদ শরিফ
اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى اَلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى اِبْرَا هِيْمَ وَعَلَى اَلِ اِبْرَ اهِيْمَ اِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ- اَللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى اَلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى اِبْرَا هِيْمَ وَعَلَى اَلِ اِبْرَا هِيْمَ اِنَّكَ حَمِيْدٌمَّجِيْدٌ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা সাল্লিআলা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা আলা ইব্রাহিমা ওয়া আলা আলি ইব্রাহিমা ইন্নাকা হামিদুম্মাজীদ। আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিন কামা বারাকতা আলা ইব্রাহীমা ওয়া আলা আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম্মাজীদ।
দুরুদ শরিফ শেষে ৩য় তাকবির বলে জানাযার দোয়া পড়বে। প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির জন্য এই দোয়া পড়বে
اَلَّهُمَّ اغْفِرْلحَِيِّنَاوَمَيِّتِنَا وَشَاهِدِنَا وَغَائِبِنَا وَصَغِيْرِنَا وَكَبِيْرِنَا وَذَكَرِنَا وَاُنْثَا نَا اَللَّهُمَّ مَنْ اَحْيَيْتَهُ مِنَّا فَاَحْيِهِ عَلَى الاِْسْلاَمِ وَمَنْ تَوَفَّيْتَهُ مِنَّا فَتَوَفَّهُ عَلَىالاِْيمَانِ بِرَحْمَتِكَ يَاَارْ حَمَالرَّحِمِيْنَ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মাগফিরলি হাইয়্যিনা ওয়া মাইয়্যিতিনা ওয়া শাহীদিনা ওয়া গায়িবিনা ও ছাগীরিনা ও কাবীরিনা ও যাকারিনা ও উনছা-না। আল্লাহুম্মা মান আহইয়াইতাহু মিন্না ফাআহয়িহি আলাল ইসলাম, ওয়া মান তাওয়াফ ফাইতাহু মিন্না ফাতাওয়াফ ফাহু আলাল ঈমান, বিরাহমাতিকা ইয়া আর হামার রাহীমিন।
আর লাশ যদি নাবালক ছেলে হয় তবে এই দোয়া পড়বে
اَللَّهُمَّ اجْعَلْهُ لَنَا فَرْطًاوْ اَجْعَلْهُ لَنَا اَجْرً اوَذُخْرًا وَاجْعَلْهُ لَنَا شَا فِعًة وَمُشَفَّعًا-
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মাজ আলহুলানা ফারতাঁও ওয়াজ আলহুলানা আজরাও ওয়া যুখরাঁও ওয়াজ আলহুলানা শাফিয়াও ওয়া মুশাফ্ফায়ান।
লাশ যদি নাবালেগা মেয়ে হয় তবে এই দোয়া পড়বে
اَللَّهُمَّ اجْعَلْهَ لَنَا فَرْطًا وَاجْعَلْهَ لَنَا اَجْرً اوَذُخْرًا وَاجْعَلْهَ لَنَا شَا فِعً وَمُشَفَّعًا
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মাজ আলহা লানা ফারতাঁও ওয়াজ আলহা লানা আজরাঁও ওয়া যুখরাঁও ওয়াজ আলহা লানা শাফিয়াও ওয়া মুশাফ্ফায়ান।
দোয়া শেষে ৪র্থ তাকবির বলে ইমাম সাহেব ডান ও বাম পাশে সালাম ফিরাবেন। সঙ্গে মুক্তাদিগণও সালাম ফিরাবেন। নামাজ শেষ করেই হাত উঠিয়ে দোয়া করা মাকরূহ। কারণ জানাযার নামাজ-ই মূলত মৃত ব্যক্তির জন্য বিশেষ দোয়া। তবে দাফন সম্পন্ন করার পর দোয়া করতে পারবে। নবীজি (স) ও সাহাবীগণ এমনটা করতেন।

কবরে মাটি দেওয়ার সময় পড়ার দোয়া
রাসূল(সা) মেয়ে উম্মে কুলসুম রাঃ কে কবরে রাখার সময় এ দুআ পড়েছেন।হাদীসে এসেছে-

