Ad-1

Friday, October 11, 2024

জীবনানন্দ দাশের কবিতায় "আকাশলীনা" শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: যে দূরের আকাশজুড়ে বিলীন বা লুপ্ত অবস্থায় থাকে; সে হচ্ছে আকাশলীনা। জীবনানন্দ দাশের কবিতায় 'আকাশলীনা' হচ্ছে ত্রিভুজ প্রেমের প্রেমিকা। কবি তাকে ভালোবাসলেও তার  অন্য প্রেমিক আছে।


Sunday, October 6, 2024

কথাকে শিল্প করে তুলতে হলে

 শিক্ষা পরামর্শ

কথাকে শিল্প করে তুলতে হলে

এনাম-উজ-জামান

প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০২৪, 


মনের ভাব প্রকাশ করতে মানুষ কথা বলে। কোনো বিষয়ের পক্ষে-বিপক্ষে নিজের বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য মানুষ সাধারণত কথার ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু প্রায়ই বলার ভঙ্গি, উপস্থাপনের দুর্বলতা, কর্কশ স্বর ইত্যাদি কারণে আমাদের কথা অন্যের কাছে পৌঁছায় না, কাক্সিক্ষত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে না। সেই কথাই ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে, যা শিল্প হয়ে ওঠে। কথাকে শিল্প করে তুলতে হলে কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে।


কথা কম বলতে হবে। তাহলে সবাই তোমার কথার অপেক্ষায় থাকবে।


কেউ কোনো পরামর্শ না চাইলে গায়ে পড়ে তাকে কোনো পরামর্শ দিতে যাবে না।


সংক্ষেপে কথা বলার অভ্যাস করো। অর্থাৎ দীর্ঘ বাক্যের প্রয়োগ করবে না। কম শব্দের অর্থপূর্ণ কথা বলো।


কর্কশভাবে কোনো কথা বলবে না। মিষ্টভাষী লোকের কথা সবাই পছন্দ করে।


যে যতটা শুনতে চায় তাকে ততটাই শোনাবে। বাড়তি কোনো কথা বলতে যাবে না।


একই কথা বারবার বলবে না। এতে শ্রোতার মনোযোগ নষ্ট হয়। শ্রোতা বিরক্ত হয়।


কথার মাঝে কটু কথা বলা, গালাগালি দেওয়া বা খারাপ শব্দের প্রয়োগ পরিত্যাজ্য। এতে লোকের আপনার প্রতি খারাপ ধারণা তৈরি হতে পারে।


কথা অবশ্যই হতে হবে যুক্তিপূর্ণ। অযৌক্তিক কথা মানুষ শুনতে চায় না।


দ্রুত কথা বলবে না। ধীরে ধীরে গুছিয়ে কথা বলো যেন সবাই বুঝতে পারে।


কথা বলার সময় কঠিন শব্দের প্রয়োগ করবে না। তোমার কথা যেন সবার বোধগম্য হয় সেটা খেয়াল রাখবে।


যে বিষয় নিয়ে বিশেষ ধারণা নেই সেই বিষয় নিয়ে বলতে যাবে না।


কারও কথার মাঝে কথা বলতে যাবে না। এটা শিষ্টাচারবহির্ভূত খুবই খারাপ অভ্যাস। এতে শ্রোতা বিরক্ত হয়।


কথার মাঝে ভনিতাসূচক আলোচনা করবে না। বাহুল্যবর্জিত ও স্পষ্ট কথা সবার ভালো লাগে।


কিছু ভুল বলে থাকলে সঙ্গে সঙ্গে ‘দুঃখিত’ বলে ক্ষমা চেয়ে নাও। ভুল স্বীকারে লজ্জা নেই। ভুলকে সত্য বলে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলে লজ্জা পেতে হয়। কারণ সত্য প্রতিষ্ঠিত হবেই।


নিজের কথার মূল্য পেতে হলে তোমাকে অন্যের কথাও শোনার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।


