Ad-1
Sunday, July 30, 2017
বঙ্গভূমির প্রতি, কবি মাইকেল মধুসূদন
মাইকেল মধুসূদন দত্ত(যশোর,১৮২৪-কলকাতা,১৮৭৩)
বিখ্যাত ও প্রথম সার্থক নাটক : শর্মিষ্ঠা।
বিখ্যাত মহাকাব্য : মেঘনাদ বধ কাব্য
বিশেষ অবদান: অমিত্রাক্ষর ছন্দ ও সনেট।
প্রহসন : ' একেই কি বলে সভ্যতা' ও 'বুড়ু শালিকের ঘাড়ে রো'
প্রথম ট্রাজেডি নাটক : কৃষ্ণকুমারী
১. 'বঙ্গভূমির প্রতি' কবিতাটির লেখক কে?
উত্তর : মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
২. 'বঙ্গভূমির প্রতি' কবিতায় কবি কাকে 'মা' হিসেবে কল্পনা করেছেন?
উত্তর :কবি নিজ দেশকে।
৩. মধুসূদনের মনে কখন থেকে কবি হওয়ার বাসনা ছিল?
উত্তর : শৈশব থেকেই।
৪. কোথায় না গেলে কবি হওয়া যাবে না বলে মধুসূদন মনে করেছিলেন?
উত্তর : বিলেত না গেলে।
৫. মধুসূদন কী ধর্ম গ্রহণ করেন?
উত্তর : খ্রিস্টধর্ম
৬. খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করার কারণে মধুসূদনের নামের পূর্বে কোন শব্দটি যুক্ত হয়?
উত্তর : 'মাইকেল'
৭. বাংলা ভাষায় প্রথম মহাকাব্য রচনাকারী কে?
উত্তর : মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
৮. বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম মহাকাব্যটির নাম কী?
উত্তর : 'মেঘনাবধ কাব্য'।
৯. মাইকেল মধুসূদন দত্তের পত্রকাব্যটির নাম কী?
উত্তর : 'বীরাঙ্গনা'।
১০. বাংলা সাহিত্যের প্রথম প্রথাবিরোধী লেখক কে?
উত্তর : মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
১১. 'চতুর্দশপদী কবিতার' আরেক নাম কী?
উত্তর : 'সনেট'।
১২. বাংলা সনেটের রচয়িতা কে?
উত্তর : মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
১৩. জন্মিলে কী করতে হবে?
উত্তর : জন্মিলে মরতে হবে।
১৪. অমৃত-হৃদে পড়িলে কে গলে না?
উত্তর : মক্ষিকাও গলে না।
১৫. জীবন-নদে কী চিরস্থিত নয়?
উত্তর : নীর
১৬. 'নীর' অর্থ কী?
উত্তর : 'নীর' অর্থ পানি বা জল।
১৭. কোননদ অর্থ কী?
উত্তর : কোননদ অর্থ লাল পদ্ম।
১৮. শমন কী?
উত্তর : মৃত্যুর দেবতা।
১৯. সাধিতে মনের সাধ ঘটে যদি কী?
উত্তর : পরমাদ।
২০. মনঃকোকনদ কী হীন করো না?
উত্তর : মনঃকোকনদ মধুহীন করো না।
★অনুধাবনমূলক প্রশ্ন
১. 'রেখো, মা, দাসেরে মনে'- পঙ্ক্তিটির অর্থ ব্যাখ্যা কর।
২. 'সাধিতে মনের সাধ ঘটে যদি পরমাদ' বলতে কী বোঝায়?
৩. মধুহীন করো না বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? ব্যাখ্যা কর।
৪. জন্মিলে মরিতে হবে কেন? ব্যাখ্যা কর।
৫. কোথাও কেউ অমর নয় কেন? বুঝিয়ে দাও।
৬. জীবন নদের নীর স্থির নয় কেন? ব্যাখ্যা কর।
৭. 'মা যদি রাখ মনে নাহি ডরি, শমনে। '- পঙ্ক্তিটির অর্থ ব্যাখ্যা দাও।
৮. 'ধন্য সে নরকুলে। '- কথাটি বুঝিয়ে বল।
৯. 'তবে যদি দয়া কর, ভুল দোষ, গুণ ধর' বলতে কী বোঝায়?
১০. 'মনের মন্দিরে সদা সেবে সবর্জন' পঙ্ক্তিটির অর্থ ব্যাখ্যা কর।
★নমুনা সৃজনশীল :
সালাম দুষ্টুমির অপরাধের কারণে মায়ের কাছে ক্ষমা চায়। সে আর কোনো দিন সেই অপরাধ করবে না বলে মাকে জানায়। কারণ মা ক্ষমাশীল, মা’র কাছে সন্তানের অপরাধ মার্জনীয়। সন্তান মায়ের কাছে ক্ষমা চাইলে মা ক্ষমা করে দেন। কারণ মায়ের মন মমতায় ভরা, তাই তিনি সন্তানের প্রতি রাগ করে থাকতে পারেন না।
প্রশ্ন : ক) ‘মেঘনাদবধ’ কাব্যের রচয়িতা কে?
খ) ‘জন্মিলে মরিতে হবে, অমর কে কোথা কবে।’ ব্যাখ্যা করো।
গ) উদ্দীপকটি ‘বঙ্গভূমির প্রতি’ কবিতার কোন বিষয়টিকে প্রতীকায়িত করে? লিখ।
ঘ) “উদ্দীপকের সালামের অপরাধ থেকে কবি মধুসূদনের অপরাধ ভিন্নতর"- বিশ্লেষণ করো।
উত্তর :
ক) ‘মেঘনাদবধ’ কাব্যের রচয়িতা মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
খ) ‘জন্মিলে মরিতে হবে, অমর কে কোথায় কবে।’ চরণটিতে মানুষ অমর নয়, একদিন সবাইকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে সে বিষয়টি বোঝানো হয়েছে।
কবি বাংলা-মায়ের কোলে বেঁচে থাকতে চান। তাই কবি যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন যেন দেশমাতৃকা তাকে মনে রাখেন এবং আদর-সোহাগের পরশ বুলিয়ে দেন। কারণ এ পৃথিবীতে মানুষ অমর নয়। জন্মগ্রহণ করলে মৃত্যু অবধারিত। পৃথিবীতে এমন কোনো মানুষ পাওয়া যাবে না যিনি জীবিত রয়েছেন হাজার বছর। তাই কবি দেশমাতৃকার কাছে প্রার্থনা করেছেন তাকে যেন মা করে দিয়ে বুকে জড়িয়ে নেন।
গ) উদ্দীপকটি ‘বঙ্গভূমির প্রতি’ কবিতার কবির প্রতি দেশমাতৃকার ক্ষমাশীলতার বিষয়টিকে প্রতীকায়িত করে। কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত তার ‘বঙ্গভূমির প্রতি’ কবিতায় স্বদেশের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার স্বরূপ প্রকাশ করেছেন। তিনি তার স্বদেশকে অর্থাৎ দেশমাতৃকাকে প্রাণের চেয়ে অধিক ভালোবেসে ছিলেন। উদ্দীপকের সালাম দুষ্টুমির অপরাধের কারণে মায়ের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। কারণ সে জানে ক্ষমাশীল। মায়ের কাছে সন্তানের অপরাধ মার্জনীয়। সন্তান মায়ের কাছে ক্ষমা চাইলে মা তা ক্ষমা করে দেন। ‘বঙ্গভূমির প্রতি’ কবিতার কবিও সে বিষয়টি বিশ্বাস করেন। তাই তো প্রবাসী মধুসূদন ভেবেছেন মা যেমন সন্তানের কোনো দোষ মনে রাখেন না। দেশমাতৃকাও তেমনি তার সব দোষ ক্ষমা করে দেবেন। কারণ কোনো মা-ই সন্তানের দোষ ক্ষমা না করে পারেন না। সুতরাং বলা যায়, উদ্দীপকটি আলোচ্য কবিতার মায়ের সেই ক্ষমাশীলতার দিকটিকে প্রতীকায়িত করে।
ঘ) উদ্দীপকের সালামের অপরাধ থেকে কবি মধুসূদনের অপরাধ ভিন্নতর। কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যের উজ্জ্বল নক্ষত্রস্বরূপ। কারণ তিনি পুরো সাহিত্যের নতুনত্বের সংযোগ সাধন করেছেন। অমিত্রাক্ষর ছন্দ, সনেট, প্রহসন ইত্যাদি রচনা করে তিনি স্মরণীয় হয়ে আছেন। তার ‘বঙ্গভূমির প্রতি’ কবিতায় বঙ্গভূমির প্রতি কবির মমত্ববোধের প্রকাশ পেয়েছে। সেই সাথে দেশমাতৃকার কাছে কবির কৃতকর্মের মার্জনা চাওয়া হয়েছে। উদ্দীপকের সালাম দুষ্টুমির কারণে মায়ের কাছে অপরাধী হয়, সে আর কোনো দুষ্টুমি করবে না বলে মাকে জানায়। কিন্তু মাইকেল মধুসূদন দত্ত জন্মভূমি ও মাতৃভাষাকে অবজ্ঞার অপরাধে অপরাধী। তিনি প্রথম জীবনে বঙ্গভূমি ও বঙ্গভাষাকে অবজ্ঞা করে বিদেশী ভাষায় সাহিত্য রচনা করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে দেশে ফিরে দেশমাতৃকার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এখানে সালাম ও কবির অপরাধের বৈসাদৃশ্য রয়েছে। শৈশব থেকে মাইকেল মধুসূদন দত্তের মনে কবি হওয়ার তীব্র বাসনা ছিল। তিনি মনে করেছিলেন, বিলেত না গেলে কবি হওয়া যাবে না। সেই আশা লালন করে তিনি বিলেত যান এবং সেখানে গিয়ে সাহিত্য রচনা করে ব্যর্থ হন। পরে দেশে ফিরে এসে মাতৃভাষায় সাহিত্য রচনা করার জন্য আত্মনিয়োগ করেন এবং দেশমাতৃকার কাছে সেই অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন ‘বঙ্গভূমির প্রতি’ কবিতায়। উদ্দীপকের সালাম কিন্তু এমন অপরাধে অপরাধী নয়। তাই আমরা বলতে পারি, উদ্দীপকের সালামের অপরাধ থেকে কবি মধুসূদনের অপরাধ ভিন্নতর।
মডেল টেস্ট-০১
বাংলা প্রথম পত্র
১। ‘বঙ্গভূমির প্রতি’ কী ধরনের কবিতা?
