Ad-1

Sunday, March 25, 2018

দ্বন্দ্ব সমাস কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি উদাহরণসহ লেখ

অর্থবিচারে যে সমাসে দুইপদ (পূর্বপদ ও পরপদ)-এর সমান গুরুত্ব থাকে তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলা হয়। যেমন: 

মা-বাবাসাদা-কালোসোনা-রূপাঘরে-বাইরেতেলে-জলে প্রভৃতি।

দ্বন্দ্ব সমাসে দুই পদ একই শ্রেণীর হয় এবং দুইপদ দুজন ব্যক্তি বা দুটি বস্তুকে  বোঝায়।যেমন :

ক. দুপদই বিশেষ্য : অহি-নকুলপিতা-পুত্র প্রভৃতি।

খ. দুপদই বিশেষণ : সাদা-কালোক্ষত-বিক্ষত প্রভৃতি।

গ. দুপদই সর্বনাম : তোমরাআমরা প্রভৃতি।

ঘ. দুপদই ক্রিয়াপদ : বেচা-কেনাআসা-যাওয়া প্রভৃতি।

 দ্বন্দ্ব সমাসের ব্যাসবাক্য গঠন : পদ দুটোর মাঝে ’, ‘এবং’ যুক্ত করলে ব্যাসবাক্য হয়ে যাবে। যেমন : অহিনকুল = অহি ও নকুলপিতা-পুত্র = পিতা ও পুত্রসাদা-কালো = সাদা ও কালোক্ষত-বিক্ষত = ক্ষত ও বিক্ষততোমরা = তুমিও সেআমরা = আমিতুমি ও সেবেচা-কেনা = বেচা ও কেনাআসা-যাওয়া = আসা ও যাওয়া।

দ্বন্দ্ব সমাসের প্রকারভেদ :

ক.  সমার্থক দ্বন্দ্ব : দ্বন্দ্ব সমাসের দুই পদ সমার্থক হলে তাকে সমার্থক দ্বন্দ্ব সমাস বলে। যেমন : রাজা বাদশাকাগজ ও পত্র = কাগজ-পত্রকাজ ও কর্ম = কাজ-কর্মজন ও মানব = জন-মানবধন ও দৌলত = ধন-দৌলত ইত্যাদি।

খ.  বিরোধার্থক দ্বন্দ্ব : দ্বন্দ্ব সমাসের দুই পদ বিপরীত অর্থ প্রকাশ করলে তাকে বিপরীতার্থক বা বিরোধার্থক দ্বন্দ্ব সমাস বলা হয়। যেমন : ভালো ও মন্দ = ভালো-মন্দবাদি ও বিবাদি = বাদি-বিবাদি ইত্যাদি।

গ.  মিলনার্থক দ্বন্দ্ব : যে দ্বন্দ্ব সমাসে দুই পদের অর্থের মধ্যে সম্পর্ক বা সৌহার্দ থাকেতাকে মিলনার্থক দ্বন্দ্ব সমাস বলে যেমন: ভাই ও বোন = ভাই-বোনস্বামী ও স্ত্রী = স্বামী-স্ত্রী ইত্যাদি।

ঘ.  অলুক দ্বন্দ্ব : যে দ্বন্দ্ব সমাসের দুই পদে একই বিভক্তি যুক্ত থাকে অথবা কোন বিভক্তি লোপ পায় না তাকে অলুক দ্বন্দ্ব সমাস বলে। যেমন : দুধে ও ভাতে = দুধে-ভাতেঘরে ও বাইরে = ঘরে-বাইরে ইত্যাদি।

ঙ.  ইত্যাদি অর্থবোধক দ্বন্দ্ব : নির্দিষ্ট ব্যক্তিদ্বয় বা নির্দিষ্ট বস্ত্তদ্বয় না বুঝিয়ে অনির্দিষ্ট কোনো কিছু বোঝালে তাকে ইত্যাদি অর্থবোধক দ্বন্দ্ব বলা হয়। যেমন : দোকান-পাটবাসন-কোসন ইত্যাদি।

চ.  একশেষ দ্বন্দ্ব সমাস : যে দ্বন্দ্ব সমাসের সুনির্দিষ্ট পূর্বপদ বা পরপদ থাকে নাকিন্তু দুই পদ সমান অর্থবোধক সর্বনাম দ্বারা সমাসটি গঠিত হয়ে থাকেতাকে একশেষ দ্বন্দ্ব সমাস বলে। যেমন : আমরাতোমরা প্রভৃতি।

