Ad-1

Friday, May 31, 2019

পাঁচ ধাপে অ্যাডভোকেট এনরোলমেন্ট সনদ:

পাঁচ ধাপে অ্যাডভোকেট এনরোলমেন্ট সনদ ও বার কাউন্সিল এ পরীক্ষার জন্য ফরম ফিলাপের নিয়মঃ

পাঁচ ধাপে অ্যাডভোকেট এনরোলমেন্ট সনদ:

১. রেজিস্ট্রেশন
অ্যাডভোকেট হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার আগে ১০ বছরের অভিজ্ঞ আইনজীবীর সঙ্গে ছয় মাস শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করতে হয়। শিক্ষানবিশকালে আইন বিষয়ে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জন, মামলার ফাইল প্রস্তুত, মামলার জন্য প্রাসঙ্গিক আইন, নজির ও প্রয়োগ, মামলা পরিচালনা সম্পর্কে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়। শিক্ষানবিশকে তাঁর সিনিয়রের সঙ্গে শিক্ষানবিশ চুক্তি করতে হয়। চুক্তির ৩০ দিনের মধ্যে বার কাউন্সিল নির্ধারিত রেজিস্ট্রেশন ফরম পূরণ করে সংযুক্তি হিসেবে চুক্তিপত্রটি কাউন্সিলের সচিব বরাবর দাখিল করতে হয়। বার কাউন্সিলের অনুকূলে রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ জমা দিতে হবে ৮০০ টাকা।

২. তালিকাভুক্তির আবেদন
শিক্ষানবিশ চুক্তির মেয়াদ ছয় মাস পূর্ণ হলে একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবী তালিকাভুক্তির পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন। আবেদন ফরমের জন্য জমা দিতে হবে ৩৫০ টাকা। ফরমটি পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সচিব বরাবর জমা দিতে হয়। আবেদনপত্রের সঙ্গে লাগবে ছয় মাস শিক্ষানবিশকাল সমাপ্ত হয়েছে এই মর্মে সিনিয়রের দেওয়া সনদ, শিক্ষানবিশকালে সিনিয়র পরিচালিত পাঁচটি দেওয়ানি ও পাঁচটি ফৌজদারি মামলার তালিকা, দুজন বিশিষ্ট ব্যক্তির দেওয়া চারিত্রিক প্রশংসাপত্র, সিনিয়র সত্যায়িত সব শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ও নম্বরপত্রের ফটোকপি, সদ্য তোলা চার কপি পাসপোর্ট আকারের রঙিন ছবি, ২০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে কাগজপত্র ও তাতে উল্লিখিত তথ্যের সত্যতা সম্পর্কে নোটারি পাবলিক বা প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে সম্পাদিত হলফনামা। এনরোলমেন্ট ফি বাবদ গুনতে হবে দুই হাজার ৪০০ টাকা।

৩. প্রিলিমিনারি পরীক্ষা
আবেদনপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর বার কাউন্সিল থেকে দেওয়া হবে প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রবেশপত্র। পরীক্ষা হবে ১০০ নম্বরের, প্রশ্নও থাকবে ১০০টি। পাস নম্বর ৫০। সিভিল প্রোসিডিউর কোড থেকে ২০টি, স্পেসিফিক রিলিফ অ্যাক্ট থেকে ১০টি, ক্রিমিনাল প্রোসিডিউর থেকে ২০টি, পেনাল কোড থেকে ২০টি, এভিডেন্স অ্যাক্ট থেকে ১৫টি, লিমিটেশন অ্যাক্ট থেকে ১০টি এবং পেশাগত নীতি, বার কাউন্সিল অর্ডার ও নিয়মাবলি, লিগ্যাল ডিসিশন ও রিপোর্ট থেকে পাঁচটি প্রশ্ন থাকবে।