ক. রঙ্গ কবিতা খ. রম্য কবিতা
গ. গীতি কবিতা ঘ. বড় কবিতা
২। কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত দেশকে কী হিসেবে কল্পনা করেছেন?
ক. সন্তান খ. মা গ. ছেলে ঘ. মেয়ে
৩। কবি কার স্মৃতিতে পদ্ম ফুলের মতো ফুটে থাকতে চান?
ক. দেশমাতৃকার খ. সন্তানের
গ. পিতার ঘ. বাঙালির
৪। বাংলা সাহিত্যে প্রথম প্রথাবিরোধী লেখক কে?
ক. কাজী নজরুল ইসলাম
খ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
গ. মাইকেল মধুসূদন দত্ত
ঘ. জসীম উদ্দীন
৫। মাইকেল মধুসূদন দত্ত জন্মগ্রহণ করেন কত সালে?
ক. ১৮২৪ খ্রি. খ. ১৮২৫ খ্রি.
গ. ১৮২৬ খ্রি. ঘ. ১৮২৭ খ্রি.
৬। মাইকেল মধুসূদন দত্ত কোথায় মৃত্যুবরণ করেন?
ক. ঢাকায় খ. রংপুরে
গ. কলকাতায় ঘ. ইংল্যান্ডে
৭। ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ’ কী ধরনের সাহিত্যকর্ম?
ক. প্রহসন খ. নাটক গ. উপন্যাস ঘ. প্রবন্ধ
৮। মধুসূদন দত্তের নামের পূর্বে মাইকেল যুক্ত হয় কখন?
ক. হিন্দু ধর্ম গ্রহণের পর
খ. খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণের পর
গ. বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণের পর
ঘ. আর্য ধর্ম গ্রহণের পর
৯। বাংলা ভাষায় প্রথম মহাকাব্য কোনটি?
ক. মেঘনাদবধ কাব্য খ. পদ্মাবতী
গ. বীরাঙ্গনা ঘ. পদ্মলোচন
১০। ‘মক্ষিকা’ শব্দের অর্থ কী?
ক. মশা খ. মাছি
গ. বাদুড় ঘ. খরগোশ
১১। কী গলে না অমৃত হ্রদে?
ক. চিনি খ. তুঁত
গ. মক্ষিকা ঘ. লবণ
১২. কবি ‘বঙ্গভূমির প্রতি’ কবিতায় নিজেকে কী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন?
ক. দাস খ. দেশপ্রেমিক
গ. চোর ঘ. ভাবুক
১৩. ‘জন্মিলে মরিতে হবে
অমর কে কোথা কবে’
কবিতাংশটির কবি কে?
ক. কাজী নজরুল ইসলাম
খ. জসীম উদ্?দীন
গ. মাইকেল মধুসূদন দত্ত
ঘ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৪. ‘রেখো, মা দাসেরে মনে’ এই উক্তিতে প্রকাশ পেয়েছে i. স্বদেশের প্রতি কবির অহমিকা
ii. স্বদেশের প্রতি কবির শ্রদ্ধা
iii. স্বদেশের প্রতি কবির বিনয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i খ. ii গ. ii ও iii ঘ. i ও iii
১৫. ‘কোকনদ’ শব্দের অর্থ কী?
ক. লাল পদ্ম খ. সবুজ পদ্ম
গ. নীল পদ্ম ঘ. সাদা পদ্ম
১৬. ‘তবে যদি দয়া কর’ কার কাছে?
ক. বঙ্গভূমি খ. অমৃত হ্রদ
গ. সৃষ্টিকর্তা ঘ. কোনোটিই নয়
১৭. ‘অমর করিয়া বর দেহ দাসে’ এখানে কবি কী বর চেয়েছেন?
ক. সুবর খ. কুবর
গ. দৈববর ঘ. শমন
১৮. ‘বঙ্গভূমির প্রতি’ কবিতায় প্রকাশিত মূল বিষয় কী?
ক. দাসপ্রীতি খ. ভাষাপ্রীতি
গ. স্বদেশপ্রীতি ঘ. প্রকৃতিপ্রীতি
১৯. কবির দেহ আকাশ থেকে কী খসে পড়লেও তার খেদ নেই?
ক. নীর খ. বায়ু গ. রস ঘ. জীব-তারা
২০. কখন থেকে মাইকেল মধুসূদন দত্তের মনে কবি হওয়ার তীব্র বাসনা ছিল?
ক. বৃদ্ধ খ. শৈশব
গ. যৌবন ঘ. বার্ধক্য
উত্তরগুলো মিলিয়ে নাও
১. গ ২. খ ৩. ক ৪. গ ৫. ক ৬. গ ৭. ক ৮. খ ৯. ক ১০. খ ১১. গ ১২. ক ১৩. গ ১৪. গ ১৫. ক ১৬. ক ১৭. ক ১৮. গ ১৯. ঘ ২০. খ।
১.
আবার আসিব ফিরে ধানসিড়িটির তীরে-এই বাংলায়
হয়তো মানুষ নয়-হয়তো বা শঙ্খচিল শালিকের বেশে;
হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিকের নবান্নের দেশে
কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব এ কাঁঠাল-ছায়ায়;
২.
রেখো মা, দাসেরে মনে, এ মিনতি করি পদে।
সাধিতে মনের সাধ,
ঘটে যদি পরমাদ,
মধুহীন করো না গো তব মনঃকোকনদে।
ক. বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম মহাকাব্যের নাম কী?