এ সমাস দুটির ব্যাসবাক্য হতে পারে যথাক্রমে-আমরা = আমি ও তুমি কিংবা আমি ও তোমরা কিংবা আমি-তুমি ও সে। তোমরা = এ সমাসটির ব্যাসবাক্য হতে পারে-তুমি ও সে কিংবা তুমি ও তারা।

ছ.  বহুপদী দ্বন্দ্ব সমাস : যে দ্বন্দ্ব সমাসে দুয়ের অধিক পদ সমাসবদ্ধ হয়ে থাকেতাকে বহুপদী দ্বন্দ্ব সমাস বলে। যেমন : টাকা-আনা-পাইরোদ-বৃষ্টি-ঝড়কাঠ-খড়-কেরোসিন প্রভৃতি।

দ্বন্দ্ব সমাসের অতিরিক্ত উদহারণ

বিশেষ্য + বিশেষ্য পদের দ্বন্দ্ব সমাস

আইন-আদালত = আইন ও আদালত     চন্দ্র-সূর্য = চন্দ্র ও সূর্য

ভাবভঙ্গী = ভাব ও ভঙ্গী                   ছাত্রছাত্রী=ছাত্র ও ছাত্রী

জাঁকজমক=জাঁক ও জমক              শালতালতমাল= শালতাল ও তামাল

দোয়াত-কলম = দোয়াত ও কলম        সৈন্যসামন্ত = সৈন্যও সামন্ত

কাগজ-কলম=কাগজ ও কলম             রীতিনীতি=রীতি ও নীতি

পিতা-পুত্র=পিতা ও পুত্র                    ঘটি-বাটি=ঘটি ও বাটি

ঝড়-বৃষ্টি = ঝড় ও বৃষ্টি                    শাকসবজি = শাক ও সবজি

ক্ষেত-খামার – ক্ষেত ও খামার             রাজা-বাদশা = রাজা ও বাদশা

জন-মানব=জন ও মানব                   কীট-পতঙ্গ = কীট ও পতঙ্গ

সোনা-রূপা = সোনা ও রূপা                 কথা-বার্তা = কথা ও বার্তা

পোকা-মাকড় = পোকা ও মাকড়          শহর-গ্রাম = শহর ও গ্রাম

ছেলে-মেয়ে= ছেলে ও মেয়ে                মাঠ-ঘাট=মাঠ ও ঘাট

উজির-নাজির = উজির ও নাজির         লোক-লস্কর = লোক ও লস্কর

ফলমূল =ফল ও মূল                        নথি-পত্র = নথি ও পত্র

সভাসমিতি = সভা ও সমিতি              পথ-ঘাট = পথ ও ঘাট

মামলা-মোকদ্দমা = মামলা ও মোকাদ্দমা           ডাক্তার-বৈদ্য=ডাক্তার ও বৈদ্য

ধনজন = ধন ও জন                        মশা-মাছি=মশা ও মাছি

বিশেষণ + বিশেষণ পদের দ্বন্দ্ব সমাস

উচু-নিচু=উঁচু ও নিচু                        ভালো-মন্দ = ভালো ও মন্দ

ক্ষত-বিক্ষত = ক্ষত ও বিক্ষত             হতাহত = হত ও আহত

লঘু-গুরু = লঘু ও গুরু                       ইতর-ভদ্র = ইতর ও ভদ্র

সহজসরল=সহজ ও সরল                   কানা-খোঁড়া = কানা ও খোঁড়া

সাদা-কালো=সাদা ও কালো                লাল-নীল=লাল ও নীল

হিতাহিত=হিত ও অহিত                   কাঁচাপাকা = কাঁচা ও পাকা

নরম-গরম = নরম ও গরম               দশ-বিশ = দশ ও বিশ

সর্বনাম + সর্বনাম পদের দ্বন্দ্ব সমাস

যা-তা = যা ও তা                          যে-সে = যে ও সে

যিনি-তিনি = যিনি ও তিনি              যেমন-তেমন = যেমন ও তেমন