৪. লিখিত পরীক্ষা
প্রিলিমিনারি পাসের পর অংশ নিতে হবে ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায়। চার ঘণ্টার এ পরীক্ষায় দেওয়ানি কার্যবিধি ও সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন থেকে তিনটি প্রশ্ন থাকবে, লিখতে হবে দুটি। ফৌজদারি কার্যবিধি, দণ্ডবিধি, সাক্ষ্য আইন এবং তামাদি আইন থেকে দুটি করে প্রশ্ন থাকবে, লিখতে হবে একটি করে। ১৫ নম্বর করে বরাদ্দ থাকবে প্রতিটি প্রশ্নে। বাকি ১০ নম্বরের প্রশ্ন করা হবে বার কাউন্সিল আদেশের ওপর। প্রশ্ন থাকবে দুটি, উত্তর দিতে হবে একটির।

৫. মৌখিক পরীক্ষা
লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ডাকা হবে মৌখিক পরীক্ষায়। দেওয়ানি কার্যবিধি ও সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন, ফৌজদারি কার্যবিধি, দণ্ডবিধি, সাক্ষ্য আইন, তামাদি আইন, বার কাউন্সিল আদেশ আইনের ওপর প্রশ্ন করা হবে ৫০ নম্বরের। পাস নম্বর ২৫। মৌখিক পরীক্ষার সময় উল্লিখিত ১০ মামলার বিষয়ে কেস ডায়েরি দাখিল করতে হবে। তবে ব্যারিস্টারদের কেস ডায়েরি দাখিলের প্রয়োজন পড়ে না। এসব ধাপ সাফল্যের সঙ্গে অতিক্রম করলে আপনি আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হবেন।

#বার কাউন্সিলের ফরম ফিলাপ ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড করার নিয়ম:

বার কাউন্সিল এর অ্যাডভোকেটশীপ পরীক্ষার আগে রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও ফরম ফিলাপের বিষয়টি নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্তিতে ভোগেন। আইনজীবী তালিকাভুক্তি পরীক্ষার ফরম ফিলাপ ও বার কাউন্সিলের রেজিস্ট্রেশন কার্ড সংক্রান্ত নিয়মগুলি নিম্নে আলোচনা করা হলো-

প্রথমবার বার কাউন্সিল এ পরীক্ষার জন্য ফরম ফিলাপের নিয়মঃ
শুরুতে বাংলামটর নামবেন। তারপর রুপায়ন ট্রেড সেন্টার এ প্রবেশ করে লিফট এর →৪র্থ ফ্লোর নেমে, সেইখান থেকে একটা হলুদ (১০০০ টাকার) এবং একটা নীল (৩৭০০ টাকার) স্লিপ নিয়ে ফিলাপ করে →পঞ্চম ফ্লোর উঠে ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে আবার →৪র্থ ফ্লোর গিয়ে সেইখান থেকে Enrollment Form (Application for enrollment as Advocate, Form A) নিয়ে এবং সাথে আপনার S.S.C, H.S.C এবং Law এর সার্টিফিকেট এবং মার্কসিট (এক কপি করে), তারপর ৪ কপি ছবি (Passport size) এবং একটা এফিডেবিট (এফিডেবিট আপনে চাইলে বার কাউন্সিল অফিস থেকে ও নিতে পারবেন এবং মনে রাখবেন এফিডেবিট নোটারি করতে হয়) নিয়ে আপনার সিনিয়রের কাছে যাবেন এইগুলো সত্যায়িত এবং Enrollment Form এ সিগনেচার করার জন্য (Enrollment Form আগে ফটোকপি করে তার উপর ড্রাফট করবেন যাতে মূল ফরমে ভুল না হয়) । তারপর ভালো ভাবে ফিলাপ করে এক কপি ফটোকপি করে নিবেন। তারপর ফরমের ২ টা কপি ( ১ টা মেইনকপি এবং আরেকটা ফটোকপি) নিয়ে বোরাক টাওয়ার এর তৃতীয় ফ্লোর এ যাবেন সেইখানে অফিস মেইনকপি রেখে দিবে এবং ফটোকপিতে সিল মেরে আপনাকে দিয়ে দিবে।