عَنْ أَبِي أُمَامَةَ قَالَ: لَمَّا وُضِعَتْ أُمُّ كُلْثُومٍ ابْنَةُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْقَبْرِ. قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” {مِنْهَا خَلَقْنَاكُمْ وَفِيهَا نُعِيدُكُمْ، وَمِنْهَا نُخْرِجُكُمْ تَارَةً أُخْرَى} [طه: 55
সকল মুহাদ্দিসীনে কেরাম উক্ত হাদীসকে জঈফ বলে মন্তব্য করলেও কেউ একে জাল বা বানোয়াট বলে মন্তব্য করেননি। তাই এ হাদীসের উপর ভিত্তি করে রাসূল সাঃ থেকে সুনিশ্চিত প্রমাণিত সুন্নত না মনে করে এমনিতে আমল করাতে কোন সমস্যা নেই। এ আমলকে বিদআত বলা দ্বীনী বিষয়ে বাড়াবাড়ি ছাড়া আর কিছু নয়।

রচনায় ও সম্পাদনায়
জহির উদ্দীন

Thursday, January 18, 2018

প্রতিবেদন কি?কত প্রকার ও প্রতিবেদন লেখার নিয়ম


প্রতিবেদন হচ্ছে কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের তথ্যভিত্তিক বর্ণনা।প্রতিবেদনকে ইংরেজিতে Report বলে।একটি প্রতিবেদনের সাধারণত পাঁচটি অংশ থাকে। যথা:
১. প্রতিবেদনের শিরোনাম
২. সূচনা অনুচ্ছেদ যাকে সংবাদ পত্রের ভাষায় Lead বা Intro বলে।
৩. বিষয় বিবরণ।
৪. মতামত বা সুপারিশ।
৫. প্রতিবেদকের নাম।

প্রতিবেদন ৪টি নিয়ম বা স্টাইলে লেখা যায়।যথা:
১. প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক।
২. রিপোর্টার বা সাংবাদিক ভিত্তিক।
৩. নাগরিক ভিত্তিক।
৪. সংবাদ পত্রের প্রকাশ উপযোগী ভিত্তিক।


১. প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক:

কোন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত থেকে যে প্রতিবেদন লিখবেন সেটি প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক।যথা:

প্রশ্ন ১। শাহীন কলেজর বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রতিবেদন লেখো।

প্রতিবেদনের শিরোনাম : বিদ্যালয়ের বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রতিবেদন।
প্রতিবেদকের নাম : জহির উদ্দীন।
প্রতিবেদকের ঠিকানা : আধুনগর, লোহাগাড়া,চট্টগ্রাম।
প্রস্তুতের সময় ও তারিখ : সকাল ১০:১০ মিনিট ৩০/০১/১৭ খ্রি:
প্রস্তুতের স্থান :চট্টগ্রাম।

মাননীয়
অধ্যক্ষ মহোদয়
বি এ এফ শাহীন কলেজ চট্টগ্রাম
দ:পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম।
বিষয় : । শাহীন কলেজের বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রতিবেদন
জনাব,
সবিনয় নিবেদন এই যে,সূত্র...........গত ০২/০১/১৭ খ্রি: ১২০ নং নোটিশ অনুযায়ী বিদ্যালয়ে বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রতিবেদনটি নিম্নে পেশ করা হলো.

বিনীত
জহির উদ্দীন

শাহীন কলেজের বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রতিবেদন

গত ১৬ ই ডিসেম্বর ২০১৭ খ্রি: শাহীন কলেজ চট্টগ্রামে বিজয়.....................................................................................................................................................................................................................................................................
বিবরণ.................................................................................................................................................................................................................................................................................................................... মতামত.................................................................................................................................................................. .........................

