Ad-1

Wednesday, January 1, 2025

ব্যাকরণিক শব্দ শ্রেণি

 ১. ব্যাকরণিক শব্দ শ্রেণি বলতে কী বো? উদাহরণসহ প্রকারভেদ আলোচনা করো

উত্তর : ব্যাকরণগত অবস্থানের ভিত্তিতে বাংলা ভাষার শব্দসমূহকে যে কয় ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে তাদের ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি বলে।

অথবা

ব্যাকরণগত চরিত্র ও ভূমিকা অনুযায়ী বাংলা ভাষার শব্দসমূহকে যে কয়ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে, তাকেই ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি বলে।

ব্যাকরণিক শব্দ মোট আট প্রকার । যেমন
১. বিশেষ্য :
 যে শব্দশ্রেণি দ্বারা কোনাে ব্যক্তি, জাতি, সমষ্টি, বস্তু,স্থান, কাল, ভাব, কর্ম বা গুণের নাম বোঝায় তাকে বিশেষ্য বলে।যেমন- থালা, বাটি, ঢাকা ইত্যাদি।
২. সর্বনাম :
 বিশেষ্যের পরিবর্তে যে শব্দ ব্যবহৃত হয় তাকে সর্বনাম বলে। সর্বনাম সাধারণত ইতপূর্বে ব্যবহৃত বিশেষ্যের প্রতিনিধি স্থানীয় শব্দ হিসেবে কাজ করে। যেমন- অবনি অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। সে নিয়মিত স্কুলে যায়।
৩. বিশেষণ :
 যে শব্দশ্রেণি দ্বারা বিশেষ্য, সর্বনাম ও ক্রিয়ার দোষ,গুণ, অবস্থা, সংখ্যা, পরিমাণ ইত্যাদি প্রকাশ পায় তাকে বিশেষণ বলে। যেমন নীল পরী ।
৪. ক্রিয়া :
 যে শব্দশ্রেণি দ্বারা কোনাে কিছু করা, থাকা, হওয়া, ঘটা ইত্যাদি বােঝায় তাকে ক্রিয়া বলে। যেমন- নিজাম কাঁদছে।
৫. ক্রিয়া বিশেষণ :
 যে শব্দ বাক্যের ক্রিয়াকে বিশেষিত করে তাকে ক্রিয়াবিশেষণ বলে। যেমন- বাসটি দ্রুত চলতে শুরু করল।
৬.
 যোজক : যে শব্দ একটি বাক্যাংশের সাথে অন্য একটি বাক্যাংশ অথবা বাক্যস্থিত একটি শব্দের সঙ্গে অন্য একটি শব্দের সংযোজন, বিয়োজন বা সংকোচন ঘটায় তাকে যোজক বলে। যেমন- তুমি খাবে আর আবির পড়বে।
৭. অনুসর্গ :
 যে শব্দ কখনো স্বাধীনরূপে আবার কখনো শব্দ বিভক্তির ন্যায় বাক্যে ব্যবহৃত হয়ে বাক্যের অর্থ প্রকাশে সাহায্য করে তাকে অনুসর্গ বলে। যেমন- ওকে দিয়ে এ কাজ হবে না।
৮. আবেগ শব্দ :
 যে শব্দ মনের বিশেষ ভাব বা আবেগ প্রকাশে সহায়তা করে তাকে আবেগ শব্দ বলে। যেমন- বাহ! সে তো আজ ভালোই খেলছে।

 