খ. কবি বর প্রার্থনা করেন কেন-ব্যাখ্যা কর।
গ. কবিতাংশ দুটিতে কী অমিল লক্ষ্য করা যায়?- আলোচনা কর।
ঘ) কবিতাংশ দুটির মূল সুর একই –মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর ।
Wednesday, July 26, 2017
প্রকৃতি ও প্রত্যয় কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি? উদাহরণ সহ লেখো
যেমন: পড়া এর মূল অংশ হলো পড়্।সুতারাং পড়্ হলো প্রকৃতি।
প্রকৃতির প্রকারভেদ: প্রকৃতি দুই প্রকার। যথা:
১. ক্রিয়া প্রকৃতি।
২. নাম প্রকৃতি।
★ক্রিয়া প্রকৃতি : ক্রিয়ার মূল অংশকে ক্রিয়া প্রকৃতি বলে।ক্রিয়া প্রকৃতিকে ধাতুও বলা
হয়।যেমন: চলন্ত ক্রিয়ার মূল হলো চল্।
★ নাম প্রকৃতি : কোন শব্দের মূল অংশকে নাম প্রকৃতি বলে।নাম প্রকৃতি অন্য নাম শব্দ
প্রকৃতি।যেমন: ফুলেল শব্দের মূল অংশ হলো ফুল।সুতারাং ফুল হলো নাম প্রকৃতি।
২. প্রত্যয় কাকে বলে? উহা কত প্রকার ও কি কি? উদাহরণসহ লেখো।
যেমন: চলন্ত(চল+অন্ত) এখানে চল্ হলো প্রকৃতি, কিন্তু এর সাথে যুক্ত অন্ত হলো প্রত্যয়।
প্রত্যয় এর প্রকারভেদ :
প্রত্যয় দুই প্রকার।যথা:
১. কৃৎ প্রত্যয়।
২. তদ্ধিৎ প্রত্যয়।
★কৃৎ প্রত্যয়: ক্রিয়া প্রকৃতির সঙ্গে যে প্রত্যয় যুক্ত হয়,তাকে কৃৎ প্রত্যয়
বলে।যেমন: পড়্+আ=পড়া,এর আ হলো কৃৎ প্রত্যয়।
কৃৎ প্রত্যয় দুই প্রকার।
১. বাংলা কৃৎ প্রত্যয়।
২. সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়।
★তদ্ধিৎ প্রত্যয়: নাম প্রকৃতির সঙ্গে যে প্রত্যয় যুক্ত হয়,তাকে তদ্ধিৎ প্রত্যয়
বলে।যেমন:শিশু+অ = শৈশব।এখানে অ হলো তদ্ধিৎ প্রত্যয়।
তদ্ধিৎ প্রত্যয় তিন প্রকার।যথা:
১. বাংলা তদ্ধিৎ প্রত্যয়
২. সংস্কৃত তদ্ধিৎ প্রত্যয়
৩. বিদেশি তদ্ধিৎ প্রত্যয়
৩. কৃদন্ত ও তদ্ধিতান্ত পদ কাকে বলে?
উত্তর: কৃৎ প্রত্যয় সাধিত পদকে কৃদন্ত পদ বলে।
আর তদ্ধিৎ প্রত্যয় সাধিত পদকে তদ্ধিতান্ত পদ বলে।
Tuesday, July 25, 2017
পোষা পাখি(বারমাসী ছড়া)
বৈশাখ মাসে পুষেছিলুম একটি শালিক ছানা,
জ্যৈষ্ঠ মাসে উঠল তাহার ছোট্ট দুটি ডানা।।
আষাঢ় মাসে বাড়ল ক্রমে গায়ের পালকগুলি,
শ্রাবণ মাসে শিখল পাখী দুই চারটি বুলি।।
ভাদ্র মাসে নাইয়ে দিলুম হলুদ দিয়ে গায়,
আশ্বিন মাসে ঘুঙ্গুর কিনে দিলুম তাহার পায়।।
কার্তিক মাসে শিখল পাখি দাঁড়ের পরে দোলা
অগ্রহায়ণ মাসে হোল সে একেবারে হরবোলা।।
পৌষ মাসে থাকল খোলা খাঁচার দুটি দ্বার,
মাঘ মাসে চরতে যেত ইচ্ছা যথা তার।।
ফাল্গুন মাসে দুষ্ট বুদ্ধি জাগল তাহার মনে,
চৈত্র মাসে ফুড়ুৎ করে উড়ে গেল বনে।।
বি:দ্র: বাংলা লোক-সাহিত্যে শিশুদের জন্য বারমাসী ছড়া পাওয়া যায়।তার একটি হলো উপরের ছড়াটি।
প্রকৃতি ও প্রত্যয় নির্ণয় পদ্ধতিঃ
১.
আ/ া = অ
আন্তরিক =অন্তর+ইক
দারিদ্র্য= দরিদ্র+য
পাচক= পচ+অক
শারিরীক= শরীর+ইক
সারল্য= সরল+য
দার্শনিক = দর্শন+ইক
সাহচর্য = সহচর+য
আধিপত্য= অধিপতি+য
সাহিত্য,আনুগত্য,আতিথ্য,আধিক্য,আনুকূল্য,পার্বত্য,কাব্য,আলস্য,প্রামাণ্য,আদিত্য,গাম্ভীর্য,আধিপত্য,পাশ্চাত্য,তারুণ্য,মাধুর্য,কাঠিন্য,মাধ্যমিক,প্রাকৃতিক,আবশ্যিক,সাপ্তাহিক,বাতসরিক,আধুনিক
ইত্যাদি।
২. এ/ঐ= ই/ঈ
লেখা=লিখ+আ
চেনা = চিন+আ
ঐতিহাসিক = ইতিহাস + ইক
শৈল্পিক= শিল্প+ ইক
নৈতিক= নীতি + ইক
দৈনিক = দিন + ইক
দৈন্য = দীন + য
শৈশব = শিশু+অ
দৈত্য = দিতি+য
৩. ও/ঔ= উ/ঊ
ধোয়া= ধু+আ
দোলনা = দুল+না
সৌন্দর্য = সুন্দর+য
যৌবন= যুব+অন
ঔপন্যাসিক = উপন্যাস+ ইক
গৌরব=গুরু+অ
ঔজ্জ্বল্য,কৌলিন্য,সৌজন্য,সৌহার্দ্য,কৌটিল্য,ঔদাসিন্য,ঔদার্য,সৌভাগ্য,ভৌগোলিক,ঔপনিবেশিক
ইত্যাদি।
৪. আর/অর = ঋ
কর্ম = কৃ+ম
কর্তা = কৃ+তা
দর্শন = দৃশ+ অন
দর্পণ=দৃপ+অন
কারক= কৃ+অক
কার্পণ্য=কৃপণ+য
কার্য = কৃ+য
পার্থিব=পৃথিবী+য
৫. বী = বিন
মেধাবী = মেধা + বিন
মায়াবী = মায়া + বিন
তেজস্বী = তেজস+বিন
মনস্বী = মনস+বিন
৬. ইমা = ইমন
নীলিমা=নীল+ইমন
দ্রাঘিমা= দীর্ঘ+ইমন
মহিমা = মহৎ+ ইমা
রক্তিমা = রক্ত+ ইমন
কালিমা,চন্দ্রিমা ইত্যাদি।
৭. বান> বতুপ , মান > মতুপ
গুনবান= গুন+বতুপ
দয়াবান= দয়া+বতুপ
জ্ঞানবান= জ্ঞান+বতুপ
ফলবান,রূপবান,ধনবান ইত্যাদি।
বুদ্ধিমান= বুদ্ধি+মতুপ
শ্রীমান= শ্রী+ মতুপ
বর্ধ্মান = বৃধ+ মতুপ
ধীমান,মূর্তিমান ইত্যাদি।
৮. ঈয়> নীয় , ঈন> নীন
জলীয়=জল+নীয়
বায়বীয়= বায়ু+নীয়
নবীন = নব+নীন
সর্বজনীন = সর্বজন+ নীন
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রকৃতি ও প্রত্যয়
মোড়ক = মুড়+অক -------কৃৎ প্রত্যয়
সম্রাট = সম+রাজ+০ -------কৃৎ প্রত্যয়
মানব = মনু+অ -------তদ্ধিত প্রত্যয়
ঘাতক = হন+অক -------কৃৎ প্রত্যয়
সৃষ্টি = সৃজ + তি -------কৃৎ প্রত্যয়
বক্তব্য = বচ + তব্য -------কৃৎ প্রত্যয়
উক্ত = বচ + ত -------কৃৎ প্রত্যয়
উক্তি = বচ+তি -------কৃৎ প্রত্যয়
নশ্বর = নশ+ বর -------কৃৎ প্রত্যয়
গন্তব্য = গম+তব্য -------কৃৎ প্রত্যয়
কাঁন্না = কাঁদ+না-------কৃৎ প্রত্যয়
মৃন্ময় = মৃত+ ময় -------তদ্ধিত প্রত্যয়
পান্তা = পানি + তা -------তদ্ধিত প্রত্যয়
ধার্মিক = ধর্ম + ইক -------তদ্ধিত প্রত্যয়
শৈল্পিক = শিল্প+ ইক-------তদ্ধিত প্রত্যয়
ক্রেতা = ক্রী + তৃ -------কৃৎ প্রত্যয়
নয়ন = নী+অন-------কৃৎ প্রত্যয়
স্মরণীয় = স্মৃ+ অনীয়-------কৃৎ প্রত্যয়
শ্রবণ = শ্রু + অন -------কৃৎ প্রত্যয়
সাংবাদিক = সংবাদ+ ইক -------তদ্ধিত প্রত্যয়
অন্যান্য = অন্য + অন্য -------তদ্ধিত প্রত্যয়
জয় = জি+অল -------কৃৎ প্রত্যয়
রোদন = রুদ+ অন -------কৃৎ প্রত্যয়
সৈন্য = সেনা + য -------তদ্ধিত প্রত্যয়
বক্তা = বচ+তৃ+আ -------কৃৎ প্রত্যয়
মুক্তি = মুচ+ তি -------কৃৎ প্রত্যয়
