★কলম্বাস ভারতবর্ষ আবিষ্কার করতে গিয়ে ভুল করে আমেরিকা আবিষ্কার করেছিলেন ১৪৯২ সালে।
★আর ভারতবর্ষে আসার পথ আবিষ্কার করেন ভাস্কো দা গামা ১৪৯৮ সালে।
★পরবর্তীতে সুরাটে বাণিজ্য কুটি স্থাপনের প্রথম অনুমুতি দেয়- সম্রাট জাহাঙ্গীর।
★এরপর যুবরাজ শাহ সুজার ১৬৩২ সালে অনুমুতি পেয়ে ইংরেজরা সর্বপ্রথম হুগলিতে কারখানা স্থাপন করেন।
★একসময় সম্রাট ফররুখ শিয়র অসুস্থ হয়ে পড়েন,শল্য চিকিৎসার মাধ্যমে তাঁকে সুস্থ করে তুলেন ডাক্তার হ্যামিলটন।
★আলিবর্দি খাঁন।আসল নাম মির্জা মুহাম্মদ আলি।১৭৪০-১৭৫৬ সাল পর্যন্ত বাংলা,বিহার, উড়িষ্যার নবাব ছিলেন।১০ই এপ্রিল ১৭৫৬ সালে মৃত্যুবরণ করেন।তাঁর কোন পুত্র ছিল না।তিন মেয়ে ছিল।
★ ১. ঘসেটি বেগম তথা মেহেরুন্নেসা।স্বামী নওয়াজিস মুহাম্মদ।তার স্বামী ভগ্ন স্বাস্থ্য ও দুর্বল চিত্তের অধিকারী ব্যক্তি।সেনাপতি হোসেন কুলি খাঁ -র সঙ্গে ঘসেটির অনৈতিক সম্পর্ক ছিল।তাই আলিবর্দির নির্দেশে সিরাজ তাকে হত্যা করে।তাই ঘসেটি বেগম তার প্রতি প্রতিশোধ পরায়ণ ছিল।
তাছাড়া তার কোন ছেলে সন্তান ছিল না।সিরাজের ভাই একরামুদ্দৌলাকে পোষ্য পুত্র হিসেবে নিলেও বসন্ত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।ফলে রাজমাতা হওয়ার স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেল।
২. শাহ বেগম।
৩. আমিনা বেগম।স্বামী জয়েন উদ্দিন।তিন সন্তান ছিল।সিরাজউদ্দৌলা,একরামউদ্দৌলা ও মির্জা হামদি।
★মিরজাফর:
আসল নাম মীর জাফর আলি খাঁন।পলাশীর যুদ্ধে নবাবের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে ক্লাইভের গাধা বলে পরিচিত এই মিরজাফর ১৭৫৭ সালের ২৯ শে জুন ক্ষমতার মসনদে বসেন।ইংরেজরা তাকে তাদের স্বার্থের পরিপন্থী ভেবে পরে তার জামাতা মির কাসিমকে ক্ষমতায় বসান।১৭৬৫ সালে কোষ্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।
★ইতিহাসে জানা যায়: নবাবের সৈন্য=৫০০০০,আর কামান ছিল =৫৩টি। আর ইংরেজদের ছিল- ৩০০০ সৈন্য,কামান -৮টি।
★অঙ্ক-০৪টি,দৃশ্য-১২টি,সিরাজের উপস্থিতি-৮টিতে।চরিত্র আছে - ৪০টি।
★শব্দার্থ জেনে নিই:
মারাঠা- মহারাষ্ট্রের একটি রাজ্য
মুৎসুদ্দি- প্রধান কেরানি,ভারপ্রাপ্ত কর্মচারি,বংশীয় পদবি।
সংগৃহীত তথ্য:
বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতনের পর ইংলিশ লর্ড তার ডায়েরীতে লিখেছিলো, যেদিন আমরা নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছিলাম, সেদিন যতজন বাঙালি দাড়িয়ে দাড়িয়ে তামাশা দেখছিলো তারা যদি একটি করে ছোট পাথর নিয়ে আমাদের তাড়া করতো আমরা হেরে যেতাম...
পলাশীর যুদ্ধের খলনায়কদের মৃত্যু কিভাবে হয়েছিল?