২. ক্রিয়াপদ কাকে বলে?উহা কত প্রকার ও কি কি? বিস্তারিত আলোচনা কর

উত্তর: ধাতুর সঙ্গে বিভক্তির যুক্ত হয়ে যে পদ গঠিত হয়,তাকে ক্রিয়াপদ বলে।
ভাব প্রকাশের দিক থেকে
 ক্রিয়া দুই প্রকার। যথা:
  ১. সমাপিকা ক্রিয়া
  ২. অসমাপিকা ক্রিয়া।
*সমাপিকা ক্রিয়া:
যে ক্রিয়া সম্পূর্ণ মনের ভাব প্রকাশ করে,
 তাকে সমাপিকা ক্রিয়া বলে।সমাপিকা ক্রিয়াকে ইংরেজিতে Finite Verb বলে।যেমন: করিম স্কুলে যায়।
*অসমাপিকা ক্রিয়া:
যে ক্রিয়া সম্পূর্ণ মনের ভাব প্রকাশ করে না,তাকে অসমাপিকা ক্রিয়া বলে।অসমাপিকা ক্রিয়াকে ইংরেজিতে
 Non-Finite Verb বলে।যেমন: করিম স্কুলে গিয়ে.....এখানে গিয়ে হলো অসমাপিকা ক্রিয়া।


৩. কর্মের ভিত্তিতে ক্রিয়া কত প্রকার ও কি কি?
 উদাহরণসহ লেখো।
উত্তরঃ ক্রিয়ার কর্মপদ থাকা না থাকার ভিত্তিতে তিন প্রকার।যথাঃ-

১. সকর্মক ক্রিয়া
২. অকর্মক ক্রিয়া
৩. দ্বিকর্মক ক্রিয়া
১. সকর্মক ক্রিয়া :
যে ক্রিয়ার কর্ম থাকে,
 তাকে সকর্মক ক্রিয়া বলে।কর্ম আছে কি নাকি নেই? সেটা বুঝব ক্রিয়াকে 'কি' বা 'কাকে'- দিয়ে প্রশ্ন করে উত্তর পেলে বুঝব কর্ম আছে।যেমন: রহিম বই পড়ে।
২. অকর্মক ক্রিয়া:
যে ক্রিয়ার কর্ম নেই,তাকে অকর্মক ক্রিয়া বলে।
 যেমন: সে হাঁসে।
৩. দ্বিকর্মক ক্রিয়া :
     যে ক্রিয়ার দুটি কর্ম থাকে, তাকে দ্বিকর্মক ক্রিয়া বলে।যেমন: সে আমাকে একটি গোলাপ দিল।
এখানে আমাকে ও গোলাপ দুটো কর্ম।

৪.
 গঠন অনুসারে ক্রিয়া কত প্রকার ও কি কি? উদাহরণসহ লেখো।
উত্তরঃ
গঠন অনুসারে ক্রিয়া পাঁচ প্রকার।যথাঃ

১. সরল ক্রিয়া
২. প্রযোজক ক্রিয়া
৩. নাম ক্রিয়া
৪. সংযোগ ক্রিয়া
৫. যৌগিক ক্রিয়া

৪.প্রযোজক ক্রিয়া:
    যে ক্রিয়া দ্বারা অন্যকে দিয়ে কাজ করানো বুঝায়, তাকে প্রযোজক ক্রিয়া বলে।যেমন:
 মা শিশুকে চাঁদ দেখায়।
৫. যৌগিক ক্রিয়া:
   কোন বাক্যে যদি সমাপিকা ও অসমাপিকা ক্রিয়া একসঙ্গে থাকে, তাকে যৌগিক ক্রিয়া বলে।যেমন: আমাকে ট্রেন ধরতে হবে।এখানে ধরতে

