Ad-1

Thursday, January 2, 2025

বাংলা উচ্চারণের নিয়ম

১. অ-ধ্বনির সংবৃত উচ্চারণের নিয়ম লেখো পাঁচটি।

উত্তর:

অ-ধ্বনির সংবৃত উচ্চারণের নিয়ম নিম্নরুপ।যথা:
১. ''অথবা নিহিত ''-ধ্বনির পর ই-কার বা উ-কার হলে, তবে অ-ধ্বনির উচ্চারণ সংবৃত হয়।যথা: অলি>ওলি,কবিতা>কোবিতা,বধু>বোধু ইত্যাদি।
২.''অথবা নিহিত ''-ধ্বনির পর ঋ-কার হলে,তবে অ-ধ্বনির উচ্চারণ সংবৃত হয়।যথা:কর্তৃপক্ষ>কোর্তৃপকখো ইত্যাদি।
৩. ''অথবা নিহিত ''-ধ্বনির সঙ্গে র-ফলা হলে, তবে অ-ধ্বনির উচ্চারণ সংবৃত হয়।যথা:প্রমা>প্রোমা,প্রশ্ন>প্রোসনো ইত্যাদি।
৪.''অথবা নিহিত ''-ধ্বনির পর য-ফলা হলে, তবে অ-ধ্বনির উচ্চারণ সংবৃত হয়।যথা:অদ্য>ওদদো,পদ্য>পোদদো ইত্যাদি।
৫.''অথবা নিহিত ''-ধ্বনি পর 'জ্ঞ' বা 'ক্ষ' হলে, তবে অ-ধ্বনির উচ্চারণ সংবৃত হয়।যথা:বক্ষ>বোকখো ইত্যাদি।
***এক বাক্যে সহজে মনে রাখার উপায়:
'-বা নিহিত'' ধ্বনির পর ি/ু/ৃ/্র/্য/জ্ঞ/ক্ষ হলে, অ-ধ্বনির উচ্চারণ সংবৃত হয়।এবার এটাকে ভেঙ্গে পাঁচটা নিয়ম বের করো।
উল্লেখ্য: নিহিত ''- মানে ব্যঞ্জন ধ্বনির মধ্যে লুকায়িত '' - কে বুঝায়।যেমন: ন=ন্+অ,প=প্+অ ইত্যাদি।

 

২. অ-ধ্বনির বিবৃত উচ্চারণের নিয়ম লেখো পাঁচটি।

উত্তর 

'' ধ্বনির উচ্চারণ অ-এর মতো হলে তাকে অ-বিবৃত বা স্বাভাবিক উচ্চারণ বলে।অ-ধ্বনির বিবৃত উচ্চারণে ঠোঁট তেমন বাঁকা বা গোল হয় না।যেমন: কত,অমর,কলম।

''-ধ্বনির বিবৃত উচ্চারণের নিয়ম নিম্নরুপ:

১. অ এর নিজস্ব উচ্চারন স্বাভাবিক বা বিবৃত হয় ।যেমন: যেমন: জল, সরল, দখল,ইত্যাদি।
২. শব্দের দ্বিতীয় স্বর '','','' হলে আদ্য ''-এর উচ্চারণ স্বাভাবিক বা বিবৃত হয়।যেমন: বলা,বন্ধ,ধর্ম,অজ,কথা ইত্যাদি।
৩. ''অথবা 'সম' উপসর্গযুক্ত শব্দের আদি ''-ধ্বনি স্বাভাবিক বা বিবৃত হয়।যেমন: সস্ত্রীক, সহাস্য,সজীব,সংস্কৃত,সবিনয় ইত্যাদি।
৪. 'না' অর্থে শব্দের আদিতে '' বা 'অন' থাকলে আদ্য ''-ধ্বনি স্বাভাবিক বা বিবৃত হয়।যেমন:অমূল্য,অমৃত,অস্থির,অসীম,অধর্ম ইত্যাদি।
৫. ''-স্বরধ্বনি যুক্ত এক -'অক্ষর' শব্দের ''-এর উচ্চারণ স্বাভাবিক বা বিবৃত হয়।যেমন: রব,যম,জপ,নদ ইত্যাদি।

 

৩. অন্ত - '' ধ্বনির সংবৃত উচ্চারণের ৫টি নিয়ম লেখো।

উত্তর :

১। বংলা ভাষায় ব্যবহৃত বেশ কিছু দ্বিরুক্ত শব্দের অন্ত '' এর উচ্চারণ '' এর মত হয়।