তোমরা = তুমি ও সে                      আমরা = আমি ও তুমি

ক্রিয়া + ক্রিয়াপদের দ্বন্দ্ব সমাস

ভেঙেচুরে = ভেঙে ও চুরে                   চেয়ে-চিন্তে = চেয়ে ও চিন্তে

হেসে-খেলে = হেসে ও খেলে               উঠে-পড়ে = উঠে ও পড়ে

বলে – কয়ে = বলে ও কয়ে                হেসে-কেঁদে = হেসে ও কেঁদে

মেরে-ধরে = মেরে ও ধরে                 উঠ-বস=উঠ ও বস

জেনেশুনে = জেনে ও শুনে


মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা

সূচনা:
"তোমরা সৎপথে থেকো।মাতৃভূমিকে ভালোবেসো।তোমরা শুধু সামরিক বাহিনীকে নও,এটা আমাদের জনগণের বাহিনী।"- বঙ্গবন্ধু।
বাঙালির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালে বাঙালির স্বাধীনতা আন্দোলনে সেনা,নৌ,বিমান বাহিনী সম্মিলিতভাবে হানাদার বাহিনীর ওপর আক্রমণ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে।সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের রক্ত বেসামরিক জনগণের রক্তের সাথে ১৯৭১ সালে এক নদীর এক স্রোতে মিশে গেছে।কেউ কোনোদিন আর পৃথক করতে পারবে না।তাদের আত্মত্যাগ অজর, অমর,অক্ষয়,অব্যয় হয়ে থাকবে মহাপ্রলয়ের শেষ রজনী পর্যন্ত।


বাংলাদেশে সশস্ত্র বাহিনী:
"জনগন শান্তিতে ও নিশ্চিন্তে নিদ্রা যাপন করে,কারণ তারা জানে দেশের সশস্ত্র বাহিনী তাদের পক্ষে লড়তে সদা প্রস্তুত।"
জর্জ অরওয়েল।

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী আমাদের গর্ব ও জাতীয়ঐক্যের প্রতীক।দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন,মুক্তিযুদ্ধোত্তর দেশ গঠন,প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা এবং জাতিসংঘ মিশনে সততা ও দক্ষতার সাথে সশস্ত্র বাহিনীর দায়িত্ব পালনের কারণে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল।মূলত সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীকে নিয়েই সশস্ত্র বাহিনী। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তাঁদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাঁদের আত্মত্যাগের ফলে আমরা আমাদের স্বাধীনতা পেয়েছি।অবশ্য বেসামরিক মানুষেরও অবদান কম নয়।সশস্ত্র বাহিনী দেশের প্রয়োজনে ও সকল সময় জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং ভবিষ্যতেও যে কোন সংকটে দেশের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগের জন্যও সদা প্রস্তুত।


মুক্তিযুদ্ধে বিমান বাহিনীর ভূমিকা:

"আল্লাহর পথে সীমান্ত পাহারা দেয়া দুনিয়া ও দুনিয়ার উপর যা কিছু আছে তার চাইতে উত্তম।"
সহিহ বুখারি ও মুসলিম।