৫. যোজক শব্দ কাকে বলে? যোজক শব্দের শ্রেণিবিভাগ উদাহরণসহ আলোচনা করো।

উত্তর : যে শব্দ একটি বাক্য বা বাক্যাংশের সঙ্গে অন্য একটি বাক্য বা বাক্যাংশের কিংবা বাক্যস্থিত একটি শব্দের সঙ্গে অন্য শব্দের সংযোজন, বিয়োজন বা সংকোচন ঘটায় তাকে যোজক বলে। যেমন
আমি গান গাইব আর তুমি নাচবে।
অর্থ এবং সংযোজনের ধরন ও বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী
 যোজক শব্দ পাঁচ প্রকার। এগুলো নিম্নরূপ-
ক. সাধারণ
 যোজক : যে যোজক দ্বারা একাধিক শব্দ, বাক্য বা বাক্যাংশকে সংযুক্ত করা যায় তাকে সাধারণ যোজক বলে। যেমন আমি ও আমার বাবা বাজারে এসেছি।
খ. বৈকল্পিক
 যোজক : যে যোজক দ্বারা একাধিক শব্দ, বাক্য বা বাক্যাংশের মধ্যে বিকল্প বােঝায় তাকে বৈকল্পিক যোজক বলে । যেমন তুমি বা তোমার বন্ধু যে কেউ এলেই হবে।
গ. বিরোধমূলক
 যোজক : এ ধরনের যোজক দুটি বাক্যের সংযোগ ঘটিয়ে দ্বিতীয়টি দ্বারা প্রথমটির বিরোধ নির্দেশ করে। যেমন- আমি চিঠি দিয়েছি কিন্তু উত্তর পাইনি।
ঘ. কারণবাচক
 যোজক : এ ধরনের যোজক এমন দুটি বাক্যের মধ্যে সংযোগ ঘটায় যার একটি অন্যটির কারণ। যেমন-আমি যাইনি, কারণ তুমি দাওয়াত দাওনি।
,
 সাপেক্ষ যোজক: পরস্পর নির্ভরশীল যে যোজকগুলো একে অন্যের পরিপূরক হিসেবে বাক্যে ব্যবহৃত হয় তাদের সাপেক্ষ যোজক বলে। যেমন- যদি টাকা দাও তবে কাজ হবে।

উত্তর:

বিশেষণ : যে পদ বিশেষ্য, সর্বনাম ও ক্রিয়াপদের দোষ, গুণ, অবস্থা, সংখ্যা, পরিমাণ ইত্যাদি প্রকাশ করে, তাকে বিশেষণ পদ বলে।

চলন্ত গাড়ি : বিশেষ্যের বিশেষণ।
করুণাময় তুমি : সর্বনামের বিশেষণ।
দ্রুত চল: ক্রিয়া বিশেষণ।

বিশেষণ দুই ভাগে বিভক্ত। যথা—১. নাম বিশেষণ ও ২. ভাব বিশেষণ।

নাম বিশেষণ: যে বিশেষণ পদ কোনো বিশেষ্য বা সর্বনাম পদকে বিশেষিত করে, তাকে নাম বিশেষণ বলে। যথা

বিশেষ্যের বিশেষণ : সুস্থ সবল দেহকে কে না ভালোবাসে?
সর্বনামের বিশেষণ : সে রূপবান ও গুণবান

নাম বিশেষণের প্রকারভেদ

ক. রূপবাচক: নীল আকাশ, সবুজ মাঠ, কালো মেঘ।
খ. গুণবাচক : চৌকস লোক, দক্ষ কারিগর, ঠাণ্ডা হাওয়া।
গ. অবস্থাবাচক: তাজা মাছ, রোগা ছেলে, খোঁড়া পা।
ঘ. সংখ্যাবাচক: হাজার লোক, দশ দশা, শ টাকা।
ঙ. ক্রমবাচক: দশম শ্রেণি, সত্তর পৃষ্ঠা, প্রথমা কন্যা।
চ. পরিমাণবাচক: বিঘাটেক জমি, পাঁচ শতাংশ ভূমি, হাজার টনী জাহাজ, এক কেজি চাল, দু কিলোমিটার রাস্তা।
ছ. অংশবাচকঃ অর্ধেক সম্পত্তি, ষোল আনা দখল, সিকি পথ।
জ. উপাদানবাচক: বেলে মাটি, মেটে কলসি, পাথুরে মূর্তি।
ঝ. প্রশ্নবাচক: কতদূর পথ? কেমন অবস্থা?
ঞ. নির্দিষ্টতাজ্ঞাপক : এই লোক, সেই ছেলে, ছাব্বিশে মার্চ।

ভাব বিশেষণ: যে পদ বিশেষ্য ও সর্বনাম ভিন্ন অন্য পদকে বিশেষিত করে তা-ই ভাব বিশেষণ। ভাব বিশেষণ দুই প্রকার :

