Ad-1

Sunday, April 7, 2019

Reveiw,revision ,appeal পরিচিতি

Reveiw,revision ,appeal পরিচিতি

Reveiw,revision ,appeal এই তিনটা শব্দই বহুল পরিচিত আর গুরুত্বপূর্ণও বটে,এই টার্মগুলো ছাড়া ন্যায়বিচার কখনই প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনা।প্রজাতন্ত্রের সংবিধান,ফৌজদারী কার্যবিধি(১৮৯৮) দেওয়ানী কার্যবিধি সহ ট্রাইব্যুনালের আইনে গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়গুলো নিয়ে স্পষ্ট আলোচনা করা হয়েছে।

Reveiw এবং revision এই দুইটা শব্দের অর্থ এবং আবেদন প্রায় একই রকম মনে হলেও এক নয় কোনভাবেই, রয়েছে একটা সূক্ষ পার্থক্য। Reveiw এর বাংলা অর্থ দাঁড়ায় পর্যবেক্ষন, পরিদর্শন, পুনঃপরীক্ষা আর revision শব্দের অর্থ হচ্ছে "পুণঃপরীক্ষা করা" ব্যাকরন অনুযায়ী যা একটা ক্রিয়া পদ।

Reveiw করার বিষয়টা নিশ্চিত করা হয়েছে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১০৫ দিয়ে,ওখানে বলা হয়েছে আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে আর আপীল বিভাগ কতৃক প্রণিত বিধান মেনে আপীল বিভাগ কতৃক ঘোষিত যেকোনো রায় পুনর্বিবেচনা করার এখতিয়ার উক্ত বিভাগের থাকবে; তেমনই বাংলাদেশের যেকোন আদালত নিজের যেকোনো রায় পুনর্বিবিবেচনা করতে পারে এখতিয়ারবলে, এই বিষয়টাই আবার নিশ্চিত করেছে দেওয়ানী কার্যবিধির ধারা ১১৪। রিভিউ বিষয়টাকে তুলনা করতে পারেন আপনার পরীক্ষার খাতার সাথে।ধরুন আপনি একটা পাবলিক প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষায় অংশগ্রহন করলেন।পরিক্ষার হলে বসে আর কারও খাতা না দেখতে পারলেও নিজের খাতাটা কিন্তু নিজে দেখতে পারবেন বার বার,যেটাকে আমরা রিভাইজ বলি, এই জিনিসটাই ঘটে আদালতের reveiw এর সময়।আদালত একটা রায় দিলো পরে মামলার পক্ষদ্বয়ের যেকোন পক্ষ আবেদন করলো আবার রায়টা ভালো করে পুনঃপরীক্ষা করে দেখার জন্য। খুব সাম্প্রতিক ঘটনা একটা;জামায়াত নেতা"কামারুজ্জা মানের"রায় দিয়েছে আপীল বিভাগ,কামরুজ্জামানের পক্ষের আইনজিবী বলছেন আসামীপক্ষের রিভীউ করার সুযোগ রয়েছে অর্থাৎ আপীল রায়ের উপর আসামীপক্ষ একটা পিটিশন দায়ের করবে যে রায়টা আবার পরীক্ষা করে দেখা হউক এবং এই পিটিশনটা আর কোথাও করা যাবেনা শুধু আপীল বিভাগেই করা যাবে"সংবিধানের ১০৫"অনুচ্চছেদ দিয়ে। আরেকটা বিষয় মনে রাখতে হবে রিভিউয়ের সময় নতুন করে স্বাক্ষী প্রমান হাজির করার এখতিয়ার নেই। revision শব্দটাও প্রায় একই অর্থে ব্যাবহৃত হয় তবে পার্থক্যটা হচ্ছে এ ক্ষেত্রে উচ্চতর আদালত একটা তদারকি ক্ষমতা প্রয়োগ করে সাধারনত। এতে ফৌজদারী কার্যবিধির ৪৩৫, ৪৩৬, ৪৩৯, ৪৩৯ ক,ধারাগুলো প্রজোয্য। ৪৩৫ অনুযায়ী উচ্চ আদালত তার অধিনস্থ যেকোনো নিম্ন আদালতের নথি তলব করতে পারেন। যেমন যেকোন আদালতের সকল জুডিশিয়াল অথবা এক্সিকিউটিব ম্যাজিস্ট্র্যাট সাধারনত দায়রা আদালতের অধিনস্থ। সুতরাং দায়রা আদালত যদি মনে করে যে কোনো ম্যাজিস্ট্র্যাট ; এক্সকিউটিভ অথবা জুডিশিয়াল একটা রায়ে আইনগত কোন ভূল (de jure)করেছে সেক্ষেত্রে তিনি নথি তলব করতে পারেন।
একটা উদাহরন দেখুন ধরি 'ক' নামের এক ব্যক্তিকে একজন দ্বিতীয় শ্রেণির ম্যাজিস্ট্র্যাট ৭ বছরের কারাদন্ড দিয়ে দিলেন এখানে একটা আইনগত ভূল আছে সি,আর,পি,সি ৩২ ধারা অনুযায়ী একজন দ্বিতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্র্যাট দিতে পারেন মাত্র ৩ বছরের কারাদন্ড উচ্চ আদালত এটা তদারকি করে দেখলো।Reveiw আর revision এর মধ্যে আরেকটা পার্থক্য হচ্ছে Reveiw করতে হয় আবেদনকারীর আবেদন সাপেক্ষ অপরদিকে revision করা যায় আবেদনকারীর আবেদনসাপেক্ষে অথবা উচ্চ আদালতের স্বেচ্ছাচারী ক্ষমতা প্রয়োগ করেও।revision এর সময়ও নতুন করে স্বাক্ষি প্রমান আনার সুযোগ নেই।

