
মাথায় হাত রেখে আশির্বাদ করিনি! তাতে কি ! কিছু কিছু আশির্বাদ দূর থেকেও করা যায়। আমি শুনেছি, ভাইয়ের আশির্বাদ কখনো বৃথা যায় না। জানি না , আমি সৎ কিনা এবং জানি না আমার আশির্বাদ তোমার মাথায় পৌঁছুবে কিনা ! তারপর ও দূর থেকে আশির্বাদ করি - BE HAPPY IN YOUR LIFE.
জীবনে এই প্রথম শ্বশুরালয়ে যাইতেছ বলে আমি তোমাকে কতিপয় উপদেশ দিলাম। ইচ্ছা করলে মেনে চলিও । স্বামীকে দেবতার আসনে স্হান দিবে।শ্বশুরকে নিজের পিতা এবং শাশুড়ীকে নিজের মাতা মনে করবে। দেবর কে ছোট ভাই মনে করে আদর করিও। যত সুশ্রী ও সুপুরুষ হোক স্বামী ছাড়া অন্য কারো প্রতি কুনজর দিও না। কথায় কথায় বাপের বাড়ীর কোন ব্যক্তি ও বিষয় নিয়ে অহংকার করো না। সবার শেষে ঘুমাতে যাবে এবং সবার আগে ঘুম থেকে জাগবে। মনে রাখবে, শ্বশুরবাড়ীই তোমার শেষ আশ্রয়স্থল। ফিরে আসার কথা কখনো মাথায় এনো না। সবার মন জয় করে চলতে চেষ্টা করবে, কারণ তুমি ভাল আচরণ করলে অন্যরাও তোমার প্রতি ভাল আচরণ করবে। খাবার এর পছন্দ -অপছন্দ নিয়ে কোন কথা বলবে না এবং সবসময় শালীন পোশাক পড়বে ও শালীন কথা বলবে।স্বামী - সন্তান নিয়ে কখনো একা থাকার চেষ্টা করোনা। কারণ যৌথ পরিবারেই প্রকৃত সুখ। সময় ও মন বুঝে স্বামীকে মনের কথা বলবে, কারণ অসময়ে অনেক ভাল কথার ও আশানুরুপ ফল পাওয়া যায় না। কারো কথায় বা আচরণে মনে কষ্ট পেলে সাথে সাথে জবাব দিয়ে দিও না, ভেবে চিন্তে সময়বুঝে বিষয়টি স্বামীকে বলিও। যা করার বা বলার তিনিই বলবেন। ধর্ম-কর্ম থেকে মোটেও বিচ্যুত হয়ো না, কারণ ধর্ম- কর্ম তোমাকে পাপ থেকে মুক্তি দিবে।বাপের বাড়ীতে বেড়াতে যাওয়ার জন্য স্বামী ও শ্বাশুড়ীর অনুমতি নিবে। কখনো স্বামীকে ঠকাতে চেষ্টা করো না। কারণ, যে ঠকে সেই বোকা নয়, বিশ্বাসী ছিল। সেই বিশ্বাসের অমর্যাদা তুমি করেছ। এমন কোন কাজ করো না, যাতে তোমার বাপের বাড়ীর সুনাম ক্ষুন্ন হয় এবং বাপের বাড়ীর অর্জিত জ্ঞান শ্বশুরবাড়ীতে প্রয়োগ করবে। তোমার বাবা - মার যেসব দূর্বলতা আছে সেগুলো গোপন রেখো, জানাজানি হয়ে গেলে তোমার ক্ষতি হবে। কথা বলার সময় খুব সাবধানে ও হুশিয়ারে বলবে। মনে রেখো, বন্দুকের গুলি ও মুখের বুলি একবার বের হলে তা আর ফিরে আসে না। নিজেকে সর্ব জান্তা মনে করিও না। সবাই কে বলবে আমি জানি না, আমাকে শেখান। স্বামীর স্বজন দের নিজের আপন জন মনে করো। মনে রাখবে, তোমার সুখ-দু্ঃখ প্রায় সম্পূর্ণ তোমার আচরণ এর উপর নির্ভর করবে তবে কিছুটা নিয়তি।তুচ্ছ বিষয় গুলোকে এড়িয়ে চলবে এবং যতটুকু সম্ভব সহ্য করবে। কারণ, সহ্যের গুণ আছে। মনে রাখবে মানুষের সব আশা পুরণ হয় না, সব আশা পূরণ হলে মানুষ কখনো ভগবান কে ডাকতো না। তোমার স্বামী তোমাকে অন্ধভাবে ভালবেসে জমি কিনে দিতে পারে, দোকান কিনে দিতে পারে, ব্যাংক ব্যালেন্স দিতে পারে। তুমি তোমার বাবার প্ররোচনায় এগুলো বিক্রি করে দিও না। এই রকম করলে বাকি জীবন স্বামীর সাথে না কাটিয়ে বাবার সাথে কাটাতে হবে।তুমি আত্মসাৎ করে আনলেও তোমার বাবা সেগুলো তোমাকে ভোগ করতে দিবে না। সেগুলো দিয়ে তোমার বোন আর একটা বিয়ে দিবে আর তোমকে ভিলেন বানিয়ে ব্রাক এ চাকরি করতে বলবে নতুবা বাধন বিউটি পার্লারে গিয়ে মানুষের চুল কাটতে দিবে । সবশেষে বলব - সংসার সুখের হয় রমনীর গুনে।
[Collected]
No comments:
Post a Comment