বিমান বাহিনী আমাদের আকাশের সীমান্ত পাহারা দেয় এবং মুক্তিযুদ্ধে বিমান বাহিনীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী গঠিত হয়।ভারত সরকার বাংলাদেশকে মর্টার এয়ারক্রাফট, একটা ডাকোটা, ও দুটো হেলিকপ্টার প্রদান করে।এর ভিত্তিতে ১৯৭১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী পথচলা শুরু।দেরিতে পথচলা শুরু হলেও মুক্তিযুদ্ধে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিল বিমান বাহিনী।মুক্তিযুদ্ধে ভারতের বিমান ও হেলিকপ্টারকে ব্যাপক সংস্কারের মাধ্যমে সামরিক যুদ্ধ বিমানে রূপান্তরিত করে পাক হানাদার বাহিনীর উপর অসংখ্য সফল আক্রমণে তাদের যুদ্ধ করার ক্ষমতা বহুলাংশে হ্রাস করে।পাকিস্তান যখন বাংলাদেশের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল তখন পশ্চিম পাকিস্তানে বিমান বাহিনীতে চাকরিরত অবস্থান বাংলাদেশকে বাঁচাতে বাংলাদেশের লোক এগিয়ে আসেন এবং ১১৩১ জন বীরযোদ্ধা নিয়মিতভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে বাহিনীকে করেছেন গর্বিত।তাঁদের মধ্যে একজন বীরশ্রেষ্ঠসহ
২২জন বীরযোদ্ধা মুক্তিযুদ্ধে সাহসী অবদানের জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খেতাবে ভূষিত হন।দেশমাতৃকার শ্রেষ্ঠ সন্তান বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট ল্যাফটেনেন্ট মতিউর রহমান ১৯৭১ সালের ২০ আগস্ট পাকিস্তানের মশরুর বিমান ঘাঁটি থেকে একটি টি-৩৩ বিমান ছিনতাই করে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের পরিকল্পনা করেন।কিন্তু বিমানটি পাকিস্তান - ভারত সীমান্তে বিধ্বস্ত হলে তিনি মতিউর রহমান শাহাদত বরণ করেন।নবগঠিত বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সদস্যগণ ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর মধ্যরাতে পাক-হানাদারদের উপর প্রথমে অটার বিমান এবং এ্যালুয়েট হেলিকপ্টারের মাধ্যমে আক্রমণ পরিচালনা করে।১৯৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এভাবে ৪৫টির অধিক বিমান অভিযান সাফল্যের সাথে পরিচালনা করা হয়।বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে চট্টগ্রামের ইস্টার্ণ রিফাইনারি তেল ডিপো,নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল তেল ডিপো, সিলেট,শ্রীমঙ্গল,কুমিল্লার দাউদকান্তি, নরসিংদী এবং ভৈরববাজারসহ বিভিন্ন এলাকার সফল অপারেশনের মাধ্যমে পাক হানাদার বাহিনীর বিপুল ক্ষতি সাধন করতে সক্ষম হয়।এর ফলে শত্রুর অপারেশনাল কার্যক্রমের ক্ষমতাসহ যুদ্ধ পরিচালনারর মনোবল হ্রাস পায় যা আমাদের মহান বিজয় অর্জনকে ত্বরান্বিত করে।তাদের এই সাহসী পদক্ষেপ বাংলার স্বাধীনতা যুদ্ধে যোগ করে নতুন মাত্রা।


মুক্তিযুদ্ধে সেনা বাহিনীর ভূমিকা :
"মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি,
একটি ফুলের জন্য মোরা অস্ত্র ধরি।"

১০-১৫ জুলাই ১৯৭১ অনুষ্ঠিত সেক্টর কমান্ডার ও উর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাদের সাথে সরকারের বৈঠক ও সম্মিলনের তৃতীয় দিন অর্থাৎ ১২জুলাই, একটি নিয়মিত বাহিনী বা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অংশগ্রহণকারী পাকিস্তান সেনাবাহিনী, ইপিআর ও পুলিশের বাঙালি সদস্যগণের সমন্বয়ে সেনাবাহিনী গঠিত হয়।সেনাবাহিনীর নিয়মিত ব্যাটালিয়নকে তিনচি ব্রিগেডে বিভক্ত করা হয়।সেনাবাহিনীর তির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মেজর জিয়াউর রহমান,মেজর সফিউল্লাহ ও মেজর খালেদ মোশাররফের নামের আদ্যক্ষর দিয়ে যথাক্রমে জেড ফোর্স,এস ফোর্স এবং কে ফোর্স নিয়ে ব্রিগেড ফোর্সগুলো গঠিত হয়।তাঁরা বেসামরিক মানুৃষকে অ
স্ত্র চালনা শিখিয়ে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করে এবং প্রত্যক্ষভাবেও অনেকে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

মুক্তিযুদ্ধে নৌবাহিনীর ভূমিকা:
"আমাদের সুবিশাল সমুদ্র এলাকা ও সামুদ্রিক সম্পদ রক্ষায় একটি সুপ্রশিক্ষিত ও শক্তিশালী নৌবাহিনী অত্যাবশ্যক। "
[বঙ্গবন্ধু, ১০ডিসেম্বর ১৯৭৪]

পাকিস্তান নৌবাহিনীর আট বাঙালি সদস্যের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ এপ্রিল থেকে ৮ মে পর্যন্ত তাদেরকে বাংলাদেশ সরকার ভারতীয় নৌবাহিনীর সহায়তায় কমান্ডো ট্রেনিং প্রদান করে।পরবর্তিতে নৌকামান্ডোর সংখ্যা হয় ৫১৫ জনে।২ আগস্ট থেকে নৌকামান্ডোর গেরিলা হামলা শুরু এবং কমান্ডো বাহিনীই ১৫ আগস্ট 'অপারেশন জ্যাকপট'- পরিচালনা করেন।নৌকামান্ডো গঠনের মধ্য দিয়ে 'বাংলাদেশ নৌবাহিনী'- গঠনের প্রারম্ভিক প্রক্রিয়া শুরু হয়।২১ নভেম্বর ১৯৭১ বাংলাদেশ বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রতিষ্ঠা লাভ করে।


মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা:
স্বাধীনতা অর্জনের জন্য প্রতিরোধের যুদ্ধক্ষেত্র থেকে প্রথম যে বুলেটটি পাকিস্তানীদের দিকে নিক্ষিপ্ত হয়েছিল তা ছিল রাজারবাগ পুলিশেরই।পাকিস্তানী হানাদার কর্তৃক রাজারবাগ ও ঢাকা আক্রান্ত হওয়ার সংবাদটি প্রথম রাজারবাগের ওয়্যারলেস বেইজ থেকেই সমগ্র বাংলাদেশ প্রচার করা হয়।ফলে ঢাকা আক্রান্ত হওয়ার সংবাদ জানতে পেরে বাংলাদেশের অধিকাংশ থানা ফাঁড়ির পুলিশ তাদের অস্ত্র ও গুলি সরিয়ে ফেলতে সমর্থ হয় যা পরবর্তিতে ব্যাপকহারে মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহান করা হয়েছিল।যুদ্ধ চলাকালে রাজারবাগের মুক্তিকামী পুলিশ সদস্যরা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে, অনেক জায়গায় সাধারণ জনগণকে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেয়,তাদের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য অনুপ্রাণিত, উদ্বুদ্ধ করে এবং নিজেরাও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে।।

সশস্ত্র বাহিনীর উপর অমানুষিক নির্যাতন :
কোন অভিযানে ধরা পড়া সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যের উপর চালানো হয় অমানুষিক নির্যাতন। তাদের নিষ্ঠুর ও লোমহর্ষক অত্যাচারের মধ্যে চোখ উপড়ে ফেলা, মাথায় আঘাত করে চূর্ণ-বিচূর্ণ করা,মুখ তেথলে দেওয়া,বেয়নেট ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হৃৎপিন্ড উপড়ে ফেলা,আঙ্গুরে সূঁচ ফুটানো,নখ উপড়ে ফেলা,শরীরের চামড়া কেটে লবণ ও মরিচ দেওয়া ছিল খুবই সাধারণ ঘটনা,তবুও তাদের থেকে কোন তথ্য বের না হওয়ায় হত্যা করে নদী,জলাশয়ে,গর্তে ফেলে রাখত পাকিস্তানীরা।


উপসংহার:
"যুদ্ধ জয়ে ইচ্ছা ছাড়া যুদ্ধে যাওয়া ধ্বংসাত্মক। "
ডগলাস ম্যাকঅার্থার।

সত্যিই বাংলাদেশের সবাই স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিল বলেই আমরা এতো কম সময়ে মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভ করি।বাঙালিরা 'বীর বাঙালি অস্ত্র ধর,বাংলাদেশ স্বাধীন কর'- স্লোগানের মাধ্যমে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের দিকে চূড়ান্তভাবে অগ্রসর হয় এবং সফলও হয়।আজ আমাদের দায়িত্ব এক সমুদ্র রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশকে সুখী সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে পৃথিবীর বুকে প্রতিষ্ঠা করা।

মুক্তিযুদ্ধে বিমান বাহিনীর ভূমিকা...

"আল্লাহর পথে সীমান্ত পাহারা দেয়া দুনিয়া ও দুনিয়ার উপর যা কিছু আছে তার চাইতে উত্তম।"
সহিহ বুখারি ও মুসলিম।