১. ক্রিয়া বিশেষণের বিশেষণ
২. বিশেষণের বিশেষণ বা বিশেষণীয় বিশেষণ

১. ক্রিয়া বিশেষণের বিশেষণ: ক্রিয়া বিশেষণকে বিশেষিত করে।যেমনঃ খুব তাড়াতাড়ি যাও।গাড়িটা বেশ জোরে চলছে। 

২. বিশেষণের বিশেষণ: সবরকম বিশেষণ পদকে বিশেষিত করে। যথাঃ খুুব ভালো ছেলে।

★বাক্যে অবস্থান অনুযায়ী বিশেষণ দুই প্রকার।যথাঃ
১. সাক্ষাৎ বিশেষণ বা উদ্দেশ্যের বিশেষণঃসাক্ষাৎ বিশেষণ বা উদ্দেশ্যের বিশেষণ বিশেষিত পদ বা বিশেষ্যের আগে বসে।যেমনঃ গভীর সমুদ্র। হলুদ শাড়ি।ঘোলা পানি।

২. বিধেয় বিশেষণঃ বিধেয় বিশেষণ বাক্যের বিধেয় অংশে বসে।যেমনঃ ছেলেটি শান্ত। এ পুকুরের পানি স্বচ্ছ। মেয়েটি অসুস্থ। 

Thursday, December 26, 2024

মডেল টেস্ট -০১

 ১.বাক্যে ক্রিয়ার সঙ্গে কোন পদের সম্পর্ককে কারক বলে?

ক) বিশেষ্য ও বিশেষণ  খ) বিশেষ্য ও সর্বনাম   গ) বিশেষ্য ও অনুসর্গ  ঘ) বিশেষণ ও আবেগ

২. 'জমি থেকে ফসল পাই' – বাক্যটিতে 'জমি থেকে' কোন কারক?

ক) করণ খ) অপাদান  গ)কর্ম ঘ) অধিকরণ

৩. 'বাড়ি থেকে নদী দেখা যায়' - বাক্যে 'বাড়ি' কোন কা রক?

ক) অপাদান খ) অধিকরণ গ) কর্ম ঘ) করণ

8. বাচ্য বলতে বোঝায় -

ক) বাক্যের অর্থ খ) বাক্যের প্রকাশভঙ্গি গ) বাক্যের ভাব ঘ) বাক্যের প্রয়োগ

৫. ক্রিয়াপদের ভূমিকা বদলে গেলে বাক্যের কোনটি আলাদা হয়ে যায়?

ক) প্রকাশভঙ্গি খ) যোগ্যতা গ) সর্বনাম ঘ) সবগুলো

৬. 'আমাকে পড়তে হচ্ছে' – বাক্যটি কোন বাচ্য?

ক) কর্তাবাচ্য খ) ভাববাচ্য গ) কর্মবাচ্য ঘ) কর্মকর্তাবাচ্য

৭. প্রত্যক্ষ উক্তিতে কোন যতিচিহ্ন দিয়ে উক্তিকে আবদ্ধ করা হয়?

ক) সেমিকোলন খ) ড্যাশ গ) কোলন ঘ) উদ্ধরণচিহ্ন

৮. পরোক্ষ উক্তিতে ক্রিয়ারূপের পরিবর্তন হয় কী অনুযায়ী?

ক) কর্তা   খ) উদ্দেশ্য গ) কর্ম   ঘ) বিধেয়

৯. তিনি বললেন যে, বইটা তার দরকার। - বাক্যটি কীসের উদাহরণ?

ক) প্রত্যক্ষ উক্তির খ) কর্তৃবাচ্যের গ) কর্মবাচ্যের ঘ) পরোক্ষ উক্তির

১০. শব্দসংক্ষেপ ও ক্রম নির্দেশ করতে কোন যতিচিহ্ন ব্যবহৃত হয়?

ক) বিন্দু খ)  বিকল্পচিহ্ন গ) ত্ৰিবিন্দু ঘ) কোলন

১১. কোন যতিচিহ্নে ১ বলার দ্বিগুণ সময় থামতে হয়?

ক) দাঁড়ি খ) জিজ্ঞাসা গ) বিস্ময় ঘ) সেমিকোলন

১২. নিচের কোনটিতে থামার প্রয়োজন নেই?