নেতা = নী + তৃ -------কৃৎ প্রত্যয়
বিদ্যুত = বি+ দ্যুত+ক্বিপ -------কৃৎ প্রত্যয়
শোষক = শুষ + অক -------কৃৎ প্রত্যয়
দাতা = দা+তৃচ -------কৃৎ প্রত্যয়
দ্রষ্টব্য = দৃশ + তব্য -------কৃৎ প্রত্যয়
স্মরণ = স্মৃ+ অন -------কৃৎ প্রত্যয়
Sunday, July 16, 2017
আত্মীয়দের সঙ্গে ভাল ব্যবহার
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত
তিনি বলেন,
এক ব্যক্তি নবী (সাঃ)-এর নিকট এসে বললো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় আছে। আমি তাদের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখি, কিন্তু তারা সম্পর্ক ছিন্ন করে। আমি তাদের উপকার করি, কিন্তু তারা আমার ক্ষতি করে। তারা আমার সাথে মূর্খের আচরণ করে, কিন্তু আমি তা সহ্য করি। তিনি বলেনঃ যদি তোমার বক্তব্য সঠিক হয়, তবে তুমি যেন তাদের মুখে উত্তপ্ত ছাই পুরে দিচ্ছে। তোমার কারণে তাদের দুর্ভোগ আছে। যতক্ষণ পর্যন্ত তুমি এরূপ করতে থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন সাহায্যকারী তাদের মোকাবিলায় তোমার সাথে থাকবেন ।
(মুসলিম, আবু দাউদ, ইবনে হিব্বান, মুসনাদ আবু আওয়া নাসাঈ)।
আদাবুল মুফরাদ,
গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ জ্ঞান প্রশ্ন
১. International Mother Earth Day= ২২ এপ্রিল
২. বিশ্ব প্রাণী দিবস= ৪ অক্টোবর
৩. World No Tobaco Day is observed
= 31 May
৪. আইএমএফের সদর দপ্তর কোথায় ?
= ওয়াশিংটন ডিসি
৫. ব্রিক্সের সদর দপ্তর কোথায় ?
= ব্রিক্সের সদর দপ্তর নাই । তবে ব্রিক্স ব্যাংক বা নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এর সদর দপ্তর > সাংহাই।
৭. সার্ক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত?--- নতুন দিল্লি ।
৮. আন্তর্জাতিক রেড ক্রস - সদর দপ্তর কোথায় ?
= জেনেভা
৯. ফিশারিজ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট কোথায় অবস্থিত?---চাঁদপুর
১০. WIPO-সদর দপ্তর কোথায় ?---জেনেভা
১১. এসকাপের সদর দপ্তর কোথায় ?--ব্যাংকক
১২. ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদর দপ্তর কোথায় ?
= বেলজিয়াম
১৩. জাতিসংঘের সদর দপ্তর
= নিউইয়র্ক[UNএর N= Newyork.
১৪. নাসা -সদর দপ্তর কোথায় ?
= ওয়াশিংটন ডিসিতে
১৫. বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট
= ঈশ্বরদী
১৬. বাংলাদেশ চিনি গবেষণা শিল্পের ট্রেইনিং ইনস্টিটিউট --- ঈশ্বরদী
১৭. UNCTAD -সদর দপ্তর কোথায় ?
=জেনেভা
১৮. ইন্টারপোলের সদর দপ্তর কোথায় ?-লিঁও , ফ্রান্স
১৯. ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল সদর দপ্তর কোথায় ?-- বার্লিন , জার্মানি ।
২০. ইউনেস্কোর প্রধান কার্যালয় --প্যারিস
২১. ইসিএ - এর সদর দপ্তর কোথায় ?
= আদ্দিস আবাবা ( ইথিওপিয়া )
২২. বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সদর দপ্তর কোথায় ?
= জেনেভা
২৩. অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশলের সদর দপ্তর কোথায় ?--লন্ডন
২৪. FAO -সদর দপ্তর কোথায় ?--রোম, ইতালি
২৫. এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের(ADB) প্রধান কার্যালয় ----ম্যানিলা , ফিলিপাইন।
২৬. ঢাকায় অবস্থিত আঞ্চলিক/ আন্তর্জাতিক সংস্থা
= CIRDAP, BIMSTEC , IJSG [CBI]
২৭. লিগ অব আরব স্টেটস - এর সদর দপ্ত র
= কায়রো , মিশর ।
২৮. International Institute on Ageing এর সদর দপ্তর--ভ্যালেটা
২৯. পিএলও - সদর দপ্তর কোথায় ?
= রামাল্লা , ফিলিস্তিন[গঠিত হয়-১৯৬৪], কিন্তু ILO এর সদর দপ্তর জেনেভা।
৩০. মহিলা পুলিশ প্রথম নিয়োগ করা হয় কোন সালে?
= ১৯৭৪ সালে সাদা পোষাকে,
১৯৭৬ সালে ইউনিফরম ধারী
৩১. আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন জাতীয় সংসদে পাস হয় কোন সালে ?
= ৯ এপ্রিল , ২০০২
৩২. মানবাধিকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কখন আন্তজার্তিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ?
= ১৯৬৬সালে
৩৩. আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে শক্তি প্রয়োগ নিষিদ্ধকারী’প্যারিস প্যাক্ট’ স্বাক্ষরিত হয়
= ১৯২৮ সালের ২৭ আগস্ট
৩৪. ডেটন শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়
= ১৯৯৫
৩৫. MIGA কখন গঠিত হয় ?
= ১৯৮৮ সালে
৩৬. প্রথম ক্লোন শিশু ‘ইভ’- এর জন্ম তারিখ
= ২৬ ডিসে, ২০০২
৩৭. বাংলাদেশে প্রথম টেস্ট টিউব বেবি ত্রয় কবে ভূমিষ্ঠ হয় ?-----৩০ মে , ২০০১
৩৮. লেজার রশ্মি কত সালে আবিষ্কার হয় ?
= ১৯৬০
৩৯. ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কখন বাংলা , বিহার , উড়িষ্যার দেওয়ানী লাভ করে ?
= ১৭৬৫
৪০. কত সালে আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত সৈন্য প্রত্যাহার করা হয় ?---১৯৮৯ ।
৪১. ইসরাইল কত সালে পূর্ব জেরুজালেম দখল করেছিল ?--- ১৯৬৭
৪২. বাংলাদেশ -ভারত পানি চুক্তির মেয়াদ
= ৩০ বছর ( ১৯৯৬-২০২৬)
৪৩. বাংলাদেশ কত সালে ইসলামী সম্মেলন সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে?---- ১৯৭৪
৪৪. আনু্ষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র কবে জারি করা হয় ?-----১০ এপ্রিল, ১৯৭১
৪৫. বাংলাদেশে কবে প্রথম গ্যাস উত্তোলন শুরু হয় ?---১৯৫৭
৪৬. ন্যাটো কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?--৪ এপ্রিল, ১৯৪৯
৪৭. পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি কত তারিখে এবং কোন সালে স্বাক্ষরিত হয় ?
= ২ ডিসেম্বর, ১৯৯৭ ।
৪৮. দক্ষিণ এশীয় রাষ্ট্রগুলো কবে সাপটা চুক্তি সই করে ?