        যেমন : বড় বড় >বড়ো বড়ো, কাঁদ কাঁদ >কাঁদো কাঁদো ইত্যাদি।
২। ১১ থেকে ১৮ পর্যন্ত সংখ্যাবাচক শব্দের শেষে '' এর উচ্চারণ '' এর মত হয়।যেমন: এগার>এগারো,বার>বারো,সতের>শতেরো ইত্যাদি।
৩। '' এবং 'ইত' প্রত্যয়যোগে গঠিত শব্দের শেষে '' এর উচ্চারণ '' এর মত হয়।যেমন: চলিত>চলিতো,জ্ঞাত>জ্ঞাতো ইত্যাদি।
৪। বিশেষ্য শব্দের শেষে '' থাকলে '' এর উচ্চারণ '' এর মত হয়।যেমন: দেহ >দেহো,বিবাহ >বিবাহো ইত্যাদি।
৫। 'তর' 'তম' প্রত্যয়যোগে গঠিত শব্দের শেষে '' এর উচ্চারণ '' এর মত হয়।যেমনঃ-দীর্ঘতর>দীর্ঘতরো, বৃহত্তর >বৃহততরো ইত্যাদি।
৬। দুই অক্ষর বিশিষ্ট কোন শব্দের শেষ বর্ণ ''- ধ্বনি থাকলে উক্ত ''- এর উচ্চারণ সংবৃত হয়।যেমন: কাল>কালো,মত>মতো, এত>এতো ইত্যাদি।
৭। শব্দের শেষ অক্ষর যুক্ত ব্যঞ্জন হলে, অন্ত -অ সংবৃত হয়।যেমনঃ- অভিজ্ঞ>ওভিগগো,নম্র>নমরো ইত্যাদি

 

৪. মধ্য-অধ্বনি উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখো।

উত্তর :

নিচে মধ্য-অ ধ্বনির পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ দেওয়া হলো

ক.  মধ্য ’-এর পরে বা ধ্বনি থাকলে সেই অ-এর উচ্চারণ সংবৃত বা ও-এর মতো হয়। যেমনকাকলি > কাকোলি, জলধি > জলোধি, সকরুণ > শকোরুন্।

খ.  মধ্য অ-এর পরের ধ্বনিতে ঋ-কার থাকলে সেই ও-রূপে উচ্চারিত হয়। যেমনলোকনৃত্য >  লোকোনৃতেতা, উপবৃত্ত  > উপোবৃতেতা।

গ.  মধ্য এর পরের ধ্বনিতে য-ফলা থাকলে সেই অ-এর উচ্চারণ এর মতো হয়। যেমনঅদম্য > অদোমেমা, অসহ্য > অশোজেঝা, অগম্য > অগোমেমা ইত্যাদি।

ঘ.  মধ্য এর পরে ক্ষ, জ্ঞ-এর দুটো যুক্ত ব্যঞ্জনের যেকোনো একটি থাকলে সেই ও-রূপে উচ্চারিত হয়। যেমনঅদক্ষ> অদোকেখা, অবজ্ঞা > অবোগ্গাঁ, বিশেষজ্ঞ >  বিশেশোগেগাঁ।

ঙ.  মধ্য অ-এর আগে অ, , , এই চারটি স্বরধ্বনির যেকোনোটি থাকলে সেই ও-রূপে উচ্চারিত হয়। যেমনকমল > কমোল্, কানন > কানোন্, বেতন > বেতোন্, ওজন > ওজোন্

 

৫. '- ধ্বনির স্বাভাবিক বা সংবৃত উচ্চারণের নিয়ম লেখো।

উত্তর:

'- ধ্বনির স্বাভাবিক বা সংবৃত উচ্চারণের নিয়ম নিয়ম নিম্নরুপ.....
১. শব্দের গোড়ায় এ বা এ-কার থাকলে এবং তারপর অ / অা ছাড়া অন্য স্বরধ্বনি থাকলে এ-ধ্বনির স্বাভাবিক বা সংবৃত উচ্চারণ হয়।
যেমন:এতিম,বেলি,দেবী,নেতৃত্ব,মেরুদণ্ড ইত্যাদি।
২. শব্দের দ্বিতীয় অক্ষর বা সিলেবলে ই-ধ্বনি(ই/ঈ), উ-ধ্বনি (উ/ঊ)কিংবা ঋ-ফলা থাকলে এ- ধ্বনির উচ্চারণ সংবৃত বা স্বাভাবিক হয়।
যেমন:
এক [এ্যাক] কিন্তু একটি [একটি],একটু [একটু]
এমন [অ্যামন] কিন্তু এমনি [এমনি]
বেটা [ব্যাটা ] কিন্তু বেটি
নেড়া [ন্যাড়া ] কিন্তু নেড়ি
৩. একাক্ষর সর্বনাম শব্দের গোড়ায় থাকলে এ বা এ-কারের স্বাভাবিক বা সংবৃত উচ্চারণ হয়।
যেমন: কে,যে,সে,কেউ ইত্যাদি।
৪. একাক্ষর বা এক সিলেবলের শব্দের গোড়ায় এ বা এ-কারের পর র,,শ ধ্বনির হলন্ত উচ্চারণ হলে এ-ধ্বনির স্বাভাবিক বা সংবৃত উচ্চারণ হয়।
যেমন: শেষ,দেশ,বেল,তেল,কেশ ইত্যাদি।
৫. আদ্য যুক্তব্যঞ্জনে এ-কার থাকলে এ-ধ্বনির স্বাভাবিক উচ্চারণ হয়।
যেমন; শ্রেণি,প্রেরণ,স্নেহ,শ্বেত ইত্যাদি।

 

৬. ব-ফলা এর উচ্চারণের নিয়ম লেখো পাঁচটি।

উত্তর: 

১. শব্দের প্রথমে ব-ফলা থাকলে ব-ফলার উচ্চারণ হয় না।যেমন:ত্বক >তোক,স্বদেশ>শদেশ ইত্যাদি।

২. শব্দের মাঝখানে ব-ফলা থাকলে ব-ফলার উচ্চারণ হয় না,ব-ফলা এর যুক্ত ব্যঞ্জনটি দ্বিত্ব উচ্চারণ হয়। যেমন: বিশ্বাস>বিশশাস,অনুস্বার>ওনুশশার ইত্যাদি।

৩. শব্দের শেষে ব-ফলা থাকলে ব-ফলার উচ্চারণ হয় না,ব-ফলা এর যুক্ত ব্যঞ্জনটি দ্বিত্ব উচ্চারণ হয়।যেমন:বিশ্ব>বিশশো,বিদ্বান>বিদদান ইত্যাদি। 

 ৪. সন্ধির ফলে ত'-যদি ''- হয়ে যায়, তার সঙ্গে ব-ফলা হলে, ব-ফলা এর উচ্চারণ হয়। যেমন: উদ্বেল>উদবেল,(উৎ+বেল),উদ্বিগ্ন>উদবিগনো(উৎ+বিগ্ন) ইত্যাদি।

 ৫. সন্ধির ফলে ''-যদি ''- হয়ে যায়, তার সঙ্গে ব-ফলা হলে, ব-ফলা এর উচ্চারণ হয়। যেমন: দিগ্বিদিক >দিগবিদিক,দিগ্বিজয় >দিগবিজয় ইত্যাদি। 

 ৬. '' '' এর সঙ্গে ম-ফলা হলে ম-ফলা এর উচ্চারণ হয়। যেমন: সাব্বাস,লম্বা ইত্যাদি।।

 

৭. ম--ফলা এর উচ্চারণের নিয়ম লেখো পাঁচটি

উত্তর  

ম-ফলা এর উচ্চারণের নিয়ম নিম্নরুপ : 

১.শব্দের প্রথমে ম-ফলা থাকলে ম-ফলার উচ্চারণ হয় না। 

যেমন: স্মরণ>শোঁরণ,শ্মশান>শঁশান ইত্যাদি। 

২. শব্দের মাঝখানে ম-ফলা থাকলে ম-ফলার উচ্চারণ হয় না,বরং ম-ফলা যুক্ত ব্যঞ্জনটি দ্বিত্ব উচ্চারণ হয়। যেমন: বিষ্ময় >বিশশোঁয়, কস্মিনকাল > কশশিঁনকাল ইত্যাদি।

৩. শব্দের শেষে ম-ফলা থাকলে ম-ফলার উচ্চারণ হয় না,বরং ম-ফলা এর যুক্ত ব্যঞ্জনটি দ্বিত্ব উচ্চারণ হয়। যেমন: গ্রীষ্ম > গ্রিশশোঁ,পদ্ম> পদদো,আত্ম>আততো ইত্যাদি।