দ্বিতীয়বার বার কাউন্সিল এ পরীক্ষার জন্য ফরম ফিলাপের নিয়মঃ
শুরুতে বাংলামটর নামবেন। তারপর রুপায়ন ট্রেড সেন্টার এ প্রবেশ করে লিফট এর →৪র্থ ফ্লোর নেমে, সেইখান থেকে একটা হলুদ (৫০০ টাকার) এবং একটা নীল (১৫০০ টাকার) স্লিপ নিয়ে ফিলাপ করে →পঞ্চম ফ্লোর উঠে বাংকে টাকা জমা দিয়ে আবার →৪র্থ ফ্লোর গিয়ে সেইখান থেকে Re-Appear Form নিয়ে ফিলাপ করে এবং সাথে গতবারের এডমিট কার্ড এর ফটোকপি এবং সত্যায়িত (নিজের সিনিয়র দ্বারা) ৩ কপি ছবি দিয়ে বোরাক টাওয়ার এর তৃতীয় ফ্লোর এ জমা দিতে হবে।

রেজিস্ট্রেশন কার্ড যারা পাননি তাদের করনিয়ঃ
রেজিস্ট্রেশন কার্ড নেওয়ার সিরিয়াল বেশ লম্বা। সকাল সকাল গেলে অল্প সময় কাজ সেরে নেওয়া সম্ভব হবে।

পাবলিক এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা পাশ করেছেন এবং ইনটিমিশন জমা যাদের ৬ মাসের বেশি তাদেরকে রেজিস্ট্রেশন কার্ড দেওয়া শুরু করেছে বার কাউন্সিল। তবে কিছু ক্ষেত্রে কার্ড না দিয়ে পরবর্তীতে উনাকে কবে দিবে সেই ডেট দিয়ে দিচ্ছে।

প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা পাশ করেছেন তাদের মধ্য থেকে যারা ইনটিমিশন ১৬ বা ১৭ সালে প্রথম দিকে জমা দিয়েছেন তাদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড রেডি হয়ে আছে বিধায় দিয়ে দিচ্ছে, তবে ১৭ সালের শেষের দিকে বা ১৮ সালে যারা জমা দিয়েছেন তাদের কার্ড বিশ্ববিদ্যালয় অনুযায়ী নোটিশ দিয়ে আলাদা আলাদা ডেট দিয়ে তাদেরকে একসাথে রেজিস্ট্রেশন কার্ড দেওয়া হবে। এসব নিয়ে বার কাউন্সিল সাধারণত আলাদাভাবে নোটিশ দিয়ে থাকে। আপনারা নোটিশ অথবা স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালোভাবে খোঁজ নিয়ে রাখবেন।

রেজিস্ট্রেশন কার্ড না পাওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণ করণীয় ও সতর্কতা [প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য]
এরকম অনেক পরিচিত শিক্ষানবিশ আছেন, যারা কিনা বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে প্রায় দেড় বছর হতে চললো ইন্টিমেশন জমা দিয়েছেন। কিন্তু তারা এখনো রেজিস্ট্রেশন কার্ড পাননি। তাদের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। তবে একটি ছোট্ট কিন্তু আছে! বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আপনারা একবার অবশ্যই নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাযোগ করবেন যে, বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্তৃপক্ষ আপনাদের নামের তালিকা বার কাউন্সিলে পাঠিয়েছে কিনা। আপনারা জানেন যে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আইন বিভাগকে একটি তালিকা পাঠিয়ে দিতে হয় বার কাউন্সিলে, যে তালিকার ভিত্তিতেই আপনার রেজিস্ট্রেশন কার্ড প্রাপ্তি নিশ্চিত হবে। নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে আগে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে যথেষ্ট প্রমাণ যোগাড় করুন যে, তাদের পাঠানো তালিকায় আপনার নাম ঠিকমতো গেছে কিনা। তাদেরকে খানিকটা চাপের ওপর রাখুন। নইলে শেষমুহূর্তে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেবেন নাকি রেজিস্ট্রেশন কার্ড সংক্রান্ত দৌড়াদৌড়ি করতে থাকবেন? রেজিস্ট্রেশন কার্ড প্রাপ্তির বিষয়ে ‘শুভস্য শীঘ্রম’ হবেন দয়া করে!