বিমান বাহিনী আমাদের আকাশের সীমান্ত পাহারা দেয় এবং মুক্তিযুদ্ধে বিমান বাহিনীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী গঠিত হয়।ভারত সরকার বাংলাদেশকে মর্টার এয়ারক্রাফট, একটা ডাকোটা, ও দুটো হেলিকপ্টার প্রদান করে।এর ভিত্তিতে ১৯৭১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী পথচলা শুরু।দেরিতে পথচলা শুরু হলেও মুক্তিযুদ্ধে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিল বিমান বাহিনী।মুক্তিযুদ্ধে ভারতের বিমান ও হেলিকপ্টারকে ব্যাপক সংস্কারের মাধ্যমে সামরিক যুদ্ধ বিমানে রূপান্তরিত করে পাক হানাদার বাহিনীর উপর অসংখ্য সফল আক্রমণে তাদের যুদ্ধ করার ক্ষমতা বহুলাংশে হ্রাস করে।পাকিস্তান যখন বাংলাদেশের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল তখন পশ্চিম পাকিস্তানে বিমান বাহিনীতে চাকরিরত অবস্থান বাংলাদেশকে বাঁচাতে বাংলাদেশের লোক এগিয়ে আসেন এবং ১১৩১ জন বীরযোদ্ধা নিয়মিতভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে বাহিনীকে করেছেন গর্বিত।তাঁদের মধ্যে একজন বীরশ্রেষ্ঠসহ
২২জন বীরযোদ্ধা মুক্তিযুদ্ধে সাহসী অবদানের জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খেতাবে ভূষিত হন।দেশমাতৃকার শ্রেষ্ঠ সন্তান বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট ল্যাফটেনেন্ট মতিউর রহমান ১৯৭১ সালের ২০ আগস্ট পাকিস্তানের মশরুর বিমান ঘাঁটি থেকে একটি টি-৩৩ বিমান ছিনতাই করে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের পরিকল্পনা করেন।কিন্তু বিমানটি পাকিস্তান - ভারত সীমান্তে বিধ্বস্ত হলে তিনি মতিউর রহমান শাহাদত বরণ করেন।নবগঠিত বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সদস্যগণ ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর মধ্যরাতে পাক-হানাদারদের উপর প্রথমে অটার বিমান এবং এ্যালুয়েট হেলিকপ্টারের মাধ্যমে আক্রমণ পরিচালনা করে।১৯৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এভাবে ৪৫টির অধিক বিমান অভিযান সাফল্যের সাথে পরিচালনা করা হয়।বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে চট্টগ্রামের ইস্টার্ণ রিফাইনারি তেল ডিপো,নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল তেল ডিপো, সিলেট,শ্রীমঙ্গল,কুমিল্লার দাউদকান্তি, নরসিংদী এবং ভৈরববাজারসহ বিভিন্ন এলাকার সফল অপারেশনের মাধ্যমে পাক হানাদার বাহিনীর বিপুল ক্ষতি সাধন করতে সক্ষম হয়।এর ফলে শত্রুর অপারেশনাল কার্যক্রমের ক্ষমতাসহ যুদ্ধ পরিচালনারর মনোবল হ্রাস পায় যা আমাদের মহান বিজয় অর্জনকে ত্বরান্বিত করে।তাদের এই সাহসী পদক্ষেপ বাংলার স্বাধীনতা যুদ্ধে যোগ করে নতুন মাত্রা।

Saturday, March 24, 2018

বহুব্রীহি কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি উদাহরণসহ লেখো

যে সমাসে দুই পদের অর্থ প্রাধান্য না পেয়ে তৃতীয় অর্থ প্রাধান্য পায়তাকে বহুব্রীহি সমাস বলা হয়। যেমন : দশ আনন যার = দশানন। এখানে দশ’ ও আনন’ এই দুটি পদের সমাস হয়েছেকিন্তু সমাস-নিষ্পান্ন পদটি এই পদ দুটির কোনটির অর্থ প্রকাশ করছে না। সমাসবদ্ধ পদে দশ আনন (মুখ) বিশিষ্ট ব্যক্তিকে (রাবন) বোঝানো হয়েছে। বহুব্রীহি’ পদটিই বহুব্রীহি সমাস নিষ্পন্নবহু (অনেক)  ব্রীহি (ধান) আছে যারসে বহুব্রীহি (ধনী লোক)। এখানে বহু’ এবং ব্রীহি’ সমস্যমান পদ দুটির যোগে সমস্ত পদটির দ্বারা একটি তৃতীয় পদের (এখানে ধনী ব্যক্তির) প্রাধান্য পেয়েছে। এই রকম সমাসকে বহুব্রীহি সমাস বলে।

বহুব্রীহি সমাসের শ্রেণী বিভাগ :