কারোর কথা শেষ হওয়ার আগেই উত্তর দিতে যাবে না। আগে শোনো তারপর উত্তর দাও।


শব্দভা-ার সমৃদ্ধ না হলে বক্তব্যের উপযোগী শব্দ প্রয়োগ করা যায় না। ফলে বক্তব্যের অর্থ আলাদা হয়ে যেতে পারে। শব্দভা-ার সমৃদ্ধ করতে ভালো ভালো লেখাপড়ার অভ্যাস করো। শব্দভা-ার পরিপূর্ণ হলে কথার একটা আলাদা মাধুর্য থাকে।


কথায় কথায় রেগে যাওয়া ও তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার অভ্যাস ত্যাগ করো। এতে মানুষ দূরে সরে যায়। তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে চায় না। তার কথাও বিশেষ শুনতে চায় না।


কেউ আপনার কাছে কিছু জানতে চাইলে এবং সে বিষয়টি যদি পরিপূর্ণ রূপে না জানেন তাহলে তার থেকে সময় চেয়ে নিন। জেনে সঠিকটা বলুন। তাও ভুলভাল তথ্য দেবেন না।


অন্যকে নিয়ে সমালোচনা করা, নিন্দা করা এগুলো নেতিবাচক অভ্যাস। এগুলো পরিত্যাজ্য।

Wednesday, September 18, 2024

মহানবী (স) এর বিয়ে বিষয়ে এত বিতর্ক কেন?

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিয়ে করেছিলেন ১৪ বছর বয়সে তখন তাঁর স্ত্রীর বয়স ছিল ৮ বছর। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিয়ে করেছিলেন ২২ বছর বয়সে তখন তাঁর স্ত্রীর বয়স ছিল ১১ বছর। বঙ্কিমচন্দ্র বিয়ে করেছিলেন ১১ বছর বয়সে তখন তাঁর স্ত্রীর বয়স ছিল মাত্র ৫ বছর ৷

দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর বিয়ে করেছিলেন ১৪ বছর বয়সে তখন তাঁর স্ত্রী সারদা দেবীর বয়স ছিল মাত্র ৬ বছর। শিবনাথ শাস্ত্রী বিয়ে করেছিলেন ১৩ বছর বয়সে,তখন তাঁর স্ত্রীর বয়স ছিল ১০ বছর।

রাজনারায়ণ বসু বিয়ে করেছিলেন ১৭ বছর বয়সে তখন তাঁর স্ত্রীর বয়স ছিল ১১ বছর। জ্যোতিন্দ্রনাথ ঠাকুর বিয়ে করেছিলেন ১৯ বছর বয়সে,তখন তাঁর স্ত্রীর বয়স ছিল মাত্র ৮ বছর। সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর বিয়ে করেছিলেন ১৭ বছর বয়সে তখন তাঁর স্ত্রীর বয়স

ছিল মাত্র ৭ বছর।

লিনা মেদিনা ৫ বছর ৭ মাস ২১ দিন বয়সে সন্তানের জন্ম দেয়ায় বিশ্বরেকর্ড করা সর্বকনিষ্টা মা উল্লেখ করে তার বন্ধনা করা হয়। দ্বিতীয় কিং রিচার্ড ত্রিশ বছর বয়সে ফরাসি রাজকুমারী ৭ বছর বয়সী ইসাবেলাকে বিয়ে করেন।

পর্তুগালে রাজা ডেনিস বারো বছর বয়সী সেন্ট এলিজাবেথকে বিবাহ করেছিলেন। নরওয়ের ষষ্ঠ

রাজা হাকোন দশ বছরের রাণী মার্গারেটকে বিবাহ করেছিলেন।

এসেক্সের কাউন্ট আগ্নেসের বিয়ের পাকা কথা হয় মাত্র তিন বছর বয়সে। বারো বছর বয়সে তার বিবাহ হয় পঞ্চাশ বছর বয়সী সঙ্গির সাথে। রোমানোস ইতালির রাজকন্যা চার বছর বয়সী বার্থা ইউডোকিয়াকে বিবাহ করেন।

