ডিজিটাল সাক্ষ্য হচ্ছে, সে সব সাক্ষ্য যা ডাটা, ফটোগ্রাফ, অডিও, ভিডিও, ডিভিডি, মেমরি কার্ড, হার্ডডিস্ক, ই-মেইল, টেলিগ্রাম, টেলেস্ক, চিপস ইত্যাদি ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসে সংরক্ষিত থাকে।
বাংলাদেশের সাক্ষ্য আইন ১৮৭২ ডিজিটাল সাক্ষ্য ব্যবহার নিয়ে কোন সুনির্দিষ্ট কিছু বলেনি, বলার কথাওনা কারন ১৮৭২ সালে ডিজিটাল সাক্ষ্যের উপস্থিতিও ছিলোনা। তবে ফৌজদারি (ধারা ৫৬১-এ) এবং দেওয়ানি কার্যবিধি (ধারা ১৫১) অনুসারে, ন্যায়বিচারের স্বার্থে সেখানে বিচারিক ব্যাখ্যার (জুডিশিয়াল ইন্টারপ্রিটেশন) সুযোগ রেখেছে।
বহুল আলোচিত খাদিজা হত্যা, বিশ্বজিত হত্যা এবং রিফাত হত্যাকাণ্ডের বিচারকালে বিচারক অডিও-ভিডিওকে সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করতে পারবে কি না তা গুরুত্বপূর্ণ আইনগত প্রশ্ন হিসেবে দেখা দেয়। এই ধরনের নতুন সমস্যায় জুডিশিয়াল ইন্টারপ্রিটেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি অপরাধ ও হত্যাকাণ্ড সংঘটনের সময় প্রত্যক্ষদর্শীর দ্বারা ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউবসহ অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশ ও ভাইরাল হয়েছে। আবার কিছু ক্ষেত্রে অপরাধ সংঘটনের অভিপ্রায় বা প্রচেষ্টার অডিও-রেকর্ড একইভাবে প্রকাশ ও ভাইরাল হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত কোন না কোন ঘটনা ভাইরাল হচ্ছে। এসব ইলেকট্রনিক রেকর্ড আদালতে অন্যতম নির্ভরযোগ্য দালিলিক সাক্ষ্য হিসেবে ব্যবহারের আইনের প্রায়োগিক ও প্রক্রিয়াগত সুযোগ নিয়ে বর্তমানে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে।
ডিজিটাল সাক্ষ্য সম্পর্কিত বিধান ইতোমধ্যে যেসকল আইনসমূহে আনা হয়েছেঃ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন,২০১৮ (ধারা ৫৮), মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন,২০১২ (ধারা ৩০), আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ(দ্রুত বিচার)আইন,২০০২ (ধারা ১৪)।
No comments:
Post a Comment