Ad-1

Sunday, October 15, 2017

প্রশ্নঃ 'এ'- ধ্বনির বিবৃত উচ্চারণের নিয়ম লেখো পাঁচটি।

উত্তরঃ

বিবৃত : ‘এ’ ধ্বনির বিবৃত উচ্চারণ ইংরেজি ক্যাট/ cat ও ব্যাট / bat -এর ‘এ্যা'-এর মতো। যেমন : দেখ (দ্যাখ), একা (এ্যাকা) ইত্যাদি।
ধ্বনির এই বিবৃত উচ্চারণ কেবল শব্দের আদিতেই পাওয়া যায়, শব্দের মধ্যে ও অন্তে পাওয়া যায় না।

ক) দুই অক্ষর বিশিষ্ট সর্বনাম বা অব্যয় পদে। যেমন : এত, হেন, কেন ইত্যাদি।কিন্তু ব্যতিক্রম-যেমন, সেথা, হেথা।

খ) অনুস্বার ও চন্দ্রবিন্দু যুক্ত ধ্বনির আগের ধ্বনিতে 'এ' বা এ-কার'-থাকলে 'এ' ধ্বনির উচ্চারণ বিবৃত হয়। যেমন : খেংড়া, চেংড়া, স্যাঁতসেঁতে, গেঁজেল।
কিন্তু ই-ধ্বনি বা উ-ধ্বনি থাকলে এ-র স্বাভাবিক উচ্চারণ বা সংবৃত উচ্চারণ হয়।

গ) খাঁটি বাংলা শব্দে 'এ'-এর উচ্চারণ বিবৃত হয়। যেমন : খেমটা, ঢেপসা, তেলাপোকা, তেনা, দেওর।

ঘ) সংখ্যাবাচক শব্দের গোড়ায় এ থাকলে তার উচ্চারণ বিবৃত হয়।যেমনঃ
এক,একষট্টি,একান্ন,একাত্তর,এগারো,একতলা,একঘরে ইত্যাদি।
ব্যতিক্রমঃ একুশ,একত্রিশ।

ঙ) ক্রিয়াপদের বর্তমান কালের অনুজ্ঞায়, তুচ্ছার্থ ও সাধারণ মধ্যম পুরুষের রূপে। যেমন : দেখ্ (দ্যাখ), দেখ (দ্যাখো), খেল্ (খ্যাল), খেল (খ্যালো), ফেল (ফ্যাল), ফেল (ফ্যালো) ইত্যাদি।

এছাড়াও শব্দের গোড়ায় এ বা এ-কারের পর অ বা আ থাকলে এ বা এ-কারের উচ্চারণ অনেক জায়গায় বিবৃত হয়।যেমনঃ
এখন,কেমন,যেমন,বেটা,জেঠা ইত্যাদি। 

No comments:

Post a Comment

Recent Post

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯

১. ‘ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ ’ কবিতায় সালামের হাতে কেন অবিনাশী বর্ণমালা ঝরে ? ক. সংগ্রামী চেতনার কারণে     খ. দুঃখিনী মাতার অশ্রুজল দেখে গ. বরকত...

Most Popular Post