ক) ড্যাশ খ) কোলন গ) হাইফেন ঘ) কমা

১৩. বাচ্যার্থ শব্দের কোন ধরনের অর্থ প্রকাশ করে?

ক) মুখ্য খ) প্রত্যক্ষ গ) গৌণ ঘ) পরোক্ষ

১৪. 'মৃগয়া' শব্দের দ্বারা হরিণ বোঝালে অর্থের কী ধরনের পরিবর্তন হয়?

ক) অর্থপ্রসার খ) অর্থ-বদল গ) অর্থসংকোচ ঘ) অর্থের উন্নতি

১৫. কী প্রয়োগের মাধ্যমে ভাষা প্রাণবন্ত ও বাক্য অধিক ব্যঞ্জনা সৃষ্টি করতে

পারে?

ক)  বাগধারা খ) ) কারক গ) প্রত্যয় ঘ) সমাস

১৬. ' কার্যে বিরতি' অর্থে কোন বাগধারাটি প্রযোজ্য?

ক) হাত করা খ) হাত গুটান গ) হাত থাকা ঘ) হাত আসা

১৭. 'উভয় সংকট'-এর সমার্থক বাগ্‌ধারা কোনটি?

ক) শাপে বর খ) খণ্ড প্রলয় গ) শাঁখের করাত ঘ) গোঁফ খেজুরে

১৮. পৃথিবী' শব্দের সঠিক প্রতিশব্দ কোনটি?

ক) অবনী  খ) জননী গ) জীবন ঘ) নীর

১৯.'সাপ' শব্দের সমার্থক শব্দ কোনটি?

ক) অর্ণব খ) গজ গ) অহি ঘ) সুর

২০. বিপরীত শব্দ একে অন্যের কী?

ক) সমার্থক খ) পরিপূরক গ) ভিন্নার্থক ঘ) সদার্থক

২১. আবির্ভাব'-এর বিপরীত শব্দ কোনটি?

ক) অভাব খ) তিরোভাব গ) স্বভাব ঘ) অনুভব

২২. শব্দজোড়ে শব্দের অর্থের পার্থক্য বোঝা যায় কীভাবে?

ক) প্রসঙ্গ বিবেচনায় খ) স্থান বিবেচনায় গ) সমাজ বিবেচনায় ঘ) কাল বিবেচনায়

২৩. আবরণ' অর্থে নিচের কোন শব্দটি প্রযোজ্য?

ক) আবৃত্তি খ) গুণ্ঠন গ)বৃত্তি ঘ) আবৃতি

২৪. কোন কারকে মূল ক্রিয়ার স্থান, সময় ইত্যাদি বোঝায়?

ক) অপাদান খ)  সম্বন্ধ গ) অধিকরণ ঘ)  কর্ম

২৫. পুকুরে মাছ আছে' – ‘পুকুরে' কোন প্রকার অধিকরণ কারক?

ক) ঐকদেশিক খ) বৈষয়িক গ) অভিব্যাপক ঘ) ভাবাধিকরণ

২৬. আমার যাওয়া হবে না এটি কোন বাচ্য?

ক) কর্তাবাচ্য খ) কর্মবাচ্য গ) ভাববাচ্য ঘ) গৌণবাচ্য

২৭. বক্তার প্রত্যক্ষ উক্তিকে কোন চিহ্নের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে?

ক) সম্বোধন খ) ইলেক গ) উদ্ধরণ ঘ) বন্ধনী

২৮. একটি শব্দের পূর্ববর্তী অর্থের ব্যাপ্তি কমলে বলা যায়

ক) অর্থ প্রসার খ) অর্থ বদল গ) অর্থসংকোচ ঘ) অর্থ রূপান্তর

২৯. দৃঢ় সংকল্প' অর্থ কোন বাগধারার মধ্যে রয়েছে?

ক) একচোখা খ) এক কথার মানুষ গ) উড়নচণ্ডী ঘ) কংস মামা

৩০. নিচের কোন বাগধারাটির অর্থে ভিন্নতা রয়েছে?

