প্রথম অধ্যায়; ভাষা
১. মানুষ সৃষ্টির সেরা --- জীব।
২. ভাষার প্রাণ হলো -- অর্থপূর্ণ ধ্বনি।
৩. ভাষার রুপভেদ দেখা যায় --- স্থান, কাল ও সমাজভেদে।
৪. ধ্বনির সৃষ্টি হয় -- বাগযন্ত্রের সাহায্যে।
৫. ইংল্যান্ডের মানুষের ভাষা -- ইংরেজি।
৬. ফ্রান্সের মানুষের ভাষার নাম-- ফরাসি।
৭. চীনের মানুষের ভাষার নাম -- ম্যান্ডারিন।
৮. চাকমা জনগোষ্ঠীর ভাষা --- চাংমা।
৯. গারো জনগোষ্ঠীর ভাষার নাম --- আচিক।
১০. ভাষাকে তুলনা করা হয় --- প্রবহমান নদীর সঙ্গে।
১১. স্থির ভাষা পরিণত হয় -- মৃত ভাষায়।
১২. পৃথিবীতে প্রচলিত ভাষা আছে -- সাড়ে তিন হাজার।
১৩. পৃথিবীতে মাতৃভাষা বাংলা হলো -- প্রায় ত্রিশ কোটি লোকের।
১৪. মাতৃভাষার বিবেচনায় সারা বিশ্বে বাংলা ভাষার অবস্থান -- চতুর্থ।
১৫. 'প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা ' উল্লেখ আছে-- ১৬. সংবিধানের প্রথম ভাগের তৃতীয় অনুচ্ছেদে।
১৭. প্রশাসনিক ভাষা চালু আছে -- পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা,ঝাড়খণ্ড ও আসাম রাজ্যে।
১৮. ভাষার রুপ হলো -- দুটি,যথা : মৌখিক ও লৈখিক রুপ।
১৯. মৌখিক রুপ দুটি হলো --- আঞ্চলিক ও প্রমিত রীতি।
২০. লৈখিক রুপ দুটো হলো -- সাধু ও চলিত রীতি।
২১. আঞ্চলিক ভাষাকে -- উপভাষা বলে।
২২. সর্বজনগ্রাহ্য ও মার্জিত ভাষার রুপকে -- প্রমিত ভাষা বলে।
২৩. সাধু ভাষায় ব্যবহার হয় -- তৎসম শব্দ।
২৪. চলিত ভাষায় ব্যবহার হয় -- তদ্ভব,দেশি ও বিদেশি শব্দ।
২৫. নাটক,সংলাপ ও বক্তৃতার উপযোগী ভাষা হলো --- চলিত ভাষা।
২৬. সাধু ও চলিত ভাষার প্রধান পার্থক্য দেখা যায়- ৪টি পদে।(বিশেষ্য,সর্বনাম, ক্রিয়া ও অব্যয়).
২৭. 'যদ্যাপি' শব্দের চলিত রুপ হলো --- যদিও।
২৮. 'ব্যাঘ্র' শব্দের চলিত রুপ হলো --- বাঘ।
২৯. ব্যাকরণের নিয়ম মেনে চলে --- সাধু ভাষা।
ধ্বনি ও বর্ণঃ
১. ধ্বনি তৈরি হয় -- বাগযন্ত্রের সাহায্যে।
২. ধ্বনি দুই প্রকার -- স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনি।
৩. মোট মৌলিক স্বরধ্বনি-- ৭টি।
৪. যৌগিক স্বরধ্বনি -- ২টি (ঐ,ঔ)।
৫. বর্ণও দুই প্রকার - স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ।
৬. মোট স্বরবর্ণ হলো -- ১১ টি।
৭. বাংলায় মোট ব্যঞ্জনবর্ণ -- ৩৯ টি।
৮. বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত বর্ণ সমুহকে একত্রে -বাংলা বর্ণমালা বলে।
৯. বাংলা বর্ণমালায় মোট বর্ণ -- ৫০টি।