  1. সামানাধিকরণ বহুব্রীহি : পূর্বপদ বিশেষণ এবং পরপদ বিশেষ্য হলে তাকে সমানাধিকরণ বহুব্রীহি বলা হয়। যেমন: নীলকণ্ঠ = নীল কণ্ঠ যারপোড়াকপাল = পোড়া কপাল যারপক্ব কেশ যার = পক্বকেশ ইত্যাদি।
  2. ব্যধিকরণ বহুব্রীহি : উভয়পদ (পূর্বপদ,পরপদ) বিশেষ্য হলে ব্যধিকরণ বহুব্রীহি হয়। যেমন : বীণা পাণিতে যার = বীণাপাণিগোঁফে খেঁজুর যার = গোঁফ-খেঁজুরে ইত্যাদি।
  3. ব্যতিহার বহুব্রীহি : পরস্পর একজাতীয় ক্রিয়াকরণ বোঝালে যে বহুব্রীহি সমাস হয় তাকে ব্যতিহার বহুব্রীহি বলে। এই সমাসে পূর্বপদ আ-কারান্ত ও পরপদ ই-কারান্ত হয়। যেমন: লাঠিতে লাঠিতে যে যুদ্ধ= লাঠালাঠিপরস্পর গালি বর্ষণ করে যুদ্ধ = গালাগালিহেসে হেসে যে আলাপ = হাসাহাসি।
  4. মধ্যপদলোপী  বহুব্রীহি সমাস : যে বহুব্রীহি সমাসে ব্যাসবাক্যের ব্যাখ্যানমূলক মধ্যপদের লোপ হয় তাকে মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি বা ব্যাখ্যাত্নক বহুব্রীহি বলে। এই সমাসে অধিকাংশ ক্ষেত্রে পূর্বে উপমান পদ থেকে তুলনা বোঝায় বলে একে উপমাত্মক বহুব্রীহি ও বলে। যেমন: মৃগের নয়নের ন্যায় চঞ্চল নয়ন যার = মৃগনয়নাচন্দ্রের মতো স্নিগ্ধোজ্জ্বল মুখ যে নারীর = চন্দ্রমুখীবিম্বের মতো রঞ্জিত অধর যার = বিম্বাধর ইত্যাদি।
  5. নঞর্থক বহুব্রীহি সমাস : নঞর্থক অব্যয় পদের সাথে বিশেষ্য পদের বহুব্রীহি সমাস হলে তাকে নঞর্থক বহুব্রীহি সমাস বলে। যেমন: নাই উপায় যার = নিরুপায়নাই অন্ন যার= নিরন্ননাই তার যার = বেতারনাই হুঁশ যার= বেহুঁশ ইত্যাদি।
  6. অলুক বহুব্রীহি সমাস : যে বহুব্রীহি সমাসে পূর্বপদের বিভক্তি লোপ পায় নাতাকে অলুক বহুব্রীহি সমাস বলা হয়। যেমনগায়েহলুদ = গায়ে হলুদ দেওয়া হয় যে অনুষ্ঠানেহাতেখড়ি = হাতেখড়ি দেওয়া হয় যে অনুষ্ঠানে ।
  7. সংখ্যাবাচক বহুব্রীহি সমাস : যে বহুব্রীহি সমাসে পূর্বপদ সংখ্যাবাচক হয়তাকে সংখ্যাবাচক বহুব্রীহি বলা হয়। যেমন : দশ আনন যার = দশাননদশ ভুজ (হাত) যার = দশ ভুজা ।
  8. সহার্থক বহুব্রীহি সমাস : সহার্থক পদের সঙ্গে বিশেষ্য পদের বহুব্রীহি সমাস হলে তাকে সহার্থক বহুব্রীহি সমাস বলে। যেমন: বান্ধবের সহিত বর্তমান = সবান্ধবস্ত্রীর সহিত বর্তমান = সস্ত্রীক ইত্যাদি।
  9. প্রত্যয়ান্ত বহুব্রীহি সমাস : যে বহুব্রীহি সমাসের সমস্তপদে আও ইত্যাদি প্রত্যয় যুক্ত হয় তাকে বলা হয় প্রত্যয়ান্ত বহুব্রীহি। যেমন: এক দিকে চোখ (দৃষ্টি) যার =একচোখা (চোখ+আ)ঘরের দিকে মুখ যার =ঘরমুখো (মুখ +ও)ঊন পাঁজুর যার = ঊনপাঁজুরে (পাঁজুর+এ) ইত্যাদি।
  10. নিপাতনে সিদ্ধ বহুব্রীহি সমাস : যে বহুব্রীহি সমাস কোন নিয়মের অধীনে নয় তাকে নিপাতনে সিদ্ধ বহুব্রীহি বলা হয়। যেমন : দুদিকে অপ যার=দ্বীপঅন্তর্গত অপ যার = অন্তরীপ ইত্যাদি।

 

বহুব্রীহি সমাসের অতিরিক্ত উদাহরণ:

মন্দভাগ্য = মন্দভাগ্য যার                বিগতপ্রাণ = গত প্রাণ যার

উচ্চশির = উঁচু শির যার                  কদাকার = কদ (মন্দ) আকার যার

পুণ্যাত্মা = পুণ্য আত্মা যার                পোড়াকপাল = পোড়া কপাল যার

নীলাম্বর = নীল অম্বর যার                বদমেজাজী = বদ মেজাজ যার

কানকাটা = কান কাটা যার              ন্যায়নিষ্ঠ = ন্যায় নিষ্ঠ যে

বীণাপাণি = বীণা পাণিতে যার          খড়গহস্ত = খড়গ হস্তে যার

এলোকেশী = এলো কেশী যে             বিপত্নীক = পত্নী বিগত যার

ঊর্ণনাভ = ঊর্ণ নাভিতে যার             চন্দ্রচূড় = চন্দ্র চূড়ায় যাহার

যুবজানি = যুবতী জায়া (স্ত্রী) যার        রত্নখচিত = রত্ন খচিত যাতে

স্বল্পায়ু = স্বল্প আয়ু যার                   হতভাগ্য = হত ভাগ্য যার

নতশির = নত শির যার                 নীলকণ্ঠ = নীল কণ্ঠ যার

পূর্ণবয়স্ক = পূর্ণ বয়স যার                গৌরাঙ্গ = গৌর অঙ্গ যার

মতিচ্ছন্ন = মতি ছন্ন যার                রাশভারি = রাশ ভারি যার

শূলপাণি = শূল পাণিতে যার            নদীমাতৃক = নদী মাতা যার

কমলমুখ = কমল মুখে যার              রত্নগর্ভা = রত্ন গর্ভ যার

ভার্যাপ্রিয় = ভার্যা প্রিয় যার               সতীর্থ = সমান তীর্থ যার

বিশালাক্ষ = বিশাল অক্ষি যার           সলজ্জ = লজ্জার সাথে বর্তমান

সপরিবার = পরিবারের সাথে বর্তমান       কানাকানি = কানে কানে যে কথা

হাতাহাতি = হাতে হাতে যে লড়াই       চোখাচোখি = চোখে চোখে যে দেখা

মাতামাতি = মেতে মেতে যে আনন্দ         বেতার = তার নাই যার

বেহিসাবী = হিসাব নেই যার             অপয়া = পয় নেই যার

বেআব্রু = আব্রু নেই যার                  অবোধ = বোধ নেই যার

একমণে = এক মণ ওজন যার           চতুষ্কোণ = চার কোন যার

দশগজি = দশগজ পরিমাণ যার         চৌচালা = চৌচালা আছে যার

আয়তলোচন = আয়ত লোচন যার       গজানন = গজের ন্যায় আনন যার

মীনাক্ষি = মীনের ন্যায় অক্ষি যার       হাতেখড়ি = হাতে খড়ি দেয়া হয় যে অনুষ্ঠানে

গায়ে হলুদ = গায়ে হলুদ দেয়া হয় যে অনুষ্ঠানে 

চুলাচলি = চুলে চুলে যে লড়াই

গলাগলি = গলে গলে যে ভাব            দলাদলি = দলে দলে বিভক্তি

তর্কাতর্কি = তর্কে তর্কে যে লড়াই       বেয়াদব =- আদব নেই যার

নির্মম = মমতা নেই যার                অনন্ত = অন্ত নেই যার

নির্লজ্জ = লজ্জা নেই যার                 নিষ্ককলঙ্ক = কলঙ্ক নেই যার

অনুসূয়া = নেই অসূয়া (ঈর্ষা)             দুপেয়ে = দু পায়া যার

শতমূলী = শতমূল যার                   পঞ্চানন = পঞ্চ আনন যার

ক্ষুরধারা = ক্ষুরের মতো ধার যা         বিশগজি = বিশ গজ পরিমাণ যার

সবান্ধব = বান্ধবের সাথে বর্তমান        সজল = জলের সাথে বর্তমান

সফল = ফসলসহ বর্তমান যে            সভক্তি = ভক্তি সাথে বর্তমান

Recent Post

মিষ্টি আলুর উপকারিতা

মিষ্টি আলুঃ "বাচ্চার ওজন দ্রুত বাড়ানোর সেরা খাবার"  বাচ্চার স্বাস্থ্য এবং বিকাশের জন্য মিষ্টি আলু একটি বিশেষ খাবার। এটি শুধু বাচ্চ...

Most Popular Post