১) মীর জাফর : কুষ্ঠ রোগে সারা শরীর পঁচে মারা গেছে।
২) ঘসেডি বেগম : ইংরেজরা তাকে বুড়িগঙ্গায় ডুবিয়ে মেরেছে।
৩) মোহাম্মেদী বেগ : জনগনের অপমান সহ্য করতে না পেরে কুপে আত্মহত্যা করেছে।
৪) রবাট ক্লাইভ : ইংরেজরা তার বিরুদ্ধে অভিসংসন করলে , তিনি টেমস নদীতে আত্মহত্যা করেন।
৫) মীরন : বিনা মেঘে বজ্রাঘাতে মারা গেছেন।
৬) মহারাজা নন্দকুমার : ইংরেজরা তাকে ফাঁসি দিয়েছিল।
৭) জগৎশেঠ, রায়দুল্লভ, ইয়ার লতিফ : মীর কাসিম তাদের তিন জনকে অালাদা তিনটি বস্তায় বেঁধে জীবন্ত গঙ্গায় ফেলে দিয়েছিল।
৮) মীর কাসিম : শেষ জীবনে দিল্লির রাস্তায় রাস্তায় ভিক্ষা করতে করতে মরেছিলেন।
9 ) ওয়াটসন : জীবনের শেষ প্রান্তে এসে ভগ্ন স্বাস্থ্য রোগে ভুগেন কিন্তু কোন ঔষধেই কাজ না হয়ে শেষমেশ কঙ্কাল সার হয়ে মারা যান ।
10 ) শওকত (ঘসেটির ছেলে) পলাশীর যুদ্ধের পর কোম্পানি তাকে বরখাস্ত করে । সেই অপমান সহ্য করতে না পেরে ইংল্যান্ড এর রাস্তায় হৃদযেন্ত্রর ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান ।
11) স্কাফটন : উনি বাংলার ধন সম্পদ জাহাজ ভরে লুটে নিয়ে যাওয়ার সময় গভীর সমুদ্রে জাহাজ ডুবে মারা যান ।
ইতিহাস কখনও কাউকে ক্ষমা করনি এবং করবেনও না । তাই কখনও কারো মনে কষ্ট দিবেন না । মানুষ ক্ষমা না করলে ভগবান কখনও ক্ষমা করবে না ।
Ad-1
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Recent Post
আমি কোনো আগন্তুক নই
১. ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় বর্ণিত কে অকাল বার্ধক্যে নত? ক. কবি খ. কদম আলী গ. জমিলার মা ঘ. মাছরাঙা ২. ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় ব...
Most Popular Post
-
অলঙ্কার এর সংজ্ঞাঃ অলঙ্কার কথাটি এসেছে সংস্কৃত 'অলম' শব্দ থেকে।অলম শব্দের অর্থ ভূষণ।ভূষণ অর্থ সজ্জা,গহনা ইত্যাদি। তাই আভিধানিক অর্থে...
-
বাংলা ছন্দ ছন্দ: কাব্যের রসঘন ও শ্রুতিমধুর বাক্যে সুশৃঙ্খল ধ্বনিবিন্যাসের ফলে যে সৌন্দর্য সৃষ্টি হয় তাকে ছন্দ বলে। (বাঙলা ছন্দ : জীবেন্দ...
-
নৌকাডুবি (১৯০৬) চরিত্র ও তথ্য সমূহ ১. রমেশঃকলকাতা/Law/বাবার চিঠি/ ২. হেমনলিনীঃমাতৃহীন/ ৩. কমলাঃ ৪. ডাক্তার নলিনাক্ষঃ * গঙ্গার প্রবল ঘুর্ণিঝড়...
-
জটিল বা মিশ্র বাক্যে ছােট ছােট একাধিক বাক্য থাকে একে খণ্ডবাক্য বলে। খণ্ডবাক্য প্রধানত দুই প্রকার- ১.প্রধান খণ্ডবাক্য ২.আশ্রিত খণ্ড বাক্য। ...
-
গীতিকার ও সুরকার : আব্দুর রাহমান বয়াতি দে দে পাল তুলে দে মাঝি হেলা করিস না ছেড়ে দে নৌকা অামি যাবো মদিনা দুনিয়ায় নবী এলো মা অামিনার ঘ...
-
বলাকা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সন্ধ্যারাগে ঝিলিমিলি ঝিলমের স্রোতখানি বাঁকা আঁধারে মলিন হল–যেন খাপে-ঢাকা বাঁকা তলোয়ার; দিনের ভাঁটার শেষে রাত...
-
উত্তর: তৎসম শব্দে মূর্ধন্য-ণ এর ব্যবহারের নিয়মকে ণ-ত্ব বিধান বলে।নিম্নে এর পাঁচটি নিয়ম বর্ণনা দেওয়া হলো... ১. ঋ,র,ষ এরপর মূর্ধন্য-ণ হয়। ...
No comments:
Post a Comment