১০. স্বরবর্ণের লিখিত রুপ --- দুইটি।
১১. সেগুলো হলো - পূর্ণরুপ ও সংক্ষিপ্ত রুপ।
১২. স্বরবর্ণের সংক্ষিপ্ত রুপকে -- কার বলে।
১৩. স্বরবর্ণের কার চিহ্ন - ১০ টি।
১৪. ব্যঞ্জন বর্ণের লিখিত রুপ --- দুইটি।
১৫. সেগুলো হলো - পূর্ণরুপ ও সংক্ষিপ্ত রুপ।
১৬. ব্যঞ্জন বর্ণের সংক্ষিপ্ত রুপকে -- ফলা বলে।
১৭. ব্যঞ্জনবর্ণের ফলা আছে --৬টি।
১৮. কণ্ঠতালব্য বর্ণ হলো - এ,ঐ
১৯. কণ্ঠৌষ্ঠ বর্ণ হলো - ও,ঔ।
২০.'অ' ও 'এ'- ধ্বনির উচ্চারণ - দুই রকম হয়।
২১. সেগুলো হলো-- সংবৃত ও বিবৃত।
২২. 'ঞ' এর উচ্চারণ হয় --- তিন রকম।
২৩. 'এক','খেলা','কেন'- শব্দের উচ্চারণ - বিবৃত হয়।
২৪.পদের মধ্যে ও শেষে ম-ফলা যুক্ত হলে সে বর্ণের উচ্চারণ --- দ্বিত্ব হয়।
২৫. সন্ধিজাত শব্দে ব-ফলা এর উচ্চারণ ---বহাল থাকে।
Ad-1
Tuesday, February 4, 2020
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Recent Post
সুভা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ১. সুভার বাবার নাম কি? ২. সুভা কোথায় বসে থাকত? ৩. সুভা জলকুমারী হলে কী করত? ৪. সুভার গ্রামের নাম কী? ৫...
Most Popular Post
-
বাংলা ছন্দ ছন্দ: কাব্যের রসঘন ও শ্রুতিমধুর বাক্যে সুশৃঙ্খল ধ্বনিবিন্যাসের ফলে যে সৌন্দর্য সৃষ্টি হয় তাকে ছন্দ বলে। (বাঙলা ছন্দ : জীবেন্দ...
-
অলঙ্কার এর সংজ্ঞাঃ অলঙ্কার কথাটি এসেছে সংস্কৃত 'অলম' শব্দ থেকে।অলম শব্দের অর্থ ভূষণ।ভূষণ অর্থ সজ্জা,গহনা ইত্যাদি। তাই আভিধানিক অর্থে...
-
উত্তর 'অ' ধ্বনির উচ্চারণ অ-এর মতো হলে তাকে অ-বিবৃত বা স্বাভাবিক উচ্চারণ বলে।অ-ধ্বনির বিবৃত উচ্চারণে ঠোঁট তেমন বাঁকা বা গোল হয় না।যে...
-
নৌকাডুবি (১৯০৬) চরিত্র ও তথ্য সমূহ ১. রমেশঃকলকাতা/Law/বাবার চিঠি/ ২. হেমনলিনীঃমাতৃহীন/ ৩. কমলাঃ ৪. ডাক্তার নলিনাক্ষঃ * গঙ্গার প্রবল ঘুর্ণিঝড়...
-
উত্তর: অ-ধ্বনির সংবৃত উচ্চারণের নিয়ম নিম্নরুপ।যথা: ১. 'অ'অথবা নিহিত 'অ'-ধ্বনির পর ই-কার বা উ-কার হলে, তবে অ-ধ্বনির উচ্চারণ...
-
অর্থালঙ্কার: অর্থালঙ্কারের প্রকারভেদ: অর্থালঙ্কার পাঁচ প্রকার।যথা: ১. সাদৃশ্যমূলক ২. বিরোধমূলক ৩. শৃঙ্খলামূলক ৪. ন্যায়মূলক ৫. গূঢ়ার্থ...
-
উত্তর: তৎসম শব্দে মূর্ধন্য-ণ এর ব্যবহারের নিয়মকে ণ-ত্ব বিধান বলে।নিম্নে এর পাঁচটি নিয়ম বর্ণনা দেওয়া হলো... ১. ঋ,র,ষ এরপর মূর্ধন্য-ণ হয়। ...
No comments:
Post a Comment