ইতিহাসের পাতায় এরকম অসংখ্য নজির আছে। এগুলো আমাদের ইতিহাসের অংশ। এসব আমাদের ভুলে যাওয়া সমীচিন নয়।

একসময় সতীদাহ প্রথা ছিল। জীবন্ত নারীকে সহমরণে তার মৃত স্বামীর সঙ্গে চিতায় আত্মহুতি দিতে হতো। কিন্তু সতীদাহ বা সহমরণই হিন্দু ধর্মের বৈশিষ্ট্য বলার অর্থ হিন্দুর প্রতি ঘৃণা ও বিদ্বেষ চর্চা করা। হিন্দু শাস্ত্রের ধূয়া তুলে হিন্দুর প্রতি ঘৃণা ও সহিংসতা একালে কেউ প্রদর্শন করে না।

কারণ,সমাজ,আইন,সংস্কৃতি ও ইতিহাস ইত্যাদি সম্পর্কে আমাদের চেতনা উপলব্ধি ও বিচার ক্ষমতা অনেক বিকশিত হয়েছে। আগের মতো নাই। ইতিহাস

ও সমাজ স্থির কিছু নয়,বদলায়। ইতিহাস নিয়ে আলোচনা হবে। কিন্তু দেশ ও কাল বিবেচনায় না নিয়ে রবীন্দ্রনাথকে দোষী করলে সেটা কাণ্ডজ্ঞানের অভাব হবে। তাই না ?

তাহলে ইসলামের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে নিয়ে এত বিতর্ক কেন হবে ?

বঙ্গবন্ধু ১৩ বছর বয়সে তিন বছর বয়সি রেণুর সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের ৯ বছর পর বঙ্গবন্ধুর ২২ বছর বয়সে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার ১২ বছর বয়সে ফুলশয্যা হয়।

আয়শা রাযিঃ ৯ বছর বয়সে মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর সাথে সংসার শুরু করায় মুহাম্মদ (সাঃ)-কে নিয়ে এতো বিতর্ক কেন ?

আসলে রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-কে নিয়ে অহেতুক সমালোচনার প্রধান কারণ হলো তার অতুলনীয় উত্তম চরিত্র মাধুরী। যে চরিত্রে মুগ্ধ হয়ে দেড় হাজার বছর ধরে মানুষ অনবরত ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিচ্ছে। রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে নিয়ে বিতর্কিত করে তারা বিশ্বব্যাপী ইসলাম গ্রহনের অগ্রযাত্রা রুখে দিতে চায়।

নূপুর শর্মারা যা-ই বলুক না কেন ?

স্বয়ং আল্লাহ তা'য়ালা তার হাবীবের চরিত্রের

শ্রেষ্ঠত্বের ঘোষণা দিয়েছেন।

اِنَّکَ لَعَلٰی خُلُقٍ عَظِیۡمٍ

কিয়ামত পর্যন্ত এই চরিত্র মাধুরী পৃথিবীর সকল মানুষের কাছে প্রধান আকর্ষণ হয়ে থাকবে। দলে দলে মানুষ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উম্মত হবেই,হবে,ইনশা-আল্লাহ।

তোমাকে ভালোবাসি হে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমার জন্য আমার বাবা-মা কোরবান।


লিখেছেনঃ-

মুহতারাম মুফতী ওযায়ের আমীন হাফিজাহুল্লাহ

Monday, September 16, 2024

শত্রুর দৃষ্টি থেকে গোপন থাকার একটি আমল :

