রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
১. সুভার বাবার নাম কি?
২. সুভা কোথায় বসে থাকত?
৩. সুভা জলকুমারী হলে কী করত?
৪. সুভার গ্রামের নাম কী?
৫. প্রতাপ কাদের ছেলে?
৬. ‘শুক্লা দ্বাদশী’ শব্দের অর্থ কী?
৭. বাণীকণ্ঠের আর্থিক অবস্থা কেমন?
৮. প্রতাপ সুভাকে কী বলে ডাকত?
৯. বাণীকণ্ঠের ঘর কয় চালা?
১০. সুভার মা সুভার প্রতি বিরক্ত ছিলেন কেন?
১১. সুভা কার কাছে মুক্তির আনন্দ পায়?
১২. 'কপোল' শব্দের অর্থ কী?
অনুধাবনমূলক প্রশ্নঃ-
২. সুভাকে সুভার মা বিধাতার অভিশাপ মনে করেন কেন?ব্যাখ্যা করো।
৩. "তুমি আমাকে যাইতে দিওনা মা"- উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
৪. প্রতাপকে নিতান্ত অকর্মণ্য লোক কেন বলা হয়েছে?
৫. "তাহার মর্ম তাহারা ভাষার অপেক্ষা সহজে বুঝিত”_ ব্যাখ্যা করো।
৬. প্রতাপ সুভার মর্যাদা বুঝত কেন? ব্যাখ্যা কর ।
৭. সুভার নাম কেন ‘সুভাষিণী’ রাখা হয়েছিল? ব্যাখ্যা করো।
৮. “সে ভাষাবিশিষ্ট জীব”- কার সম্পর্কে কোন প্রসঙ্গে বলা হয়েছে?
৯. সুভা মনে মনে বিধাতার কাছে অলৌকিক ক্ষমতা প্রার্থনা করত কেন? বুঝিয়ে লিখ ।
১০. কেন বাণীকণ্ঠকে লোকে নিন্দা করতে শুরু করে?
১১. ‘তাহার মর্ম তাহার ভাষার অপেক্ষা সহজে বুঝিত’-কথাটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
১২. প্রতাপের প্রতি তার মা-বাবা নিরাশ হওয়ার কারণ কী?
সৃজনশীল প্রশ্ন ১ : আমার ভাইপো বলাই – তার প্রকৃতিতে গাছপালার মূল সুরগুলোই হয়েছে প্রবল। ছেলেবেলা থেকেই চুপচাপ চেয়ে চেয়ে দেখাই তার অভ্যাস, নড়েচড়ে বেড়ানো নয়। পুব দিকের আকাশে কালো মেঘ স্তরে স্তরে স্তপ্তিত হয়ে দাঁড়ায়, ওর সমস্ত মনটাতে ভিজে হাওয়া যেন শ্রাবণ-অরণ্যের গন্ধ নিয়ে ঘনিয়ে ওঠে; ঝুম ঝুম করে বৃষ্টি পড়ে, ওর সমস্ত গা যেন শুনতে পায় সেই বৃষ্টির শব্দ।
গ) উদ্দীপকের বলাইয়ের সঙ্গে “সুভা” গল্পের সুভা চরিত্রটির সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি আলোচনা করো।
ঘ) “উদ্দীপকে সুভার ব্যক্তিজীবনের নিঃসঙ্গতা অনুপস্থিত” – মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ২ : সদানন্দ আর নিরুপমার মেয়ে কৃতি। কৃতি তার মায়ের চোখের মনি। কিন্তু পুত্রহীন সদানন্দ তার মেয়ে কে খুব একটা পছন্দ করে না। বাবার এমন আচরণে কৃতি মনে বড্ড দুঃখ অনুভব করে । কিন্ত ভার সব কষ্ট চলে যায় নিরুপমার সীমাহীন ভালোবাসায় । কৃতির বলা না বলা সব সুখ-দুঃখ একমাত্র তার মাই বোঝেন
গ) উদ্দিপকে সুভা গল্পের যে দিকটি ফুটে উঠেছে তা বর্ণনা কর।
ঘ) “উদ্দিপক ও ‘সুভা” গল্পটি-ভিন্নধারায় প্রবাহিত- উক্তিটির যথার্থতা যাচাই কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ : দুই পুত্রসন্তানের পর কন্যাসন্তান পলাশ বাবুর পরিবারে আনন্দের বন্যা নিয়ে এলো । নাম রাখা হলো “কল্যাণী’। সকলের চোখের মণি কল্যাণী বেড়ে ওঠার সাথে সাথে পলাশ বাবু বুঝতে পারলেন, বয়সের তুলনায় কল্যাণীর মানসিক বিকাশ ঘটেনি । কিছু বললে ফ্যাল্ফ্যাল্ করে চেয়ে থাকে। কল্যাণীর বিয়ের কথাবার্তা চলছে। পলাশবাবু কল্যাণীর সবই বরপক্ষকে খুলে বললেন। সব শুনে বরের বাবা সুবোধ বাবু বললেন, “পলাশ বাবু কল্যাণীর মতো আমার ছেলেও তো হতে পারতো, কাজেই কল্যাণী মাকে ঘরে নিতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই”
গ. উদ্দীপকের প্রথম অংশের বক্তব্যে কল্যাণী ও সুভার যে বিশেষ দিকটির সঙ্গতি দেখানো হয়েছে- তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. কল্যাণী ও সুভা একই পরিস্থিতির শিকার হলেও উভয়ের প্রেক্ষাপট ও পরিণতি ভিন্ন- বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৪ :
কবিতা ১
‘চোখ গেল’ ওই চেঁচিয়ে হলো সারা।
আচ্ছা দিদি, কী করবে ভাই তারা—
জন্ম লাগি গিয়েছে যার চোখ।
কাঁদার সুখ যে বারণ তাহার—ছাই।
কাঁদতে পেলে বাঁচতে সে যে ভাই,
কতক তবু কমত যে তার শোক।
‘চোখ গেল’—তার ভরসা তবু আছে—
চক্ষুহীনতার কী কথা কার কাছে!