ক) অহিনকুল সম্বন্ধ খ) আদায় কাঁচকলায় গ) অক্কা পাওয়া ঘ) দা-কুমড়া

 

Sunday, December 22, 2024

৯ (নয়) ধরণের জমি কিনতে যাবেন না



বর্তমানে জমির দাম অনেক বেশি এবং দিন দিন তা হু হু করে বাড়ছে। অনেকেই স্বপ্ন লালন করেন নিজের একটি জমি হবে। কিন্তু আবাসযোগ্য ভালো জমির পরিমাণ অনেক কম এবং পাওয়াও কঠিন।

এজন্য বিভিন্ন প্রতারক চক্র ” ভালো জমি” বিক্রির লোভ দেখান। সহজ সরল মানুষ একটি ভালো জমির মালিক হবার জন্য দ্রুত টাকা পরিশোধ করে রেজিস্ট্রি করে নেন। কিন্তু দখল করতে গিয়ে দেখেন জমিটি ঝামেলাপূর্ণ। এজন্য জমি কেনার আগে জানা উচিত কোন জমিগুলো একদমই কেনা উচিত নয়।

একটা ভালো জমি যেমন আপনার সারা জীবনের একটা সম্বল হতে পারে। ঠিক তেমনি, ভুল জমি ক্রয় আপনার সারা জীবনের কান্নার কারণ হতে পারে।

আসুন জেনে নেই, কোন্ জমিগুলো ভুলেও কেনা উচিত নয়-


১. খাস জমিঃ

জমি কেনার সময় খোজ নিয়ে দেখবে যেন সেটি খাস জমি না হয়। যে জমিগুলো সরাসরি সরকারের মালিকানাধীন থাকে সেগুলোকে খাস জমি বলা হয়। অনেক সময় অনেক প্রতারক জাল দলিল তৈরি করে “খাস জমি” বিক্রি করা হয়।

আইনে বলা আছে, কোনো জমি যদি সরকারের হাতে ন্যস্ত থাকে ও সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন থাকে সেইগুলোই খাস জমি। সরকার এ জমিগুলো বন্দোবস্ত দিতে পারেন। সাধারণত ভূমিহীন ব্যক্তিরা সরকারীভাবে খাস জমি পায়। এজন্য জমি কিনার পূর্বে ভুমি অফিসে খোঁজ নিয়ে দেখুন যে জমিটি খাস জমি কিনা?


২. অর্পিত সম্পত্তিঃ

অনেক হিন্দু নাগরিক তাদের জমি-জমা পরিত্যাগ করে ভারতে চলে গেছেন এবং সেখানে নাগরিকত্ব লাভ করে বসবাস করেছেন। তাদের অনেকের ভূমি অর্পিত ও অনাবাসী সম্পত্তি (Vested and Non-Resident Property) হিসেবে সরকারের তালিকাভুক্ত হয়েছে এবং এগুলো সরকারের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।

এসকল জমি সরকার ছাড়া অন্য কেও ক্রয় বিক্রয় করতে পারে না। এজন্য, যেকোন জমি ক্রয়ের আগে খোঁজ নিন এগুলো সরকারের তালিকাভুক্ত অর্পিত জমি কিনা?


৩. অধিগ্রহণকৃত জমি বা এরূপ সম্ভাবনার জমিঃ

রাষ্ট্র বা সরকার দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড যেমন শিল্প কারখানা, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, রেলপথ, সড়ক বা সেতুর প্রবেশ পথ বা এ জাতীয় অন্য কিছুর জন্য জনগণের কোন ভূমি যদি দখল করে নেয় তাকে বলে “অধিগ্রহণ”। সরকার দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে যে কারো জমি অধিগ্রহণ করতে পারে।

অনেকেই সরকারের অধিগ্রহণকৃত জমি প্রতারণা করে বিক্রি করে। এজন্য, জমি ক্রয়ের পূর্বে ভূমি অফিসে খোঁজ নিয়ে জেনে নিন জমিটি সরকারের অধিগ্রহণকৃত জমি কিনা বা ভবিষ্যতে অধিগ্রহণ করার সম্ভবনা আছে কিনা?


