তথ্য কণিকা
১. বদলে যাওয়াই হচ্ছে — ভাষার ধর্ম।
২. একদল লােক বাংলা ভাষার জননী বলে মনে করত — সংস্কৃত ভাষাকে।
৩. বাংলা ভাষার জন্ম হয়েছে — প্রাকৃত ভাষা থেকে।
৪. সংস্কৃত ভাষা চূড়ান্তভাবে বিধিবদ্ধ হয়— খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০ অব্দে।
৫. ব্যাকরণবিদ পাণিনি রচিত ব্যাকরণ গ্রন্থের নাম— অষ্টাধ্যায়ী।
৬. মধ্য ভারতীয় আর্যভাষার অপর নাম — প্রাকৃত ভাষা।
৭. সমাজের উঁচু শ্রেণির মানুষের লেখার ভাষা ছিল — সংস্কৃত।
৮. বাংলা ভাষার উদ্ভব সম্পর্কে প্রথম মত প্রকাশ করেন— জর্জ আব্রাহাম গ্রিয়ারসন।
৯. ভারতীয় আর্যভাষার রয়েছে ৩টি স্তর
১০. প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষার প্রাচীন রূপ পাওয়া যায়— ঋগ্বেদের মন্ত্রগুলােতে।
১১. সাধারণ মানুষের কাছে দুর্বোধ্য হয়ে ওঠে — বৈদিক ভাষা ।
১২. বৈদিক ভাষার প্রথম স্তর — সংস্কৃত।
১৩. গৌড়ী অপভ্রংশ থেকে উৎপত্তি ঘটে বাংলা ভাষার' মতটি— ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর।
১৪. বাংলা ভাষার জন্মকথা' প্রবন্ধের রচয়িতা — হুমায়ুন আজাদ।
১৫. বাংলা ভাষার জন্মকথা’ প্রবন্ধটি সংকলন করা হয়েছে- কতাে নদী সরােবর বা বাঙলা ভাষার জীবনী গ্রন্থ থেকে।
১৬. বাংলা ভাষার জন্মকথা' প্রবন্ধে আলােচিত হয়েছে — বাংলা ভাষার উৎপত্তি সম্পর্কে।
১৭. বাংলা ভাষার জন্মকথা প্রবন্ধটি — ভাষার উৎপত্তি বিষয়ক ।
১৮. সাধারণ মানুষ কথা বলত— প্রাকৃত ভাষায় ।
১৯. প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা— ইন্দো-ইউরােপীয় ভাষাবংশের একটি শাখা।
২০. ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ মতে গৌড়ী প্রাকৃতের পরিবর্তিত রূপ— গৌড়ী অপ্রভ্রংশ।
২১. সংস্কৃত ভাষায় রচিত দুই চরণের কবিতাকে বলে — শ্লোক।
২২. যা সহজে বােঝা যায় না— দুর্বোধ্য।
২৩. বিধিবদ্ধ বলতে বােঝায়— নিয়ম দ্বারা শাসিত।
২৪. ‘ঘনিষ্ঠ’ শব্দের অর্থ – নিকট
২৫. উদ্ভূত’ শব্দের অর্থ— উৎপন্ন ।
২৬. হুমায়ুন আজাদ জন্মগ্রহণ করেন — ১৯৪৭ সালে ।
২৭. হুমায়ুন আজাদের জন্মস্থান— মুন্সীগঞ্জ জেলার রাড়িখাল গ্রামে।
২৮. হুমায়ুন আজাদ অধ্যাপনা করেন — ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে।
২৯. ‘লালনীল দীপাবলি” লিখেছেন — হুমায়ুন আজাদ।
৩০. হুমায়ুন আজাদ মৃত্যুবরণ করেন — ২০০৪ সালে জার্মানির মিউনিখে।
অনুধাবনমূলক প্রশ্নঃ-
১) একদল লোক বাংলাকে 'সংস্কৃতের মেয়ে' মনে করত কেন?
২) কীভাবে একটি নতুন ভাষার জন্ম হয়?
৩) বাংলা ভাষার উৎপত্তি সম্পর্কে দুজন পণ্ডিতের মতামত তুলে ধরো।
৪) ইন্দো-ইয়োরোপীয় ভাষা বলতে কী বুঝ?
৫) ভাষার ধর্মই হচ্ছে বদলে যাওয়া '- উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
নমুনা সৃজনশীল প্রশ্নঃ
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃপারিশা অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। একদিন বাংলা ব্যাকরণে ভাষার বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য পড়ার সময় দুটি বৈশিষ্ট্যের দিকে ওর নজর আটকে গেল। বৈশিষ্ট্য দুটি হলো—(ক) ভাষা যত কঠিন শব্দ দিয়েই শুরু হোক না কেন, ক্রমান্বয়ে ব্যবহারের ফলে তা সহজ ও সরল হয়ে ওঠে। যেমন—চক্র>চক্ক>চাকা, চর্মকার>চম্মআর>চামার, হস্ত>হন্থ>হাত ইত্যাদি। এই শব্দগুলো একসময় এ রকম সরলীকরণ হতে হতে একটি নতুন ভাষার উদ্ভব হয়।
(খ) কালের পরিক্রমায় একটি ভাষা স্থানিক ও কালিক বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য ধারণ করে বহুরূপী হয়ে ওঠে। যেমন—ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাবংশ থেকে সারা পৃথিবীতে বর্তমানে প্রায় সাড়ে তিন হাজারের মতো ভাষা ছড়িয়ে পড়েছে। পারিশা ভাবতে থাকে।
ক. ‘বাংলা ভাষার জন্ম কথা’ প্রবন্ধটি হুমায়ুন আজাদের কোন গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?
খ. আরেক দল বাংলাকে ‘সংস্কৃতের মেয়ে’ বলে স্বীকার করত না কেন?
গ) অনুচ্ছেদের ক-নম্বর বৈশিষ্ট্যটির মধ্য দিয়ে ‘বাংলা ভাষার জন্ম কথা’ প্রবন্ধের কোন দিকটি প্রকাশ পেয়েছে?
ঘ) পারিশার পঠিত খ-নম্বর বৈশিষ্ট্যটি ‘বাংলা ভাষার জন্মকথা’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ করো।
No comments:
Post a Comment