৪. ন,,,,,,ল- এ বর্ণগুলোর যে কোন বর্ণের সঙ্গে ম-ফলা যুক্ত হলে ম-ফলার উচ্চারণ হয়। 

যেমন: বাগ্মী >বাগমি,জন্ম>জনমো,মৃন্ময় >মৃনময় ইত্যাদি। 

৫. যুক্তব্যঞ্জনের সঙ্গে ম-ফলা যুক্ত হলে, ম-ফলার উচ্চারণ হয় না। যেমন: যক্ষ্মা>জোক্খা,লক্ষ্মণ>লকখোন ইত্যাদি।

 

 

বাংলা বানানের নিয়ম

১. বাংলা একাডেমি প্রণীত বাংলা বানানরীতি অনুসারে তৎসম শব্দের টি নিয়ম উদাহরণসহ লেখো
                                    উত্তর
 বাংলা একাডেমি প্রণীত বাংলা বানানরীতি অনুসারে তৎসম শব্দের টি নিয়ম হলো-
১. যেসব তৎসম শব্দে ই ঈ বা উ ঊ উভয়ই শুদ্ধ কেবল সেসব শব্দে ই বা উ এবং তার কারচিহ্ন
 ি,ু হবে।যেমন: কিংবদন্তি, চিৎকারতরণিশ্রেণি
২. রেফ - এর পরের ব্যঞ্জনবর্ণের দ্বিত্ব হবে না।

   যেমন: অর্জ্জনকর্ম্মকার্ত্তিককার্য্য ইত্যাদির পরিবর্তে যথাক্রমে অর্জনকর্মকার্তিক, কার্য ইত্যাদি হবে।
৩. শব্দের শেষে বিসর্গ থাকবে না।

     যেমন: কার্যত,ক্রমশ,প্রথমত,সাধারণত ইত্যাদি
৪. সন্ধির ক্ষেত্রে ক,,,ঘ পরে থাকলে পূর্বে পদের অন্তস্থিত ম্
 স্থানে অনুস্বার (ং) হবে।
      যেমন : অহম+ কার =অহংকার, সম+গীত= সংগীত, অলম+কার= অলংকার ইত্যাদি।
     শব্দটি সন্ধিবদ্ধ না হলে 'ঙ' হবে।
 যেমন: অঙ্কঅঙ্গআকাঙ্ক্ষাগঙ্গা ইত্যাদি।

৫. সংস্কৃত ইন - প্রত্যয়ান্ত শব্দ সমাসবদ্ধ হলে সংস্কৃত ব্যাকরণের নিয়মানুযায়ী সেগুলোতে হ্রস্ব-ই কার হয়।যেমন: গুণী গুণিজন,প্রাণী- প্রাণিবিদ্যা, মন্ত্রী - মন্ত্রিপরিষদ ইত্যাদি।

 

 ২. বাংলা একাডেমি প্রণীত প্রমিত বাংলা বানান অনুসারে অ-তৎসম শব্দের টি নিয়ম উদাহরণসহ লেখো।

                                                       উত্তর:
 বাংলা একাডেমি প্রণীত প্রমিত বাংলা বানান অনুসারে অ-তৎসম শব্দের টি নিয়ম হলো...
১. সকল অ-তৎসম শব্দ অর্থাৎ তদ্ভব, দেশি, বিদেশি
  শব্দে কেবল ই এবং উ এবং কার চিহ্ন ি,ু ব্যবহৃত হবে। যেমন: বর্ণালি, রেশমি, দাদি, সরকারি ইত্যাদি।
২. বস্তুবাচক শব্দ ও অপ্রাণিবাচক অ- তৎসম শব্দের শেষে ই-কার হবে।যেমন;বাড়ি, গাড়ি, পাখি ইত্যাদি।
৩. দেশ, জাতি,ও ভাষার নাম লিখতে সর্বদাই ই-কার হবে।যেমন: জার্মানি, জাপানী, নেপালি ইত্যাদি।
৪. বিদেশি শব্দের বানান বাংলায় লেখার সময় '' '' না হয়ে '' '' হবে
 যেমন: স্টেশন, গভর্নর, স্টুডিও ইত্যাদি।
৫. স্ত্রীবাচক শব্দের শেষে সর্বদাই ঈ-কার হবে।যেমন: যুবতী, মানবী, তরুণী ইত্যাদি।
৬. যে বর্ণের উপর রেফ থাকবে, সে বর্ণ দ্বিত্ব হবে না। যেমন: ধর্ম্মসভা>ধর্মসভা, পর্ব্বত > পর্বত ইত্যাদি।

 