= ১৯৯৩ । কার্যকর > ১৯৯৫ ।
৪৯. গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান কার্যকর হয় কোন তারিখ থেকে ?
= ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২ ।
৫০. বাংলাদেশ কবে কমনওয়েলথ -এর সদস্যপদ লাভ করে ?---১৯৭২ সালে।
৫১. ইউরোপীয় ইউনিয়ন ( ইইউ)- এর একক মুদ্রা কবে থেকে চালু হয়েছে ?
= ১জানুয়ারী , ১৯৯৯ ।
৫২. আরব দেশসমূহ পাশ্চত্যের ওপর তেল অবরোধ করে ---১৯৭৩ ।
৫৩. বাংলাদেশের গবাদি পশুতে প্রথম ভ্রুণ বদল করা হয় ?---৫মে, ১৯৯৫।
৫৪. স্বাধীন বাংলাদেশে ১০০টাকার নোট কবে প্রথম চালু করা হয় ?--- ৪ মার্চ, ১৯৭২ ।
৫৫. স্বাধীন বাংলাদেশকে কখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দান করে ?--৪ এপ্রিল , ১৯৭২ ।
৫৬. ঢাকা পৌরসভা কোন সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ?
= ১৮৬৪
৫৭. আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ কবে থেকে কার্যক্রম শুরু করে ?--১৯৪৭
৫৮. কখন থেকে এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক লেনদেন শুরু করে ?
= ১৯৬৬।
৫৯. তাসখন্দ চুক্তি কখন স্বাক্ষরিত হয় ?
= ১০ জানুয়ারী , ১৯৬৬।
৬০. মুজিবনগরে কোন তারিখে স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়েছিল ?
= ১০ এপ্রিল , ১৯৭১।
৬১. পূর্ববঙ্গ জমিদারী দখল ও প্রজাস্বত্ব আইন কবে প্রণীত হয় ?--১৯৫০ ।
৬২. বাস্তিল দুর্গ পতন হয়েছিল
= ১৪জুলাই, ১৭৮৯ ।
৬৩. হরিপুরে তেল ক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়
= ১৯৮৬।
৬৪. দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে জার্মানি আত্মসমর্পন করে
= ১৯৪৫ সারের ৯ এপ্রিল।
কারক কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি? উদাহরণসহ কারক নির্ণয় করো
কারক শব্দের প্রকৃতি ও প্রত্যয় নির্ণয় করলে পাই কৃ+ণক/অক।ক্রিয়ার সঙ্গে নামপদ বা অন্যান্য পদের যে সম্পর্ক,তাকে কারক বলে।
*কারকের প্রকারভেদ:
কারক ছয় প্রকার।যথা:
১. কর্তৃকারক :
যে বা যারা করে, তাই কর্তা বা কর্তৃকারক।
২. কর্মকারক :
যাকে কেন্দ্র করে করা হয়,তাই কর্মকারক।
৩. করণকারক:
করণ শব্দের অর্থ যন্ত্র সহায়ক,উপায় মাধ্যম।
যার দ্বারা কোন কাজ করা হয়,তাকে করণকারক বলে।
৪. সম্প্রদান কারক:
যাকে সম্পূর্ণ অধিকার ত্যাগ করে প্রদান করা হয়,তাকে সম্প্রদান কারক বলে।
৫. অপাদান কারক:
যা হতে বা থেকে ক্রিয়া প্রকাশিত হয়,তাকে অপাদান কারক বলে।
৬. অধিকরণ কারক:
অধিকরণ অর্থ আধার।ক্রিয়ার স্থান,সময় ও বিষয়কে অধিকরণ কারক বলে।
কারক নির্ণয় এর সহজ পদ্ধতি:
প্রশ্ন করো কে বা কারা
কর্তা তোমায় দিবে সাড়া।।
প্রশ্ন করো কি বা কাকে
পাবে তখন কর্মটাকে।।
প্রশ্ন করো দ্বারা , দিয়া
করণ তোমার হবে প্রিয়া।।
প্রশ্নকরো শুধু কাকে,
পাবে তখন সম্প্রদানটাকে।।
প্রশ্ন করো হতে,থেকে
আটকে ধরো অপাদানটাকে।।
প্রশ্ন করো কোথায়,কখন
তখন পাবে অধিকরণ।।
১. রিনা খায় খই।কে খায়? রিনা,রিনা কর্তৃকারক।
২. বিনা পড়ে বই।কি পড়ে? বই, বই হলো কর্মকারক।
৩. বল খেলে মুক্তি।কি দিয়ে খেলে? বল,বল হলো করণকারক।
৪. দেব তোমায় ভক্তি।কি দেয়? ভক্তি,ভক্তি হলো সম্প্রদান কারক।
৫. ঢাকা ছাড়ে গাড়ি।কোথা হতে ছাড়ে? ঢাকা, ঢাকা হলো অপাদান কারক।
৬. খুকু যাবে বাড়ি।কোথায় যাবে? বাড়ি।বাড়ি হলো অধিকরণ কারক।
রচনায় ও সম্পাদনায়
জহির উদ্দীন
বি.এ (অনার্স),এম.এ (বাংলা),চ.বি
শিক্ষক,বি এ এফ শাহীন কলেজ চট্টগ্রাম।
Tuesday, July 11, 2017
Sunday, July 9, 2017
অলঙ্কার কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি?শব্দালঙ্কার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করো
কাব্যের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য যার দ্বারা কাব্যভাষাকে সৌন্দর্যমন্ডিত করা হয় তাকে অলঙ্কার বলে। এক কথায় কাব্যদেহের সৌন্দর্য বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে অলঙ্কার বলে।
সংস্কৃততে আছে,
'বাক্যং রসাত্মকং কাব্যম'- অর্থাৎ রসাত্মক বাক্যই কাব্য।
ভারতচন্দ্রের ভাষায়ঃ
'যে হৌক সে হৌক ভাষা কাব্য রস লয়ে'- এই কাব্য বা কবিতার শরীর নির্মিত হয় বহু বাক্য নিয়ে।
অলংকার কাব্য শ্রুতি শিল্প বিশেষ।দুইভাবে আমরা কাব্যের সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে পারি, শুনে এবং বুঝে। কাব্যশুনে আমরা তার ধ্বনিরূপ উপলব্ধি করি,আর তার অর্থবুঝে আত্মারুপ অনুধাবন করি।ইংরেজিতে একটি হলো Sound অন্যটি হলো Sence। যার বাংলা প্রতিশব্দ হতে পারে ধ্বনিরূপ এবং অর্থরুপ।ধ্বনিরুপ হয় কর্ণগোচর আর অর্থ রূপ হয় মনোগোচর।
"কানের ভেতর দিয়া মরমে পশিল গো আকুল করিল মোর প্রাণ"- যেন এই দুইয়ের ওই মিলিত বাণীরুপ। সুন্দর সুমধুর সুসামঞ্জস্যময় ধ্বনিবিন্যাস যেমন আমাদের কানকে মুগ্ধ করে; কাব্যের অর্থের ব্যঞ্জনাও তেমনি আমাকে আমাদের মনকে আকুল করে।এই দুই মিলেই নির্মিত হয় সার্থক কাব্যাত্মা। কাব্যের অলংকার তাই একাধারে শব্দ ও অর্থ মিলিয়ে সামগ্রিক অলঙ্করণ। তাই যে সকল বহিরঙ্গ ও অন্তরঙ্গ ভূষণ আভরণ কাব্যের তথা সাহিত্যের সৌন্দর্য সম্পাদন ও বৃদ্ধি এবং রসের উৎকর্ষ সাধন করে থাকে তাকে অলঙ্কার বলা হয়।