হযরত কা'ব বলেন: রসুলুল্লাহ্ (সাঃ) যখন মুশরিকদের দৃষ্টি থেকে আত্মগোপন করতে চাইতেন, তখন কোরআনের তিনটি আয়াত পাঠ করতেন। এর প্রভাবে শত্রুরা তাকে দেখতে পেত না। আয়াতত্রয় এই : এক আয়াত-সূরা কাহাফের
وجَعَلْنَا عَلَى قُلُوبِهِمَ اكنة أَن يَنْتَهُوهُ وَفِي أَذَانِهِمْ وَقُرًا
দ্বিতীয় আয়াত সুরা নাহলের
أولءك الَّذِينَ طَبَعَ اللهُ عَلَى قُلُوبِهِمْ وسمعهم وابصارهم,
এবং তৃতীয় আয়াত সূরা জাসিয়ার
الهه هوه وَأَضَلهُ اللهُ عَلَى عِلْمٍ وَخَتَمَ عَلَى سَمعهِ وَقَلْبِهِ وَجَعَلَ
على بصيره غشوة
হযরত কা'ব বলেন ঃ রসুলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর এই
ব্যাপারটি আমি সিরিয়ার জনৈক ব্যক্তির কাছে বর্ণনা করি। তিনি কোন প্রয়োজনবশতঃ রোম দেশে গমন করেন। বেশ কিছুদিন সেখানে অবস্থান করার পর তিনি রোমীয় কাফেরদের নির্যাতনের শিকার হয়ে পড়লে প্রাণের
ভয়ে সেখান থেকে পলায়ন করেন। শত্রুরা তাঁর পশ্চাদ্ধাবন করে। এহেন সংকট মুহূর্তে হঠাৎ হাদীসটি তাঁর মনে পড়ে। তিনি কালবিলম্ব না করে আয়াত তিনটি পাঠ করতেই শত্রুদের দৃষ্টির সামনে পর্দা পড়ে যায়। যে রাস্তায় তিনি চলছিলেন, শত্রুরাও সেই রাস্তায় চলাফেরা করছিল; কিন্তু
তারা তাঁকে দেখতে পাচ্ছিল না ।
ইমাম সা'লাবী বলেন : হযরত কা'ব থেকে বর্ণিত রেওয়ায়েতটি আমি 'রায়' অঞ্চলের জনৈক ব্যক্তির কাছে বর্ণনা করেছিলাম। ঘটনাক্রমে সায়লামের কাফেররা তাঁকে গ্রেফতার করে। তিনি কিছুদিন কয়েদ থাকার পর সুযোগ পেয়ে পলায়ন করেন। শত্রুরা তাঁকে পেছনে ধাওয়া করে।
তিনি উল্লিখিত আয়াতত্রয় পাঠ করলে আল্লাহ্ তাআলা তাদের চোখের উপর পর্দা ফেলে দেন। ফলে তাদের দৃষ্টি থেকে তিনি অদৃশ্য হয়ে যান ; অথচ তারা পাশাপাশি চলছিল এবং তাদের কাপড় তাঁর কাপড় স্পর্শ করছিল।
ইমাম কুরতুবী বলেন : উপরোক্ত আয়াতত্রয়ের সাথে সূরা ইয়াসীনের ঐ আয়াতগুলোও মেলানো উচিত, যেগুলো রসূলুল্লাহ্ (সাঃ) হিজরতের সময় পাঠ করেছিলেন। তখন মক্কার মুশরিকরা তাঁর বাসগৃহ ঘেরাও করে রেখেছিলে। তিনি আয়াতগুলো পাঠ করে তাদের মাঝখান দিয়ে চলে যান ;
বরং তাদের মাথায় ধুলা নিক্ষেপ করতে করতে যান : কিন্তু তাদের কেউ টেরও পায়নি। সূরা ইয়াসীনের আয়াতগুলো এই ঃ
يسَ -وَالقُرانِ الْحَكِيمِ -اِنَّكَ لَمِنَ الْمُرْسَلِينَ- عَلَى صِرَاطٍ
مُسْتَقِيم -تنزيل العزيز الرَّحِيمِ- لِتُنْذِرَ قَوْمًا مَا انْذِرَ آبَاؤُهُمْ
- فَهُمْ عَقِلُونَ -لَقَد حَقَ الْقَوْلُ عَلَى أَكْثَرِهِ فَهُمْ لا يُؤْمِنُونَ
انا جعلنا فى اعناقهم اغلالا فهى الى الاذقان فهم مقمهون-وجعلنا من بين ايديهم سدا ومن خلفهم سدا فاغشيناهم فهم مقمهون-

[সূত্র : তাফসীরে মা'আরেফুল কোরআন, পৃষ্ঠা -৭৮২]

Friday, September 13, 2024

দাসত্ব ও মানসিক দাসত্ব কী?