৪. যাতায়াতের রাস্তা নেই এরূপ জমিঃ

যে জমিটি ক্রয় করবেন সেটির মৌজা ম্যাপ যাচাই করে বা সশরীরে উপস্থিত হয়ে খোঁজ নিন যে জমিটিতে যাতায়াতের রাস্তা আছে কিনা। যে জমিতে যাতায়াতের ব্যবস্থা নেই এমন জমি ভুলেও কিনবেন না?


৪. ইতোমধ্যে অন্যত্র বিক্রয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ কিনাঃ

অনেক বিক্রেতা একই জমি কয়েকজনের কাছে বিক্রি করেন। ফলে, আসল বিক্রেতার কাছ থেকে ক্রয় করার পরও জমির প্রকৃত মালিক হওয়া যায় না।

এজন্য জমি ক্রয় এর পূর্বে খোঁজ নিন বিক্রেতা পূর্বে অন্য কারো কাছে জমিটি বিক্রি করেছে কিনা বা বিক্রির জন্য বায়না চুক্তি করেছে কিনা।

সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে খোঁজ নিন এর পূর্বে জমি হস্তান্তর জনিত কোন দলিল রেজিস্ট্রি হয়েছে কিনা?


৫. বন্ধকীকৃত জমিঃ

অনেক সময় জমি বিভিন্ন ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠানে বন্ধক বা মর্টগেজ থাকে। এমন জমি কখনই ক্রয় করবেন না। কারণ বন্ধককৃত জমি ক্রয় – বিক্রয় সম্পূর্ণ বে-আইনী।


৬. কোন আদালতে মামলায় আবদ্ধ জমিঃ

অনেক সময় একই জমির মালিকানা নিয়ে আদালতে মামলা চলে। মামলা চলছে বা মামলা এখন নিষ্পত্তি হয়নি, এমন জমি কেনা উচিত নয়।


৭. বিরোধপূর্ণ জমিঃ

অনেক সময় ওয়ারিশসূত্রে জমির মালিক হলে ঠিকমত ওয়ারিশ সনদ বা বন্টননামা করা হয় না। এসব জমি নিয়ে ওয়ারিশদের মধ্যে বিরোধ চলে।

এসকল বিরোধপূর্ণ জমি কেনা কোনভাবেই উচিৎ নয়।

কৃষি জমি ক্রয়ের ক্ষেত্রে রেকর্ডীয় মালিকানায় অংশীদারগণ অগ্রক্রয়াধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। সুতরাং অংশীদারদের সম্মতি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।


৮. দখলহীন জমিঃ

যেকোন জমির মালিকানার জন্য প্রয়োজন দলিল ও দখল। একটি ছাড়া অন্যটি অসম্পূর্ণ। এজন্য যিনি জমি বিক্রি করছেন জমিটি তার দখলে আছে কিনা জেনে নিন।

যদি দখলে না থাকে তবে এমন জমি ক্রয় করা থেকে বিরত থাকুন। দখলহীন মালিকদের জমি ক্রয় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এতে জমি দখলের জন্য ঝগড়া, দাঙ্গা ফ্যাসাদ এবং মামলা মোকদ্দমায় জড়িত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।


৯. নাবালকের নামে জমিঃ

জমি যদি নাবালকের নামে থাকে, তবে সে জমি আদালত কর্তৃক নিযুক্ত অভিভাবক ছাড়া বিক্রি করা যায় না। সাধারনত ১৮ বছরের নিচে ব্যক্তিকে নাবালক বলা হয়।

এজন্য, অনেকেই এমন জমি কিনে যা ওয়ারিশসূত্রে কোন নাবালকের অংশ আছে। কিন্তু, নাবালক বড় হয়ে মামলা করলে জমিটি হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। এজন্য, এ ধরনের জমি কেনার ক্ষেত্রে সতর্ক হোন।

Recent Post

সুভা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর   জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ১. সুভার বাবার নাম কি? ২. সুভা কোথায় বসে থাকত? ৩. সুভা জলকুমারী হলে কী করত? ৪. সুভার গ্রামের নাম কী? ৫...

Most Popular Post