appeal শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো পূনর্বিচার প্রার্থী হওয়া।প্রজাতন্ত্রের সংবিধান অনুচ্ছেদ ৯৪(১) আপীল বিভাগ নামের একটা আদালত প্রতিষ্ঠা করেছে, অনুচ্ছেদ ১০৩(১) এ বলেছে হাইকোর্ট বিভাগের রায় আদেশ বা ডিক্রি আদেশ বা দন্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপীল শুনানী বা নিষ্পত্তির এখতিয়ার আপীল বিভাগের রয়েছে। ফৌজদারী অথবা দেওয়ানী কার্যবিধি কোথাও আপীলের কোন স্পষ্ট সংজ্ঞা দেয়া নেই তবে এটা বলা যেতে পারে নিম্ন আদালত থেকে উচ্চ আদালতে নিয়ে একটা মামলাকে আবার খতিয়ে দেখার নামই আপীল, আর এক্ষেত্রে question of fact,question of law(de facto,de jure) সবই দেখতে হবে।
ধরি একটা আদালতে একটা রায় হলো যেখানে question of fact(ঘটনা বর্ণনা) করতে আদালত ভূল করেছে সুতরাং এখানে অবশ্যই ন্যায়বিচার পথভ্রষ্ট হবে কারন ঘটনাটাই যেখানে মিথ্যা সেখানে আইনগত প্রশ্ন সঠিক হওয়ারতো কোনো প্রশ্নই আসেনা। question of fact নিয়ে ঘাটা-ঘাটি করলে question of law নিয়েও ভাবতে হবে নতুন করে। এসকল ক্ষেত্রে ঐ আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে সে যার অধনস্থ সেই আদালতে আপীলের আবেদন করা যাবে।এক্ষেত্রে উচ্চ আদালত স্বেচ্ছাচারী ক্ষমতা(sou moto)প্রয়োগ করতে পারেনা হতে হবে পক্ষদ্বয়ের যেকোনো পক্ষের আবেদন সাপেক্ষে।

No comments:

Post a Comment

Recent Post

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯

১. ‘ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ ’ কবিতায় সালামের হাতে কেন অবিনাশী বর্ণমালা ঝরে ? ক. সংগ্রামী চেতনার কারণে     খ. দুঃখিনী মাতার অশ্রুজল দেখে গ. বরকত...

Most Popular Post