কবিতা ২
টানিস কেন? কিসের তাড়াতাড়ি—
সেই তো ফিরে যাব আবার বাড়ি,
একলা-থাকা সেই তো গৃহকোণ—
তার চেয়ে এই স্নিগ্ধ শীতল জলে
দুটো যেন প্রাণের কথা বলে—
দরদ ভরা দুখের আলাপন;
পরশ তাহার মায়ের স্নেহের মতো
ভুলায় খানিক মনের ব্যথা যত!
গ. কবিতা-১-এর বক্তব্যে ‘সুভা’ গল্পের যে বিশেষ দিকটির সংগতি দেখানো হয়েছে—তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘কবিতা-২-এর অন্ধ বধূটির অনুভূতি ও সুভার অনুভূতি একসূত্রে গাঁথা’—মন্তব্যটির যথার্থতা নির্ণয় করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৫ : মা-মরা মেয়ে মিনু। বাবা জন্মের আগেই মারা গেছে। নে মানুষ হচ্ছে এক দূর সম্পর্কের পিসিমার বাড়িতে । বয়স মাত্র দশ । কিন্ত এ বয়সেই সবরকম কাজ করতে পারে সে। সবরকম কাজই করতে হয়। লোকে অবশ্য বলে যোগেন বসাক মহৎ লোক বলেই অনাথ বোবা মেয়েটিকে আশ্রয় দিয়েছেন ।
গ. উদ্দীপরেক মিনু “সুভা’ কোন চত্রিত্রের প্রতীক? ব্যখ্যা কর ।
ঘ. “উদ্দীপকের মিনুর সাথে সুভা গল্পের সুভার সাদৃশ্য থাকলেও সুভার জগতটি ভিন্ন ।” – উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৬ : রায়বাহাদুর পরিবারের একমাত্র কন্যা রমা। রূপে-গুনে, শিক্ষা-দীক্ষায় সে অতুলানীয়। ধনীর দুলালীর কদর স্বরুপ বরপক্ষের আগ্রহে অনেক ঘটা করে রমার বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হচ্ছিল। হঠাৎ একটি
সোরগোল পড়ে গেলো । বিয়ের আসর থেকে বিয়ে ভেঙ্গে দিয়ে বরপক্ষ চলে যাচ্ছে। কারন কনেপক্ষ
সত্য গোপন করে বোবা মেয়ের বিয়ে দিচ্ছিল।
গ. সুভা ও রমা চরিত্রের তুলনামূলক আলোচনা কর।
ঘ. রমার জীবনের করুণ পরিনতি “সুভা” গল্পের মুলসুর কে কতটুকু ধারণ করেছে? তোমার মতের
পক্ষে যুক্তি দাও ।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৭ : ছন্দা ছোটবেলায় বাবা-মাকে হারিয়ে তার চাচার কাছে মানুষ হয়েছে। পিতা-মাতাহীন জীবনে ছন্দাকে অনেক দুঃখ-যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়েছে। একদিন হুট করে কাউকে কিছু না জানিয়ে চাচা তার এক পরিচিত লোকের সাথে ছন্দাকে বিয়ে দেন। এর পর থেকেই শুরু হর শশুরবাড়িতে ছন্দার নির্যাতিত জীবন । প্রথম প্রথম মুখ বুজে সহ্য করলেও শেবে ছন্দা প্রতিবাদী হয়ে ওঠে । তার এ প্রতিবাদের জন্য শেৰ পর্যন্ত স্বামীর বাড়ি থেকে সে বিতাড়িত হয়।
গ. উদ্দীপকের ছন্দা ও “সুভা” গল্পের সুভার জীবনের বৈসাদৃশ্য তুলে ধর।
ঘ. উদ্দীপকের ছন্দা ও ‘সুভা’ গল্পের সুভার পরিণতি ভিন্ন ধারায় প্রবাহিত হয়েছে। মন্তব্যটি কতখানি যৌক্তিক তা নির্ণয় কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৮ : আনু নবম শ্রেণিতে পড়ে। ক্লাসের অন্য সব ছেলে-মেয়ের মত সেও প্রাণবন্ত। খেলাধুলা করে, বন্ধুদের সাথে মেলামেশা করে। হঠাৎ করেই ঘটল দুর্ঘটনা। সড়ক দুর্ঘটনায় আনু একটা পা হারায়। এখনও সে ক্লাসে আসে, শিক্ষকের পড়াবলে। কিন্তু আগের মতো সেই প্রাণবন্ত পরিবেশ পায় না। ক্লাসের বন্ধুরা তার সাথে মেশে না, কথাও বলতে চায় না। ফলে সে ধীরে ধীরে নিশ্চুপ হয়ে যায়।
গ. উদ্দীপকটি ‘সুভা’ গল্পের কোন ভাবকে নির্দেশ করে? লেখ।
ঘ. “শারীরিক ত্রæটির কারণেই উদ্দীপকের আনু আর ‘সুভা’ গল্পের সুভা সামাজিক বৈষম্যের শিকার।”-মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৯ :
যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে,
বাইব না মোর খেয়া তরী এই ঘাটে
চুকিয়ে দেব বেচা কেনা, মিটিয়ে দেব লেনা দেনা
বন্ধ হবে আনাগোনা এই বাটে;
তখন আমায় নাইবা মনে রাখলে।
গ. উদ্দীপকটিতে ‘সুভা’ গল্পের দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “ উদ্দীপকের কবিতাংশে ‘সভা’ গল্পের বোবা মেয়েটির ব্যথিত হৃদয়ের আর্তিই যেন ভাষারূপ পেয়েছে।”-মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ১০ : দুই পা আছে কিন্তু উঠে দাঁড়াবার শক্তি নেই। তাতে কী? আত্মবিশ্বাস তো আছে। তাই তো জীবনযুদ্ধে দমে যাননি আলমগীর হোসেন। ছোটবেলায় টাইফয়েট জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেন তিনি। তারপর থেকে হাঁটা-চলা ও কাজকর্ম করার কথা কখনো চিন্তা করতে পারেননি আলমগীর। কিন্তু শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী হলেও জীবিকার তাগিদে রিকশাকে বেছে নিয়েছেন হাতিয়ার হিসেবে।
গ. উদ্দীপকটি আলমগীর হোসেনের সাথে ‘সুভা’ গল্পের সুভার সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “ উদ্দীপকটি আলমগীর হোসেনের পরিস্থিতি ও পরিণতি সুভার পরিণতির থেকে ভিন্ন।”-মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ১১: বাবা-মা হারা রেজা তার চাচা আমজাদ সাহেবের কাছে থাকে। রেজার একটি হাত ও একটি পা নেই। তবু সে থেমে থাকে না। ক্লাসে ভালো ফলাফল করায় শিক্ষকগণ তাকে স্নেহ করেন। সহপাঠীরা তাকে সহযোগিতা করে। তবে কেউ কেউ তাকে নিয়ে তামাশা করে। ফলে অনেক সময় মন খারাপ হয়। চাচা তাকে বলে, “মন খারাপ করো না, এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে তুমি সবাইকে দেখিয়ে দাও যে তুমিও পার।”
গ. উদ্দীপকের রেজার সাথে সুভা গল্পের সুভার সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর।
ঘ. সুভার বাবা-মায়ের মানসিকতা যদি রেজার চাচার মতো হতো তবে সুভার পরিণতি অন্য রকম হতে পারত- উত্তিটি বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ১২: মেঘনার তীরবর্তী গ্রামে বেড়ে ওঠা দুরন্ত কিশোর জুনায়েদ দশম শ্রেণির ছাত্র। ক্লাসে সবচেয়ে প্রাণবন্ত ও অসম সাহসী এ কিশোর। সবকিছুতে তার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। খেলাধুলা, বন্ধুদের সাথে দুষ্টুমি কোনো কিছুতে সে পিছিয়ে নেই। হঠাৎ একদিন সড়ক দুর্ঘটনায় সে তার একটি পা হারায়। এতে সে মানসিকভাবে পুরোপুরি ভেঙে পড়ে। পড়ালেখায় মন দিতে পারছে না। তার সর্বদা মনে হতে লাগল। এখন আর পড়ালেখা করে কী লাভ হবে? কিন্তু তার সহপাঠীরা তাকে উৎসাহ ও সাহস দিয়ে আবার প্রাণচঞ্চল করে তোলে। সে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়। সকলে তার সফলতায় খুশি হয়।
গ. উদ্দীপকের জুনায়েদের মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার দিকটি সুভা গল্পের সুভার সঙ্গে কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের সহপাঠীদের মতো মানসিকতা থাকলে সুভা গল্পের সুভার পরিবারকে বিড়ম্বনার শিকার হতে হতো না- মন্তব্যটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর।
No comments:
Post a Comment