বাংলা অলঙ্কার প্রধানত দুই প্রকার।
১.শব্দালঙ্কার
২.অর্থালঙ্কার।
এছাড়া আরও কিছু অপ্রধান অলঙ্কার রয়েছে যেমন: বিরোধমূলক অলঙ্কার, শৃঙ্খলামূলক অলঙ্কার,
ন্যায়মূলক অলঙ্কার, গূঢ়ার্থমূলক অলঙ্কার ইত্যাদি।
শব্দালঙ্কার:
শব্দের ধ্বনিরূপকে আশ্রয় করে যে অলঙ্কারের সৃষ্টি হয় তাকে বলা হয় শব্দালঙ্কার। অর্থাৎ শব্দকে ঘিরে এ
অলঙ্কারের সৃষ্টি। এর মূল সৌন্দর্য টুকু ফুটে উঠে শব্দের ধ্বনিরূপে। মনে রাখতে হবে শব্দালঙ্কারের অলঙ্কার
নির্ভর করে শব্দের ওপর। তাই ইচ্ছে মতো তাকে বদলে দেয়া যায় না।
প্রধান কয়েকটি শব্দালঙ্কার:
শব্দালঙ্কারের সংখ্যা কম নয়, তবে বাংলায় ব্যবহার উপযোগিতার দিক দিয়ে প্রধান হচ্ছে চারটি।
১.অনুপ্রাস(ধ্বনি বা বর্ণের বারবার আসা)
২.যমক(একই শব্দের বারবার উল্লেখ,ভিন্নার্থে ব্যাবহার)
৩.শ্লেষ(একই শব্দের একবার উল্লেখ,দুইটি অর্থে ব্যাবহার)
৪.বক্রোক্তি(বক্তা এক বলবে শ্রোতা অন্যটা বুঝবে)
১.অনুপ্রাস:
অনু শব্দের অর্থ পরে বা পিছনে আর প্রাস শব্দের অর্থ বিন্যাস, প্রয়োগ বা নিক্ষেপ। একই ধ্বনি বা ধ্বনি
গুচ্ছের একাধিক বার ব্যবহারের ফলে যে সুন্দর ধ্বনিসাম্যের সৃষ্টি হয় তার নাম অনুপ্রাস।
এর মূল বৈশিষ্ট্য গুলো হল:
★এতে একই ধ্বনি বা ধ্বনি গুচ্ছ একাধিক বার ব্যবহৃত হবে।
★একাধিক বার ব্যবহৃত ধ্বনি বা ধ্বনি গুচ্ছ যুক্ত শব্দগুলো যথাসম্ভব পরপর বা কাছাকাছি বসবে।
★এর ফলে সৃষ্টি হবে একটি সুন্দর ধ্বনি সৌন্দর্যের।
অনুপ্রাস প্রধানত তিন প্রকার।
অন্ত্যানুপ্রাস, বৃত্ত্যনুপ্রাস এবং ছেকানুপ্রাস।
অন্ত্যানুপ্রাস:
কবিতার এক চরণের শেষে যে শব্দধ্বনি থাকে অন্য চরণের শেষে তারই পুনরাবৃ্ত্তিতে যে অনুপ্রাস অলঙ্কারের
সৃষ্টি হয় তার নাম অন্ত্যানুপ্রাস। অর্থাৎ কবিতার দু’টি চরণের শেষে যে শব্দধ্বনির মিল থাকে তাকেই
অন্ত্যানুপ্রাস বলে। একে অন্ত্যমিলও বলা হয়ে থাকে।
যেমন: কাণ্ডারী এ তরীর পাকা মাঝি মাল্লা,
দাড়ি মুখে সারি গান লা-শরীক আল্লাহ।
বৃত্তানুপ্রাস:
একটি ব্যঞ্জনধ্বনি একাধিকবার ধ্বনিত হলে, বর্ণগুচ্ছ স্বরূপ অথবা ক্রম অনুসারে বহুবার ধ্বনিত হলে যে
অনুপ্রাসের সৃষ্টি হয় তাকে বলা হয় বৃত্ত্যনুপ্রাস।
যেমন: কাক কালো কোকিল কালো কালো কন্যার কেশ।
ছেকানুপ্রাস:
দুই বা ততোধিক ব্যঞ্জনধ্বনি যুক্ত বা বিযুক্ত ভাবে একইক্রমে মাত্র দু’বার ধ্বনিত হলে যে অলঙ্কারের সৃষ্টি হয়
তার নাম ছেকানুপ্রাস। একে শ্রুত্যনুপ্রাস, লাটানুপ্রাস, মালানুপ্রাস, গুচ্ছানুপ্রাস, আদ্যানুপ্রাস বা সর্বানুপ্রাস
হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। মনে রাখা দরকার যে একক ব্যঞ্জনে কোন ক্রমেই ছেকানুপ্রাস হয় না।
উল্লেখ্য যে, এ ধরণের অনুপ্রাসের বাস্তব ব্যবহার বাংলায় খুব বেশি দেখা যায় না।
যেমন:
অন্ধ হলে কি প্রলয় বন্ধ থাকে? (সুধীনদত্ত)
২.যমক:
একই শব্দ একই স্বরধ্বনিসমেত একই ক্রমে ভিন্ন ভিন্ন অর্থে একাধিক বার ব্যবহারের ফলে যে অলঙ্কারের
সৃষ্টি হয় তার নাম যমক। যমক শব্দের অর্থ হল যুগ্ম বা দুই। লক্ষনীয় যে, একই শব্দ দুই বা ততোধিক বার
ব্যবহৃত হওয়া এবং ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করা এর বৈশিষ্ট্য।
যমক তিন প্রকার। যথা:
১.আদ্যযমক: চরণের শুরুতে যমক থাকলে তা আদ্য যমক।যেমন:
ভারত ভারতখ্যাত আপনার গুণে।(ভারতচন্দ্র)
২.মধ্যযমক: মাঝে থাকলে তা মধ্য যমক।যেমন: তোসার এ বিধি,বিধি, কে পারে বুঝিতে।(মধুসূ)
৩.অন্তযমক: শেষে থাকলে তা অন্ত্য যমক হয়। যেমন:
কবির রমণী বাঁধি কেশপাশ
বসি একাকিনী বাতায়ন পাশ।(রবি)
৩.শ্লেষ:
একটি শব্দ একাধিক অর্থে একবার মাত্র ব্যবহারের ফলে যে অলঙ্কারের সৃষ্টি হয় তার নাম শ্লেষ। শ্লেষ শব্দের অর্থ শ্লিষ্ট-মিলিত বা আলিঙ্গিত। এতে একবার মাত্রই শব্দটি ব্যবহৃত হয় কিন্তু তাতে ভিন্ন অর্থের ব্যঞ্জনা থাকে। এই শ্লেষ শব্দকেন্দ্রিক বলে কেউ কেউ একে শব্দ-শ্লেষ বলেন।যেমন:
শ্লেষকে কেউ কেউ দুই ভাগে ভাগ করে থাকেন। যথা
১.অভঙ্গ শ্লেষ: শব্দকে না ভেঙ্গে অখণ্ড অবস্থায় রেখেই যে শ্লেষ প্রকাশ পায় তা-ই অভঙ্গ শ্লেষ।যেমন:
মাথার উপরে জ্বলিছেন রবি, রয়েছে সোনার শত ছেলে (নজরুল)
এখানে কবি ‘রবি' বলতে সূর্য ও রবীন্দ্রনাথকে বুঝিয়েছেন।
২.সভঙ্গ শ্লেষ: অখণ্ড অবস্থায় শব্দের শ্লেষ প্রকাশ না পেয়ে শব্দকে ভাঙ্গলে যে শ্লেষ প্রকাশ পায় তার নাম
সভঙ্গ শ্লেষ। যেমন:
শ্রীচরণেষু
‘শ্রীচরণেষু’ একটা জুতোর দোকানের নাম। ক্রেতার ‘শ্রীচরণ ভরসা করে জুতোর দোকানদারকে জীবনযাত্রা
নির্বাহ করতে হয়, তাই শ্রীচরণ শব্দের শেষে সপ্তমীর বহুচবন যুক্ত করে ‘শ্রীচরণেষু’ ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু
শব্দটা ভাঙলে আরো গভীর তাৎপর্য উদ্ঘাটিত হয়- অর্থাৎ ‘শ্রীচরণে ‘ষু’(shoe বা জুতো পরার আহ্ববান), যা
শব্দ ভাঙায় পাওয়া গেল।
৪.বক্রোক্তি:
বক্রোক্তি এর অর্থ – বাঁকা কথা।বক্তা বা প্রশ্নকারী যদি কোনো কথাকে বিশেষ অর্থে ব্যবহার করেন --- অথচ