৩. ণ-ত্ব বিধান কাকে বলে? ণ-ত্ব বিধানের নিয়মগগুলো লেখো।

উত্তরঃ

তৎসম শব্দে মূর্ধন্য-ণ এর ব্যবহারের নিয়মকে ণ-ত্ব বিধান বলে।নিম্নে এর পাঁচটি নিয়ম বর্ণনা দেওয়া হলো...
১. ঋ,,ষ এরপর মূর্ধন্য-ণ হয়। যেমন: ঋণ,রণ,ভীষণ ইত্যাদি।

২. ঋ-কার, রেফ,র-ফলা,ক্ষ এরপর মূর্ধন্য-ণ হয়।যেমন: তৃণ,বর্ণ,ভ্রুণ,ক্ষণ ইত্যাদি।

৩. ঋ,,ষ এরপর যদি স্বরধ্বনি,ক-বর্গ,প বর্গ,,,,,ং এর কোন ধ্বনি থাকে, তাহলে এরপর ধ্বনি দন্ত-ন এর পরিবর্তে মূর্ধন্য-ণ হয়। যেমন: কৃপণ,হরিণ,ব্রাহ্মণ,অর্পণ ইত্যাদি।

৪. যুক্তব্যঞ্জনে ট-বর্গের সঙ্গে মূর্ধন্য-ণ হয়। যেমন: ঘণ্টা,কণ্ঠ,ভণ্ড ইত্যাদি।

৫. রাম,নার,উত্তর,পর এরপর 'অয়ন'- শব্দ হলে 'অয়ন'-এর দন্ত- ন মূর্ধন্য-ণ হয়ে যাবে। যেমন: নারায়ণ, রামায়ণ, উত্তরায়ণ ইত্যাদি।

৬. কতগুলো শব্দে স্বভাবতই মূর্ধন্য-ণ হয়। যেমন:
        চাণক্য মাণিক্য গণ       বাণিজ্য লবণ মণ
                   বেণু বীণা কঙ্কণ কণিকা।
       কল্যাণ শোণিত মণি      স্থাণু গুণ পূণ্য বেণী,
                   ফণি অণু বিপণি গণিকা।
      আপণ লাবণ্য বাণী        নিপুণ ভণিতা পাণি
                  গৌণ কোণ বাণ পণ শাণ।
      চিক্কণ নিক্কণ তূণ            কফোণি বণিক গুণ
                     গণনা পিণাক পণ্য বাণ।


৪. ষ-ত্ব বিধান কাকে বলে?ষ-ত্ব বিধানের নিয়মগগুলো লেখো।

উত্তর;

তৎসম শব্দে মূর্ধন্য-ষ এর ব্যবহারের নিয়মকে ষ-ত্ব বিধান বলে।

ষ-ত্ব বিধানের নিয়মগুলো নিম্নরুপ:

১. ঋ, বা ঋ-কারের পর মূর্ধন্য-ষ হয়।যেমন: ঋষি, কৃষক, তৃষা ইত্যাদি।

২. অ,আ ছাড়া অন্য স্বরবর্ণের পর ও '' এবং '' পরে মূর্ধন্য-ষ হয়। যেমন:ঔষধ, উষা, নিকষ, উৎকর্ষ, ভীষণ, ভূষা ইত্যাদি।

৩. যুক্তব্যঞ্জনে ট, ঠ এর সঙ্গে মূর্ধন্য-ষ হয়। যেমন: কষ্ট, নষ্ট, অনুষ্ঠান, প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি।

৪. যে সকল উপসর্গের শেষে ই-কার বা উ-কার আছে সে সকল উপসর্গের পর দন্ত-স থাকলে তা মুর্ধন্য-ষ হয়। যেমন: প্রতি+সেধক=প্রতিষেধক, অভি+সেক=অভিষেক, সু+সম=সুষম ইত্যাদি।

৫. কতগুলো শব্দে স্বভাবতই মূর্ধন্য-ষ হয়। যেমন: আষাঢ়,চাষা,অভিলাষ,পাষাণ,ভাষা,ভাষণ ইত্যাদি।

[সহজে মনে রাখি: আষাঢ়ে চাষার অভিলাষ ছিল পাষাণ ভাষায় ভাষণ দেবে।]

 

Recent Post

সুভা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর   জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ১. সুভার বাবার নাম কি? ২. সুভা কোথায় বসে থাকত? ৩. সুভা জলকুমারী হলে কী করত? ৪. সুভার গ্রামের নাম কী? ৫...

Most Popular Post