অ্যাডভোকেটশীপ পরীক্ষার ফরম ফিলাপঃ

শুরুতেই একটা কথা জেনে রাখুন যে, যে বা যারাই হাতে রেজিস্ট্রেশন কার্ড পেয়ে থাকেন, তারাই বার কাউন্সিলের আনুষ্ঠানিক নোটিশ ছাড়াই যেকোনো সময় পরীক্ষার ফরম ফিলাপ সেরে রাখতে পারেন। ফরম ফিলাপ করে সংশ্লিষ্ট টাকা জমা দিয়ে দিলে বার কাউন্সিল তা রিসিভ করতে বাধ্য থাকে। তবে ঘটনাচক্রে যদি দেখা যায় যে পরবর্তীতে আনুষ্ঠানিক ফরম ফিলাপ এর সময় ফরম ফিলাপের কোনো নতুন মূল্য নির্ধারণ বা পুণ:নির্ধারণ করা হয়, সেক্ষেত্রে অবশিষ্ট ঘাটতি টাকাও জমা দিতে হবে।

বার কাউন্সিল সর্বশেষ ভাইভা পরীক্ষার সময়ে ঘোষণা দিয়েছিলো যে, যারা রেজি. কার্ড হাতে পেয়েছেন, তারা নভেম্বর ২০ তারিখ থেকে ডিসেম্বর ২০ তারিখের মধ্যে ফরম ফিলাপ করে রাখতে পারেন। তখন অনেকেই যারা রেজি. কার্ড হাতে পাননি, অথচ ৬ মাস অতিবাহিত হয়ে গেছে, তারা ভীষণ দুশ্চিন্তায় ছিলেন যে তাদের কী হবে! এ নিয়ে দুশ্চিন্তা করবেন না! কেননা, বার কাউন্সিল যাদের রেজি. কার্ড ইস্যু করেনি, তাদেরও রেজি. কার্ড ইস্যু করে তাদেরকে ফরম ফিলাপের প্রয়োজনীয় সময় প্রদান করেই ফরম ফিলাপের আরো পর্যাপ্ত সময় দেবে।

তো, এই ফরম ফিলাপের চলমান সময়ের ভেতরেই বার কাউন্সিলের ভবন স্থানান্তর, কাগজপত্র বা ফাইলসমূহ যথাযথভাবে সংরক্ষণের ঝুঁকি এবং অন্যান্য বিবিধ কারণে ফরম ফিলাপের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছিল।

নোটিশে বলা হয়েছে যে, পরবর্তীতে যথাসময়ে আবারো ফরম ফিলাপের নোটিশ দেওয়া হবে এবং বিশেষভাবে উল্লেখ ছিলো যে, ‘‘পরীক্ষায় অংশগ্রহণের উপযুক্ত সকল প্রার্থীকেই ফরম ফিলাপের জন্য পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হইবে মর্মে আশ্বস্ত করা যাইতেছে।”

তার মানে আনুষ্ঠানিকভাবে এটি স্থগিত আছে। কিন্তু ঐ যে শুরুতেই বললাম, যারা অলরেডি রেজি কার্ড হাতে পেয়েছেন তারা যদি ফরম ফিলাপ করে রাখেন তাতে কোন অসুবিধা নাই, বার কাউন্সিল তা গ্রহণ করে নেবে।
সংগৃহীত : ফেসবুক থেকে
#তথ্য_সংগ্রহ_করেছেন: ফারিয়া আপু।
#বি.দ্রঃবানান ভুল হলে ক্ষমা করবেন।ভুল তথ্য পরিবেশিত হলে কমেন্টে জানান।

No comments:

Post a Comment

Recent Post

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯

১. ‘ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ ’ কবিতায় সালামের হাতে কেন অবিনাশী বর্ণমালা ঝরে ? ক. সংগ্রামী চেতনার কারণে     খ. দুঃখিনী মাতার অশ্রুজল দেখে গ. বরকত...

Most Popular Post