শ্রোতা বা উত্তরদাতা সে অর্থ গ্রহণ না করে কথাটিকে ভিন্ন অর্থে গ্রহণ করেন কিংবা সে অনুসারে উত্তর দেন,
তবে সেখানে বক্রোক্তি অলংকার হয়।যেমন:
বক্রোক্তি দুই প্রকারের।
১. শ্লেষবক্রোক্তি। যেমন:
আপনার ভাগ্যে রাজানুগ্রহ আছে
---তিন মাস জেল খেটেছি ; আর কতদিন খাটব।
২.কাকু-বক্রোক্তি। যেমন:
আমি কি ডরাই, সখি,ভিখারি রাঘবে? রচনায় ও সম্পাদনায় জহির উদ্দীন বি.এ (অনার্স) এম.এ (বাংলা) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষক,বি এ এফ শাহীন কলেজ চট্টগ্রাম।
Saturday, July 8, 2017
প্রশ্ন:অর্থালঙ্কার কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি? আলোচনা কর।
অর্থালঙ্কারের প্রকারভেদ:
অর্থালঙ্কার পাঁচ প্রকার।যথা:
১. সাদৃশ্যমূলক
২. বিরোধমূলক
৩. শৃঙ্খলামূলক
৪. ন্যায়মূলক
৫. গূঢ়ার্থপ্রতীতিমূলক।
১. সাদৃশ্যমূলক :
★ উৎপ্রেক্ষা:
উৎপ্রক্ষা কথাটি এসেছে উৎকট থেকে ; যার অর্থ দাঁড়ায় উদ্ভট,মিথ্যা বা সংশয় বা কল্পনা। কবি তার কবি শক্তির নৈপুণ্যে মিথ্যা বা সংশয় বা কল্পনাকে এমনভাবে উপস্থাপন করেন যে,পাঠক সহজেই তার আবেদনকে গ্রহণ করেন।
মোটকথা; ঘনিষ্ঠ সাদৃশ্যের কারণে উপমেয়কে উপমান বলে সংশয় হলে উৎপ্রেক্ষা অলঙ্কার বলে।
উৎপ্রেক্ষা দুই প্রকার:
১. বাচ্যোৎপ্রেক্ষা :
যে উৎপ্রক্ষায় সম্ভাবনাবাচক শব্দ (যেন,মনে হয়,বুঝি,মনে ইত্যাদি) উল্লিখিত, তাকে বাচ্যোৎপ্রেক্ষা বলে।
ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়
পূর্ণিমা চাঁদ(উপমেয়) যেন ঝলসানো রুটি(উপমান)।
২. প্রতীয়মানোৎপ্রেক্ষা:
যে উৎপ্রেক্ষায় সম্ভাবনাবাচক শব্দ (যেন,মনে হয় ইত্যাদি) অনুপস্থিত অথচ অর্থ থেকে সম্ভাবনার ভাবটি
প্রতীয়মান হয়ে উঠে, তাকে বলে প্রতীয়মানোৎপ্রেক্ষা।
* আগে পিছে পাঁচটি মেয়ে - পাঁচটি রঙের ফুল ;
পাঁচটি মেয়ে তো আর প্রকৃত ফুল নয়,যেন পাঁচটি রঙের ফুল; 'যেন'- অনুক্ত, কিন্তু বুঝতে অসুবিধা হয় না।
★ অতিশয়োক্তি:
আতিশয্যপূর্ণ বা সীমাতিরিক্ত কথা থেকে অতিশয়োক্তি কথাটি প্রচলন।তার অর্থ এখানে আতিশয্যপূর্ণ বা
সীমাতিরিক্ত কিছু থাকবে।মোটকথা, কবি কল্পনায় যখন উপমান উপমেয়কে সম্পূর্ণরুপে গ্রাস করে উপমানের চরম প্রতিষ্ঠা ঘোষিত হয় এবং সাধারণ উপমেয় উল্লিখিত হয় না,তখন অতিশয়োক্তি অলঙ্কারের সৃষ্টি হয়।যেমন;
" বন থেকে এল এক টিয়ে মনোহর।
সোনার টোপর শোভে মাথার উপর।"
এখানে উপমেয় ' আনারস'- অবিদ্যমান, 'সোনার টোপর-পরা টিয়ে'- উপমানের উজ্জ্বল উপস্থিতি।
★★★ উৎপ্রক্ষায় উপমেয়কে উপমান বলে মনে হয়।আর অতিশয়োক্তিতে উপমানই উপমেয়কে সম্পূর্ণরুপে গ্রাস করে।
২. বিরোধমূলক অলঙ্কার:
★ বিরোধাভাসঃ (বিরোধের আভাস মনে হলেও বিরোধ নেই)
যেখানে দুইটি বস্তুকে আপাত দৃষ্টিতে বিরোধী মনে হলেও তাৎপর্য বিশ্লেষণে দেখা যায় এদের মধ্যে প্রকৃত
পক্ষে কোন বিরোধ নেই, তাকে বিরোধাভাস অলঙ্কার বলে।যেমন:
১. ভবিষ্যতের লক্ষ আশা মোদের মাঝে সন্তরে-
ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুদের অন্তরে।"[গোলাম মোস্তফা]
"শিশুদের অন্তরে " শিশুর পিতা ঘুমিয়ে আছে,আপাতবিরোধী বক্তব্য।কিন্তু 'Child is the father of man' - এ
সত্য বিরোধের অবসান।
২. হেলা করি চলি গেলা
বীর।বাঁচিতাম, সে মুহূর্তে মরিতাম
যদি..... [রবীঠাকুর ]
অর্জুন পুরুষবেশী-চিত্রাঙ্গদাকে উপেক্ষা করে চলে গেছে বন-অন্তরালে।রূপমুগ্ধা নারী (চিত্রাঙ্গদা) আহত হয়েছেন এ নীরব অবহেলায়।এখানে বাঁচিতাম"- নীরব উপেক্ষার অপমান থেকে মুক্তি পেতাম অর্থে গ্রহণ করলেই বিরোধের অবসান ঘটে।
★. অসঙ্গতি:
কারণ এবং কার্য যদি ভিন্ন স্থানে বা আশ্রয়ে থাকে, তবে অসঙ্গতি অলঙ্কার বলে।
* বিরোধাভাসে পরস্পরবিরোধী বস্তুদ্বয় থাকে একই আশ্রয়ে,
আর অসঙ্গতিতে -- এক আশ্রয়ে কার্য এবং অন্য আশ্রয়ে কারণ থাকে ; এ দুয়ের মৌল পার্থক্য এখানে।
তুই হাসলে সূয্যি হাসে ফুল ফোটে বনেও
নেচে উঠে বিয়ে বাড়ির কনেও
তুই কাঁদলে বিষ্টি নামে মিষ্টি মায়ের মনেও-
এখানে তুই 'শিশু'। তার হাসিতে, সূর্যের হাসি (ওঠা), বনের ফুল ফোটা এবং বিয়েবাড়ির কনের আহ্লাদি হওয়া,
- কারণ- কার্যের পৃথক আশ্রয়ে অসঙ্গতি অলঙ্কার।
Thursday, July 6, 2017
ভীতু আমি, সাহসী রিকসা !!!!
উর্বশী বুক উঁচু করে,
বিকেলের কমলা রঙের রোদ
যখন তোমাকে আরো কমল করে তুলছিল,
মৃদু বাতাসে উড়ছিল তোমার সোনালী চুল
দীর্ঘদেহী তুমি
একা যখন হেঁটে আসছিলে সেদিন।।
কী করে বুঝাই,কত্ত ভালো লাগছিল
তোমাকে সেদিন।।
কাছে আস,চোখে চোখ রাখো,
মাঝে মাঝে কথা হয়,
কখনো বা পাশেও বসো,
সকালে তোমার এক চিলতে মিষ্টি হাঁসি
আমার সারা দিনের সুখ,স্বপ্ন ও কল্পনার
তৃপ্ত খোরাক।।
এত কাছে এসেও
কখনো আঁচল ধরে টানার সাহস করিনি।
কিন্তু সেদিন.....
রিকসার পাশ দিয়ে যেতে না যেতেই
রিকসাওয়ালা নয়,
অচেতন রিকসাটাই তোমার আঁচল
ধরে টান দিল!!!!!!!!!
তাই তো বলি
ভীতু আমি, সাহসী রিকসা।।
Wednesday, July 5, 2017
রবিঠাকুর,সুকান্ত,জীবনানন্দ
পুলিশ হরতালের পূর্বাভাস পেয়ে;না ঘুমিয়ে অভিযানে বের হলো।অপরাধীদের ছাড় না দিয়ে সবাইকে হাতকড়া পড়ানো হবে।
.