প্রতিবেদক
জহির উদ্দীন
শ্রেণি ক্যাপ্টেন দশম শ্রেণি।

প্রতিবেদনটি ইমেইলে প্রেরণ করা হলো:

২. রিপোর্টার ভিত্তিক বা সাংবাদিক:

এটি মূলত একজন রিপোর্টার বা সাংবাদিক পত্রিকায় যেভাবে রিপোর্ট করেন বা যেভাবে তিনি পত্রিকায় সংবাদ উপস্থাপন করেন সেটি হল রিপোর্টার ভিত্তিক।যথা:

মনে করো,তুমি একটা পত্রিকার রিপোর্টার সড়ক দুর্ঘটনা সম্পর্কে ১টি প্রতিবেদন লেখো।
প্রতিবেদনের শিরোনাম : আধুনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত ১০ জন আহত।
প্রতিবেদকের নাম : জহির উদ্দীন।
ঠিকানা: প্রস্তুতের সময় ও তারিখ : আধুনগর, লোহাগাড়া,চট্টগ্রাম।
প্রস্তুতের সময় ও তারিখ : সকাল ১০:১০ মিনিট ৩০/০১/১৭ খ্রি:
প্রস্তুতের স্থান : চট্টগ্রাম।

আধুনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত ১০ জন আহত

নিজস্বপ্রতিবেদক,জহির,চট্টগ্রাম।.................................................................................................................................................................................................................................। বিবরণ................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................
মতামত..............................................................................................................................................................................................।

প্রতিবেদনটি ইমেইলে প্রেরণ করা হলো: azadi@yahoo.com




৩. নাগরিক ভিত্তিক:
এটি মূলত সাধারণ নাগরিক জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য তৈরি করে, এবং তা জনসমক্ষে তুলে ধরে। এটি পোষ্টার /লিফলেট আকারে প্রকাশিত হয় বলে এটি নাগরিক ভিত্তিক।যথা:
প্রশ্ন : খাদ্যে ভেজাল ও তা রোধ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন।
প্রতিবেদনের শিরোনাম : খাদ্যে ভেজাল ও তা রোধ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন।
প্রতিবেদকের নাম : জহির উদ্দীন।
ঠিকানা : আধুনগর, লোহাগাড়া,চট্টগ্রাম।
প্রস্তুতের সময় ও তারিখ : সকাল ১০:১০ মিনিট ৩০/০১/১৭ খ্রি:
প্রস্তুতের স্থান : চট্টগ্রাম।
খাদ্যে ভেজাল ও তা রোধ.


.....................................................................................................................................................................................................
বিবরণ..........................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................। মতামত................................................................................................................................................................................................................।
প্রতিবেদক
জহির উদ্দীন।
Note : নাগরিকভিত্তিতে যেহেতু কোন প্রতিষ্ঠান বা পত্রিকায় প্রকাশের কথা বা রিপোর্টারের কথা উল্লেখ নেই।যেহেতু উল্লেখ নেই সেহেতু এটি নিজেই সাংবাদিক বা রিপোর্টার ভিত্তিকও করা যাবে।

৪. সংবাদ পত্রে প্রকাশ ভিত্তিক:

এটি মূলত একজন সাধারণ নাগরিক যেভাবে সংবাদ পত্রে প্রতিবেদনটি প্রকাশ উপযোগী ভিত্তিক।যথা:

প্রশ্ন: বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ পালন সম্পর্কে পত্রিকায় প্রকাশ উপযোগী ১টি প্রতিবেদন লেখো।

প্রতিবেদনের শিরোনাম : খাদ্যে ভেজাল ও তা রোধ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন।
প্রতিবেদকের নাম : জহির উদ্দীন।
ঠিকানা : আধুনগর, লোহাগাড়া,চট্টগ্রাম।
প্রস্তুতের সময় ও তারিখ : সকাল ১০:১০ মিনিট ৩০/০১/১৭ খ্রি:
প্রস্তুতের স্থান : চট্টগ্রাম।