দাসের ইংরেজি শব্দার্থ Slave. Oxford Dictionary এর মতে, ঝষধাব হলো 

১) a person who is legally owned and is forced to work for them, 

২) a person who is completely dominated or influenced. 

বাংলা একাডেমি প্রণীত অভিধানে ঝষধাব বলতে (১) ক্রীতদাস, কেনা গোলাম, 

২) ‘যে ব্যক্তি অন্যোর জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে বাধ্য হয়’ শব্দার্থ করা হয়েছে।

লেলিন বলেছেন যে, দাসত্ব তিন প্রকার। 

প্রথমত: এক শ্রেণির লোক স্বেচ্ছায় দাসত্ব গ্রহণ করে বিনিময়ে তার ক্ষুধার জ্বালা নিবারনসহ জীবনধারণের প্রয়োজনীয়তা মিটাতে পারে, কিন্তু ব্যক্তি স্বাধীনতা থাকে না। 

দ্বিতীয়ত: এক শ্রেণির লোক রয়েছে, যারা নিজেরা বুঝতেই পারে না যে, তারা দাসত্ব করে যাচ্ছে বিনিময়ে আরাম-আয়াশে দিন কাটাচ্ছে, কিন্তু সত্য-মিথ্যার তারতম্য করতে পারে না। 

তৃতীয়ত: ব্যতিক্রমধর্মী এক শ্রেণির লোক রয়েছে, যারা দাসত্বকে না মেনে প্রতিবাদ করে আসছে। তারাই বিদ্রোহী হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে, বিনিময়ে পাচ্ছে জেল-জুলুম, লাঞ্ছনা-গঞ্জনা, এমনকি ফাঁসির দড়ি।

দাসত্ব গ্লানিকর ও অপমানজনক, অন্যদিকে বিদ্রোহী জীবন অনেক কষ্টের, তবে সম্মানজনক। যদিও আইন করে কৃতদাসপ্রথা বা দাসপ্রথা বিলুপ্ত বা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, কিন্তু আমাদের সমাজে কি দাসত্ব বন্ধ হয়েছে? দেখা যাচ্ছে, ‘মানসিক দাসত্বের’ পরিমান অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। খেয়ে পরে একটু স্বস্তিতে থাকার জন্য, কোথাও প্রমোশনের জন্য, কোথাও পদ-পদবী পাওয়ার জন্য অনেকেই নির্লজ্জের মতো দাসত্ব করে যাচ্ছে। এমন লোকের সংখ্যাও নিতান্ত কম নয়, যারা পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রকে নিজেদের দেশ মনে করে।

মানসিক দাসত্ব করতে শরীর খাটাতে হয় না, বরং মনমানসিকতা ও বিবেকে বিক্রি করে নিজ স্বত্তাকে জলাঞ্জলি দিতে হয়। নিয়োগকর্তার স্বার্থ রক্ষার্থে সত্যকে মিথ্যায় এবং মিথ্যাকে সত্যে পরিণত করে বিনিময়ে শাসক গোষ্ঠির সুদৃষ্টি অর্জন করে নিজ ও পরিবারের জন্য সুখ স্বাচ্ছন্দ্য আদায় করার নামও মানসিক দাসত্ব। এ ধরনের দাসের সংখ্যা কম হলেও আছে।

Recent Post

সুভা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর   জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ১. সুভার বাবার নাম কি? ২. সুভা কোথায় বসে থাকত? ৩. সুভা জলকুমারী হলে কী করত? ৪. সুভার গ্রামের নাম কী? ৫...

Most Popular Post