ব্যাখ্যা: হরতাল,পূর্বাভাস
না ঘুমিয়ে--ঘুম নেই, অভিযান।
ছাড়--ছাড়পত্র
হাতকড়া--মিঠে-কড়া
নিম্নোক্ত তথ্যগুলো একটু মনে রাখুন কাজে দিবে:
.
রানার তার বিখ্যাত কবিতা
আকাল--পঞ্চাশের মন্বন্তর নিয়ে রচিত গ্রন্থ।
লেজের কাহিনী (সোভিয়েট শিশুসাহিত্যিক ডি বিয়াঙ্কির ‘টেইলস’ গল্পের অনুবাদ)
দেবতাদের ভয়(ব্যাঙ্গার্থক নাটিকা
.
জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ মনে রাখার টেকনিক :
অবেলায় রূপসী লিপি সাতটি ঝরাপালক দিয়ে বনলতাকে বলল তুমিই আমার মহাপৃথিবী।
ব্যাখ্যা: অবেলায়-বেলা অবেলা কালবেলা
রূপসী-রূপসী বাংলা
লিপি-ধূসর পাণ্ডলিপি
সাতটি-সাতটি তারার তিমির
ঝরাপালক--ঝরাপালক
বনলতাকে--বনলতা সেন
মহাপৃথিবী--মহাপৃথিবী
★সতীর্থ ও মাল্যবান হচ্ছে উপন্যাস আর কবিতার কথা হচ্ছে প্রবন্ধ।
ব্লাউজের নিচে কিছু মসৃণ নগ্নতা
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
বহুক্ষণ মুখোমুখি চুপচাপ, একবার চোখ তুলে সেতু
আবার আলাদা দৃষ্টি, টেবিলে রয়েছে শুয়ে
পুরোনো পত্রিকা
প্যান্টের নিচে চটি, ওপাশে শাড়ির পাড়ে
দুটি পা-ই ঢাকা
এপাশে বোতাম খোলা বুক, একদিন না-কামানো দাড়ি
ওপাশে এলো খোঁপা, ব্লাউজের নীচে কিছু
মসৃণ নগ্নতা
বাইরে পায়ের শব্দ, দূরে কাছে কারা যায়
কারা ফিরে আসে
বাতাস আসেনি আজ, রোদ গেছে বিদেশ ভ্রমণে।
আপাতত প্রকৃতির অনুকারী ওরা দুই মানুষ-মানুষী
দু‘খানি চেয়ারে স্তব্ধ, একজন জ্বলে সিগারেট
অন্যজন ঠোঁটে থেকে হাসিটুকু মুছেও মোছে না
আঙুলে চিকচিকে আংটি, চুলের কিনারে একটু ঘুম
ফের চোখ তুলে কিছু স্তব্ধতার বিনিময়,
সময় ভিখারী হয়ে ঘোরে
অথচ সময়ই জানে, কথা আছে, ঢের কথা আছে।
Monday, July 3, 2017
নাটক ও উপন্যাসের মধ্যে পার্থক্য
উত্তর:
নাটক ও উপন্যাস উভয়ই মানবজীবনের প্রতিচ্ছবি, তবু শিল্পরুপের দিক হইতে ইহাদের মধ্যে বিশেষ পার্থক্য
আছে।
১.(কাব্য) নাটক দৃশ্যকাব্য, উপন্যাস পাঠ্যকাব্য।
২.(ঘটনা) নাটকে প্রধান বস্তু ঘটনা - পারম্পর্য, উপন্যাসে ঘটনাবিন্যাস।
৩.(গতি) সাধারণত নাটক দ্রুত গতি,উপন্যাস ধীর - মন্থর।
৪.(আনন্দ পাওয়া) উপন্যাস পড়িয়া আমরা আনন্দ পাই,নাটক দেখিয়া আনন্দ পাই।
৫. ঔপন্যাসিক পাঠকের কল্পনার উপর বেশি দাবি করেন না,সকল কথায় তিনি সাজাইয়া বলেন ও পাঠকের
নিকট প্রত্যক্ষভাবে মূর্ত করিয়া তোলেন।আর নাট্যকার দর্শকের কল্পনাশক্তির উপর অধিকতর দাবি করেন।
৬.(আবেদন) ঔপন্যাসিকের আবেদন একজনমাত্র পাঠকের নিকট,আর নাট্যকারের আবেদন বহুর নিকট।
৭.(লাগাতার পড়া) এক খণ্ডহীন অবসর সময়ে একাসনে বসিয়া না দেখিলে নাটকের আনন্দ লাভ করা যায়
না; কিন্তু উপন্যাস একাসনে বসিয়া আদ্যোপান্ত শেষ না করিলেও ক্ষতি হয় না।
৮.(প্রকাশ) ঔপন্যাসিক অধিকাংশ স্থলে যাহা বর্ণনার সাহায্যে প্রকাশ করেন,
নাট্যকার তাহা দৃশ্যপট - সংযোজনায় ও রঙ্গমঞ্চ সজ্জার সাহায্যে রুপদান করেন।
৯. বুঝার পক্ষে উপন্যাস যত সহজ, নাটক ততটা সহজ নয়।
১০. ঔপন্যাসিক তাঁহার সৃষ্ট চরিত্রগুলির উত্থান - পতন ও পরিণতি সম্বন্ধে প্রকাশ্যভাবে আলোচনা করিতে
পারেন,কিন্তু নাট্যকারের সুকঠিন নির্লিপ্ততা (Detachment) অবলম্বন করিতে হয়।
১১. নাটকীয় বিষয়বস্তু রক্তমাংসের নর-নারীর কথা বার্তায় ব্যক্ত হয় বলিয়া উহা উপন্যাসের বিষয় বস্তু
অপেক্ষা অধিকতর জীবন্তময়।
Recent Post
মিষ্টি আলুর উপকারিতা
মিষ্টি আলুঃ "বাচ্চার ওজন দ্রুত বাড়ানোর সেরা খাবার" বাচ্চার স্বাস্থ্য এবং বিকাশের জন্য মিষ্টি আলু একটি বিশেষ খাবার। এটি শুধু বাচ্চ...

Most Popular Post
-
নৌকাডুবি (১৯০৬) চরিত্র ও তথ্য সমূহ ১. রমেশঃকলকাতা/Law/বাবার চিঠি/ ২. হেমনলিনীঃমাতৃহীন/ ৩. কমলাঃ ৪. ডাক্তার নলিনাক্ষঃ * গঙ্গার প্রবল ঘুর্ণিঝড়...
-
অলঙ্কার এর সংজ্ঞাঃ অলঙ্কার কথাটি এসেছে সংস্কৃত 'অলম' শব্দ থেকে।অলম শব্দের অর্থ ভূষণ।ভূষণ অর্থ সজ্জা,গহনা ইত্যাদি। তাই আভিধানিক অর্থে...
-
উত্তর 'অ' ধ্বনির উচ্চারণ অ-এর মতো হলে তাকে অ-বিবৃত বা স্বাভাবিক উচ্চারণ বলে।অ-ধ্বনির বিবৃত উচ্চারণে ঠোঁট তেমন বাঁকা বা গোল হয় না।যে...
-
বাংলা ছন্দ ছন্দ: কাব্যের রসঘন ও শ্রুতিমধুর বাক্যে সুশৃঙ্খল ধ্বনিবিন্যাসের ফলে যে সৌন্দর্য সৃষ্টি হয় তাকে ছন্দ বলে। (বাঙলা ছন্দ : জীবেন্দ...
-
উত্তর: তৎসম শব্দে মূর্ধন্য-ণ এর ব্যবহারের নিয়মকে ণ-ত্ব বিধান বলে।নিম্নে এর পাঁচটি নিয়ম বর্ণনা দেওয়া হলো... ১. ঋ,র,ষ এরপর মূর্ধন্য-ণ হয়। ...
-
জটিল বা মিশ্র বাক্যে ছােট ছােট একাধিক বাক্য থাকে একে খণ্ডবাক্য বলে। খণ্ডবাক্য প্রধানত দুই প্রকার- ১.প্রধান খণ্ডবাক্য ২.আশ্রিত খণ্ড বাক্য। ...
-
বিষয় : বাংলা সময়------২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট পূর্ণমান-১০০ দ্রষ্টব্য : ডান পাশে উল্লিখিত সংখ্যা প্রশ্নের পূর্ণমান জ্ঞাপক । নিচের অনুচ্ছেদট...