মাননীয়
সম্পাদক
আজাদী,আন্দরকিল্লা,চট্টগ্রাম।
বিষয়: বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ পালন সমবপর্কে প্রতিবেদন।
জনাব,
সবিনয় নিবেদন এই যে,আপনার বহুল প্রচারিত সংবাদপত্রে "বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ পালন' সম্পর্কে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করলে আপনার নিকট চির কৃতজ্ঞ থাকব।
প্রতিবেদক
জহির উদ্দীন

লোহাগাড়ায় বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ পালন
....................................................................................................................... বিবরণ...................................................................................................................................................................................................................................................................... মতামত......................................................................................................................................................................................................................
প্রতিবেদক
জহির উদ্দীন

Monday, October 30, 2017

পঞ্চম শ্রেণির বিপরীত শব্দ প্রস্তুতি

পাঠ্যবইয়ে উল্লেখিত বিপরীত শব্দগুলোর একত্রে সন্নিবেশিত করে পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পার.....
প্রদত্ত শব্দ ----------------বিপরীত শব্দ
১. বাঙালি ----------------অবাঙালি
২. বন্ধু --------------- শত্রু
৩. দেশ ---------------- বিদেশ
৪. সার্থকতা ---------------- ব্যর্থতা
৫. সুন্দর ---------------- কুৎসিত
৬. অহংকার ---------------- নিরহংকার
৭. ভয় ---------------- সাহস
৮. স্বাধীন ---------------- পরাধীন
৯. শান্তি ---------------- অশান্তি
১০. সভ্য ---------------- অসভ্য
১১. ধ্বনি ---------------- প্রতিধ্বনি
১২. শক্তিশালী ---------------- দুর্বল
১৩. দুরন্ত ---------------- শান্ত
১৪. অসীম ---------------- সসীম
১৫.সুনাম ---------------- দুর্নাম
১৬. বীর ---------------- কাপুরুষ
১৭. জয় ---------------- পরাজয়
১৮. জীবন ---------------- মরণ
১৯. ঘুমন্ত ---------------- জাগ্রত
২০. সাধু ---------------- অসাধু
২১. লোভী ---------------- নির্লোভ
২২. সরল ---------------- গরল
২৩. কান্না ---------------- হাসি
২৪. চেনা ---------------- অচেনা
২৫. ভালো ---------------- মন্দ
২৬. বড় ---------------- ছোট
২৭. আলো ---------------- অন্ধকার
২৮. সুখ ---------------- দু:খ
২৯. মায়া ---------------- নির্মম
৩০. স্বাদ ---------------- বিস্বাদ
৩১. কষ্ট ---------------- সুখ
৩২. নকল ---------------- আসল
৩৩. রানি ---------------- দাসী
৩৪. রাজপুত্র ---------------- ভিখারীপুত্র
৩৫. অসুন্দর ---------------- সুন্দর
৩৬. খুশি ---------------- দু:খ
৩৭. বড় ---------------- ছোট
৩৮. মান ---------------- অপমান
৩৯. যশ ---------------- অপযশ
৪০. বিষাদ ---------------- হর্ষ
৪১. উন্নত ---------------- অবনত
৪২. সকাল ---------------- বিকাল
৪৩. আঁধার ---------------- আলো
৪৪. কালো ---------------- সাদা
৪৫. ভালো ---------------- মন্দ
৪৬. জয় ---------------- পরাজয়
৪৭. সকাল ---------------- সন্ধ্যা
৪৮. তেতো ---------------- মিষ্টি
৪৯. পরাস্ত ---------------- জয়
৫০. দুর্বল ---------------- সবল/ শক্তিশালী
৫১. আনন্দ ---------------- দু:খ
৫২. শান্ত ---------------- দুরন্ত
৫৩. জন্ম ---------------- মৃত্যু
৫৪. কান্না ---------------- হাসি
৫৫. ভরা ---------------- খালি
৫৬. যুদ্ধ ---------------- শান্তি
৫৭. দূর ---------------- কাছে
৫৮. শুকনো ---------------- ভেজা
এক কথায় প্রকাশ।
১. বরণ করার যোগ্য ---------- বরেণ্য।
২. মেধা আছে এমন যে জন ---------- মেধাবী।
৩. অহংকার নেই যার ---------- নিরহংকার।
৪. বিচার - বিবেচনা ছাড়া যা ---------- নির্বিচার।
৫. কোনোভাবেই পূরণ করা যায় না এমন ---------- অপূরণীয়।
৬. যার তুলনা হয় না ---------- অতুলনীয়
৭. যার শত্রু জন্মায়নি ---------- অজাতশত্রু
৮. আকাশে যে উড়ে বেড়ায় ---------- খেচর
৯. বিদেশে থাকে যে ---------- প্রবাসী।
১০. যা কষ্টে লাভ করা যায় ---------- দুর্লভ।
১১. যা জলে চরে ---------- জলচর।
১২. গল্প গুজব করার আসর ---------- মজলিশ।


রচনায় ও সংকলনে
জহির উদ্দীন
শিক্ষক,বি এ এফ শাহীন কলেজ চট্টগ্রাম।

Sunday, October 29, 2017

যুক্তব্যঞ্জনগুলো ভেঙ্গে লেখো ও বাক্য গঠন করো

১.ক্ষ= ক্+ষ ;শিক্ষক : আমরা শিক্ষকদের সম্মান করবো।
২. হ্ম = হ্+ম ; ব্রহ্মপুত্র : ব্রহ্মপুত্র বাংলাদেশের একটি নদীর নাম।
৩. ত্র = ত্+র-ফলা ; রাত্রি : তুমি কাল রাত্রে এসো।
৪. ক্র = ক্ + র ফলা ; শুক্রবার ; শুক্রবার স্কুল বন্ধ থাকে।
৪. ত্ত = ত্+ত ; বৃত্তি : আমি এবারে বৃত্তি পাব ইন শা আল্লাক।
৫. ক্ত = ক্+ত ; রক্ত : করিলে রক্ত দান, বাঁচিবে একটি প্রাণ।
৬. হ্ন = হ্+ন ; মধ্যাহ্ন : আমি মধ্যাহ্নে বের হবো না।
৭. হ্ণ = হ্+ণ ; অপরাহ্ণ : সে অপরাহ্ণে আসবে।
৯. ষ্ণ = ষ্+ণ ; কৃষ্ণ : কৃষ্ণ ভালো ছেলে।
১০. ক্স = ক্+স ; কক্সবাজার : আমি কক্সবাজার যাব।
১১. ট্ট = ট্ + ট ; চট্টগ্রাম : আমার জন্ম চট্টগ্রামে।
১২. ট্র = ট্ + র-ফলা (্র); ট্রেন : ট্রেনে ভ্রমণ নিরাপদ ভ্রমণ।
১৩. জ্ঞ = জ্ + ঞ;জ্ঞান :জ্ঞান অর্জন ফরয।
১৪. ঞ্জ = ঞ্ + জ; পাঞ্জাবী: তোমার পাঞ্জাবীটা খুব সুন্দর।
১৫. ত্ন = ত্ + ন; যত্ন : যত্ন করলে রত্ন মিলে।
১৬. ত্ম = ত্ + ম; আত্মীয়: ওনি আমার আত্মীয়।
১৭. ঞ্চ = ঞ্ + চ;পঞ্চাশ: আমাকে পঞ্চাশটা টাকা দাও।
১৮. দ্ব = দ + ব; বিদ্বান: বিদ্বান ব্যক্তিকে সবাই সম্মান করে।
১৯. দ্ধ = দ + ধ;যুদ্ধ: যুদ্ধ কখনো শান্তি আনে না।
২০. ন্দ = ন + দ; আনন্দ: সে আজ খুব আনন্দিত।

Recent Post

মিষ্টি আলুর উপকারিতা

মিষ্টি আলুঃ "বাচ্চার ওজন দ্রুত বাড়ানোর সেরা খাবার"  বাচ্চার স্বাস্থ্য এবং বিকাশের জন্য মিষ্টি আলু একটি বিশেষ খাবার। এটি শুধু বাচ্চ...

Most Popular Post